
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইলিয়াস শান্ত।
ইলিয়াস শান্ত

প্রশ্ন: গত ২২ সেপ্টেম্বর খুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। নবীন শিক্ষার্থীদেরও ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম কেমন চলছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কেমন?
উপাচার্য: একটা অনিশ্চিত সময় অতিক্রম করে সবার সহযোগিতায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। পাঠদান শুরুর পর থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি। ক্লাস শুরুর পরপরই আমরা নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। অভিভাবকদের সঙ্গেও বিভিন্ন পর্যায়ে আমার কথা হয়েছে। এটা সত্যি যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে একটা অনিশ্চয়তা ছিল, যেটা সময়ের ব্যবধানে কেটে যাচ্ছে। আমি তিনটি বিভাগে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এসব বিভাগে নিয়মিত ৮৬-৯০ ভাগ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হচ্ছেন। নতুন শিক্ষাবর্ষে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁরাও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ক্লাসে থাকছেন।
প্রশ্ন: সিন্ডিকেট এক সিদ্ধান্তে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের দলীয় রাজনীতি বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। শুধু শিক্ষার্থীরা নন, শিক্ষক-কর্মচারীদেরও দলীয় রাজনীতি বন্ধ করা হয়েছে...
উপাচার্য: দলীয় রাজনীতির বিষয়ে সিন্ডিকেটে আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত দিইনি। যেটা হয়েছে সেটা হলো নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা। আমরা এটা এর আগেও বহুবার বলেছি, ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতির বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব। তবে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বলতে আমরা যে কাঠামোর সঙ্গে পরিচিত, বিগত বছরগুলোতে যে রাজনীতির নামে অপরাজনীতির চর্চা হয়েছে, যেটার মাধ্যমে আমাদের যে কঠিন ও তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটাকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। এ ধরনের রাজনীতি চলতে দেওয়া যাবে না।
প্রশ্ন: এখন ডাকসু নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ডাকসু এবং ১৮টি হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের ৫ বছর পার হয়ে গেছে। নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না কেন? এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবেন?
উপাচার্য: আমাদের নীতিগত ও সংবিধিবদ্ধ যেসব ব্যবস্থা আছে, সেগুলোর আওতায় ডাকসু এবং ডাকসুকে কেন্দ্র করে নেতৃত্ব তৈরির যে গণতান্ত্রিক চর্চা, সেটি আমরা সবাই ভালোভাবে অবগত। ডাকসুকে যত দ্রুত সম্ভব ক্রিয়াশীল করতে সচেষ্ট আছি। তবে বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে আলাপ করতে চাই। বিশেষ করে আমাদের ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই—সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেব। তবে ডাকসুর প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই অনুভব করি।
প্রশ্ন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই আন্দোলন সফল হয়েছে। আন্দোলনে ঢাবি থেকে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের দুজন এখন সরকারে আছেন। সামনের সারির বাকি দুজন ছায়া সরকারের ভূমিকায়। তাঁদের কারও কারও এখনো পড়ালেখা শেষ হয়নি। তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবন কেমন হবে?
উপাচার্য: যেকোনো বিবেচনায় আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এ প্রক্রিয়ায় যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবার প্রতিই আমাদের অভিবাদন এবং কৃতজ্ঞতা আছে। এ বিপ্লবে যাঁরা সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমরা সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রাখব। তাঁদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগও হচ্ছে। যাঁরা সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, কিন্তু এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের প্রতিও আমাদের সমান শ্রদ্ধা-সম্মান রয়েছে। এখনো হাসপাতালগুলোতে যাঁরা গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন, আমরা তাঁদের বিষয়েও সচেতন রয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা সরাসরি এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের স্মরণ করার জন্য বিশেষায়িত ক্লাবগুলোর মাধ্যমে কিছু মূল্যবান ছবি সংগ্রহ করেছি। কিছু গ্রাফিতি বিভিন্ন পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। জাতিসংঘের যে দলটি এই অভ্যুত্থান নিয়ে তদন্ত করছে, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তাদের এসব সরবরাহ করব। আমরা নিজেরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলো তদন্তে একটি কমিটি করেছি। এ কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য একটি কর্নার করার চিন্তা রয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে কিছু সভা-সেমিনার ও একাডেমিক আলোচনা আমরা নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে একাডেমিক এবং এক্সট্রা কারিকুলার—দুই দিক থেকেই স্মরণ করতে চাই, তাঁদের অবদানকে স্বীকার করতে চাই।

প্রশ্ন: এ আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এদের অনেকের বিরুদ্ধে আরও নানা ধরনের অভিযোগও রয়েছে...
উপাচার্য: এ বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। কিছু ক্ষেত্রে মোটামুটি সমঝোতা হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে সমঝোতা হয়নি। সে ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি ও আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। একটি বিষয় পরিষ্কার, যারা গুরুতর অপরাধে জড়িত, তাদের আইন অনুযায়ী বিচার হবে। যেসব জায়গায় দ্বন্দ্ব নিরসনের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন সম্ভব, সেখানে সেটাই করা হবে।
প্রশ্ন: সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের র্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। তবে তালিকায় ১০০০-এর মধ্য আছে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়। এই পাঁচটির মধ্যেও নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাবির অবস্থান ১০০১-১২০০তমের মধ্যে...
উপাচার্য: আমরা র্যাঙ্কিংকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমাদের সম্মানিত উপ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বিশেষায়িত দল এখন কাজ করছে। এর বাইরে আমাদের যাঁরা ভালো গবেষক রয়েছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করেছি। আমরা গবেষণা খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় ১০ জন গবেষক জায়গা পেয়েছেন। এটি যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের, অন্যদিকে দেশবাসীর জন্য একটি আনন্দের খবর। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অফিশিয়ালি স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা গবেষণার জন্য আলাদা কিছু বৃত্তি এবং বিশেষ ফান্ড দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের আগের প্রশাসন এ বিষয়ে কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল। তাদের ভালো উদ্যোগগুলোকে আমরা আরও প্রসারিত করার চেষ্টা করছি। র্যাঙ্কিং নিয়ে বড় দাগে কথা হচ্ছে, আমরা কোনো রকম অজুহাত দেখাতে চাচ্ছি না। ঢাবি যেহেতু সর্ব জনতার বিশ্ববিদ্যালয়, সেহেতু সবার কাছে প্রত্যাশা একটু বেশিই। সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। সুতরাং, আমরা র্যাঙ্কিংয়ে ভালো করলে সবাই যেমন খুশি হন, সেটা আমরা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে মনে রাখি। আমরা যখন ভালো করি না, তখন তারা দুঃখিত হন। সেটাতেও আমরা সচেতন থাকি। এ বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। আমাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে, র্যাঙ্কিংয়ের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এ দেশের জাতীয় জীবনে বেশ কিছু কাজে ভূমিকা পালন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের র্যাঙ্কিংকেন্দ্রিক একাডেমিক যে কাজ, তার মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। আমাদের অনেক বড় সামাজিক পরিসরে কাজ করতে হয়। এ কারণে সারা বছর র্যাঙ্কিংকেন্দ্রিক আমাদের একই ধরনের গুরুত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবু আমরা বলতে চাই, র্যাঙ্কিংয়ের বিষয়টি আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যেই রয়েছে।
প্রশ্ন: আবাসনব্যবস্থায় বড় সংস্কার হয়েছে বলা যায়। অছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশনার পর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এতে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা খুশি। তবে ছাত্রীদের আবাসন নিয়ে এখনো সংকট রয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, কিছু কিছু হলে এখনো ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি ছাত্রী অবস্থান করছেন...
উপাচার্য: আমাদের হল প্রশাসন স্মরণকালের বছরগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো হলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে। বহু বহু বছর পর আমরা প্রথমবারের মতো চেষ্টা করছি, হল প্রশাসন হলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিট বরাদ্দ দিচ্ছে। ফলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন বণ্টনে একরকম ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা মোটামুটি শিক্ষার্থীদের চাহিদা এবং মেরিট দুটোকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের হল বরাদ্দ দিচ্ছি। শিক্ষার্থীরা এখন হলগুলোতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রেখেছেন। গণরুমের সংস্কৃতি সম্পূর্ণভাবে দূর হয়েছে। তবু সংকট থেকেই যাচ্ছে। আমাদের নারী শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল নিয়ে ভুগছেন। আমি এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিন কাজ করার চেষ্টা করছি। এখন আমাদের যেটা হয়েছে, সেটা হলো আমাদের মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা শতকরা ৫১-৫৩ ভাগ। ধীরে ধীরে ছাত্রীরা এখন মেজরিটির দিকে যাচ্ছে। জাতীয় দিক বিবেচনায় এতে আমরা অত্যন্ত খুশি। কিন্তু ছাত্রীরা এগিয়ে এলেও তাদের জন্য আমাদের হলের সংখ্যা মাত্র ৫টি। এটার মানে হচ্ছে, আমাদের হল পর্যাপ্ত না। পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব থাকায় এ সমস্যার সরাসরি কোনো সমাধান বা ম্যাজিক বুলেট বলতে যা বোঝায়, সেটি আমাদের হাতে নেই। আমরা এখন যেটি করছি, সেটা হলো প্রথম সুযোগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা অলরেডি বিভিন্ন বন্ধুদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। দেশের সরকার এবং ইউজিসির সঙ্গেও আমাদের এ বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। ইউজিসি আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। আমরা আশাবাদী, ছাত্রীদের জন্য একটা হল অচিরেই নির্মাণকাজ শুরু করতে পারব। ছেলেদের হলে অবকাঠোমোও কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে চেষ্টা করছি। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা মেয়েদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি। প্রাথমিক ব্যবস্থাপনায় আমরা মেয়েদের হলগুলোর ফাঁকা স্থানে নতুন কিছু বেড সংযোজন করা যায় কি না সে বিষয়ে কাজ করছি।
প্রশ্ন: গত ২২ সেপ্টেম্বর খুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। নবীন শিক্ষার্থীদেরও ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম কেমন চলছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কেমন?
উপাচার্য: একটা অনিশ্চিত সময় অতিক্রম করে সবার সহযোগিতায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। পাঠদান শুরুর পর থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি। ক্লাস শুরুর পরপরই আমরা নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। অভিভাবকদের সঙ্গেও বিভিন্ন পর্যায়ে আমার কথা হয়েছে। এটা সত্যি যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে একটা অনিশ্চয়তা ছিল, যেটা সময়ের ব্যবধানে কেটে যাচ্ছে। আমি তিনটি বিভাগে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এসব বিভাগে নিয়মিত ৮৬-৯০ ভাগ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হচ্ছেন। নতুন শিক্ষাবর্ষে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁরাও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ক্লাসে থাকছেন।
প্রশ্ন: সিন্ডিকেট এক সিদ্ধান্তে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের দলীয় রাজনীতি বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। শুধু শিক্ষার্থীরা নন, শিক্ষক-কর্মচারীদেরও দলীয় রাজনীতি বন্ধ করা হয়েছে...
উপাচার্য: দলীয় রাজনীতির বিষয়ে সিন্ডিকেটে আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত দিইনি। যেটা হয়েছে সেটা হলো নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা। আমরা এটা এর আগেও বহুবার বলেছি, ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতির বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব। তবে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বলতে আমরা যে কাঠামোর সঙ্গে পরিচিত, বিগত বছরগুলোতে যে রাজনীতির নামে অপরাজনীতির চর্চা হয়েছে, যেটার মাধ্যমে আমাদের যে কঠিন ও তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটাকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। এ ধরনের রাজনীতি চলতে দেওয়া যাবে না।
প্রশ্ন: এখন ডাকসু নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ডাকসু এবং ১৮টি হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের ৫ বছর পার হয়ে গেছে। নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না কেন? এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবেন?
উপাচার্য: আমাদের নীতিগত ও সংবিধিবদ্ধ যেসব ব্যবস্থা আছে, সেগুলোর আওতায় ডাকসু এবং ডাকসুকে কেন্দ্র করে নেতৃত্ব তৈরির যে গণতান্ত্রিক চর্চা, সেটি আমরা সবাই ভালোভাবে অবগত। ডাকসুকে যত দ্রুত সম্ভব ক্রিয়াশীল করতে সচেষ্ট আছি। তবে বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে আলাপ করতে চাই। বিশেষ করে আমাদের ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই—সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেব। তবে ডাকসুর প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই অনুভব করি।
প্রশ্ন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই আন্দোলন সফল হয়েছে। আন্দোলনে ঢাবি থেকে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের দুজন এখন সরকারে আছেন। সামনের সারির বাকি দুজন ছায়া সরকারের ভূমিকায়। তাঁদের কারও কারও এখনো পড়ালেখা শেষ হয়নি। তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবন কেমন হবে?
উপাচার্য: যেকোনো বিবেচনায় আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এ প্রক্রিয়ায় যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবার প্রতিই আমাদের অভিবাদন এবং কৃতজ্ঞতা আছে। এ বিপ্লবে যাঁরা সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমরা সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রাখব। তাঁদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগও হচ্ছে। যাঁরা সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, কিন্তু এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের প্রতিও আমাদের সমান শ্রদ্ধা-সম্মান রয়েছে। এখনো হাসপাতালগুলোতে যাঁরা গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন, আমরা তাঁদের বিষয়েও সচেতন রয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা সরাসরি এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের স্মরণ করার জন্য বিশেষায়িত ক্লাবগুলোর মাধ্যমে কিছু মূল্যবান ছবি সংগ্রহ করেছি। কিছু গ্রাফিতি বিভিন্ন পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। জাতিসংঘের যে দলটি এই অভ্যুত্থান নিয়ে তদন্ত করছে, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তাদের এসব সরবরাহ করব। আমরা নিজেরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলো তদন্তে একটি কমিটি করেছি। এ কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য একটি কর্নার করার চিন্তা রয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে কিছু সভা-সেমিনার ও একাডেমিক আলোচনা আমরা নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে একাডেমিক এবং এক্সট্রা কারিকুলার—দুই দিক থেকেই স্মরণ করতে চাই, তাঁদের অবদানকে স্বীকার করতে চাই।

প্রশ্ন: এ আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এদের অনেকের বিরুদ্ধে আরও নানা ধরনের অভিযোগও রয়েছে...
উপাচার্য: এ বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। কিছু ক্ষেত্রে মোটামুটি সমঝোতা হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে সমঝোতা হয়নি। সে ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি ও আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। একটি বিষয় পরিষ্কার, যারা গুরুতর অপরাধে জড়িত, তাদের আইন অনুযায়ী বিচার হবে। যেসব জায়গায় দ্বন্দ্ব নিরসনের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন সম্ভব, সেখানে সেটাই করা হবে।
প্রশ্ন: সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের র্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। তবে তালিকায় ১০০০-এর মধ্য আছে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়। এই পাঁচটির মধ্যেও নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাবির অবস্থান ১০০১-১২০০তমের মধ্যে...
উপাচার্য: আমরা র্যাঙ্কিংকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমাদের সম্মানিত উপ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বিশেষায়িত দল এখন কাজ করছে। এর বাইরে আমাদের যাঁরা ভালো গবেষক রয়েছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করেছি। আমরা গবেষণা খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় ১০ জন গবেষক জায়গা পেয়েছেন। এটি যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের, অন্যদিকে দেশবাসীর জন্য একটি আনন্দের খবর। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অফিশিয়ালি স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা গবেষণার জন্য আলাদা কিছু বৃত্তি এবং বিশেষ ফান্ড দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের আগের প্রশাসন এ বিষয়ে কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল। তাদের ভালো উদ্যোগগুলোকে আমরা আরও প্রসারিত করার চেষ্টা করছি। র্যাঙ্কিং নিয়ে বড় দাগে কথা হচ্ছে, আমরা কোনো রকম অজুহাত দেখাতে চাচ্ছি না। ঢাবি যেহেতু সর্ব জনতার বিশ্ববিদ্যালয়, সেহেতু সবার কাছে প্রত্যাশা একটু বেশিই। সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। সুতরাং, আমরা র্যাঙ্কিংয়ে ভালো করলে সবাই যেমন খুশি হন, সেটা আমরা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে মনে রাখি। আমরা যখন ভালো করি না, তখন তারা দুঃখিত হন। সেটাতেও আমরা সচেতন থাকি। এ বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। আমাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে, র্যাঙ্কিংয়ের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এ দেশের জাতীয় জীবনে বেশ কিছু কাজে ভূমিকা পালন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের র্যাঙ্কিংকেন্দ্রিক একাডেমিক যে কাজ, তার মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। আমাদের অনেক বড় সামাজিক পরিসরে কাজ করতে হয়। এ কারণে সারা বছর র্যাঙ্কিংকেন্দ্রিক আমাদের একই ধরনের গুরুত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবু আমরা বলতে চাই, র্যাঙ্কিংয়ের বিষয়টি আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যেই রয়েছে।
প্রশ্ন: আবাসনব্যবস্থায় বড় সংস্কার হয়েছে বলা যায়। অছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশনার পর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এতে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা খুশি। তবে ছাত্রীদের আবাসন নিয়ে এখনো সংকট রয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, কিছু কিছু হলে এখনো ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি ছাত্রী অবস্থান করছেন...
উপাচার্য: আমাদের হল প্রশাসন স্মরণকালের বছরগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো হলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে। বহু বহু বছর পর আমরা প্রথমবারের মতো চেষ্টা করছি, হল প্রশাসন হলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিট বরাদ্দ দিচ্ছে। ফলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন বণ্টনে একরকম ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা মোটামুটি শিক্ষার্থীদের চাহিদা এবং মেরিট দুটোকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের হল বরাদ্দ দিচ্ছি। শিক্ষার্থীরা এখন হলগুলোতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রেখেছেন। গণরুমের সংস্কৃতি সম্পূর্ণভাবে দূর হয়েছে। তবু সংকট থেকেই যাচ্ছে। আমাদের নারী শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল নিয়ে ভুগছেন। আমি এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিন কাজ করার চেষ্টা করছি। এখন আমাদের যেটা হয়েছে, সেটা হলো আমাদের মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা শতকরা ৫১-৫৩ ভাগ। ধীরে ধীরে ছাত্রীরা এখন মেজরিটির দিকে যাচ্ছে। জাতীয় দিক বিবেচনায় এতে আমরা অত্যন্ত খুশি। কিন্তু ছাত্রীরা এগিয়ে এলেও তাদের জন্য আমাদের হলের সংখ্যা মাত্র ৫টি। এটার মানে হচ্ছে, আমাদের হল পর্যাপ্ত না। পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব থাকায় এ সমস্যার সরাসরি কোনো সমাধান বা ম্যাজিক বুলেট বলতে যা বোঝায়, সেটি আমাদের হাতে নেই। আমরা এখন যেটি করছি, সেটা হলো প্রথম সুযোগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা অলরেডি বিভিন্ন বন্ধুদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। দেশের সরকার এবং ইউজিসির সঙ্গেও আমাদের এ বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। ইউজিসি আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। আমরা আশাবাদী, ছাত্রীদের জন্য একটা হল অচিরেই নির্মাণকাজ শুরু করতে পারব। ছেলেদের হলে অবকাঠোমোও কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে চেষ্টা করছি। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা মেয়েদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি। প্রাথমিক ব্যবস্থাপনায় আমরা মেয়েদের হলগুলোর ফাঁকা স্থানে নতুন কিছু বেড সংযোজন করা যায় কি না সে বিষয়ে কাজ করছি।

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
২৭ মিনিট আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৫ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
৮ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১৪ ঘণ্টা আগেসোহানুর রহমান, জবি

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে জগন্নাথ কলেজে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৯ কেন্দ্রের ১৭৮ বুথে ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী আজ থেকে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সক্রিয় থাকবে। কমিশন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, যেকোনো সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল শেষ দিনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। দিনভর ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মতবিনিময় ও ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লক্ষ করা গেছে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি ফেয়ার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোট গণনায় যেন বিলম্ব না হয়, সেই দাবিও থাকবে। সব মিলিয়ে আশা করি, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।’
ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই ধারা অব্যাহত থাকত। এখন আমাদের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থেকে এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।’
জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা হতাশ। তাদের প্রতিটি কার্যক্রম বিতর্কিত, তাই কোনো আশা রাখছি না। তবে শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের একটাই আশা, ক্যাম্পাসের জন্য যারা কাজ করবে, সে রকম প্রতিনিধি বাছাই করতে তারা ভোটকেন্দ্রে এসে নিরাপদে ভোট দিতে পারুক।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট-সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘প্রচারণার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের থেকে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কিছু সংশয় আছে। সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবণী আক্তার কবিতা বলেন, ‘আশা করি, নির্বাচিত প্রার্থীরা দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, ‘কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচনের কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।’

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে জগন্নাথ কলেজে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৯ কেন্দ্রের ১৭৮ বুথে ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী আজ থেকে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সক্রিয় থাকবে। কমিশন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, যেকোনো সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল শেষ দিনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। দিনভর ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মতবিনিময় ও ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লক্ষ করা গেছে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি ফেয়ার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোট গণনায় যেন বিলম্ব না হয়, সেই দাবিও থাকবে। সব মিলিয়ে আশা করি, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।’
ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই ধারা অব্যাহত থাকত। এখন আমাদের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থেকে এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।’
জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা হতাশ। তাদের প্রতিটি কার্যক্রম বিতর্কিত, তাই কোনো আশা রাখছি না। তবে শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের একটাই আশা, ক্যাম্পাসের জন্য যারা কাজ করবে, সে রকম প্রতিনিধি বাছাই করতে তারা ভোটকেন্দ্রে এসে নিরাপদে ভোট দিতে পারুক।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট-সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘প্রচারণার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের থেকে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কিছু সংশয় আছে। সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবণী আক্তার কবিতা বলেন, ‘আশা করি, নির্বাচিত প্রার্থীরা দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, ‘কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচনের কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইলিয়াস শান্ত।
০২ নভেম্বর ২০২৪
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৫ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
৮ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১৪ ঘণ্টা আগেশেফাক মাহমুদ, বুটেক্স

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"
হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"
হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইলিয়াস শান্ত।
০২ নভেম্বর ২০২৪
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
২৭ মিনিট আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
৮ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।
আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।
এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’
নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।
বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।
আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।
এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’
নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।
বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইলিয়াস শান্ত।
০২ নভেম্বর ২০২৪
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
২৭ মিনিট আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৫ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১৪ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
ভোর ৬টায় উখিয়ার সোনারপাড়া বিচ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি শেষ হয় সকাল ৭টায় তারকা মানের হোটেল অর্কিড ব্লুতে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সায়েদ (০১৫৯), প্রথম রানারআপ তারেক (০৪৫৬) এবং দ্বিতীয় রানারআপ আশিক (০১৬০)। নারীদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন বিদেশি প্রতিযোগী জোহানা (০২৩৯), প্রথম রানারআপ আভা (০০৬৫) এবং দ্বিতীয় রানারআপ কুজো (০০৮৭)।
ম্যারাথন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপদেষ্টা এ এইচ সেলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, উখিয়া শাখার সভাপতি পিএম মোবারক, ইনস্টিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের সিডিসিও শাইফুল ইসলাম শিহাব, উবায়েদ উল্লাহ শুভ, শাকিবুল ইসলাম, সাইয়েদ মোবারক, মেহেদী হাসান, শাহরিয়ার তানভীর রিফাত, আর জে রাফি, আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, ‘বিপুল সাড়া পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।’
ম্যারাথনের সমাপ্তির পর অংশগ্রহণকারীরা আরও এরূপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছরও তাঁরা একটি নতুন ম্যারাথন আয়োজনের চেষ্টা করবেন।

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
ভোর ৬টায় উখিয়ার সোনারপাড়া বিচ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি শেষ হয় সকাল ৭টায় তারকা মানের হোটেল অর্কিড ব্লুতে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সায়েদ (০১৫৯), প্রথম রানারআপ তারেক (০৪৫৬) এবং দ্বিতীয় রানারআপ আশিক (০১৬০)। নারীদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন বিদেশি প্রতিযোগী জোহানা (০২৩৯), প্রথম রানারআপ আভা (০০৬৫) এবং দ্বিতীয় রানারআপ কুজো (০০৮৭)।
ম্যারাথন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপদেষ্টা এ এইচ সেলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, উখিয়া শাখার সভাপতি পিএম মোবারক, ইনস্টিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের সিডিসিও শাইফুল ইসলাম শিহাব, উবায়েদ উল্লাহ শুভ, শাকিবুল ইসলাম, সাইয়েদ মোবারক, মেহেদী হাসান, শাহরিয়ার তানভীর রিফাত, আর জে রাফি, আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, ‘বিপুল সাড়া পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।’
ম্যারাথনের সমাপ্তির পর অংশগ্রহণকারীরা আরও এরূপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছরও তাঁরা একটি নতুন ম্যারাথন আয়োজনের চেষ্টা করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইলিয়াস শান্ত।
০২ নভেম্বর ২০২৪
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
২৭ মিনিট আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৫ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
৮ ঘণ্টা আগে