বিশ্বজিত রায়, সুনামগঞ্জ

‘মাছ, পাখি, গাছপালা, বন—সবকিছুই আছিল। হাওরে এখন দেশীয় প্রজাতির কোনো মাছই পাওয়া যায় না। আগে রাতে পাখির শব্দে ঘুম হইতো না। এখন দিনের বেলায়ও পাখি দেখা যায় না।’ কথাগুলো হাওরের ফেরিওয়ালা মো. রাজা মিয়ার। নৌকা থেকে আঙুল দিয়ে করচগাছ কাটার ক্ষত দেখিয়ে বলেন, ‘গাছগাছালি, বনজঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের আধারকে গলাটিপে হত্যা করা হইতাছে। মনে হয় এই হাওরের মালিক-কর্মচারী কেউই নাই।’
রাজা মিয়া কথাগুলো বলছিলেন টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে। স্থানীয়দের মতে, এক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এই হাওর। কেউ কেউ বলছেন, পর্যটন বা হাউসবোটের কারণে হাওর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন, প্রশাসনের কোনো নজরদারি না থাকায় বৈচিত্র্য হারাচ্ছে হাওর।
সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলাধীন ১৮টি মৌজা নিয়ে বিস্তৃত হাওর টাঙ্গুয়ার। এই হাওরে ছোট-বড় ১২০টি বিল রয়েছে। ৮৮টি গ্রামসহ পুরো হাওর এলাকার আয়তন প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ২৮০২ দশমিক ৩৬ হেক্টর জলাভূমি রয়েছে। প্রায় ৬০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা এই হাওরকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি এই হাওরে গিয়ে দেখা গেল, চারদিক থেকে আসছে ইঞ্জিনের বিকট শব্দ, সঙ্গে পর্যটকের হুল্লোড়। ওয়াচ টাওয়ারের কাছের গাছগুলোতে যদিও হাউসবোট নেই। তবে কাছেই গোলাবাড়ি, জয়পুর গ্রামসংলগ্ন এলাকাসহ গোটা হাওরেই বিচরণ করছে পর্যটকবাহী হাউসবোট।
যদিও টাঙ্গুয়ায় হাউসবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন আকন্দের দাবি, এই বোটগুলো তাহিরপুরের মাটিয়ান হাওর হয়ে ওয়াচ টাওয়ারের গোলাবাড়ির কিঞ্চি নদী দিয়ে টেকেরঘাটে যায়। এরপর রক্তি নদী হয়ে জাদুকাটা গিয়ে আনোয়ারপুরের লাইন দিয়ে সুনামগঞ্জে ফেরত আসে। এর মধ্যে টাঙ্গুয়ার হাওর পড়ে না।
তবে হাওরে ঘুরে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। পানিতে ভাসতে দেখা গেল প্লাস্টিক বর্জ্য, তেল-মবিল। এতে দূষিত হচ্ছে জলজ পরিবেশ। টাঙ্গুয়ার-তীরবর্তী একটি রিসোর্টের স্বত্বাধিকারীর বলেন, ইঞ্জিনের নৌকা ছোট-বড় দুইটাই হাওরের জন্য ক্ষতিকর। ইঞ্জিনের শব্দ, ময়লা-আবর্জনা, মলমূত্র প্রকৃতি-পরিবেশ নষ্ট করছে। প্রশাসনের ভূমিকাও অনেকটা ঢিলেঢালা। সবকিছু নিয়মের মধ্যে আনতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।
কয়েক দশক ধরে টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার সামগ্রিক পরিবেশের অবনতি ঘটছে। পরিবেশগত ঐতিহ্য ও গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে সরকার বিশাল এই হাওরকে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও সংকটাপন্ন জলাভূমি (ওয়েটল্যান্ড) হিসেবে চিহ্নিত করে রামসার কনভেনশনের অধীনে ‘রামসার এলাকা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
মাছ-পাখি নেই হাওরে
কেবল সুনামগঞ্জ নয়, পুরো দেশেই হাওরটি শীতের অতিথি পাখিদের ‘স্বর্গরাজ্য’ হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর এখানে প্রায় ২০০ প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন ঘটত। বিশ্বের বিভিন্ন বিপন্ন প্রজাতির পাখি এ বিশাল হাওরে শীতকালে অস্থায়ীভাবে আবাস গড়ে তোলে। তবে সেই চিত্র এখন আর নেই। বন্য প্রাণী গবেষক সীমান্ত দীপু জলচর পাখিশুমারির এ বছরের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৯৯২ সালের পর এ বছর সবচেয়ে কম পাখি এসেছে টাঙ্গুয়ার হাওরে। শীতকালে একসময় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজারের মতো পাখির দেখা পাওয়া যেত। কিন্তু চলতি বছর পাখি এসেছে মাত্র ৩৪ প্রজাতির ২২ হাজার ৫৪৭টি।
দেশের মৎস্যসম্পদের অন্যতম উৎস টাঙ্গুয়ার হাওর। এখানে ১৪০টির বেশি প্রজাতির স্বাদুপানির মাছ পাওয়া যেত। তবে সেই মাছ উধাও হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সুনামগঞ্জের সমন্বয়ক সজল কান্তি সরকার বলেন, ‘ইঞ্জিনচালিত যানের পাখা ঘূর্ণনের সঙ্গে পেট্রল, মবিল, তেল পানিতে গিয়ে মিশছে; যা মাছ, পাখি, উদ্ভিদসহ গোটা প্রাণবৈচিত্র্যের জন্য হুমকি। হাওরের ক্ষতি করে হলেও পর্যটন টিকিয়ে রাখার যে মচ্ছব চলছে, তাতে কিছুই থাকবে না।’
এ প্রসঙ্গে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, পানিতে ফেলা বর্জ্যের অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া আছে। এই বর্জ্য পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়; যাতে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জরুরি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়।
উদ্যোগ নেই প্রশাসনের
হাওরে ইজারাপ্রথা বাতিলের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আনসার সদস্যদের পাহারা ছিল। বর্তমানে ঢিলেঢালা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মাছ-পাখি শিকার থেকে পর্যটন—সবকিছুতে চলছে হাওরে। এই যখন পরিস্থিতি, তখন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানিয়েছেন, টাঙ্গুয়া নিয়ে বর্তমানে কোনো বিশেষ প্রকল্প নেই। প্রশাসন হাওরের দেখভাল করছে। হাওরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা আছে।
তবে শাবিপ্রবির বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, জীববৈচিত্র্যের জন্য যে পরিবেশ থাকা দরকার, তা দীর্ঘদিন ধরে হাওরে অনুপস্থিত। তিনি বলেন, হাওরের জীববৈচিত্র্যের প্রধান উপাদান হিজল, করচ, ঝোপঝাড়, জলাবন একেবারে কমে গেছে। পাখি ও বন্য প্রাণীর নিরাপদ পরিবেশ রক্ষায় হাওরে বনায়ন সৃষ্টিও জরুরি।
পরিবেশবান্ধব পর্যটন নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, ‘সবাই চায় জীববৈচিত্র্য রক্ষা হোক। আবার আমরা অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনকেও উপভোগ করছি। গবেষণার মাধ্যমে সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করে একটি মডেল দাঁড় করাতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
এ প্রসঙ্গে গবেষক সীমান্ত দীপু বলেন, রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার তদারকিতে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। তিনি বলেন, পৃথিবীর বহু জায়গায় এ রকম পর্যটনের সুযোগ আছে। তবে সেটা নিয়মতান্ত্রিক। সরকারের পর্যটন, প্রশাসন, হাওর মাস্টারপ্ল্যান—সবখানেই নির্দেশনা শুধু কাগজে-কলমে। কোথাও কোনো নিয়মতান্ত্রিকতা নেই। সবকিছু নিয়মের মধ্যে আনতে হবে।

‘মাছ, পাখি, গাছপালা, বন—সবকিছুই আছিল। হাওরে এখন দেশীয় প্রজাতির কোনো মাছই পাওয়া যায় না। আগে রাতে পাখির শব্দে ঘুম হইতো না। এখন দিনের বেলায়ও পাখি দেখা যায় না।’ কথাগুলো হাওরের ফেরিওয়ালা মো. রাজা মিয়ার। নৌকা থেকে আঙুল দিয়ে করচগাছ কাটার ক্ষত দেখিয়ে বলেন, ‘গাছগাছালি, বনজঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের আধারকে গলাটিপে হত্যা করা হইতাছে। মনে হয় এই হাওরের মালিক-কর্মচারী কেউই নাই।’
রাজা মিয়া কথাগুলো বলছিলেন টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে। স্থানীয়দের মতে, এক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এই হাওর। কেউ কেউ বলছেন, পর্যটন বা হাউসবোটের কারণে হাওর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন, প্রশাসনের কোনো নজরদারি না থাকায় বৈচিত্র্য হারাচ্ছে হাওর।
সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলাধীন ১৮টি মৌজা নিয়ে বিস্তৃত হাওর টাঙ্গুয়ার। এই হাওরে ছোট-বড় ১২০টি বিল রয়েছে। ৮৮টি গ্রামসহ পুরো হাওর এলাকার আয়তন প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ২৮০২ দশমিক ৩৬ হেক্টর জলাভূমি রয়েছে। প্রায় ৬০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা এই হাওরকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি এই হাওরে গিয়ে দেখা গেল, চারদিক থেকে আসছে ইঞ্জিনের বিকট শব্দ, সঙ্গে পর্যটকের হুল্লোড়। ওয়াচ টাওয়ারের কাছের গাছগুলোতে যদিও হাউসবোট নেই। তবে কাছেই গোলাবাড়ি, জয়পুর গ্রামসংলগ্ন এলাকাসহ গোটা হাওরেই বিচরণ করছে পর্যটকবাহী হাউসবোট।
যদিও টাঙ্গুয়ায় হাউসবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন আকন্দের দাবি, এই বোটগুলো তাহিরপুরের মাটিয়ান হাওর হয়ে ওয়াচ টাওয়ারের গোলাবাড়ির কিঞ্চি নদী দিয়ে টেকেরঘাটে যায়। এরপর রক্তি নদী হয়ে জাদুকাটা গিয়ে আনোয়ারপুরের লাইন দিয়ে সুনামগঞ্জে ফেরত আসে। এর মধ্যে টাঙ্গুয়ার হাওর পড়ে না।
তবে হাওরে ঘুরে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। পানিতে ভাসতে দেখা গেল প্লাস্টিক বর্জ্য, তেল-মবিল। এতে দূষিত হচ্ছে জলজ পরিবেশ। টাঙ্গুয়ার-তীরবর্তী একটি রিসোর্টের স্বত্বাধিকারীর বলেন, ইঞ্জিনের নৌকা ছোট-বড় দুইটাই হাওরের জন্য ক্ষতিকর। ইঞ্জিনের শব্দ, ময়লা-আবর্জনা, মলমূত্র প্রকৃতি-পরিবেশ নষ্ট করছে। প্রশাসনের ভূমিকাও অনেকটা ঢিলেঢালা। সবকিছু নিয়মের মধ্যে আনতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।
কয়েক দশক ধরে টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার সামগ্রিক পরিবেশের অবনতি ঘটছে। পরিবেশগত ঐতিহ্য ও গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে সরকার বিশাল এই হাওরকে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও সংকটাপন্ন জলাভূমি (ওয়েটল্যান্ড) হিসেবে চিহ্নিত করে রামসার কনভেনশনের অধীনে ‘রামসার এলাকা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
মাছ-পাখি নেই হাওরে
কেবল সুনামগঞ্জ নয়, পুরো দেশেই হাওরটি শীতের অতিথি পাখিদের ‘স্বর্গরাজ্য’ হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর এখানে প্রায় ২০০ প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন ঘটত। বিশ্বের বিভিন্ন বিপন্ন প্রজাতির পাখি এ বিশাল হাওরে শীতকালে অস্থায়ীভাবে আবাস গড়ে তোলে। তবে সেই চিত্র এখন আর নেই। বন্য প্রাণী গবেষক সীমান্ত দীপু জলচর পাখিশুমারির এ বছরের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৯৯২ সালের পর এ বছর সবচেয়ে কম পাখি এসেছে টাঙ্গুয়ার হাওরে। শীতকালে একসময় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজারের মতো পাখির দেখা পাওয়া যেত। কিন্তু চলতি বছর পাখি এসেছে মাত্র ৩৪ প্রজাতির ২২ হাজার ৫৪৭টি।
দেশের মৎস্যসম্পদের অন্যতম উৎস টাঙ্গুয়ার হাওর। এখানে ১৪০টির বেশি প্রজাতির স্বাদুপানির মাছ পাওয়া যেত। তবে সেই মাছ উধাও হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সুনামগঞ্জের সমন্বয়ক সজল কান্তি সরকার বলেন, ‘ইঞ্জিনচালিত যানের পাখা ঘূর্ণনের সঙ্গে পেট্রল, মবিল, তেল পানিতে গিয়ে মিশছে; যা মাছ, পাখি, উদ্ভিদসহ গোটা প্রাণবৈচিত্র্যের জন্য হুমকি। হাওরের ক্ষতি করে হলেও পর্যটন টিকিয়ে রাখার যে মচ্ছব চলছে, তাতে কিছুই থাকবে না।’
এ প্রসঙ্গে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, পানিতে ফেলা বর্জ্যের অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া আছে। এই বর্জ্য পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়; যাতে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জরুরি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়।
উদ্যোগ নেই প্রশাসনের
হাওরে ইজারাপ্রথা বাতিলের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আনসার সদস্যদের পাহারা ছিল। বর্তমানে ঢিলেঢালা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মাছ-পাখি শিকার থেকে পর্যটন—সবকিছুতে চলছে হাওরে। এই যখন পরিস্থিতি, তখন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানিয়েছেন, টাঙ্গুয়া নিয়ে বর্তমানে কোনো বিশেষ প্রকল্প নেই। প্রশাসন হাওরের দেখভাল করছে। হাওরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা আছে।
তবে শাবিপ্রবির বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, জীববৈচিত্র্যের জন্য যে পরিবেশ থাকা দরকার, তা দীর্ঘদিন ধরে হাওরে অনুপস্থিত। তিনি বলেন, হাওরের জীববৈচিত্র্যের প্রধান উপাদান হিজল, করচ, ঝোপঝাড়, জলাবন একেবারে কমে গেছে। পাখি ও বন্য প্রাণীর নিরাপদ পরিবেশ রক্ষায় হাওরে বনায়ন সৃষ্টিও জরুরি।
পরিবেশবান্ধব পর্যটন নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, ‘সবাই চায় জীববৈচিত্র্য রক্ষা হোক। আবার আমরা অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনকেও উপভোগ করছি। গবেষণার মাধ্যমে সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করে একটি মডেল দাঁড় করাতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
এ প্রসঙ্গে গবেষক সীমান্ত দীপু বলেন, রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার তদারকিতে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। তিনি বলেন, পৃথিবীর বহু জায়গায় এ রকম পর্যটনের সুযোগ আছে। তবে সেটা নিয়মতান্ত্রিক। সরকারের পর্যটন, প্রশাসন, হাওর মাস্টারপ্ল্যান—সবখানেই নির্দেশনা শুধু কাগজে-কলমে। কোথাও কোনো নিয়মতান্ত্রিকতা নেই। সবকিছু নিয়মের মধ্যে আনতে হবে।

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
২০ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রধানত থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪১ মিনিটে।

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রধানত থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪১ মিনিটে।

‘মাছ, পাখি, গাছপালা, বন—সবকিছুই আছিল। হাওরে এখন দেশীয় প্রজাতির কোনো মাছই পাওয়া যায় না। আগে রাতে পাখির শব্দে ঘুম হইতো না। এখন দিনের বেলায়ও পাখি দেখা যায় না।’ কথাগুলো হাওরের ফেরিওয়ালা মো. রাজা মিয়ার। নৌকা থেকে আঙুল দিয়ে করচগাছ কাটার ক্ষত দেখিয়ে বলেন, ‘গাছগাছালি, বনজঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের আধারকে গলাট
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
২০ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে।
এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর শুক্রবার অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা।
টানা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে এবার বোরো বীজতলাসহ ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে বোরো বীজতলা তৈরির মৌসুম চললেও কম তাপমাত্রা ও সূর্যের আলো না থাকায় অনেক এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
গত রোববারের মতো গতকালও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীতে আগের দুই দিনের মতো গতকালও সারা দিনে সূর্যের দেখা পায়নি মানুষ। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে শিশির। এতে ভয়ানক কষ্টের মধ্যে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ।
ঘন কুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
সারা দেশে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমিসহ বোরো বীজতলায়। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সৃষ্ট ‘কোল্ড ইনজুরি’-তে নাবি বীজতলার চারা পচে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে চারার সংকটের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
নওগাঁর মান্দা উপজেলা, যশোরের শার্শা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, রংপুর জেলার আট উপজেলা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন।
ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শিশির বৃষ্টির মতো ঝরছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষার জন্য কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। যেসব বীজতলা ঢেকে রাখা হয়নি, সেগুলোর চারা হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেছে।
মান্দার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তৈরি করা বীজতলায় সবে চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সূর্যের আলো না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। পরিস্থিতি এভাবে চললে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে, এতে বাড়তি খরচ পড়বে।’
মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিরূপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে রোপণের সময় চারার সংকট দেখা দিতে পারে। এ কারণে কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে হাটবাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানচালকেরা।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসেই এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সোমবার বহির্বিভাগে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ৩৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে।
এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর শুক্রবার অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা।
টানা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে এবার বোরো বীজতলাসহ ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে বোরো বীজতলা তৈরির মৌসুম চললেও কম তাপমাত্রা ও সূর্যের আলো না থাকায় অনেক এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
গত রোববারের মতো গতকালও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীতে আগের দুই দিনের মতো গতকালও সারা দিনে সূর্যের দেখা পায়নি মানুষ। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে শিশির। এতে ভয়ানক কষ্টের মধ্যে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ।
ঘন কুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
সারা দেশে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমিসহ বোরো বীজতলায়। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সৃষ্ট ‘কোল্ড ইনজুরি’-তে নাবি বীজতলার চারা পচে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে চারার সংকটের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
নওগাঁর মান্দা উপজেলা, যশোরের শার্শা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, রংপুর জেলার আট উপজেলা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন।
ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শিশির বৃষ্টির মতো ঝরছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষার জন্য কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। যেসব বীজতলা ঢেকে রাখা হয়নি, সেগুলোর চারা হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেছে।
মান্দার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তৈরি করা বীজতলায় সবে চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সূর্যের আলো না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। পরিস্থিতি এভাবে চললে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে, এতে বাড়তি খরচ পড়বে।’
মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিরূপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে রোপণের সময় চারার সংকট দেখা দিতে পারে। এ কারণে কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে হাটবাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানচালকেরা।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসেই এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সোমবার বহির্বিভাগে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ৩৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।

‘মাছ, পাখি, গাছপালা, বন—সবকিছুই আছিল। হাওরে এখন দেশীয় প্রজাতির কোনো মাছই পাওয়া যায় না। আগে রাতে পাখির শব্দে ঘুম হইতো না। এখন দিনের বেলায়ও পাখি দেখা যায় না।’ কথাগুলো হাওরের ফেরিওয়ালা মো. রাজা মিয়ার। নৌকা থেকে আঙুল দিয়ে করচগাছ কাটার ক্ষত দেখিয়ে বলেন, ‘গাছগাছালি, বনজঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের আধারকে গলাট
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

‘মাছ, পাখি, গাছপালা, বন—সবকিছুই আছিল। হাওরে এখন দেশীয় প্রজাতির কোনো মাছই পাওয়া যায় না। আগে রাতে পাখির শব্দে ঘুম হইতো না। এখন দিনের বেলায়ও পাখি দেখা যায় না।’ কথাগুলো হাওরের ফেরিওয়ালা মো. রাজা মিয়ার। নৌকা থেকে আঙুল দিয়ে করচগাছ কাটার ক্ষত দেখিয়ে বলেন, ‘গাছগাছালি, বনজঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের আধারকে গলাট
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
২০ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

‘মাছ, পাখি, গাছপালা, বন—সবকিছুই আছিল। হাওরে এখন দেশীয় প্রজাতির কোনো মাছই পাওয়া যায় না। আগে রাতে পাখির শব্দে ঘুম হইতো না। এখন দিনের বেলায়ও পাখি দেখা যায় না।’ কথাগুলো হাওরের ফেরিওয়ালা মো. রাজা মিয়ার। নৌকা থেকে আঙুল দিয়ে করচগাছ কাটার ক্ষত দেখিয়ে বলেন, ‘গাছগাছালি, বনজঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের আধারকে গলাট
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
২০ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে