সাব্বির হোসেন

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের দায়িত্ব কি শুধুই পাঠদান? আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা বলছে, না। একজন শিক্ষক শুধু পাঠ্যবই শেখানোতে ব্যস্ত থাকেন না, তিনি একটি শিশু বা কিশোরকে গড়ে তোলেন দায়িত্ববান, আত্মসচেতন এবং নৈতিক মানুষ হিসেবে। আর এমন মানুষ তৈরিতে প্রয়োজন শৃঙ্খলা, আচরণগত দিকনির্দেশনা এবং ইতিবাচক মূল্যবোধের চর্চা।
বহু বছর ধরে শ্রেণিকক্ষে শৃঙ্খলা মানেই ছিল শাস্তি। নিয়ম ভাঙলে বকুনি, রাগ দেখানো বা শাস্তি দেওয়া। কিন্তু আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এসেছে পরিবর্তন। এখন শৃঙ্খলা মানে কঠোরতা নয়, বরং শিক্ষার্থীর ভুল নিজে বোঝার ও সংশোধন করে দেওয়ার সুযোগ। এই দৃষ্টিভঙ্গির একটি কার্যকর প্রয়োগ হলো ক্লাসরুম ডিসিপ্লিন স্ট্র্যাটেজি। এ কৌশল ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহিত করে এবং নেতিবাচক আচরণকে সহানুভূতির সঙ্গে সংশোধনের সুযোগ দেয়।
শৃঙ্খলার নতুন সংজ্ঞা
ধরা যাক, একজন শিক্ষার্থী বারবার দেরি করে ক্লাসে আসে বা চিৎকার করে উত্তর দেয়। পুরোনো ব্যবস্থায় হয়তো সে শাস্তি পেত, বকুনি খেত। এতে তার মধ্যে ক্ষোভ জন্মাত, শেখার আগ্রহ কমে যেত। কিন্তু ইতিবাচক শৃঙ্খলা পদ্ধতিতে তাকে শেখানো হয়—কেন সময়মতো আসা জরুরি, কেন শোনার পর উত্তর দেওয়া শ্রেয়। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (এপিএ) বলছে, ‘ইতিবাচক শৃঙ্খলা শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে, আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখায় এবং দীর্ঘমেয়াদি আচরণগত পরিবর্তন আনে।’
শিক্ষার্থীর চরিত্র গঠনের ছয় ভিত্তি
ক্লাসরুম ডিসিপ্লিন স্ট্র্যাটেজিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ছয়টি মৌলিক নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো চাপিয়ে দেওয়া কোনো নিয়ম নয়, বরং নৈতিকতা ও সামাজিকতা বিকাশের সহায়ক অভ্যাস।
সবাইকে সম্মান কর: শ্রেণিকক্ষ একটি ছোট সমাজ। শিক্ষক, সহপাঠী এবং নিজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ একজন শিক্ষার্থীকে সহনশীলতা ও মানবিকতা শেখায়।
হাত তুলে কথা বল: এটি শুধু শৃঙ্খলার প্রতীক নয়, বরং শোনার ও বলার ভারসাম্য গড়ে তোলে।
নিজের স্থান পরিষ্কার রাখ: পরিচ্ছন্নতাচর্চা শিক্ষার্থীর দায়িত্ববোধ ও পরিবেশ সচেতনতা তৈরি করে।
সততা ও সদয়তা বজায় রাখ: সত্যবাদিতা ও সদয়তার চর্চা মানুষের মধ্যে সৌজন্য ও সহমর্মিতা গড়ে তোলে।
অনুমতি ছাড়া সিট ছেড়ে উঠবে না: নীরবতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
সহপাঠীদের সাহায্য কর: সহযোগিতা ও নেতৃত্বের চর্চা শুরু হয় এখান থেকেই।
শাস্তি নয়, উৎসাহ দিন
ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহ দিতে পুরস্কারভিত্তিক পদ্ধতি কার্যকর। যেমন নিয়মিত হোমওয়ার্ক জমা দিলে ১ স্টার; সহপাঠীকে সহায়তা করলে ৩ স্টার এবং প্রশ্নের উত্তর দিলে ১ স্টার। এই স্টারগুলো জমিয়ে শিক্ষার্থী অর্জন করতে পারে ৫ স্টারে ‘স্টার অব দ্য উইক’ সনদ; ১০ স্টারে সারপ্রাইজ গিফট, স্টিকার বা ব্যাজ। এই পদ্ধতির ভিত্তি মন্টেসরি শিক্ষা ও পিবিআইএস (পজিটিভ বিহেভিয়ার ইন্টারভেনশনস অ্যান্ড সাপোর্টস)। এতে শিশুরা শিখতে পারে, প্রতিযোগিতার মাঝেও মানবিক থাকা যায়। কাউকে পেছনে ফেলার নয়, বরং নিজেকে উন্নত করার প্রতিযোগিতা।
নিয়ম ভাঙলে কী হবে?
শাস্তির পরিবর্তে শিক্ষার্থীকে ধাপে ধাপে বোঝানো হয়—
প্রথমবার: মৌখিক সতর্কতা
দ্বিতীয়বার: নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ‘টাইম-আউট’
তৃতীয়বার: অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ
চূড়ান্ত ধাপ: প্রধান শিক্ষকের হস্তক্ষেপ
এই ধারা শিক্ষার্থীদের শেখায়, তাদের আচরণের দায়ভার তার নিজের। কথা না বলেও নির্দেশ দেওয়া যায়।
শ্রেণিকক্ষে সব সময় উচ্চস্বরে কিছু বোঝানোর প্রয়োজন নেই। শিক্ষক ব্যবহার করতে পারেন কিছু ‘সাইলেন্ট সিগন্যাল’:
হাত তুললে — শ্রেণিকক্ষ চুপ হয়ে যায়
ঘণ্টা টোকা—শান্ত পরিবেশ সৃষ্টি
চোখের ইশারা—শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে দাঁড়ানো
এগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও দায়িত্ববোধ তৈরি করে।
বিশ্বদৃষ্টিতে শৃঙ্খলা শিক্ষা
ইউনেসকো তার শিক্ষা ২০৩০ ঘোষণাপত্রে বলেছে, ‘শুধু পরীক্ষার ফল নয়, শিক্ষার্থীর সামাজিক ও নৈতিক বিকাশই মানসম্পন্ন শিক্ষার অন্যতম উপাদান।’ ক্লাসরুম ডিসিপ্লিন স্ট্র্যাটেজি সেই লক্ষ্যেই কাজ করে—শ্রেণিকক্ষকে মানবিক ও ইতিবাচক পরিবেশে রূপান্তর করতে।
সফল মানুষ গঠনে শৃঙ্খলা অপরিহার্য
একটি আদর্শ শ্রেণিকক্ষ মানে শুধুই পাঠদান নয়, বরং এমন এক পরিবেশ; যেখানে শিশুরা শেখে, অনুভব করে এবং মানুষ হয়ে ওঠে। শৃঙ্খলা মানে ভয় দেখানো নয়, এটি আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখার প্রক্রিয়া। শিক্ষার্থীদের আচরণ শুধরে দেওয়া নয়, বরং নিজেকে বুঝে উন্নত করার সুযোগ দেওয়া—এই হোক শিক্ষকের লক্ষ্য।
তথ্যসূত্র: আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন; ইউনেসকো, শিক্ষা ২০৩০; মন্টেসরি ফাউন্ডেশন

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের দায়িত্ব কি শুধুই পাঠদান? আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা বলছে, না। একজন শিক্ষক শুধু পাঠ্যবই শেখানোতে ব্যস্ত থাকেন না, তিনি একটি শিশু বা কিশোরকে গড়ে তোলেন দায়িত্ববান, আত্মসচেতন এবং নৈতিক মানুষ হিসেবে। আর এমন মানুষ তৈরিতে প্রয়োজন শৃঙ্খলা, আচরণগত দিকনির্দেশনা এবং ইতিবাচক মূল্যবোধের চর্চা।
বহু বছর ধরে শ্রেণিকক্ষে শৃঙ্খলা মানেই ছিল শাস্তি। নিয়ম ভাঙলে বকুনি, রাগ দেখানো বা শাস্তি দেওয়া। কিন্তু আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এসেছে পরিবর্তন। এখন শৃঙ্খলা মানে কঠোরতা নয়, বরং শিক্ষার্থীর ভুল নিজে বোঝার ও সংশোধন করে দেওয়ার সুযোগ। এই দৃষ্টিভঙ্গির একটি কার্যকর প্রয়োগ হলো ক্লাসরুম ডিসিপ্লিন স্ট্র্যাটেজি। এ কৌশল ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহিত করে এবং নেতিবাচক আচরণকে সহানুভূতির সঙ্গে সংশোধনের সুযোগ দেয়।
শৃঙ্খলার নতুন সংজ্ঞা
ধরা যাক, একজন শিক্ষার্থী বারবার দেরি করে ক্লাসে আসে বা চিৎকার করে উত্তর দেয়। পুরোনো ব্যবস্থায় হয়তো সে শাস্তি পেত, বকুনি খেত। এতে তার মধ্যে ক্ষোভ জন্মাত, শেখার আগ্রহ কমে যেত। কিন্তু ইতিবাচক শৃঙ্খলা পদ্ধতিতে তাকে শেখানো হয়—কেন সময়মতো আসা জরুরি, কেন শোনার পর উত্তর দেওয়া শ্রেয়। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (এপিএ) বলছে, ‘ইতিবাচক শৃঙ্খলা শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে, আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখায় এবং দীর্ঘমেয়াদি আচরণগত পরিবর্তন আনে।’
শিক্ষার্থীর চরিত্র গঠনের ছয় ভিত্তি
ক্লাসরুম ডিসিপ্লিন স্ট্র্যাটেজিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ছয়টি মৌলিক নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো চাপিয়ে দেওয়া কোনো নিয়ম নয়, বরং নৈতিকতা ও সামাজিকতা বিকাশের সহায়ক অভ্যাস।
সবাইকে সম্মান কর: শ্রেণিকক্ষ একটি ছোট সমাজ। শিক্ষক, সহপাঠী এবং নিজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ একজন শিক্ষার্থীকে সহনশীলতা ও মানবিকতা শেখায়।
হাত তুলে কথা বল: এটি শুধু শৃঙ্খলার প্রতীক নয়, বরং শোনার ও বলার ভারসাম্য গড়ে তোলে।
নিজের স্থান পরিষ্কার রাখ: পরিচ্ছন্নতাচর্চা শিক্ষার্থীর দায়িত্ববোধ ও পরিবেশ সচেতনতা তৈরি করে।
সততা ও সদয়তা বজায় রাখ: সত্যবাদিতা ও সদয়তার চর্চা মানুষের মধ্যে সৌজন্য ও সহমর্মিতা গড়ে তোলে।
অনুমতি ছাড়া সিট ছেড়ে উঠবে না: নীরবতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
সহপাঠীদের সাহায্য কর: সহযোগিতা ও নেতৃত্বের চর্চা শুরু হয় এখান থেকেই।
শাস্তি নয়, উৎসাহ দিন
ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহ দিতে পুরস্কারভিত্তিক পদ্ধতি কার্যকর। যেমন নিয়মিত হোমওয়ার্ক জমা দিলে ১ স্টার; সহপাঠীকে সহায়তা করলে ৩ স্টার এবং প্রশ্নের উত্তর দিলে ১ স্টার। এই স্টারগুলো জমিয়ে শিক্ষার্থী অর্জন করতে পারে ৫ স্টারে ‘স্টার অব দ্য উইক’ সনদ; ১০ স্টারে সারপ্রাইজ গিফট, স্টিকার বা ব্যাজ। এই পদ্ধতির ভিত্তি মন্টেসরি শিক্ষা ও পিবিআইএস (পজিটিভ বিহেভিয়ার ইন্টারভেনশনস অ্যান্ড সাপোর্টস)। এতে শিশুরা শিখতে পারে, প্রতিযোগিতার মাঝেও মানবিক থাকা যায়। কাউকে পেছনে ফেলার নয়, বরং নিজেকে উন্নত করার প্রতিযোগিতা।
নিয়ম ভাঙলে কী হবে?
শাস্তির পরিবর্তে শিক্ষার্থীকে ধাপে ধাপে বোঝানো হয়—
প্রথমবার: মৌখিক সতর্কতা
দ্বিতীয়বার: নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ‘টাইম-আউট’
তৃতীয়বার: অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ
চূড়ান্ত ধাপ: প্রধান শিক্ষকের হস্তক্ষেপ
এই ধারা শিক্ষার্থীদের শেখায়, তাদের আচরণের দায়ভার তার নিজের। কথা না বলেও নির্দেশ দেওয়া যায়।
শ্রেণিকক্ষে সব সময় উচ্চস্বরে কিছু বোঝানোর প্রয়োজন নেই। শিক্ষক ব্যবহার করতে পারেন কিছু ‘সাইলেন্ট সিগন্যাল’:
হাত তুললে — শ্রেণিকক্ষ চুপ হয়ে যায়
ঘণ্টা টোকা—শান্ত পরিবেশ সৃষ্টি
চোখের ইশারা—শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে দাঁড়ানো
এগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও দায়িত্ববোধ তৈরি করে।
বিশ্বদৃষ্টিতে শৃঙ্খলা শিক্ষা
ইউনেসকো তার শিক্ষা ২০৩০ ঘোষণাপত্রে বলেছে, ‘শুধু পরীক্ষার ফল নয়, শিক্ষার্থীর সামাজিক ও নৈতিক বিকাশই মানসম্পন্ন শিক্ষার অন্যতম উপাদান।’ ক্লাসরুম ডিসিপ্লিন স্ট্র্যাটেজি সেই লক্ষ্যেই কাজ করে—শ্রেণিকক্ষকে মানবিক ও ইতিবাচক পরিবেশে রূপান্তর করতে।
সফল মানুষ গঠনে শৃঙ্খলা অপরিহার্য
একটি আদর্শ শ্রেণিকক্ষ মানে শুধুই পাঠদান নয়, বরং এমন এক পরিবেশ; যেখানে শিশুরা শেখে, অনুভব করে এবং মানুষ হয়ে ওঠে। শৃঙ্খলা মানে ভয় দেখানো নয়, এটি আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখার প্রক্রিয়া। শিক্ষার্থীদের আচরণ শুধরে দেওয়া নয়, বরং নিজেকে বুঝে উন্নত করার সুযোগ দেওয়া—এই হোক শিক্ষকের লক্ষ্য।
তথ্যসূত্র: আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন; ইউনেসকো, শিক্ষা ২০৩০; মন্টেসরি ফাউন্ডেশন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
১৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছানো হলো।
১৫ ঘণ্টা আগে
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
১৫ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
১৬ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘আমরা প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জকসু নির্বাচনকে ঘিরে সম্মিলিতভাবে চার দফা মৌখিক দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সবগুলো পূরণ করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘আমরা যে দাবি জানিয়েছি, তা অবশ্যই পূরণ করা লাগবে—এটা আমাদের অধিকার।’
এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চালান তাঁরা।
শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে আবারও সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়। সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
চার দফা দাবি হলো—জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত করতে হবে। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সদস্য পদত্যাগ করতে পারবেন না। নির্বাচন শেষে যেসব সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন স্থগিতের পেছনে কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক চাপ ছিল কি না, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘আমরা প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জকসু নির্বাচনকে ঘিরে সম্মিলিতভাবে চার দফা মৌখিক দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সবগুলো পূরণ করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘আমরা যে দাবি জানিয়েছি, তা অবশ্যই পূরণ করা লাগবে—এটা আমাদের অধিকার।’
এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চালান তাঁরা।
শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে আবারও সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়। সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
চার দফা দাবি হলো—জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত করতে হবে। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সদস্য পদত্যাগ করতে পারবেন না। নির্বাচন শেষে যেসব সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন স্থগিতের পেছনে কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক চাপ ছিল কি না, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের দায়িত্ব কি শুধুই পাঠদান? আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা বলছে, না। একজন শিক্ষক শুধু পাঠ্যবই শেখানোতে ব্যস্ত থাকেন না, তিনি একটি শিশু বা কিশোরকে গড়ে তোলেন দায়িত্ববান, আত্মসচেতন এবং নৈতিক মানুষ হিসেবে। আর এমন মানুষ তৈরিতে প্রয়োজন শৃঙ্খলা, আচরণগত দিকনির্দেশনা এবং ইতিবাচক মূল্যবোধের চর্চা।
২৬ জুলাই ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছানো হলো।
১৫ ঘণ্টা আগে
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
১৫ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
১৬ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম। এতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন। বিক্ষোভকারীরা তফসিল অনুযায়ী আজই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়।
সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম। এতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন। বিক্ষোভকারীরা তফসিল অনুযায়ী আজই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়।
সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হবে।’

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের দায়িত্ব কি শুধুই পাঠদান? আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা বলছে, না। একজন শিক্ষক শুধু পাঠ্যবই শেখানোতে ব্যস্ত থাকেন না, তিনি একটি শিশু বা কিশোরকে গড়ে তোলেন দায়িত্ববান, আত্মসচেতন এবং নৈতিক মানুষ হিসেবে। আর এমন মানুষ তৈরিতে প্রয়োজন শৃঙ্খলা, আচরণগত দিকনির্দেশনা এবং ইতিবাচক মূল্যবোধের চর্চা।
২৬ জুলাই ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
১৩ ঘণ্টা আগে
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
১৫ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এ দিন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুনিয়র বৃত্তির বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষাটি আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শোক এবং বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বুধবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওই পরীক্ষা আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’
পরীক্ষা স্থগিত ও নতুন তারিখ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলো বিজ্ঞপ্তি জারি করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হলে বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে।
বৃত্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ৪০০। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ১০০, গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষা হবে ৩ ঘণ্টা সময়ে।
এ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ‘ট্যালেন্টপুল’ কোটায় ও ‘সাধারণ’ কোটায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এ দিন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুনিয়র বৃত্তির বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষাটি আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শোক এবং বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বুধবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওই পরীক্ষা আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’
পরীক্ষা স্থগিত ও নতুন তারিখ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলো বিজ্ঞপ্তি জারি করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হলে বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে।
বৃত্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ৪০০। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ১০০, গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষা হবে ৩ ঘণ্টা সময়ে।
এ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ‘ট্যালেন্টপুল’ কোটায় ও ‘সাধারণ’ কোটায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের দায়িত্ব কি শুধুই পাঠদান? আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা বলছে, না। একজন শিক্ষক শুধু পাঠ্যবই শেখানোতে ব্যস্ত থাকেন না, তিনি একটি শিশু বা কিশোরকে গড়ে তোলেন দায়িত্ববান, আত্মসচেতন এবং নৈতিক মানুষ হিসেবে। আর এমন মানুষ তৈরিতে প্রয়োজন শৃঙ্খলা, আচরণগত দিকনির্দেশনা এবং ইতিবাচক মূল্যবোধের চর্চা।
২৬ জুলাই ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
১৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছানো হলো।
১৫ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
১৬ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এদিন সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। তবে ভোটের অনিশ্চয়তায় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন তাঁরা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন, জীবনের প্রথম ভোট দিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে সেই সুযোগ আর হলো না। জানি না কবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এজন্যই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।
সমাজকর্ম বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মায়িশা ফাহমিদা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের ভিন্ন অনুভূতি কাজ করছিল। কিন্তু যা প্রশাসন করল, তা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ভোট যেহেতু হবে না, তাই ক্যাম্পাসে থাকার আর কোনো মনমানসিকতা নেই এ কারণেই চলে যাচ্ছি।
এর আগে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। আজ সকাল সোয়া ৯টায় নির্বাচন স্থগিতের এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।
তবে এ ঘোষণার পর ভিসি ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিসি ভবন ঘেরাও করে নির্বাচন আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এদিন সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। তবে ভোটের অনিশ্চয়তায় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন তাঁরা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন, জীবনের প্রথম ভোট দিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে সেই সুযোগ আর হলো না। জানি না কবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এজন্যই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।
সমাজকর্ম বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মায়িশা ফাহমিদা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের ভিন্ন অনুভূতি কাজ করছিল। কিন্তু যা প্রশাসন করল, তা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ভোট যেহেতু হবে না, তাই ক্যাম্পাসে থাকার আর কোনো মনমানসিকতা নেই এ কারণেই চলে যাচ্ছি।
এর আগে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। আজ সকাল সোয়া ৯টায় নির্বাচন স্থগিতের এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।
তবে এ ঘোষণার পর ভিসি ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিসি ভবন ঘেরাও করে নির্বাচন আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের দায়িত্ব কি শুধুই পাঠদান? আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা বলছে, না। একজন শিক্ষক শুধু পাঠ্যবই শেখানোতে ব্যস্ত থাকেন না, তিনি একটি শিশু বা কিশোরকে গড়ে তোলেন দায়িত্ববান, আত্মসচেতন এবং নৈতিক মানুষ হিসেবে। আর এমন মানুষ তৈরিতে প্রয়োজন শৃঙ্খলা, আচরণগত দিকনির্দেশনা এবং ইতিবাচক মূল্যবোধের চর্চা।
২৬ জুলাই ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
১৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছানো হলো।
১৫ ঘণ্টা আগে
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
১৫ ঘণ্টা আগে