Ajker Patrika

রেকর্ড দ্রুততায় শুকাচ্ছে গঙ্গা, গুরুতর হুমকির মুখে ভারত–বাংলাদেশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৮
দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে গঙ্গা/পদ্মা। ছবি: এএফপি
দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে গঙ্গা/পদ্মা। ছবি: এএফপি

গঙ্গা (যা বাংলাদেশে পদ্মা নামেও পরিচিত) দক্ষিণ এশিয়ার কোটি মানুষের জীবনের অবলম্বন। কিন্তু এই অবলম্বনই ব্যাপকভাবে দ্রুত শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইতিহাসে এত দ্রুত কখনোই গঙ্গাকে শুকিয়ে যেতে দেখা যায়নি। তাঁরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বদলে যাওয়া মৌসুমি বৃষ্টি, লাগাতার পানি উত্তোলন ও বাঁধ নির্মাণ—সব মিলিয়ে মহাশক্তিশালী এই নদী ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এর প্রভাব পড়ছে খাদ্য, পানির জোগান আর কোটি মানুষের জীবিকার ওপর।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টারের এক গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেই। এর শিরোনাম ‘The Ganges River is drying faster than ever–here’s what it means for the region and the world. ’ অর্থাৎ, ‘অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় দ্রুত শুকাচ্ছে গঙ্গা, এর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব কী।’

শতাব্দীর পর শতাব্দী গঙ্গা ও এর উপনদীগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলের জীবনধারণের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত এই নদী অববাহিকা সাড়ে ৬০০ কোটি মানুষের জীবনের ভরসা। এই নদী ভারতের এক-চতুর্থাংশ মিঠা পানি এবং দেশটির বিশাল খাদ্য ও অর্থনীতির লাইফ লাইন। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, নদীটির অবক্ষয় এখন রেকর্ডকৃত ইতিহাসের যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে।

সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বিশ্বের বড় বড় অনেক নদীর রূপান্তর নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য নথিবদ্ধ করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু গঙ্গার ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনের গতি ও ব্যাপকতা আলাদা মাত্রা নিয়েছে। এক নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ১ হাজার ৩০০ বছরের প্রবাহের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক কয়েক দশকেই অববাহিকাটি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখোমুখি হয়েছে। আর এই খরাগুলো প্রাকৃতিক জলবায়ু পরিবর্তনের সীমার বাইরে।

যে নদীপথে একসময় সারা বছর নৌযান চলাচল হতো, তা এখন গ্রীষ্মে অচল হয়ে পড়ছে। বড় নৌকা যেগুলো আগে বাংলার নদী থেকে বিহার হয়ে বারাণসী ও এলাহাবাদ পর্যন্ত গঙ্গায় চলত, সেগুলো এখন বালুচরে আটকে যাচ্ছে। যেসব খাল আগে সপ্তাহের পর সপ্তাহ জমিতে পানি বয়ে নিয়ে যেত গঙ্গা থেকে, সেগুলো এখন আগেভাগেই শুকিয়ে যাচ্ছে। এমনকি যেসব কূপ একেক পরিবারকে কয়েক দশক ধরে বাঁচিয়ে রেখেছিল, সেগুলো এখন কেবল ফোঁটা ফোঁটা পানি দিচ্ছে।

বৈশ্বিক জলবায়ু মডেলও গঙ্গার শুকিয়ে যাওয়ার ভয়াবহতা অনুমানে ব্যর্থ হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর মানে মানবিক ও পরিবেশগত চাপ এমনভাবে একে অপরের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে, যা আমরা এখনো পুরোপুরি বুঝতে পারিনি। সেচখালগুলোতে অতিরিক্ত পানি সরানো হচ্ছে, কৃষির জন্য ভূগর্ভস্থ পানি পাম্প করা হচ্ছে, নদীর তীরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য শিল্পকারখানা। এক হাজারের বেশি বাঁধ ও ব্যারাজ নদীর স্বাভাবিক গতিপথই পাল্টে দিয়েছে। এর সঙ্গে বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে মৌসুমি বৃষ্টিও ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। ফলাফল হচ্ছে—একটি নদীব্যবস্থা যা নিজেকে আর টিকিয়ে রাখতে পারছে না।

হিমালয়ের উচ্চভূমিতে নদীর উৎস গঙ্গোত্রী হিমবাহ মাত্র দুই দশকে হ্রাস পেয়ে আগের তুলনায় প্রায় এক কিলোমিটার পিছিয়ে গেছে। পুরো হিমালয়ে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে—উষ্ণায়নে দ্রুত হিমবাহ গলে যাচ্ছে। প্রথম দিকে এতে হিমবাহ হ্রদ থেকে হঠাৎ বন্যা নামত। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এর মানে হচ্ছে শুষ্ক মৌসুমে নদীতে অনেক কম পানি প্রবাহিত হবে।

এসব হিমবাহকে বলা হয় ‘এশিয়ার পানির টাওয়ার’। কিন্তু সেই টাওয়ারগুলো ছোট হয়ে আসায় গ্রীষ্মকালে গঙ্গা ও এর উপনদীগুলোর পানির প্রবাহও ভয়াবহভাবে কমে যাচ্ছে।

ভূগর্ভস্থ পানির লাগামহীন উত্তোলন পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করছে। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা এখন বিশ্বের দ্রুততম হারে নিঃশেষ হতে থাকা ভূগর্ভস্থ জলাধারগুলোর একটি। প্রতিবছর পানির স্তর ১৫ থেকে ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত নেমে যাচ্ছে। এর মধ্যে অনেক ভূগর্ভস্থ পানিই আবার আর্সেনিক ও ফ্লোরাইডে দূষিত। এতে মানবস্বাস্থ্য ও কৃষি উভয়ই হুমকির মুখে।

মানুষের প্রকৌশলগত হস্তক্ষেপও বড় ভূমিকা রাখছে। ভারতের ফারাক্কা ব্যারাজের মতো প্রকল্পগুলো শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে পানির প্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে। এতে মাটি আরও লবণাক্ত হচ্ছে আর হুমকির মুখে পড়ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। স্বল্পমেয়াদি অর্থনৈতিক লাভকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্তগুলো নদীর পরিবেশগত ভারসাম্য ভেঙে দিয়েছে।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল আর পশ্চিমবঙ্গে অনেক ছোট নদী গ্রীষ্মেই শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে গ্রামাঞ্চলে মানুষ ফসল ও গবাদিপশুর জন্য পানি পাচ্ছে না। এই উপনদীগুলোর অদৃশ্য হয়ে যাওয়া বড় সতর্কবার্তা, যা জানিয়ে দিচ্ছে গঙ্গার ক্ষেত্রেও একই পরিণতি ঘটতে পারে। বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা, এখনই কিছু না বদলালে কয়েক দশকের মধ্যে অববাহিকার কোটি মানুষ ভয়াবহ খাদ্য সংকটের মুখে পড়বে।

এখন আর টুকরো টুকরো সমাধানে কাজ হবে না। জরুরি ভিত্তিতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া ছাড়া গঙ্গাকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। এর মানে হচ্ছে, ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার কমানো, যাতে স্বাভাবিকভাবে পুনরায় মজুত হতে পারে। এর মানে নদীতে পর্যাপ্ত প্রবাহ বজায় রাখা, যাতে মানুষ ও পরিবেশ দুটিই টিকে থাকে। এর মানে উন্নত জলবায়ু মডেল তৈরি করা, যেখানে সেচ, বাঁধ ও মৌসুমি বৃষ্টির অনিশ্চয়তা একসঙ্গে বিবেচনায় রাখা হবে।

একই সঙ্গে সীমান্তপারের সহযোগিতা অপরিহার্য। ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালকে আরও বেশি করে তথ্য ভাগাভাগি করতে হবে, বাঁধ পরিচালনায় সমন্বয় করতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় যৌথ পরিকল্পনা নিতে হবে। আন্তর্জাতিক তহবিল আর রাজনৈতিক অঙ্গীকারেও গঙ্গার মতো নদীগুলোকে বৈশ্বিক অগ্রাধিকার হিসেবে নিতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শাসনব্যবস্থা যেন অংশগ্রহণমূলক হয়—স্থানীয় মানুষের কণ্ঠস্বর, বিজ্ঞানী আর নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি নদী পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় সমানভাবে গুরুত্ব পায়।

গঙ্গা শুধু একটি নদী নয়। এটি জীবনরেখা, এটি পবিত্র প্রতীক, এটি দক্ষিণ এশীয় সভ্যতার ভিত্তি। কিন্তু এই নদী এখন ইতিহাসে যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। নিষ্ক্রিয়তার পরিণতি অকল্পনীয়। সতর্কবার্তার সময় শেষ হয়ে গেছে। এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে গঙ্গা বয়ে চলে—শুধু আমাদের জন্য নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বায়ুদূষণ বেড়েছে ঢাকায়, বিপর্যস্ত কায়রো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।

ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।

অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকার তাপমাত্রা কমবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বায়ু দূষণে তৃতীয় স্থানে ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।

শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।

আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।

ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্‌রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা আবারও ১৬ ডিগ্রির ঘরে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত