বিশ্বজিত রায়, সুনামগঞ্জ

‘মাছ, পাখি, গাছপালা, বন—সবকিছুই আছিল। হাওরে এখন দেশীয় প্রজাতির কোনো মাছই পাওয়া যায় না। আগে রাতে পাখির শব্দে ঘুম হইতো না। এখন দিনের বেলায়ও পাখি দেখা যায় না।’ কথাগুলো হাওরের ফেরিওয়ালা মো. রাজা মিয়ার। নৌকা থেকে আঙুল দিয়ে করচগাছ কাটার ক্ষত দেখিয়ে বলেন, ‘গাছগাছালি, বনজঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের আধারকে গলাটিপে হত্যা করা হইতাছে। মনে হয় এই হাওরের মালিক-কর্মচারী কেউই নাই।’
রাজা মিয়া কথাগুলো বলছিলেন টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে। স্থানীয়দের মতে, এক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এই হাওর। কেউ কেউ বলছেন, পর্যটন বা হাউসবোটের কারণে হাওর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন, প্রশাসনের কোনো নজরদারি না থাকায় বৈচিত্র্য হারাচ্ছে হাওর।
সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলাধীন ১৮টি মৌজা নিয়ে বিস্তৃত হাওর টাঙ্গুয়ার। এই হাওরে ছোট-বড় ১২০টি বিল রয়েছে। ৮৮টি গ্রামসহ পুরো হাওর এলাকার আয়তন প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ২৮০২ দশমিক ৩৬ হেক্টর জলাভূমি রয়েছে। প্রায় ৬০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা এই হাওরকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি এই হাওরে গিয়ে দেখা গেল, চারদিক থেকে আসছে ইঞ্জিনের বিকট শব্দ, সঙ্গে পর্যটকের হুল্লোড়। ওয়াচ টাওয়ারের কাছের গাছগুলোতে যদিও হাউসবোট নেই। তবে কাছেই গোলাবাড়ি, জয়পুর গ্রামসংলগ্ন এলাকাসহ গোটা হাওরেই বিচরণ করছে পর্যটকবাহী হাউসবোট।
যদিও টাঙ্গুয়ায় হাউসবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন আকন্দের দাবি, এই বোটগুলো তাহিরপুরের মাটিয়ান হাওর হয়ে ওয়াচ টাওয়ারের গোলাবাড়ির কিঞ্চি নদী দিয়ে টেকেরঘাটে যায়। এরপর রক্তি নদী হয়ে জাদুকাটা গিয়ে আনোয়ারপুরের লাইন দিয়ে সুনামগঞ্জে ফেরত আসে। এর মধ্যে টাঙ্গুয়ার হাওর পড়ে না।
তবে হাওরে ঘুরে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। পানিতে ভাসতে দেখা গেল প্লাস্টিক বর্জ্য, তেল-মবিল। এতে দূষিত হচ্ছে জলজ পরিবেশ। টাঙ্গুয়ার-তীরবর্তী একটি রিসোর্টের স্বত্বাধিকারীর বলেন, ইঞ্জিনের নৌকা ছোট-বড় দুইটাই হাওরের জন্য ক্ষতিকর। ইঞ্জিনের শব্দ, ময়লা-আবর্জনা, মলমূত্র প্রকৃতি-পরিবেশ নষ্ট করছে। প্রশাসনের ভূমিকাও অনেকটা ঢিলেঢালা। সবকিছু নিয়মের মধ্যে আনতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।
কয়েক দশক ধরে টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার সামগ্রিক পরিবেশের অবনতি ঘটছে। পরিবেশগত ঐতিহ্য ও গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে সরকার বিশাল এই হাওরকে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও সংকটাপন্ন জলাভূমি (ওয়েটল্যান্ড) হিসেবে চিহ্নিত করে রামসার কনভেনশনের অধীনে ‘রামসার এলাকা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
মাছ-পাখি নেই হাওরে
কেবল সুনামগঞ্জ নয়, পুরো দেশেই হাওরটি শীতের অতিথি পাখিদের ‘স্বর্গরাজ্য’ হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর এখানে প্রায় ২০০ প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন ঘটত। বিশ্বের বিভিন্ন বিপন্ন প্রজাতির পাখি এ বিশাল হাওরে শীতকালে অস্থায়ীভাবে আবাস গড়ে তোলে। তবে সেই চিত্র এখন আর নেই। বন্য প্রাণী গবেষক সীমান্ত দীপু জলচর পাখিশুমারির এ বছরের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৯৯২ সালের পর এ বছর সবচেয়ে কম পাখি এসেছে টাঙ্গুয়ার হাওরে। শীতকালে একসময় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজারের মতো পাখির দেখা পাওয়া যেত। কিন্তু চলতি বছর পাখি এসেছে মাত্র ৩৪ প্রজাতির ২২ হাজার ৫৪৭টি।
দেশের মৎস্যসম্পদের অন্যতম উৎস টাঙ্গুয়ার হাওর। এখানে ১৪০টির বেশি প্রজাতির স্বাদুপানির মাছ পাওয়া যেত। তবে সেই মাছ উধাও হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সুনামগঞ্জের সমন্বয়ক সজল কান্তি সরকার বলেন, ‘ইঞ্জিনচালিত যানের পাখা ঘূর্ণনের সঙ্গে পেট্রল, মবিল, তেল পানিতে গিয়ে মিশছে; যা মাছ, পাখি, উদ্ভিদসহ গোটা প্রাণবৈচিত্র্যের জন্য হুমকি। হাওরের ক্ষতি করে হলেও পর্যটন টিকিয়ে রাখার যে মচ্ছব চলছে, তাতে কিছুই থাকবে না।’
এ প্রসঙ্গে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, পানিতে ফেলা বর্জ্যের অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া আছে। এই বর্জ্য পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়; যাতে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জরুরি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়।
উদ্যোগ নেই প্রশাসনের
হাওরে ইজারাপ্রথা বাতিলের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আনসার সদস্যদের পাহারা ছিল। বর্তমানে ঢিলেঢালা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মাছ-পাখি শিকার থেকে পর্যটন—সবকিছুতে চলছে হাওরে। এই যখন পরিস্থিতি, তখন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানিয়েছেন, টাঙ্গুয়া নিয়ে বর্তমানে কোনো বিশেষ প্রকল্প নেই। প্রশাসন হাওরের দেখভাল করছে। হাওরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা আছে।
তবে শাবিপ্রবির বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, জীববৈচিত্র্যের জন্য যে পরিবেশ থাকা দরকার, তা দীর্ঘদিন ধরে হাওরে অনুপস্থিত। তিনি বলেন, হাওরের জীববৈচিত্র্যের প্রধান উপাদান হিজল, করচ, ঝোপঝাড়, জলাবন একেবারে কমে গেছে। পাখি ও বন্য প্রাণীর নিরাপদ পরিবেশ রক্ষায় হাওরে বনায়ন সৃষ্টিও জরুরি।
পরিবেশবান্ধব পর্যটন নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, ‘সবাই চায় জীববৈচিত্র্য রক্ষা হোক। আবার আমরা অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনকেও উপভোগ করছি। গবেষণার মাধ্যমে সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করে একটি মডেল দাঁড় করাতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
এ প্রসঙ্গে গবেষক সীমান্ত দীপু বলেন, রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার তদারকিতে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। তিনি বলেন, পৃথিবীর বহু জায়গায় এ রকম পর্যটনের সুযোগ আছে। তবে সেটা নিয়মতান্ত্রিক। সরকারের পর্যটন, প্রশাসন, হাওর মাস্টারপ্ল্যান—সবখানেই নির্দেশনা শুধু কাগজে-কলমে। কোথাও কোনো নিয়মতান্ত্রিকতা নেই। সবকিছু নিয়মের মধ্যে আনতে হবে।

‘মাছ, পাখি, গাছপালা, বন—সবকিছুই আছিল। হাওরে এখন দেশীয় প্রজাতির কোনো মাছই পাওয়া যায় না। আগে রাতে পাখির শব্দে ঘুম হইতো না। এখন দিনের বেলায়ও পাখি দেখা যায় না।’ কথাগুলো হাওরের ফেরিওয়ালা মো. রাজা মিয়ার। নৌকা থেকে আঙুল দিয়ে করচগাছ কাটার ক্ষত দেখিয়ে বলেন, ‘গাছগাছালি, বনজঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের আধারকে গলাটিপে হত্যা করা হইতাছে। মনে হয় এই হাওরের মালিক-কর্মচারী কেউই নাই।’
রাজা মিয়া কথাগুলো বলছিলেন টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে। স্থানীয়দের মতে, এক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এই হাওর। কেউ কেউ বলছেন, পর্যটন বা হাউসবোটের কারণে হাওর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন, প্রশাসনের কোনো নজরদারি না থাকায় বৈচিত্র্য হারাচ্ছে হাওর।
সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলাধীন ১৮টি মৌজা নিয়ে বিস্তৃত হাওর টাঙ্গুয়ার। এই হাওরে ছোট-বড় ১২০টি বিল রয়েছে। ৮৮টি গ্রামসহ পুরো হাওর এলাকার আয়তন প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ২৮০২ দশমিক ৩৬ হেক্টর জলাভূমি রয়েছে। প্রায় ৬০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা এই হাওরকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি এই হাওরে গিয়ে দেখা গেল, চারদিক থেকে আসছে ইঞ্জিনের বিকট শব্দ, সঙ্গে পর্যটকের হুল্লোড়। ওয়াচ টাওয়ারের কাছের গাছগুলোতে যদিও হাউসবোট নেই। তবে কাছেই গোলাবাড়ি, জয়পুর গ্রামসংলগ্ন এলাকাসহ গোটা হাওরেই বিচরণ করছে পর্যটকবাহী হাউসবোট।
যদিও টাঙ্গুয়ায় হাউসবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন আকন্দের দাবি, এই বোটগুলো তাহিরপুরের মাটিয়ান হাওর হয়ে ওয়াচ টাওয়ারের গোলাবাড়ির কিঞ্চি নদী দিয়ে টেকেরঘাটে যায়। এরপর রক্তি নদী হয়ে জাদুকাটা গিয়ে আনোয়ারপুরের লাইন দিয়ে সুনামগঞ্জে ফেরত আসে। এর মধ্যে টাঙ্গুয়ার হাওর পড়ে না।
তবে হাওরে ঘুরে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। পানিতে ভাসতে দেখা গেল প্লাস্টিক বর্জ্য, তেল-মবিল। এতে দূষিত হচ্ছে জলজ পরিবেশ। টাঙ্গুয়ার-তীরবর্তী একটি রিসোর্টের স্বত্বাধিকারীর বলেন, ইঞ্জিনের নৌকা ছোট-বড় দুইটাই হাওরের জন্য ক্ষতিকর। ইঞ্জিনের শব্দ, ময়লা-আবর্জনা, মলমূত্র প্রকৃতি-পরিবেশ নষ্ট করছে। প্রশাসনের ভূমিকাও অনেকটা ঢিলেঢালা। সবকিছু নিয়মের মধ্যে আনতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।
কয়েক দশক ধরে টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার সামগ্রিক পরিবেশের অবনতি ঘটছে। পরিবেশগত ঐতিহ্য ও গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে সরকার বিশাল এই হাওরকে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও সংকটাপন্ন জলাভূমি (ওয়েটল্যান্ড) হিসেবে চিহ্নিত করে রামসার কনভেনশনের অধীনে ‘রামসার এলাকা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
মাছ-পাখি নেই হাওরে
কেবল সুনামগঞ্জ নয়, পুরো দেশেই হাওরটি শীতের অতিথি পাখিদের ‘স্বর্গরাজ্য’ হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর এখানে প্রায় ২০০ প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন ঘটত। বিশ্বের বিভিন্ন বিপন্ন প্রজাতির পাখি এ বিশাল হাওরে শীতকালে অস্থায়ীভাবে আবাস গড়ে তোলে। তবে সেই চিত্র এখন আর নেই। বন্য প্রাণী গবেষক সীমান্ত দীপু জলচর পাখিশুমারির এ বছরের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৯৯২ সালের পর এ বছর সবচেয়ে কম পাখি এসেছে টাঙ্গুয়ার হাওরে। শীতকালে একসময় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজারের মতো পাখির দেখা পাওয়া যেত। কিন্তু চলতি বছর পাখি এসেছে মাত্র ৩৪ প্রজাতির ২২ হাজার ৫৪৭টি।
দেশের মৎস্যসম্পদের অন্যতম উৎস টাঙ্গুয়ার হাওর। এখানে ১৪০টির বেশি প্রজাতির স্বাদুপানির মাছ পাওয়া যেত। তবে সেই মাছ উধাও হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সুনামগঞ্জের সমন্বয়ক সজল কান্তি সরকার বলেন, ‘ইঞ্জিনচালিত যানের পাখা ঘূর্ণনের সঙ্গে পেট্রল, মবিল, তেল পানিতে গিয়ে মিশছে; যা মাছ, পাখি, উদ্ভিদসহ গোটা প্রাণবৈচিত্র্যের জন্য হুমকি। হাওরের ক্ষতি করে হলেও পর্যটন টিকিয়ে রাখার যে মচ্ছব চলছে, তাতে কিছুই থাকবে না।’
এ প্রসঙ্গে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, পানিতে ফেলা বর্জ্যের অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া আছে। এই বর্জ্য পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়; যাতে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জরুরি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়।
উদ্যোগ নেই প্রশাসনের
হাওরে ইজারাপ্রথা বাতিলের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আনসার সদস্যদের পাহারা ছিল। বর্তমানে ঢিলেঢালা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মাছ-পাখি শিকার থেকে পর্যটন—সবকিছুতে চলছে হাওরে। এই যখন পরিস্থিতি, তখন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানিয়েছেন, টাঙ্গুয়া নিয়ে বর্তমানে কোনো বিশেষ প্রকল্প নেই। প্রশাসন হাওরের দেখভাল করছে। হাওরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা আছে।
তবে শাবিপ্রবির বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, জীববৈচিত্র্যের জন্য যে পরিবেশ থাকা দরকার, তা দীর্ঘদিন ধরে হাওরে অনুপস্থিত। তিনি বলেন, হাওরের জীববৈচিত্র্যের প্রধান উপাদান হিজল, করচ, ঝোপঝাড়, জলাবন একেবারে কমে গেছে। পাখি ও বন্য প্রাণীর নিরাপদ পরিবেশ রক্ষায় হাওরে বনায়ন সৃষ্টিও জরুরি।
পরিবেশবান্ধব পর্যটন নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, ‘সবাই চায় জীববৈচিত্র্য রক্ষা হোক। আবার আমরা অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনকেও উপভোগ করছি। গবেষণার মাধ্যমে সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করে একটি মডেল দাঁড় করাতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
এ প্রসঙ্গে গবেষক সীমান্ত দীপু বলেন, রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার তদারকিতে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। তিনি বলেন, পৃথিবীর বহু জায়গায় এ রকম পর্যটনের সুযোগ আছে। তবে সেটা নিয়মতান্ত্রিক। সরকারের পর্যটন, প্রশাসন, হাওর মাস্টারপ্ল্যান—সবখানেই নির্দেশনা শুধু কাগজে-কলমে। কোথাও কোনো নিয়মতান্ত্রিকতা নেই। সবকিছু নিয়মের মধ্যে আনতে হবে।
বিশ্বজিত রায়, সুনামগঞ্জ

‘মাছ, পাখি, গাছপালা, বন—সবকিছুই আছিল। হাওরে এখন দেশীয় প্রজাতির কোনো মাছই পাওয়া যায় না। আগে রাতে পাখির শব্দে ঘুম হইতো না। এখন দিনের বেলায়ও পাখি দেখা যায় না।’ কথাগুলো হাওরের ফেরিওয়ালা মো. রাজা মিয়ার। নৌকা থেকে আঙুল দিয়ে করচগাছ কাটার ক্ষত দেখিয়ে বলেন, ‘গাছগাছালি, বনজঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের আধারকে গলাটিপে হত্যা করা হইতাছে। মনে হয় এই হাওরের মালিক-কর্মচারী কেউই নাই।’
রাজা মিয়া কথাগুলো বলছিলেন টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে। স্থানীয়দের মতে, এক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এই হাওর। কেউ কেউ বলছেন, পর্যটন বা হাউসবোটের কারণে হাওর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন, প্রশাসনের কোনো নজরদারি না থাকায় বৈচিত্র্য হারাচ্ছে হাওর।
সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলাধীন ১৮টি মৌজা নিয়ে বিস্তৃত হাওর টাঙ্গুয়ার। এই হাওরে ছোট-বড় ১২০টি বিল রয়েছে। ৮৮টি গ্রামসহ পুরো হাওর এলাকার আয়তন প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ২৮০২ দশমিক ৩৬ হেক্টর জলাভূমি রয়েছে। প্রায় ৬০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা এই হাওরকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি এই হাওরে গিয়ে দেখা গেল, চারদিক থেকে আসছে ইঞ্জিনের বিকট শব্দ, সঙ্গে পর্যটকের হুল্লোড়। ওয়াচ টাওয়ারের কাছের গাছগুলোতে যদিও হাউসবোট নেই। তবে কাছেই গোলাবাড়ি, জয়পুর গ্রামসংলগ্ন এলাকাসহ গোটা হাওরেই বিচরণ করছে পর্যটকবাহী হাউসবোট।
যদিও টাঙ্গুয়ায় হাউসবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন আকন্দের দাবি, এই বোটগুলো তাহিরপুরের মাটিয়ান হাওর হয়ে ওয়াচ টাওয়ারের গোলাবাড়ির কিঞ্চি নদী দিয়ে টেকেরঘাটে যায়। এরপর রক্তি নদী হয়ে জাদুকাটা গিয়ে আনোয়ারপুরের লাইন দিয়ে সুনামগঞ্জে ফেরত আসে। এর মধ্যে টাঙ্গুয়ার হাওর পড়ে না।
তবে হাওরে ঘুরে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। পানিতে ভাসতে দেখা গেল প্লাস্টিক বর্জ্য, তেল-মবিল। এতে দূষিত হচ্ছে জলজ পরিবেশ। টাঙ্গুয়ার-তীরবর্তী একটি রিসোর্টের স্বত্বাধিকারীর বলেন, ইঞ্জিনের নৌকা ছোট-বড় দুইটাই হাওরের জন্য ক্ষতিকর। ইঞ্জিনের শব্দ, ময়লা-আবর্জনা, মলমূত্র প্রকৃতি-পরিবেশ নষ্ট করছে। প্রশাসনের ভূমিকাও অনেকটা ঢিলেঢালা। সবকিছু নিয়মের মধ্যে আনতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।
কয়েক দশক ধরে টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার সামগ্রিক পরিবেশের অবনতি ঘটছে। পরিবেশগত ঐতিহ্য ও গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে সরকার বিশাল এই হাওরকে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও সংকটাপন্ন জলাভূমি (ওয়েটল্যান্ড) হিসেবে চিহ্নিত করে রামসার কনভেনশনের অধীনে ‘রামসার এলাকা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
মাছ-পাখি নেই হাওরে
কেবল সুনামগঞ্জ নয়, পুরো দেশেই হাওরটি শীতের অতিথি পাখিদের ‘স্বর্গরাজ্য’ হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর এখানে প্রায় ২০০ প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন ঘটত। বিশ্বের বিভিন্ন বিপন্ন প্রজাতির পাখি এ বিশাল হাওরে শীতকালে অস্থায়ীভাবে আবাস গড়ে তোলে। তবে সেই চিত্র এখন আর নেই। বন্য প্রাণী গবেষক সীমান্ত দীপু জলচর পাখিশুমারির এ বছরের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৯৯২ সালের পর এ বছর সবচেয়ে কম পাখি এসেছে টাঙ্গুয়ার হাওরে। শীতকালে একসময় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজারের মতো পাখির দেখা পাওয়া যেত। কিন্তু চলতি বছর পাখি এসেছে মাত্র ৩৪ প্রজাতির ২২ হাজার ৫৪৭টি।
দেশের মৎস্যসম্পদের অন্যতম উৎস টাঙ্গুয়ার হাওর। এখানে ১৪০টির বেশি প্রজাতির স্বাদুপানির মাছ পাওয়া যেত। তবে সেই মাছ উধাও হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সুনামগঞ্জের সমন্বয়ক সজল কান্তি সরকার বলেন, ‘ইঞ্জিনচালিত যানের পাখা ঘূর্ণনের সঙ্গে পেট্রল, মবিল, তেল পানিতে গিয়ে মিশছে; যা মাছ, পাখি, উদ্ভিদসহ গোটা প্রাণবৈচিত্র্যের জন্য হুমকি। হাওরের ক্ষতি করে হলেও পর্যটন টিকিয়ে রাখার যে মচ্ছব চলছে, তাতে কিছুই থাকবে না।’
এ প্রসঙ্গে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, পানিতে ফেলা বর্জ্যের অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া আছে। এই বর্জ্য পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়; যাতে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জরুরি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়।
উদ্যোগ নেই প্রশাসনের
হাওরে ইজারাপ্রথা বাতিলের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আনসার সদস্যদের পাহারা ছিল। বর্তমানে ঢিলেঢালা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মাছ-পাখি শিকার থেকে পর্যটন—সবকিছুতে চলছে হাওরে। এই যখন পরিস্থিতি, তখন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানিয়েছেন, টাঙ্গুয়া নিয়ে বর্তমানে কোনো বিশেষ প্রকল্প নেই। প্রশাসন হাওরের দেখভাল করছে। হাওরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা আছে।
তবে শাবিপ্রবির বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, জীববৈচিত্র্যের জন্য যে পরিবেশ থাকা দরকার, তা দীর্ঘদিন ধরে হাওরে অনুপস্থিত। তিনি বলেন, হাওরের জীববৈচিত্র্যের প্রধান উপাদান হিজল, করচ, ঝোপঝাড়, জলাবন একেবারে কমে গেছে। পাখি ও বন্য প্রাণীর নিরাপদ পরিবেশ রক্ষায় হাওরে বনায়ন সৃষ্টিও জরুরি।
পরিবেশবান্ধব পর্যটন নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, ‘সবাই চায় জীববৈচিত্র্য রক্ষা হোক। আবার আমরা অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনকেও উপভোগ করছি। গবেষণার মাধ্যমে সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করে একটি মডেল দাঁড় করাতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
এ প্রসঙ্গে গবেষক সীমান্ত দীপু বলেন, রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার তদারকিতে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। তিনি বলেন, পৃথিবীর বহু জায়গায় এ রকম পর্যটনের সুযোগ আছে। তবে সেটা নিয়মতান্ত্রিক। সরকারের পর্যটন, প্রশাসন, হাওর মাস্টারপ্ল্যান—সবখানেই নির্দেশনা শুধু কাগজে-কলমে। কোথাও কোনো নিয়মতান্ত্রিকতা নেই। সবকিছু নিয়মের মধ্যে আনতে হবে।

‘মাছ, পাখি, গাছপালা, বন—সবকিছুই আছিল। হাওরে এখন দেশীয় প্রজাতির কোনো মাছই পাওয়া যায় না। আগে রাতে পাখির শব্দে ঘুম হইতো না। এখন দিনের বেলায়ও পাখি দেখা যায় না।’ কথাগুলো হাওরের ফেরিওয়ালা মো. রাজা মিয়ার। নৌকা থেকে আঙুল দিয়ে করচগাছ কাটার ক্ষত দেখিয়ে বলেন, ‘গাছগাছালি, বনজঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের আধারকে গলাটিপে হত্যা করা হইতাছে। মনে হয় এই হাওরের মালিক-কর্মচারী কেউই নাই।’
রাজা মিয়া কথাগুলো বলছিলেন টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে। স্থানীয়দের মতে, এক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এই হাওর। কেউ কেউ বলছেন, পর্যটন বা হাউসবোটের কারণে হাওর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন, প্রশাসনের কোনো নজরদারি না থাকায় বৈচিত্র্য হারাচ্ছে হাওর।
সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলাধীন ১৮টি মৌজা নিয়ে বিস্তৃত হাওর টাঙ্গুয়ার। এই হাওরে ছোট-বড় ১২০টি বিল রয়েছে। ৮৮টি গ্রামসহ পুরো হাওর এলাকার আয়তন প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ২৮০২ দশমিক ৩৬ হেক্টর জলাভূমি রয়েছে। প্রায় ৬০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা এই হাওরকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি এই হাওরে গিয়ে দেখা গেল, চারদিক থেকে আসছে ইঞ্জিনের বিকট শব্দ, সঙ্গে পর্যটকের হুল্লোড়। ওয়াচ টাওয়ারের কাছের গাছগুলোতে যদিও হাউসবোট নেই। তবে কাছেই গোলাবাড়ি, জয়পুর গ্রামসংলগ্ন এলাকাসহ গোটা হাওরেই বিচরণ করছে পর্যটকবাহী হাউসবোট।
যদিও টাঙ্গুয়ায় হাউসবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন আকন্দের দাবি, এই বোটগুলো তাহিরপুরের মাটিয়ান হাওর হয়ে ওয়াচ টাওয়ারের গোলাবাড়ির কিঞ্চি নদী দিয়ে টেকেরঘাটে যায়। এরপর রক্তি নদী হয়ে জাদুকাটা গিয়ে আনোয়ারপুরের লাইন দিয়ে সুনামগঞ্জে ফেরত আসে। এর মধ্যে টাঙ্গুয়ার হাওর পড়ে না।
তবে হাওরে ঘুরে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। পানিতে ভাসতে দেখা গেল প্লাস্টিক বর্জ্য, তেল-মবিল। এতে দূষিত হচ্ছে জলজ পরিবেশ। টাঙ্গুয়ার-তীরবর্তী একটি রিসোর্টের স্বত্বাধিকারীর বলেন, ইঞ্জিনের নৌকা ছোট-বড় দুইটাই হাওরের জন্য ক্ষতিকর। ইঞ্জিনের শব্দ, ময়লা-আবর্জনা, মলমূত্র প্রকৃতি-পরিবেশ নষ্ট করছে। প্রশাসনের ভূমিকাও অনেকটা ঢিলেঢালা। সবকিছু নিয়মের মধ্যে আনতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।
কয়েক দশক ধরে টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার সামগ্রিক পরিবেশের অবনতি ঘটছে। পরিবেশগত ঐতিহ্য ও গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে সরকার বিশাল এই হাওরকে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও সংকটাপন্ন জলাভূমি (ওয়েটল্যান্ড) হিসেবে চিহ্নিত করে রামসার কনভেনশনের অধীনে ‘রামসার এলাকা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
মাছ-পাখি নেই হাওরে
কেবল সুনামগঞ্জ নয়, পুরো দেশেই হাওরটি শীতের অতিথি পাখিদের ‘স্বর্গরাজ্য’ হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর এখানে প্রায় ২০০ প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন ঘটত। বিশ্বের বিভিন্ন বিপন্ন প্রজাতির পাখি এ বিশাল হাওরে শীতকালে অস্থায়ীভাবে আবাস গড়ে তোলে। তবে সেই চিত্র এখন আর নেই। বন্য প্রাণী গবেষক সীমান্ত দীপু জলচর পাখিশুমারির এ বছরের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৯৯২ সালের পর এ বছর সবচেয়ে কম পাখি এসেছে টাঙ্গুয়ার হাওরে। শীতকালে একসময় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজারের মতো পাখির দেখা পাওয়া যেত। কিন্তু চলতি বছর পাখি এসেছে মাত্র ৩৪ প্রজাতির ২২ হাজার ৫৪৭টি।
দেশের মৎস্যসম্পদের অন্যতম উৎস টাঙ্গুয়ার হাওর। এখানে ১৪০টির বেশি প্রজাতির স্বাদুপানির মাছ পাওয়া যেত। তবে সেই মাছ উধাও হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সুনামগঞ্জের সমন্বয়ক সজল কান্তি সরকার বলেন, ‘ইঞ্জিনচালিত যানের পাখা ঘূর্ণনের সঙ্গে পেট্রল, মবিল, তেল পানিতে গিয়ে মিশছে; যা মাছ, পাখি, উদ্ভিদসহ গোটা প্রাণবৈচিত্র্যের জন্য হুমকি। হাওরের ক্ষতি করে হলেও পর্যটন টিকিয়ে রাখার যে মচ্ছব চলছে, তাতে কিছুই থাকবে না।’
এ প্রসঙ্গে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, পানিতে ফেলা বর্জ্যের অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া আছে। এই বর্জ্য পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়; যাতে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জরুরি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়।
উদ্যোগ নেই প্রশাসনের
হাওরে ইজারাপ্রথা বাতিলের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আনসার সদস্যদের পাহারা ছিল। বর্তমানে ঢিলেঢালা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মাছ-পাখি শিকার থেকে পর্যটন—সবকিছুতে চলছে হাওরে। এই যখন পরিস্থিতি, তখন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানিয়েছেন, টাঙ্গুয়া নিয়ে বর্তমানে কোনো বিশেষ প্রকল্প নেই। প্রশাসন হাওরের দেখভাল করছে। হাওরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা আছে।
তবে শাবিপ্রবির বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, জীববৈচিত্র্যের জন্য যে পরিবেশ থাকা দরকার, তা দীর্ঘদিন ধরে হাওরে অনুপস্থিত। তিনি বলেন, হাওরের জীববৈচিত্র্যের প্রধান উপাদান হিজল, করচ, ঝোপঝাড়, জলাবন একেবারে কমে গেছে। পাখি ও বন্য প্রাণীর নিরাপদ পরিবেশ রক্ষায় হাওরে বনায়ন সৃষ্টিও জরুরি।
পরিবেশবান্ধব পর্যটন নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, ‘সবাই চায় জীববৈচিত্র্য রক্ষা হোক। আবার আমরা অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনকেও উপভোগ করছি। গবেষণার মাধ্যমে সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করে একটি মডেল দাঁড় করাতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
এ প্রসঙ্গে গবেষক সীমান্ত দীপু বলেন, রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার তদারকিতে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। তিনি বলেন, পৃথিবীর বহু জায়গায় এ রকম পর্যটনের সুযোগ আছে। তবে সেটা নিয়মতান্ত্রিক। সরকারের পর্যটন, প্রশাসন, হাওর মাস্টারপ্ল্যান—সবখানেই নির্দেশনা শুধু কাগজে-কলমে। কোথাও কোনো নিয়মতান্ত্রিকতা নেই। সবকিছু নিয়মের মধ্যে আনতে হবে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
১৯ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
২ দিন আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এটি আজ বুধবার সকালে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ১১টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৭৭, যা গতকাল ছিল ১১১। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ৮ম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১৭তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৫৯৭, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের কলকাতা, চীনের বেইজিং, ইরাকের বাগদাদ ও চীনের উহান। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২২৮, ২১৩, ১৯৪ ও ১৮৭।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ১১টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৭৭, যা গতকাল ছিল ১১১। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ৮ম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১৭তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৫৯৭, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের কলকাতা, চীনের বেইজিং, ইরাকের বাগদাদ ও চীনের উহান। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২২৮, ২১৩, ১৯৪ ও ১৮৭।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

‘মাছ, পাখি, গাছপালা, বন—সবকিছুই আছিল। হাওরে এখন দেশীয় প্রজাতির কোনো মাছই পাওয়া যায় না। আগে রাতে পাখির শব্দে ঘুম হইতো না। এখন দিনের বেলায়ও পাখি দেখা যায় না।’ কথাগুলো হাওরের ফেরিওয়ালা মো. রাজা মিয়ার। নৌকা থেকে আঙুল দিয়ে করচগাছ কাটার ক্ষত দেখিয়ে বলেন, ‘গাছগাছালি, বনজঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের আধারকে গলাট
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
২ দিন আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এটি আজ বুধবার সকালে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকার আকাশে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। আকাশ হালকা মেঘে ঢাকা। আজ দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া এমনই মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে তাপমাত্রা কমবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৮ মিনিটে।
এদিকে সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

রাজধানী ঢাকার আকাশে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। আকাশ হালকা মেঘে ঢাকা। আজ দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া এমনই মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে তাপমাত্রা কমবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৮ মিনিটে।
এদিকে সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

‘মাছ, পাখি, গাছপালা, বন—সবকিছুই আছিল। হাওরে এখন দেশীয় প্রজাতির কোনো মাছই পাওয়া যায় না। আগে রাতে পাখির শব্দে ঘুম হইতো না। এখন দিনের বেলায়ও পাখি দেখা যায় না।’ কথাগুলো হাওরের ফেরিওয়ালা মো. রাজা মিয়ার। নৌকা থেকে আঙুল দিয়ে করচগাছ কাটার ক্ষত দেখিয়ে বলেন, ‘গাছগাছালি, বনজঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের আধারকে গলাট
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
১৯ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
২ দিন আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এটি আজ বুধবার সকালে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ শিশু ও বৃদ্ধদের মতো সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১১১, যা গতকাল ছিল ১০৫। দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় আজ ১৭তম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১১তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের কলকাতা শহরটির বায়ুমান আজ ২৬৭, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং ও মিসরের কায়রো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২১৪, ২০৭, ১৯৩ ও ১৮১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ শিশু ও বৃদ্ধদের মতো সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১১১, যা গতকাল ছিল ১০৫। দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় আজ ১৭তম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১১তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের কলকাতা শহরটির বায়ুমান আজ ২৬৭, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং ও মিসরের কায়রো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২১৪, ২০৭, ১৯৩ ও ১৮১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

‘মাছ, পাখি, গাছপালা, বন—সবকিছুই আছিল। হাওরে এখন দেশীয় প্রজাতির কোনো মাছই পাওয়া যায় না। আগে রাতে পাখির শব্দে ঘুম হইতো না। এখন দিনের বেলায়ও পাখি দেখা যায় না।’ কথাগুলো হাওরের ফেরিওয়ালা মো. রাজা মিয়ার। নৌকা থেকে আঙুল দিয়ে করচগাছ কাটার ক্ষত দেখিয়ে বলেন, ‘গাছগাছালি, বনজঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের আধারকে গলাট
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
১৯ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
১ দিন আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এটি আজ বুধবার সকালে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এটি আজ বুধবার সকালে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
এ ছাড়া বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে আজ দুপুরের মধ্যে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এই অঞ্চলের নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করার সময় বৃষ্টি ঝরাতে ঝরাতে দুর্বল হয়ে যাবে। অবশ্য এর প্রভাবে গতকাল রাত থেকেই চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া আজ সিলেট অঞ্চলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। সুস্পষ্ট লঘুচাপ চলে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে হবে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌযানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে হবে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় সকাল ৬টা ৮ মিনিটে।
সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এটি আজ বুধবার সকালে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
এ ছাড়া বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে আজ দুপুরের মধ্যে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এই অঞ্চলের নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করার সময় বৃষ্টি ঝরাতে ঝরাতে দুর্বল হয়ে যাবে। অবশ্য এর প্রভাবে গতকাল রাত থেকেই চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া আজ সিলেট অঞ্চলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। সুস্পষ্ট লঘুচাপ চলে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে হবে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌযানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে হবে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় সকাল ৬টা ৮ মিনিটে।
সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

‘মাছ, পাখি, গাছপালা, বন—সবকিছুই আছিল। হাওরে এখন দেশীয় প্রজাতির কোনো মাছই পাওয়া যায় না। আগে রাতে পাখির শব্দে ঘুম হইতো না। এখন দিনের বেলায়ও পাখি দেখা যায় না।’ কথাগুলো হাওরের ফেরিওয়ালা মো. রাজা মিয়ার। নৌকা থেকে আঙুল দিয়ে করচগাছ কাটার ক্ষত দেখিয়ে বলেন, ‘গাছগাছালি, বনজঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের আধারকে গলাট
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
১৯ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
২ দিন আগে