Ajker Patrika

সমন্বয়টা হলেই আমাদের চলচ্চিত্রের চেহারা বদলে যাবে

এম এস রানা
সমন্বয়টা হলেই আমাদের চলচ্চিত্রের চেহারা বদলে যাবে

কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ নির্মিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এখন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এই সাফল্যে গর্বিত চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সবাই। চলচ্চিত্র প্রযোজনা এবং অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন এই ছবির অন্যতম প্রযোজক সাইদুল হক খন্দকার সবুজ। কথোপকথনে ছিলেন এম এস রানা

আজকের পত্রিকা: কী ভেবে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবিতে অর্থ লগ্নি করলেন?

সাইদুল হক খন্দকার সবুজ: ২০১২ সালে আমি, ওয়াহিদ তারেক, গোলাম হায়দার কিসলু আর আদনান হাবীব মিলে ফ্রি ফলস স্টুডিও নামে একটি প্রোডাকশন হাউস শুরু করি। আমরা মূলত বিজ্ঞাপন বানাতাম। সাদ আমাদের খুবই ঘনিষ্ঠ। ওর সবচেয়ে বড় গুণ, যতটুকু সামর্থ্য আছে তা নিয়েই একটা ভালো ছবি বানাতে চায়। সাদের প্রথম ছবি ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ দিয়েই সেটা প্রমাণ করেছে। ছবিটি তখন সিঙ্গাপুর ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা পরিচালকের পুরস্কারও জিতেছে। সাদ সব সময় ফিল্ম নিয়েই ভাবে।  ফিল্মই তার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান আর স্বপ্ন। তাই সাদ যখন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ বানানোর কথা জানাল, আমি সায় দিলাম। আমি ছাড়া আরও চারজন প্রযোজক আছেন—জেরেমি চুয়া, রাজিব মহাজন, এহসানুল হক বাবু ও আদনান হাবীব।

আজকের পত্রিকা: এই ছবিতেই কেন? সাদের আগের ছবির সফলতা দেখে?

সবুজ: একদমই না। সাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমাদের আগে থেকেই আছে। চলচ্চিত্রের প্রতি সে চরম ডেডিকেটেড। তার ওপর ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ নিয়ে তার প্যাশন আমাকে অবাক করেছে। এই ছবির জন্য সে বেশ কয়েকটা বিজ্ঞাপন ছেড়ে দিয়েছে, অন্য সব ধরনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। দিন–রাত সে এই ফিল্ম নিয়েই ভাবছে, খাচ্ছে, কাজ করছে। তার এই ডেডিকেশনটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমার বিশ্বাস ছিল সে একটা ভালো ছবি বানানোর সক্ষমতা রাখে। এই ছবি দেশের হলে ব্যাপকভাবে মুক্তি না–ও পেতে পারে, আবার আন্তর্জাতিকভাবে সম্মাননা না–ও পেতে পারে। তবু একটা ভালো ছবি তৈরির চেষ্টার সঙ্গে থাকার জন্য, একধরনের দায়বদ্ধতা থেকেই এই লগ্নি করা।

আজকের পত্রিকা: ছবিটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হবে? যদি হয় তাহলে কেমন সাড়া পাবেন বলে আশা করছেন?

সবুজ: অবশ্যই মুক্তি দেওয়া হবে। কেমন সাড়া পাব, সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে যাঁরা সত্যিই ভালো মানের ছবি দেখতে চান, তাঁদের ভালো লাগবে এটা হলফ করে বলতে পারি।

আজকের পত্রিকা: সাধারণত এ ধরনের ছবি দেশের সব হলে মুক্তি পেতে দেখি না। আপনারা কি সারা দেশে মুক্তি দিতে পারবেন?

সবুজ: হয়তো পারব না। সেটা আশাও করছি না। তবে এটা সত্যি, আমাদের হলগুলোর পরিবেশ সময়োপযোগী নয়, এক কথায় ভালো না। শুনেছি, হলের মালিকেরা ভালো ছবির অভাবে নতুন করে হলগুলোতে লগ্নি করতে পারছেন না। আবার ভালো হলের অভাবে লগ্নিকারকেরা ভালো মানের ছবিতে ইনভেস্ট করতে চাইছেন না। পুরো বিষয়টার একটা সমন্বয় হওয়া দরকার। দুটো কাজই একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে, তা না হলে হবে না। দেশে প্রচুর মেধা আছে, যারা ভালো ছবি বানাতে সক্ষম, কিন্তু ছবি চালানোর সংকটে তাঁরাও হতাশ হয়ে পড়ছেন।

আজকের পত্রিকা: ২০০২ সালে কানের প্যারালার বিভাগ ‘ডিক্টের ফোর্টনাইট’-এ মনোনীত হয়েছিল তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ কান উৎসবে সেটাই ছিল আমাদের বড় পাওয়া। কানে অংশ নেওয়ার আগে পর্যন্ত ছবিটি হলে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন নির্মাতা। তথাকথিত বিকল্পধারার এই ছবিগুলো হলে প্রদর্শনের জন্য কি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া জরুরি হয়ে পড়ছে?

সবুজ: আমার স্থান থেকে আমি ওভাবে বলতে পারছি না। তবে এটা ঠিক, এ ধরনের ছবির দর্শক তো আমজনতা নয়, তাই স্বীকৃতিগুলো দর্শককে হলে আসার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করে।

আজকের পত্রিকা: যদিও বিষয়টা আপেক্ষিক, তবু জানতে চাই আন্তর্জাতিক মানের ছবি বানানোর সক্ষমতা আমাদের কতটুকু আছে?

সবুজ: আসলেই বিষয়টা আপেক্ষিক। তবে আমাদের যতটুকু আছে, ততটুকু নিয়েই চেষ্টা করতে হবে। যা আছে তা নিয়েই আন্তর্জাতিক মানের ছবি তৈরি সম্ভব। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। সাদ তো জীবনের সবটাই দিয়ে দিচ্ছে চলচ্চিত্রের জন্য। শুধু টেকনিক্যাল সাপোর্ট বা অর্থ লগ্নিই মূল বিষয় নয়। ভালো ছবির জন্য ডেডিকেশনটাও খুব জরুরি।

আজকের পত্রিকা: শেষ পর্যন্ত যদি বিজনেস না হয়, তাহলে কি ভবিষ্যতে ছবি প্রযোজনার ইচ্ছেটা থাকবে?

সবুজ: আমি বিজনেসের কথা একদমই চিন্তা করিনি। একটা ভালো ছবিকে উৎসাহ দিতে, ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার ইচ্ছা থেকেই প্রোডিউস করেছি। আমি বিশ্বাস করি, অনেকেই আছেন যাঁরা ভালো ছবিকে প্রমোট করতে চান। তাঁদের সঙ্গে একটা মেলবন্ধন দরকার। তবেই দেশের চলচ্চিত্র একটা নতুন মাত্রা পাবে।

আজকের পত্রিকা: এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? হল সংস্করণের কথা বলছিলেন, সে বিষয়েও কোনো পরিকল্পনা থাকলে বলবেন?

সবুজ: ইচ্ছা তো অনেক, কিন্তু সামর্থ্যের তো সীমাবদ্ধতা আছে। চেষ্টা করছি ভালো ছবির সঙ্গে থাকতে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবির সফলতা নিশ্চয়ই সবাইকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সফলতা মেধাবীদের পথ দেখাবে। আর হলের বিষয়ে আগেও ভেবেছি। একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথাও বলেছিলাম। তবে পুরো বিষয়টি বড় ইনভেস্টের ব্যাপার। সম্মিলিত চেষ্টাতেই এটা সহজ হবে।

আজকের পত্রিকা: আর কোনো ছবিতে ইনভেস্ট করেছেন?

সবুজ: সাদের এই ছবির আগে ওয়াহিদ তারেকের ‘আলগা নোঙর’ ছবিতে করেছি। ছবিটি এখনো রিলিজ হয়নি। কেউ যদি ভালো পরিকল্পনা নিয়ে আসেন, অবশ্যই সঙ্গে থাকার চেষ্টা করব।

আজকের পত্রিকা: আপনার কি মনে হয় আমরা ভালো মানের ছবি তৈরি করতে পারছি?

সবুজ: অবশ্যই পারছি। তা না হলে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোতে আমাদের ছবি সম্মানিত হতো না। তবে এটা সত্যি, সংখ্যার বিবেচনায় সেই ছবির পরিমাণ খুব কম।

আজকের পত্রিকা: ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ যদি কানে না যেত, কিংবা সাদ যদি অ্যাওয়ার্ডেড না হতেন, তাহলে কি প্রযোজনার ইচ্ছেটা দমে যেত?

সবুজ: এটাই কিন্তু আমার প্রথম প্রযোজনা নয়। যেকোনো ধরনের সম্মাননা কাজে উৎসাহ জোগায় সত্যি, তবে আমার কাছে অ্যাওয়ার্ডের চেয়ে দায়বদ্ধতা এবং ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টাই ছিল মুখ্য। আমার বিশ্বাস এমন ইচ্ছা আমাদের অনেকেরই আছে। কেবল সমন্বয়টা হলেই আমাদের চলচ্চিত্রের চেহারা বদলে যাবে। সাদের ছবির কথাই যদি ধরেন, কান উৎসবে অফিশিয়াল আমন্ত্রণ পেয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একটা মাইলফলক তৈরি করল। সাদের মতো নির্মাতারা চেষ্টা করছেন একটু একটু করে হলেও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের দায়িত্ব সেই চেষ্টাকে একটা পরিপূর্ণ অবয়ব দেওয়ার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

২০২৫ সালে যেসব ঐতিহাসিক রহস্যের সমাধান দিল বিজ্ঞান

আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে প্রতিযোগিতা করছে বিএনপি-জামায়াত: নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছয় বছর পর অংশুর পরিচালনায় সুনেরাহ, আরশের সঙ্গে তোলা ছবি নিয়ে গুঞ্জন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ছয় বছর পর অংশুর পরিচালনায় সুনেরাহ, আরশের সঙ্গে তোলা ছবি নিয়ে গুঞ্জন
সুনেরাহ বিনতে কামাল। ছবি: সংগৃহীত

২০১৯ সালে তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় ‘ন’ডরাই’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সুনেরাহ বিনতে কামালের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন অভিনেত্রী। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জেতেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর ওটিটি, সিনেমা ও টিভি নাটকে নিয়মিত কাজ করলেও তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় আর দেখা যায়নি সুনেরাহকে। ছয় বছর পর আবার এই পরিচালকের নির্দেশনায় কাজ করছেন তিনি।

নতুন এই কাজের শুটিং করতে ১৮ ডিসেম্বর নেপালে যান সুনেরাহ। গতকাল শেষ হয়েছে শুটিং। গতকাল তানিম রহমান অংশুর সঙ্গে তোলা শুটিংয়ের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘কিছু একটা হচ্ছে। ছয় বছর পর একসঙ্গে আমরা কাজ করছি। সবাইকে দেখানোর অপেক্ষায়।’

নতুন এই কাজ নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় সুনেরাহর সঙ্গে। নেপাল থেকে খুদেবার্তায় সুনেরাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দারুণ ইন্টারেস্টিং একটা কাজ করছি। এখানে আমাকে এমন চরিত্রে দেখা যাবে, যেমনটা আগে কখনো দেখা যায়নি।’

এটি ওটিটি কনটেন্ট নাকি সিনেমা, সে বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে রাজি নন সুনেরাহ। বললেন, ‘কাজটি কোথায় দেখা যাবে এ নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না। আশা করছি শিগগির দর্শক কাজটি দেখতে পারবে।’

আরশের সঙ্গে সুনেরাহ বিনতে কামাল
আরশের সঙ্গে সুনেরাহ বিনতে কামাল

শুটিং অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুনেরাহ বলেন, ‘খুব ঠান্ডার মধ্যে শুটিং করতে হচ্ছে। আমরা যেখানে শুটিং করছি, সেখানে মাইনাস ডিগ্রি। প্রথমবার এ রকম আবহাওয়াতে শুটিং করলাম। সব মিলিয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। কিন্তু কাজটি খুব ভালো হয়েছে।’

অন্যদিকে, ২২ ডিসেম্বর ভিন্ন একটি ছবি পোস্ট করেন সুনেরাহ। অভিনেতা আরশ খানের সঙ্গে তোলা ছবিটিতে দেখা যায়, সমুদ্রপারে আরশ ও সুনেরাহ দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে হাসছেন। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ছবিটি। অনেকেই দাবি করেন, এই ছবি দিয়ে আরশের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন স্বীকার করলেন সুনেরাহ। অনেকে তাঁদের শুভকামনা জানান।

বরাবরের মতো এবারও প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সুনেরাহ। জানালেন এই ছবিতে নেটিজেনদের শুভেচ্ছাবার্তা তাঁকে বিস্মিত করেছে। আরও জানালেন থাইল্যান্ডে শুটিংয়ের সময় তোলা হয়েছিল ভাইরাল হওয়া ছবিটি। থাইল্যান্ডে ওই সময় একসঙ্গে ছয়টি নাটকের শুটিংয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এই ছবিটি ভালো লাগায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সুনেরাহ। এর বাইরে কিছু না।

নাটক, ওটিটি ও সিনেমা—সব মাধ্যমেই ব্যস্ত সময় পার করছেন সুনেরাহ। টিভি ও ইউটিউবে নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে তাঁর অভিনীত নাটক। গত মাস থেকে প্রচার শুরু হয়েছে সুনেরাহর প্রথম ধারাবাহিক ‘এটা আমাদেরই গল্প’। সম্প্রতি শেষ করেছেন আরাফাত মহসিন নিধি পরিচালিত একটি সিরিজের শুটিং। এ ছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় আছে রুবাইয়াত হোসেনের সিনেমা ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’। এতে সুনেরাহর সহশিল্পী আজমেরী হক বাঁধন, রিকিতা নন্দিনী শিমু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

২০২৫ সালে যেসব ঐতিহাসিক রহস্যের সমাধান দিল বিজ্ঞান

আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে প্রতিযোগিতা করছে বিএনপি-জামায়াত: নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিন উপলক্ষে শিল্পকলায় বিশেষ আয়োজন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
এফ মাইনর ব্যান্ডের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
এফ মাইনর ব্যান্ডের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অগ্রযাত্রায় ঈদ, বৌদ্ধপূর্ণিমা, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবার বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামীকাল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এ উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আজ ২৪ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণের নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। বড়দিনকে ঘিরে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধে মানুষের জীবনকে আলোকিত করার প্রয়াসে আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় থাকছে সংগীত, ক্যারল সং ও কীর্তন পরিবেশনা।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন তেজগাঁও চার্চ কয়‌্যার শিল্পীরা। পরিবেশনায় অংশ নেবেন ক্রিস্টোফার গ‌োমেজ, দিলীপ মন্ডল, বিজয় গোমেজ, রে‌ক্সোনা মন্ডল, জয়া গ‌োমেজ, বিভা গ‌োমেজ, সুভাষ পি‌রিচ প্রমুখ। সংগীত পরিবেশন করবেন জুলিয়েট সুস্মিতা বাড়ৈ। ব্যান্ডসংগীত নিয়ে মঞ্চে আসবে ব্যান্ড গেৎশিমানী ওরশিপ ও এফ মাইনর। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

উল্লেখ্য, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ৩০ মার্চ একাডেমির নন্দনমঞ্চে চাঁদরাতের আনন্দ অনুষ্ঠান, বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে ১০ মে একাডেমির নন্দনমঞ্চসহ ৬টি জেলায় সাংস্কৃতিক উৎসব, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬ জুন নন্দনমঞ্চে আনন্দ উৎসব, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩০ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং ১ অক্টোবর একাডেমির নন্দনমঞ্চে দুই দিনব্যাপী শারদীয় সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

২০২৫ সালে যেসব ঐতিহাসিক রহস্যের সমাধান দিল বিজ্ঞান

আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে প্রতিযোগিতা করছে বিএনপি-জামায়াত: নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রেলারেই ঝড় তুলল নোলানের ‘দ্য ওডিসি’

বিনোদন ডেস্ক
ওডিসিয়াস চরিত্রে ম্যাট ডেমন। ছবি: সংগৃহীত
ওডিসিয়াস চরিত্রে ম্যাট ডেমন। ছবি: সংগৃহীত

‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার সাফল্যের পর ক্রিস্টোফার নোলান নজর দিয়েছেন গ্রিক মহাকাব্যে। গ্রিক কবি হোমারের ‘দ্য ওডিসি’ মহাকাব্য তুলে আনছেন পর্দায়। হাজার হাজার বছর ধরে যে গল্প মানুষ মনে রেখেছে, যেসব চরিত্র রহস্য-রোমান্সের অনুভূতি জাগিয়েছে; সেই গল্প ও চরিত্ররা কতটা জীবন্ত হয়ে ধরা পড়বে ক্যামেরায়, তা নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল ছিল। অবশেষে দ্য ওডিসির ট্রেলার প্রকাশ করল ইউনিভার্সাল পিকচার্স। প্রায় দুই মিনিটের এ ট্রেলার রীতিমতো ঝড় তুলেছে বিশ্বজুড়ে। এ যেন সত্যিই এক মহাকাব্যিক নির্মাণ!

দ্য ওডিসি তৈরি হয়েছে ওডিসিয়াসের নিজ ভূমিতে ফেরার রোমহর্ষক সংগ্রাম নিয়ে। গ্রিসের এক ছোট দ্বীপ ইথাকার রাজা ছিলেন ওডিসিয়াস। ট্রোজান যুদ্ধ শুরু হলে ওডিসিয়াসকে সেই যুদ্ধে অংশ নিতে হয়। একটানা ১০ বছর চলে সেই যুদ্ধ। যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরার পথে ঝড়ের মুখে পড়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ওডিসিয়াস। পথভ্রষ্ট হয়ে সে সাগরের মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে বিভিন্ন দ্বীপে বিভিন্ন ধরনের মানুষ, জন্তু-জানোয়ার এবং দেব-দেবীর মুখোমুখি হয়। ভয়ংকর সব বাধার মুখে পড়ে। কিন্তু নিজের বুদ্ধি, সাহস এবং শক্তি দিয়ে সকল বিপদ পেরিয়ে প্রায় ২০ বছর পর বিজয়ী হিসেবে নিজ দেশে ফেরে ওডিসিয়াস।

দ্য ওডিসির ট্রেলারের শুরুতেই দেখা যায় ট্রয় যুদ্ধের ময়দানে পড়ে থাকা শত শত সমাধির দৃশ্য। বাড়ি ফেরার জন্য সৈন্য বাহিনী নিয়ে রওনা দেয় ওডিসিয়াস। বিপৎসংকুল সমুদ্রযাত্রা, পথে শত্রুদের হানা, কখনো তীব্র ঝড়, ভুল দ্বীপে গিয়ে ওঠা, নতুন নতুন বিপদ—সবকিছুই ক্যামেরায় নিখুঁতভাবে তুলে এনেছেন ক্রিস্টোফার নোলান!

সিনেমার মুখ্য চরিত্র ওডিসিয়াসের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ম্যাট ডেমন। ট্রেলারের প্রায় পুরোটা জুড়ে তাঁর উপস্থিতি। কয়েক ঝলক দেখা গেল ওডিসিয়াসের ছেলে টেলিমাকাস চরিত্রে টম হল্যান্ড এবং ওডিসিয়াসের স্ত্রী পেনেলোপের চরিত্রে অ্যান হ্যাথাওয়েকে। আরও অভিনয় করেছেন রবার্ট প্যাটিনসন, জেন্ডায়া, শার্লিজ থেরন, মিয়া গোথ, বেনি সাফডি, জন বার্নথাল প্রমুখ। তবে ট্রেলারে তাঁদের দেখা যায়নি।

দ্য ওডিসি সিনেমায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন আইম্যাক্স ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন ক্রিস্টোফার নোলান। ২০ লাখ ফুট ফিল্ম খরচ করেছেন গল্পটি তুলে আনতে।

বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটি বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৭ জুলাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

২০২৫ সালে যেসব ঐতিহাসিক রহস্যের সমাধান দিল বিজ্ঞান

আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে প্রতিযোগিতা করছে বিএনপি-জামায়াত: নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শত পর্বে ধারাবাহিক ‘তেল ছাড়া পরোটা’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শত পর্বে ধারাবাহিক ‘তেল ছাড়া পরোটা’

গত আগস্টে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার শুরু হয় ধারাবাহিক নাটক ‘তেল ছাড়া পরোটা’। সমাজের নীতিবান ও নীতিহীন মানুষের গল্পে ধারাবাহিকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন কচি খন্দকার। দেখতে দেখতে শত পর্বের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে নাটকটি। আজ রাত ৮টায় প্রচার হবে তেল ছাড়া পরোটা ধারাবাহিকের ১০০তম পর্ব।

তেল ছাড়া পরোটা নাটকের গল্পে দেখা যায় একটি পরিবার একসময় তিলের খাজার ব্যবসা করত। এখন তারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতাবানদের তোষামোদ করে বিশাল ব্যবসা গড়ে তুলেছে। তাদের ব্যবসা সরিষার তেল, নারকেল তেলের। এমনকি জ্বালানি তেল পেট্রলের ব্যবসাও আছে। তাদের কোম্পানির নাম তিলের খাজা অয়েল মিল কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে, রয়েছে আরেক পরিবার, যারা সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তোষামোদ নয়, তারা নিজেদের নীতিতেই বিশ্বাসী। এই দুই পরিবারের মধ্যকার সাংস্কৃতিক, নৈতিক ও সামাজিক সংঘাত নিয়েই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি।

নির্মাতা বলেন, ‘সমাজে একদল মানুষ আছে, যারা বিশ্বাস করে, উন্নতি করতে হলে সমাজে যারা ক্ষমতাবান, তাদের তেল দিয়ে চলতে হয়। অন্যদিকে আরেক দল মানুষ আছে, যারা কাউকে তোষামোদ করতে পছন্দ করে না। এসব কারণে অনেক প্রতিভাবান হারিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি মানুষ হিসেবে আমাকে যন্ত্রণা দেয়। সেই যন্ত্রণা থেকে গল্পের শুরু। এরপর নানাভাবে পরিস্থিতি অনুযায়ী গল্প এগিয়ে গেছে।’

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল, চাষী আলম, সালহা খানম নাদিয়া, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, কচি খন্দকার, রোবেনা রেজা জুঁই, সুজাত শিমুল, অনিক, আব্দুল্লাহ রানা, মিলি বাসার প্রমুখ।

গত মাসে নির্মাতা কচি খন্দকার জানিয়েছিলেন, ১০০ পর্ব থেকে ধারাবাহিকের গল্পে আসবে নতুন চমক। সেই চমকের অংশ হিসেবে ধারাবাহিকে যুক্ত হবেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। এতে মোশাররফ করিমকে দেখা যাবে তেল কোম্পানির মালিকানা হারিয়ে সংগ্রাম করা এক চরিত্রে। মূলত তেল কোম্পানি থেকে তাঁর অংশ দখল হয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

২০২৫ সালে যেসব ঐতিহাসিক রহস্যের সমাধান দিল বিজ্ঞান

আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে প্রতিযোগিতা করছে বিএনপি-জামায়াত: নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত