খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

সজল তখন লঞ্চে। ঢাকায় ফিরছিলেন। বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদাবাড়ি পটুয়াখালী। সন্ধ্যা তখন। বাবার সঙ্গে লঞ্চ ভ্রমণে মনটাও ভীষণ ভালো ছিল সজলের। রিং বাজতেই ফোন তুললেন। কথা বললেন মন খুলে। নতুন সিনেমায় অভিনয় করছেন আবদুন নূর সজল। নাম ‘সংযোগ’। আবু সাইয়ীদ বানাচ্ছেন। সিনেমাটি নিয়েই শুরু হলো আলাপ।
‘সংযোগ’ সিনেমায় আপনার সংযোগ কীভাবে হলো?
নির্মাতা আবু সাইয়ীদ ভাইয়ের সঙ্গে বেশ আগে থেকেই ‘সংযোগ’ সিনেমাটি নিয়ে কথা হচ্ছিল। বছর দশেক আগে তাঁর একটি ফিকশনে কাজ করেছিলাম। আমার করা যত ভালো ফিকশন আছে, তার মধ্যে ওই ফিকশন একটা। ১০ বছর আগেই যে কনটেন্টটি করেছিলাম, সেটি এখনো আধুনিক। সাইয়ীদ ভাইয়ের গল্প বলা, ডিরেকশন—সব সময়ই আমার খুব পছন্দের। তাঁর ‘সংযোগ’ সিনেমায় অভিনয়ের অফার পাওয়ার পর আমি শুধু গল্পটা শুনতে চেয়েছিলাম। গল্প আর চরিত্রটি শুনলাম। ভালো লাগল। এভাবেই কাজ শুরু।
কী ধরনের গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘সংযোগ’। কিছুটা ধারণা দেওয়া যায়?
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির পাশাপাশি এই সময়ের সমাজ বাস্তবতা নিয়ে এই সিনেমার গল্প। আমি অভিনয় করছি একজন উদ্ভাবকের চরিত্রে। আমি আসলে লাকি যে এ রকম একটি গল্প, চরিত্র আমার কাছে এসেছে।
‘সংযোগ’ সিনেমাটি তৈরি হচ্ছে গণ-অর্থায়নে। বাংলাদেশে এ ধারণা অনেকটাই নতুন। স্বাধীন সিনেমার ক্ষেত্রে এদেশে গণ-অর্থায়নকে কতটা সম্ভাবনাময় মনে করেন?
হয়তো এ কনসেপ্টটা আমাদের জন্য নতুন। তবে গণ-অর্থায়ন বা ক্রাউন্ড ফান্ডিংয়ের সিনেমা কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সারাবিশ্বে তৃণমূল পর্যায় থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সিনেমা তৈরি হচ্ছে। সেগুলো বিশ্বজুড়ে প্রশংসাও পাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশিরাও পিছিয়ে থাকব কেন! গণ-অর্থায়নে ‘সংযোগ’-এর মতো একটা সিনেমার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যে সিনেমাটি সামাজিকবার্তা বহন করছে, এটা তো নিশ্চয়ই সম্ভাবনার। আর আমি বরাবরই নতুন যেকোনো কিছুর সঙ্গে থাকি।
পরের প্রশ্নটা এ প্রসঙ্গেই। একসময় আপনি মূলত ‘রোমান্টিক হিরো’ ছিলেন। গত কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের চরিত্রে নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করছেন। এটি অভিনেতা হিসেবে আপনাকে কতখানি সমৃদ্ধ করছে?
আমার কাছে বরাবরই একটা জিনিস মনে হয়, যাঁরা অভিনয় ভালোবাসেন, এ শিল্পটাকে ভালোবাসেন, তাঁরা সবাই চান ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে কাজ করতে। আমার শুরু থেকে আগ্রহ ছিল ভিন্ন চরিত্রে কাজ করার। কিন্তু একটা সময় পর্যন্ত আমার কাছে অত বৈচিত্রময় চরিত্র আসত না। একইরকম চরিত্র পেতাম। যে কারণে মাঝে এক-দেড় বছর কোনো কাজ করিনি। তখন চাওয়া এটাই ছিল, যেন ভিন্ন চরিত্রে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়। ভালো কনটেন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ততা তৈরি হয়।
এখন সময়টাও ভালো। অনেক এক্সপেরিমেন্টাল কাজ হচ্ছে। মানুষের পছন্দের জায়গাও বদলেছে। অনেক রকমের প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। নতুন পুরোনো সবাই বিভিন্ন রকমের এক্সপেরিমেন্ট করছেন। তো সেই জায়গা থেকে আমি বলব আমরা যাঁরা অভিনেতা, তাঁদের জন্য এটা সুসংবাদই বটে।
সবচেয়ে ভালো বিষয়, একটা সময় যে নির্মাতারা খুব ভালো কাজ করতেন, তাঁরা আবারও কাজ শুরু করেছেন। এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক বড় সুসংবাদ। কারণ যত যা-ই বলি না কেন, আমরা যাঁরা অভিনয় করি, তাঁরা কিন্তু যে কোনো প্রজেক্টে একটা উপকরণের মতো। প্রজেক্টটা অবশ্যই একজন ডিরেক্টরের। ডিরেক্টর যখন কাজটি সুন্দর করে করেন, তখন আমাদের অভিনয় প্রশংসিত হয়।
গল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো আপনি সবার আগে গুরুত্ব দেন? গল্প, চরিত্র, সহ-অভিনেতা নাকি পরিচালক?
আমার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি পায় সামাজিকবার্তা। সেটার জন্য যে অনেক বড় পরিসরে কাজ করতে হবে, সেটাও আমি বলি না। একটা পরিবারে কিন্তু অনেক রকমের সমস্যা থাকে, একটা সম্পর্কেও সমস্যা থাকে। নাটক বা সিনেমায় সেই সমস্যাগুলোর যদি সমাধানের পথ দেখানো যায়। কিংবা যে দৃষ্টিভঙ্গির ভেতর দিয়ে আমরা এসেছি, সেখান থেকেও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের কোনো জায়গা যদি একটা ফিকশন বা একটা সিনেমার মধ্য দিয়েও বলা যায়; সেটা আমার কাছে মনে হয় অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। সেই সাথে যে গল্পে মাটির গন্ধ আছে, আমাদের নিজস্ব কালচারের প্রেজেন্টেশনস আছে, শ্রমজীবী মানুষের গল্প—এসব কাজ আমাকে টানে। আমাদের তো কৃষিপ্রধান দেশ। খেটে খাওয়া, শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যাই এখানে বেশি। একজন রিকশাচালক থেকে শুরু করে একজন কৃষক, মুদি দোকানদার, মুচি, ফ্যাক্টরি শ্রমিক থেকে শুরু করে যাঁরা আছেন, এ রকম অনেক পেশা আছে। আমি পাঁচটা-সাতটা বললাম। তো এই মানুষগুলোর যে গল্প, তাঁদের যে ক্রাইসিস, সেই ক্রাইসিসের উত্তরণের যে পথ, এসব যে চিত্রনাট্যে পাই, সেগুলোতে কাজ করতে সব সময়ই ভালো লাগে।
প্রায় দুই যুগের অভিনয় ক্যারিয়ার আপনার। সিনেমার সংখ্যা এত কম কেন?
সিনেমার ক্ষেত্রে আমার যে গল্পগুলো ভালো লাগছে, আমি কিন্তু সেটাতেই সম্পৃক্ত হচ্ছি। আমার কোনো তাড়া নেই। এ বছর এটা করতে হবে, পরের বছর এটা করতে হবে— নট লাইক দ্যাট। আমি কিন্তু ওয়েট করতেই থাকি একটা ভালো কাজের জন্য। চরিত্রের ক্ষেত্রেও যেমন, নেগেটিভ চরিত্রেও আমি পিছপা হই না। সামনে হয়তো আমার একটা সিনেমাও আসবে নেগেটিভ চরিত্রের। একজন অভিনেতা হিসেবে চরিত্রের মতো হয়ে উঠতে পারাটাই আমার কাজ।
নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করলে কি ‘হিরো ইমেজ’ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না?
সব চরিত্র কি পজিটিভ হয়? আমাদের মানুষদের মধ্যে কি সবাই পজিটিভ? যাঁর মধ্যে ভালোর পরিমাণ বেশি, মন্দের পরিমাণ কম, তাঁকে আমরা ভালো বলি। যাঁর মধ্যে মন্দের পরিমাণ বেশি, ভালোর পরিমাণ কম, তাঁকে আমরা মন্দ বলি। কিন্তু একজন মন্দ মানুষের ভেতরেও যে ভালো গুণ থাকে না, তা কিন্তু নয়। পরিমাণটা হয়তো কম-বেশি থাকে। তো এই ধরনের চরিত্র কেন করব না? কারণ এটা তো খুব সহজ-স্বাভাবিক চরিত্র, যেগুলো আশপাশেই দেখা যায়।
ইন্ডাস্ট্রিতে আপনি সবার পছন্দের লোক। সবার সঙ্গেই আপনার ভালো সম্পর্ক। আপনাকে নিয়ে কোনো বিতর্ক-বিবাদ নেই। রহস্যটা বলবেন?
আমি এ ইন্ডাস্ট্রিতে ২০-২২ বছর কাজ করে ফেলেছি। এত বছর যে কাজ করতে পেরেছি, এটার কারণ— সবার সহযোগিতা। আমি অনেক মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ, সৃষ্টিকর্তা তো আছেনই, আমার পরিবার তো আছেই, তাছাড়াও ডিরেক্টর, প্রডাকশন বয়, মেকআপ আর্টিস্ট, ডিওপি, লাইটম্যান, সাংবাদিক— সবাই আমাকে এত সাপোর্ট করেন, আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। তা নাহলে আমি যে পরিমাণ আলাভোলা, এতদিন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারতাম না।
এটা সবাই বলেন, আপনার সঙ্গে কাজ করে আরাম পাওয়া যায়। আপনি কোনো পেইন দেন না, কোনো ট্যানট্রাম নেই। আপনি সেটে থাকলে রিলাক্সে থাকেন সবাই। এ বিষয়টি কি আপনি মেইনটেইন করেন?
দায়বদ্ধতা আসলে। একজন যদি তাঁর কাজের জন্য আমাকে সিলেক্ট করেন, তিনি তার বিনিময়ে আমাকে পারিশ্রমিক দিচ্ছেন, সেই জায়গা থেকে তো আসলে সৎ থেকে আমার কাজটা করা উচিত। এই সৎ কীভাবে হবে? আমি আমার কাজটিতে যতটুকু পারি মনোযোগি থাকব। যতটুকু পারি কো-অপারেটিভ থাকব। এটাই তো স্বাভাবিক। আমি কিন্তু আলাদা করে কিছু করি না।
মানে আলাদা করে কোনো মেইনটেইনের গল্প নেই। আপনার স্বভাবটাই এমন…
হ্যাঁ, সেটাই তো হওয়া উচিত।
আপনার বাসায় দেখেছি, বইয়ের ভালো কালেকশন আছে। ছোটখাটো লাইব্রেরি বলা যায়। এক সাক্ষাৎকারেও পড়েছি, বই পড়তে ভালোবাসতেন আপনি। এমনও হয়েছে, নীলক্ষেতে বইয়ের দোকানে দাঁড়িয়েই অনেক বই শেষ করেছেন…
ছোটবেলা থেকেই আমার বই পড়ার অভ্যাস ছিল। সেটার কারণ ছিলেন একজন মামা, যিনি আমাকে ছোটবেলা থেকে পড়াতেন। নামটাও বলি—উনার নাম হচ্ছে ফিরোজ। দুটো জিনিসের প্র্যাকটিস উনি ছোটবেলা থেকেই করে দিয়েছিলেন। তারমধ্যে একটা— বই পড়ার অভ্যাস। পড়া শুরু হয়েছিল কমিকস দিয়ে। পরীক্ষায় রেজাল্ট ভালো হলে কমিকস পাব, এ রকম একটা বিষয় ছিল।
কিন্তু আসলে ক-টা বই-ই বা পাব! যখন বইয়ের দোকানে নিয়ে যেত, পুরো বছরের খাতা-বই একসঙ্গে কেনার জন্য, তখন হয়তো এক ঘণ্টা সময় পাওয়া যাবে, এই এক-দেড় ঘণ্টার মধ্যে যত পারি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে ফেলব। আর যেগুলো পড়া সম্ভব হচ্ছে না, সেগুলো কিনে নেব। এ-ই ছিল টার্গেট। তো ওখান থেকেই আসলে পড়ার অভ্যাস।
শুরুর দিকে পড়তাম রাকিব হাসান, সেবা প্রকাশনী। তারপর আনোয়ার হোসেন। সবচেয়ে বেশি বইয়ের পোকা আমি হইছিলাম হুমায়ূন আহমেদের কারণে। আমার কাছে মোটামুটি ভালো একটা হুমায়ূন আহমেদ সমগ্র আছে। তারপর জাফর ইকবাল, শীর্ষেন্দু, সমরেশ— সবার বই-ই পড়া হইছে।
ফিরোজ মামার কথা বলছিলেন। উনি দুটি জিনিসের অভ্যাস করে দিয়েছিলেন। একটা বই পড়া। আরেকটা কী?
আরেকটা বিষয় ছিল, পরীক্ষায় রেজাল্ট ভালো হলে ওই যে মামার কথা বললাম, ফিরোজ মামা, উনি থিয়েটারের শো দেখাতে নিয়ে যেতেন। আমার এখনও মনে আছে, ‘দেওয়ান গাজীর কিস্সা’ নামে একটা নাটক ছিল নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের। এই নাটকটা আমি ছোটবেলায় ২২ বার দেখছি। আমি কিন্তু একই চরিত্র অনেককে করতে দেখেছি। মাখন চরিত্রে হায়াত কাকুকেও (আবুল হায়াত) দেখেছি, যুবরাজ ভাইকেও (খালেদ খান) দেখেছি করতে। লাইলি চরিত্র, এটাতে আমি নিমা আপাকে (নিমা রহমান) দেখেছি, সারা আন্টিকে (সারা যাকের) দেখেছি, বিপাশা আপাকেও (বিপাশা হায়াত) করতে দেখেছি। তখন বিষয়টা ছিল, রেজাল্টটা ভালো করতে হবে, কারণ ‘দেওয়ান গাজীর কিস্সা’ দেখতে হবে। এই নাটকটি এত ভালো লাগত যে, ওই সময় যতগুলো মঞ্চের নাটক হতো, সেই ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, ‘কঞ্জুস’, ‘যৈবতী কন্যার মন’—মোটামুটি সব দেখছি।
এই যে বই পড়া কিংবা মঞ্চে নাটক দেখা—এগুলো অভিনয়ে কতটা হেল্প করেছে আপনাকে?
এটা আসলে ওইভাবে ডিফাইন করতে পারব না, বই পড়া কিংবা নাটক দেখা—এসবের কারণেই আমি অভিনয়ে এসেছি কিনা! বা ভালো অভিনয় করতে এগুলো কতটা কাজে লেগেছে, লেগেছে নিশ্চয়ই, কিন্তু কতটা সাহায্য করেছে এভাবে ডিফাইন করা কঠিন। যেসব ডিরেক্টরদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁরা প্রত্যেকে আমাকে শিখাইছেন। বিশেষভাবে আমি তিনজনের নাম মেনশন করতে চাই—আফজাল হোসেন, হুমায়ূন ফরীদি, আরেকজন হচ্ছেন আমাদের সেলিম আল দীন স্যার।
আমার মনে আছে, প্রথম যে সিরিয়ালটি করেছিলাম, তার নাম ‘হীরাফুল’। ওটা ছিল আফজাল হোসেনের ডিরেকশন, আর সেলিম আল দীন স্যারের লেখা। এমনিতে খুব কঠিন একটা লেখা আর খুব কঠিন একটা ডিরেকশনের মধ্যে কাজ করতে যাচ্ছি, তখন অ্যাকটিংয়ের তেমন কিছু বুঝিও না। আমার পেছনে আফজাল আঙ্কেল ভীষণ এফোর্ট দিতেন। নাটকটি যখন অনএয়ারে এল, আমাকে একদিন সেলিম আল দীন স্যার ফোন করেছিলেন। তিনি যদিও আমাদের ক্যাম্পাসেরই, কিন্তু আমার কাছে ফোনটা এসেছিল মাত্রার (আফজাল হোসেনের প্রতিষ্ঠান, মাত্রা) অফিস থেকে। মাত্রার অফিস থেকে ইউজুয়ালি আফজাল আঙ্কেলই ফোন করেন। আমি ভেবেছিলাম, তিনিই ফোন করেছেন। তাঁর সঙ্গে আমি এর আগে বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। আমি একটু দুষ্টুও ছিলাম, আফজাল আঙ্কেলকে জ্বালাইতাম ভীষণ। ফোন করে যখন বলছিলেন, হীরাফুল দেখলাম। ভালো করেছো। তুমি না তুই বলেছেন, মনে নেই। আমি বলছিলাম, আপনি যেমনটা বলছেন, তেমনভাবেই তো করছি। এখানে আমার তেমন কৃতিত্ব নেই। তখন তিনি বললেন, ‘আদনান চরিত্রটাকে আমি যেভাবে দেখতে চেয়েছিলাম, সেভাবেই পেয়েছি। বরং একটু বেটার পেয়েছি।’ এটা শুনে আমি কিছুক্ষণ কনফিউজড। প্রশ্ন করলেন, ‘আচ্ছা সজল তুমি কি আমাকে চিনতে পেরেছ?’ আমি আমতা আমতা করে বললাম, ‘আফজাল আঙ্কেল’। তখন বললেন, ‘না, আমি সেলিম আল দীন বলছি।’ এটা শোনার পর আমি যেখানে ছিলাম, সেখানে সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে গেছি। উনি তো আমার ক্যাম্পাসের টিচার। উনি এবার কথাগুলো আবার বললেন। সাহস দিলেন, ‘এর পরের লটে যখন স্ক্রিপ্টটা আসবে, যদি কোনোকিছু বুঝতে না পারো, বা কোনো হেল্প লাগে, তুমি আমার কাছে এসো, আমি তোমাকে বুঝিয়ে দেব।’
এটা তো আপনার জন্য বড় প্রাপ্তি তখন…
শুধু তা-ই নয়, ঠিক এই সময়ে এসে অভিনয়ের প্রতি আমার আগ্রহের জায়গা তৈরি হয়। এর আগে কিন্তু অভিনয় নিয়ে আমার তেমন কোনো প্ল্যান ছিল না। আমি যে এখানে কাজ করব রেগুলার, তেমনও বিষয় ছিল না। তখন আমি জাহাঙ্গীরনগরে পড়তাম, একটা ছোট জবও করতাম। আফজাল আঙ্কেল উনার বাসায় নিয়ে পর্যন্ত আমাকে ডায়লগ স্ক্যান করা শিখাইছেন। সংলাপে কোন জায়গায় গ্যাপ দিতে হবে, পজ দিতে হবে—এগুলো সব উনার শেখানো।
হুমায়ূন ফরীদির সঙ্গে অভিজ্ঞতা কেমন?
ফরিদী আঙ্কেলের সাথে সিন করতে গেলাম, সেটা আরেক অভিজ্ঞতা। এমনও হয়েছে ডায়লগের একটা জায়গায় লেখা আছে, উনি বলে দিলেন, একটা কাজ কর, তুই এখানে একটা গ্যাপ দে। গ্যাপ দিয়ে এরপর এই সংলাপটা বল। বললাম। দীপংকর দীপনের শুট। উনি কাট করলেন। তারপর বললেন, এভাবে না। একটা টেক গেল। সেকেন্ড টেক। উনি কিন্তু ওই দৃশ্যে নিজেও অ্যাকটিং করতেছেন। উনি বললেন, এভাবে না করে এখানে একটা ‘হু’ অ্যাড কর। বললাম। বলার পরে উনি আবার কাট করলেন। তিনবারের পর উনি আবার বললেন, শুরুর দিকে আরেকটা জিনিস অ্যাড কর। তারপর বল। উনাকেই কিন্তু অ্যাকটিং করতে হচ্ছে তিনবার করে।
উনার সঙ্গে আমার যতবার কথা হতো, উনার ডিরেকশনেও কাজ করতেছি। অনেক ছোট ছোট জিনিস, ওখানে ও রকম করিস না, এভাবে কর, এভাবে ওপর থেকে ডায়লগ বল। এ রকম বহু কিছু আছে। উনি আমাকে বকতেনই সারাক্ষণ। এমনও হতো, আমার একটা নাটক অনএয়ার হওয়ার পর, উনি ফোন করে বললেন, এ নাটকটা তুই কেন করছিস? এইটা তো কোনো অ্যাকটিং হইলো না। এ রকম কথা অনেক বলছেন উনি।
আমি জানতাম, ফরীদি আঙ্কেল ফোন করা মানে এখন বকা খাবো। একদিন চ্যানেল ওয়ানের একটা শোতে গেছিলাম। সেখানে যে সব ডিরেক্টর বা অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের বাইটস নিয়ে আসতো। আই নেভার এক্সপেক্ট যে, ওখানে ফরিদী আঙ্কেলের বাইটস আসবে। শো হোস্ট করছিলেন তানিয়া হোসেইন। তো এ রকম শোয়ের মাঝখানে হঠাৎ করে বলল, সারপ্রাইজ আছে তোমার জন্য, চলো আমরা স্ক্রিনে দেখি। হঠাৎ দেখি ফরিদী আঙ্কেল। তাঁকে দেখে তো আমার হাত-পা কাঁপাকাঁপি শুরু হলো। এখন তো আমি বকা খাব। ফরিদী আঙ্কেল বললেন, ‘শোন, তোকে কখনও বলা হয়নি। আমি তোর ফ্যান’। এই কথা শোনার পর তাঁকে থ্যাঙ্কু পর্যন্ত বলতে পারিনি। (এতটাই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম) বাকি পুরাটা শো আমি ‘হ্যাঁ, না, আচ্ছা’ ছাড়া আর কিছু বলেত পারিনি। আমি ওই কথা সারাজীবন ভুলতে পারিনি।
এজন্য আমি বলি, আমার পেছনে এ রকম অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা আসলে সত্যি একদমই আমাকে হাতে ধরে ধরে শিখাইছেন। আমি তো আসলে কিছু শিখে আসিনি।
এখন যারা আপনার সঙ্গে কাজ করেন, তাঁদের অভিজ্ঞতাও আপনার সঙ্গে নিশ্চয় এ রকমই। আপনি যথেষ্ট হেল্প করেন।
আমার ক্ষেত্রে বিষয়টা উল্টা। আমার সঙ্গে নুতন যাঁরা কাজ করতে আসেন, আমি কিন্তু ওদের কাছ থেকেও শিখি। দেখা যায়, নতুন একজন এত সুন্দরভাবে ডায়লগ স্ক্যান করেন অনেক সময়। তখন মনে হয়, আচ্ছা, এভাবেও তো হতে পারে।
শেখার জায়গাটা আপনি ওপেন রাখছেন একেবারে…
আমার কাছে ওপেন। আমি সবসময়ই শিখি। আমি খুবই ডিরেক্টরস আটিস্ট। ডিরেক্টরদের সাথে যাদের যে প্রজেক্ট আমি করি, আমি চেষ্টা করি, তাঁরাও চেষ্টা করেন, যাতে কথা বলে বুঝে নিতে পারি আগে থেকে, যে চরিত্রটি করতে যাচ্ছি… যতরকমের গাইডলাইন থাকে আমি সব আগে থেকে তাঁদের কাছ থেকে নেওয়ার চেষ্টা করি। তারপর যতটুকু পারা যায়, এক্সিকিউট করি ক্যামেরার সামনে। কিন্তু আমার পেছনে ডিরেক্টরদের অবদান অনেক।
[কথা কি আর শেষ হয়! সে তো নদীর মতো। স্রোতের মতো। বয়ে চলে। সজলের সঙ্গে আরও অনেক বিষয়ে কথা হলো। রয়ে গেল আরও অনেক না বলা কথা…]

সজল তখন লঞ্চে। ঢাকায় ফিরছিলেন। বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদাবাড়ি পটুয়াখালী। সন্ধ্যা তখন। বাবার সঙ্গে লঞ্চ ভ্রমণে মনটাও ভীষণ ভালো ছিল সজলের। রিং বাজতেই ফোন তুললেন। কথা বললেন মন খুলে। নতুন সিনেমায় অভিনয় করছেন আবদুন নূর সজল। নাম ‘সংযোগ’। আবু সাইয়ীদ বানাচ্ছেন। সিনেমাটি নিয়েই শুরু হলো আলাপ।
‘সংযোগ’ সিনেমায় আপনার সংযোগ কীভাবে হলো?
নির্মাতা আবু সাইয়ীদ ভাইয়ের সঙ্গে বেশ আগে থেকেই ‘সংযোগ’ সিনেমাটি নিয়ে কথা হচ্ছিল। বছর দশেক আগে তাঁর একটি ফিকশনে কাজ করেছিলাম। আমার করা যত ভালো ফিকশন আছে, তার মধ্যে ওই ফিকশন একটা। ১০ বছর আগেই যে কনটেন্টটি করেছিলাম, সেটি এখনো আধুনিক। সাইয়ীদ ভাইয়ের গল্প বলা, ডিরেকশন—সব সময়ই আমার খুব পছন্দের। তাঁর ‘সংযোগ’ সিনেমায় অভিনয়ের অফার পাওয়ার পর আমি শুধু গল্পটা শুনতে চেয়েছিলাম। গল্প আর চরিত্রটি শুনলাম। ভালো লাগল। এভাবেই কাজ শুরু।
কী ধরনের গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘সংযোগ’। কিছুটা ধারণা দেওয়া যায়?
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির পাশাপাশি এই সময়ের সমাজ বাস্তবতা নিয়ে এই সিনেমার গল্প। আমি অভিনয় করছি একজন উদ্ভাবকের চরিত্রে। আমি আসলে লাকি যে এ রকম একটি গল্প, চরিত্র আমার কাছে এসেছে।
‘সংযোগ’ সিনেমাটি তৈরি হচ্ছে গণ-অর্থায়নে। বাংলাদেশে এ ধারণা অনেকটাই নতুন। স্বাধীন সিনেমার ক্ষেত্রে এদেশে গণ-অর্থায়নকে কতটা সম্ভাবনাময় মনে করেন?
হয়তো এ কনসেপ্টটা আমাদের জন্য নতুন। তবে গণ-অর্থায়ন বা ক্রাউন্ড ফান্ডিংয়ের সিনেমা কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সারাবিশ্বে তৃণমূল পর্যায় থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সিনেমা তৈরি হচ্ছে। সেগুলো বিশ্বজুড়ে প্রশংসাও পাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশিরাও পিছিয়ে থাকব কেন! গণ-অর্থায়নে ‘সংযোগ’-এর মতো একটা সিনেমার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যে সিনেমাটি সামাজিকবার্তা বহন করছে, এটা তো নিশ্চয়ই সম্ভাবনার। আর আমি বরাবরই নতুন যেকোনো কিছুর সঙ্গে থাকি।
পরের প্রশ্নটা এ প্রসঙ্গেই। একসময় আপনি মূলত ‘রোমান্টিক হিরো’ ছিলেন। গত কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের চরিত্রে নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করছেন। এটি অভিনেতা হিসেবে আপনাকে কতখানি সমৃদ্ধ করছে?
আমার কাছে বরাবরই একটা জিনিস মনে হয়, যাঁরা অভিনয় ভালোবাসেন, এ শিল্পটাকে ভালোবাসেন, তাঁরা সবাই চান ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে কাজ করতে। আমার শুরু থেকে আগ্রহ ছিল ভিন্ন চরিত্রে কাজ করার। কিন্তু একটা সময় পর্যন্ত আমার কাছে অত বৈচিত্রময় চরিত্র আসত না। একইরকম চরিত্র পেতাম। যে কারণে মাঝে এক-দেড় বছর কোনো কাজ করিনি। তখন চাওয়া এটাই ছিল, যেন ভিন্ন চরিত্রে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়। ভালো কনটেন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ততা তৈরি হয়।
এখন সময়টাও ভালো। অনেক এক্সপেরিমেন্টাল কাজ হচ্ছে। মানুষের পছন্দের জায়গাও বদলেছে। অনেক রকমের প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। নতুন পুরোনো সবাই বিভিন্ন রকমের এক্সপেরিমেন্ট করছেন। তো সেই জায়গা থেকে আমি বলব আমরা যাঁরা অভিনেতা, তাঁদের জন্য এটা সুসংবাদই বটে।
সবচেয়ে ভালো বিষয়, একটা সময় যে নির্মাতারা খুব ভালো কাজ করতেন, তাঁরা আবারও কাজ শুরু করেছেন। এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক বড় সুসংবাদ। কারণ যত যা-ই বলি না কেন, আমরা যাঁরা অভিনয় করি, তাঁরা কিন্তু যে কোনো প্রজেক্টে একটা উপকরণের মতো। প্রজেক্টটা অবশ্যই একজন ডিরেক্টরের। ডিরেক্টর যখন কাজটি সুন্দর করে করেন, তখন আমাদের অভিনয় প্রশংসিত হয়।
গল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো আপনি সবার আগে গুরুত্ব দেন? গল্প, চরিত্র, সহ-অভিনেতা নাকি পরিচালক?
আমার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি পায় সামাজিকবার্তা। সেটার জন্য যে অনেক বড় পরিসরে কাজ করতে হবে, সেটাও আমি বলি না। একটা পরিবারে কিন্তু অনেক রকমের সমস্যা থাকে, একটা সম্পর্কেও সমস্যা থাকে। নাটক বা সিনেমায় সেই সমস্যাগুলোর যদি সমাধানের পথ দেখানো যায়। কিংবা যে দৃষ্টিভঙ্গির ভেতর দিয়ে আমরা এসেছি, সেখান থেকেও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের কোনো জায়গা যদি একটা ফিকশন বা একটা সিনেমার মধ্য দিয়েও বলা যায়; সেটা আমার কাছে মনে হয় অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। সেই সাথে যে গল্পে মাটির গন্ধ আছে, আমাদের নিজস্ব কালচারের প্রেজেন্টেশনস আছে, শ্রমজীবী মানুষের গল্প—এসব কাজ আমাকে টানে। আমাদের তো কৃষিপ্রধান দেশ। খেটে খাওয়া, শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যাই এখানে বেশি। একজন রিকশাচালক থেকে শুরু করে একজন কৃষক, মুদি দোকানদার, মুচি, ফ্যাক্টরি শ্রমিক থেকে শুরু করে যাঁরা আছেন, এ রকম অনেক পেশা আছে। আমি পাঁচটা-সাতটা বললাম। তো এই মানুষগুলোর যে গল্প, তাঁদের যে ক্রাইসিস, সেই ক্রাইসিসের উত্তরণের যে পথ, এসব যে চিত্রনাট্যে পাই, সেগুলোতে কাজ করতে সব সময়ই ভালো লাগে।
প্রায় দুই যুগের অভিনয় ক্যারিয়ার আপনার। সিনেমার সংখ্যা এত কম কেন?
সিনেমার ক্ষেত্রে আমার যে গল্পগুলো ভালো লাগছে, আমি কিন্তু সেটাতেই সম্পৃক্ত হচ্ছি। আমার কোনো তাড়া নেই। এ বছর এটা করতে হবে, পরের বছর এটা করতে হবে— নট লাইক দ্যাট। আমি কিন্তু ওয়েট করতেই থাকি একটা ভালো কাজের জন্য। চরিত্রের ক্ষেত্রেও যেমন, নেগেটিভ চরিত্রেও আমি পিছপা হই না। সামনে হয়তো আমার একটা সিনেমাও আসবে নেগেটিভ চরিত্রের। একজন অভিনেতা হিসেবে চরিত্রের মতো হয়ে উঠতে পারাটাই আমার কাজ।
নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করলে কি ‘হিরো ইমেজ’ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না?
সব চরিত্র কি পজিটিভ হয়? আমাদের মানুষদের মধ্যে কি সবাই পজিটিভ? যাঁর মধ্যে ভালোর পরিমাণ বেশি, মন্দের পরিমাণ কম, তাঁকে আমরা ভালো বলি। যাঁর মধ্যে মন্দের পরিমাণ বেশি, ভালোর পরিমাণ কম, তাঁকে আমরা মন্দ বলি। কিন্তু একজন মন্দ মানুষের ভেতরেও যে ভালো গুণ থাকে না, তা কিন্তু নয়। পরিমাণটা হয়তো কম-বেশি থাকে। তো এই ধরনের চরিত্র কেন করব না? কারণ এটা তো খুব সহজ-স্বাভাবিক চরিত্র, যেগুলো আশপাশেই দেখা যায়।
ইন্ডাস্ট্রিতে আপনি সবার পছন্দের লোক। সবার সঙ্গেই আপনার ভালো সম্পর্ক। আপনাকে নিয়ে কোনো বিতর্ক-বিবাদ নেই। রহস্যটা বলবেন?
আমি এ ইন্ডাস্ট্রিতে ২০-২২ বছর কাজ করে ফেলেছি। এত বছর যে কাজ করতে পেরেছি, এটার কারণ— সবার সহযোগিতা। আমি অনেক মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ, সৃষ্টিকর্তা তো আছেনই, আমার পরিবার তো আছেই, তাছাড়াও ডিরেক্টর, প্রডাকশন বয়, মেকআপ আর্টিস্ট, ডিওপি, লাইটম্যান, সাংবাদিক— সবাই আমাকে এত সাপোর্ট করেন, আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। তা নাহলে আমি যে পরিমাণ আলাভোলা, এতদিন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারতাম না।
এটা সবাই বলেন, আপনার সঙ্গে কাজ করে আরাম পাওয়া যায়। আপনি কোনো পেইন দেন না, কোনো ট্যানট্রাম নেই। আপনি সেটে থাকলে রিলাক্সে থাকেন সবাই। এ বিষয়টি কি আপনি মেইনটেইন করেন?
দায়বদ্ধতা আসলে। একজন যদি তাঁর কাজের জন্য আমাকে সিলেক্ট করেন, তিনি তার বিনিময়ে আমাকে পারিশ্রমিক দিচ্ছেন, সেই জায়গা থেকে তো আসলে সৎ থেকে আমার কাজটা করা উচিত। এই সৎ কীভাবে হবে? আমি আমার কাজটিতে যতটুকু পারি মনোযোগি থাকব। যতটুকু পারি কো-অপারেটিভ থাকব। এটাই তো স্বাভাবিক। আমি কিন্তু আলাদা করে কিছু করি না।
মানে আলাদা করে কোনো মেইনটেইনের গল্প নেই। আপনার স্বভাবটাই এমন…
হ্যাঁ, সেটাই তো হওয়া উচিত।
আপনার বাসায় দেখেছি, বইয়ের ভালো কালেকশন আছে। ছোটখাটো লাইব্রেরি বলা যায়। এক সাক্ষাৎকারেও পড়েছি, বই পড়তে ভালোবাসতেন আপনি। এমনও হয়েছে, নীলক্ষেতে বইয়ের দোকানে দাঁড়িয়েই অনেক বই শেষ করেছেন…
ছোটবেলা থেকেই আমার বই পড়ার অভ্যাস ছিল। সেটার কারণ ছিলেন একজন মামা, যিনি আমাকে ছোটবেলা থেকে পড়াতেন। নামটাও বলি—উনার নাম হচ্ছে ফিরোজ। দুটো জিনিসের প্র্যাকটিস উনি ছোটবেলা থেকেই করে দিয়েছিলেন। তারমধ্যে একটা— বই পড়ার অভ্যাস। পড়া শুরু হয়েছিল কমিকস দিয়ে। পরীক্ষায় রেজাল্ট ভালো হলে কমিকস পাব, এ রকম একটা বিষয় ছিল।
কিন্তু আসলে ক-টা বই-ই বা পাব! যখন বইয়ের দোকানে নিয়ে যেত, পুরো বছরের খাতা-বই একসঙ্গে কেনার জন্য, তখন হয়তো এক ঘণ্টা সময় পাওয়া যাবে, এই এক-দেড় ঘণ্টার মধ্যে যত পারি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে ফেলব। আর যেগুলো পড়া সম্ভব হচ্ছে না, সেগুলো কিনে নেব। এ-ই ছিল টার্গেট। তো ওখান থেকেই আসলে পড়ার অভ্যাস।
শুরুর দিকে পড়তাম রাকিব হাসান, সেবা প্রকাশনী। তারপর আনোয়ার হোসেন। সবচেয়ে বেশি বইয়ের পোকা আমি হইছিলাম হুমায়ূন আহমেদের কারণে। আমার কাছে মোটামুটি ভালো একটা হুমায়ূন আহমেদ সমগ্র আছে। তারপর জাফর ইকবাল, শীর্ষেন্দু, সমরেশ— সবার বই-ই পড়া হইছে।
ফিরোজ মামার কথা বলছিলেন। উনি দুটি জিনিসের অভ্যাস করে দিয়েছিলেন। একটা বই পড়া। আরেকটা কী?
আরেকটা বিষয় ছিল, পরীক্ষায় রেজাল্ট ভালো হলে ওই যে মামার কথা বললাম, ফিরোজ মামা, উনি থিয়েটারের শো দেখাতে নিয়ে যেতেন। আমার এখনও মনে আছে, ‘দেওয়ান গাজীর কিস্সা’ নামে একটা নাটক ছিল নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের। এই নাটকটা আমি ছোটবেলায় ২২ বার দেখছি। আমি কিন্তু একই চরিত্র অনেককে করতে দেখেছি। মাখন চরিত্রে হায়াত কাকুকেও (আবুল হায়াত) দেখেছি, যুবরাজ ভাইকেও (খালেদ খান) দেখেছি করতে। লাইলি চরিত্র, এটাতে আমি নিমা আপাকে (নিমা রহমান) দেখেছি, সারা আন্টিকে (সারা যাকের) দেখেছি, বিপাশা আপাকেও (বিপাশা হায়াত) করতে দেখেছি। তখন বিষয়টা ছিল, রেজাল্টটা ভালো করতে হবে, কারণ ‘দেওয়ান গাজীর কিস্সা’ দেখতে হবে। এই নাটকটি এত ভালো লাগত যে, ওই সময় যতগুলো মঞ্চের নাটক হতো, সেই ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, ‘কঞ্জুস’, ‘যৈবতী কন্যার মন’—মোটামুটি সব দেখছি।
এই যে বই পড়া কিংবা মঞ্চে নাটক দেখা—এগুলো অভিনয়ে কতটা হেল্প করেছে আপনাকে?
এটা আসলে ওইভাবে ডিফাইন করতে পারব না, বই পড়া কিংবা নাটক দেখা—এসবের কারণেই আমি অভিনয়ে এসেছি কিনা! বা ভালো অভিনয় করতে এগুলো কতটা কাজে লেগেছে, লেগেছে নিশ্চয়ই, কিন্তু কতটা সাহায্য করেছে এভাবে ডিফাইন করা কঠিন। যেসব ডিরেক্টরদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁরা প্রত্যেকে আমাকে শিখাইছেন। বিশেষভাবে আমি তিনজনের নাম মেনশন করতে চাই—আফজাল হোসেন, হুমায়ূন ফরীদি, আরেকজন হচ্ছেন আমাদের সেলিম আল দীন স্যার।
আমার মনে আছে, প্রথম যে সিরিয়ালটি করেছিলাম, তার নাম ‘হীরাফুল’। ওটা ছিল আফজাল হোসেনের ডিরেকশন, আর সেলিম আল দীন স্যারের লেখা। এমনিতে খুব কঠিন একটা লেখা আর খুব কঠিন একটা ডিরেকশনের মধ্যে কাজ করতে যাচ্ছি, তখন অ্যাকটিংয়ের তেমন কিছু বুঝিও না। আমার পেছনে আফজাল আঙ্কেল ভীষণ এফোর্ট দিতেন। নাটকটি যখন অনএয়ারে এল, আমাকে একদিন সেলিম আল দীন স্যার ফোন করেছিলেন। তিনি যদিও আমাদের ক্যাম্পাসেরই, কিন্তু আমার কাছে ফোনটা এসেছিল মাত্রার (আফজাল হোসেনের প্রতিষ্ঠান, মাত্রা) অফিস থেকে। মাত্রার অফিস থেকে ইউজুয়ালি আফজাল আঙ্কেলই ফোন করেন। আমি ভেবেছিলাম, তিনিই ফোন করেছেন। তাঁর সঙ্গে আমি এর আগে বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। আমি একটু দুষ্টুও ছিলাম, আফজাল আঙ্কেলকে জ্বালাইতাম ভীষণ। ফোন করে যখন বলছিলেন, হীরাফুল দেখলাম। ভালো করেছো। তুমি না তুই বলেছেন, মনে নেই। আমি বলছিলাম, আপনি যেমনটা বলছেন, তেমনভাবেই তো করছি। এখানে আমার তেমন কৃতিত্ব নেই। তখন তিনি বললেন, ‘আদনান চরিত্রটাকে আমি যেভাবে দেখতে চেয়েছিলাম, সেভাবেই পেয়েছি। বরং একটু বেটার পেয়েছি।’ এটা শুনে আমি কিছুক্ষণ কনফিউজড। প্রশ্ন করলেন, ‘আচ্ছা সজল তুমি কি আমাকে চিনতে পেরেছ?’ আমি আমতা আমতা করে বললাম, ‘আফজাল আঙ্কেল’। তখন বললেন, ‘না, আমি সেলিম আল দীন বলছি।’ এটা শোনার পর আমি যেখানে ছিলাম, সেখানে সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে গেছি। উনি তো আমার ক্যাম্পাসের টিচার। উনি এবার কথাগুলো আবার বললেন। সাহস দিলেন, ‘এর পরের লটে যখন স্ক্রিপ্টটা আসবে, যদি কোনোকিছু বুঝতে না পারো, বা কোনো হেল্প লাগে, তুমি আমার কাছে এসো, আমি তোমাকে বুঝিয়ে দেব।’
এটা তো আপনার জন্য বড় প্রাপ্তি তখন…
শুধু তা-ই নয়, ঠিক এই সময়ে এসে অভিনয়ের প্রতি আমার আগ্রহের জায়গা তৈরি হয়। এর আগে কিন্তু অভিনয় নিয়ে আমার তেমন কোনো প্ল্যান ছিল না। আমি যে এখানে কাজ করব রেগুলার, তেমনও বিষয় ছিল না। তখন আমি জাহাঙ্গীরনগরে পড়তাম, একটা ছোট জবও করতাম। আফজাল আঙ্কেল উনার বাসায় নিয়ে পর্যন্ত আমাকে ডায়লগ স্ক্যান করা শিখাইছেন। সংলাপে কোন জায়গায় গ্যাপ দিতে হবে, পজ দিতে হবে—এগুলো সব উনার শেখানো।
হুমায়ূন ফরীদির সঙ্গে অভিজ্ঞতা কেমন?
ফরিদী আঙ্কেলের সাথে সিন করতে গেলাম, সেটা আরেক অভিজ্ঞতা। এমনও হয়েছে ডায়লগের একটা জায়গায় লেখা আছে, উনি বলে দিলেন, একটা কাজ কর, তুই এখানে একটা গ্যাপ দে। গ্যাপ দিয়ে এরপর এই সংলাপটা বল। বললাম। দীপংকর দীপনের শুট। উনি কাট করলেন। তারপর বললেন, এভাবে না। একটা টেক গেল। সেকেন্ড টেক। উনি কিন্তু ওই দৃশ্যে নিজেও অ্যাকটিং করতেছেন। উনি বললেন, এভাবে না করে এখানে একটা ‘হু’ অ্যাড কর। বললাম। বলার পরে উনি আবার কাট করলেন। তিনবারের পর উনি আবার বললেন, শুরুর দিকে আরেকটা জিনিস অ্যাড কর। তারপর বল। উনাকেই কিন্তু অ্যাকটিং করতে হচ্ছে তিনবার করে।
উনার সঙ্গে আমার যতবার কথা হতো, উনার ডিরেকশনেও কাজ করতেছি। অনেক ছোট ছোট জিনিস, ওখানে ও রকম করিস না, এভাবে কর, এভাবে ওপর থেকে ডায়লগ বল। এ রকম বহু কিছু আছে। উনি আমাকে বকতেনই সারাক্ষণ। এমনও হতো, আমার একটা নাটক অনএয়ার হওয়ার পর, উনি ফোন করে বললেন, এ নাটকটা তুই কেন করছিস? এইটা তো কোনো অ্যাকটিং হইলো না। এ রকম কথা অনেক বলছেন উনি।
আমি জানতাম, ফরীদি আঙ্কেল ফোন করা মানে এখন বকা খাবো। একদিন চ্যানেল ওয়ানের একটা শোতে গেছিলাম। সেখানে যে সব ডিরেক্টর বা অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের বাইটস নিয়ে আসতো। আই নেভার এক্সপেক্ট যে, ওখানে ফরিদী আঙ্কেলের বাইটস আসবে। শো হোস্ট করছিলেন তানিয়া হোসেইন। তো এ রকম শোয়ের মাঝখানে হঠাৎ করে বলল, সারপ্রাইজ আছে তোমার জন্য, চলো আমরা স্ক্রিনে দেখি। হঠাৎ দেখি ফরিদী আঙ্কেল। তাঁকে দেখে তো আমার হাত-পা কাঁপাকাঁপি শুরু হলো। এখন তো আমি বকা খাব। ফরিদী আঙ্কেল বললেন, ‘শোন, তোকে কখনও বলা হয়নি। আমি তোর ফ্যান’। এই কথা শোনার পর তাঁকে থ্যাঙ্কু পর্যন্ত বলতে পারিনি। (এতটাই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম) বাকি পুরাটা শো আমি ‘হ্যাঁ, না, আচ্ছা’ ছাড়া আর কিছু বলেত পারিনি। আমি ওই কথা সারাজীবন ভুলতে পারিনি।
এজন্য আমি বলি, আমার পেছনে এ রকম অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা আসলে সত্যি একদমই আমাকে হাতে ধরে ধরে শিখাইছেন। আমি তো আসলে কিছু শিখে আসিনি।
এখন যারা আপনার সঙ্গে কাজ করেন, তাঁদের অভিজ্ঞতাও আপনার সঙ্গে নিশ্চয় এ রকমই। আপনি যথেষ্ট হেল্প করেন।
আমার ক্ষেত্রে বিষয়টা উল্টা। আমার সঙ্গে নুতন যাঁরা কাজ করতে আসেন, আমি কিন্তু ওদের কাছ থেকেও শিখি। দেখা যায়, নতুন একজন এত সুন্দরভাবে ডায়লগ স্ক্যান করেন অনেক সময়। তখন মনে হয়, আচ্ছা, এভাবেও তো হতে পারে।
শেখার জায়গাটা আপনি ওপেন রাখছেন একেবারে…
আমার কাছে ওপেন। আমি সবসময়ই শিখি। আমি খুবই ডিরেক্টরস আটিস্ট। ডিরেক্টরদের সাথে যাদের যে প্রজেক্ট আমি করি, আমি চেষ্টা করি, তাঁরাও চেষ্টা করেন, যাতে কথা বলে বুঝে নিতে পারি আগে থেকে, যে চরিত্রটি করতে যাচ্ছি… যতরকমের গাইডলাইন থাকে আমি সব আগে থেকে তাঁদের কাছ থেকে নেওয়ার চেষ্টা করি। তারপর যতটুকু পারা যায়, এক্সিকিউট করি ক্যামেরার সামনে। কিন্তু আমার পেছনে ডিরেক্টরদের অবদান অনেক।
[কথা কি আর শেষ হয়! সে তো নদীর মতো। স্রোতের মতো। বয়ে চলে। সজলের সঙ্গে আরও অনেক বিষয়ে কথা হলো। রয়ে গেল আরও অনেক না বলা কথা…]

দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
২ ঘণ্টা আগে
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৯ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, কেটি পেরি তাঁর চলমান ‘দ্য লাইফটাইমস ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ স্থগিত রেখে ট্রুডোর সঙ্গে টোকিওতে এই কূটনৈতিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
জাস্টিন ট্রুডো কিশিদার সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আপনাকে দেখে দারুণ লাগলো@kishida 230। ক্যাটি এবং আমি আপনার ও ইউকোর সঙ্গে বসে কথা বলার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। ফুমিও, আপনার বন্ধুত্বের জন্য এবং আন্তর্জাতিক নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি এবং সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যতের প্রতি আপনার অব্যাহত প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ।’
Great to see you @kishida230. Katy and I were so glad to have the chance to sit down with you and Yuko. Thank you, Fumio, for your friendship and your continued commitment to both the international rules-based order and to a better future for everyone. https://t.co/zLEuppHNST
— Justin Trudeau (@JustinTrudeau) December 4, 2025
পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, ট্রুডো একটি ধূসর স্যুট পরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রনায়কোচিত রূপে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে, কেটি পেরি সেজেছিলেন সবুজ রঙের দু’টুকরো পোশাক, কালো টাইটস, একটি টার্টলনেক এবং বুট পরে। কিশিদা দম্পতির সঙ্গে ছবি তোলার সময় কেটি পেরিকে ট্রুডোর পেছনে হাত রেখে দাঁড়াতে দেখা যায়। কিশিদা ট্রুডোর পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘ধন্যবাদ, জাস্টিন। আপনি এবং কেটি, দু’জনকেই অবকাশের শুভেচ্ছা!’
জাস্টিন ট্রুডো এই পোস্টটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারনেট জুড়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লেখেন, ‘মুক্ত বিশ্বের ইতিহাসে এটি সম্ভবত সবচেয়ে উন্মাদনার একটি ঘোষণা।’ আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘কেটি পেরি আন্তর্জাতিক কূটনীতি সামলাচ্ছেন। আমার টপ রিস্কস ২০২৫ তালিকায় এটা ছিল না!’
অনেক ভক্তও মজার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একজন লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কিন্তু সঙ্গে ছুটির কার্ডের আমেজ।’ অন্য একজন মন্তব্য করেন, ‘খোদার কসম, এটা আমার বিঙ্গো কার্ডে ছিল না।’ এই কূটনৈতিক ঘোষণার মাধ্যমে পেরি ও ট্রুডো জুটি এখন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি মহলে নতুন আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, কেটি পেরি তাঁর চলমান ‘দ্য লাইফটাইমস ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ স্থগিত রেখে ট্রুডোর সঙ্গে টোকিওতে এই কূটনৈতিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
জাস্টিন ট্রুডো কিশিদার সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আপনাকে দেখে দারুণ লাগলো@kishida 230। ক্যাটি এবং আমি আপনার ও ইউকোর সঙ্গে বসে কথা বলার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। ফুমিও, আপনার বন্ধুত্বের জন্য এবং আন্তর্জাতিক নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি এবং সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যতের প্রতি আপনার অব্যাহত প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ।’
Great to see you @kishida230. Katy and I were so glad to have the chance to sit down with you and Yuko. Thank you, Fumio, for your friendship and your continued commitment to both the international rules-based order and to a better future for everyone. https://t.co/zLEuppHNST
— Justin Trudeau (@JustinTrudeau) December 4, 2025
পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, ট্রুডো একটি ধূসর স্যুট পরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রনায়কোচিত রূপে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে, কেটি পেরি সেজেছিলেন সবুজ রঙের দু’টুকরো পোশাক, কালো টাইটস, একটি টার্টলনেক এবং বুট পরে। কিশিদা দম্পতির সঙ্গে ছবি তোলার সময় কেটি পেরিকে ট্রুডোর পেছনে হাত রেখে দাঁড়াতে দেখা যায়। কিশিদা ট্রুডোর পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘ধন্যবাদ, জাস্টিন। আপনি এবং কেটি, দু’জনকেই অবকাশের শুভেচ্ছা!’
জাস্টিন ট্রুডো এই পোস্টটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারনেট জুড়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লেখেন, ‘মুক্ত বিশ্বের ইতিহাসে এটি সম্ভবত সবচেয়ে উন্মাদনার একটি ঘোষণা।’ আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘কেটি পেরি আন্তর্জাতিক কূটনীতি সামলাচ্ছেন। আমার টপ রিস্কস ২০২৫ তালিকায় এটা ছিল না!’
অনেক ভক্তও মজার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একজন লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কিন্তু সঙ্গে ছুটির কার্ডের আমেজ।’ অন্য একজন মন্তব্য করেন, ‘খোদার কসম, এটা আমার বিঙ্গো কার্ডে ছিল না।’ এই কূটনৈতিক ঘোষণার মাধ্যমে পেরি ও ট্রুডো জুটি এখন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি মহলে নতুন আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন।

সজল তখন লঞ্চে। ঢাকায় ফিরছিলেন। বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদাবাড়ি পটুয়াখালী। সন্ধ্যা তখন। বাবার সঙ্গে লঞ্চ ভ্রমণে মনটাও ভীষণ ভালো ছিল সজলের। রিং বাজতেই ফোন তুললেন। কথা বললেন মন খুলে। নতুন সিনেমায় অভিনয় করছেন আবদুন নূর সজল। নাম ‘সংযোগ’। আবু সাইয়ীদ বানাচ্ছেন। সিনেমাটি নিয়েই শুরু হলো আলাপ।
২৭ মার্চ ২০২২
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৯ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
বর্ষণমুখর আবহাওয়ার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। এই ভাস্কর্যটি লেস্টার স্কয়ারের ‘সিনস ইন দ্য স্কয়ার’ ট্রেইলের অংশ হিসেবে হ্যারি পটার, প্যাডিংটন এবং ব্রিজেট জোনসের ভাস্কর্যের সঙ্গে যুক্ত হলো।
লন্ডনে ভাস্কর্য উন্মোচনের ফাঁকে শাহরুখ খানের কাছে নববিবাহিত দম্পতিদের জন্য তাঁর নিজস্ব পরামর্শ জানতে চাওয়া হয়। মজা করে জবাব দেন শাহরুখ।
শাহরুখ উত্তর দেওয়ার আগেই অভিনেত্রী কাজল রসিকতা করে বলে ওঠেন, ‘ওঁর সব ছবিই তো বিয়ের আগের প্রেম নিয়ে, বিয়ের পরের প্রেম নিয়ে নয়!’
কাজলের কথায় সম্মতি জানিয়ে শাহরুখ খান হাসতে হাসতে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, তুমি ছিলে একজন যাকে আমি উপদেশ দিতে পারতাম। কিন্তু বিয়ের পর, তুমি তো এখন নিজের দায়িত্বে চলে গেছ!’ অবশ্য শাহরুখ গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপদেশ দিতে ভোলেননি। তিনি বলেন, ‘ততদিন (বিয়ের আগে) পর্যন্ত, আমার মনে হয় আমি ঠিকই করেছি। আপনাদের রোমান্স থাকতে হবে, গান গাইতে হবে।’ কাজল সঙ্গে সঙ্গে যোগ করেন, ‘এবং অবশ্যই ডিডিএলজে দেখতে হবে।’
ছবিটি সম্পর্কে যশ রাজ ফিল্মসের সিইও অক্ষয় বিধানি এটিকে ‘গৌরবের বিশাল মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেন। অন্যদিকে, হার্ট অব লন্ডন বিজনেস অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী রস মর্গ্যান বলেন, ‘ডিডিএলজে একটি সিনেমাটিক ঘটনা যা প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছে, এবং লন্ডন এই প্রথম ভারতীয় সিনেমার আন্তর্জাতিক দর্শকদের মুগ্ধ করে চলা একটি গল্পকে সম্মান জানাল।’
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করেছেন শাহরুখ খান। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো বিলিয়নেয়ার ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। এই ঘটনা তাঁকে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার এবং টেলর সুইফটের মতো বৈশ্বিক তারকাদের কাতারে নিয়ে এসেছে।
চার বছরের বিরতির পর ২০২৩ সালে চলচ্চিত্রে ফেরেন বলিউড বাদশাহ। সম্প্রতি তাঁর আসন্ন অ্যাকশন ফিল্ম ‘কিং’-এর টিজার উন্মুক্ত হয়েছে। তবে অ্যাকশন ঘরানার আরও ছবি বা পরবর্তী জেমস বন্ড হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রসিকতা করে শাহরুখ জবাব দেন: ‘না। আমার উচ্চারণ সেরকম নয়। আর আমি শেকেন মার্টিনি (বিশেষভাবে তৈরি ককটেল) পছন্দ করি না।’
এদিকে, চলচ্চিত্র জগতের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কারণে সিনেমা হলগুলোতে দর্শক কমে যাওয়া নিয়ে কাজল মনে করেন, এখন দর্শকদের হাতে বেছে নেওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘মানুষের এখন সিনেমা হলে যাওয়া বা না যাওয়ার স্বাধীনতা আছে। যখন এত বিকল্প, তখন বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়।’
তবে শাহরুখ খান বিশ্বাস করেন, ‘কমিউনিটি ভিউয়িং...সবসময় থাকবে। আমরা একসঙ্গে কোনো জিনিস দেখতে এবং উপভোগ করতে ভালোবাসি।’

বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
বর্ষণমুখর আবহাওয়ার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। এই ভাস্কর্যটি লেস্টার স্কয়ারের ‘সিনস ইন দ্য স্কয়ার’ ট্রেইলের অংশ হিসেবে হ্যারি পটার, প্যাডিংটন এবং ব্রিজেট জোনসের ভাস্কর্যের সঙ্গে যুক্ত হলো।
লন্ডনে ভাস্কর্য উন্মোচনের ফাঁকে শাহরুখ খানের কাছে নববিবাহিত দম্পতিদের জন্য তাঁর নিজস্ব পরামর্শ জানতে চাওয়া হয়। মজা করে জবাব দেন শাহরুখ।
শাহরুখ উত্তর দেওয়ার আগেই অভিনেত্রী কাজল রসিকতা করে বলে ওঠেন, ‘ওঁর সব ছবিই তো বিয়ের আগের প্রেম নিয়ে, বিয়ের পরের প্রেম নিয়ে নয়!’
কাজলের কথায় সম্মতি জানিয়ে শাহরুখ খান হাসতে হাসতে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, তুমি ছিলে একজন যাকে আমি উপদেশ দিতে পারতাম। কিন্তু বিয়ের পর, তুমি তো এখন নিজের দায়িত্বে চলে গেছ!’ অবশ্য শাহরুখ গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপদেশ দিতে ভোলেননি। তিনি বলেন, ‘ততদিন (বিয়ের আগে) পর্যন্ত, আমার মনে হয় আমি ঠিকই করেছি। আপনাদের রোমান্স থাকতে হবে, গান গাইতে হবে।’ কাজল সঙ্গে সঙ্গে যোগ করেন, ‘এবং অবশ্যই ডিডিএলজে দেখতে হবে।’
ছবিটি সম্পর্কে যশ রাজ ফিল্মসের সিইও অক্ষয় বিধানি এটিকে ‘গৌরবের বিশাল মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেন। অন্যদিকে, হার্ট অব লন্ডন বিজনেস অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী রস মর্গ্যান বলেন, ‘ডিডিএলজে একটি সিনেমাটিক ঘটনা যা প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছে, এবং লন্ডন এই প্রথম ভারতীয় সিনেমার আন্তর্জাতিক দর্শকদের মুগ্ধ করে চলা একটি গল্পকে সম্মান জানাল।’
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করেছেন শাহরুখ খান। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো বিলিয়নেয়ার ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। এই ঘটনা তাঁকে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার এবং টেলর সুইফটের মতো বৈশ্বিক তারকাদের কাতারে নিয়ে এসেছে।
চার বছরের বিরতির পর ২০২৩ সালে চলচ্চিত্রে ফেরেন বলিউড বাদশাহ। সম্প্রতি তাঁর আসন্ন অ্যাকশন ফিল্ম ‘কিং’-এর টিজার উন্মুক্ত হয়েছে। তবে অ্যাকশন ঘরানার আরও ছবি বা পরবর্তী জেমস বন্ড হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রসিকতা করে শাহরুখ জবাব দেন: ‘না। আমার উচ্চারণ সেরকম নয়। আর আমি শেকেন মার্টিনি (বিশেষভাবে তৈরি ককটেল) পছন্দ করি না।’
এদিকে, চলচ্চিত্র জগতের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কারণে সিনেমা হলগুলোতে দর্শক কমে যাওয়া নিয়ে কাজল মনে করেন, এখন দর্শকদের হাতে বেছে নেওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘মানুষের এখন সিনেমা হলে যাওয়া বা না যাওয়ার স্বাধীনতা আছে। যখন এত বিকল্প, তখন বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়।’
তবে শাহরুখ খান বিশ্বাস করেন, ‘কমিউনিটি ভিউয়িং...সবসময় থাকবে। আমরা একসঙ্গে কোনো জিনিস দেখতে এবং উপভোগ করতে ভালোবাসি।’

সজল তখন লঞ্চে। ঢাকায় ফিরছিলেন। বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদাবাড়ি পটুয়াখালী। সন্ধ্যা তখন। বাবার সঙ্গে লঞ্চ ভ্রমণে মনটাও ভীষণ ভালো ছিল সজলের। রিং বাজতেই ফোন তুললেন। কথা বললেন মন খুলে। নতুন সিনেমায় অভিনয় করছেন আবদুন নূর সজল। নাম ‘সংযোগ’। আবু সাইয়ীদ বানাচ্ছেন। সিনেমাটি নিয়েই শুরু হলো আলাপ।
২৭ মার্চ ২০২২
দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
২ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৯ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

সজল তখন লঞ্চে। ঢাকায় ফিরছিলেন। বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদাবাড়ি পটুয়াখালী। সন্ধ্যা তখন। বাবার সঙ্গে লঞ্চ ভ্রমণে মনটাও ভীষণ ভালো ছিল সজলের। রিং বাজতেই ফোন তুললেন। কথা বললেন মন খুলে। নতুন সিনেমায় অভিনয় করছেন আবদুন নূর সজল। নাম ‘সংযোগ’। আবু সাইয়ীদ বানাচ্ছেন। সিনেমাটি নিয়েই শুরু হলো আলাপ।
২৭ মার্চ ২০২২
দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
২ ঘণ্টা আগে
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

সজল তখন লঞ্চে। ঢাকায় ফিরছিলেন। বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদাবাড়ি পটুয়াখালী। সন্ধ্যা তখন। বাবার সঙ্গে লঞ্চ ভ্রমণে মনটাও ভীষণ ভালো ছিল সজলের। রিং বাজতেই ফোন তুললেন। কথা বললেন মন খুলে। নতুন সিনেমায় অভিনয় করছেন আবদুন নূর সজল। নাম ‘সংযোগ’। আবু সাইয়ীদ বানাচ্ছেন। সিনেমাটি নিয়েই শুরু হলো আলাপ।
২৭ মার্চ ২০২২
দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
২ ঘণ্টা আগে
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৯ ঘণ্টা আগে