Ajker Patrika

সৌদি তরুণী জারা: ‘হালাল র‍্যাপ’ সংগীতে মাত করেছেন নেট দুনিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সৌদি আরবের মুসলিম নারী র‍্যাপার জারা। ছবি: সংগৃহীত
সৌদি আরবের মুসলিম নারী র‍্যাপার জারা। ছবি: সংগৃহীত

‘হালাল র‍্যাপ’—শুনতে অবাক লাগছে? ভাবছেন হালাল র‍্যাপ আবার কী জিনিস! আপনার এই ধারণা ভেঙে দেবে সৌদি আরবের নারী র‍্যাপার জারা ওরফে হুডজাবি। খুব অল্পদিনেই হিপহপ গানের এই ধারায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ২৭ বছর বয়সী এই তরুণী।

দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসকে জারা জানান, তিনি ধর্মপ্রাণ মুসলিম। তাঁর র‍্যাপ গানে হাল আমলের র‍্যাপ গানগুলোর মতো গালিগালাজ কিংবা যৌনতা নেই। বরং এটিকে তিনি প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, ‘নিজেকে প্রকাশ করার একটা গভীর তাগিদ থেকে র‍্যাপ শুরু করা। আমি আসলে ছোটবেলা থেকেই শব্দ নিয়ে খেলতে পছন্দ করতাম, ছন্দে ছন্দে কথা বলতাম। তখনো জানতাম না একে র‍্যাপ বলে। বাড়িতে বাবা-মাকে বলতাম আমাকে একটা শব্দ দাও। এরপর ওই শব্দ দিয়ে ছন্দ মিলিয়ে ফ্রি–স্টাইল (ইচ্ছেমতো ছন্দ) করতাম।’

সৌদি আরবের প্রথম দিকের কয়েকজন নারী র‍্যাপারের একজন জারা। সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সৌদির সীমানা পেরিয়ে তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে থাকছেন। আরবি, ইংরেজির পাশাপাশি সুইডিশ ভাষাতেও সাবলীল এই তরুণী। জানান, আরও একটি ভাষা শেখার ইচ্ছা আছে তাঁর। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গান ‘মোরালস’, যা তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ সমাদৃত হচ্ছে।

তিনি সব সময় হিজাব আর হুডি পরেন বলে সংগীত জগতে পরিচিতি পেয়েছেন ‘হুডজাবি’ নামে। নিজের জীবনাচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘সবাই জানে না যে আমি আসলে খুবই ধর্মপ্রাণ মানুষ। পুরুষের সঙ্গে গান করি না। তবে, কোনো নারী র‍্যাপারের সঙ্গে মঞ্চে গান করার ইচ্ছা আছে।’

জেদ্দায় জন্ম নেওয়া এই তারকা জানান, খ্যাতি বা অর্থ নয়, বরং মানুষের কাছে নিজের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগটাই তাঁকে চালিত করে। তিনি বলেন, ‘আমি যত গান করি, প্রতিটা গানের পেছনে একটা উদ্দেশ্য থাকে। আমি বর্ণবাদ, মানসিক স্বাস্থ্য, লিঙ্গভিত্তিক ভূমিকা আর নৈতিকতা নিয়ে কথা বলি। আমার মনে হয়, সংগীতই মানুষের কাছে গল্প বলার, বার্তা পৌঁছে দেওয়ার শক্তিশালী উপায়।’

জারা নিজে সংগীতশিল্পী হলেও অন্যদের গান শোনেন না। জানান, এতে নিজের গানে অন্যের প্রভাব চলে আসে। নিজের স্বকীয়তা ধরে রাখতেই অন্য শিল্পীদের গান শোনা থেকে বিরত থাকেন। তিনি বলেন, ‘আগে প্রচুর গান শুনতাম। কিন্তু কয়েক বছর ধরে গান শোনা একেবারে কমিয়ে ফেলেছি। কারণ, আমি খেয়াল করেছি, অন্যদের গান যখন শুনি তখন নিজের অজান্তে আমার গানে তার প্রভাব পড়ে। চাই না এমন কোনো প্রভাব আমার শিল্পকর্মে থাকুক।’

জারা জানান, অচেনা পথে এই যাত্রায় সবচেয়ে বড় শক্তি তাঁর বাবা। তিনি বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় সমর্থক আমার বাবা; উনি আমার সঙ্গে মিউজিক স্টুডিও থেকে সব জায়গায় যান। ওনার সাহায্য ছাড়া আমার পক্ষে এত দূর আসা সম্ভব হতো না। কারণ অনেক পুরুষ–প্রধান জায়গায় আমি হয়তো যেতামই না যদি বাবা পাশে না থাকতেন।’

এই হিপহপ মিউজিশিয়ান আরও বলেন, ‘আমি যখন বাবাকে জানাই যে গান নিয়ে কাজ করতে চাই। বাবা তখন জানতে চাইলেন, কোন ঘরানার গান নিয়ে কাজ করব। বাবাকে দেখাতে জনপ্রিয় একটা র‍্যাপ গান খুঁজছিলাম। কিন্তু অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, একটা গানও নেই যেটা আমি বাবাকে শোনাতে পারি। সব গানের কথা গালাগালি দিয়ে ভর্তি। তখনই মনে হলো এই জনরাটা (ধরন) আমি বদলাতে চাই। সবাইকে বার্তা দিতে চাই—আপনি মুসলিম, ধর্মপ্রাণ হয়েও র‍্যাপ করতে পারেন। গালাগালি ছাড়াও নিজের মনের ভাব সুন্দরভাবেই প্রকাশ করা সম্ভব।’

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘মোরালস’ গানটির প্রসঙ্গে জারা জানান, গানটিতে যুক্তরাজ্যের ড্রিল ঘরানায় ছাপ আছে। বলেন, ‘আমি চাই না মানুষ আমাকে কেবল র‍্যাপার হিসেবেই দেখুক। আমি সব ধরনের গান গাইতে চাই। র‍্যাপ, অ্যাফ্রো পিয়ানো, হিপহপ, সাইফার—কোনো নির্দিষ্ট ধাঁচে নিজেকে আটকে রাখতে চাই না। একজন শিল্পী হিসেবে সব সময় নতুন কিছু চেষ্টা করে যেতে হয়।’

সৌদি আরবের মুসলিম নারী র‍্যাপার জারা। ছবি: সংগৃহীত
সৌদি আরবের মুসলিম নারী র‍্যাপার জারা। ছবি: সংগৃহীত

গান লেখার ব্যাপারে বলেন, ‘লেখার সময় আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করি—কী বললে মানুষ সত্যিই প্রভাবিত হবে? আমার গানের কথায় এমন কী থাকতে পারে, যা মানুষের ভেতরে গেঁথে যাবে?’

কোনো গালাগালি বা যৌনতা না থাকা সত্ত্বেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানান এই শিল্পী। তবে, সেসব সমালোচনার জবাবও তিনি গানের মধ্যেই দেন। তিনি বলেন, ‘আমার গানের মন্তব্যের ঘরে এসে ছেলেরা মন্তব্য করে–এসব না করে রান্নাঘরে যাও। সেটা নিয়েই আমি একটা গান লিখে ফেলি যার কথা অনেকটা এমন—হ্যাঁ, আমি রান্নাঘরে যেতে পারি, কিন্তু আমি এটা–ওটা–আরও অনেক কিছুই করতে পারি। আমি মূলত নেতিবাচক বিষয়গুলোকেও ইতিবাচক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করি।’

নতুন যারা র‍্যাপ গান নিয়ে এগোতে চায় তাদের উদ্দেশে জারার পরামর্শ, ‘তোমার মূল্যবোধ বিসর্জন দিও না। কেবল সফল হওয়ার জন্য, খ্যাতির জন্য বা ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য নিজেকে বিকিয়ে দিও না। যদি একটা কাজে তোমার মন সায় না দেয়, তাহলে সেটা না করাই ভালো। আমি নিজেও এমন অনেক প্রস্তাব পেয়েছি—অনেক টাকা, ক্যাম্পেইন—কিন্তু সেগুলো আমার আদর্শের সঙ্গে যায় না। তাই আমি করিনি। সব নারীকে বলব, সফল হতে হলে তোমাকে বিকিয়ে যেতে হবে—এই ভাবনাটা ভুলে যাও। হয়তো একটু বেশি সময় লাগবে, কিন্তু দিন শেষে তুমি ভালো বোধ করবে, কারণ তুমি সঠিক পথে এগিয়েছ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৩
২০০৪ সালের ১৯ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাত থেকে নতুন কুঁড়ি ২০০৩-এর দেশাত্মবোধক গানের প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করছেন পুতুল। ছবি: সংগৃহীত
২০০৪ সালের ১৯ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাত থেকে নতুন কুঁড়ি ২০০৩-এর দেশাত্মবোধক গানের প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করছেন পুতুল। ছবি: সংগৃহীত

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। শোক জানিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি ভাগ করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।

খালেদা জিয়াকে প্রথমবার দেখার স্মৃতি জানিয়ে ফেসবুকে পুতুল লেখেন, ‘জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছিলাম শৈশবে; ছুঁয়েছিলাম তাঁর তুলতুলে হাত। কী অভূতপূর্ব সেই অনুভূতি! বিজয়ী হয়ে যত না আনন্দ হয়েছিল, তার চাইতে কোনো অংশে কম ছিল না তাঁকে ছুঁতে পারার আনন্দ। পুরস্কার নিতে নিতে তাকিয়েছিলাম তাঁর চোখ দুটোর দিকে। মনে হয়েছিল এক মোম দিয়ে গড়া মানবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছেন। ধূসর চুল আর শুভ্র শাড়িতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে বোধ হয় এতটাই আভিজাত্য নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।’

বড় হওয়ার পার খালেদা জিয়ার সামনে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে পুতুলের। সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে পুতুল লেখেন, ‘বড় হওয়ার পর আবার গান গেয়েছি তাঁর সামনে। তত দিনে সংগীতাঙ্গনে পেশাদার শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। তিনি মঞ্চে বসে, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একই মঞ্চে গাইছি। তিনি আদর করেছিলেন সেদিন আমার পরিবেশনা শেষে। বুঝেছিলাম তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।’

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পুতুল লেখেন, ‘একটা অধ্যায়ের শেষ হলো। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ওপারে চলে গেছেন, যিনি এ দেশের লাখো তরুণীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাধারণ একজন গৃহবধূ হয়েও আত্মবিশ্বাসের জোরে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। শুধু অসাধারণ নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। জন্ম থেকে রাজনীতির কেবল দীর্ঘ প্রেক্ষাপট থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিজের প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে তিনবার তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভালো থাকবেন মাননীয়া। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে...।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন: জয়া আহসান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৫
খালেদা জিয়া ও জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া ও জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন।

ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য।’

জয়া আরও লেখেন, ‘রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’

গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোবিজ তারকাদের শোক

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শাকিব, অপু বিশ্বাস ও জেমস। ছবি: সংগৃহীত
শাকিব, অপু বিশ্বাস ও জেমস। ছবি: সংগৃহীত

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।

ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’

শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’

জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’

অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’

শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’

সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’

নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’

অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদা পারভীনের জন্মদিনে শিল্পকলায় বিশেষ আয়োজন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ফরিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।

আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।

ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।

এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত