Ajker Patrika

দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি বইয়ের ৮ শিক্ষা

আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭: ৫৬
দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি বইয়ের ৮ শিক্ষা

প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের লেখা শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হলো ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি’। ১৯৫২ সালে প্রকাশিত বইটির জন্য লেখক নোবেল ও পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছেন। সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ বইটি বিভিন্ন ভাষায় পড়েছেন। এটি একটি উপন্যাস হলেও এর মধ্যে রয়েছে জীবনদর্শন ও নানা শিক্ষা। বইটি পড়ে শিক্ষাগুলো লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

কখনো হাল ছাড়বেন না
‘মানুষ পরাজয়ের জন্য সৃষ্টি হয়নি। তাকে ধ্বংস করা যায়, কিন্তু পরাজিত করা যায় না।’ এটাই বইটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। সারা জীবন পূর্ণ উদ্যমে স্বপ্ন নিয়ে বাঁচুন, কখনো হাল ছাড়বেন না, কখনো আত্মসমর্পণ করবেন না। সান্তিয়াগোর কাছে একটি পুরোনো ভাঙা নৌকা এবং বৃদ্ধ সান্তিয়াগোর ভাঙা দেহ ছাড়া আর কিছুই ছিল না। তিনি বৃদ্ধ হলেও হাল ছাড়েননি। টানা ৮৪ দিন কোনো মাছ ধরতে পারেননি, তবু প্রতিদিন সমুদ্রে মাছ ধরতে গেছেন। মনে একরাশ স্বপ্ন ছিল, তিনি একদিন সমুদ্রের সবচেয়ে বড় ও সুন্দর মাছটি ধরবেন। ৮৫তম দিনে তাঁর বড়শিতে ধরা পড়ল এক বিশাল আকৃতির মাছ।

সফলতা হলো দৃষ্টিভঙ্গি
সফলতার প্রকৃত অর্থ কী, তা হেমিংওয়ে আমাদের ভাবতে বাধ্য করেন। সফলতা কি সমাজের উঁচু পদ–পদবি, অনেক টাকার মালিক হওয়া নাকি অন্য কিছু? সান্তিয়াগো সামাজিক মর্যাদার সর্বনিম্ন প্রান্তে ছিলেন। তিনি গরিব ছিলেন, কিন্তু তাঁর ছিল জীবনদর্শন। তাঁর কাছে সফলতার অর্থ ছিল মূল্যবোধ অনুযায়ী জীবন যাপন করা। তিনি সততা ও কঠোর পরিশ্রমের মতো গুণাবলি অনুসরণ করে জীবন যাপন করতে পছন্দ করতেন। তিনি সাফল্যের জন্য কারও কাছে হাত পাতেননি, বরং তিনি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি নিজের ব্যর্থতা ও ভুল স্বীকার করেছেন এবং সফলও হয়েছেন। 

যা আছে তার জন্য কৃতজ্ঞ হোন
আমরা শুধু ব্যর্থতার হিসাব করি। আমার এটা নেই, সেটা নেই প্রভৃতি কথা বলি। কিন্তু যা আমাদের আছে, তা নিয়ে খুব একটা কৃতজ্ঞ হই না। আমাদের উচিত যা আছে, তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকা এবং সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার করা। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও আমাদের তেমন কিছু ছিল না। দৃঢ় মনোবল নিয়ে যা ছিল, তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ায় বিজয় অর্জিত হয়েছে। ঠিক তেমনি উপন্যাসে সান্তিয়াগোর পৃথিবী খুবই কঠিন ছিল। তাঁর একমাত্র জীবিকার উৎস ছিল সমুদ্রে মাছ ধরা। তিনি অত্যন্ত গরিব ছিলেন, ঠিকমতো খাবার খেতে পারতেন না। তাঁর বন্ধু ম্যানোলিন মাঝেমধ্যে তাঁর জন্য খাবার নিয়ে আসতেন।

অন্যের কথায় কান না দেওয়া
আপনি নিজেই নিজের বস হোন। আপনাকে নিয়ে অন্য কে কী ভাবল, এসব ভেবে সময় নষ্ট করবেন না। ছোট জেলেরা তাঁর দিকে তাকিয়ে হাসত এবং বড়রা তাঁর জন্য করুণ চোখে দুঃখ প্রকাশ করত, কিন্তু সান্তিয়াগো এতে কান দেননি। পাত্তা না দিয়ে আপন মনে নিজের কাজটি করে গেছেন। কেননা তিনি জানতেন, যা করছেন তা ঠিকই করছেন। তাঁর মনে ছিল স্বপ্ন। একদিন তিনি স্বপ্নকে স্পর্শ করেন। 

শুধু ভাগ্যের আশায় বসে না থাকা
ভাগ্যে বিশ্বাস করা উচিত। তবে কাজ না করে শুধু ভাগ্যের ওপর নির্ভর করা ঠিক নয়। কঠোর পরিশ্রম করুন, অধ্যবসায়ী হোন। দেখবেন, ভাগ্য একদিন আপনার পদধূলি নেবে। সান্তিয়াগো ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে বসে ছিলেন না। তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এরপর যখন সুযোগ আসে, তখন তার জন্য প্রস্তুত থেকে নিজের ভাগ্য নিজে তৈরি করেছেন। ৮৪ দিন মাছ ছাড়া থাকার পরও তিনি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকেন এবং চেষ্টা চালিয়ে যান। সান্তিয়াগো সফলতার জন্য শর্টকাট পথ বেছে নেননি, বরং তিনি কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন। তবে এটা ঠিক, শুধু কঠোর পরিশ্রম করলেই হবে না; স্মার্টলি কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। 

অভিযোগ না করা
সকালের ঠান্ডায় বুড়ো সান্তিয়াগো কাঁপছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন, তিনি নিজেকে উষ্ণ করে তুলবেন। সে জন্য তিনি শিগগির নৌকা চালাতে শুরু করবেন। তার আগপর্যন্ত সান্তিয়াগো ঠান্ডায় কষ্ট সহ্য করেছেন। কিন্তু তিনি প্রচেষ্টা থামাননি। এমনকি যখন তিনি ঠান্ডা, ক্ষুধা, তৃষ্ণায় মৃত্যুর মুখোমুখি হন, তখনো তিনি কেবল যা করা দরকার তা–ই করেছিলেন। তিনি কখনো অভিযোগ করেননি। নিজের প্রতি করুণা দেখাননি, তিনি কেবল ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। একবার মাছ ধরার লাইন থেকে তাঁর হাত কেটে যায়। কিন্তু তা তাকে দমাতে পারেনি।
তিনি বসে বসে কান্না না করে নিজের কাজ করে গেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল

সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।

এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।

কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি 
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ ‎রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ‎

‎জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’ ‎

তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’ ‎

‎এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। ‎এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত