প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত বছর রোটারি স্কলারশিপ অর্জন করেছিলেন শারমিন আক্তার শাকিলা। তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ড থেকে ‘ইকোনমিকস অ্যান্ড ফিন্যান্স ফর ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। তাঁর এই সাফল্য কঠোর পরিশ্রমের ফল। শাকিলাকে নিয়ে লিখেছেন নাদিম মজিদ।
নাদিম মজিদ

শাকিলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০২৪ সালে তিনি রোটারি স্কলারশিপের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার সুযোগ পান। ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ড রোটারি পিস সেন্টার হিসেবে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। এ প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর শিক্ষার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন দেশের স্কলারদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছেন এবং বিশ্বের নানা প্রান্তের সংস্কৃতি ও চিন্তাভাবনার সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব
রোটারি স্কলারশিপের মাধ্যমে শাকিলা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে তিনি দেশের উন্নয়ন, দারিদ্র্যবিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়ন-সংক্রান্ত কাজ তুলে ধরেছেন। এই অভিজ্ঞতা শুধু তাঁকে পেশাগতভাবে সমৃদ্ধ করেনি, ব্যক্তিগত জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলেছে।
হোস্ট ফ্যামিলির অভিজ্ঞতা
শাকিলার অভিজ্ঞতার বিশেষ অংশ ছিল যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে একটি স্থানীয় রোটারি পরিবারের সঙ্গে বসবাস। হোস্ট রোটারিয়ানরা তাঁকে স্থানীয় সংস্কৃতি, জীবনধারা ও কমিউনিটি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হতে সহায়তা করেছেন। তিনি ব্র্যাডফোর্ড ও আশপাশের রোটারি ক্লাবগুলোতে অতিথি বক্তা হিসেবে অংশ নেন, যেখানে তিনি গ্লোবাল সাউথে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
ইন্টার্নশিপ: বাস্তবতার পাঠ
শাকিলা তাঁর ফিল্ডওয়ার্ক সম্পন্ন করেন ব্র্যাক উগান্ডায়। সেখানে তিনি মাস্টারকার্ড ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রকল্পে দায়িত্ব পালন করেন, যেখানে তরুণ উদ্যোক্তাদের দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি তিনি ব্র্যাকের ‘Ultra Poor Graduation’ প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যার মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারগুলোকে আত্মনির্ভরশীল করে তোলার প্রয়াস চলছে। বিশেষভাবে তিনি পশ্চিম নীল অঞ্চলের একটি শরণার্থী বসতিতে ব্র্যাক পরিচালিত ৩০টির বেশি প্লে ল্যাব পরিদর্শন করেন। এই প্লে ল্যাবগুলো যুদ্ধ ও বাস্তুচ্যুতির শিকার শিশুদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে কাজ করছে।
রোটারি স্কলারশিপ কী?
রোটারি ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত এই স্কলারশিপ মূলত সমাজসেবামূলক কাজে সক্রিয়, নেতৃত্বগুণসম্পন্ন এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হয়। স্কলারশিপের আওতায় শান্তি ও সংঘাত নিরসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি ও স্যানিটেশনসহ সাতটি ফোকাস এরিয়ার অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ থাকে। বিশ্বের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় রোটারি পিস সেন্টার হিসেবে স্বীকৃত, তাদের মধ্যে রয়েছে:
� ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ড (যুক্তরাজ্য)
� ডিউক ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনা (যুক্তরাষ্ট্র)
� ইন্টারন্যাশনাল ক্রিস্টিয়ান ইউনিভার্সিটি (জাপান)
� ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া)
� উপসালা ইউনিভার্সিটি
� ম্যাকেরেরে ইউনিভার্সিটি
� ব্যাচেসেহির ইউনিভার্সিটি (তুরস্ক)
কাদের জন্য এই স্কলারশিপ?
এই স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর কমিউনিটি পর্যায়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ, নেতৃত্বের গুণাবলি এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ে আগ্রহ থাকতে হয়। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের অভিজ্ঞতা থাকা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
যেসব সুবিধা মেলে
রোটারি স্কলারশিপের আওতায় শিক্ষার্থীরা পান:
� পূর্ণ টিউশন ফি
� থাকা-খাওয়ার খরচ
� আন্তর্জাতিক বিমান ভাড়া
� ফিল্ডওয়ার্ক বা ইন্টার্নশিপ খরচ
� গ্লোবাল রোটারি নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ
� হোস্ট ফ্যামিলিতে বসবাসের অভিজ্ঞতা
� নেতৃত্ব ও পেশাগত দক্ষতা
আবেদনের ধাপগুলো:
১. উপযুক্ত প্রোগ্রাম বেছে নেওয়া প্রথমেই নির্ধারণ করতে হবে কোন বিশ্ববিদ্যালয় ও কোন মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করা হবে। Peace and Conflict Studies, Economic Development, International Relations, Education ইত্যাদি বিষয়ে রোটারি স্কলারশিপ দেয়।
২. যোগ্যতা যাচাই
৩. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত
৪. আবেদন জমা দেওয়া
৫. ইন্টারভিউ ও মনোনয়ন
৬. চূড়ান্ত নির্বাচন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি
আবেদনের সময়সূচি
আবেদন জানুয়ারি মাসে শুরু হয়ে মে মাসে শেষ হয়। নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয় নভেম্বর মাসে এবং তারা পরবর্তী বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অধ্যয়ন শুরু করেন।
বর্তমানে শাকিলা যুক্তরাজ্যে একটি সামাজিক বিনিয়োগ প্রকল্পে কাজ করছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি সামাজিক উদ্যোগে বিনিয়োগ করে স্থানীয় সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। শাকিলা বলেন, ‘রোটারি স্কলারশিপ শুধু আমার একাডেমিক পথ নয়; বরং একজন বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের দরজা খুলে দিয়েছে। যাঁরা সমাজে পরিবর্তন আনতে চান, তাঁদের জন্য এটি একটি অসাধারণ সুযোগ।’

শাকিলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০২৪ সালে তিনি রোটারি স্কলারশিপের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার সুযোগ পান। ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ড রোটারি পিস সেন্টার হিসেবে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। এ প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর শিক্ষার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন দেশের স্কলারদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছেন এবং বিশ্বের নানা প্রান্তের সংস্কৃতি ও চিন্তাভাবনার সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব
রোটারি স্কলারশিপের মাধ্যমে শাকিলা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে তিনি দেশের উন্নয়ন, দারিদ্র্যবিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়ন-সংক্রান্ত কাজ তুলে ধরেছেন। এই অভিজ্ঞতা শুধু তাঁকে পেশাগতভাবে সমৃদ্ধ করেনি, ব্যক্তিগত জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলেছে।
হোস্ট ফ্যামিলির অভিজ্ঞতা
শাকিলার অভিজ্ঞতার বিশেষ অংশ ছিল যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে একটি স্থানীয় রোটারি পরিবারের সঙ্গে বসবাস। হোস্ট রোটারিয়ানরা তাঁকে স্থানীয় সংস্কৃতি, জীবনধারা ও কমিউনিটি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হতে সহায়তা করেছেন। তিনি ব্র্যাডফোর্ড ও আশপাশের রোটারি ক্লাবগুলোতে অতিথি বক্তা হিসেবে অংশ নেন, যেখানে তিনি গ্লোবাল সাউথে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
ইন্টার্নশিপ: বাস্তবতার পাঠ
শাকিলা তাঁর ফিল্ডওয়ার্ক সম্পন্ন করেন ব্র্যাক উগান্ডায়। সেখানে তিনি মাস্টারকার্ড ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রকল্পে দায়িত্ব পালন করেন, যেখানে তরুণ উদ্যোক্তাদের দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি তিনি ব্র্যাকের ‘Ultra Poor Graduation’ প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যার মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারগুলোকে আত্মনির্ভরশীল করে তোলার প্রয়াস চলছে। বিশেষভাবে তিনি পশ্চিম নীল অঞ্চলের একটি শরণার্থী বসতিতে ব্র্যাক পরিচালিত ৩০টির বেশি প্লে ল্যাব পরিদর্শন করেন। এই প্লে ল্যাবগুলো যুদ্ধ ও বাস্তুচ্যুতির শিকার শিশুদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে কাজ করছে।
রোটারি স্কলারশিপ কী?
রোটারি ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত এই স্কলারশিপ মূলত সমাজসেবামূলক কাজে সক্রিয়, নেতৃত্বগুণসম্পন্ন এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হয়। স্কলারশিপের আওতায় শান্তি ও সংঘাত নিরসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি ও স্যানিটেশনসহ সাতটি ফোকাস এরিয়ার অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ থাকে। বিশ্বের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় রোটারি পিস সেন্টার হিসেবে স্বীকৃত, তাদের মধ্যে রয়েছে:
� ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ড (যুক্তরাজ্য)
� ডিউক ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনা (যুক্তরাষ্ট্র)
� ইন্টারন্যাশনাল ক্রিস্টিয়ান ইউনিভার্সিটি (জাপান)
� ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া)
� উপসালা ইউনিভার্সিটি
� ম্যাকেরেরে ইউনিভার্সিটি
� ব্যাচেসেহির ইউনিভার্সিটি (তুরস্ক)
কাদের জন্য এই স্কলারশিপ?
এই স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর কমিউনিটি পর্যায়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ, নেতৃত্বের গুণাবলি এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ে আগ্রহ থাকতে হয়। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের অভিজ্ঞতা থাকা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
যেসব সুবিধা মেলে
রোটারি স্কলারশিপের আওতায় শিক্ষার্থীরা পান:
� পূর্ণ টিউশন ফি
� থাকা-খাওয়ার খরচ
� আন্তর্জাতিক বিমান ভাড়া
� ফিল্ডওয়ার্ক বা ইন্টার্নশিপ খরচ
� গ্লোবাল রোটারি নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ
� হোস্ট ফ্যামিলিতে বসবাসের অভিজ্ঞতা
� নেতৃত্ব ও পেশাগত দক্ষতা
আবেদনের ধাপগুলো:
১. উপযুক্ত প্রোগ্রাম বেছে নেওয়া প্রথমেই নির্ধারণ করতে হবে কোন বিশ্ববিদ্যালয় ও কোন মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করা হবে। Peace and Conflict Studies, Economic Development, International Relations, Education ইত্যাদি বিষয়ে রোটারি স্কলারশিপ দেয়।
২. যোগ্যতা যাচাই
৩. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত
৪. আবেদন জমা দেওয়া
৫. ইন্টারভিউ ও মনোনয়ন
৬. চূড়ান্ত নির্বাচন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি
আবেদনের সময়সূচি
আবেদন জানুয়ারি মাসে শুরু হয়ে মে মাসে শেষ হয়। নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয় নভেম্বর মাসে এবং তারা পরবর্তী বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অধ্যয়ন শুরু করেন।
বর্তমানে শাকিলা যুক্তরাজ্যে একটি সামাজিক বিনিয়োগ প্রকল্পে কাজ করছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি সামাজিক উদ্যোগে বিনিয়োগ করে স্থানীয় সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। শাকিলা বলেন, ‘রোটারি স্কলারশিপ শুধু আমার একাডেমিক পথ নয়; বরং একজন বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের দরজা খুলে দিয়েছে। যাঁরা সমাজে পরিবর্তন আনতে চান, তাঁদের জন্য এটি একটি অসাধারণ সুযোগ।’

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
৪ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
৪ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
৪ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এবার আবেদন করতে পারবেন। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দ্বিতীয়বারও ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে।
‘এ’ (বিজ্ঞান), ‘বি’ (মানবিক) ও ‘সি’ (ব্যবসায় শিক্ষা) এই তিন ইউনিটে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী শিক্ষার্থী। আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে আগামী বছরের ২৭ মার্চ মার্চ ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩ এপ্রিল ‘বি’ ইউনিট এবং ১০ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৩০। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। এর আগে, ৭ ডিসেম্বর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রতিটি ইউনিটের ফলাফল জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এবার আবেদন করতে পারবেন। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দ্বিতীয়বারও ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে।
‘এ’ (বিজ্ঞান), ‘বি’ (মানবিক) ও ‘সি’ (ব্যবসায় শিক্ষা) এই তিন ইউনিটে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী শিক্ষার্থী। আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে আগামী বছরের ২৭ মার্চ মার্চ ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩ এপ্রিল ‘বি’ ইউনিট এবং ১০ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৩০। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। এর আগে, ৭ ডিসেম্বর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রতিটি ইউনিটের ফলাফল জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

শাকিলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০২৪ সালে তিনি রোটারি স্কলারশিপের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার সুযোগ পান। ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ড রোটারি পিস সেন্টার হিসেবে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। এ প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর শিক্ষার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন দেশের স্কলারদের...
১৯ এপ্রিল ২০২৫
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
৪ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
৪ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
৪ ঘণ্টা আগেভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি
মো. দিদার হোসেন

অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী একটা রোডম্যাপ তৈরি করে সবটুকু দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া।
অ্যাডমিশনে সবচেয়ে ভীতির নাম ইংরেজি। যদিও ছোটবেলা থেকে আমরা ইংরেজি পড়ি ও চর্চা করি; কিন্তু অ্যাডমিশনে ভর্তি-ইচ্ছুকেরা সবচেয়ে বেশি ইংরেজিতেই ফেল করেন। আর তাই, ইংরেজির সিলেবাসটা সবার আগে বোঝা দরকার।
প্রশ্ন প্যাটার্নের দিকে তাকালে দেখা যায়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক আছে, (Right Form of Verb, Preposition, Noun, Tense, Voice, Figure of Speech, Narration, Synonym-Antonym, Phrase, Spelling), যেগুলো থেকে প্রতিবছরই এক বা একাধিক প্রশ্ন আসে। সুতরাং সে টপিকগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
পাশাপাশি যেগুলো থেকে প্রশ্ন আসে না, শেষের এ সময়ে সেগুলো অতটা গুরুত্ব দিয়ে পড়ার খুব একটা প্রয়োজন নেই। আমরা ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখব, ইংরেজি এমসিকিউর গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ এবং রিটেনের পুরোটাই আসে এইচএসসির ইংরেজি প্রথম পত্র বোর্ড বই থেকে।
যদিও বাংলার সিলেবাস তুলনামূলক সহজ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁদের বাংলা ব্যাকরণবিষয়ক পূর্ববর্তী অনীহার জন্য বাংলায়ও বড় একটা হোঁচট খান। অ্যাডমিশনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের বোর্ড বইয়ের গদ্য, পদ্য ও সহপাঠ থেকে প্রায় অর্ধেক প্রশ্ন করা হয়। বাকিটা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক (যেমন: উপসর্গ, বানান, উচ্চারণ, ক্রিয়ার কাল, অভিধান, পদ, সমাস, সন্ধি) ও বিরচন (সমার্থক শব্দ, পরিভাষা, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ) থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। ব্যাকরণ ও বিরচন অংশের জন্য শিক্ষার্থীদের নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই অনুসরণ করাটাই শ্রেয়।
সাধারণ জ্ঞান অংশটি অনেকের কাছে নতুন বিষয় বলে বেশ কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু আমরা প্রশ্নের দিকে তাকালে দেখতে পাব, এর চারটি অংশ নির্দিষ্ট সিলেবাস অনুসরণ করে চলে। বাংলাদেশ বিষয়াবলির জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, সংবিধান, সংস্কৃতি, রাজনীতি, জনসংখ্যা। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য দেশ পরিক্রমা, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, যুদ্ধ, চুক্তি, বিপ্লব, সভ্যতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মৌলিক বিষয়াবলি (অর্থনীতি, পৌরনীতি, ভূগোল, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান) ও সাম্প্রতিক অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মানবিক শাখার অনেক শিক্ষার্থী ও মানবিক ছাড়া অন্যান্য বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। যেখানে চান্স পেতে আপনাকে অবশ্যই প্রথম দিকের মেরিট পজিশনগুলোতে থাকতে হবে। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী একটা রোডম্যাপ তৈরি করে সবটুকু দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া।
অ্যাডমিশনে সবচেয়ে ভীতির নাম ইংরেজি। যদিও ছোটবেলা থেকে আমরা ইংরেজি পড়ি ও চর্চা করি; কিন্তু অ্যাডমিশনে ভর্তি-ইচ্ছুকেরা সবচেয়ে বেশি ইংরেজিতেই ফেল করেন। আর তাই, ইংরেজির সিলেবাসটা সবার আগে বোঝা দরকার।
প্রশ্ন প্যাটার্নের দিকে তাকালে দেখা যায়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক আছে, (Right Form of Verb, Preposition, Noun, Tense, Voice, Figure of Speech, Narration, Synonym-Antonym, Phrase, Spelling), যেগুলো থেকে প্রতিবছরই এক বা একাধিক প্রশ্ন আসে। সুতরাং সে টপিকগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
পাশাপাশি যেগুলো থেকে প্রশ্ন আসে না, শেষের এ সময়ে সেগুলো অতটা গুরুত্ব দিয়ে পড়ার খুব একটা প্রয়োজন নেই। আমরা ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখব, ইংরেজি এমসিকিউর গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ এবং রিটেনের পুরোটাই আসে এইচএসসির ইংরেজি প্রথম পত্র বোর্ড বই থেকে।
যদিও বাংলার সিলেবাস তুলনামূলক সহজ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁদের বাংলা ব্যাকরণবিষয়ক পূর্ববর্তী অনীহার জন্য বাংলায়ও বড় একটা হোঁচট খান। অ্যাডমিশনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের বোর্ড বইয়ের গদ্য, পদ্য ও সহপাঠ থেকে প্রায় অর্ধেক প্রশ্ন করা হয়। বাকিটা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক (যেমন: উপসর্গ, বানান, উচ্চারণ, ক্রিয়ার কাল, অভিধান, পদ, সমাস, সন্ধি) ও বিরচন (সমার্থক শব্দ, পরিভাষা, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ) থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। ব্যাকরণ ও বিরচন অংশের জন্য শিক্ষার্থীদের নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই অনুসরণ করাটাই শ্রেয়।
সাধারণ জ্ঞান অংশটি অনেকের কাছে নতুন বিষয় বলে বেশ কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু আমরা প্রশ্নের দিকে তাকালে দেখতে পাব, এর চারটি অংশ নির্দিষ্ট সিলেবাস অনুসরণ করে চলে। বাংলাদেশ বিষয়াবলির জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, সংবিধান, সংস্কৃতি, রাজনীতি, জনসংখ্যা। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য দেশ পরিক্রমা, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, যুদ্ধ, চুক্তি, বিপ্লব, সভ্যতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মৌলিক বিষয়াবলি (অর্থনীতি, পৌরনীতি, ভূগোল, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান) ও সাম্প্রতিক অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মানবিক শাখার অনেক শিক্ষার্থী ও মানবিক ছাড়া অন্যান্য বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। যেখানে চান্স পেতে আপনাকে অবশ্যই প্রথম দিকের মেরিট পজিশনগুলোতে থাকতে হবে। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শাকিলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০২৪ সালে তিনি রোটারি স্কলারশিপের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার সুযোগ পান। ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ড রোটারি পিস সেন্টার হিসেবে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। এ প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর শিক্ষার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন দেশের স্কলারদের...
১৯ এপ্রিল ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
৪ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
৪ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই বৃত্তির আওতায় একদিকে যেমন আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে, অন্যদিকে ইতালির সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ইউরোপিয়ান শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ মিলবে।
ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া ইতালির অন্যতম প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৪৮১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। উত্তর ইতালির বন্দরনগরী জেনোয়ায় অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপের শিক্ষাঙ্গনে গবেষণা ও একাডেমিক উৎকর্ষের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আধুনিক ল্যাব, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পরিবেশ এবং শিল্প খাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগের কারণে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন আকর্ষণীয় আর্থিক সুবিধা। এই বৃত্তির আওতায় বিভিন্ন প্রোগ্রামে সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে, যা দিয়ে পড়াশোনার সময় জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা খরচে বা স্বল্পমূল্যে আবাসনের ব্যবস্থাও থাকছে। পাশাপাশি আধুনিক লাইব্রেরি, গবেষণাগার ও উন্নত শিক্ষার্থী সেবার সুবিধা তো রয়েছেই।
আবেদনের যোগ্যতা
ইতালির জেনোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই তাঁর নির্বাচিত কোর্সের নির্ধারিত একাডেমিক যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। ভালো শিক্ষাগত ফলাফল ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকৃত আগ্রহ থাকতে হবে। প্রার্থীদের আগ্রহের বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া কোর্সভেদে ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
বৃত্তির জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অনলাইনে পূরণ করা আবেদন ফরমের পাশাপাশি একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত বিবৃতি (পার্সোনাল স্টেটমেন্ট) ও মোটিভেশন লেটার, দুটি সুপারিশপত্র, বৈধ পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ সিভি বা রিজিউমে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এর বাইরে নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রামের জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্রও চাওয়া হতে পারে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য অনুষদ, ব্যবসা, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যা এবং স্থাপত্য ও নকশা অনুষদ। প্রতিটি অনুষদের অধীনে রয়েছে কমপক্ষে ৭-৮টি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসা শিক্ষার অধীনে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইকোনমিকস, ফাইন্যান্স ও ম্যানেজমেন্ট আর সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যার অধীনে আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতো বিষয়গুলোতে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২০ মার্চ, ২০২৬।

ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই বৃত্তির আওতায় একদিকে যেমন আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে, অন্যদিকে ইতালির সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ইউরোপিয়ান শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ মিলবে।
ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া ইতালির অন্যতম প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৪৮১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। উত্তর ইতালির বন্দরনগরী জেনোয়ায় অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপের শিক্ষাঙ্গনে গবেষণা ও একাডেমিক উৎকর্ষের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আধুনিক ল্যাব, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পরিবেশ এবং শিল্প খাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগের কারণে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন আকর্ষণীয় আর্থিক সুবিধা। এই বৃত্তির আওতায় বিভিন্ন প্রোগ্রামে সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে, যা দিয়ে পড়াশোনার সময় জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা খরচে বা স্বল্পমূল্যে আবাসনের ব্যবস্থাও থাকছে। পাশাপাশি আধুনিক লাইব্রেরি, গবেষণাগার ও উন্নত শিক্ষার্থী সেবার সুবিধা তো রয়েছেই।
আবেদনের যোগ্যতা
ইতালির জেনোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই তাঁর নির্বাচিত কোর্সের নির্ধারিত একাডেমিক যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। ভালো শিক্ষাগত ফলাফল ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকৃত আগ্রহ থাকতে হবে। প্রার্থীদের আগ্রহের বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া কোর্সভেদে ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
বৃত্তির জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অনলাইনে পূরণ করা আবেদন ফরমের পাশাপাশি একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত বিবৃতি (পার্সোনাল স্টেটমেন্ট) ও মোটিভেশন লেটার, দুটি সুপারিশপত্র, বৈধ পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ সিভি বা রিজিউমে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এর বাইরে নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রামের জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্রও চাওয়া হতে পারে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য অনুষদ, ব্যবসা, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যা এবং স্থাপত্য ও নকশা অনুষদ। প্রতিটি অনুষদের অধীনে রয়েছে কমপক্ষে ৭-৮টি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসা শিক্ষার অধীনে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইকোনমিকস, ফাইন্যান্স ও ম্যানেজমেন্ট আর সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যার অধীনে আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতো বিষয়গুলোতে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২০ মার্চ, ২০২৬।

শাকিলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০২৪ সালে তিনি রোটারি স্কলারশিপের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার সুযোগ পান। ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ড রোটারি পিস সেন্টার হিসেবে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। এ প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর শিক্ষার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন দেশের স্কলারদের...
১৯ এপ্রিল ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
৪ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
৪ ঘণ্টা আগেপল্লব শাহরিয়ার

শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত। তাই মনোযোগ বাড়ানোর কৌশলগুলো জানা থাকলে শুধু পরীক্ষা নয়, প্রতিটি ক্লাসই হয়ে উঠবে নতুন কিছু শেখার দারুণ অভিজ্ঞতা। চলুন এমনই দারুণ কিছু কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
সামনে বসার চেষ্টা করতে হবে
সামনে বসার চেষ্টা করলে শিক্ষককে স্পষ্টভাবে দেখা ও শোনা যায়। ফলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। পেছনের ফিসফাস বা ছোটখাটো বিভ্রান্তি কম থাকে। বোর্ডের লেখা দ্রুত নোট করা যায় এবং কোনো অংশ না বুঝলে শিক্ষককে প্রশ্ন করতেও সুবিধা হয়। সামনে বসা শেখাকে আরও কার্যকর করে তোলে।
খাতা-কলম প্রস্তুত রাখতে হবে
ক্লাস শুরুর আগেই খাতা-কলম প্রস্তুত রাখলে মন পড়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে শুরু করে। প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে থাকায় অযথা খোঁজাখুঁজি করতে হয় না, ফলে মনোযোগ নষ্ট হয় না। শিক্ষক বোঝানো শুরু করলেই দ্রুত নোট নেওয়া যায়। প্রস্তুতি থাকলে শেখা হয় গুছানো, দ্রুত এবং আরও কার্যকর।
বোর্ডের লেখা সঙ্গে সঙ্গে নোট করতে হবে
বোর্ডে শিক্ষক যে তথ্য লেখেন, তা সাধারণত পাঠের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সেটা সঙ্গে সঙ্গে নোট করে ফেললে কোনো তথ্য বাদ পড়ে না। বোর্ডের লেখা দেখে লিখলে বিষয়টি মাথায় আরও পরিষ্কারভাবে বসে যায়। এতে মনোযোগ ভাঙার সুযোগ কমে এবং শেখা শক্তভাবে মনে থাকে। নোট নিতে গেলে বোঝার চেষ্টা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ফলে কঠিন বিষয়ও সহজ মনে হয়।
না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করতে হবে
ক্লাসে কোনো অংশ না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করা শেখার সবচেয়ে ভালো উপায়। সন্দেহ জমতে দিলে মনোযোগ ভেঙে যায় এবং পরের অংশ বোঝাও কঠিন হয়ে পড়ে। প্রশ্ন করলে বিষয়টি সে মুহূর্তেই পরিষ্কার হয়ে যায়, ভুল ধারণা সৃষ্টি হয় না এবং শেখা গভীর হয়। শিক্ষকও বুঝতে পারেন কোথায় তোমার সাহায্য দরকার, তাই ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। নিয়মিত প্রশ্ন করার অভ্যাস আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং পড়াশোনা হয় সহজ ও স্বচ্ছ।
নিজের খাতায় ‘ছোট সারাংশ’ লিখে রাখতে হবে
নিজের খাতায় ছোট সারাংশ লিখে রাখা পড়াশোনাকে অনেক সহজ করে। ক্লাস শেষে ১-২ লাইনে কী শিখলে তা নিজের ভাষায় লিখলে বিষয়টি মাথায় দ্রুত বসে যায়। সারাংশ লিখতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো আবার মনে পড়ে, ফলে শেখা আরও দৃঢ় হয়। পরে রিভিশন করার সময় পুরো খাতা না দেখেও শুধু এই ছোট সারাংশ দেখে পাঠ মনে করা যায়। এতে সময় বাঁচে, মনোযোগ বাড়ে এবং পড়া হয় সংগঠিত।
ক্লাস শেষে ২ মিনিটের ‘রিভিউ
ক্লাস শেষ হলে ২ মিনিট সময় নিয়ে খাতায় তাকাও—
এই ছোট রিভিউ মনোযোগকে আরও স্থায়ী করে।
ক্লাসে মনোযোগী হওয়া কোনো কঠিন কাজ নয়; বরং ছোট ছোট কৌশলেই তা তৈরি করা সম্ভব। সামনে বসা, নোট নেওয়া, প্রশ্ন করা, নিজের ভাষায় সারাংশ লেখা—এসবই শেখাকে আরও সহজ করে তোলে। মনোযোগ বাড়লে পড়াশোনা শুধু সহজই হয় না, আনন্দদায়কও হয়ে ওঠে। কারণ মন যে জায়গায় থাকে, শেখা সেখানেই সবচেয়ে দ্রুত হয়।

শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত। তাই মনোযোগ বাড়ানোর কৌশলগুলো জানা থাকলে শুধু পরীক্ষা নয়, প্রতিটি ক্লাসই হয়ে উঠবে নতুন কিছু শেখার দারুণ অভিজ্ঞতা। চলুন এমনই দারুণ কিছু কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
সামনে বসার চেষ্টা করতে হবে
সামনে বসার চেষ্টা করলে শিক্ষককে স্পষ্টভাবে দেখা ও শোনা যায়। ফলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। পেছনের ফিসফাস বা ছোটখাটো বিভ্রান্তি কম থাকে। বোর্ডের লেখা দ্রুত নোট করা যায় এবং কোনো অংশ না বুঝলে শিক্ষককে প্রশ্ন করতেও সুবিধা হয়। সামনে বসা শেখাকে আরও কার্যকর করে তোলে।
খাতা-কলম প্রস্তুত রাখতে হবে
ক্লাস শুরুর আগেই খাতা-কলম প্রস্তুত রাখলে মন পড়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে শুরু করে। প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে থাকায় অযথা খোঁজাখুঁজি করতে হয় না, ফলে মনোযোগ নষ্ট হয় না। শিক্ষক বোঝানো শুরু করলেই দ্রুত নোট নেওয়া যায়। প্রস্তুতি থাকলে শেখা হয় গুছানো, দ্রুত এবং আরও কার্যকর।
বোর্ডের লেখা সঙ্গে সঙ্গে নোট করতে হবে
বোর্ডে শিক্ষক যে তথ্য লেখেন, তা সাধারণত পাঠের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সেটা সঙ্গে সঙ্গে নোট করে ফেললে কোনো তথ্য বাদ পড়ে না। বোর্ডের লেখা দেখে লিখলে বিষয়টি মাথায় আরও পরিষ্কারভাবে বসে যায়। এতে মনোযোগ ভাঙার সুযোগ কমে এবং শেখা শক্তভাবে মনে থাকে। নোট নিতে গেলে বোঝার চেষ্টা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ফলে কঠিন বিষয়ও সহজ মনে হয়।
না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করতে হবে
ক্লাসে কোনো অংশ না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করা শেখার সবচেয়ে ভালো উপায়। সন্দেহ জমতে দিলে মনোযোগ ভেঙে যায় এবং পরের অংশ বোঝাও কঠিন হয়ে পড়ে। প্রশ্ন করলে বিষয়টি সে মুহূর্তেই পরিষ্কার হয়ে যায়, ভুল ধারণা সৃষ্টি হয় না এবং শেখা গভীর হয়। শিক্ষকও বুঝতে পারেন কোথায় তোমার সাহায্য দরকার, তাই ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। নিয়মিত প্রশ্ন করার অভ্যাস আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং পড়াশোনা হয় সহজ ও স্বচ্ছ।
নিজের খাতায় ‘ছোট সারাংশ’ লিখে রাখতে হবে
নিজের খাতায় ছোট সারাংশ লিখে রাখা পড়াশোনাকে অনেক সহজ করে। ক্লাস শেষে ১-২ লাইনে কী শিখলে তা নিজের ভাষায় লিখলে বিষয়টি মাথায় দ্রুত বসে যায়। সারাংশ লিখতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো আবার মনে পড়ে, ফলে শেখা আরও দৃঢ় হয়। পরে রিভিশন করার সময় পুরো খাতা না দেখেও শুধু এই ছোট সারাংশ দেখে পাঠ মনে করা যায়। এতে সময় বাঁচে, মনোযোগ বাড়ে এবং পড়া হয় সংগঠিত।
ক্লাস শেষে ২ মিনিটের ‘রিভিউ
ক্লাস শেষ হলে ২ মিনিট সময় নিয়ে খাতায় তাকাও—
এই ছোট রিভিউ মনোযোগকে আরও স্থায়ী করে।
ক্লাসে মনোযোগী হওয়া কোনো কঠিন কাজ নয়; বরং ছোট ছোট কৌশলেই তা তৈরি করা সম্ভব। সামনে বসা, নোট নেওয়া, প্রশ্ন করা, নিজের ভাষায় সারাংশ লেখা—এসবই শেখাকে আরও সহজ করে তোলে। মনোযোগ বাড়লে পড়াশোনা শুধু সহজই হয় না, আনন্দদায়কও হয়ে ওঠে। কারণ মন যে জায়গায় থাকে, শেখা সেখানেই সবচেয়ে দ্রুত হয়।

শাকিলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০২৪ সালে তিনি রোটারি স্কলারশিপের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার সুযোগ পান। ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ড রোটারি পিস সেন্টার হিসেবে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। এ প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর শিক্ষার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন দেশের স্কলারদের...
১৯ এপ্রিল ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
৪ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
৪ ঘণ্টা আগে