Ajker Patrika

বিখ্যাত নয়, মানুষ হতে চান ফকির সাহেব

নবিউল ইসলাম
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২১, ০৪: ২৯
বিখ্যাত নয়, মানুষ হতে চান ফকির সাহেব

বাবা ছিলেন ভিক্ষু সাধু ও সংগীতপ্রেমী মানুষ। ২০০১ সালে পৃথিবী ছেড়ে যান তিনি। ওই সময় থেকে অনেক অভাব-অনটন থাকলেও বাবার অনেক ভক্ত আসতেন বাড়িতে। এ ছাড়া বিভিন্ন পাগল-সন্ন্যাসী আসতেন। তাঁদের সঙ্গে যেতেন ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে গানবাজনা হতো। পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই তাঁরা ভারতে যেতেন। তখন তারকাঁটার বেড়া ছিল না। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে গানের যে ব্যাপার, সাধুসঙ্গ—এ বিষয়গুলো টানত তাঁকে। এভাবে গানবাজনাকে ভালোবাসেন ওজকুরুনী ফকির সাহেব, যিনি ফকির সাহেব হিসেবেই বেশি পরিচিত।

বাড়ির পাশে মন্দিরে গান হতো। তখন গান শুনে ভালো লাগত তাঁর। টুকটাক গান শুনতেন, আসরে যেতেন। বড় বোন বুলবুলি গান করতেন। তিনি যেখানেই গান করতে যেতেন, সেখানে নিয়ে যেতেন ফকির সাহেবকে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে গানবাজনা শুনে হঠাৎ করে অনেক মানুষকে কাঁদতে দেখেন ফকির সাহেব। এটাকে দশা ধরা বলে। এই  যে মানুষ কাঁদছে, কী বুঝে কাঁদছে? এই চিন্তা আসে তাঁর মনে। মানুষের কান্নার কারণ খুঁজতেন ফকির সাহেব। আর এই বিষয় খুঁজতে খুঁজতে পান গানের ভেতরে পাওয়া মানুষের জীবন।

২০০৫ সাল থেকে মানুষের সামনে গান গাওয়া শুরু করেন ফকির সাহেব। ফকির সাহেব বলেন, ‘গানের ভেতর সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়া যায়। আর পৃথিবীতে খুব কমসংখ্যক মানুষই আছে, যারা গান পছন্দ করেন না। জনসম্মুখে না শুনলেও নিরালায় শুনছে। পদাবলি কীর্তন, চৈতন্য মহাপ্রভুর রাশ মেলায় যে কীর্তন হইতো, সেগুলা শুনতাম, গুনগুন করতাম। সাধুসঙ্গেরে ভেতর বৈঠকি গানের আসরে যে গানগুলো চলত, সে গানগুলো ভালো লাগত। এ ছাড়া আব্বাস উদ্দিন, আব্দুল আলীম, লালনের গান, দেহতত্ত্ব, মুর্শিদি গানগুলো শুনতাম।’

তবে বিভিন্ন আসরে লালনের গান বেশি হতো। লালন ফকিরের গান। লালন ফকিরের গান খুব টানে ফকির সাহেবকে। তখন থেকে ফোক গান, ভাটিয়ালি, লালন, মুর্শিদি, দেহতত্ত্ব ও মাটির গানগুলোর প্রতি একটা ভালোবাসা সৃষ্টি হয় ফকির সাহেবের। ভালো লাগা আরও বেশি কাজ করে যখন তাঁর বোন বুলবুলি বেগম গান করতেন।

গান গাওয়ার ক্ষেত্রে ফকির সাহেবের বড় উৎসাহের জায়গা বড় বোন। বড় বোন বলতেন, ‘গান কেমন শোনাচ্ছে—এইটা বড় বিষয় নয়, গলা ছেড়ে গাইত হবে। তুমি গান গাইতেছ—এইটা দরকার। আমি গলা ছেড়ে গান গাইতে পারতেছি এইটা বড় ব্যাপার।’

নিয়ম করে কখনো গান শেখা হয়নি ফকির সাহেবের। গানের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই তাঁর। বাবা ভিক্ষু সাধুর গান গেয়ে ব্যাপক ভাইরাল হন তিনি। গানটি গেয়েছিলেন সোনাদিয়ায় সাগরের তীরে। হাতে একটি মোবাইল নিয়ে তাতে তাল দিয়ে গেয়েছিলেন গানটি। ‘ভাব আছ যার গায়, দেখলে তারে চেনা যায়।’

সাধুর সঙ্গে ফকির সাহেবফকির সাহেব বলেন, ‘আসলে কোনো জিনিসের তো পূর্ণতা বোঝা যায় না, বা জানারও তো শেষ নেই। এইখানে একটা অনুভূতির ব্যাপার আছে। যে জ্ঞান বই পড়লেই বোঝা যায়, কিন্তু অনুভূতি এমন একটা জিনিস যে, প্রত্যেকটি ব্যক্তির এইটা আলাদা আলাদাভাবে থাকে। অনুভূতি অনেক দামি জিনিস। জ্ঞানের চেয়ে অনুভূতি অনেক বড় জিনিস। এইটা আমি বুঝত পারলাম কখন? এই গানে আরেকটা লাইন আছে বলে সঙ্গে সঙ্গে গেয়ে ওঠেন—

‘ওরে আমার আমার ছাড়ো
দমের জিকির করো
তাইলে পাইতে পারো খোদারে
গুরুরূপে নয়ন দিয়াছে যেই জন 
তার মরণের ভয় কি আছে রে...’

‘গানে বলতেছে আমি যে ব্যক্তি ওয়াজকুরুনি ফকির সাহেব, এই যে আমি যে ব্যক্তি, এই ভাবনাটা ছেড়ে দেওয়া। কারণ, এগুলো তো আসলেই আমার না।’

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আনাচে-কানাচে যারা গান লিখছেন, তাদের গান করতে চান ফকির সাহেব। তিনি বলেন, ‘আল্লাহতালা আমাকে একটি সম্পদ দান করেছেন। তা হচ্ছে আমার কণ্ঠ। আর আমি এই কণ্ঠ দিয়ে সেই সকল মানুষের বার্তা বা বাণী মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘পরিচিত শিল্পীদের গান সবাই গায়, শোনে। কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলে যে মানুষগুলো লেখার মাধ্যমে যে বাণী বা বার্তা তাঁরা দেন, তা অনেকেই শুনতে পারেন না। আমি চাই এই সকল বার্তা আমার কণ্ঠের মাধ্যমে মানুষকে শোনাতে।’

কোন ধরনের গান তিনি পছন্দ করেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে ফকির সাহেব বলেন, ‘গান তো গানই। লালন, ভাটিয়ালি, জারি, পল্লিগীতি, যাই হোক না কেন গানের ফর্মগুলা আমার কাছে ইমপর্টেন্ট না। আমার কাছে বড় বিষয় হচ্ছে কথাগুলা কী বলতেছে। আমাকে এই কথাগুলা বলতে হবে। আর এই কথাগুলা আমার হাজার মানুষকে বোঝানোর দরকার নাই, একজন মানুষও যদি বোঝে তাও হবে।’ 

মঞ্চে গান গাইছেন ফকির সাহেবগানের মাধ্যমে কী বোঝাতে চেয়েছেন বা কি বাণী দেন একজন শিল্পী? প্রেম তত্ত্বকে লালন করে গান করেন ফকির সাহেব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গেয়ে ওঠেন—‘যেই প্রেমেতে আল্লাহ রসুল সাক্ষাৎ মিলেছে...’

যে প্রেমে জীবাত্মা পরমাত্মাকে নেওয়ার পর আল্লাহ এবং আল্লাহর রসুলক এক করে দিচ্ছে। এই এক প্রেম এবং এই প্রেমেই উজ্জীবিত হতে হবে। অর্থাৎ, সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে মানবজনমের যে প্রেম, এই প্রেমকে লালন করেন ফকির সাহেব।

গানকে পেশা হিসেবে নেবেন কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে ফকির সাহেব বলেন, ‘গান আমার নেশা; কিন্তু পেশা না। আমার মা আমাকে বলেছেন, বাবা তুমি এইটা প্রচার করো; কিন্তু এইটার জন্য কারও কাছ থেকে এর বিনিময়ে কোনো অর্থ নিয়ো না। যেহেতু আমার সুইচ বাতি উনি, পৃথিবীতে আসার মাধ্যম উনি, সেহেতু আমাকে এইটা পালন করতে হবে এবং এইটা পালন করতে আমি সর্বদা প্রস্তুত। যতক্ষণ পর্যন্ত আমার দেহেরে ভেতরে এই নিশ্বাসটা আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁর (মা) কথাটাই আমার কাছে মুখ্য।’ তিনি বলেন, ‘বিখ্যাত হতে চাই না, মানুষ হতে চাই।’

ক্যারিয়ারের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জীবন সবকিছু ফুরিয়ে যায়। কিন্তু যে জিনিস ফুরাবে না—সেটি হলো কর্ম। আর এই কর্ম আর গান—এই দুটোর সমন্বয় করবেন কীভাবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে ফকির সাহেব বলেন, এ ধরনের ভাবনা এখনো তৈরি করিনি। তৈরি করিনি একটা কারণে আমার মা বলেছেন যে বাবা পৃথিবীতে চলতে এত টাকা পয়সার এত কিছুর দরকার হয় না। তবে হ্যাঁ অনেক স্টেজ প্রোগ্রামে মানুষ আমাকে জিজ্ঞেস কর আপনি গান গেয়ে টাকা নেন না, আপনি যদি অসুস্থ হয়ে যান? তখন কী হবে! আসলে কী বলব সুস্থতা, অসুস্থতা, রিজিক এগুলা তো সব আল্লাহর কাছে। উনি চাইলে আমাকে নিয়ে নিবেন। আমি তো প্রস্তুত মৃত্যুর জন্য। সব সময় প্রস্তুত। কিন্তু আমি কর্ম থেকে একবিন্দু্ও ছাড় পেতে চাই না। আসবে আসবে।

ফকির সাহেব বলেন, ‘আত্মশক্তিতে বলীয়ান ব্যক্তি কখনো দরিদ্র থাকতে পারে না। এইটা আমি খুব বিশ্বাস করি এবং বিশ্বাসরে জোরেই এখনো পর্যন্ত চলতেছি। খুব কম সময়ই আমি অর্থ সংকটে থাকি। এবং থাকলেও সেটা আমার হাসিতেই চলে যায়। একটা তিল যদি সত্তর জন ভাগ করে থাকতে পারে, তাহলে আমার হাসিতে অনেক দুঃখ চলে যেতে পারে। সবাই আমার শুধু হাসিটাই দেখে, কেউ দুঃখটা দেখে না। কারণ, আমি জানি আমার দুঃখের সমাধান কেউ করতে পারবে না।’ এই কথা বলে তিনি গেয়ে ওঠেন—

‘সারা জীবন ভালোবাসলাম যারে 
সে তো বুঝল না
বুঝল না আমারে
দুঃখ কইনা কইনা
রাইখাছি অন্তরে...’

মোশারফ করিমকে একজন সংগীতপ্রেমী মানুষ হিসেবে কীভাবে মূল্যায়ন করেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে ফকির সাহেব বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় তিনি প্রকৃত অর্থে মানুষ। সঙ্গে সঙ্গে গেয়ে ওঠেন—

‘মানুষ কুলে জন্ম নিলে
মানুষ বলা যায় না
তারে চিনব কেমন করে
আমি জানব কেমন করে’

‘তিনি পপুলার তাঁর কর্ম দিয়ে। কিন্তু আমার কাছে ভালো লেগেছে একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে। তিনি অনেক গানও লিখেছেন। যেমন—

‘যা দেখি তার সবই ভালো
ভালো ভালো লাগে না
ভালো কেন একা ভালো 
কিছুই ভালো লাগে না’

একসঙ্গে ফকির সাহেব ও ইমন চৌধুরী‘এই মানুষটা যতটুকু লেখেন ততটুকু দিয়ে মানুষের ভেতরে ঢুকে যেতে পারেন। এই ভেতরে ঢুকে যাওয়ার ব্যাপারটা, প্রতিটা লাইনে লাইনে মানুষকে গানের ভেতর ঢোকানোর ব্যাপারটা গানের ক্ষেত্রে তার এই ব্যাপারটা আমার ভালো লাগে। এই জায়গাটার জন্য সংগীতের ক্ষেত্রে তাঁকে আমার গুরুত্বপূর্ণ পারসন মনে হইছে।’

কাঠবিড়ালি সিনেমার গানের জন্য একবার ফকির সাহেবকে যেতে হয় বাংলাদেশের জনপ্রিয় মিউজিশিয়ান ইমন চৌধুরীর কাছে। জানান, তাঁর সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তের কথা। ফকির সাহেব বলেন, ‘তাঁর কাছে গিয়ে আমার পা কাঁপছিল। কারণ, আমি স্টুডিওতে গান করি নাই। প্রথম হিসেবে আমার অনেক ভয় লাগছিল। কিন্তু তিনি এত আন্তরিক যে আমাকে ইজি করার জন্য অনেক আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। উনি সচরাচর একটা গানে এতবার টেক নেন না, যতবার আমার বেলায় নিয়েছিলেন। উনি এত আন্তরিক যে, আমাকে নিজের হাতে চা বানিয়ে খাওয়াইছেন। চা খাওয়ার পর আমি আবারও কয়েকবার টেক দিলাম গানের জন্য।’

ভক্তদের অনুরোধে তিনি ‘ফকির সাহেব’ নামের একটি ফেসবুক পেজ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি গান গেয়ে টাকা নেই না, সেহেতু গান গেয়ে মাঝেমধ্যে অর্থ পেলে, তা মানবিক কাজে ব্যয় করা হয়।’ 

ফকির সাহেবের বাড়ি লালমনিরহাট জেলায় হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারি ইউনিয়ন গাওচুলকা গ্রামে। দুই বোন আছে তাঁর। এখন বাড়িতে বড় বোন বুলবুলি, ভাগনে-ভাগনি আর মা থাকেন। অনেক কষ্টে তাঁর মা তাঁকে বড় করেছেন। মা তাঁকে ফকির বলে ডাকতেন। তাঁর মুখের হাসি ও কর্মকাণ্ড যখন সাহেবেদের মতো দেখলেন, তখন মা তাঁর নামের সঙ্গে সাহেব যোগ করেন। এলাকার মানুষ তাঁকে অনেক সম্মান করেন। এভাবে তিনি হয়ে ওঠেন ফকির সাহেব।

স্কুল ছিল নিজের গ্রামে পুরোনো কাচারি গাওচুলকা রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়। হাইস্কুল ছিল হাতীবান্ধা উপজেলা শহরে। হাতীবান্ধা এস এস হাইস্কুল এণ্ড টেকনিক্যাল কলেজ (বর্তমানে মডেল কলেজ)। কলেজ ছিল হাতীবান্ধার আলীমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ। স্কুল ও কলেজজীবনে মানুষের বাসায় থেকেছেন তিনি। হাতীবান্ধায় এসএসসিতে পড়ার সময় কারিমুর নামে একজনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করেছেন তিনি। আর কলেজ থাকাকালে আশরাফ ভান্ডারি নামের একজন ওস্তাদের কাছ থেকেছেন। অন্ধ্র প্রদেশের একজন ওস্তাদের কাছ থেকে তিনি দীক্ষা নিয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে মূলত দেহতত্ত্বের ব্যাপারে দীক্ষা নিয়েছেন তিনি, যেটাকে ব্রাক্ষ্মচর্য বলে। 

এর পর ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তিনি। এখানে ভর্তি হওয়ার জন্য উৎসাহ, নির্দেশনা ও সার্বিক সহযোগিতা করেছেন আশরাফুজ্জামান দীদার নামে তাঁর এক বন্ধু। গ্র্যাজুয়েশন শেষ হলে কী করবেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কর্ম করবেন। এবং সঙ্গে সঙ্গে গেয়ে ওঠেন—

‘কর্ম তোমার আর কি কিছু নয়
আঁকা আঁকি মোছামুছি বেখেয়ালী 
তাজ্জব হয়েছি,’
এখন আমার কর্ম ভালো থাকলে মানুষ তাজ্জব হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মঞ্চায়িত হলো ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ কাব্যনাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ কাব্যনাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।

সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।

প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।

বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’

নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’

যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘ময়না’র পর কোনাল-নিলয়ের নতুন গান ‘ও জান’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
কোনাল ও	নিলয়। ছবি: সংগৃহীত
কোনাল ও নিলয়। ছবি: সংগৃহীত

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।

ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’

কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’

নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’

সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।

ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফিরে দেখা /বেড়েছে পারিবারিক গল্পের জনপ্রিয়তা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘দেনা পাওনা’ সিরিয়ালের দৃশ্য
‘দেনা পাওনা’ সিরিয়ালের দৃশ্য

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।

মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।

বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।

চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।

তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফিরে দেখা /ছোটপর্দার আলোচিত ঘটনা

বিনোদন ডেস্ক
তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীত
তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীত
  • অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
  • প্রায় দুই দশক পর এ বছর বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) শুরু হয়েছে সৃজনশীল ও মেধাবী শিশু-কিশোরদের সন্ধানে আয়োজিত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ‘ক’ ও ‘খ’ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যথাক্রমে টাঙ্গাইলের প্রেয়সী চক্রবর্তী ও সুনামগঞ্জের শুভমিতা তালুকদার।
  • নাট্যনির্মাতা নাসির উদ্দিন আহমেদ মাসুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত সেপ্টেম্বরে মামলা করেন তাছলিমা খাতুন আয়েশা নামের এক অভিনয়শিল্পী। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় নির্মাতাকে।
  • গত জানুয়ারিতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের রাজবাড়িতে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র শুটিং চলাকালে অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আবার শুরু হয় শুটিং।
  • ২০১৮ সালে গুঞ্জন রটেছিল, সংসার ভেঙেছে অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে এ বছর ডিসেম্বরে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিনেত্রী জানান, ২০১৭ সাল থেকেই স্বামী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিকের সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন তিনি। ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁদের।
  • গত বছর থেকে নাটকে নিয়মিত হয়েছেন সুনেরাহ। বেশির ভাগ নাটকে তাঁর বিপরীতে দেখা গেছে আরশ খানকে। পর্দার বাইরে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে রয়েছে নানা গুঞ্জন। তবে আরশ ও সুনেরাহ দুজনেই বিষয়টি গুজব বলে জানিয়েছেন।
  • পাঁচ বছর কাজল আরেফিন অমির ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ থেকে দূরে থাকার পর গত সেপ্টেম্বরে আবার সিরিয়ালের নেহাল চরিত্রে ফিরেছেন তৌসিফ মাহবুব।
  • গত মার্চে ছোট পর্দার নায়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলেন অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা। তাঁর অভিযোগ, বেশির ভাগ নাটক তৈরি হচ্ছে নায়কদের সিদ্ধান্তে। এমনকি তিনিও শিডিউলের জন্য পরিচালক নয়, নায়কদের কাছ থেকে ফোন পান বলে জানিয়েছেন।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত