Ajker Patrika

বিসিএস ভাইভা: পুলিশ ক্যাডারের কমন প্রশ্নোত্তর

বিসিএস ভাইভা: পুলিশ ক্যাডারের কমন প্রশ্নোত্তর

চলছে ৪৩তম বিসিএস ভাইভা। ভাইভায় ভালো করার জন্য গুছিয়ে প্রস্তুতির বিকল্প নেই। এ জন্য বিগত সময়ে পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণদের ভাইভা অভিজ্ঞতা বেশি বেশি করে পড়তে হবে। শতাধিক বিসিএস ক্যাডারের ভাইভা অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে পুলিশ ক্যাডারের কমন কিছু প্রশ্নোত্তর নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

প্রশ্ন: একজন এএসপি কী ধরনের প্রশিক্ষণ পায়? 
উত্তর: এএসপি পদে নিয়োগ পাওয়ার পর তাকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে এক বছরের প্রশিক্ষণে প্রেরণ করা হয়। ওই প্রশিক্ষণ সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হওয়ার পর তাকে বিভিন্ন থানা, সার্কেল অফিস, আদালত প্রভৃতি জায়গায় মোট ছয় মাস ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ শেষে নিয়মিত পোস্টিং দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে চাকরি স্থায়ীকরণের পূর্বে তাকে সাভারের পিএটিসিতে ছয় মাসের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিতে হয়। অনেক সময় পিএটিসির ট্রেনিং সারদার ট্রেনিংয়ের আগে সম্পন্ন করতে হয়। কোনো বিশেষ ফোর্সে নিয়োগ দেওয়া হলে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।

প্রশ্ন: মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান সম্পর্কে বলেন। 
উত্তর: বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল সময় হলো ১৯৭১ সাল। মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, বেশ কয়েকজন এসপিসহ প্রায় সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্য বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে জীবনদান করেন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাস থেকেই প্রদেশের পুলিশ বাহিনীর ওপর কর্তৃত্ব হারিয়েছিল পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার। পুলিশের বীর সদস্যরা প্রকাশ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তারা ২৫ মার্চ ১৯৭১ তারিখে ঢাকার রাজারবাগের পুলিশ লাইনসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বাতিল .৩০৩ রাইফেল দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। এই সশস্ত্র প্রতিরোধটিই বাঙালিদের কাছে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরুর বার্তা পৌঁছে দেয়। এই অসমান্তরাল যুদ্ধে ১৫০ জনেরও বেশি পুলিশের বীর সদস্য শহীদ হন। পরবর্তীকালে পুলিশের সদস্যরা ৯ মাস দেশব্যাপী গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১ হাজার ২৬২ জন শহীদ পুলিশ সদস্যের তালিকা স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্রে উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহের তৎকালীন সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার মাহবুবউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে ঐতিহাসিক গার্ড অব অনার প্রদান করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে ১ হাজার ২৬১ জন জীবন দান করেন। যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ১৩ হাজার পুলিশ সদস্য। 

প্রশ্ন: মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা কয়েকজন পুলিশ সদস্যের নাম বলেন। 
উত্তর: বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রথম আইজিপি আব্দুল খালেক, মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি শহীদ মামুন মাহমুদ, তৎকালীন রাজশাহীর পুলিশ সুপার শহীদ শাহ আব্দুল মজিদ, ঝিনাইদহের তৎকালীন মহকুমা পুলিশ অফিসার ও মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদানকারী মাহবুবউদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন সাব ইন্সপেক্টর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণদানকারী শহীদ শিরু মিয়া, তৎকালীন পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও ও কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পিতা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ, ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার শহীদ এম শামসুল হক, মো. শাহজাহান মিয়া; তিনি ২৫ মার্চ রাতে লাইনসের ওয়্যারলেস বেইস স্টেশনের অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের সংবাদ বেতারবার্তার মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দেন। এ ছাড়া আরও অনেক পুলিশ সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। 

প্রশ্ন: বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর এমন একজন ব্যক্তির নাম বলেন, যিনি আপনার আইডল হতে পারেন। 
উত্তর: বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম আইজি আব্দুল খালেক স্যার। ১৯৭১ সালে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল ছিলেন। তারপর যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় তখন তিনি ভারতে চলে যান এবং প্রবাসী সরকারের অধীনে আইজিপির দায়িত্ব পান। পরবর্তীকালে প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর স্বহস্তে লিখিত এক ঐতিহাসিক খোলা চিঠির মাধ্যমে তিনি পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্যকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদাত্ত আহ্বান জানান। এমন দেশপ্রেমিক পুলিশ অফিসার আমাদের দেশের জন্য খুব দরকার। 

প্রশ্ন: ওয়ারেন্ট বলতে কী বোঝেন? 
উত্তর: সাধারণভাবে কাউকে আটক করা বা কোথাও তল্লাশি চালানোর জন্য পুলিশকে দেওয়া আদালতের হুকুম। আদালতের কাছ থেকে এই ওয়ারেন্ট বের করার জন্য পুলিশকে আটক বা তল্লাশি চালানোর প্রয়োজনীয়তা তথ্য সহযোগে আদালতে পেশ করতে হয়। 

প্রশ্ন: এফআইআর বলতে কী বোঝেন? 
উত্তর: First Information Report এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো F. I. R। কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর উৎপীড়িত ব্যক্তি বা অন্য কেউ সেই সম্পর্কে থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত অফিসারকে অভিযোগ জানালে অফিসারের দায়িত্ব সেটি নথিভুক্ত করা। সেই লিখিত রিপোর্টটিই হলো এফআইআর। এফআইআরের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে থাকে। 

প্রশ্ন: গ্রেপ্তার কাকে বলে? এটি ফৌজদারি কার্যবিধির কত ধারায় বলা আছে? 
উত্তর: কোনো অপরাধীকে বিচারের জন্য বা আদালতে হাজির করার জন্য তার ব্যক্তিস্বাধীনতাকে খর্ব করে পুলিশের হেফাজতে আনাকে গ্রেপ্তার বলা হয়। এটি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৬ নম্বর ধারায় বলা আছে। 

প্রশ্ন: আধুনিক পুলিশের জনক বলা হয় কাকে? 
উত্তর: আধুনিক পুলিশের জনক বলা হয় স্যার রবার্ট পিলকে। তিনি ১৭৮৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ইংল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি পুলিশ বাহিনীকে একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করেন। শিল্পবিপ্লবের কারণে ইংল্যান্ডের সামাজিক ব্যবস্থায় অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে স্যার রবার্ট পিল একটি নিয়মতান্ত্রিক পুলিশ বাহিনীর অভাব অনুভব করেন। যার ফলে তিনি ১৮২৯ সালে লন্ডন মেট্রো পুলিশ গঠন করেন। পুলিশ বাহিনীর উন্নতির জন্য তিনি যেসব ধারণা প্রবর্তন করেন, তা ‘Peelian principles’ নামে পরিচিত। তিনি এক সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন। আধুনিক পুলিশের জনক রবার্ট পিল ১৮৫০ সালের ২ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। 

প্রশ্ন: পুলিশ কখন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে? 
উত্তর: ফৌজদারি কার্যবিধি ধারা ১০(৭) অনুযায়ী মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশ কমিশনার এবং ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশেষ প্রয়োজনের নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় সহকারী পুলিশ সুপারের নিচে নয়, এমন পুলিশ কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। 

প্রশ্ন: জেনারেল ডায়েরি বলতে কী বোঝেন? 
উত্তর: ফৌজদারি অপরাধ সংঘটনের উপক্রম হলে কিংবা কোনো কিছু হারালে প্রাথমিকভাবে থানায় যে রেজিস্ট্রার লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে জেনারেল ডায়েরি বা জিডি বলা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল

সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।

এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।

কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি 
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ ‎রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ‎

‎জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’ ‎

তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’ ‎

‎এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। ‎এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত