জি এম এমদাদ

এই যে এক্সপ্লোর করা… মানুষ, মাটি, ঐতিহ্য, যেখানে থাকেন তার আশপাশ, আশপাশের জনপদ, লোকালয়, বিখ্যাত মানুষ, এখানকার সংস্কৃতি, কৃষ্টি দীর্ঘদিন ধরে আপনার লেখায়, আপনার গবেষণায় এক্সপ্লোর করে চলেছেন। এই চিন্তা কবে থেকে হলো? কেন?
জি এম এমদাদ: মূলত আমি তো তোমাদের শিক্ষক হিসেবেই ছিলাম। তখন থেকে আমার মনের মধ্যে একটা ইয়ে হলো, সাংবাদিকতা করতে গেলাম। চিন্তা করলাম প্রচলিত সাংবাদিকতার বাইরে যেয়ে সাংবাদিকতাটা করার।
ভাবলাম ফিচারধর্মী কোনো নিউজ, যা এলাকার উন্নয়নের কাজে লাগে (এ রকম কিছু করা যায় কিনা)! ধরা যাক—এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল নেই, কলেজ নেই, সেটার জন্য বছরের পর বছর নিরক্ষর থেকে যাচ্ছে। অথচ সেখানে একটা স্কুল করা যায় কিনা—তা নিয়ে কেউ লেখে না।
অসংখ্য গুণীজন পড়ে আছে। অবহেলিত গুণীজন যারা, তাঁদের খোঁজ কেউ নেয় না। খুঁজে খুঁজে দেখতে লাগলাম; ধরো এই মানিকতলা (স্থানীয় বাজার) কীভাবে হলো, এর মূলে কে কে ছিল? ধীরাজতুল্ল সরদার এখানে প্রথম স্কুল করিচে। বসিরগাজী নামে একজন ছিলেন, এখানে এই বাজারের জন্য জমিটমি দিয়েছেন।
তাঁদের পঞ্চাশ বছর এক শ বছর আগের দান করা জমিতে আজ আমরা ফলাফল ভোগ করতিছি। এই ইতিহাসটা তো কেউ জানে না। কেউ লেখে না। তখন আমি এই বিষয়ের ওপর ফিচার করতে শুরু করলাম। একটা নিউজ এল—‘অবহেলিত এক গ্রামের নাম রামনগর’…
[এতক্ষণ ধরে চলা প্রথম ধাপের চা-পর্বের রেশ নেতিয়ে এসেছে। চায়ের কাপ নিতে এসেছিল দোকানদার। জি এম এমদাদ পানটা মুখে দিয়ে কাগজে আঙুলের অগ্রভাগ মুছে নিলেন। ‘একটা পান নিয়ে আসো দি’ আমার দিকে ইঙ্গিত—পান খেতে চাই কিনা! না চাওয়ার যেহেতু কোনো কারণই নেই, ফলে আরেক দফা অর্ডার হয়—‘আর দুটো পান নিয়ে আসো।’ কথা শুরু করেন জি এম এমদাদ]
আমার রামনগর গ্রাম নিয়েও তো নিউজ আসে! এবং সেটা বড় আকারে! ভাবলাম, রামনগর গ্রাম নিয়ে যদি নিউজ আসে, তাহলে প্রতিডা গ্রামের ওপর নিউজ করা লাগবে। তখন আমি বিভিন্ন জায়গায় যাতি (যেতে) লাগলাম। কাজী ইমদাদুল হককে খুঁজতে লাগলাম, মেহের মুসুল্লীকে খুঁজতে লাগলাম। ইদানীং আমি আবার একটা ফিচার লেখার ইয়ে করিচি (করেছি), এখনকার যে বিলুপ্ত হাটবাজার, এখানে ওই যে ঘোষের হাট ছিল, সেই হাটটা নেই।
এখানে দুবোডাঙ্গার হাট ছিল। বিলের মাথায় একটা হাট ছিল দুবোডাঙ্গার হাট, সেটা তোমরা দ্যাখোনি। হাটটা এইরাম (এ রকম) সময় মানে সন্ধ্যার সময় বসত। রাত দশটার দিকে হাট ভাঙলে মানুষজন টেমি (কেরোসিনের ল্যাম্প) মাথায়–টাথায় করে নিয়ে বাড়ি ফিরত। রাত্তিরি রান্নাবান্না করে খেয়ে রাত বারোটার দিকে ঘুমাত।
তাহলে কিছু হাট বিলুপ্ত হয়েছে, এবং বিনিময়ে নতুন নতুন কিছু হাটও জন্মাইছে। একচড়ের হাট, এই হাট সেই হাট… এসব নাম জানি, যেগুলো আছে। কিন্তু বিলুপ্ত হয়ে গেছে যেগুলো, সেগুলো জানার কোনো উপায় নেই।
তারপর দেখলাম আমাদের বাড়ির পাশে একটা নদী ছিল; আদাসুর। খলিলনগর যাতি (যাওয়ার) পথে একটা খাল পড়ে না? ওটা হচ্ছে আদাসুর নদীর অবশিষ্ট অংশ। ওই নদীটা যদি না থাকত, তাহলে এখানে দমদমা হতো না। ধনপতি সওদাগর ব্যবসা–বাণিজ্য করে, মালটাল কিনে এনে যে জায়গায় রাখত, সেই জায়গাডার নাম হয়িচে (হচ্ছে) দমদমা। চাঁদসওদাগর, ধনপতি সওদাগর বাস করত এখানে।
জি এম এমদাদ: এ রকমভাবে ইতিহাস খুঁজদি খুঁজদি (খুঁজতে খুঁজতে) দেখলাম, একটা বেশ কালেকশন হয়ে গেছে। মাথায় এল এইগুলো দিয়েই তো আমি বই করতে পারি! তখন বের করলাম ‘সাদা সোনার রাজ্য’। বাইরিত্তি (বাইরে থেকে) যাঁরা আসেন, তাঁরা পাইকগাছাকে জানার জন্য এই একটা বই-ই পায়। বইটা যদি না করতাম, তাহলে কী হতো? হয়তো কপিলমুনি একজন আসলো এই এলাকাটা সম্পর্কে জানার জন্য। বিশিষ্ট যারা শিক্ষাবিদ আছেন, তাঁদের কাছে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা সন্ধান দেবে, এখানে রায়সাহেব (বিনোদ বিহারী) আছেন। আরও যদি দেখতে চান, তাহলে পিসি রায়ের ওখানে যান। পিসি রায়ের বাড়ি কোথায়? ওই যে, খুলনার পাইকগাছার বাড়ুলিতে।
এখানে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের জন্মস্থান। এখানে একজন বৃক্ষপ্রেমী মানুষ ছিলেন (মেহের মুসল্লী) তিনি রাস্তার ধারে গাছ লাগাইছেন, তালা থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত (প্রায় ২৩ কিলোমিটার)। এ রকম অনেক কথাই বলে দিল বিশিষ্টজনরা। কিন্তু লেখা আকারে তো আর তাঁদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে ভাবলাম এই ইতিহাস-ঐতিহ্যকে কবিতা আকারে, ছন্দ আকারে রূপ দেওয়া যায় কিনা! ওই বইটার নাম দিলাম ‘পাইকগাছার পাসওয়ার্ড’।
জি এম এমদাদ: আমার আগাগোড়া কেটেছে এখানেই। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সচক্ষে উপলদ্ধি করেছি। একষট্টিতে জন্ম। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্লাস ফাইভের ছাত্র। কপিলমুনি হসপিটালে আব্বা যখন চাকরি করত, ওখানেই ছিলাম। আব্বা এইটটি টুতে মারা যাওয়ার পর রামনগর এসে বাড়ি করলাম। তার আগ পর্যন্ত কপিলমুনি (পাইকগাছা উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান) ছিলাম। এখানকার সবাই মনে করত, আমি কপিলমুনির ছেলে। গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি নিলাম, পোস্টিং হলো বরগুনা।
জি এম এমদাদ: যেখানেই যাই না কেন সার্বিকভাবে মেশার চেষ্টা করি। দেখার চেষ্টা করি। ওখানে যে এক বছর ছিলাম, বরগুনার অনেক গ্রাম ঘুরেছি। সেখানকার মানুষের সাথে মিশেছি। ওই সময় এ রকম নিষেধাজ্ঞা—কোনো গ্রাহকের কাছ থেকে একগ্লাস পানিও খাওয়া যাবে না। আমার ওপরের যে অফিসার ছিলেন, তাঁর সঙ্গে একবার একটা জায়গায় গেলাম। ব্যাংকের টাকা নিয়ে গাভী কিনেছেন এক মহিলা। সে খুব অনুরোধ করল, ‘আমার নতুন গাইয়ের দুধ হয়িচে (হয়েছে), আপনাদের দুই স্যারের জন্যি (জন্য) আমি দুই গ্লাস দুধ নিয়ে আসছি।’
আমার অফিসার আপত্তি করল, এই দুধ আমরা খেতে পারব না। চাকরি চলে যাবে। বললাম যে, আমি খাব। এতে যদি আমার চাকরি যায়, তো যাক! সে আমাকে আদর আপ্যায়ন করে ডিম খাওয়াচ্ছে আর একগ্লাস দুধ খাওয়াচ্ছে! অফিসারকে বললাম, খান। আমি খেয়েছি আপনি খান। একজন ভালোবেসে কিছু খেতে দিচ্ছে। সামাজিকতা বলে তো একটা কথা আছে!
জি এম এমদাদ: পঁচাশি সাল। এত কঠিন নিয়ম ছিল ওই সময়! এখন এটা আর নেই। যে ব্রাঞ্চে ছিলাম, সেখানে প্রতি বছর দুটো করে অনুষ্ঠান হতো। সেখানে মাইক ধরার মতো কেউ ছিল না। আমি একদিন একটু মাইক ধরলাম। দুটো–চারটে কথা বলার পর ম্যানেজার বলতে লাগল, ‘এমদাদ সাহেব, এখন থেকে আপনিই মাইক ধরবেন।’ সারাদিন মাইক ধরে আমার এমন অবস্থা! মাইক আর ছাড়ার কায়দা নেই!
এইভাবে ওখানকার লোকজনের সঙ্গে আমার বেশ সুসম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। তারপর একদিন বোরহান সাহেব (কপিলমুনি জাফর আউলিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার তৎকালিন অধ্যক্ষ) বললেন, ‘মাদরাসায় একটা পোস্ট খালি হয়েছে। তুমি চলে আস।’ এইটটি সিক্সে জয়েন করে বেতন চালু হলো এইটটি নাইনে গিয়ে।
জি এম এমদাদ: তখন আমার ফাদার নেই। মা আছে। ফ্যামিলি আছে। এদের জন্য। এসে ভালোই হয়েছে, লেখালেখিটা অব্যাহত রাখতে পেরেছি। ওই পেশায় যদি বহাল থাকতাম, হয়তো লিখতে পারতাম। কিন্তু আঞ্চলিকতা নিয়ে এত কিছু করতে পারতাম না। ওখানে থেকেও সাংবাদিকতা করতে পারতাম। কিন্তু সেই সাংবাদিকতা হতো শুধুমাত্র সাংবাদিকতা। আমার এলাকার কোনো উপকারে আসত না। এখানে যখন আসলাম, ভাবলাম সেই জীবনটাই যখন মাটি করে দিলাম এলাকায় বসে, তাহলে এলাকার জন্য কিছু করি!
[জি এম এমদাদের টেবিলে একটা চিরকুটে হাতে লেখা দুলাইনের ছড়া। আলাপের ধারাবাহিকতা ডিঙ্গিয়ে চিরকুটের ব্যাখ্যায় মনোযোগী হয়ে পড়েন তিনি। মজিদ হুজুরের বাড়ি আছে ওখানে। সেই বাড়ির দেয়ালে নানান ছড়া, গুরুত্বপূর্ণ বাণী ইত্যাদি লিখে রাখার পরিকল্পনা করেছেন জি এম এমদাদ। এই যেমন, ‘নিজের ছেলে মেয়েকে করতে হবে আদর, তবে অধিক আদরে আবার হয়ে যায় বাঁদর’ অথবা ‘নামাজ বেহেস্তের চাবি, লোক দেখানো নামাজ হলে দোযখে তুই যাবি’। আরও একটা শোনালেন স্মৃতি থেকে- ‘মাতব্বরের সংখ্যা যে ঘরে বাড়ে, সে ঘরের দফা সারে (সর্বনাশ হয়)!]
জি এম এমদাদ: এর মধ্যে আবার স্কুল করলাম। আরেকটা আন্দোলন শুরু করতে যাচ্ছি, গ্রামে গ্রামে পাঠাগার। যেকোনো জায়গায় যদি কেউ পাঠাগার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়, আমার দশ হাজার টাকা অনুদান থাকবে সেখানে। জায়গা খুঁজছি। কিছু না করতে পারলেও যেন একটা লাইব্রেরি করে যেতে পারি! চাকরি শেষে যে বিশ-পঁচিশ লাখ টাকা পাব, ওই টাকা দিয়ে এসব করব।
মানুষ তো প্রতি বছর দান করে, জাকাত দেয়, নানান কিছু করে। আমি প্রতি বছর বইয়ের পারপাসে পঞ্চাশ হাজার-এক লাখ টাকা খরচ করলাম, তাতে অসুবিধে কী!
তাতে আমার একটা সৃষ্টি থেকে গেল! আমি চলে যাব। বইটা তো থেকে যাবে। রায় সাহেবকে (বিনোদ বিহারী) নিয়ে একটা বই করলাম। আমি একটা মুসলমান মানুষ কেন হিন্দুকে নিয়ে লিখলাম? এ নিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে।
বিনোদের ইতিহাস যদি আমি না লিখতাম, আরও ২০ বছর পর্যন্ত কেউ লিখত না। এমনিভাবে চিন্তা করতেছি, জাফর আউলিয়া নিয়ে অনেক কিছু ছড়ায়ে আছে। সেগুলো একত্রিত করে, অন্তুত দু–চারডা (দু–চারটি) কথা তো আমি লিপিবদ্ধ করে রাখি। মেহের মুসল্লী নিয়ে এ রকম কোনো বই বেরোয়নি। যদি কেউ ভবিষ্যতে গবেষণা করতে চায়, বা লিখতে চায়… অন্তত ইতিহাস খোঁজার প্রথম সূত্রটা আমার কাছ থেকে পাক!
[রাত বাড়ছে। একটু একটু করে ভাংতে শুরু করেছে সন্ধ্যার হাট। শেষ বাজারে বাড়ি ফেরে যারা, তারা সঙ্গী খোঁজে। নানান গল্পের সাঁকো বেয়ে চলতে পারলে পথ এগোয় ভালো। জি এম এমদাদের চেম্বারে বাড়ি ফেরত মুখের উঁকিঝুঁকি বাড়ে। দু–একজন নিয়মিত রোগী পরবর্তী কোর্সের ওষুধ নিতে আসে। রেডিও অন করে খবর শোনেন এমদাদ। আরেক দফা চা-পান চক্র চলে। গল্পে ফেরা হয় আবার]
এখন যে অবস্থায় পড়ে আছি আমরা। আসলে এখানে তো আমরা পড়ে থাকব না। বিশ বছর পঞ্চাশ বছর পর আরও ডেভলপ হবে। তখন মানুষ ইতিহাসগুলো খোঁজবে (খুঁজবে)। আমি না খুঁজলে, তুমি না খুঁজলে, খোঁজবে একসময় কেউ। মন তৈরি হয়ে যাবে। আমি সেই পথটাকে একটু পরিস্কার করে দিতে চাই।
কোনো প্রকাশনা বের করে এর মধ্যে আর্থিক কোনো কিছু খুঁজতে চাই না। অনেকে, আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়রা এসে বলে—ফালতু এইডা লেখেন কেন! ওই সময়টা আপনি অন্য কাজে ব্যয় করলে তো টাকা আসে!
জি এম এমদাদ: তাঁদের এ প্রশ্নের জবাব আমি দিতে পারব না। যারা টাকাকে ভালোবেসেছে একবার, অর্থকে ভালোবেসে ফেলেছে; তাঁদের দ্বারা অন্য কোনো কাজ হয়নি।
জি এম এমদাদের চেম্বার মানে ‘গাজী ফার্মেসী’ এক অর্থে তাঁর লেখালেখি ও গবেষণার জায়গা। ওখানে রোজ কিছু অপরিচিত মুখের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। নানা সমস্যাগ্রস্ত মুখ। তাঁদের সেবা দিতে পারলে এমদাদের ভালো লাগে। পনেরো, বিশ, পঞ্চাশ—যে যা দিয়ে যায়… টাকা চেয়ে নেন না কারও কাছে।
শেষ বিকেলে, সন্ধ্যার একটু আগ দিয়ে তিনি সাইকেলটা বাঁশের খুঁটিতে হেলান দিয়ে, গাজী ফার্মেসীর তালা খোলেন।
আমরা যারা বছরে এক–দুবার নিয়মিত সংগ্রামে খানিকটা ইস্তফা দিয়ে শেকড়ের কাছে ফিরে যাই, অতীতের কাছে; অবধারিতভাবে তাদের জানাই থাকে- সন্ধ্যায় জি এম এমদাদকে ওখানেই পাওয়া যাবে!
আমাদের পেলে তিনি অনেকটা শিশুর মতো হয়ে পড়েন। নানা ডায়েরি বের করেন, কবিতা-গানের খাতা বের করেন; শোনাতে থাকেন একের পর এক। ইদানীং তিনি আঞ্চলিক গান-কবিতা লিখছেন।
এই যেমন ‘দাদি আমার সেকালি মানুষ, ভাসুরের নাম নেয় না/ স্বামীর নাম বুধুই বলি বুধবার আর হয় না’ অথবা ‘ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই/ কাল বিয়ানে উঠি দেহিস তোর মুহে মারবো ছাই’ অথবা ‘ভাসুর আনে চানাচুর কিনে, নোন্দাই আনে রসমালাই/ চ্যাংড়া দেওর ঘুরঘুর করে এহন আমি কনে যাই!’
কাজী ইমদাদুল হক: ব্রিটিশ ভারতের একজন বাঙালি লেখক ও শিক্ষাবিদ। ‘আব্দুল্লাহ’ উপন্যাসের লেখক তিনি।
পি সি রায় (আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়) : প্রখ্যাত বাঙালি রসায়নবিদ, বিজ্ঞানশিক্ষক, দার্শনিক, কবি। তিনি বেঙ্গল কেমিকেলসের প্রতিষ্ঠাতা ও মারকিউরাস নাইট্রাইট-এর আবিষ্কারক। দেশি শিল্পায়নের উদ্যোক্তা।
বিনোদ বিহারী রায়: দানবীর হিসেবেই তাঁর খ্যাতি। সফল ব্যবসায়ী। তৎকালীন সিদ্ধেশ্বরী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। তৈরি করেছেন দক্ষিণ খুলনার অন্যতম বড় ব্যবসাকেন্দ্র বিনোদগঞ্জসহ বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও মন্দির।
মেহের মুসল্লী: লোকে তাঁর নাম জানে বৃক্ষপ্রেমী হিসেবে। সাতক্ষীরার তালা থেকে খুলনার পাইকগাছা পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটারজুড়ে রাস্তার ধারে বৃক্ষ রোপন করেছেন নিজ উদ্যোগে। ছিলেন সমাজসেবক ও দানবীর।
জাফর আউলিয়া: ‘জাগ্রত পির’ জাফর আউলিয়া; দক্ষিণবঙ্গে যে কয়েকজন পির-আউলিয়া আছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম। সাধনার জন্য কপিলমুনিতে আসেন। তখন ওই অঞ্চল ছিল বনজঙ্গলে ভরা সুন্দরবনের একটি অংশ। খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনিতে তাঁর মাজার আছে।

এই যে এক্সপ্লোর করা… মানুষ, মাটি, ঐতিহ্য, যেখানে থাকেন তার আশপাশ, আশপাশের জনপদ, লোকালয়, বিখ্যাত মানুষ, এখানকার সংস্কৃতি, কৃষ্টি দীর্ঘদিন ধরে আপনার লেখায়, আপনার গবেষণায় এক্সপ্লোর করে চলেছেন। এই চিন্তা কবে থেকে হলো? কেন?
জি এম এমদাদ: মূলত আমি তো তোমাদের শিক্ষক হিসেবেই ছিলাম। তখন থেকে আমার মনের মধ্যে একটা ইয়ে হলো, সাংবাদিকতা করতে গেলাম। চিন্তা করলাম প্রচলিত সাংবাদিকতার বাইরে যেয়ে সাংবাদিকতাটা করার।
ভাবলাম ফিচারধর্মী কোনো নিউজ, যা এলাকার উন্নয়নের কাজে লাগে (এ রকম কিছু করা যায় কিনা)! ধরা যাক—এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল নেই, কলেজ নেই, সেটার জন্য বছরের পর বছর নিরক্ষর থেকে যাচ্ছে। অথচ সেখানে একটা স্কুল করা যায় কিনা—তা নিয়ে কেউ লেখে না।
অসংখ্য গুণীজন পড়ে আছে। অবহেলিত গুণীজন যারা, তাঁদের খোঁজ কেউ নেয় না। খুঁজে খুঁজে দেখতে লাগলাম; ধরো এই মানিকতলা (স্থানীয় বাজার) কীভাবে হলো, এর মূলে কে কে ছিল? ধীরাজতুল্ল সরদার এখানে প্রথম স্কুল করিচে। বসিরগাজী নামে একজন ছিলেন, এখানে এই বাজারের জন্য জমিটমি দিয়েছেন।
তাঁদের পঞ্চাশ বছর এক শ বছর আগের দান করা জমিতে আজ আমরা ফলাফল ভোগ করতিছি। এই ইতিহাসটা তো কেউ জানে না। কেউ লেখে না। তখন আমি এই বিষয়ের ওপর ফিচার করতে শুরু করলাম। একটা নিউজ এল—‘অবহেলিত এক গ্রামের নাম রামনগর’…
[এতক্ষণ ধরে চলা প্রথম ধাপের চা-পর্বের রেশ নেতিয়ে এসেছে। চায়ের কাপ নিতে এসেছিল দোকানদার। জি এম এমদাদ পানটা মুখে দিয়ে কাগজে আঙুলের অগ্রভাগ মুছে নিলেন। ‘একটা পান নিয়ে আসো দি’ আমার দিকে ইঙ্গিত—পান খেতে চাই কিনা! না চাওয়ার যেহেতু কোনো কারণই নেই, ফলে আরেক দফা অর্ডার হয়—‘আর দুটো পান নিয়ে আসো।’ কথা শুরু করেন জি এম এমদাদ]
আমার রামনগর গ্রাম নিয়েও তো নিউজ আসে! এবং সেটা বড় আকারে! ভাবলাম, রামনগর গ্রাম নিয়ে যদি নিউজ আসে, তাহলে প্রতিডা গ্রামের ওপর নিউজ করা লাগবে। তখন আমি বিভিন্ন জায়গায় যাতি (যেতে) লাগলাম। কাজী ইমদাদুল হককে খুঁজতে লাগলাম, মেহের মুসুল্লীকে খুঁজতে লাগলাম। ইদানীং আমি আবার একটা ফিচার লেখার ইয়ে করিচি (করেছি), এখনকার যে বিলুপ্ত হাটবাজার, এখানে ওই যে ঘোষের হাট ছিল, সেই হাটটা নেই।
এখানে দুবোডাঙ্গার হাট ছিল। বিলের মাথায় একটা হাট ছিল দুবোডাঙ্গার হাট, সেটা তোমরা দ্যাখোনি। হাটটা এইরাম (এ রকম) সময় মানে সন্ধ্যার সময় বসত। রাত দশটার দিকে হাট ভাঙলে মানুষজন টেমি (কেরোসিনের ল্যাম্প) মাথায়–টাথায় করে নিয়ে বাড়ি ফিরত। রাত্তিরি রান্নাবান্না করে খেয়ে রাত বারোটার দিকে ঘুমাত।
তাহলে কিছু হাট বিলুপ্ত হয়েছে, এবং বিনিময়ে নতুন নতুন কিছু হাটও জন্মাইছে। একচড়ের হাট, এই হাট সেই হাট… এসব নাম জানি, যেগুলো আছে। কিন্তু বিলুপ্ত হয়ে গেছে যেগুলো, সেগুলো জানার কোনো উপায় নেই।
তারপর দেখলাম আমাদের বাড়ির পাশে একটা নদী ছিল; আদাসুর। খলিলনগর যাতি (যাওয়ার) পথে একটা খাল পড়ে না? ওটা হচ্ছে আদাসুর নদীর অবশিষ্ট অংশ। ওই নদীটা যদি না থাকত, তাহলে এখানে দমদমা হতো না। ধনপতি সওদাগর ব্যবসা–বাণিজ্য করে, মালটাল কিনে এনে যে জায়গায় রাখত, সেই জায়গাডার নাম হয়িচে (হচ্ছে) দমদমা। চাঁদসওদাগর, ধনপতি সওদাগর বাস করত এখানে।
জি এম এমদাদ: এ রকমভাবে ইতিহাস খুঁজদি খুঁজদি (খুঁজতে খুঁজতে) দেখলাম, একটা বেশ কালেকশন হয়ে গেছে। মাথায় এল এইগুলো দিয়েই তো আমি বই করতে পারি! তখন বের করলাম ‘সাদা সোনার রাজ্য’। বাইরিত্তি (বাইরে থেকে) যাঁরা আসেন, তাঁরা পাইকগাছাকে জানার জন্য এই একটা বই-ই পায়। বইটা যদি না করতাম, তাহলে কী হতো? হয়তো কপিলমুনি একজন আসলো এই এলাকাটা সম্পর্কে জানার জন্য। বিশিষ্ট যারা শিক্ষাবিদ আছেন, তাঁদের কাছে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা সন্ধান দেবে, এখানে রায়সাহেব (বিনোদ বিহারী) আছেন। আরও যদি দেখতে চান, তাহলে পিসি রায়ের ওখানে যান। পিসি রায়ের বাড়ি কোথায়? ওই যে, খুলনার পাইকগাছার বাড়ুলিতে।
এখানে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের জন্মস্থান। এখানে একজন বৃক্ষপ্রেমী মানুষ ছিলেন (মেহের মুসল্লী) তিনি রাস্তার ধারে গাছ লাগাইছেন, তালা থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত (প্রায় ২৩ কিলোমিটার)। এ রকম অনেক কথাই বলে দিল বিশিষ্টজনরা। কিন্তু লেখা আকারে তো আর তাঁদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে ভাবলাম এই ইতিহাস-ঐতিহ্যকে কবিতা আকারে, ছন্দ আকারে রূপ দেওয়া যায় কিনা! ওই বইটার নাম দিলাম ‘পাইকগাছার পাসওয়ার্ড’।
জি এম এমদাদ: আমার আগাগোড়া কেটেছে এখানেই। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সচক্ষে উপলদ্ধি করেছি। একষট্টিতে জন্ম। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্লাস ফাইভের ছাত্র। কপিলমুনি হসপিটালে আব্বা যখন চাকরি করত, ওখানেই ছিলাম। আব্বা এইটটি টুতে মারা যাওয়ার পর রামনগর এসে বাড়ি করলাম। তার আগ পর্যন্ত কপিলমুনি (পাইকগাছা উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান) ছিলাম। এখানকার সবাই মনে করত, আমি কপিলমুনির ছেলে। গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি নিলাম, পোস্টিং হলো বরগুনা।
জি এম এমদাদ: যেখানেই যাই না কেন সার্বিকভাবে মেশার চেষ্টা করি। দেখার চেষ্টা করি। ওখানে যে এক বছর ছিলাম, বরগুনার অনেক গ্রাম ঘুরেছি। সেখানকার মানুষের সাথে মিশেছি। ওই সময় এ রকম নিষেধাজ্ঞা—কোনো গ্রাহকের কাছ থেকে একগ্লাস পানিও খাওয়া যাবে না। আমার ওপরের যে অফিসার ছিলেন, তাঁর সঙ্গে একবার একটা জায়গায় গেলাম। ব্যাংকের টাকা নিয়ে গাভী কিনেছেন এক মহিলা। সে খুব অনুরোধ করল, ‘আমার নতুন গাইয়ের দুধ হয়িচে (হয়েছে), আপনাদের দুই স্যারের জন্যি (জন্য) আমি দুই গ্লাস দুধ নিয়ে আসছি।’
আমার অফিসার আপত্তি করল, এই দুধ আমরা খেতে পারব না। চাকরি চলে যাবে। বললাম যে, আমি খাব। এতে যদি আমার চাকরি যায়, তো যাক! সে আমাকে আদর আপ্যায়ন করে ডিম খাওয়াচ্ছে আর একগ্লাস দুধ খাওয়াচ্ছে! অফিসারকে বললাম, খান। আমি খেয়েছি আপনি খান। একজন ভালোবেসে কিছু খেতে দিচ্ছে। সামাজিকতা বলে তো একটা কথা আছে!
জি এম এমদাদ: পঁচাশি সাল। এত কঠিন নিয়ম ছিল ওই সময়! এখন এটা আর নেই। যে ব্রাঞ্চে ছিলাম, সেখানে প্রতি বছর দুটো করে অনুষ্ঠান হতো। সেখানে মাইক ধরার মতো কেউ ছিল না। আমি একদিন একটু মাইক ধরলাম। দুটো–চারটে কথা বলার পর ম্যানেজার বলতে লাগল, ‘এমদাদ সাহেব, এখন থেকে আপনিই মাইক ধরবেন।’ সারাদিন মাইক ধরে আমার এমন অবস্থা! মাইক আর ছাড়ার কায়দা নেই!
এইভাবে ওখানকার লোকজনের সঙ্গে আমার বেশ সুসম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। তারপর একদিন বোরহান সাহেব (কপিলমুনি জাফর আউলিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার তৎকালিন অধ্যক্ষ) বললেন, ‘মাদরাসায় একটা পোস্ট খালি হয়েছে। তুমি চলে আস।’ এইটটি সিক্সে জয়েন করে বেতন চালু হলো এইটটি নাইনে গিয়ে।
জি এম এমদাদ: তখন আমার ফাদার নেই। মা আছে। ফ্যামিলি আছে। এদের জন্য। এসে ভালোই হয়েছে, লেখালেখিটা অব্যাহত রাখতে পেরেছি। ওই পেশায় যদি বহাল থাকতাম, হয়তো লিখতে পারতাম। কিন্তু আঞ্চলিকতা নিয়ে এত কিছু করতে পারতাম না। ওখানে থেকেও সাংবাদিকতা করতে পারতাম। কিন্তু সেই সাংবাদিকতা হতো শুধুমাত্র সাংবাদিকতা। আমার এলাকার কোনো উপকারে আসত না। এখানে যখন আসলাম, ভাবলাম সেই জীবনটাই যখন মাটি করে দিলাম এলাকায় বসে, তাহলে এলাকার জন্য কিছু করি!
[জি এম এমদাদের টেবিলে একটা চিরকুটে হাতে লেখা দুলাইনের ছড়া। আলাপের ধারাবাহিকতা ডিঙ্গিয়ে চিরকুটের ব্যাখ্যায় মনোযোগী হয়ে পড়েন তিনি। মজিদ হুজুরের বাড়ি আছে ওখানে। সেই বাড়ির দেয়ালে নানান ছড়া, গুরুত্বপূর্ণ বাণী ইত্যাদি লিখে রাখার পরিকল্পনা করেছেন জি এম এমদাদ। এই যেমন, ‘নিজের ছেলে মেয়েকে করতে হবে আদর, তবে অধিক আদরে আবার হয়ে যায় বাঁদর’ অথবা ‘নামাজ বেহেস্তের চাবি, লোক দেখানো নামাজ হলে দোযখে তুই যাবি’। আরও একটা শোনালেন স্মৃতি থেকে- ‘মাতব্বরের সংখ্যা যে ঘরে বাড়ে, সে ঘরের দফা সারে (সর্বনাশ হয়)!]
জি এম এমদাদ: এর মধ্যে আবার স্কুল করলাম। আরেকটা আন্দোলন শুরু করতে যাচ্ছি, গ্রামে গ্রামে পাঠাগার। যেকোনো জায়গায় যদি কেউ পাঠাগার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়, আমার দশ হাজার টাকা অনুদান থাকবে সেখানে। জায়গা খুঁজছি। কিছু না করতে পারলেও যেন একটা লাইব্রেরি করে যেতে পারি! চাকরি শেষে যে বিশ-পঁচিশ লাখ টাকা পাব, ওই টাকা দিয়ে এসব করব।
মানুষ তো প্রতি বছর দান করে, জাকাত দেয়, নানান কিছু করে। আমি প্রতি বছর বইয়ের পারপাসে পঞ্চাশ হাজার-এক লাখ টাকা খরচ করলাম, তাতে অসুবিধে কী!
তাতে আমার একটা সৃষ্টি থেকে গেল! আমি চলে যাব। বইটা তো থেকে যাবে। রায় সাহেবকে (বিনোদ বিহারী) নিয়ে একটা বই করলাম। আমি একটা মুসলমান মানুষ কেন হিন্দুকে নিয়ে লিখলাম? এ নিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে।
বিনোদের ইতিহাস যদি আমি না লিখতাম, আরও ২০ বছর পর্যন্ত কেউ লিখত না। এমনিভাবে চিন্তা করতেছি, জাফর আউলিয়া নিয়ে অনেক কিছু ছড়ায়ে আছে। সেগুলো একত্রিত করে, অন্তুত দু–চারডা (দু–চারটি) কথা তো আমি লিপিবদ্ধ করে রাখি। মেহের মুসল্লী নিয়ে এ রকম কোনো বই বেরোয়নি। যদি কেউ ভবিষ্যতে গবেষণা করতে চায়, বা লিখতে চায়… অন্তত ইতিহাস খোঁজার প্রথম সূত্রটা আমার কাছ থেকে পাক!
[রাত বাড়ছে। একটু একটু করে ভাংতে শুরু করেছে সন্ধ্যার হাট। শেষ বাজারে বাড়ি ফেরে যারা, তারা সঙ্গী খোঁজে। নানান গল্পের সাঁকো বেয়ে চলতে পারলে পথ এগোয় ভালো। জি এম এমদাদের চেম্বারে বাড়ি ফেরত মুখের উঁকিঝুঁকি বাড়ে। দু–একজন নিয়মিত রোগী পরবর্তী কোর্সের ওষুধ নিতে আসে। রেডিও অন করে খবর শোনেন এমদাদ। আরেক দফা চা-পান চক্র চলে। গল্পে ফেরা হয় আবার]
এখন যে অবস্থায় পড়ে আছি আমরা। আসলে এখানে তো আমরা পড়ে থাকব না। বিশ বছর পঞ্চাশ বছর পর আরও ডেভলপ হবে। তখন মানুষ ইতিহাসগুলো খোঁজবে (খুঁজবে)। আমি না খুঁজলে, তুমি না খুঁজলে, খোঁজবে একসময় কেউ। মন তৈরি হয়ে যাবে। আমি সেই পথটাকে একটু পরিস্কার করে দিতে চাই।
কোনো প্রকাশনা বের করে এর মধ্যে আর্থিক কোনো কিছু খুঁজতে চাই না। অনেকে, আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়রা এসে বলে—ফালতু এইডা লেখেন কেন! ওই সময়টা আপনি অন্য কাজে ব্যয় করলে তো টাকা আসে!
জি এম এমদাদ: তাঁদের এ প্রশ্নের জবাব আমি দিতে পারব না। যারা টাকাকে ভালোবেসেছে একবার, অর্থকে ভালোবেসে ফেলেছে; তাঁদের দ্বারা অন্য কোনো কাজ হয়নি।
জি এম এমদাদের চেম্বার মানে ‘গাজী ফার্মেসী’ এক অর্থে তাঁর লেখালেখি ও গবেষণার জায়গা। ওখানে রোজ কিছু অপরিচিত মুখের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। নানা সমস্যাগ্রস্ত মুখ। তাঁদের সেবা দিতে পারলে এমদাদের ভালো লাগে। পনেরো, বিশ, পঞ্চাশ—যে যা দিয়ে যায়… টাকা চেয়ে নেন না কারও কাছে।
শেষ বিকেলে, সন্ধ্যার একটু আগ দিয়ে তিনি সাইকেলটা বাঁশের খুঁটিতে হেলান দিয়ে, গাজী ফার্মেসীর তালা খোলেন।
আমরা যারা বছরে এক–দুবার নিয়মিত সংগ্রামে খানিকটা ইস্তফা দিয়ে শেকড়ের কাছে ফিরে যাই, অতীতের কাছে; অবধারিতভাবে তাদের জানাই থাকে- সন্ধ্যায় জি এম এমদাদকে ওখানেই পাওয়া যাবে!
আমাদের পেলে তিনি অনেকটা শিশুর মতো হয়ে পড়েন। নানা ডায়েরি বের করেন, কবিতা-গানের খাতা বের করেন; শোনাতে থাকেন একের পর এক। ইদানীং তিনি আঞ্চলিক গান-কবিতা লিখছেন।
এই যেমন ‘দাদি আমার সেকালি মানুষ, ভাসুরের নাম নেয় না/ স্বামীর নাম বুধুই বলি বুধবার আর হয় না’ অথবা ‘ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই/ কাল বিয়ানে উঠি দেহিস তোর মুহে মারবো ছাই’ অথবা ‘ভাসুর আনে চানাচুর কিনে, নোন্দাই আনে রসমালাই/ চ্যাংড়া দেওর ঘুরঘুর করে এহন আমি কনে যাই!’
কাজী ইমদাদুল হক: ব্রিটিশ ভারতের একজন বাঙালি লেখক ও শিক্ষাবিদ। ‘আব্দুল্লাহ’ উপন্যাসের লেখক তিনি।
পি সি রায় (আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়) : প্রখ্যাত বাঙালি রসায়নবিদ, বিজ্ঞানশিক্ষক, দার্শনিক, কবি। তিনি বেঙ্গল কেমিকেলসের প্রতিষ্ঠাতা ও মারকিউরাস নাইট্রাইট-এর আবিষ্কারক। দেশি শিল্পায়নের উদ্যোক্তা।
বিনোদ বিহারী রায়: দানবীর হিসেবেই তাঁর খ্যাতি। সফল ব্যবসায়ী। তৎকালীন সিদ্ধেশ্বরী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। তৈরি করেছেন দক্ষিণ খুলনার অন্যতম বড় ব্যবসাকেন্দ্র বিনোদগঞ্জসহ বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও মন্দির।
মেহের মুসল্লী: লোকে তাঁর নাম জানে বৃক্ষপ্রেমী হিসেবে। সাতক্ষীরার তালা থেকে খুলনার পাইকগাছা পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটারজুড়ে রাস্তার ধারে বৃক্ষ রোপন করেছেন নিজ উদ্যোগে। ছিলেন সমাজসেবক ও দানবীর।
জাফর আউলিয়া: ‘জাগ্রত পির’ জাফর আউলিয়া; দক্ষিণবঙ্গে যে কয়েকজন পির-আউলিয়া আছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম। সাধনার জন্য কপিলমুনিতে আসেন। তখন ওই অঞ্চল ছিল বনজঙ্গলে ভরা সুন্দরবনের একটি অংশ। খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনিতে তাঁর মাজার আছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৫ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৭ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৭ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। শোক জানিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি ভাগ করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।
খালেদা জিয়াকে প্রথমবার দেখার স্মৃতি জানিয়ে ফেসবুকে পুতুল লেখেন, ‘জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছিলাম শৈশবে; ছুঁয়েছিলাম তাঁর তুলতুলে হাত। কী অভূতপূর্ব সেই অনুভূতি! বিজয়ী হয়ে যত না আনন্দ হয়েছিল, তার চাইতে কোনো অংশে কম ছিল না তাঁকে ছুঁতে পারার আনন্দ। পুরস্কার নিতে নিতে তাকিয়েছিলাম তাঁর চোখ দুটোর দিকে। মনে হয়েছিল এক মোম দিয়ে গড়া মানবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছেন। ধূসর চুল আর শুভ্র শাড়িতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে বোধ হয় এতটাই আভিজাত্য নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।’
বড় হওয়ার পার খালেদা জিয়ার সামনে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে পুতুলের। সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে পুতুল লেখেন, ‘বড় হওয়ার পর আবার গান গেয়েছি তাঁর সামনে। তত দিনে সংগীতাঙ্গনে পেশাদার শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। তিনি মঞ্চে বসে, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একই মঞ্চে গাইছি। তিনি আদর করেছিলেন সেদিন আমার পরিবেশনা শেষে। বুঝেছিলাম তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পুতুল লেখেন, ‘একটা অধ্যায়ের শেষ হলো। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ওপারে চলে গেছেন, যিনি এ দেশের লাখো তরুণীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাধারণ একজন গৃহবধূ হয়েও আত্মবিশ্বাসের জোরে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। শুধু অসাধারণ নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। জন্ম থেকে রাজনীতির কেবল দীর্ঘ প্রেক্ষাপট থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিজের প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে তিনবার তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভালো থাকবেন মাননীয়া। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে...।’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। শোক জানিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি ভাগ করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।
খালেদা জিয়াকে প্রথমবার দেখার স্মৃতি জানিয়ে ফেসবুকে পুতুল লেখেন, ‘জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছিলাম শৈশবে; ছুঁয়েছিলাম তাঁর তুলতুলে হাত। কী অভূতপূর্ব সেই অনুভূতি! বিজয়ী হয়ে যত না আনন্দ হয়েছিল, তার চাইতে কোনো অংশে কম ছিল না তাঁকে ছুঁতে পারার আনন্দ। পুরস্কার নিতে নিতে তাকিয়েছিলাম তাঁর চোখ দুটোর দিকে। মনে হয়েছিল এক মোম দিয়ে গড়া মানবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছেন। ধূসর চুল আর শুভ্র শাড়িতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে বোধ হয় এতটাই আভিজাত্য নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।’
বড় হওয়ার পার খালেদা জিয়ার সামনে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে পুতুলের। সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে পুতুল লেখেন, ‘বড় হওয়ার পর আবার গান গেয়েছি তাঁর সামনে। তত দিনে সংগীতাঙ্গনে পেশাদার শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। তিনি মঞ্চে বসে, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একই মঞ্চে গাইছি। তিনি আদর করেছিলেন সেদিন আমার পরিবেশনা শেষে। বুঝেছিলাম তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পুতুল লেখেন, ‘একটা অধ্যায়ের শেষ হলো। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ওপারে চলে গেছেন, যিনি এ দেশের লাখো তরুণীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাধারণ একজন গৃহবধূ হয়েও আত্মবিশ্বাসের জোরে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। শুধু অসাধারণ নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। জন্ম থেকে রাজনীতির কেবল দীর্ঘ প্রেক্ষাপট থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিজের প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে তিনবার তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভালো থাকবেন মাননীয়া। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে...।’

খুলনা জেলার সুন্দরবন ঘেঁষা উপজেলা পাইকগাছা। চিংড়িচাষের জন্য বিখ্যাত এলাকাটি। অনেকটা অনুন্নত ওই জনপদের সন্তান জি এম এমদাদ। শিক্ষকতা করেন। করেন সাংবাদিকতা। তবে এসবের বাইরে গিয়ে আরও অনেক পরিচয় তাঁর। তিনি একজন গবেষক। খুলনা বেতারের গীতিকার। নিজেও গান করেন। লেখেন নাটক
১১ মে ২০২১
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৭ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৭ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন।
ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য।’
জয়া আরও লেখেন, ‘রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার মারা যান তিনি।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন।
ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য।’
জয়া আরও লেখেন, ‘রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার মারা যান তিনি।

খুলনা জেলার সুন্দরবন ঘেঁষা উপজেলা পাইকগাছা। চিংড়িচাষের জন্য বিখ্যাত এলাকাটি। অনেকটা অনুন্নত ওই জনপদের সন্তান জি এম এমদাদ। শিক্ষকতা করেন। করেন সাংবাদিকতা। তবে এসবের বাইরে গিয়ে আরও অনেক পরিচয় তাঁর। তিনি একজন গবেষক। খুলনা বেতারের গীতিকার। নিজেও গান করেন। লেখেন নাটক
১১ মে ২০২১
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৫ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৭ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’
শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’
সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’
অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’
শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’
সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’
অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

খুলনা জেলার সুন্দরবন ঘেঁষা উপজেলা পাইকগাছা। চিংড়িচাষের জন্য বিখ্যাত এলাকাটি। অনেকটা অনুন্নত ওই জনপদের সন্তান জি এম এমদাদ। শিক্ষকতা করেন। করেন সাংবাদিকতা। তবে এসবের বাইরে গিয়ে আরও অনেক পরিচয় তাঁর। তিনি একজন গবেষক। খুলনা বেতারের গীতিকার। নিজেও গান করেন। লেখেন নাটক
১১ মে ২০২১
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৫ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৭ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।
আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।
ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।
এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।
আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।
ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।
এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

খুলনা জেলার সুন্দরবন ঘেঁষা উপজেলা পাইকগাছা। চিংড়িচাষের জন্য বিখ্যাত এলাকাটি। অনেকটা অনুন্নত ওই জনপদের সন্তান জি এম এমদাদ। শিক্ষকতা করেন। করেন সাংবাদিকতা। তবে এসবের বাইরে গিয়ে আরও অনেক পরিচয় তাঁর। তিনি একজন গবেষক। খুলনা বেতারের গীতিকার। নিজেও গান করেন। লেখেন নাটক
১১ মে ২০২১
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৫ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৭ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৭ ঘণ্টা আগে