রাহুল শর্মা, ঢাকা

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় গত তিন দশকে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। একসময় দেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান ভরসা ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আসন সংকট, সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতেন। এমন প্রেক্ষাপটে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সময়োপযোগী উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে নব্বইয়ের দশকে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়, যা এখন দেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এনেছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা, সেশনজটমুক্ত পরিবেশ, রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকা, সময়োপযোগী বিষয়, উন্নত ল্যাব ও যোগ্য শিক্ষকের সহজপ্রাপ্যতা—সব মিলিয়ে তাঁরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার প্রতি ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে (এআইইউবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হওয়া নাসরীন আক্তার বলেন, ‘পাবলিকে সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু পছন্দের বিষয়ে নয়। এখানে ভর্তি হওয়ার পর বুঝেছি, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি। নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা হওয়ায় পড়াশোনার গতি ভালো। দ্রুত ডিগ্রি শেষ করতে পারব।’
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের সাবেক শিক্ষার্থী তানজিলা আহমেদ জানান, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই সুযোগ ছিল সীমিত। তাই তিনি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়েছেন।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট জাকিয়া ইসলাম বর্তমানে নিউইয়র্কে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সেশনজট নিয়ে পরিবারে শঙ্কা
ছিল। তাই ছোটবেলা থেকেই ভাবতাম নর্থ সাউথ, ব্র্যাক বা ইস্ট ওয়েস্টে পড়ব। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অভিজ্ঞতাই আমাকে বিদেশে আসতে সাহায্য করেছে।’
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৫০তম বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৯৯২ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৪টি, এর মধ্যে ১০৫টিতে পাঠদান চলছে। বাকি ৯টির মধ্যে ৫টিতে পাঠদানের অনুমতি নেই এবং ৪টিতে বিভিন্ন জটিলতার কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪১৪ জন। অন্যদিকে ২০২২ সালে ছিল ৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৮ জন। বলা যায়, প্রতিবছরই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর ভর্তির হার বাড়ছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে ১৭ হাজার ৩১৬ জন শিক্ষার্থী।
বিভাগভিত্তিক হিসাবেও ২০২৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ—কৃষিতে ২ হাজার ৯২ জন, কলা ও মানবিকে ৩৯ হাজার ২১৫, জীববিজ্ঞানে ৫ হাজার ৭৫৪, ব্যবসায় শিক্ষায় ৮০ হাজার ৮৫৭, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৯, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান প্রযুক্তি ও জনস্বাস্থ্যে ৬ হাজার ৪০৫, আইন বিভাগে ২৩ হাজার ৬০৯, মেডিসিনে ১৩১, ফার্মেসিতে ১১ হাজার ৯৮১, বিজ্ঞানে ৭ হাজার ৬৫০, সামাজিক বিজ্ঞানে ১২ হাজার ৩৮৮, টেক্সটাইল ও ফ্যাশনে ১০ হাজার ৩৫৭, ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সে ৪০৭ এবং অন্যান্য বিষয়ে ২ হাজার ৮৪৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
প্রতিবেদনে শিক্ষকের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ২০২৩ সালে মোট শিক্ষক সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৪৭৯ জন, যা আগের বছরের তুলনায় ৯৭১ জন বেশি। এর মধ্যে পূর্ণকালীন শিক্ষক ১৩ হাজার ১৬৯ জন এবং খণ্ডকালীন ৪ হাজার ৩১০ জন। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত দাঁড়ায় ১: ২১। পিএইচডিধারী শিক্ষকের সংখ্যা ২০২৩ সালে ছিল ৩ হাজার ৬০৩ জন। পূর্ণকালীন শিক্ষক ২ হাজার ৭২ এবং খণ্ডকালীন ১ হাজার ৫৩১ জন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বড় অগ্রগতি এসেছে স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বর্তমানে ৪৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে আধুনিক অবকাঠামো, উন্নত ল্যাবরেটরি, গবেষণার সুবিধা এবং নিরাপদ পরিবেশ শিক্ষার্থীদের আস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
এ ছাড়া বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ব্যবসায় শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, স্বাস্থ্যবিজ্ঞানসহ সময়োপযোগী নানা বিষয়ে নতুন নতুন প্রোগ্রাম থাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা এসে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হচ্ছেন। বর্তমানে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন ৮২৬ জন।
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর বিকল্প নয়, দেশের উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ।

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় গত তিন দশকে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। একসময় দেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান ভরসা ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আসন সংকট, সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতেন। এমন প্রেক্ষাপটে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সময়োপযোগী উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে নব্বইয়ের দশকে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়, যা এখন দেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এনেছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা, সেশনজটমুক্ত পরিবেশ, রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকা, সময়োপযোগী বিষয়, উন্নত ল্যাব ও যোগ্য শিক্ষকের সহজপ্রাপ্যতা—সব মিলিয়ে তাঁরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার প্রতি ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে (এআইইউবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হওয়া নাসরীন আক্তার বলেন, ‘পাবলিকে সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু পছন্দের বিষয়ে নয়। এখানে ভর্তি হওয়ার পর বুঝেছি, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি। নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা হওয়ায় পড়াশোনার গতি ভালো। দ্রুত ডিগ্রি শেষ করতে পারব।’
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের সাবেক শিক্ষার্থী তানজিলা আহমেদ জানান, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই সুযোগ ছিল সীমিত। তাই তিনি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়েছেন।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট জাকিয়া ইসলাম বর্তমানে নিউইয়র্কে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সেশনজট নিয়ে পরিবারে শঙ্কা
ছিল। তাই ছোটবেলা থেকেই ভাবতাম নর্থ সাউথ, ব্র্যাক বা ইস্ট ওয়েস্টে পড়ব। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অভিজ্ঞতাই আমাকে বিদেশে আসতে সাহায্য করেছে।’
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৫০তম বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৯৯২ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৪টি, এর মধ্যে ১০৫টিতে পাঠদান চলছে। বাকি ৯টির মধ্যে ৫টিতে পাঠদানের অনুমতি নেই এবং ৪টিতে বিভিন্ন জটিলতার কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪১৪ জন। অন্যদিকে ২০২২ সালে ছিল ৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৮ জন। বলা যায়, প্রতিবছরই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর ভর্তির হার বাড়ছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে ১৭ হাজার ৩১৬ জন শিক্ষার্থী।
বিভাগভিত্তিক হিসাবেও ২০২৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ—কৃষিতে ২ হাজার ৯২ জন, কলা ও মানবিকে ৩৯ হাজার ২১৫, জীববিজ্ঞানে ৫ হাজার ৭৫৪, ব্যবসায় শিক্ষায় ৮০ হাজার ৮৫৭, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৯, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান প্রযুক্তি ও জনস্বাস্থ্যে ৬ হাজার ৪০৫, আইন বিভাগে ২৩ হাজার ৬০৯, মেডিসিনে ১৩১, ফার্মেসিতে ১১ হাজার ৯৮১, বিজ্ঞানে ৭ হাজার ৬৫০, সামাজিক বিজ্ঞানে ১২ হাজার ৩৮৮, টেক্সটাইল ও ফ্যাশনে ১০ হাজার ৩৫৭, ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সে ৪০৭ এবং অন্যান্য বিষয়ে ২ হাজার ৮৪৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
প্রতিবেদনে শিক্ষকের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ২০২৩ সালে মোট শিক্ষক সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৪৭৯ জন, যা আগের বছরের তুলনায় ৯৭১ জন বেশি। এর মধ্যে পূর্ণকালীন শিক্ষক ১৩ হাজার ১৬৯ জন এবং খণ্ডকালীন ৪ হাজার ৩১০ জন। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত দাঁড়ায় ১: ২১। পিএইচডিধারী শিক্ষকের সংখ্যা ২০২৩ সালে ছিল ৩ হাজার ৬০৩ জন। পূর্ণকালীন শিক্ষক ২ হাজার ৭২ এবং খণ্ডকালীন ১ হাজার ৫৩১ জন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বড় অগ্রগতি এসেছে স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বর্তমানে ৪৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে আধুনিক অবকাঠামো, উন্নত ল্যাবরেটরি, গবেষণার সুবিধা এবং নিরাপদ পরিবেশ শিক্ষার্থীদের আস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
এ ছাড়া বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ব্যবসায় শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, স্বাস্থ্যবিজ্ঞানসহ সময়োপযোগী নানা বিষয়ে নতুন নতুন প্রোগ্রাম থাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা এসে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হচ্ছেন। বর্তমানে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন ৮২৬ জন।
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর বিকল্প নয়, দেশের উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ।
রাহুল শর্মা, ঢাকা

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় গত তিন দশকে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। একসময় দেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান ভরসা ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আসন সংকট, সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতেন। এমন প্রেক্ষাপটে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সময়োপযোগী উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে নব্বইয়ের দশকে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়, যা এখন দেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এনেছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা, সেশনজটমুক্ত পরিবেশ, রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকা, সময়োপযোগী বিষয়, উন্নত ল্যাব ও যোগ্য শিক্ষকের সহজপ্রাপ্যতা—সব মিলিয়ে তাঁরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার প্রতি ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে (এআইইউবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হওয়া নাসরীন আক্তার বলেন, ‘পাবলিকে সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু পছন্দের বিষয়ে নয়। এখানে ভর্তি হওয়ার পর বুঝেছি, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি। নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা হওয়ায় পড়াশোনার গতি ভালো। দ্রুত ডিগ্রি শেষ করতে পারব।’
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের সাবেক শিক্ষার্থী তানজিলা আহমেদ জানান, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই সুযোগ ছিল সীমিত। তাই তিনি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়েছেন।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট জাকিয়া ইসলাম বর্তমানে নিউইয়র্কে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সেশনজট নিয়ে পরিবারে শঙ্কা
ছিল। তাই ছোটবেলা থেকেই ভাবতাম নর্থ সাউথ, ব্র্যাক বা ইস্ট ওয়েস্টে পড়ব। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অভিজ্ঞতাই আমাকে বিদেশে আসতে সাহায্য করেছে।’
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৫০তম বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৯৯২ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৪টি, এর মধ্যে ১০৫টিতে পাঠদান চলছে। বাকি ৯টির মধ্যে ৫টিতে পাঠদানের অনুমতি নেই এবং ৪টিতে বিভিন্ন জটিলতার কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪১৪ জন। অন্যদিকে ২০২২ সালে ছিল ৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৮ জন। বলা যায়, প্রতিবছরই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর ভর্তির হার বাড়ছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে ১৭ হাজার ৩১৬ জন শিক্ষার্থী।
বিভাগভিত্তিক হিসাবেও ২০২৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ—কৃষিতে ২ হাজার ৯২ জন, কলা ও মানবিকে ৩৯ হাজার ২১৫, জীববিজ্ঞানে ৫ হাজার ৭৫৪, ব্যবসায় শিক্ষায় ৮০ হাজার ৮৫৭, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৯, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান প্রযুক্তি ও জনস্বাস্থ্যে ৬ হাজার ৪০৫, আইন বিভাগে ২৩ হাজার ৬০৯, মেডিসিনে ১৩১, ফার্মেসিতে ১১ হাজার ৯৮১, বিজ্ঞানে ৭ হাজার ৬৫০, সামাজিক বিজ্ঞানে ১২ হাজার ৩৮৮, টেক্সটাইল ও ফ্যাশনে ১০ হাজার ৩৫৭, ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সে ৪০৭ এবং অন্যান্য বিষয়ে ২ হাজার ৮৪৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
প্রতিবেদনে শিক্ষকের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ২০২৩ সালে মোট শিক্ষক সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৪৭৯ জন, যা আগের বছরের তুলনায় ৯৭১ জন বেশি। এর মধ্যে পূর্ণকালীন শিক্ষক ১৩ হাজার ১৬৯ জন এবং খণ্ডকালীন ৪ হাজার ৩১০ জন। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত দাঁড়ায় ১: ২১। পিএইচডিধারী শিক্ষকের সংখ্যা ২০২৩ সালে ছিল ৩ হাজার ৬০৩ জন। পূর্ণকালীন শিক্ষক ২ হাজার ৭২ এবং খণ্ডকালীন ১ হাজার ৫৩১ জন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বড় অগ্রগতি এসেছে স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বর্তমানে ৪৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে আধুনিক অবকাঠামো, উন্নত ল্যাবরেটরি, গবেষণার সুবিধা এবং নিরাপদ পরিবেশ শিক্ষার্থীদের আস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
এ ছাড়া বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ব্যবসায় শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, স্বাস্থ্যবিজ্ঞানসহ সময়োপযোগী নানা বিষয়ে নতুন নতুন প্রোগ্রাম থাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা এসে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হচ্ছেন। বর্তমানে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন ৮২৬ জন।
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর বিকল্প নয়, দেশের উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ।

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় গত তিন দশকে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। একসময় দেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান ভরসা ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আসন সংকট, সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতেন। এমন প্রেক্ষাপটে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সময়োপযোগী উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে নব্বইয়ের দশকে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়, যা এখন দেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এনেছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা, সেশনজটমুক্ত পরিবেশ, রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকা, সময়োপযোগী বিষয়, উন্নত ল্যাব ও যোগ্য শিক্ষকের সহজপ্রাপ্যতা—সব মিলিয়ে তাঁরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার প্রতি ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে (এআইইউবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হওয়া নাসরীন আক্তার বলেন, ‘পাবলিকে সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু পছন্দের বিষয়ে নয়। এখানে ভর্তি হওয়ার পর বুঝেছি, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি। নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা হওয়ায় পড়াশোনার গতি ভালো। দ্রুত ডিগ্রি শেষ করতে পারব।’
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের সাবেক শিক্ষার্থী তানজিলা আহমেদ জানান, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই সুযোগ ছিল সীমিত। তাই তিনি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়েছেন।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট জাকিয়া ইসলাম বর্তমানে নিউইয়র্কে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সেশনজট নিয়ে পরিবারে শঙ্কা
ছিল। তাই ছোটবেলা থেকেই ভাবতাম নর্থ সাউথ, ব্র্যাক বা ইস্ট ওয়েস্টে পড়ব। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অভিজ্ঞতাই আমাকে বিদেশে আসতে সাহায্য করেছে।’
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৫০তম বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৯৯২ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৪টি, এর মধ্যে ১০৫টিতে পাঠদান চলছে। বাকি ৯টির মধ্যে ৫টিতে পাঠদানের অনুমতি নেই এবং ৪টিতে বিভিন্ন জটিলতার কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪১৪ জন। অন্যদিকে ২০২২ সালে ছিল ৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৮ জন। বলা যায়, প্রতিবছরই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর ভর্তির হার বাড়ছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে ১৭ হাজার ৩১৬ জন শিক্ষার্থী।
বিভাগভিত্তিক হিসাবেও ২০২৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ—কৃষিতে ২ হাজার ৯২ জন, কলা ও মানবিকে ৩৯ হাজার ২১৫, জীববিজ্ঞানে ৫ হাজার ৭৫৪, ব্যবসায় শিক্ষায় ৮০ হাজার ৮৫৭, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৯, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান প্রযুক্তি ও জনস্বাস্থ্যে ৬ হাজার ৪০৫, আইন বিভাগে ২৩ হাজার ৬০৯, মেডিসিনে ১৩১, ফার্মেসিতে ১১ হাজার ৯৮১, বিজ্ঞানে ৭ হাজার ৬৫০, সামাজিক বিজ্ঞানে ১২ হাজার ৩৮৮, টেক্সটাইল ও ফ্যাশনে ১০ হাজার ৩৫৭, ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সে ৪০৭ এবং অন্যান্য বিষয়ে ২ হাজার ৮৪৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
প্রতিবেদনে শিক্ষকের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ২০২৩ সালে মোট শিক্ষক সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৪৭৯ জন, যা আগের বছরের তুলনায় ৯৭১ জন বেশি। এর মধ্যে পূর্ণকালীন শিক্ষক ১৩ হাজার ১৬৯ জন এবং খণ্ডকালীন ৪ হাজার ৩১০ জন। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত দাঁড়ায় ১: ২১। পিএইচডিধারী শিক্ষকের সংখ্যা ২০২৩ সালে ছিল ৩ হাজার ৬০৩ জন। পূর্ণকালীন শিক্ষক ২ হাজার ৭২ এবং খণ্ডকালীন ১ হাজার ৫৩১ জন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বড় অগ্রগতি এসেছে স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বর্তমানে ৪৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে আধুনিক অবকাঠামো, উন্নত ল্যাবরেটরি, গবেষণার সুবিধা এবং নিরাপদ পরিবেশ শিক্ষার্থীদের আস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
এ ছাড়া বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ব্যবসায় শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, স্বাস্থ্যবিজ্ঞানসহ সময়োপযোগী নানা বিষয়ে নতুন নতুন প্রোগ্রাম থাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা এসে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হচ্ছেন। বর্তমানে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন ৮২৬ জন।
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর বিকল্প নয়, দেশের উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ।

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জামালপুর সদর, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, খাইরুন নাহার লিপিসহ একাধিক শিক্ষককে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষকনেতারা। গতকাল রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলছিল।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁদের হয়রানি করার জন্য ঢালাওভাবে বদলি করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে বৈঠক করছি। আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’
এদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতির কারণে দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পরীক্ষা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিলেন অভিভাবকেরা।
বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে শিক্ষকেরা আন্দোলন করতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করার জেরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক অভিভাবকের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক সহকারী শিক্ষক। রাজিব সরকার নামের ওই শিক্ষক বনওয়ারিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জানান, যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন রাজিব ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিভাবক পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের মারধর করেন। এতে সহকারী শিক্ষক রাজিবের মাথা ফেটে গেছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়াও কোনো কোনো জায়গায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দু-তিনটি ছাড়া কোনোটিতেই হয়নি পরীক্ষা। গতকাল সকালে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলের ফটক থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন স্কুলের কক্ষে তালা মেরে তাঁরা উপজেলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন। উপজেলার ষাটমা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।
একইভাবে কুষ্টিয়া শহরতলির ১৮ নম্বর লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। প্রশ্ন বিতরণ, খাতা সংগ্রহ, শৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুই সামলান তাঁরা। একপর্যায়ে অভিভাবকদের তীব্র চাপ ও বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা পর বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জামালপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করে।
জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেনুকা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সারা বছরের পর এই বার্ষিক পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকি। যখন বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা কোনো শিক্ষকের কাজ হতে পারে? তাঁদের এই কর্মবিরতি অন্য সময়ও করতে পারতেন। তাই আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছি।’
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পে-কমিশনের সুপারিশ লাগবে। সেটিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন গত ৮ নভেম্বর। এই আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকেরা। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিন (১০ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা।
সরকারের এই আশ্বাসের পর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে গত ৩০ নভেম্বর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জামালপুর সদর, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, খাইরুন নাহার লিপিসহ একাধিক শিক্ষককে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষকনেতারা। গতকাল রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলছিল।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁদের হয়রানি করার জন্য ঢালাওভাবে বদলি করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে বৈঠক করছি। আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’
এদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতির কারণে দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পরীক্ষা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিলেন অভিভাবকেরা।
বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে শিক্ষকেরা আন্দোলন করতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করার জেরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক অভিভাবকের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক সহকারী শিক্ষক। রাজিব সরকার নামের ওই শিক্ষক বনওয়ারিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জানান, যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন রাজিব ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিভাবক পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের মারধর করেন। এতে সহকারী শিক্ষক রাজিবের মাথা ফেটে গেছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়াও কোনো কোনো জায়গায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দু-তিনটি ছাড়া কোনোটিতেই হয়নি পরীক্ষা। গতকাল সকালে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলের ফটক থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন স্কুলের কক্ষে তালা মেরে তাঁরা উপজেলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন। উপজেলার ষাটমা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।
একইভাবে কুষ্টিয়া শহরতলির ১৮ নম্বর লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। প্রশ্ন বিতরণ, খাতা সংগ্রহ, শৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুই সামলান তাঁরা। একপর্যায়ে অভিভাবকদের তীব্র চাপ ও বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা পর বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জামালপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করে।
জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেনুকা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সারা বছরের পর এই বার্ষিক পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকি। যখন বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা কোনো শিক্ষকের কাজ হতে পারে? তাঁদের এই কর্মবিরতি অন্য সময়ও করতে পারতেন। তাই আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছি।’
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পে-কমিশনের সুপারিশ লাগবে। সেটিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন গত ৮ নভেম্বর। এই আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকেরা। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিন (১০ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা।
সরকারের এই আশ্বাসের পর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে গত ৩০ নভেম্বর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় গত তিন দশকে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। একসময় দেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান ভরসা ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আসন সংকট, সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতেন।
১১ দিন আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।
২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।
২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় গত তিন দশকে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। একসময় দেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান ভরসা ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আসন সংকট, সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতেন।
১১ দিন আগে
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
৬ ঘণ্টা আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় গত তিন দশকে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। একসময় দেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান ভরসা ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আসন সংকট, সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতেন।
১১ দিন আগে
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।
সুযোগ-সুবিধা
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।
সুযোগ-সুবিধা
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় গত তিন দশকে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। একসময় দেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান ভরসা ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আসন সংকট, সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতেন।
১১ দিন আগে
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে