Ajker Patrika

দাবানলের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন কতটা দায়ী

ছবি: এএফপি
ছবি: এএফপি

টানা ছয় দিন ধরে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ১২ হাজারের বেশি স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়েছে। অনেক অঞ্চলে দাবানল সাধারণ ঘটনা হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর তীব্রতা ও ভয়াবহতা বেশ বেড়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, বর্তমান বিশ্বে দাবানলের তীব্রতা বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন কতটা দায়ী, তা নিয়ে এখনো গবেষকদের কাছে স্পষ্ট তথ্য নেই।

গত শুক্রবার ২০২৪ সালকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ‘উষ্ণ বছর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস। তবে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব স্পষ্টভাবে বলা এখনো কঠিন। কারণ, সব দাবানলই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হয় না। তবে ‘ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন’ নামের একটি বৈজ্ঞানিক দলের গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সাম্প্রতিক কিছু বড় দাবানলের সম্পর্ক রয়েছে।

যেসব দাবানলের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী
ব্রাজিলের প্যান্টানাল জলাভূমিতে গত জুনে ভয়াবহ দাবানলের ঘটনা ঘটে। তবে এটি দেশটির সাধারণ দাবানল মৌসুমের বাইরে ঘটেছিল। এই দাবানলের ফলে এক মাসের মধ্যে প্রায় ৪ লাখ হেক্টর জমি ধ্বংস হয়ে যায়।

২০২৩ সালের বসন্তের শেষের (মার্চ-মে) দিকে পূর্ব কানাডায় ঘটে যাওয়া দাবানলগুলোর সঙ্গে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি সম্পর্কও স্থাপন করেছেন বিজ্ঞানীরা। সেই বছরের মে ও জুন মাস ছিল ১৯৪০ সালের পর সবচেয়ে উষ্ণ মাস। গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তন দাবানল সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাকে দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়েছে। দাবানলগুলোর প্রভাবও বেশ ভয়ংকর ছিল। ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী যে পরিমাণ বনভূমি ধ্বংস হয়েছে, তার এক-চতুর্থাংশের বেশি এর কারণে হয়েছে।

গ্রীষ্ম ও শরতের সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানল একটি সাধারণ ঘটনা। তবে গত কয়েক দশকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অঙ্গরাজ্যটির পুড়ে যাওয়া এলাকার পরিমাণ ১৭২ শতাংশ বেড়েছে।

মোটের ওপর, বিশ্বজুড়ে দাবানল আরও বিস্তৃত হচ্ছে এবং গত বিশ বছরে এর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এসব দাবানল আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠছে।

একইভাবে, বনাঞ্চলের দাবানলও আরও ঘন ঘন হচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দাবানলের কারণে বর্তমানে যে পরিমাণ গাছপালা ধ্বংস হচ্ছে, তা দুই দশক আগের তুলনায় অন্তত দুই গুণ বেশি। ২০০১-২০২৩ সালের মধ্যে দাবানলে হারানো বনভূমির প্রায় ৭০ শতাংশ বোরিয়াল বনাঞ্চলসম্পন্ন দেশগুলোতে ঘটেছে। যেমন কানাডা ও রাশিয়া। জলবায়ু পরিবর্তনকে এই দাবানল কার্যকলাপের প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পৃথিবীর উত্তর অংশে অবস্থিত একটি বিশেষ ধরনের বনাঞ্চলকে বোরিয়াল অঞ্চল বলা হয়। এই ধরনের বনের গাছপালা সাধারণত শীতে তীব্র ঠান্ডা এবং গ্রীষ্মকালে মাঝারি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। বোরিয়াল বনে প্রধানত সিডার, স্প্রুস, পাইন ও তাম্বুলগাছ থাকে এবং এর বিস্তৃতি কানাডা, রাশিয়া, স্ক্যান্ডিনেভিয়া ও অন্যান্য উত্তরাঞ্চলে রয়েছে।

তাপমাত্রা দাবানলের ওপর প্রভাব ফেলে যেভাবে
দাবানলগুলো সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হয় না; তবে বেশির ভাগ দাবানল মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে শুরু হয়। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ বেড়ে গেছে, যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড চরম মাত্রার তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়েছে।

গরম তাপমাত্রার পৃথিবী ‘ফায়ার ওয়েদার’ বা দাবানলের বেশ উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে। যেমন প্রচণ্ড গরম, শুষ্কতা এবং প্রবল বাতাসের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়।

খরাকে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত করা কঠিন। খরা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে গড়ে তোলা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে ঘটে। তবে খরা সৃষ্টির কারণ বিভিন্ন অঞ্চলের পরিস্থিতি এবং খরার ধরন অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।

বিজ্ঞানীরা জানান, মাটির আর্দ্রতা কমে গিয়ে যে খরা হয়, তা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে বেশি সম্পর্কিত। তবে যেগুলো নদী বা ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের কমে যাওয়ার কারণে ঘটে, সেগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে কম সম্পর্কিত। এ ধরনের খরার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মধ্যে পশ্চিম-উত্তর আমেরিকা, ভূমধ্যসাগরের অঞ্চল, আফ্রিকার কিছু অংশ এবং দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পূর্ব অংশ অন্তর্ভুক্ত।

লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলগুলোর ক্ষেত্রে ‘হাইড্রোক্লাইমেট উইপল্যাশ’কে প্রধান জলবায়ু কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন। অত্যন্ত আর্দ্র এবং শুষ্ক আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তনকে ‘হাইড্রোক্লাইমেট উইপল্যাশ’ বলে।

বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মের রেকর্ড গড়ল ২০২৪
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ২০২২ বা ২০২৩ সালের শীতকালে অস্বাভাবিকভাবে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছিল এবং আর্দ্র ছিল। এর ফলে ঘাস ও ঝোপ ভালোভাবে বেড়ে ওঠে।

অপরদিকে, ২০২৪ সাল বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মের রেকর্ড গড়েছে। এর ফলে সে সময় আবহাওয়া অস্বাভাবিকভাবে বেশি শুষ্ক ছিল এবং এই বছরের বৃষ্টির মৌসুমে দেরিতে শুরু হয়। এর ফলে ঘাস ও ঝোপ শুকিয়ে গিয়ে দাবানলের জ্বালানি হয়ে ওঠে, যা আগুনের দ্রুত বিস্তার ঘটাতে সাহায্য করে।

মার্কিন গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেসে ২০১২-২০২৪ এর তুলনায় ৪০ গুণ বেশি দাবানল সতর্কতা দেখানো হয়েছে।

যেসব পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে
গত বছর ইউরোপীয় পরিবেশ এজেন্সির জলবায়ু ঝুঁকি মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ জুলি বার্কম্যানস বলেন, পূর্বাভাস ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য বেশি তহবিল প্রয়োজন। যেহেতু অধিকাংশ দাবানল মানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে শুরু হয়, তাই সেই সঙ্গে বন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আরও নির্দেশনা ও জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।

ইউরোপে দাবানল আরও বাড়ছে এবং তীব্র হচ্ছে। তাই দাবানল মোকাবিলায় তাদের পদক্ষেপ বাড়াচ্ছে কর্তৃপক্ষরা। ২০২৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিভিল প্রোটেকশন মেকানিজম এবং রেসকিউ প্রোগ্রামগুলো তাদের বিমান, হেলিকপ্টার এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে। এ ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ৬০০ মিলিয়ন ইউরো (৬১৫ মিলিয়ন ডলার) বরাদ্দ করেছে।

কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, দাবানল প্রতিরোধে আরও বেশি সম্পদ বিনিয়োগ করতে হবে। এর মধ্যে বনগুলোকে আরও শক্তিশালী করা, যেমন একধরনের গাছ রোপণের পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপণ করা, গাছগুলোর মাঝে সঠিক ব্যবধান রাখা এবং কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় আগুন দিয়ে মাটির উদ্ভিদ কমানো। এ ছাড়া ভেড়া ও গরুর মতো প্রাণী চরানোও সহায়ক হতে পারে।

গত বছর ইউরোপীয় বন ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বিশেষজ্ঞ আলেক্সান্ডার হেল্ড বলেন, নাগরিকদের মধ্যে প্রতিরোধমূলক আচরণ উৎসাহিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বায়ুদূষণ বেড়েছে ঢাকায়, বিপর্যস্ত কায়রো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।

ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।

অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকার তাপমাত্রা কমবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বায়ু দূষণে তৃতীয় স্থানে ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।

শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।

আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।

ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্‌রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা আবারও ১৬ ডিগ্রির ঘরে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত