জাহাঙ্গীর আলম

হিন্দির আধিপত্য ঠেকাতে তামিলনাড়ুর মানুষের আন্দোলন ও ত্যাগ সম্ভবত অন্য অনেক ভাষা আন্দোলন থেকে আলাদা করেই উল্লেখ করার দাবি রাখে। ভাষার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং চাপিয়ে দেওয়ার নীতির সঙ্গে তামিলদের আরেকটি কঠিন ও নিষ্ঠুর বেড়াও ভাঙতে হয়েছিল, সেটি ধর্মীয়। ভাষার অধিকার আদায়ে নানা ফ্রন্টে আন্দোলন করেছিল তামিলরা। এর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সংগ্রামটি হয়েছে সংগীতের মতো একটি বিশ্বশিল্পে।
দক্ষিণ ভারতে তখন কর্ণাটকি সংগীত বলতেই বোঝায় মূলত তেলেগু। সেই সংগীতে আবার ব্রাহ্মণ, তথা উচ্চবর্ণের হিন্দুদের আধিপত্য। আর নিম্নবর্ণের দ্রাবিড় তামিলরা তাদের কাছে অস্পৃশ্য। ফলে ভাষার ব্যাপারেও ব্রাহ্মণদের ছুতমার্গ ভয়ানক রকমের বৈষম্যমূলক ছিল। অবশ্য পণ্ডিতেরা মুখ ফুটে সে কথা কখনো বলেননি।
কিন্তু পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে তামিল ভাষার মর্যাদা ও সংগীতে এ ভাষার উপযুক্ততা প্রমাণ হওয়ায় বোঝা যায়, ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা আসলে এই অনার্য ভাষাকে জাতে তুলতে রাজি হননি। তাঁদের এই বর্ণবাদী জাত্যাভিমান একটি বৃহৎ সমৃদ্ধ জাতিগোষ্ঠীকে মুখের ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেয়।
পণ্ডিতেরা ১৯৪০-এর দশক পর্যন্তও মনে করতেন, তামিল ভাষায় গান হয় না। এ ভাষা তেলেগু মতো ছন্দময় নয়। বহু উচ্চবর্ণীয় কর্ণাটকি সংগীতজ্ঞ যুক্তি হিসেবে বলতেন, তামিল ভাষার শব্দগুলো ‘ইক’, ‘ইপ’, ‘ইচ’-এর মতো ব্যঞ্জনবর্ণে শেষ হয়। এমন ভাষা সংগীতের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। তামিলকে কখনোই তেলেগু, সংস্কৃত ও কন্নড়ের সমকক্ষ ভাবতেন না তাঁরা।
পণ্ডিতদের খপ্পরে পড়েছিলেন অনেক তামিল শিল্পী, সংগীতজ্ঞও। তাঁরা মাতৃভাষায় সংগীতচর্চা করতে সংকোচ বোধ করতেন। অবশ্য এখনো যে প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের অনেকে সংকোচ করেন না, এমন নয়।
এই বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করতেই তামিলকে সংগীতের ভাষা হিসেবে প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্য রাজ্যে একটি সংগঠিত আন্দোলন দানা বাঁধে। অথচ এই তামিলনাড়ুই থিরুভাল্লুভার, ইলাঙ্গো আদিগাল এবং সুব্রাহ্মনিয়া ভারতীর মতো কিংবদন্তি কবির জন্ম দিয়েছে।
ভারতে ভাষাভিত্তিক বর্ণবাদ এবং এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে মূলত ১৯৩৭ সালে। ওই সময় একজাতীয় আদেশে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিন্দি বাধ্যতামূলক করা হয়। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে তামিলনাড়ু রাজ্য। তামিল ভাষা, সাহিত্য ও পরিচয় সংরক্ষণ তখন রাজনৈতিক মতাদর্শের পাশাপাশি সরকারি নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
সংগীতে তামিল ভাষার স্থান করে নেওয়ার সংগ্রামের ইতিহাসটা সংক্ষেপে এ রকম—
থেভারাম, নালাইরা দিব্য প্রবান্ধামের মতো ভক্তিমূলক সংগীত এবং ভারতীর কবিতা বুঝে থাকলে মনে হতে পারে কর্ণাটকি সংগীতে তামিল ভাষা এবং সাহিত্যের একটা উচ্চ মর্যাদা আছে।
প্রকৃতপক্ষে তামিল ইসাই আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে, অধিকাংশ কর্ণাটকি সংগীতজ্ঞ এবং শ্রোতারা বলতেন, তামিল ভাষার শব্দগুলো ‘ইক’, ‘ইপ’, ‘ইচ’-এর মতো ব্যঞ্জনবর্ণে শেষ হয়। এটা সংগীতের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। কনসার্টে তামিল গান খুব কমই গাওয়া হতো। এমনকি কর্ণাটকি সংগীত সংকলন ‘সংগীতা পারিজাতাম’ এবং ‘গায়াকা লোচনাম’-এর মতো বইয়ে শেষের দিকে তামিল গানগুলো রাখা হয়েছে। আবার সেই অধ্যায়ের নামটাও দেওয়া হয়েছে ‘চিল্লারাই’। এটার তামিল অনুবাদ দাঁড়ায় ‘তুক্কাদা’, যার অর্থ বিবিধ, গৌণ বা তুচ্ছ।
তামিলরা মনে করেন, কর্ণাটকি গান রচনা ও গাওয়াতে তেলেগু ভাষার যে আভিজাত্য, সেটি বজায় রাখতেই সংকলনে ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করা হয়েছে। পনেরো শতকে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের কৃষ্ণদেবরায় তেলেগু গানের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। পরে স্বাধীন শাসকেরা, যারা পূর্ববর্তী বিজয়নগর সাম্রাজ্য দখল করেছিলেন, যেমন মাদুরাই, তাঞ্জোর এবং জিঞ্জির নায়েকরা কর্ণাটকি সংগীতের ক্ষেত্রে অন্যান্য ভাষার তুলনায় তেলুগু গানকেই প্রাধান্য ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিলেন।
এ ছাড়া আঠারো শতকের কৃতি ত্রয়ী হিসেবে বিখ্যাত তিন সংগীতজ্ঞ—তিয়াগরাজা, মুথুস্বামী দীক্ষিতার এবং শ্যামা শাস্ত্রী; তাঁরা খ্যাতি পেয়েছেন মূলত তেলেগু সংগীতে। তাঁদের কিছু সংস্কৃত কম্পোজিশনও বেশ জনপ্রিয়। যদিও তামিল মহাকাব্য ‘সিলপ্পাদিকারম’, যেটি তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে রচিত বলে ধারণা করা হয়, সেখানে তামিল সংগীত নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা রয়েছে। এরপরও কর্ণাটকি সংগীতের জগতে ভাষাটি অস্পৃশ্য থেকে যায়।
তামিল ইসাই আন্দোলন
তামিল ইসাই আন্দোলনের সূচনা ১৯৩৯ সালে। ১৯৩৭ সালের সরকারি আদেশের বিরোধিতা করে সংগঠিত হয়েছিল জাস্টিস পার্টি। এই সংগঠনকে দ্রাবিড় আন্দোলনের পথিকৃৎ বলা হয়। সি রাজাগোপালাচারীর নেতৃত্বে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে ভারতের জাতীয় সরকার ওই সময় সমস্ত স্কুলে বাধ্যতামূলকভাবে হিন্দি পড়ানোর নির্দেশ দেয়। এই পটভূমিতে তামিল ইসাই আন্দোলনের নেতৃত্বে চলে আসেন রাজা স্যার আন্নামালাই চেত্তিয়ার। তিনি তৎকালীন তামিলনাড়ুর একজন সুপরিচিত শিল্পপতি এবং জনহিতৈষী ছিলেন। আন্নামালাই বিশেষ করে কর্ণাটকি সংগীতে তামিল ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেমেছিলেন।
পরের বছরগুলোতে চিদাম্বরমে প্রথম তামিল ইসাই সম্মেলন ডাকেন আন্নামালাই। এর পর আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে তৎকালীন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির কারাইকুডি এবং মাদুরাইয়ের মতো বড় শহরগুলোতে সম্মেলন আয়োজনের জন্য অর্থ সাহায্য করেন।
ভারতের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টিও প্রতিষ্ঠা করেন আন্নামালাই চেট্টিয়ার। তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগকে শুধু তামিল সংগীতের প্রচার ও উন্নয়নের জন্য উৎসর্গ করার পদক্ষেপ নেন। বিভাগে শুধু তামিল কম্পোজারদের বই রাখার ব্যবস্থা করেন। আন্নামালাইয়ের এ উদ্যোগকে তামিল সংগীতের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট মনে করা হয়।
১৯৪১ সালে আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ে তামিল ইসাই সম্মেলনের উদ্বোধনীতে আন্নামালাই চেত্তিয়ার বলেন, সংগীত পরিবেশনা শুরু হবে তামিল গান দিয়ে, শেষও হবে তামিল গানেই। কনসার্টের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তামিল ভাষায় হওয়া উচিত। ‘তামিল ইসাই অ্যাজ এ চ্যালেঞ্জ টু ব্রাহ্মানিক্যাল মিউজিক কালচার ইন সাউথ ইন্ডিয়া’ শীর্ষক একটি গবেষণায় এমনটিই বলেছেন গবেষক ইয়োশিতাকা তেরাদা। তিনি জাপানের ওসাকায় ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব এথনোলজির একাডেমিক এবং অধ্যাপক।
আন্নামালাই চেত্তিয়ারের জেদের কারণেই সম্মেলনে একটি রেজুলেশন পাস করা হয়। সেটি কর্ণাটকি সংগীতজনদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। ব্রাহ্মণ্যবাদী সংগীতকারদের প্রতি এটি ছিল একটি শক্ত বার্তা।
তৎকালীন কর্ণাটকি সংগীতের হর্তাকর্তারা বেশ ভড়কে গিয়েছিলেন এতে। তাঁদের আশঙ্কা ছিল এমন উদ্যোগে তামিল সংগীতের চাপে তেলেগু রচনাগুলোর ভবিষ্যৎ সংকটে পড়বে। মিউজিক অ্যাকাডেমি এবং সাউথ ইন্ডিয়ান ফাইন আর্টস অ্যাসোসিয়েশনের মতো প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো তামিল ইসাই আন্দোলনের বিরোধিতা করতে শুরু করে। ফলে ইস্যুটি কর্ণাটকি সংগীত জগতের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বকে দ্বিধাবিভক্ত করে দেয়।
এই আন্দোলনে পরে যুক্ত হন কল্কি কৃষ্ণমূর্তি, মুসিরি সুব্রাহ্মনিয়াম আইয়ার এবং সেমাংগুদি শ্রীনিবাস আইয়ারের মতো শিল্পীরা। এ ছাড়া কেবি সুন্দরম্বল, এনসি বসন্তকোকিলাম, এম এস সুব্বুলক্ষ্মী এবং ডি কে পাট্টম্মলের মতো গায়িকাদের ভূমিকা তামিল ইসাই আন্দোলনের প্রচারে সহায়ক ছিল।
মিউজিক অ্যাকাডেমি এবং সভাগুলোর সঙ্গে যুক্ত সংগীতজ্ঞদের সমালোচনার গভীরে গিয়ে ইয়োশিতাকা তাঁর গবেষণাপত্রে লিখেছেন, তামিল ইসাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে যুক্তিগুলো ‘শাস্ত্রীয় সংগীতের মান’ রক্ষার প্রতি কেন্দ্রীভূত ছিল। কোনো ভাষাকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে সেটির মান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে তাঁরা সজাগ থাকার কথা বলতেন। কারণ তাঁরা বুঝেছিলেন, কনসার্টে যদি অন্য ভাষার সঙ্গে তামিল গান গাওয়ার আনুপাতিক সুযোগ থাকে, তাহলে তেলেগু এবং সংস্কৃতের ‘যোগ্য’ বা ‘প্রাচীন’ রচনাগুলোর মর্ম ও গুরুত্ব সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাবে।
তবে সংগীত একাডেমি এবং অন্যান্য সভা সমর্থনকারী সংগীতজ্ঞদের মধ্যে যে বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গিও প্রবলভাবে ছিল, সেটি উপেক্ষা করা যায় না। ইয়োশিতাকা তেরাদা সেনরি এথনোলজিক্যাল স্টাডিজ জার্নালে প্রকাশিত তাঁর গবেষণাপত্রে লিখেছেন, তামিল ইসাই আন্দোলনের অনেক সমর্থক কর্ণাটকি সংগীতে ব্রাহ্মণ্য আধিপত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মক্কল কালাই ইল্লাকিয়া কালাহাম এবং তান্ডাই পেরিয়ার তামিল ইসাই মানরামের মতো সংগঠন, যারা তামিল ইসাই আন্দোলনের সমর্থক ছিল, তারা বলছিল, ‘তামিল ইসাই সঙ্গম’ বিদ্যমান অবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যথেষ্ট কাজ করছে না। অ-ব্রাহ্মণ শিল্পীরা যে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, সে বিষয়ে তাঁরা সোচ্চার নন।
প্রথম তামিল ইসাই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৩ সালে। সেখানে গান পরিবেশন করেন এম এস সুব্বলক্ষ্মী। তিনি শ্রোতাদের কাছ থেকে ব্যাপক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন।
এম এস সুব্বলক্ষ্মীর সহশিল্পী রামনারায়ণ ২০১৬ সালে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেন। ১৬ বছর একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘এমএস আম্মা ছিলেন (ইসাই) আন্দোলনের অন্যতম শক্তিশালী কণ্ঠস্বর। অন্য লাজুক এবং নিরীহ শিল্পী নিজের গুরু এবং জ্যেষ্ঠদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।’
১৯৪৯ সালে রাজা আন্নামালাই মান্দ্রামের কাজ শুরু হয়। এটিই পরে তামিল ইসাই সঙ্গমের সূতিকাগার হয়ে ওঠে। তত দিনে রাজা আন্নামালাই চেত্তিয়ার মারা গেছেন। কিন্তু তাঁর ছেলে রাজা স্যার এম এ মুথিয়া চেত্তিয়ার এবং এম এ চিদাম্বরম আন্দোলনের কাজ চালিয়ে যান। ১৯৫২ সালে কর্ণাটকি সংগীত সেশনের জন্য চেন্নাইয়ের এসপ্ল্যানেডের কোণে ২০ হাজার বর্গফুটের মিলনায়তন নির্মাণ করা হয়। তামিল ভাষায় মাসিক ও বার্ষিক কনসার্ট আয়োজনের পাশাপাশি, তামিল ইসাই সঙ্গম কলেজকে সহযোগিতা এবং একটি বাদ্যযন্ত্রের জাদুঘর করা হয়। ১৯৫৭ সাল থেকে তামিল ইসাই সঙ্গমের তরফে শিল্পীদের ‘ইসাই পেরারিগনার’ খেতাব দেওয়া হচ্ছে। বিশিষ্ট কর্ণাটকি কণ্ঠশিল্পীদের পাশাপাশি ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বও এ উদ্যোগকে সমর্থন করেছিলেন। তামিল ইসাই সঙ্গমের সংগীত উৎসবের ৬০ তম আয়োজনে এ পি জে কালাম একটি তামিল কম্পোজিশন গেয়েছিলেন।
অবশ্য পরিস্থিতির যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে এমন নয়। নতুন প্রজন্মের অনেকে তো ইসাই আন্দোলনের খবরই জানেন না। তাঁদের জন্যই আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ে তামিল সংগীতের ঐতিহ্যের সমাহার নিয়ে জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।
যেমনটি বলেন আন্নামালাই চেত্তিয়ারের নাতনি সীতা চিদাম্বরম—‘তামিল গানকে এখনো কর্ণাটকি কণ্ঠশিল্পী এবং সংগীতজ্ঞরা নিকৃষ্ট বলে মনে করে। এখনো এমন গায়ক খুঁজে পাই, যারা তেলেগু গানের অর্থ না বুঝে গাইতে পারছেন। কিন্তু মাতৃভাষা তামিলে কম্পোজিশন শিখতে এবং গাইতে অনিচ্ছুক।’
তবুও, সীতা আশাবাদী যে তামিল ইসাই আন্দোলন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য তাঁদের প্রচেষ্টা মানুষের ধারণা বদলে দেবে।
তথ্যসূত্র:
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে আরও পড়ুন

হিন্দির আধিপত্য ঠেকাতে তামিলনাড়ুর মানুষের আন্দোলন ও ত্যাগ সম্ভবত অন্য অনেক ভাষা আন্দোলন থেকে আলাদা করেই উল্লেখ করার দাবি রাখে। ভাষার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং চাপিয়ে দেওয়ার নীতির সঙ্গে তামিলদের আরেকটি কঠিন ও নিষ্ঠুর বেড়াও ভাঙতে হয়েছিল, সেটি ধর্মীয়। ভাষার অধিকার আদায়ে নানা ফ্রন্টে আন্দোলন করেছিল তামিলরা। এর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সংগ্রামটি হয়েছে সংগীতের মতো একটি বিশ্বশিল্পে।
দক্ষিণ ভারতে তখন কর্ণাটকি সংগীত বলতেই বোঝায় মূলত তেলেগু। সেই সংগীতে আবার ব্রাহ্মণ, তথা উচ্চবর্ণের হিন্দুদের আধিপত্য। আর নিম্নবর্ণের দ্রাবিড় তামিলরা তাদের কাছে অস্পৃশ্য। ফলে ভাষার ব্যাপারেও ব্রাহ্মণদের ছুতমার্গ ভয়ানক রকমের বৈষম্যমূলক ছিল। অবশ্য পণ্ডিতেরা মুখ ফুটে সে কথা কখনো বলেননি।
কিন্তু পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে তামিল ভাষার মর্যাদা ও সংগীতে এ ভাষার উপযুক্ততা প্রমাণ হওয়ায় বোঝা যায়, ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা আসলে এই অনার্য ভাষাকে জাতে তুলতে রাজি হননি। তাঁদের এই বর্ণবাদী জাত্যাভিমান একটি বৃহৎ সমৃদ্ধ জাতিগোষ্ঠীকে মুখের ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেয়।
পণ্ডিতেরা ১৯৪০-এর দশক পর্যন্তও মনে করতেন, তামিল ভাষায় গান হয় না। এ ভাষা তেলেগু মতো ছন্দময় নয়। বহু উচ্চবর্ণীয় কর্ণাটকি সংগীতজ্ঞ যুক্তি হিসেবে বলতেন, তামিল ভাষার শব্দগুলো ‘ইক’, ‘ইপ’, ‘ইচ’-এর মতো ব্যঞ্জনবর্ণে শেষ হয়। এমন ভাষা সংগীতের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। তামিলকে কখনোই তেলেগু, সংস্কৃত ও কন্নড়ের সমকক্ষ ভাবতেন না তাঁরা।
পণ্ডিতদের খপ্পরে পড়েছিলেন অনেক তামিল শিল্পী, সংগীতজ্ঞও। তাঁরা মাতৃভাষায় সংগীতচর্চা করতে সংকোচ বোধ করতেন। অবশ্য এখনো যে প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের অনেকে সংকোচ করেন না, এমন নয়।
এই বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করতেই তামিলকে সংগীতের ভাষা হিসেবে প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্য রাজ্যে একটি সংগঠিত আন্দোলন দানা বাঁধে। অথচ এই তামিলনাড়ুই থিরুভাল্লুভার, ইলাঙ্গো আদিগাল এবং সুব্রাহ্মনিয়া ভারতীর মতো কিংবদন্তি কবির জন্ম দিয়েছে।
ভারতে ভাষাভিত্তিক বর্ণবাদ এবং এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে মূলত ১৯৩৭ সালে। ওই সময় একজাতীয় আদেশে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিন্দি বাধ্যতামূলক করা হয়। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে তামিলনাড়ু রাজ্য। তামিল ভাষা, সাহিত্য ও পরিচয় সংরক্ষণ তখন রাজনৈতিক মতাদর্শের পাশাপাশি সরকারি নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
সংগীতে তামিল ভাষার স্থান করে নেওয়ার সংগ্রামের ইতিহাসটা সংক্ষেপে এ রকম—
থেভারাম, নালাইরা দিব্য প্রবান্ধামের মতো ভক্তিমূলক সংগীত এবং ভারতীর কবিতা বুঝে থাকলে মনে হতে পারে কর্ণাটকি সংগীতে তামিল ভাষা এবং সাহিত্যের একটা উচ্চ মর্যাদা আছে।
প্রকৃতপক্ষে তামিল ইসাই আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে, অধিকাংশ কর্ণাটকি সংগীতজ্ঞ এবং শ্রোতারা বলতেন, তামিল ভাষার শব্দগুলো ‘ইক’, ‘ইপ’, ‘ইচ’-এর মতো ব্যঞ্জনবর্ণে শেষ হয়। এটা সংগীতের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। কনসার্টে তামিল গান খুব কমই গাওয়া হতো। এমনকি কর্ণাটকি সংগীত সংকলন ‘সংগীতা পারিজাতাম’ এবং ‘গায়াকা লোচনাম’-এর মতো বইয়ে শেষের দিকে তামিল গানগুলো রাখা হয়েছে। আবার সেই অধ্যায়ের নামটাও দেওয়া হয়েছে ‘চিল্লারাই’। এটার তামিল অনুবাদ দাঁড়ায় ‘তুক্কাদা’, যার অর্থ বিবিধ, গৌণ বা তুচ্ছ।
তামিলরা মনে করেন, কর্ণাটকি গান রচনা ও গাওয়াতে তেলেগু ভাষার যে আভিজাত্য, সেটি বজায় রাখতেই সংকলনে ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করা হয়েছে। পনেরো শতকে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের কৃষ্ণদেবরায় তেলেগু গানের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। পরে স্বাধীন শাসকেরা, যারা পূর্ববর্তী বিজয়নগর সাম্রাজ্য দখল করেছিলেন, যেমন মাদুরাই, তাঞ্জোর এবং জিঞ্জির নায়েকরা কর্ণাটকি সংগীতের ক্ষেত্রে অন্যান্য ভাষার তুলনায় তেলুগু গানকেই প্রাধান্য ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিলেন।
এ ছাড়া আঠারো শতকের কৃতি ত্রয়ী হিসেবে বিখ্যাত তিন সংগীতজ্ঞ—তিয়াগরাজা, মুথুস্বামী দীক্ষিতার এবং শ্যামা শাস্ত্রী; তাঁরা খ্যাতি পেয়েছেন মূলত তেলেগু সংগীতে। তাঁদের কিছু সংস্কৃত কম্পোজিশনও বেশ জনপ্রিয়। যদিও তামিল মহাকাব্য ‘সিলপ্পাদিকারম’, যেটি তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে রচিত বলে ধারণা করা হয়, সেখানে তামিল সংগীত নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা রয়েছে। এরপরও কর্ণাটকি সংগীতের জগতে ভাষাটি অস্পৃশ্য থেকে যায়।
তামিল ইসাই আন্দোলন
তামিল ইসাই আন্দোলনের সূচনা ১৯৩৯ সালে। ১৯৩৭ সালের সরকারি আদেশের বিরোধিতা করে সংগঠিত হয়েছিল জাস্টিস পার্টি। এই সংগঠনকে দ্রাবিড় আন্দোলনের পথিকৃৎ বলা হয়। সি রাজাগোপালাচারীর নেতৃত্বে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে ভারতের জাতীয় সরকার ওই সময় সমস্ত স্কুলে বাধ্যতামূলকভাবে হিন্দি পড়ানোর নির্দেশ দেয়। এই পটভূমিতে তামিল ইসাই আন্দোলনের নেতৃত্বে চলে আসেন রাজা স্যার আন্নামালাই চেত্তিয়ার। তিনি তৎকালীন তামিলনাড়ুর একজন সুপরিচিত শিল্পপতি এবং জনহিতৈষী ছিলেন। আন্নামালাই বিশেষ করে কর্ণাটকি সংগীতে তামিল ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেমেছিলেন।
পরের বছরগুলোতে চিদাম্বরমে প্রথম তামিল ইসাই সম্মেলন ডাকেন আন্নামালাই। এর পর আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে তৎকালীন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির কারাইকুডি এবং মাদুরাইয়ের মতো বড় শহরগুলোতে সম্মেলন আয়োজনের জন্য অর্থ সাহায্য করেন।
ভারতের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টিও প্রতিষ্ঠা করেন আন্নামালাই চেট্টিয়ার। তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগকে শুধু তামিল সংগীতের প্রচার ও উন্নয়নের জন্য উৎসর্গ করার পদক্ষেপ নেন। বিভাগে শুধু তামিল কম্পোজারদের বই রাখার ব্যবস্থা করেন। আন্নামালাইয়ের এ উদ্যোগকে তামিল সংগীতের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট মনে করা হয়।
১৯৪১ সালে আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ে তামিল ইসাই সম্মেলনের উদ্বোধনীতে আন্নামালাই চেত্তিয়ার বলেন, সংগীত পরিবেশনা শুরু হবে তামিল গান দিয়ে, শেষও হবে তামিল গানেই। কনসার্টের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তামিল ভাষায় হওয়া উচিত। ‘তামিল ইসাই অ্যাজ এ চ্যালেঞ্জ টু ব্রাহ্মানিক্যাল মিউজিক কালচার ইন সাউথ ইন্ডিয়া’ শীর্ষক একটি গবেষণায় এমনটিই বলেছেন গবেষক ইয়োশিতাকা তেরাদা। তিনি জাপানের ওসাকায় ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব এথনোলজির একাডেমিক এবং অধ্যাপক।
আন্নামালাই চেত্তিয়ারের জেদের কারণেই সম্মেলনে একটি রেজুলেশন পাস করা হয়। সেটি কর্ণাটকি সংগীতজনদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। ব্রাহ্মণ্যবাদী সংগীতকারদের প্রতি এটি ছিল একটি শক্ত বার্তা।
তৎকালীন কর্ণাটকি সংগীতের হর্তাকর্তারা বেশ ভড়কে গিয়েছিলেন এতে। তাঁদের আশঙ্কা ছিল এমন উদ্যোগে তামিল সংগীতের চাপে তেলেগু রচনাগুলোর ভবিষ্যৎ সংকটে পড়বে। মিউজিক অ্যাকাডেমি এবং সাউথ ইন্ডিয়ান ফাইন আর্টস অ্যাসোসিয়েশনের মতো প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো তামিল ইসাই আন্দোলনের বিরোধিতা করতে শুরু করে। ফলে ইস্যুটি কর্ণাটকি সংগীত জগতের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বকে দ্বিধাবিভক্ত করে দেয়।
এই আন্দোলনে পরে যুক্ত হন কল্কি কৃষ্ণমূর্তি, মুসিরি সুব্রাহ্মনিয়াম আইয়ার এবং সেমাংগুদি শ্রীনিবাস আইয়ারের মতো শিল্পীরা। এ ছাড়া কেবি সুন্দরম্বল, এনসি বসন্তকোকিলাম, এম এস সুব্বুলক্ষ্মী এবং ডি কে পাট্টম্মলের মতো গায়িকাদের ভূমিকা তামিল ইসাই আন্দোলনের প্রচারে সহায়ক ছিল।
মিউজিক অ্যাকাডেমি এবং সভাগুলোর সঙ্গে যুক্ত সংগীতজ্ঞদের সমালোচনার গভীরে গিয়ে ইয়োশিতাকা তাঁর গবেষণাপত্রে লিখেছেন, তামিল ইসাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে যুক্তিগুলো ‘শাস্ত্রীয় সংগীতের মান’ রক্ষার প্রতি কেন্দ্রীভূত ছিল। কোনো ভাষাকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে সেটির মান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে তাঁরা সজাগ থাকার কথা বলতেন। কারণ তাঁরা বুঝেছিলেন, কনসার্টে যদি অন্য ভাষার সঙ্গে তামিল গান গাওয়ার আনুপাতিক সুযোগ থাকে, তাহলে তেলেগু এবং সংস্কৃতের ‘যোগ্য’ বা ‘প্রাচীন’ রচনাগুলোর মর্ম ও গুরুত্ব সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাবে।
তবে সংগীত একাডেমি এবং অন্যান্য সভা সমর্থনকারী সংগীতজ্ঞদের মধ্যে যে বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গিও প্রবলভাবে ছিল, সেটি উপেক্ষা করা যায় না। ইয়োশিতাকা তেরাদা সেনরি এথনোলজিক্যাল স্টাডিজ জার্নালে প্রকাশিত তাঁর গবেষণাপত্রে লিখেছেন, তামিল ইসাই আন্দোলনের অনেক সমর্থক কর্ণাটকি সংগীতে ব্রাহ্মণ্য আধিপত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মক্কল কালাই ইল্লাকিয়া কালাহাম এবং তান্ডাই পেরিয়ার তামিল ইসাই মানরামের মতো সংগঠন, যারা তামিল ইসাই আন্দোলনের সমর্থক ছিল, তারা বলছিল, ‘তামিল ইসাই সঙ্গম’ বিদ্যমান অবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যথেষ্ট কাজ করছে না। অ-ব্রাহ্মণ শিল্পীরা যে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, সে বিষয়ে তাঁরা সোচ্চার নন।
প্রথম তামিল ইসাই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৩ সালে। সেখানে গান পরিবেশন করেন এম এস সুব্বলক্ষ্মী। তিনি শ্রোতাদের কাছ থেকে ব্যাপক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন।
এম এস সুব্বলক্ষ্মীর সহশিল্পী রামনারায়ণ ২০১৬ সালে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেন। ১৬ বছর একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘এমএস আম্মা ছিলেন (ইসাই) আন্দোলনের অন্যতম শক্তিশালী কণ্ঠস্বর। অন্য লাজুক এবং নিরীহ শিল্পী নিজের গুরু এবং জ্যেষ্ঠদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।’
১৯৪৯ সালে রাজা আন্নামালাই মান্দ্রামের কাজ শুরু হয়। এটিই পরে তামিল ইসাই সঙ্গমের সূতিকাগার হয়ে ওঠে। তত দিনে রাজা আন্নামালাই চেত্তিয়ার মারা গেছেন। কিন্তু তাঁর ছেলে রাজা স্যার এম এ মুথিয়া চেত্তিয়ার এবং এম এ চিদাম্বরম আন্দোলনের কাজ চালিয়ে যান। ১৯৫২ সালে কর্ণাটকি সংগীত সেশনের জন্য চেন্নাইয়ের এসপ্ল্যানেডের কোণে ২০ হাজার বর্গফুটের মিলনায়তন নির্মাণ করা হয়। তামিল ভাষায় মাসিক ও বার্ষিক কনসার্ট আয়োজনের পাশাপাশি, তামিল ইসাই সঙ্গম কলেজকে সহযোগিতা এবং একটি বাদ্যযন্ত্রের জাদুঘর করা হয়। ১৯৫৭ সাল থেকে তামিল ইসাই সঙ্গমের তরফে শিল্পীদের ‘ইসাই পেরারিগনার’ খেতাব দেওয়া হচ্ছে। বিশিষ্ট কর্ণাটকি কণ্ঠশিল্পীদের পাশাপাশি ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বও এ উদ্যোগকে সমর্থন করেছিলেন। তামিল ইসাই সঙ্গমের সংগীত উৎসবের ৬০ তম আয়োজনে এ পি জে কালাম একটি তামিল কম্পোজিশন গেয়েছিলেন।
অবশ্য পরিস্থিতির যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে এমন নয়। নতুন প্রজন্মের অনেকে তো ইসাই আন্দোলনের খবরই জানেন না। তাঁদের জন্যই আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ে তামিল সংগীতের ঐতিহ্যের সমাহার নিয়ে জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।
যেমনটি বলেন আন্নামালাই চেত্তিয়ারের নাতনি সীতা চিদাম্বরম—‘তামিল গানকে এখনো কর্ণাটকি কণ্ঠশিল্পী এবং সংগীতজ্ঞরা নিকৃষ্ট বলে মনে করে। এখনো এমন গায়ক খুঁজে পাই, যারা তেলেগু গানের অর্থ না বুঝে গাইতে পারছেন। কিন্তু মাতৃভাষা তামিলে কম্পোজিশন শিখতে এবং গাইতে অনিচ্ছুক।’
তবুও, সীতা আশাবাদী যে তামিল ইসাই আন্দোলন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য তাঁদের প্রচেষ্টা মানুষের ধারণা বদলে দেবে।
তথ্যসূত্র:
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে আরও পড়ুন

বছরজুড়েই বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীদের প্রয়াণ শোকাহত করেছে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষকে। ২০২৫ সালে প্রয়াত শিল্পীদের খবর এই প্রতিবেদনে।
৬ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
৭ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দেশে। শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই করেছেন স্মৃতিচারণা। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়েই বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীদের প্রয়াণ শোকাহত করেছে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষকে। ২০২৫ সালে প্রয়াত শিল্পীদের খবর এই প্রতিবেদনে।
অঞ্জনা রহমান
৪ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
জাহিদুর রহিম অঞ্জন
২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন। কয়েক বছর ধরে লিভারের জটিলতায় ভুগছিলেন অঞ্জন।

সন্জীদা খাতুন
২৫ মার্চ মারা যান বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ, ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন। তিনি ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া, কিডনি রোগে ভুগছিলেন।
গুলশান আরা আহমেদ
১৫ এপ্রিল মারা যান ছোট পর্দার অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ। হার্ট অ্যাটাক করলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
মুস্তাফা জামান আব্বাসী
১০ মে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান সংগীত ব্যক্তিত্ব মুস্তাফা জামান আব্বাসী। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

জীনাত রেহানা
‘সাগরের তীর থেকে’ গানের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী জীনাত রেহানা মারা যান ২ জুলাই। দীর্ঘদিন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
এ কে রাতুল
জিম করতে গিয়ে ২৭ জুলাই হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান মিউজিশিয়ান এ কে রাতুল। তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা জসীমের মেজ ছেলে।
অমরেশ রায় চৌধুরী
১২ আগস্ট মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী অমরেশ রায় চৌধুরী।

ফরিদা পারভীন
১৩ সেপ্টেম্বর মারা যান লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
সেলিম হায়দার
ফিডব্যাক ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গিটারিস্ট সেলিম হায়দার মারা যান ২৭ নভেম্বর। ক্যানসারসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সংগীত ক্যারিয়ারে ফিডব্যাকসহ বাজিয়েছেন বেশ কয়েকটি ব্যান্ডের সঙ্গে। গত ৩০ বছর রুনা লায়লার সঙ্গেও নিয়মিত বাজিয়েছেন তিনি।
জেনস সুমন
গত ২৮ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সংগীতশিল্পী জেনস সুমন। ১৬ বছরের বিরতি কাটিয়ে গত বছর আবার গানে ফিরেছিলেন ‘একটা চাদর হবে’খ্যাত এই গায়ক।

বছরজুড়েই বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীদের প্রয়াণ শোকাহত করেছে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষকে। ২০২৫ সালে প্রয়াত শিল্পীদের খবর এই প্রতিবেদনে।
অঞ্জনা রহমান
৪ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
জাহিদুর রহিম অঞ্জন
২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন। কয়েক বছর ধরে লিভারের জটিলতায় ভুগছিলেন অঞ্জন।

সন্জীদা খাতুন
২৫ মার্চ মারা যান বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ, ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন। তিনি ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া, কিডনি রোগে ভুগছিলেন।
গুলশান আরা আহমেদ
১৫ এপ্রিল মারা যান ছোট পর্দার অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ। হার্ট অ্যাটাক করলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
মুস্তাফা জামান আব্বাসী
১০ মে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান সংগীত ব্যক্তিত্ব মুস্তাফা জামান আব্বাসী। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

জীনাত রেহানা
‘সাগরের তীর থেকে’ গানের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী জীনাত রেহানা মারা যান ২ জুলাই। দীর্ঘদিন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
এ কে রাতুল
জিম করতে গিয়ে ২৭ জুলাই হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান মিউজিশিয়ান এ কে রাতুল। তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা জসীমের মেজ ছেলে।
অমরেশ রায় চৌধুরী
১২ আগস্ট মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী অমরেশ রায় চৌধুরী।

ফরিদা পারভীন
১৩ সেপ্টেম্বর মারা যান লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
সেলিম হায়দার
ফিডব্যাক ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গিটারিস্ট সেলিম হায়দার মারা যান ২৭ নভেম্বর। ক্যানসারসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সংগীত ক্যারিয়ারে ফিডব্যাকসহ বাজিয়েছেন বেশ কয়েকটি ব্যান্ডের সঙ্গে। গত ৩০ বছর রুনা লায়লার সঙ্গেও নিয়মিত বাজিয়েছেন তিনি।
জেনস সুমন
গত ২৮ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সংগীতশিল্পী জেনস সুমন। ১৬ বছরের বিরতি কাটিয়ে গত বছর আবার গানে ফিরেছিলেন ‘একটা চাদর হবে’খ্যাত এই গায়ক।

হিন্দির আধিপত্য ঠেকাতে তামিলনাড়ুর মানুষের আন্দোলন ও ত্যাগ সম্ভবত অন্য অনেক ভাষা আন্দোলন থেকে আলাদা করেই উল্লেখ করার দাবি রাখে। ভাষার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং চাপিয়ে...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
৭ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দেশে। শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই করেছেন স্মৃতিচারণা। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য রইল নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার
গত মে মাসে থাইল্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে জুলাই অভ্যুত্থানের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এক দিন জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান এই নায়িকা।
পরীমণির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
গত এপ্রিল মাসে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। তবে পরীমণি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোটাই ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।

শাকিবের মেগাস্টার শব্দ নিয়ে জাহিদ হাসানের আপত্তি
অনেকেই শাকিব খানকে মেগাস্টার বলে সম্বোধন করেন। তবে শাকিব খানের নামের আগে এই শব্দচয়ন নিয়ে আপত্তিও রয়েছে অনেকের। গত জুনে এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের নামের আগে ব্যবহার করা মেগাস্টার শব্দটি নিয়ে নিজের আপত্তির কথা জানান জাহিদ হাসান। এতে শাকিবের ভক্তদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

কান উৎসবে পুরস্কার জয়
গত মে মাসে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে স্পেশাল মেনশন পুরস্কার জিতে নেয় আদনান আল রাজীব পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘আলী’। কান উৎসবে এটি বাংলাদেশের প্রথম পুরস্কার।
সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন দীঘি
একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বছরের শুরুতে গত ফেব্রুয়ারিতে জানা যায়, ‘টগর’ সিনেমায় দীঘির জায়গায় নেওয়া হয়েছে পূজা চেরিকে। নির্মাতা আলোক হাসান জানান, পেশাদারি মনোভাবের অভাব থাকায় দীঘিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে সরকারি অনুদানের ‘দেনা পাওনা’ সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয় দীঘিকে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা।

বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য রইল নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার
গত মে মাসে থাইল্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে জুলাই অভ্যুত্থানের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এক দিন জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান এই নায়িকা।
পরীমণির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
গত এপ্রিল মাসে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। তবে পরীমণি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোটাই ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।

শাকিবের মেগাস্টার শব্দ নিয়ে জাহিদ হাসানের আপত্তি
অনেকেই শাকিব খানকে মেগাস্টার বলে সম্বোধন করেন। তবে শাকিব খানের নামের আগে এই শব্দচয়ন নিয়ে আপত্তিও রয়েছে অনেকের। গত জুনে এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের নামের আগে ব্যবহার করা মেগাস্টার শব্দটি নিয়ে নিজের আপত্তির কথা জানান জাহিদ হাসান। এতে শাকিবের ভক্তদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

কান উৎসবে পুরস্কার জয়
গত মে মাসে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে স্পেশাল মেনশন পুরস্কার জিতে নেয় আদনান আল রাজীব পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘আলী’। কান উৎসবে এটি বাংলাদেশের প্রথম পুরস্কার।
সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন দীঘি
একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বছরের শুরুতে গত ফেব্রুয়ারিতে জানা যায়, ‘টগর’ সিনেমায় দীঘির জায়গায় নেওয়া হয়েছে পূজা চেরিকে। নির্মাতা আলোক হাসান জানান, পেশাদারি মনোভাবের অভাব থাকায় দীঘিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে সরকারি অনুদানের ‘দেনা পাওনা’ সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয় দীঘিকে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা।

হিন্দির আধিপত্য ঠেকাতে তামিলনাড়ুর মানুষের আন্দোলন ও ত্যাগ সম্ভবত অন্য অনেক ভাষা আন্দোলন থেকে আলাদা করেই উল্লেখ করার দাবি রাখে। ভাষার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং চাপিয়ে...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বছরজুড়েই বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীদের প্রয়াণ শোকাহত করেছে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষকে। ২০২৫ সালে প্রয়াত শিল্পীদের খবর এই প্রতিবেদনে।
৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
৭ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দেশে। শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই করেছেন স্মৃতিচারণা। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
বিয়ে করলেন যাঁরা
বছরের শুরুতেই বিয়ের খবর জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। তাহসানের সঙ্গে অভিনেত্রী মিথিলার বিচ্ছেদ হয়েছে ২০১৭ সালে। এরপর মিথিলা ওপার বাংলার নির্মাতা সৃজিতের সঙ্গে ঘর বাঁধলেও তাহসান ছিলেন একা। এ বছর জানুয়ারিতে নতুন সংসার বাঁধলেন তাহসান। পাত্রী রোজা আহমেদ। পেশায় মেকওভার আর্টিস্ট। রোজা নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর পড়াশোনা করেছেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা। নিউইয়র্কে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাঁর।

এ বছর বিশেষ আলোচনার জন্ম দিয়েছে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও নির্মাতা আদনান আল রাজীবের বিয়ের ঘটনা। ২০১৩ সাল থেকে দুজনে প্রেম করছেন বলে জানা যায়। দীর্ঘ ১৩ বছরের প্রমের সফল পরিণতি আসে এ বছর। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তাঁরা।
এ বছর একই সঙ্গে বিচ্ছেদ, বিয়ে ও নবাগত সন্তানের খবর দিয়ে চমকে দিয়েছেন সংগীত তারকা জেমস। দ্বিতীয় স্ত্রী বেনজীরের সঙ্গে জেমসের বিচ্ছেদ হয়েছে ২০১৪ সালে। এর ১০ বছর পর ২০২৪ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নামিয়া আমিনকে বিয়ে করেন জেমস। এ বছর জুন মাসে তিনি পুত্রসন্তানের বাবা হয়েছেন। এত দিন ব্যক্তিগত জীবনের এসব খবর গোপন রেখেছিলেন জেমস। গত ২২ অক্টোবর নিজেই জানিয়েছেন সব ঘটনা। সেই সঙ্গে প্রকাশ করেছেন নতুন সংসারে ঘর আলো করে আসা পুত্রসন্তানের ছবি।

এ বছর আরও যাঁরা বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিনয়শিল্পী শবনম ফারিয়া, শামীম হাসান সরকার, জামিল হোসেন, মাইমুনা ফেরদৌস মম, সংগীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা, নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মিজানুর রহমান আরিয়ান ও জাহিম প্রীতম।
ভেঙেছে যাঁদের সংসার
অনেক তারকার নতুন সংসার শুরু করার খবরের পাশাপাশি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাও জানা গেছে এ বছর। ১৪ ডিসেম্বর অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু জানান, সংবাদ পাঠিকা মমরেনাজ মোমোর সঙ্গে ছয় বছর আগে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। এত দিন দুজনের সিদ্ধান্তেই খবরটি গোপন রেখেছিলেন তাঁরা। আবার দুজনে আলোচনা করেই বিচ্ছেদের খবরটি প্রকাশ করেছেন এ বছর।

২০ ডিসেম্বর অভিনেত্রী আফসানা আরা বিন্দু জানান তাঁর সংসার ভাঙার খবর। ২০১৭ সাল থেকে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিক ও বিন্দু সেপারেশনে ছিলেন। ২০২২ সালে আলোচনার মাধ্যমেই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। কাছের মানুষেরা জানলেও মিডিয়ায় বিষয়টি প্রকাশ করেননি তাঁরা।
গতকাল ৩০ ডিসেম্বর সংগীতশিল্পী সালমার সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর জানান সানাউল্লাহ নূরে সাগর। এরপর সালমা নিজেও জানিয়েছেন তাঁর সংসার ভাঙার খবর। সালমা জানিয়েছেন, ২৯ নভেম্বর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তাঁদের।

২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
বিয়ে করলেন যাঁরা
বছরের শুরুতেই বিয়ের খবর জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। তাহসানের সঙ্গে অভিনেত্রী মিথিলার বিচ্ছেদ হয়েছে ২০১৭ সালে। এরপর মিথিলা ওপার বাংলার নির্মাতা সৃজিতের সঙ্গে ঘর বাঁধলেও তাহসান ছিলেন একা। এ বছর জানুয়ারিতে নতুন সংসার বাঁধলেন তাহসান। পাত্রী রোজা আহমেদ। পেশায় মেকওভার আর্টিস্ট। রোজা নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর পড়াশোনা করেছেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা। নিউইয়র্কে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাঁর।

এ বছর বিশেষ আলোচনার জন্ম দিয়েছে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও নির্মাতা আদনান আল রাজীবের বিয়ের ঘটনা। ২০১৩ সাল থেকে দুজনে প্রেম করছেন বলে জানা যায়। দীর্ঘ ১৩ বছরের প্রমের সফল পরিণতি আসে এ বছর। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তাঁরা।
এ বছর একই সঙ্গে বিচ্ছেদ, বিয়ে ও নবাগত সন্তানের খবর দিয়ে চমকে দিয়েছেন সংগীত তারকা জেমস। দ্বিতীয় স্ত্রী বেনজীরের সঙ্গে জেমসের বিচ্ছেদ হয়েছে ২০১৪ সালে। এর ১০ বছর পর ২০২৪ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নামিয়া আমিনকে বিয়ে করেন জেমস। এ বছর জুন মাসে তিনি পুত্রসন্তানের বাবা হয়েছেন। এত দিন ব্যক্তিগত জীবনের এসব খবর গোপন রেখেছিলেন জেমস। গত ২২ অক্টোবর নিজেই জানিয়েছেন সব ঘটনা। সেই সঙ্গে প্রকাশ করেছেন নতুন সংসারে ঘর আলো করে আসা পুত্রসন্তানের ছবি।

এ বছর আরও যাঁরা বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিনয়শিল্পী শবনম ফারিয়া, শামীম হাসান সরকার, জামিল হোসেন, মাইমুনা ফেরদৌস মম, সংগীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা, নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মিজানুর রহমান আরিয়ান ও জাহিম প্রীতম।
ভেঙেছে যাঁদের সংসার
অনেক তারকার নতুন সংসার শুরু করার খবরের পাশাপাশি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাও জানা গেছে এ বছর। ১৪ ডিসেম্বর অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু জানান, সংবাদ পাঠিকা মমরেনাজ মোমোর সঙ্গে ছয় বছর আগে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। এত দিন দুজনের সিদ্ধান্তেই খবরটি গোপন রেখেছিলেন তাঁরা। আবার দুজনে আলোচনা করেই বিচ্ছেদের খবরটি প্রকাশ করেছেন এ বছর।

২০ ডিসেম্বর অভিনেত্রী আফসানা আরা বিন্দু জানান তাঁর সংসার ভাঙার খবর। ২০১৭ সাল থেকে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিক ও বিন্দু সেপারেশনে ছিলেন। ২০২২ সালে আলোচনার মাধ্যমেই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। কাছের মানুষেরা জানলেও মিডিয়ায় বিষয়টি প্রকাশ করেননি তাঁরা।
গতকাল ৩০ ডিসেম্বর সংগীতশিল্পী সালমার সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর জানান সানাউল্লাহ নূরে সাগর। এরপর সালমা নিজেও জানিয়েছেন তাঁর সংসার ভাঙার খবর। সালমা জানিয়েছেন, ২৯ নভেম্বর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তাঁদের।

হিন্দির আধিপত্য ঠেকাতে তামিলনাড়ুর মানুষের আন্দোলন ও ত্যাগ সম্ভবত অন্য অনেক ভাষা আন্দোলন থেকে আলাদা করেই উল্লেখ করার দাবি রাখে। ভাষার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং চাপিয়ে...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বছরজুড়েই বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীদের প্রয়াণ শোকাহত করেছে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষকে। ২০২৫ সালে প্রয়াত শিল্পীদের খবর এই প্রতিবেদনে।
৬ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
৭ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দেশে। শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই করেছেন স্মৃতিচারণা। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
১৪ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দেশে। শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই করেছেন স্মৃতিচারণা। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
বিনোদন ডেস্ক

তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
—হানিফ সংকেত, নির্মাতা ও উপস্থাপক
সর্বজন শ্রদ্ধেয় তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি হারিয়েছে একজন অভিভাবক। দেশ ও জাতির কল্যাণে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন। তাঁর শোকাবহ পরিবারের সকল সদস্যের প্রতি গভীর সমবেদনা।
আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে
—মনির খান, সংগীতশিল্পী
২০১১ সালে আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলাম, তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। হাতে পুরস্কার ও গলায় মেডেল পরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমাকে অনেক দূর যেতে হবে।’ একপর্যায়ে তিনি আমাকে জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক কমিটির সহসংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক বানালেন। সেই সুবাদে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা হতো, কথা হতো। উনি বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন, নির্দেশনা দিতেন কীভাবে কাজ করতে হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদ শুনে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে আমার, কোনোভাবেই মানতে পারছি না। কিছু চলে যাওয়া পাহাড় সমান বেদনার। অনেকবার তিনি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছেন। বারবার এসেছে তাঁর বিদেশে যাওয়ার প্রসঙ্গ। উনি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘এ দেশের মাটি ও মানুষ ছাড়া বিদেশের মাটিতে আমার কোনো ঠিকানা নেই। দেশের মানুষের অন্তরেই আমার বসবাস। এখানেই আমার মৃত্যু হবে, এই মাটিতেই আমার কবর হবে।’ তাঁর কথাই সত্য হলো।
তিনি দেশপ্রেমের উৎকৃষ্ট উদাহরণ
—কনকচাঁপা, সংগীতশিল্পী
চলে গেলেন স্মরণকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আপসহীন অবিসংবাদিত নেতা বেগম খালেদা জিয়া। বারবার তাঁর নামের সঙ্গে উচ্চারিত হয় ‘আপসহীন’। তিনি অন্যায়, মিথ্যাচার, স্বৈরচারিতার কাছে মাথা নত করেননি। দেশের মানুষের মায়ায় তিনি সংসার, সন্তান, আরাম-আয়েশি বিলাসী জীবন—কিছুর তোয়াক্কা করেন নাই। আফসোস, একটা মিথ্যা মামলার কারণে তিনি সুন্দরভাবে জীবনের সমাপ্তি টানতে পারলেন না। জেলখানায় তাঁর জীবন কীভাবে কেটেছে তা ভেবে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত। অথচ তিনি থাকতেন নির্ভার! এ জন্যই তিনি অকুতোভয় জীবনযোদ্ধা, মৃত্যুঞ্জয়ী মহামানবী। তাঁর স্পষ্ট উচ্চারণ ছিল, ‘জীবনে যা কিছু হয়ে যাক এই দেশ, এই দেশের মানুষ ছেড়ে আমি কোথাও যাব না।’ দেশপ্রেমের উৎকৃষ্ট উদাহরণ তিনি, তিনিই প্রকৃত রাজনীতিবিদ এবং খাঁটি দেশনেতা। আমাদের দুঃখ রাখার জায়গা নেই যে আমরা তাঁকে সঠিক মর্যাদা দিতে পারিনি।
বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন তিনি
—জয়া আহসান, অভিনেত্রী
বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চির প্রশান্তি লাভ করুক।
শত প্রতিকূলতায়ও মর্যাদা ও ধীর-স্থিরতায় নিজেকে ধারণ করেছেন তিনি
—আজমেরী হক বাঁধন, অভিনেত্রী
আমাদের জাতির রাজনৈতিক ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর নেতৃত্ব ও দীর্ঘদিনের জনসেবা বাংলাদেশের ওপর স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে। তিনি অসাধারণ এক জীবন যাপন করেছেন। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও যে মর্যাদা ও ধীর-স্থিরতায় নিজেকে ধারণ করেছেন তিনি, তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। জাতি তাঁকে সম্মান, কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
তাঁর প্রয়াণে দেশ ও জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল
—বেবী নাজনীন, সংগীতশিল্পী
বেগম খালেদা জিয়া দেশ এবং মানুষের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, রাজনীতির ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল। তাঁকে হারানোর দুঃখ মানুষের মনে সব সময় বিরাজমান থাকবে।
খালেদা জিয়া হলো একটা ইনস্টিটিউশন। তাঁর সঙ্গে থেকে অনেকে অনেক কিছু শিখেছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের অভিভাবক ছিলেন। দলের নেতা-কর্মীদের হাতে-কলমে শিখিয়েছেন কীভাবে রাজনীতি করতে হয়। আমারও হাতেখড়ি তিনিই দিয়েছেন।
তাঁর সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। আমার মতো তাঁর কাছাকাছি আর কেউ হয়তো থাকেনি। উনি জেলে যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। খুব আদর ও স্নেহ করে বলেছিলেন, ‘ভালো থেকো, নিজের যত্ন নিও। তোমরা দেশ বাঁচাও এবং দেশের মানুষ বাঁচাও।’
এই অন্তিম যাত্রায় তিনি যেমন মানুষের দোয়া নিয়ে গেছেন, তেমনি দেশের মানুষের জন্য রেখে গেছেন আশীর্বাদ, যা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানুষের মাঝে গণতান্ত্রিক শক্তি হয়ে কাজ করবে।

তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
—হানিফ সংকেত, নির্মাতা ও উপস্থাপক
সর্বজন শ্রদ্ধেয় তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি হারিয়েছে একজন অভিভাবক। দেশ ও জাতির কল্যাণে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন। তাঁর শোকাবহ পরিবারের সকল সদস্যের প্রতি গভীর সমবেদনা।
আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে
—মনির খান, সংগীতশিল্পী
২০১১ সালে আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলাম, তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। হাতে পুরস্কার ও গলায় মেডেল পরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমাকে অনেক দূর যেতে হবে।’ একপর্যায়ে তিনি আমাকে জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক কমিটির সহসংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক বানালেন। সেই সুবাদে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা হতো, কথা হতো। উনি বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন, নির্দেশনা দিতেন কীভাবে কাজ করতে হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদ শুনে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে আমার, কোনোভাবেই মানতে পারছি না। কিছু চলে যাওয়া পাহাড় সমান বেদনার। অনেকবার তিনি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছেন। বারবার এসেছে তাঁর বিদেশে যাওয়ার প্রসঙ্গ। উনি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘এ দেশের মাটি ও মানুষ ছাড়া বিদেশের মাটিতে আমার কোনো ঠিকানা নেই। দেশের মানুষের অন্তরেই আমার বসবাস। এখানেই আমার মৃত্যু হবে, এই মাটিতেই আমার কবর হবে।’ তাঁর কথাই সত্য হলো।
তিনি দেশপ্রেমের উৎকৃষ্ট উদাহরণ
—কনকচাঁপা, সংগীতশিল্পী
চলে গেলেন স্মরণকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আপসহীন অবিসংবাদিত নেতা বেগম খালেদা জিয়া। বারবার তাঁর নামের সঙ্গে উচ্চারিত হয় ‘আপসহীন’। তিনি অন্যায়, মিথ্যাচার, স্বৈরচারিতার কাছে মাথা নত করেননি। দেশের মানুষের মায়ায় তিনি সংসার, সন্তান, আরাম-আয়েশি বিলাসী জীবন—কিছুর তোয়াক্কা করেন নাই। আফসোস, একটা মিথ্যা মামলার কারণে তিনি সুন্দরভাবে জীবনের সমাপ্তি টানতে পারলেন না। জেলখানায় তাঁর জীবন কীভাবে কেটেছে তা ভেবে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত। অথচ তিনি থাকতেন নির্ভার! এ জন্যই তিনি অকুতোভয় জীবনযোদ্ধা, মৃত্যুঞ্জয়ী মহামানবী। তাঁর স্পষ্ট উচ্চারণ ছিল, ‘জীবনে যা কিছু হয়ে যাক এই দেশ, এই দেশের মানুষ ছেড়ে আমি কোথাও যাব না।’ দেশপ্রেমের উৎকৃষ্ট উদাহরণ তিনি, তিনিই প্রকৃত রাজনীতিবিদ এবং খাঁটি দেশনেতা। আমাদের দুঃখ রাখার জায়গা নেই যে আমরা তাঁকে সঠিক মর্যাদা দিতে পারিনি।
বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন তিনি
—জয়া আহসান, অভিনেত্রী
বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চির প্রশান্তি লাভ করুক।
শত প্রতিকূলতায়ও মর্যাদা ও ধীর-স্থিরতায় নিজেকে ধারণ করেছেন তিনি
—আজমেরী হক বাঁধন, অভিনেত্রী
আমাদের জাতির রাজনৈতিক ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর নেতৃত্ব ও দীর্ঘদিনের জনসেবা বাংলাদেশের ওপর স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে। তিনি অসাধারণ এক জীবন যাপন করেছেন। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও যে মর্যাদা ও ধীর-স্থিরতায় নিজেকে ধারণ করেছেন তিনি, তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। জাতি তাঁকে সম্মান, কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
তাঁর প্রয়াণে দেশ ও জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল
—বেবী নাজনীন, সংগীতশিল্পী
বেগম খালেদা জিয়া দেশ এবং মানুষের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, রাজনীতির ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল। তাঁকে হারানোর দুঃখ মানুষের মনে সব সময় বিরাজমান থাকবে।
খালেদা জিয়া হলো একটা ইনস্টিটিউশন। তাঁর সঙ্গে থেকে অনেকে অনেক কিছু শিখেছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের অভিভাবক ছিলেন। দলের নেতা-কর্মীদের হাতে-কলমে শিখিয়েছেন কীভাবে রাজনীতি করতে হয়। আমারও হাতেখড়ি তিনিই দিয়েছেন।
তাঁর সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। আমার মতো তাঁর কাছাকাছি আর কেউ হয়তো থাকেনি। উনি জেলে যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। খুব আদর ও স্নেহ করে বলেছিলেন, ‘ভালো থেকো, নিজের যত্ন নিও। তোমরা দেশ বাঁচাও এবং দেশের মানুষ বাঁচাও।’
এই অন্তিম যাত্রায় তিনি যেমন মানুষের দোয়া নিয়ে গেছেন, তেমনি দেশের মানুষের জন্য রেখে গেছেন আশীর্বাদ, যা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানুষের মাঝে গণতান্ত্রিক শক্তি হয়ে কাজ করবে।

হিন্দির আধিপত্য ঠেকাতে তামিলনাড়ুর মানুষের আন্দোলন ও ত্যাগ সম্ভবত অন্য অনেক ভাষা আন্দোলন থেকে আলাদা করেই উল্লেখ করার দাবি রাখে। ভাষার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং চাপিয়ে...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বছরজুড়েই বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীদের প্রয়াণ শোকাহত করেছে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষকে। ২০২৫ সালে প্রয়াত শিল্পীদের খবর এই প্রতিবেদনে।
৬ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
৭ ঘণ্টা আগে