আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ১০০ পৃষ্ঠার সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা চীনের টুটি চেপে ধরতে, আধিপত্য বিস্তার করতে কিংবা হেয় করতে চাই না...আমরা শুধু চাই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কোনো দেশ যেন আমাদের বা আমাদের মিত্রদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে।’
এতে আরও যোগ করা হয়, ‘চীনের ঐতিহাসিক সমরসজ্জা বা সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে মার্কিন ভূখণ্ড আগের চেয়ে বেশি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।’ বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান পরমাণু অস্ত্রভান্ডার, নৌ-শক্তি, প্রথাগত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, সাইবার এবং মহাকাশ গবেষণার সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এসব সরাসরি আমেরিকানদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এই প্রতিবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, আমেরিকার লক্ষ্য হলো—নিজেদের এতটাই শক্তিশালী করে তোলা যাতে শত্রুপক্ষ আগ্রাসনের কথা চিন্তাও না করে, ‘এবং এর ফলে শান্তি পছন্দনীয় ও সংরক্ষিত থাকে।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বারবার উচ্চারিত একটি বিষয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওয়াশিংটনের বর্তমান নেতৃত্বের অধীনে আমেরিকা ও চীনের সামরিক সম্পর্ক গত কয়েক বছরের মধ্যে সেরা অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক বহু বছরের তুলনায় এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।’ পেন্টাগন পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সঙ্গে এই গতি বজায় রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কৌশলগত স্থিতিশীলতা, বিবাদ নিরসন এবং উত্তেজনা প্রশমনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা পিএলএ-এর সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ আরও বিস্তৃত করার মাধ্যমে এটি সম্পন্ন করব। আমাদের শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য পরিষ্কার করার জন্য আমরা অন্যান্য পথও খুঁজব।’
প্রতিবেদনটিতে চীনের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতাকে উদ্বেগের কারণ এবং সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের প্রধান সামরিক কৌশল হলো ‘জাতীয় সর্বাত্মক যুদ্ধ’ বা সমগ্র জাতির সংহতি অভিযানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পরাস্ত করা।
‘পিপলস রিপাবলিক অব চায়না সংশ্লিষ্ট সামরিক ও নিরাপত্তা উন্নয়ন’—শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সামরিক বাহিনী ২০২৭ সালের তিনটি লক্ষ্য অর্জনে স্থিরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্যগুলো হলো—তাইওয়ানের ওপর ‘কৌশলগত চূড়ান্ত বিজয়’ অর্জনে সক্ষম হওয়া; পরমাণু এবং অন্যান্য কৌশলগত ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত ভারসাম্য’ তৈরি করা এবং অঞ্চলের অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করা।
বেইজিং তাইওয়ানকে চীনের অংশ মনে করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও পুনরায় একীভূত করতে চায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অধিকাংশ দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, তবে ওয়াশিংটন এই স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটিকে শক্তি প্রয়োগ করে দখল করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধী এবং তারা তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বার্ষিক প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা গেছে, বেইজিং এবং মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে—সম্ভবত ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলার অভিন্ন স্বার্থে।’ তবে এতে এও বলা হয়েছে যে, তাদের পারস্পরিক অবিশ্বাসের কারণে এই সহযোগিতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএস) প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পর এল। সেই কৌশলটিও শুক্রবার অনেকটা অনাড়ম্বরভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল, যেখানে চীনের চেয়ে অভ্যন্তরীণ ইস্যু এবং প্রশাসনের ভাষায় ‘মনরো ডকট্রিনের ট্রাম্প অনুসিদ্ধান্ত’—যা পশ্চিম গোলার্ধের কৌশলগত গুরুত্বের ওপর জোর দেয়—সেদিকে বেশি নজর দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, মঙ্গলবারের প্রতিবেদনটি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এতে কোনো সূচিপত্র নেই এবং কিছু অংশ সেকেলে বা পুরোনো মনে হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ‘খুবই সামান্য উচ্চপর্যায়ের বিনিময়সহ’ শীতল সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে, অথচ গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে চীনের বিশাল সামরিক প্যারেডে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
তা সত্ত্বেও, বিশ্লেষকদের মতে এই প্রতিবেদনটি পেন্টাগন এবং হোয়াইট হাউস দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কীভাবে দেখছে, তার একটি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ইউরেশিয়া গ্রুপের সিনিয়র অ্যানালিস্ট জেরেমি চ্যান বলেন, ‘প্রতিবেদনের সুরটি চীনের প্রতি বিশেষভাবে গঠনমূলক, যেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে জোর দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এই দাবিটি প্রশ্নবিদ্ধ, তবে এটি ট্রাম্পের চীন নীতি এবং গত অক্টোবরে বুসানে হওয়া সমঝোতা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো বিষয়ে বেইজিংকে চাপ দিতে তাঁর অনীহার সংকেত দেয়।’
শেনিয়াংয়ের মার্কিন কনস্যুলেটের সাবেক কর্মকর্তা চ্যান মনে করেন, প্রতিবেদনটি চীনের সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং অগ্রগতির বিষয়টি স্বীকার করলেও খুব দূরের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। তিনি বলেন, ‘চীনের সামরিক শক্তি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। চীনের এই ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতার স্বীকৃতি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতির ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।’

ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ১০০ পৃষ্ঠার সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা চীনের টুটি চেপে ধরতে, আধিপত্য বিস্তার করতে কিংবা হেয় করতে চাই না...আমরা শুধু চাই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কোনো দেশ যেন আমাদের বা আমাদের মিত্রদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে।’
এতে আরও যোগ করা হয়, ‘চীনের ঐতিহাসিক সমরসজ্জা বা সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে মার্কিন ভূখণ্ড আগের চেয়ে বেশি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।’ বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান পরমাণু অস্ত্রভান্ডার, নৌ-শক্তি, প্রথাগত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, সাইবার এবং মহাকাশ গবেষণার সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এসব সরাসরি আমেরিকানদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এই প্রতিবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, আমেরিকার লক্ষ্য হলো—নিজেদের এতটাই শক্তিশালী করে তোলা যাতে শত্রুপক্ষ আগ্রাসনের কথা চিন্তাও না করে, ‘এবং এর ফলে শান্তি পছন্দনীয় ও সংরক্ষিত থাকে।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বারবার উচ্চারিত একটি বিষয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওয়াশিংটনের বর্তমান নেতৃত্বের অধীনে আমেরিকা ও চীনের সামরিক সম্পর্ক গত কয়েক বছরের মধ্যে সেরা অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক বহু বছরের তুলনায় এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।’ পেন্টাগন পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সঙ্গে এই গতি বজায় রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কৌশলগত স্থিতিশীলতা, বিবাদ নিরসন এবং উত্তেজনা প্রশমনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা পিএলএ-এর সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ আরও বিস্তৃত করার মাধ্যমে এটি সম্পন্ন করব। আমাদের শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য পরিষ্কার করার জন্য আমরা অন্যান্য পথও খুঁজব।’
প্রতিবেদনটিতে চীনের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতাকে উদ্বেগের কারণ এবং সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের প্রধান সামরিক কৌশল হলো ‘জাতীয় সর্বাত্মক যুদ্ধ’ বা সমগ্র জাতির সংহতি অভিযানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পরাস্ত করা।
‘পিপলস রিপাবলিক অব চায়না সংশ্লিষ্ট সামরিক ও নিরাপত্তা উন্নয়ন’—শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সামরিক বাহিনী ২০২৭ সালের তিনটি লক্ষ্য অর্জনে স্থিরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্যগুলো হলো—তাইওয়ানের ওপর ‘কৌশলগত চূড়ান্ত বিজয়’ অর্জনে সক্ষম হওয়া; পরমাণু এবং অন্যান্য কৌশলগত ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত ভারসাম্য’ তৈরি করা এবং অঞ্চলের অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করা।
বেইজিং তাইওয়ানকে চীনের অংশ মনে করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও পুনরায় একীভূত করতে চায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অধিকাংশ দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, তবে ওয়াশিংটন এই স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটিকে শক্তি প্রয়োগ করে দখল করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধী এবং তারা তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বার্ষিক প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা গেছে, বেইজিং এবং মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে—সম্ভবত ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলার অভিন্ন স্বার্থে।’ তবে এতে এও বলা হয়েছে যে, তাদের পারস্পরিক অবিশ্বাসের কারণে এই সহযোগিতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএস) প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পর এল। সেই কৌশলটিও শুক্রবার অনেকটা অনাড়ম্বরভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল, যেখানে চীনের চেয়ে অভ্যন্তরীণ ইস্যু এবং প্রশাসনের ভাষায় ‘মনরো ডকট্রিনের ট্রাম্প অনুসিদ্ধান্ত’—যা পশ্চিম গোলার্ধের কৌশলগত গুরুত্বের ওপর জোর দেয়—সেদিকে বেশি নজর দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, মঙ্গলবারের প্রতিবেদনটি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এতে কোনো সূচিপত্র নেই এবং কিছু অংশ সেকেলে বা পুরোনো মনে হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ‘খুবই সামান্য উচ্চপর্যায়ের বিনিময়সহ’ শীতল সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে, অথচ গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে চীনের বিশাল সামরিক প্যারেডে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
তা সত্ত্বেও, বিশ্লেষকদের মতে এই প্রতিবেদনটি পেন্টাগন এবং হোয়াইট হাউস দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কীভাবে দেখছে, তার একটি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ইউরেশিয়া গ্রুপের সিনিয়র অ্যানালিস্ট জেরেমি চ্যান বলেন, ‘প্রতিবেদনের সুরটি চীনের প্রতি বিশেষভাবে গঠনমূলক, যেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে জোর দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এই দাবিটি প্রশ্নবিদ্ধ, তবে এটি ট্রাম্পের চীন নীতি এবং গত অক্টোবরে বুসানে হওয়া সমঝোতা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো বিষয়ে বেইজিংকে চাপ দিতে তাঁর অনীহার সংকেত দেয়।’
শেনিয়াংয়ের মার্কিন কনস্যুলেটের সাবেক কর্মকর্তা চ্যান মনে করেন, প্রতিবেদনটি চীনের সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং অগ্রগতির বিষয়টি স্বীকার করলেও খুব দূরের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। তিনি বলেন, ‘চীনের সামরিক শক্তি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। চীনের এই ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতার স্বীকৃতি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতির ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ১০০ পৃষ্ঠার সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা চীনের টুটি চেপে ধরতে, আধিপত্য বিস্তার করতে কিংবা হেয় করতে চাই না...আমরা শুধু চাই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কোনো দেশ যেন আমাদের বা আমাদের মিত্রদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে।’
এতে আরও যোগ করা হয়, ‘চীনের ঐতিহাসিক সমরসজ্জা বা সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে মার্কিন ভূখণ্ড আগের চেয়ে বেশি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।’ বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান পরমাণু অস্ত্রভান্ডার, নৌ-শক্তি, প্রথাগত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, সাইবার এবং মহাকাশ গবেষণার সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এসব সরাসরি আমেরিকানদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এই প্রতিবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, আমেরিকার লক্ষ্য হলো—নিজেদের এতটাই শক্তিশালী করে তোলা যাতে শত্রুপক্ষ আগ্রাসনের কথা চিন্তাও না করে, ‘এবং এর ফলে শান্তি পছন্দনীয় ও সংরক্ষিত থাকে।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বারবার উচ্চারিত একটি বিষয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওয়াশিংটনের বর্তমান নেতৃত্বের অধীনে আমেরিকা ও চীনের সামরিক সম্পর্ক গত কয়েক বছরের মধ্যে সেরা অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক বহু বছরের তুলনায় এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।’ পেন্টাগন পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সঙ্গে এই গতি বজায় রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কৌশলগত স্থিতিশীলতা, বিবাদ নিরসন এবং উত্তেজনা প্রশমনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা পিএলএ-এর সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ আরও বিস্তৃত করার মাধ্যমে এটি সম্পন্ন করব। আমাদের শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য পরিষ্কার করার জন্য আমরা অন্যান্য পথও খুঁজব।’
প্রতিবেদনটিতে চীনের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতাকে উদ্বেগের কারণ এবং সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের প্রধান সামরিক কৌশল হলো ‘জাতীয় সর্বাত্মক যুদ্ধ’ বা সমগ্র জাতির সংহতি অভিযানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পরাস্ত করা।
‘পিপলস রিপাবলিক অব চায়না সংশ্লিষ্ট সামরিক ও নিরাপত্তা উন্নয়ন’—শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সামরিক বাহিনী ২০২৭ সালের তিনটি লক্ষ্য অর্জনে স্থিরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্যগুলো হলো—তাইওয়ানের ওপর ‘কৌশলগত চূড়ান্ত বিজয়’ অর্জনে সক্ষম হওয়া; পরমাণু এবং অন্যান্য কৌশলগত ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত ভারসাম্য’ তৈরি করা এবং অঞ্চলের অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করা।
বেইজিং তাইওয়ানকে চীনের অংশ মনে করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও পুনরায় একীভূত করতে চায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অধিকাংশ দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, তবে ওয়াশিংটন এই স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটিকে শক্তি প্রয়োগ করে দখল করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধী এবং তারা তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বার্ষিক প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা গেছে, বেইজিং এবং মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে—সম্ভবত ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলার অভিন্ন স্বার্থে।’ তবে এতে এও বলা হয়েছে যে, তাদের পারস্পরিক অবিশ্বাসের কারণে এই সহযোগিতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএস) প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পর এল। সেই কৌশলটিও শুক্রবার অনেকটা অনাড়ম্বরভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল, যেখানে চীনের চেয়ে অভ্যন্তরীণ ইস্যু এবং প্রশাসনের ভাষায় ‘মনরো ডকট্রিনের ট্রাম্প অনুসিদ্ধান্ত’—যা পশ্চিম গোলার্ধের কৌশলগত গুরুত্বের ওপর জোর দেয়—সেদিকে বেশি নজর দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, মঙ্গলবারের প্রতিবেদনটি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এতে কোনো সূচিপত্র নেই এবং কিছু অংশ সেকেলে বা পুরোনো মনে হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ‘খুবই সামান্য উচ্চপর্যায়ের বিনিময়সহ’ শীতল সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে, অথচ গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে চীনের বিশাল সামরিক প্যারেডে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
তা সত্ত্বেও, বিশ্লেষকদের মতে এই প্রতিবেদনটি পেন্টাগন এবং হোয়াইট হাউস দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কীভাবে দেখছে, তার একটি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ইউরেশিয়া গ্রুপের সিনিয়র অ্যানালিস্ট জেরেমি চ্যান বলেন, ‘প্রতিবেদনের সুরটি চীনের প্রতি বিশেষভাবে গঠনমূলক, যেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে জোর দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এই দাবিটি প্রশ্নবিদ্ধ, তবে এটি ট্রাম্পের চীন নীতি এবং গত অক্টোবরে বুসানে হওয়া সমঝোতা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো বিষয়ে বেইজিংকে চাপ দিতে তাঁর অনীহার সংকেত দেয়।’
শেনিয়াংয়ের মার্কিন কনস্যুলেটের সাবেক কর্মকর্তা চ্যান মনে করেন, প্রতিবেদনটি চীনের সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং অগ্রগতির বিষয়টি স্বীকার করলেও খুব দূরের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। তিনি বলেন, ‘চীনের সামরিক শক্তি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। চীনের এই ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতার স্বীকৃতি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতির ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।’

ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ১০০ পৃষ্ঠার সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা চীনের টুটি চেপে ধরতে, আধিপত্য বিস্তার করতে কিংবা হেয় করতে চাই না...আমরা শুধু চাই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কোনো দেশ যেন আমাদের বা আমাদের মিত্রদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে।’
এতে আরও যোগ করা হয়, ‘চীনের ঐতিহাসিক সমরসজ্জা বা সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে মার্কিন ভূখণ্ড আগের চেয়ে বেশি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।’ বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান পরমাণু অস্ত্রভান্ডার, নৌ-শক্তি, প্রথাগত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, সাইবার এবং মহাকাশ গবেষণার সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এসব সরাসরি আমেরিকানদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এই প্রতিবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, আমেরিকার লক্ষ্য হলো—নিজেদের এতটাই শক্তিশালী করে তোলা যাতে শত্রুপক্ষ আগ্রাসনের কথা চিন্তাও না করে, ‘এবং এর ফলে শান্তি পছন্দনীয় ও সংরক্ষিত থাকে।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বারবার উচ্চারিত একটি বিষয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওয়াশিংটনের বর্তমান নেতৃত্বের অধীনে আমেরিকা ও চীনের সামরিক সম্পর্ক গত কয়েক বছরের মধ্যে সেরা অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক বহু বছরের তুলনায় এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।’ পেন্টাগন পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সঙ্গে এই গতি বজায় রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কৌশলগত স্থিতিশীলতা, বিবাদ নিরসন এবং উত্তেজনা প্রশমনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা পিএলএ-এর সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ আরও বিস্তৃত করার মাধ্যমে এটি সম্পন্ন করব। আমাদের শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য পরিষ্কার করার জন্য আমরা অন্যান্য পথও খুঁজব।’
প্রতিবেদনটিতে চীনের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতাকে উদ্বেগের কারণ এবং সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের প্রধান সামরিক কৌশল হলো ‘জাতীয় সর্বাত্মক যুদ্ধ’ বা সমগ্র জাতির সংহতি অভিযানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পরাস্ত করা।
‘পিপলস রিপাবলিক অব চায়না সংশ্লিষ্ট সামরিক ও নিরাপত্তা উন্নয়ন’—শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সামরিক বাহিনী ২০২৭ সালের তিনটি লক্ষ্য অর্জনে স্থিরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্যগুলো হলো—তাইওয়ানের ওপর ‘কৌশলগত চূড়ান্ত বিজয়’ অর্জনে সক্ষম হওয়া; পরমাণু এবং অন্যান্য কৌশলগত ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত ভারসাম্য’ তৈরি করা এবং অঞ্চলের অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করা।
বেইজিং তাইওয়ানকে চীনের অংশ মনে করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও পুনরায় একীভূত করতে চায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অধিকাংশ দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, তবে ওয়াশিংটন এই স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটিকে শক্তি প্রয়োগ করে দখল করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধী এবং তারা তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বার্ষিক প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা গেছে, বেইজিং এবং মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে—সম্ভবত ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলার অভিন্ন স্বার্থে।’ তবে এতে এও বলা হয়েছে যে, তাদের পারস্পরিক অবিশ্বাসের কারণে এই সহযোগিতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএস) প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পর এল। সেই কৌশলটিও শুক্রবার অনেকটা অনাড়ম্বরভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল, যেখানে চীনের চেয়ে অভ্যন্তরীণ ইস্যু এবং প্রশাসনের ভাষায় ‘মনরো ডকট্রিনের ট্রাম্প অনুসিদ্ধান্ত’—যা পশ্চিম গোলার্ধের কৌশলগত গুরুত্বের ওপর জোর দেয়—সেদিকে বেশি নজর দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, মঙ্গলবারের প্রতিবেদনটি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এতে কোনো সূচিপত্র নেই এবং কিছু অংশ সেকেলে বা পুরোনো মনে হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ‘খুবই সামান্য উচ্চপর্যায়ের বিনিময়সহ’ শীতল সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে, অথচ গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে চীনের বিশাল সামরিক প্যারেডে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
তা সত্ত্বেও, বিশ্লেষকদের মতে এই প্রতিবেদনটি পেন্টাগন এবং হোয়াইট হাউস দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কীভাবে দেখছে, তার একটি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ইউরেশিয়া গ্রুপের সিনিয়র অ্যানালিস্ট জেরেমি চ্যান বলেন, ‘প্রতিবেদনের সুরটি চীনের প্রতি বিশেষভাবে গঠনমূলক, যেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে জোর দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এই দাবিটি প্রশ্নবিদ্ধ, তবে এটি ট্রাম্পের চীন নীতি এবং গত অক্টোবরে বুসানে হওয়া সমঝোতা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো বিষয়ে বেইজিংকে চাপ দিতে তাঁর অনীহার সংকেত দেয়।’
শেনিয়াংয়ের মার্কিন কনস্যুলেটের সাবেক কর্মকর্তা চ্যান মনে করেন, প্রতিবেদনটি চীনের সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং অগ্রগতির বিষয়টি স্বীকার করলেও খুব দূরের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। তিনি বলেন, ‘চীনের সামরিক শক্তি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। চীনের এই ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতার স্বীকৃতি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতির ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।’

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৯ মিনিট আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থাই সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার আন সেস এলাকায় অবস্থিত ছিল।
প্রিয়া বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের কাছে পূজনীয় প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংসের এই ঘটনা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’ তবে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড নিয়ে দাবি যাই থাকুক না কেন, এ ধরনের অসম্মানজনক কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’
ভারত আবারও উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং জানমাল ও ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঔপনিবেশিক আমলের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুধবার থেকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসের এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হবে। হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থাই সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার আন সেস এলাকায় অবস্থিত ছিল।
প্রিয়া বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের কাছে পূজনীয় প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংসের এই ঘটনা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’ তবে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড নিয়ে দাবি যাই থাকুক না কেন, এ ধরনের অসম্মানজনক কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’
ভারত আবারও উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং জানমাল ও ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঔপনিবেশিক আমলের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুধবার থেকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসের এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হবে। হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ।

ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
৭ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান করে দিয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী আত্তাল্লাহ তরাজি সম্প্রতি বড়দিনের উপহার হিসেবে এক জোড়া মোজা আর স্কার্ফ পেয়েছেন। গাজার কনকনে শীত থেকে বাঁচতে এগুলোই এখন তাঁর বড় সম্বল। গির্জার অন্যান্য সদস্যদের সাথে তরাজি যখন গাইলেন—‘খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে, হালেলুইয়া’ (একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ প্রভুর প্রশংসা), তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিভীষিকা ঢাকা পড়েছিল বিশ্বাসের সুরে।
গাজার সেন্ট্রাল সিটি এলাকার ‘হলি ফ্যামিলি চার্চ’ কম্পাউন্ডে আশ্রয় নেওয়া তরাজি বলেন, ‘আমরা এই পবিত্র মুহূর্তে যুদ্ধ, বিপদ আর বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যেতে চাই। খ্রিস্টের জন্মের আনন্দ আমাদের সব তিক্ততাকে ছাপিয়ে যাক।’
তবে সবার জন্য উৎসবের অনুভূতি এক নয়। শাদি আবু দাউদের জন্য এবারের বড়দিনটি অত্যন্ত কষ্টের। গত জুলাই মাসে এই ক্যাথলিক চার্চ কম্পাউন্ডেই ইজরায়েলি হামলায় তাঁর মা নিহত হন ও ছেলে আহত হয়। ইজরায়েল একে ‘দুর্ঘটনা’ বলে দুঃখ প্রকাশ করলেও স্বজন হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। আবু দাউদ বলেন, জখম এখনও কাঁচা। এখানে কোনো উৎসব নেই, আমরা এখনও ‘না যুদ্ধ না শান্তি’র এক অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে বাস করছি।
গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যা এখন নগণ্য। যুদ্ধের কারণে অনেক পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী ওয়াফা ইমাদ এলসায়েঘ জানান, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়রা না থাকায় আগের মতো আমেজ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে সাজসজ্জা করছি ঠিকই, কিন্তু যাদের সাথে সব আনন্দ ভাগ করে নিতাম, তারা আজ গাজায় নেই। এই পরিবেশ আগের মতো করে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’
৩৫ বছর বয়সী মা এলিনোর আমাশ তাঁর সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘরে বড়দিনের গাছ (ক্রিসমাস ট্রি) সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা কিছু চকলেট আর মিষ্টি পেয়ে বোমার ভয় ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু তাবুগুলোতে বসবাসকারী মানুষের কষ্ট দেখে চোখে জল আসে।’
গাজার খ্রিস্টানরা মনে করেন, তাঁরা সংখ্যায় যত কমই হোক না কেন, এটি এই ভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের এক অটল সাক্ষ্য। আত্তাল্লাহ তরাজি প্রার্থনা করেন যেন তাঁর জাতি শান্তি ও স্বাধীনতা পায়। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিস্থিতির চেয়েও বড়দিনের আনন্দ এবং তাঁদের বিশ্বাস অনেক বেশি শক্তিশালী।
গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গাজায় হামলার তীব্রতা কমলেও মাঝেমধ্যেই প্রাণঘাতী আঘাত আসছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
অতিবৃষ্টিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের তাবুগুলো তলিয়ে গেছে, যা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান করে দিয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী আত্তাল্লাহ তরাজি সম্প্রতি বড়দিনের উপহার হিসেবে এক জোড়া মোজা আর স্কার্ফ পেয়েছেন। গাজার কনকনে শীত থেকে বাঁচতে এগুলোই এখন তাঁর বড় সম্বল। গির্জার অন্যান্য সদস্যদের সাথে তরাজি যখন গাইলেন—‘খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে, হালেলুইয়া’ (একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ প্রভুর প্রশংসা), তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিভীষিকা ঢাকা পড়েছিল বিশ্বাসের সুরে।
গাজার সেন্ট্রাল সিটি এলাকার ‘হলি ফ্যামিলি চার্চ’ কম্পাউন্ডে আশ্রয় নেওয়া তরাজি বলেন, ‘আমরা এই পবিত্র মুহূর্তে যুদ্ধ, বিপদ আর বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যেতে চাই। খ্রিস্টের জন্মের আনন্দ আমাদের সব তিক্ততাকে ছাপিয়ে যাক।’
তবে সবার জন্য উৎসবের অনুভূতি এক নয়। শাদি আবু দাউদের জন্য এবারের বড়দিনটি অত্যন্ত কষ্টের। গত জুলাই মাসে এই ক্যাথলিক চার্চ কম্পাউন্ডেই ইজরায়েলি হামলায় তাঁর মা নিহত হন ও ছেলে আহত হয়। ইজরায়েল একে ‘দুর্ঘটনা’ বলে দুঃখ প্রকাশ করলেও স্বজন হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। আবু দাউদ বলেন, জখম এখনও কাঁচা। এখানে কোনো উৎসব নেই, আমরা এখনও ‘না যুদ্ধ না শান্তি’র এক অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে বাস করছি।
গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যা এখন নগণ্য। যুদ্ধের কারণে অনেক পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী ওয়াফা ইমাদ এলসায়েঘ জানান, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়রা না থাকায় আগের মতো আমেজ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে সাজসজ্জা করছি ঠিকই, কিন্তু যাদের সাথে সব আনন্দ ভাগ করে নিতাম, তারা আজ গাজায় নেই। এই পরিবেশ আগের মতো করে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’
৩৫ বছর বয়সী মা এলিনোর আমাশ তাঁর সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘরে বড়দিনের গাছ (ক্রিসমাস ট্রি) সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা কিছু চকলেট আর মিষ্টি পেয়ে বোমার ভয় ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু তাবুগুলোতে বসবাসকারী মানুষের কষ্ট দেখে চোখে জল আসে।’
গাজার খ্রিস্টানরা মনে করেন, তাঁরা সংখ্যায় যত কমই হোক না কেন, এটি এই ভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের এক অটল সাক্ষ্য। আত্তাল্লাহ তরাজি প্রার্থনা করেন যেন তাঁর জাতি শান্তি ও স্বাধীনতা পায়। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিস্থিতির চেয়েও বড়দিনের আনন্দ এবং তাঁদের বিশ্বাস অনেক বেশি শক্তিশালী।
গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গাজায় হামলার তীব্রতা কমলেও মাঝেমধ্যেই প্রাণঘাতী আঘাত আসছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
অতিবৃষ্টিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের তাবুগুলো তলিয়ে গেছে, যা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
৭ ঘণ্টা আগে
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৯ মিনিট আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে। ঘটনাস্থলটি সেই জায়গার কাছে, যেখানে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক রুশ জেনারেল গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বিবৃতির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা যখন ওই ব্যক্তির কাছে যান, তখনই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস সক্রিয় হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। এ সময় তাঁদের পাশে থাকা আরেকজন ব্যক্তিও বিস্ফোরণে নিহত হন।
নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বয়স ছিল ২৪ ও ২৫ বছর। আল জাজিরার মস্কো প্রতিনিধি ইউলিয়া শাপোভালোভার তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি তাদের পরিবারের জন্য এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।’ বিস্ফোরণের প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। কাছাকাছি বসবাসকারী আলেক্সান্ডার নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘একটা ভয়ংকর শব্দ হয়েছিল, কয়েক দিন আগের গাড়ি বিস্ফোরণের মতোই।’ আরেক বাসিন্দা রোজা জানান, বিস্ফোরণের সময় তাঁদের পুরো ভবনটি কেঁপে ওঠে এবং তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।
বিস্ফোরণের পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী। রুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এবং বিস্ফোরক পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই এলাকার কাছে, যেখানে গত সোমবার রুশ জেনারেল ফানিল সারভারভ গাড়ির নিচে পেতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের মাধ্যমে নিহত হন। সারভারভ রুশ জেনারেল স্টাফের অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাশিয়া জেনারেল সারভারভ হত্যার পেছনে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে ইউক্রেন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশ সামরিক কর্মকর্তা এবং এই যুদ্ধের সমর্থক বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে। ঘটনাস্থলটি সেই জায়গার কাছে, যেখানে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক রুশ জেনারেল গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বিবৃতির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা যখন ওই ব্যক্তির কাছে যান, তখনই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস সক্রিয় হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। এ সময় তাঁদের পাশে থাকা আরেকজন ব্যক্তিও বিস্ফোরণে নিহত হন।
নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বয়স ছিল ২৪ ও ২৫ বছর। আল জাজিরার মস্কো প্রতিনিধি ইউলিয়া শাপোভালোভার তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি তাদের পরিবারের জন্য এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।’ বিস্ফোরণের প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। কাছাকাছি বসবাসকারী আলেক্সান্ডার নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘একটা ভয়ংকর শব্দ হয়েছিল, কয়েক দিন আগের গাড়ি বিস্ফোরণের মতোই।’ আরেক বাসিন্দা রোজা জানান, বিস্ফোরণের সময় তাঁদের পুরো ভবনটি কেঁপে ওঠে এবং তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।
বিস্ফোরণের পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী। রুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এবং বিস্ফোরক পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই এলাকার কাছে, যেখানে গত সোমবার রুশ জেনারেল ফানিল সারভারভ গাড়ির নিচে পেতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের মাধ্যমে নিহত হন। সারভারভ রুশ জেনারেল স্টাফের অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাশিয়া জেনারেল সারভারভ হত্যার পেছনে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে ইউক্রেন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশ সামরিক কর্মকর্তা এবং এই যুদ্ধের সমর্থক বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
৭ ঘণ্টা আগে
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৯ মিনিট আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, শানলিউরফার পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত নীলাভ পানির ‘বালিক্লিগোল’ বা ‘মাছের হ্রদ’। মূলত এখানে আছে দুটি পুকুর। ধর্মীয় মতে, দুটি পুকুরের বড়টিতে নবী ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করেছিলেন মেসোপটেমিয়ার রাজা নমরুদ। আল্লাহ তৎক্ষণাৎ ওই আগুনকে পানি এবং জ্বলন্ত কাঠকে মাছে রূপান্তরিত করেছিলেন। এ ছাড়া ‘আইনজেলিহা’ নামের ছোট পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছে নমরুদের কন্যা জেলিহার নামে। ইব্রাহিম নবীর প্রতি বিশ্বাসের কারণে এই পুকুরে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জেলিহা প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস।
দুটি পুকুরই কালো দাগওয়ালা কার্প মাছে ভরা। এগুলোকে পবিত্র মনে করা হয়। তাই এই মাছগুলোকে ধরা বা এগুলোর ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই কারণেই বালিক্লিগোল শুধু একটি পর্যটনস্থল নয়, বরং গভীর ধর্মীয় আবেগ ও ইতিহাসের প্রতীক। মাছের গায়ে থাকা কালো দাগগুলোকে আগুনের ছাইয়ের চিহ্ন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে শানলিউরফা নানা নামে পরিচিত ছিল। আরামীয়রা একে ডাকত উরহাই, গ্রিক শাসনামলে নাম ছিল এডেসা, আরব বিজয়ের পর নাম হয় রোহা। অটোমানেরা ১৬০৭ সালে এই নগরীর নাম রাখে উরফা। পরে ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিরোধের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্ত হয় ‘শানলি’, অর্থাৎ ‘গৌরবময়’।
এই শহরটি ইব্রাহিম (আ.), আইয়ুব (আ.), নূহ (আ.) ও জেথ্রোর মতো নবীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত বালিক্লিগোল মুসলিম তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখানেই রয়েছে মেভলিদ-ই-হালিল গুহা। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই জন্ম হয়েছিল ইব্রাহিম নবীর। নারীরা সন্তান কামনায় ও আরোগ্য লাভের আশায় এই গুহায় আসেন।
তবে শানলিউরফার ইতিহাস শুধু ধর্মগ্রন্থেই সীমাবদ্ধ নয়। শহরটি থেকে ১৪ মাইল দূরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা বা উপাসনালয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্যোবেকলি তেপে’। প্রায় ১১-১২ হাজার বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটি মানবসভ্যতার ধারণাকেই বদলে দিয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৯৬০০ সালের এই নিওলিথিক স্থাপনাটি কৃষি ও মৃৎশিল্পের আগেই নির্মিত—যা প্রমাণ করে, ধর্মীয় আচার হয়তো সভ্যতার সূচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে পাওয়া টি-আকৃতির স্তম্ভ ও খোদাই করা পশুর ভাস্কর্য বিশ্বব্যাপী বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

শানলিউরফা প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ১০ হাজারের বেশি নিদর্শন। এর মধ্যে ‘উরফা ম্যান’ নামের ১১ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো মানব মূর্তিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাশেই হালেপলিবাহচে মোজাইক জাদুঘর ও কিজিলকয়ুন নেক্রোপলিস শহরের রোমান যুগের ইতিহাস তুলে ধরে।
ইতিহাস ও ধর্মের পাশাপাশি শানলিউরফা খাবার ও আতিথেয়তার জন্যও বিখ্যাত। উরফা কাবাব, পাটলিজান কাবাব, চি কফতে ও শিল্লিক তাতলিসি এখানকার জনপ্রিয় খাবার। স্থানীয়দের সঙ্গে ধীরে চা পান, পুরোনো বাজারে হাঁটা আর ‘সিরা গেসেসি’ নামের সাংস্কৃতিক আড্ডায় অংশ নিলে বোঝা যায়—এই শহর শুধু দেখার নয়, অনুভব করারও।

বলা যায়—শানলিউরফা যেন এক জীবন্ত জাদুঘর; যেখানে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবসভ্যতার গল্প একসূত্রে গেঁথে পাশাপাশি হাঁটে অতীত ও বর্তমান।

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, শানলিউরফার পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত নীলাভ পানির ‘বালিক্লিগোল’ বা ‘মাছের হ্রদ’। মূলত এখানে আছে দুটি পুকুর। ধর্মীয় মতে, দুটি পুকুরের বড়টিতে নবী ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করেছিলেন মেসোপটেমিয়ার রাজা নমরুদ। আল্লাহ তৎক্ষণাৎ ওই আগুনকে পানি এবং জ্বলন্ত কাঠকে মাছে রূপান্তরিত করেছিলেন। এ ছাড়া ‘আইনজেলিহা’ নামের ছোট পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছে নমরুদের কন্যা জেলিহার নামে। ইব্রাহিম নবীর প্রতি বিশ্বাসের কারণে এই পুকুরে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জেলিহা প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস।
দুটি পুকুরই কালো দাগওয়ালা কার্প মাছে ভরা। এগুলোকে পবিত্র মনে করা হয়। তাই এই মাছগুলোকে ধরা বা এগুলোর ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই কারণেই বালিক্লিগোল শুধু একটি পর্যটনস্থল নয়, বরং গভীর ধর্মীয় আবেগ ও ইতিহাসের প্রতীক। মাছের গায়ে থাকা কালো দাগগুলোকে আগুনের ছাইয়ের চিহ্ন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে শানলিউরফা নানা নামে পরিচিত ছিল। আরামীয়রা একে ডাকত উরহাই, গ্রিক শাসনামলে নাম ছিল এডেসা, আরব বিজয়ের পর নাম হয় রোহা। অটোমানেরা ১৬০৭ সালে এই নগরীর নাম রাখে উরফা। পরে ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিরোধের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্ত হয় ‘শানলি’, অর্থাৎ ‘গৌরবময়’।
এই শহরটি ইব্রাহিম (আ.), আইয়ুব (আ.), নূহ (আ.) ও জেথ্রোর মতো নবীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত বালিক্লিগোল মুসলিম তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখানেই রয়েছে মেভলিদ-ই-হালিল গুহা। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই জন্ম হয়েছিল ইব্রাহিম নবীর। নারীরা সন্তান কামনায় ও আরোগ্য লাভের আশায় এই গুহায় আসেন।
তবে শানলিউরফার ইতিহাস শুধু ধর্মগ্রন্থেই সীমাবদ্ধ নয়। শহরটি থেকে ১৪ মাইল দূরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা বা উপাসনালয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্যোবেকলি তেপে’। প্রায় ১১-১২ হাজার বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটি মানবসভ্যতার ধারণাকেই বদলে দিয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৯৬০০ সালের এই নিওলিথিক স্থাপনাটি কৃষি ও মৃৎশিল্পের আগেই নির্মিত—যা প্রমাণ করে, ধর্মীয় আচার হয়তো সভ্যতার সূচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে পাওয়া টি-আকৃতির স্তম্ভ ও খোদাই করা পশুর ভাস্কর্য বিশ্বব্যাপী বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

শানলিউরফা প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ১০ হাজারের বেশি নিদর্শন। এর মধ্যে ‘উরফা ম্যান’ নামের ১১ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো মানব মূর্তিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাশেই হালেপলিবাহচে মোজাইক জাদুঘর ও কিজিলকয়ুন নেক্রোপলিস শহরের রোমান যুগের ইতিহাস তুলে ধরে।
ইতিহাস ও ধর্মের পাশাপাশি শানলিউরফা খাবার ও আতিথেয়তার জন্যও বিখ্যাত। উরফা কাবাব, পাটলিজান কাবাব, চি কফতে ও শিল্লিক তাতলিসি এখানকার জনপ্রিয় খাবার। স্থানীয়দের সঙ্গে ধীরে চা পান, পুরোনো বাজারে হাঁটা আর ‘সিরা গেসেসি’ নামের সাংস্কৃতিক আড্ডায় অংশ নিলে বোঝা যায়—এই শহর শুধু দেখার নয়, অনুভব করারও।

বলা যায়—শানলিউরফা যেন এক জীবন্ত জাদুঘর; যেখানে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবসভ্যতার গল্প একসূত্রে গেঁথে পাশাপাশি হাঁটে অতীত ও বর্তমান।

ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
৭ ঘণ্টা আগে
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৯ মিনিট আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
২ ঘণ্টা আগে