
চরম আবহাওয়ার কারণে অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগছে ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শিশু। ২০২২ সালে জলবায়ু সংকটের তীব্র প্রভাবে আগের বছরের তুলনায় ১৩৫ শতাংশ বেশি শিশু অনাহার ও অপুষ্টির শিকার হয়েছে। কপ–২৮ সম্মেলনের আগে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২০২২ সালের চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাগুলোর কারণে প্রায় ১২টি দেশের ৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে পড়ে। সেভ দ্য চিলড্রেনের বিশ্লেষণ অনুসারে, সংকটে থাকা মানুষগুলোর প্রায় অর্ধেকই শিশু। এ উপাত্ত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ক্ল্যাসিফিকেশন বা আইপিসি স্কেলের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এটি ৫৮টি দেশের জরুরি ক্ষুধা পরিস্থিতি মূল্যায়নের একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা।
আইপিসি বলছে, খাদ্য সংকটে ভোগা দেশগুলোতে চরম আবহাওয়ার কারণে গত পাঁচ বছরে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৯ লাখ, ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৭০ লাখ।
গত বছর বিশেষ করে আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের দেশগুলোতে চরম আবহাওয়া দেখা দেয়। এতে ২ কোটি ৭০ লাখ শিশু অনাহারের ঝুঁকিতে পড়ে।
আইপিসির তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে চরম আবহাওয়ার কারণে যে ১২টি দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয়, তার মধ্যে রয়েছে— ইরাক, পাকিস্তান ও সোমালিয়া।
বেশ কয়েকবারই জলবায়ু সংকটের সবচেয়ে সংকটাপন্ন ছিল সোমালিয়া। দেশটিতে পরপর পাঁচটি বর্ষা মৌসুমে কোনো বৃষ্টি হয়নি। এবারও সোমালিয়ায় ব্যাপক বন্যার মতো চরম আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকই শিশু। এতে পরিবারগুলো খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এবারের বন্যা সোমালিয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে খরার মতোই বিধ্বংসী হতে পারে এবং এর কারণে লাখ লাখ শিশু অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগতে পারে।
গত বছর পাকিস্তানেও চরম আবহাওয়া ব্যাপক প্রভাব ফেলে এবং এর জন্য অনাহার দেখা দেয়। চরম আবহাওয়ার প্রভাবে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর অর্ধেকই শিশু। এক বছর পর দেখা যাচ্ছে, বন্যা কবলিত ২০ লাখেরও বেশি শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে ৬ লাখই ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার।
সেভ দ্য চিলড্রেনের বর্ন ইনটু দ্য ক্লাইমেট ক্রাইসিস প্রতিবেদনটি অনুসারে, বৈশ্বিকভাবে প্রায় ৭৭ কোটি ৪০ লাখ শিশু বা বিশ্বের মোট শিশুর তিন ভাগের একভাগই দারিদ্র্য ও উচ্চ জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঙ্গার অ্যাশিং বলেন, ‘এমন একটি বিশ্বে যেখানে দাবানল, বন্যা, খরা এবং হারিকেন ভয়ংকর নতুন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে, শিশুরা আজ শুধু জলবায়ু জরুরি অবস্থার মুখোমুখিই হয় না, বরং ক্রমবর্ধমান বৈষম্য পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়।’
‘জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ঘটনাগুলো যত বেশি প্রকট হবে, শিশুদের জীবনে আমরা ততই এর ক্ষতিকর প্রভাব দেখতে পাব। চরম আবহাওয়ার কারণে ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় আরও ১৩৫ শতাংশ শিশু অনাহারের ঝুঁকিতে পড়েছে।’ যোগ করেন ইঙ্গার অ্যাশিং।
ইঙ্গার অ্যাশিং বলেন, ‘কপ–২৮ সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের অবশ্যই শিশুদের চাহিদা শুনতে হবে এবং তাঁদের প্রস্তাবিত সমাধানের অংশ হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা ছাড়া বৈশ্বিক অনাহারের সংকট কেবল খারাপই হবে এবং আরও লাখো মানুষ অনাহারের তালিকায় যুক্ত হবে।’

চরম আবহাওয়ার কারণে অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগছে ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শিশু। ২০২২ সালে জলবায়ু সংকটের তীব্র প্রভাবে আগের বছরের তুলনায় ১৩৫ শতাংশ বেশি শিশু অনাহার ও অপুষ্টির শিকার হয়েছে। কপ–২৮ সম্মেলনের আগে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২০২২ সালের চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাগুলোর কারণে প্রায় ১২টি দেশের ৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে পড়ে। সেভ দ্য চিলড্রেনের বিশ্লেষণ অনুসারে, সংকটে থাকা মানুষগুলোর প্রায় অর্ধেকই শিশু। এ উপাত্ত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ক্ল্যাসিফিকেশন বা আইপিসি স্কেলের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এটি ৫৮টি দেশের জরুরি ক্ষুধা পরিস্থিতি মূল্যায়নের একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা।
আইপিসি বলছে, খাদ্য সংকটে ভোগা দেশগুলোতে চরম আবহাওয়ার কারণে গত পাঁচ বছরে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৯ লাখ, ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৭০ লাখ।
গত বছর বিশেষ করে আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের দেশগুলোতে চরম আবহাওয়া দেখা দেয়। এতে ২ কোটি ৭০ লাখ শিশু অনাহারের ঝুঁকিতে পড়ে।
আইপিসির তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে চরম আবহাওয়ার কারণে যে ১২টি দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয়, তার মধ্যে রয়েছে— ইরাক, পাকিস্তান ও সোমালিয়া।
বেশ কয়েকবারই জলবায়ু সংকটের সবচেয়ে সংকটাপন্ন ছিল সোমালিয়া। দেশটিতে পরপর পাঁচটি বর্ষা মৌসুমে কোনো বৃষ্টি হয়নি। এবারও সোমালিয়ায় ব্যাপক বন্যার মতো চরম আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকই শিশু। এতে পরিবারগুলো খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এবারের বন্যা সোমালিয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে খরার মতোই বিধ্বংসী হতে পারে এবং এর কারণে লাখ লাখ শিশু অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগতে পারে।
গত বছর পাকিস্তানেও চরম আবহাওয়া ব্যাপক প্রভাব ফেলে এবং এর জন্য অনাহার দেখা দেয়। চরম আবহাওয়ার প্রভাবে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর অর্ধেকই শিশু। এক বছর পর দেখা যাচ্ছে, বন্যা কবলিত ২০ লাখেরও বেশি শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে ৬ লাখই ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার।
সেভ দ্য চিলড্রেনের বর্ন ইনটু দ্য ক্লাইমেট ক্রাইসিস প্রতিবেদনটি অনুসারে, বৈশ্বিকভাবে প্রায় ৭৭ কোটি ৪০ লাখ শিশু বা বিশ্বের মোট শিশুর তিন ভাগের একভাগই দারিদ্র্য ও উচ্চ জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঙ্গার অ্যাশিং বলেন, ‘এমন একটি বিশ্বে যেখানে দাবানল, বন্যা, খরা এবং হারিকেন ভয়ংকর নতুন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে, শিশুরা আজ শুধু জলবায়ু জরুরি অবস্থার মুখোমুখিই হয় না, বরং ক্রমবর্ধমান বৈষম্য পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়।’
‘জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ঘটনাগুলো যত বেশি প্রকট হবে, শিশুদের জীবনে আমরা ততই এর ক্ষতিকর প্রভাব দেখতে পাব। চরম আবহাওয়ার কারণে ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় আরও ১৩৫ শতাংশ শিশু অনাহারের ঝুঁকিতে পড়েছে।’ যোগ করেন ইঙ্গার অ্যাশিং।
ইঙ্গার অ্যাশিং বলেন, ‘কপ–২৮ সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের অবশ্যই শিশুদের চাহিদা শুনতে হবে এবং তাঁদের প্রস্তাবিত সমাধানের অংশ হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা ছাড়া বৈশ্বিক অনাহারের সংকট কেবল খারাপই হবে এবং আরও লাখো মানুষ অনাহারের তালিকায় যুক্ত হবে।’

চরম আবহাওয়ার কারণে অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগছে ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শিশু। ২০২২ সালে জলবায়ু সংকটের তীব্র প্রভাবে আগের বছরের তুলনায় ১৩৫ শতাংশ বেশি শিশু অনাহার ও অপুষ্টির শিকার হয়েছে। কপ–২৮ সম্মেলনের আগে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২০২২ সালের চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাগুলোর কারণে প্রায় ১২টি দেশের ৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে পড়ে। সেভ দ্য চিলড্রেনের বিশ্লেষণ অনুসারে, সংকটে থাকা মানুষগুলোর প্রায় অর্ধেকই শিশু। এ উপাত্ত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ক্ল্যাসিফিকেশন বা আইপিসি স্কেলের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এটি ৫৮টি দেশের জরুরি ক্ষুধা পরিস্থিতি মূল্যায়নের একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা।
আইপিসি বলছে, খাদ্য সংকটে ভোগা দেশগুলোতে চরম আবহাওয়ার কারণে গত পাঁচ বছরে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৯ লাখ, ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৭০ লাখ।
গত বছর বিশেষ করে আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের দেশগুলোতে চরম আবহাওয়া দেখা দেয়। এতে ২ কোটি ৭০ লাখ শিশু অনাহারের ঝুঁকিতে পড়ে।
আইপিসির তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে চরম আবহাওয়ার কারণে যে ১২টি দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয়, তার মধ্যে রয়েছে— ইরাক, পাকিস্তান ও সোমালিয়া।
বেশ কয়েকবারই জলবায়ু সংকটের সবচেয়ে সংকটাপন্ন ছিল সোমালিয়া। দেশটিতে পরপর পাঁচটি বর্ষা মৌসুমে কোনো বৃষ্টি হয়নি। এবারও সোমালিয়ায় ব্যাপক বন্যার মতো চরম আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকই শিশু। এতে পরিবারগুলো খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এবারের বন্যা সোমালিয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে খরার মতোই বিধ্বংসী হতে পারে এবং এর কারণে লাখ লাখ শিশু অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগতে পারে।
গত বছর পাকিস্তানেও চরম আবহাওয়া ব্যাপক প্রভাব ফেলে এবং এর জন্য অনাহার দেখা দেয়। চরম আবহাওয়ার প্রভাবে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর অর্ধেকই শিশু। এক বছর পর দেখা যাচ্ছে, বন্যা কবলিত ২০ লাখেরও বেশি শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে ৬ লাখই ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার।
সেভ দ্য চিলড্রেনের বর্ন ইনটু দ্য ক্লাইমেট ক্রাইসিস প্রতিবেদনটি অনুসারে, বৈশ্বিকভাবে প্রায় ৭৭ কোটি ৪০ লাখ শিশু বা বিশ্বের মোট শিশুর তিন ভাগের একভাগই দারিদ্র্য ও উচ্চ জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঙ্গার অ্যাশিং বলেন, ‘এমন একটি বিশ্বে যেখানে দাবানল, বন্যা, খরা এবং হারিকেন ভয়ংকর নতুন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে, শিশুরা আজ শুধু জলবায়ু জরুরি অবস্থার মুখোমুখিই হয় না, বরং ক্রমবর্ধমান বৈষম্য পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়।’
‘জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ঘটনাগুলো যত বেশি প্রকট হবে, শিশুদের জীবনে আমরা ততই এর ক্ষতিকর প্রভাব দেখতে পাব। চরম আবহাওয়ার কারণে ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় আরও ১৩৫ শতাংশ শিশু অনাহারের ঝুঁকিতে পড়েছে।’ যোগ করেন ইঙ্গার অ্যাশিং।
ইঙ্গার অ্যাশিং বলেন, ‘কপ–২৮ সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের অবশ্যই শিশুদের চাহিদা শুনতে হবে এবং তাঁদের প্রস্তাবিত সমাধানের অংশ হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা ছাড়া বৈশ্বিক অনাহারের সংকট কেবল খারাপই হবে এবং আরও লাখো মানুষ অনাহারের তালিকায় যুক্ত হবে।’

চরম আবহাওয়ার কারণে অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগছে ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শিশু। ২০২২ সালে জলবায়ু সংকটের তীব্র প্রভাবে আগের বছরের তুলনায় ১৩৫ শতাংশ বেশি শিশু অনাহার ও অপুষ্টির শিকার হয়েছে। কপ–২৮ সম্মেলনের আগে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২০২২ সালের চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাগুলোর কারণে প্রায় ১২টি দেশের ৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে পড়ে। সেভ দ্য চিলড্রেনের বিশ্লেষণ অনুসারে, সংকটে থাকা মানুষগুলোর প্রায় অর্ধেকই শিশু। এ উপাত্ত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ক্ল্যাসিফিকেশন বা আইপিসি স্কেলের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এটি ৫৮টি দেশের জরুরি ক্ষুধা পরিস্থিতি মূল্যায়নের একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা।
আইপিসি বলছে, খাদ্য সংকটে ভোগা দেশগুলোতে চরম আবহাওয়ার কারণে গত পাঁচ বছরে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৯ লাখ, ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৭০ লাখ।
গত বছর বিশেষ করে আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের দেশগুলোতে চরম আবহাওয়া দেখা দেয়। এতে ২ কোটি ৭০ লাখ শিশু অনাহারের ঝুঁকিতে পড়ে।
আইপিসির তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে চরম আবহাওয়ার কারণে যে ১২টি দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয়, তার মধ্যে রয়েছে— ইরাক, পাকিস্তান ও সোমালিয়া।
বেশ কয়েকবারই জলবায়ু সংকটের সবচেয়ে সংকটাপন্ন ছিল সোমালিয়া। দেশটিতে পরপর পাঁচটি বর্ষা মৌসুমে কোনো বৃষ্টি হয়নি। এবারও সোমালিয়ায় ব্যাপক বন্যার মতো চরম আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকই শিশু। এতে পরিবারগুলো খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এবারের বন্যা সোমালিয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে খরার মতোই বিধ্বংসী হতে পারে এবং এর কারণে লাখ লাখ শিশু অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগতে পারে।
গত বছর পাকিস্তানেও চরম আবহাওয়া ব্যাপক প্রভাব ফেলে এবং এর জন্য অনাহার দেখা দেয়। চরম আবহাওয়ার প্রভাবে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর অর্ধেকই শিশু। এক বছর পর দেখা যাচ্ছে, বন্যা কবলিত ২০ লাখেরও বেশি শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে ৬ লাখই ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার।
সেভ দ্য চিলড্রেনের বর্ন ইনটু দ্য ক্লাইমেট ক্রাইসিস প্রতিবেদনটি অনুসারে, বৈশ্বিকভাবে প্রায় ৭৭ কোটি ৪০ লাখ শিশু বা বিশ্বের মোট শিশুর তিন ভাগের একভাগই দারিদ্র্য ও উচ্চ জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঙ্গার অ্যাশিং বলেন, ‘এমন একটি বিশ্বে যেখানে দাবানল, বন্যা, খরা এবং হারিকেন ভয়ংকর নতুন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে, শিশুরা আজ শুধু জলবায়ু জরুরি অবস্থার মুখোমুখিই হয় না, বরং ক্রমবর্ধমান বৈষম্য পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়।’
‘জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ঘটনাগুলো যত বেশি প্রকট হবে, শিশুদের জীবনে আমরা ততই এর ক্ষতিকর প্রভাব দেখতে পাব। চরম আবহাওয়ার কারণে ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় আরও ১৩৫ শতাংশ শিশু অনাহারের ঝুঁকিতে পড়েছে।’ যোগ করেন ইঙ্গার অ্যাশিং।
ইঙ্গার অ্যাশিং বলেন, ‘কপ–২৮ সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের অবশ্যই শিশুদের চাহিদা শুনতে হবে এবং তাঁদের প্রস্তাবিত সমাধানের অংশ হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা ছাড়া বৈশ্বিক অনাহারের সংকট কেবল খারাপই হবে এবং আরও লাখো মানুষ অনাহারের তালিকায় যুক্ত হবে।’

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বাড়ছে শীতজনিত রোগও। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
পঞ্চগড়ে টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, শীত পড়ার শুরু থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
এদিকে নীলফামারীতে গতকাল সারা দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ভিড় বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ঢাকা-সৈয়দপুর রুটের ফ্লাইটের সূচি পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারের কম ছিল। তিনি আরও জানান, ফ্লাইট ওঠানামা করার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন। এ কারণে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে নতুন সূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। যা আগে সকাল ৮টায় দিনের প্রথম ফ্লাইট অবতরণ করত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে।
জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে ৭৫০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া আছে। এটি শীতার্তদের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীল রতন দেব বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাইবান্ধায় পৌষের শুরুতে হিমেল বাতাসের দাপটে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সকাল হলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। এর সঙ্গে বইছে মৃদু কিন্তু তীব্র শীতল বাতাস, যা মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে সকালের দিকে বাইরে বের হতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সকালে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের এই প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকেই কাজে বের হতে হয় দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ঠিক সেই সময়েই হিমেল বাতাসের তীব্রতায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। অনেকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা করছে। গতকাল গাইবান্ধায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কম্বল ক্রয়ের জন্য জেলার প্রত্যেক ইউএনওদের ৬ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কম্বল কিনে বিতরণ করছেন। এ ছাড়া মজুত কিছু কম্বলসহ গতকাল পর্যন্ত জেলায় ২২ হাজার ৬০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুরে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৬ শতাংশ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো প্রকৃতি। ফলে পৌরশহরে লোকসমাগম ছিল তুলনামূলক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ অনুভূত হচ্ছে না। বিকেল থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে বেশি। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা কম থাকছে।
জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, শীতার্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ৯৫০টি কম্বল কিনে দুস্থ শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন থেকে আরও ৩৪০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলোও বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই টাকাসহ প্রথম পর্যায়ের অবশিষ্ট ৩ লাখ মোট ৬ লাখ টাকার কম্বল কিনে সেগুলো দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান অংশে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশায় সামনে দেখতে না পারার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানগুলো পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
চুয়াডাঙ্গায় ফের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় ফের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে সোমবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৬ এবং ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং মাসের শেষের দিকে বা
নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বাড়ছে শীতজনিত রোগও। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
পঞ্চগড়ে টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, শীত পড়ার শুরু থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
এদিকে নীলফামারীতে গতকাল সারা দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ভিড় বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ঢাকা-সৈয়দপুর রুটের ফ্লাইটের সূচি পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারের কম ছিল। তিনি আরও জানান, ফ্লাইট ওঠানামা করার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন। এ কারণে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে নতুন সূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। যা আগে সকাল ৮টায় দিনের প্রথম ফ্লাইট অবতরণ করত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে।
জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে ৭৫০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া আছে। এটি শীতার্তদের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীল রতন দেব বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাইবান্ধায় পৌষের শুরুতে হিমেল বাতাসের দাপটে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সকাল হলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। এর সঙ্গে বইছে মৃদু কিন্তু তীব্র শীতল বাতাস, যা মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে সকালের দিকে বাইরে বের হতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সকালে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের এই প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকেই কাজে বের হতে হয় দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ঠিক সেই সময়েই হিমেল বাতাসের তীব্রতায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। অনেকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা করছে। গতকাল গাইবান্ধায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কম্বল ক্রয়ের জন্য জেলার প্রত্যেক ইউএনওদের ৬ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কম্বল কিনে বিতরণ করছেন। এ ছাড়া মজুত কিছু কম্বলসহ গতকাল পর্যন্ত জেলায় ২২ হাজার ৬০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুরে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৬ শতাংশ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো প্রকৃতি। ফলে পৌরশহরে লোকসমাগম ছিল তুলনামূলক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ অনুভূত হচ্ছে না। বিকেল থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে বেশি। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা কম থাকছে।
জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, শীতার্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ৯৫০টি কম্বল কিনে দুস্থ শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন থেকে আরও ৩৪০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলোও বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই টাকাসহ প্রথম পর্যায়ের অবশিষ্ট ৩ লাখ মোট ৬ লাখ টাকার কম্বল কিনে সেগুলো দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান অংশে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশায় সামনে দেখতে না পারার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানগুলো পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
চুয়াডাঙ্গায় ফের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় ফের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে সোমবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৬ এবং ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং মাসের শেষের দিকে বা
নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

চরম আবহাওয়ার কারণে অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগছে ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শিশু। ২০২২ সালে জলবায়ু সংকটের তীব্র প্রভাবে আগের বছরের তুলনায় ১৩৫ শতাংশ বেশি শিশু অনাহার ও অপুষ্টির শিকার হয়েছে। কপ–২৮ সম্মেলনের আগে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২৮ নভেম্বর ২০২৩
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

চরম আবহাওয়ার কারণে অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগছে ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শিশু। ২০২২ সালে জলবায়ু সংকটের তীব্র প্রভাবে আগের বছরের তুলনায় ১৩৫ শতাংশ বেশি শিশু অনাহার ও অপুষ্টির শিকার হয়েছে। কপ–২৮ সম্মেলনের আগে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২৮ নভেম্বর ২০২৩
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

চরম আবহাওয়ার কারণে অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগছে ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শিশু। ২০২২ সালে জলবায়ু সংকটের তীব্র প্রভাবে আগের বছরের তুলনায় ১৩৫ শতাংশ বেশি শিশু অনাহার ও অপুষ্টির শিকার হয়েছে। কপ–২৮ সম্মেলনের আগে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২৮ নভেম্বর ২০২৩
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

চরম আবহাওয়ার কারণে অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগছে ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শিশু। ২০২২ সালে জলবায়ু সংকটের তীব্র প্রভাবে আগের বছরের তুলনায় ১৩৫ শতাংশ বেশি শিশু অনাহার ও অপুষ্টির শিকার হয়েছে। কপ–২৮ সম্মেলনের আগে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২৮ নভেম্বর ২০২৩
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগে