Ajker Patrika

মেডিকেলে সুযোগ না পাওয়া নদী এখন গেটিসবার্গ কলেজের শিক্ষার্থী

আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৪: ৪০
মেডিকেলে সুযোগ না পাওয়া নদী এখন গেটিসবার্গ কলেজের শিক্ষার্থী

সোহীনি নদী আমেরিকার প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপে গেটিসবার্গ কলেজে স্নাতক পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি ম্যাথম্যাটিক্যাল ইকোনমিকস বিষয়ে চলতি বছরের আগস্ট থেকে ক্লাস শুরু করবেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত লিখেছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম

সোহীনি নদী ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মেয়ে। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তাঁর মায়ের ইচ্ছা ছিল মেয়ে ডাক্তার হবে। সেই স্বপ্ন থেকেই নদী এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

স্বপ্ন দেখার শুরু 
এইচএসসি পরীক্ষার পর নদী আটঘাট বেঁধে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। প্রথমবার মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে অল্পের জন্য সুযোগ হয়নি। দ্বিতীয়বারও ভাগ্য সহায় হয়নি তাঁর। এমনিতেই মনঃকষ্টে ভুগছিলেন তিনি, এর ওপর মানুষের নানা কথা শুনতে হয় তাঁকে। কিন্তু ভেঙে পড়েননি নদী। ডাক্তার হওয়া স্বপ্নের ইতি টেনে বিদেশে পড়াশোনার কথা ভাবেন তিনি। শুরু করেন ইউটিউবে ঘাঁটাঘাঁটি। এরই মধ্যে এক আপুর ভিডিও চোখে পড়ে তাঁর। ওই ভিডিও দেখে অনেক অজানা বিষয়ে জানতে পারেন নদী। পরে সেই আপুর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং তাঁর দিকনির্দেশনায় আবেদনের খুঁটিনাটি আয়ত্ত করেন।

যেভাবে বৃত্তি পেলেন
ইউটিউব থেকেই বৃত্তির আবেদনের প্রাথমিক ধারণা পান নদী। কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন হবে, তা-ও নোট করে রাখেন। এরপর বড় ভাই ও আপুদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে জানতে চেয়ে মেইল করেন। তাঁরা তাঁকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করতেন। নদী যে বৃত্তি পেয়েছেন, সেটির আবেদন শুরু হয়েছিল গতবছর আগস্ট মাসে। এর মধ্যে তিনি তাঁর এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস, একাডেমিক রেজাল্ট সনদ, রিকোমেন্ডেশন লেটার, নিজস্ব রচনাসহ সব কাগজপত্র গুছিয়ে ফেলেন। এরপর নভেম্বরে আবেদন করেন। আবেদন করলেও গেটিসবার্গ কলেজের মতো আমেরিকার সেরা কলেজে তিনি যে সুযোগ পাবেন, তা ভাবেননি। আবেদনের পর গেটিসবার্গ কলেজে একটা সাক্ষাৎকার দিতে হয়। কয়েক দিন পর ভোর ৬টায় ‘কনগ্র্যাচুলেশন!’ লেখা একটি অফার লেটারের মেসেজ পান নদী। এটিই বৃত্তি পাওয়ার বার্তা ছিল। খুশিতে নদীর চোখে পানি চলে আসে। তখন আবেগাপ্লুত চেহারায় তাঁর মাকে বলছিলেন, ‘আম্মু আমি পেরেছি, আমি পেরেছি!’

গেটিসবার্গ কলেজনদীর ছিল অনেক বাধা 
নদীর এই অর্জন সহজ ছিল না। খানিকটা আক্ষেপের স্বরে সোহীনি নদী বলেন, ‘দেশ আধুনিক হলেও এখনো আমাদের মনমানসিকতা সেই পুরোনো দিনের যুগে পড়ে আছে। এমন একটা পরিবেশ থেকে উঠে এসেছি, যেখানে কোনো মেয়ের বিদেশ যাওয়ার কথা শুনলেই মানুষ মুখ ভেংচি দেয়। নানা রকম বাজে মন্তব্য ছুড়ে দেয়। মাকে অনেকেই বলত, মেয়েমানুষ বিদেশ গেলে নষ্ট হয়ে যাবে। কলেজশিক্ষকদের থেকে রিকোমেন্ডেশন পেতেও বেগ পেতে হয়। তাঁর শিক্ষকেরা বলছিলেন, ‘মেডিকেলে যেহেতু দুবার পরীক্ষা দিয়েও হয়নি, বিদেশের স্বপ্ন দেখা তোমার জন্য বোকামি।’ এ জন্য তাঁকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। কিন্তু নদী সব বাধা অতিক্রম করে সাফল্যের দেখা পেয়েছেন। 

আবেদন প্রক্রিয়া 
আমেরিকার সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। সেখানে ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত সনদ, একাডেমিক রেজাল্ট সনদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীর কলেজের ৩ জন শিক্ষকের সুপারিশ সনদ প্রয়োজন হয়। শিক্ষকের অফিশিয়াল ই-মেইল দিয়ে সব শিক্ষা সনদ আর ট্রান্সক্রিপ্ট অধ্যাপকদের পাঠাতে হয়। পরে এই বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাচাইবাছাই করে থাকে। সবকিছু দেখে স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে।

পড়া যাবে যেকোনো বিষয়ে
গেটিসবার্গ কলেজে প্রায় ৫০টির বেশি মেজর বিষয় রয়েছে। এখানে যেকোনো বিষয় নিয়ে স্নাতক করা যায়। বৃত্তিতে নির্দিষ্ট কোনো বিষয় দেওয়া থাকে না। এমনকি এই বৃত্তিতে একসঙ্গে ২ থেকে ৩টি বিষয় নিয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। কাউকে জোর করে কোনো বিষয় চাপিয়ে দেওয়া হয় না। কোনো বিষয় কয়েক দিন পড়ে কষ্টসাধ্য মনে হলে, পরে তিনি তাঁর বিষয় পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন।

গেটিসবার্গ কলেজবৃত্তির সুযোগ-সুবিধা 
একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পাওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা, তিনি আর্থিক সাহায্য পান। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পড়াকালীন প্রতিবছর শিক্ষার্থীকে যত টাকা দিতে হয়। প্রতিবছরে টিউশন ফি, ইনস্যুরেন্স ফি, থাকা-খাওয়া; এমন সব খরচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দিয়ে থাকে। এ ছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে তাঁদের ব্যক্তিগত খরচ ও জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন।

নতুনদের জন্য পরামর্শ
যদি কারও আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন থাকে, তাহলে প্রথমেই স্যাট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এই পরীক্ষায় ভালো নম্বর তোলা জরুরি। কারণ, বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে স্যাট, আইইএলটিএসে ভালো স্কোর কিংবা এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও অনেক সময় বৃত্তি পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। কারণ, প্রতিবছর প্রচুর শিক্ষার্থী এ রকম ভালো ফল নিয়ে আবেদন করেন। সে জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং নিজের মধ্যে থাকা দক্ষতাগুলো কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা উচিত। এ ছাড়া সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাহায্যের জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন রয়েছে। এসব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা যায়। এই কাজগুলো সবার থেকে নিজেকে আলাদা করতে পারে। নতুনদের এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকাটা জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচনে ব্যতিক্রমী প্রচারণায় প্রার্থীরা

সোহানুর রহমান, জবি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।

জকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারণায় পোস্টার ও লিফলেটের মতো প্রচলিত প্রচারসামগ্রীর বাইরে গিয়ে লাল কার্ড, রঙিন প্ল্যাকার্ড ও হাতে বহনযোগ্য নানা প্রচারসামগ্রী ব্যবহার করছেন। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আচরণবিধি মেনেই ভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে ব্যবহার করছেন এরোপ্লেন আকৃতির কাগজ, প্রতীকী নোট, কাপ, বোতল, প্রজাপতি, জকসু পাসপোর্টসহ নানা অভিনব উপকরণ। আকর্ষণীয় স্লোগান ও রঙিন ডিজাইনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচনী অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। কিউআর কোড সংযুক্ত প্রচারণা সামগ্রীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন স্ক্যান করে মুহূর্তেই প্রার্থীদের বিস্তারিত ইশতেহার ও পরিকল্পনা জানতে পারছেন।

ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো এবং তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যেই আমি ভিন্নধর্মী প্রচার কার্ড ব্যবহার করছি।’

ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘লিফলেট দিয়ে প্রচার করার ফলে ভোটাররা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন, তাই এবার আমাদের অন্য রকম প্রচারণা। আমাদের বার্তাটি আকর্ষণীয়ভাবে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’

স্বতন্ত্র নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আল শাহরিয়ার খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং প্রচারসামগ্রী যেন সংরক্ষণযোগ্য হয়, এই চিন্তা থেকেই আমি বিড়ালের আদলে কার্ড তৈরি করেছি।’

ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে ইশতেহার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সমস্যা ও প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জবির ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর

জবি প্রতিনিধি 
‎জবির ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।

‎‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় ৮৬০টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৮৫ জন পরীক্ষার্থী লড়বেন। আর ‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) ৫২০টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজর ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। বিজ্ঞান অনুষদে ৮৬০ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৪০ জন শিক্ষার্থী লড়বেন।

‎‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকার বাহিরে তিনটি কেন্দ্র, কুমিল্লা বিশ্বিবদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে। ঢাকার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষা হবে। ঢাকার ভেতরের কেন্দ্র সমূহ হলো— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, কে এল জুবিলি হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বিইএএম মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ।

‎‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গভর্মেন্ট মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৷

‎মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষায় ৭২ মার্ক এমসিকিউ ও বাকী ১৮ মার্ক থাকবে এসএসসি (সমমান) ও এইচএসসি (সমমান) ফলাফলের ওপর। ‘এ’ ইউনিটে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন গণিত অথবা জীব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয়ে প্রশ্ন আসবে।

‎পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন হয়েছে। এবার পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবার ঢাকার বাহিরে খুলনা, রাজশাহী ও কুমিল্লা পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হয়েছে।

‎বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ৫২০ আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে আরও ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার বাহিরে কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে না।

‎এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এআইইউবিতে সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাব (এসিসি) ও অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় চার দিনব্যাপী ‘এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিস নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহমান।

অনলাইন ও অন-ক্যাম্পাস পর্বের সমন্বয়ে আয়োজিত এই উৎসবে এআইইউবি ক্যাম্পাস একটি প্রাণবন্ত গেমিং অঙ্গনে রূপ নেয়। অনলাইন বাছাইপর্বে ৫১টি দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ১৬টি দল চূড়ান্ত পর্বে লড়ে। চার ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে ‘ব্ল্যাকবিয়ার্ড পাইরেটস’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

এই বিভাগে ‘লোয়ার-ব্র্যাকেট’ থেকে উঠে এসে গ্র্যান্ড ফাইনালে ‘ন্যাক্সার ই-স্পোর্টস’কে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে ‘অলস্টারস’ দল।

‘মোবাইল লিজেন্ডস ব্যাং ব্যাং’ (MLBB) বিভাগে ‘ভাইপার স্ট্রাইকার্স’, ‘এফসি ২৫’ বিভাগে নিও এবং ‘ই-ফুটবল’ একক বিভাগে শাওন শান্ত ও দলীয় বিভাগে পিএনজি বট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

বিজয়ীদের মাঝে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। এছাড়া এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাব, ই-স্পোর্টস ক্লাব ও পারফর্মিং আর্টস ক্লাবকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। তিনজনকে সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।

বক্তারা প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা এই আয়োজনের পেশাদার ব্যবস্থাপনা ও ব্যাপক প্রসারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এবারের আয়োজনে ইকুইপমেন্ট স্পন্সর ছিল কিয়ানস কালেক্টিবলস, টেক স্পন্সর এমএসআই এবং বেসিক স্পন্সর হিসেবে ছিল সিটি ব্যাংক। এছাড়া ইন্টারনেট পার্টনার হিসেবে ছিল লিঙ্ক থ্রি। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল ডেইলি সান, দৈনিক যুগান্তর ও ডিবিসি নিউজ এবং ম্যাগাজিন পার্টনার ছিল কিশোর আলো।

উদ্বোধনী ও বিভিন্ন পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মঞ্জুর এইচ খানসহ অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. রইছ ও সম্পাদক ড. ইমরানুল

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৫
সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৬-এ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক।

‎সকল পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

‎ঘোষিত ফল অনুযায়ী, সহসভাপতি পদে ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন নির্বাচিত হয়েছেন।

কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজম খাঁন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ লোকমান হোসেন ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়েশা সিদ্দিকা ডেইজী, ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির আহমাদ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক তারেক মুহাম্মদ শামসুল আরেফীন এবং আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী।

‎নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহমদ ইহসানুল কবীর, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আয়শা জাহান এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তারেক বিন আতিক।

‎নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ড. ইমরানুল হক বলেন, এককভাবে নয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলা হবে। নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং আগামী বছরও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত