
গত বছরের সেপ্টেম্বরের এক সোনালি সকাল। ক্যালভিন লো নামের এক ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফোর্বসের এক সম্পাদককে হংকংয়ে পারিবারিক জীবনবিমা ব্রোকারেজ ফার্মে ডেকে পাঠান। আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনাল নামের ওই ফার্মে যাওয়ার পর ফোর্বস সম্পাদকের চোখ তো ছানাবড়া! অফিসের সাজসজ্জা দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন। অবশ্য সেই বিস্ময় কেটে যায় ফোর্বসের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর।
থ্রিপিস স্যুট, টাই এবং এর সঙ্গে মিলিয়ে পকেট স্কয়ার পরা ক্যালভিন লো অফিসের কনফারেন্স রুমে ফোর্বস সম্পাদককে নিয়ে বসেছিলেন। অফিসটি কাঠ দিয়ে মোড়ানো, চামড়ার মলাটযুক্ত বই এবং ফুলদানি দিয়ে সজ্জিত।
ক্যালভিন লো মূলত ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্পাদককে ডেকেছিলেন। প্রথমে এশিয়ার অন্য বিলিয়নিয়ারদের র্যাঙ্কিং কীভাবে করা হয় তা জানতে ‘কৌতূহলী’ বলে জানান। ফোর্বসকে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবেন কি না, তা নিয়ে ‘দ্বিধায়’ আছেন—এমন ভান করেন।
বয়স্ক বিলিয়নিয়ার গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাইলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের ধনকুবেররা তাঁদের বিপরীত—এই প্রবণতা তাঁকে বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় স্থান পেতে আগ্রহী করেছে বলেও জানান লো।
পরবর্তী সময়ে ফোর্বসের নথি যাচাইয়ে উঠে আসে, বাস্তবে লোর কৌতূহলী এবং দ্বিধান্বিত ভাব দেখানো ছিল একটা ফাঁদ। আসলে তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চেষ্টা করছিলেন ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার তালিকায় স্থান পেতে। অবশ্য লো একা নন, তাঁর মতো ২০২০ সাল থেকে কমপক্ষে সাত ব্যক্তি ২০টিরও বেশি অনুষ্ঠানে ফোর্বসের ১১ জন সাংবাদিকের কাছে ধরনা দিয়েছেন।
ফোর্বস সম্পাদককে জানানো হয়, লো একজন আড়ালে থাকা বিলিয়নিয়ার, জনহিতৈষী ও বিনিয়োগকারী। ওই সাক্ষাতের পর ফোর্বসের কাছে এক ডজনেরও বেশি নথি পাঠানো হয়। কিছু নথি ব্যক্তিগত ও গোপনীয় সিলযুক্ত।
প্রাথমিকভাবে ফোর্বস বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। কারণ, প্রতিবছরই অসংখ্য লোক ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার তালিকায় ওঠার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নেয়।
হংকংয়ে ফোর্বসের ছয়জন সম্পাদকের ব্যুরো। সেখানে আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনাল অবস্থিত হলেও প্রতিষ্ঠানটির নাম তাঁরা কখনো শোনেননি। আর বিমা পলিসি বিক্রি করে বিলিয়ন ডলার আয় করা অবিশ্বাস্যই মনে হয়েছিল সম্পাদকদের কাছে।
তবে ক্যালভিন লো ক্ষান্ত হননি। ঘুষ দিয়ে ফোর্বসের মধ্যপ্রাচ্য শাখা থেকে একটি ফিচার ছাপিয়েছিলেন। যেখানে তাঁকে বিলিয়নিয়ার বলা হয়। পরে অবশ্য ফোর্বসের মূল শাখা বিষয়টি জানতে পেরে নিবন্ধটি সরিয়ে দেয়।
‘ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকায়’ ওঠার এই ভুয়া খবর বিশ্বের নামকরা সব সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন লো। তারা ফোর্বসকে উদ্ধৃত করে সংবাদ প্রকাশ করে। বিবিসি, সিএনবিসি, ডেইলি এক্সপ্রেস, ডেইলি মিরর, দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, নিক্কেই এশিয়া, রয়টার্স এবং সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের মতো সংবাদমাধ্যমও এ তালিকায় রয়েছে। সব খবরেই ক্যালভিন লোকে বিলিয়নিয়ার বলে উল্লেখ করা হয়।
হংকংয়ে লোর সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পর কমপক্ষে এক বছর তাঁর দেওয়া তথ্য যাচাই করেছে ফোর্বস। এ সময় ছয় দেশের ৪০ জন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে। লোর দেওয়া শত শত পৃষ্ঠার নথিতে দাবি করা হয়, আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনাল পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ইনস্যুরেন্স ব্রোকার, যার প্রিমিয়াম মূল্য ১ বিলিয়ন ডলার। আর প্রতিষ্ঠাতা লোর সম্পদের মূল্য ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার।
হার্ভার্ডে পড়ুয়া দাবি করা এই বিনিয়োগকারী ২০১৮ সালে ব্যক্তিগত গাড়ি, আর. ই. লি. অক্টাগন এবং তাইওয়ানের পাঁচ তারকা ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল হোটেল কিনতে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়া ২৫০ মিলিয়ন ডলারের দাতব্য ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সারা বিশ্বে দেড় ডজন বাড়ির মালিক বলেও দাবি করা হয় নথিতে।
শুধু তাই নয়, তিনি এশিয়ার বৃহত্তম বিনিয়োগকারী, দামি অ্যালকোহল শ্যাম্পেন সংগ্রাহক, এশিয়ায় প্রথম গালফস্ট্রিম জি৬৫০ প্রাইভেট জেটের মালিক এবং কিংবদন্তি উইলিয়ামস ফর্মুলা-১ রেসিং দলের বিনিয়োগকারী—এমনটি দাবি করা হয়।
তবে ফোর্বসের তদন্তে এসব দাবির বেশির ভাগেরই সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। আর বাকিগুলো সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ।
এফ-১ রেসিং দলে লোর কোনো অংশীদারত্ব নেই। তিনি ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল তাইপেই হোটেলের মালিক নন। তাঁর সরবরাহ করা ঠিকানায় বাড়িগুলো হয় তাঁর বাবা-মায়ের বা অন্য লোকের। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ক্যালভিন লো নামে কারও স্নাতক হওয়ার রেকর্ড নেই। তাঁর দাতব্য ফাউন্ডেশন বা আর. ই. লি. অক্টাগনের অস্তিত্বও পাওয়া যায়নি।
এদিকে আর. ই. লি. ক্যাপিটাল ফোর্বসকে জানিয়েছে, লো প্রকৃতপক্ষে এই ফার্মের একজন নন-এক্সিকিউটিভ ইক্যুইটি বিনিয়োগকারীর ছেলে। তাঁর মা রেজিনা লি এটির চেয়ারম্যান হলেও ক্যালভিন লোকে কোম্পানির সহযোগী বলে মনে করা উচিত নয়। এ ছাড়া আর. ই. লি. ক্যাপিটালের সম্পদ ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার নয় বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অন্যদিকে লোর প্রতিষ্ঠিত আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনালের সাবেক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বছর প্রতিষ্ঠানটির অভিহিত মূল্য (ফেস ভ্যালু) ৮০০ মিলিয়নের বেশি ছিল না। ফোর্বসের অনুমান কোম্পানিটির মূল্য সর্বসাকল্যে ৬০ মিলিয়ন ডলারের মতো। আর এই অর্থের মালিক প্রকৃতপক্ষে কে তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেননা, লোর মা ২০১৫ সালে কোম্পানিটি কিনেছিলেন।
তবে লোর বাবা ফ্রান্সিস লো এবং মা রেজিনা লির দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে হংকংয়ের অভিজাত এলাকায়। এ ছাড়া হংকংয়ের বাণিজ্যিক এলাকায় ও ভ্যানকুভারে আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনালের মোট ৪ হাজার ৪৫ বর্গফুটের অফিস রয়েছে।
লোর পরিবার ধনিক শ্রেণির—এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, তবে বিলিয়নিয়ার নয়। ফোর্বসের ধারণা, লো ও তাঁর বাবা-মায়ের মোট সম্পদ ২০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
ফোর্বস লো এবং তাঁর মায়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে একটি দীর্ঘ প্রশ্নের তালিকা পাঠিয়েছিল। জবাবে একটি আইনি সংস্থা চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছিল, তাঁদের মক্কেল ‘অসৎ, অসত্য বা অনৈতিক’ বলে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা সত্য নয়।
লোর কথিত ব্যক্তিগত বিনিয়োগ সংস্থা আর. ই. লি. অক্টাগনের অস্তিত্ব নেই। ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ, হংকং বা সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত এমন কোনো সংস্থা নেই। জুলাই মাসের শেষ দিকে সংস্থাটির একটি একক ই-মেইল ঠিকানাসহ এক পৃষ্ঠার ওয়েবসাইট ছিল। কিন্তু সাইটটি এখন আর নেই।
গভীর জলের মাছ লোর একজন প্রতিনিধি দাবি করেছিলেন, তাঁর প্রায় ২৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি শ্যাম্পেন সংগ্রহশালা রয়েছে। এ বিষয়ে লন্ডনের ক্রিস্টির ওয়াইন অ্যান্ড স্পিরিটসের আন্তর্জাতিক পরিচালক টিম ট্রিপট্রি বলেন, ‘আমি মনে করি না এটি ১০০ মিলিয়নের বেশি। এটি অসম্ভব বলে মনে করি। কারণ ১৮ বছরে এত মূল্যবান ওয়াইনের কোনো সংগ্রহ খুঁজে পাইনি।’
লো একটি পাগানি হুয়ারা বিসিসহ অন্যান্য বিরল সুপার কারের মালিক বলেও গর্ব করে বলেছিলেন। ফোর্বস তাঁর একটি পাগানি হুয়ারা টেম্পেস্টার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছবি খুঁজে পেয়েছে। হংকং-ভিত্তিক মিং পাও সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের কেউ একজন ছবিটি তুলেছিলেন। পত্রিকায় সেটি ছাপাও হয়েছিল।
কিন্তু ফোর্বস ঠিক একই ছবি খুঁজে পেয়েছে যেখানে লো নেই। ২০১৭ সালে সোথবির নিলামের জন্য ফটোগ্রাফার রবিন অ্যাডামস ছবিটি তুলেছিলেন। তিনি ফোর্বসকে বলেন, তাঁর সেই ছবিই এডিট করে লোর ছবি বসানো হয়েছে। তাঁর কোনো অনুমতি ছাড়াই ছবিটি তারা ব্যবহার করেছে। আর সেই গাড়িটি আসলে কোনো এক ব্যক্তি ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারে কিনেছেন।
পরে ফোর্বস চাপ দিলে পৃথিবীর ছয় শহরে (হংকং, সিঙ্গাপুর, টোকিও, লন্ডন, ভ্যাঙ্কুভার এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে) বাড়ি আছে—এমন দাবি থেকে সরে আসেন লো। এরপর প্রথমে পাঁচটি ও শেষ পর্যন্ত হংকংয়ে চারটি এবং সিঙ্গাপুরে একটি সম্পত্তির তথ্য দেন। কিন্তু রিয়েল এস্টেট রেকর্ড থেকে জানা যায়, এসব বাড়ির মধ্যে দুটি তাঁর বাবা–মার এবং বাকিগুলো অন্যদের।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফোর্বসের সঙ্গে একটি বৈঠকে লো বলেছিলেন, তিনি বোস্টনের সান লাইফ ফাইন্যান্সিয়াল এবং নিউইয়র্কের জেপি মরগানে কাজ করেছেন। তবে জেপি মরগান জানিয়েছে, তিনি ২০০১-২০০২ সালে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগ ও ব্যাংকিং বিভাগে খুবই স্বল্প সময়ের জন্য কাজ করেছিলেন। কিন্তু লোর ফার্মের মাধ্যমে বিমা পলিসি বিক্রি করার কথা বলা হলেও সান লাইফ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটিতে লোর কাজ করার কোনো রেকর্ড নেই।
ফোর্বস সব তদন্ত শেষে লোকে সেসব নথি পাঠিয়েছিল। তখন লো প্রতিনিধির মাধ্যমে জানান, এ নিয়ে তাঁর আর কোনো আগ্রহ নেই। ফোর্বসে প্রকাশিত বিলিয়নিয়ার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেন। পাশাপাশি এ নিয়ে ফোর্বসে আর কোনো লেখা প্রকাশ হোক সেটিও চান না বলে উল্লেখ করেন।

গত বছরের সেপ্টেম্বরের এক সোনালি সকাল। ক্যালভিন লো নামের এক ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফোর্বসের এক সম্পাদককে হংকংয়ে পারিবারিক জীবনবিমা ব্রোকারেজ ফার্মে ডেকে পাঠান। আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনাল নামের ওই ফার্মে যাওয়ার পর ফোর্বস সম্পাদকের চোখ তো ছানাবড়া! অফিসের সাজসজ্জা দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন। অবশ্য সেই বিস্ময় কেটে যায় ফোর্বসের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর।
থ্রিপিস স্যুট, টাই এবং এর সঙ্গে মিলিয়ে পকেট স্কয়ার পরা ক্যালভিন লো অফিসের কনফারেন্স রুমে ফোর্বস সম্পাদককে নিয়ে বসেছিলেন। অফিসটি কাঠ দিয়ে মোড়ানো, চামড়ার মলাটযুক্ত বই এবং ফুলদানি দিয়ে সজ্জিত।
ক্যালভিন লো মূলত ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্পাদককে ডেকেছিলেন। প্রথমে এশিয়ার অন্য বিলিয়নিয়ারদের র্যাঙ্কিং কীভাবে করা হয় তা জানতে ‘কৌতূহলী’ বলে জানান। ফোর্বসকে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবেন কি না, তা নিয়ে ‘দ্বিধায়’ আছেন—এমন ভান করেন।
বয়স্ক বিলিয়নিয়ার গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাইলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের ধনকুবেররা তাঁদের বিপরীত—এই প্রবণতা তাঁকে বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় স্থান পেতে আগ্রহী করেছে বলেও জানান লো।
পরবর্তী সময়ে ফোর্বসের নথি যাচাইয়ে উঠে আসে, বাস্তবে লোর কৌতূহলী এবং দ্বিধান্বিত ভাব দেখানো ছিল একটা ফাঁদ। আসলে তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চেষ্টা করছিলেন ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার তালিকায় স্থান পেতে। অবশ্য লো একা নন, তাঁর মতো ২০২০ সাল থেকে কমপক্ষে সাত ব্যক্তি ২০টিরও বেশি অনুষ্ঠানে ফোর্বসের ১১ জন সাংবাদিকের কাছে ধরনা দিয়েছেন।
ফোর্বস সম্পাদককে জানানো হয়, লো একজন আড়ালে থাকা বিলিয়নিয়ার, জনহিতৈষী ও বিনিয়োগকারী। ওই সাক্ষাতের পর ফোর্বসের কাছে এক ডজনেরও বেশি নথি পাঠানো হয়। কিছু নথি ব্যক্তিগত ও গোপনীয় সিলযুক্ত।
প্রাথমিকভাবে ফোর্বস বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। কারণ, প্রতিবছরই অসংখ্য লোক ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার তালিকায় ওঠার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নেয়।
হংকংয়ে ফোর্বসের ছয়জন সম্পাদকের ব্যুরো। সেখানে আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনাল অবস্থিত হলেও প্রতিষ্ঠানটির নাম তাঁরা কখনো শোনেননি। আর বিমা পলিসি বিক্রি করে বিলিয়ন ডলার আয় করা অবিশ্বাস্যই মনে হয়েছিল সম্পাদকদের কাছে।
তবে ক্যালভিন লো ক্ষান্ত হননি। ঘুষ দিয়ে ফোর্বসের মধ্যপ্রাচ্য শাখা থেকে একটি ফিচার ছাপিয়েছিলেন। যেখানে তাঁকে বিলিয়নিয়ার বলা হয়। পরে অবশ্য ফোর্বসের মূল শাখা বিষয়টি জানতে পেরে নিবন্ধটি সরিয়ে দেয়।
‘ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকায়’ ওঠার এই ভুয়া খবর বিশ্বের নামকরা সব সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন লো। তারা ফোর্বসকে উদ্ধৃত করে সংবাদ প্রকাশ করে। বিবিসি, সিএনবিসি, ডেইলি এক্সপ্রেস, ডেইলি মিরর, দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, নিক্কেই এশিয়া, রয়টার্স এবং সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের মতো সংবাদমাধ্যমও এ তালিকায় রয়েছে। সব খবরেই ক্যালভিন লোকে বিলিয়নিয়ার বলে উল্লেখ করা হয়।
হংকংয়ে লোর সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পর কমপক্ষে এক বছর তাঁর দেওয়া তথ্য যাচাই করেছে ফোর্বস। এ সময় ছয় দেশের ৪০ জন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে। লোর দেওয়া শত শত পৃষ্ঠার নথিতে দাবি করা হয়, আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনাল পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ইনস্যুরেন্স ব্রোকার, যার প্রিমিয়াম মূল্য ১ বিলিয়ন ডলার। আর প্রতিষ্ঠাতা লোর সম্পদের মূল্য ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার।
হার্ভার্ডে পড়ুয়া দাবি করা এই বিনিয়োগকারী ২০১৮ সালে ব্যক্তিগত গাড়ি, আর. ই. লি. অক্টাগন এবং তাইওয়ানের পাঁচ তারকা ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল হোটেল কিনতে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়া ২৫০ মিলিয়ন ডলারের দাতব্য ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সারা বিশ্বে দেড় ডজন বাড়ির মালিক বলেও দাবি করা হয় নথিতে।
শুধু তাই নয়, তিনি এশিয়ার বৃহত্তম বিনিয়োগকারী, দামি অ্যালকোহল শ্যাম্পেন সংগ্রাহক, এশিয়ায় প্রথম গালফস্ট্রিম জি৬৫০ প্রাইভেট জেটের মালিক এবং কিংবদন্তি উইলিয়ামস ফর্মুলা-১ রেসিং দলের বিনিয়োগকারী—এমনটি দাবি করা হয়।
তবে ফোর্বসের তদন্তে এসব দাবির বেশির ভাগেরই সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। আর বাকিগুলো সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ।
এফ-১ রেসিং দলে লোর কোনো অংশীদারত্ব নেই। তিনি ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল তাইপেই হোটেলের মালিক নন। তাঁর সরবরাহ করা ঠিকানায় বাড়িগুলো হয় তাঁর বাবা-মায়ের বা অন্য লোকের। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ক্যালভিন লো নামে কারও স্নাতক হওয়ার রেকর্ড নেই। তাঁর দাতব্য ফাউন্ডেশন বা আর. ই. লি. অক্টাগনের অস্তিত্বও পাওয়া যায়নি।
এদিকে আর. ই. লি. ক্যাপিটাল ফোর্বসকে জানিয়েছে, লো প্রকৃতপক্ষে এই ফার্মের একজন নন-এক্সিকিউটিভ ইক্যুইটি বিনিয়োগকারীর ছেলে। তাঁর মা রেজিনা লি এটির চেয়ারম্যান হলেও ক্যালভিন লোকে কোম্পানির সহযোগী বলে মনে করা উচিত নয়। এ ছাড়া আর. ই. লি. ক্যাপিটালের সম্পদ ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার নয় বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অন্যদিকে লোর প্রতিষ্ঠিত আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনালের সাবেক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বছর প্রতিষ্ঠানটির অভিহিত মূল্য (ফেস ভ্যালু) ৮০০ মিলিয়নের বেশি ছিল না। ফোর্বসের অনুমান কোম্পানিটির মূল্য সর্বসাকল্যে ৬০ মিলিয়ন ডলারের মতো। আর এই অর্থের মালিক প্রকৃতপক্ষে কে তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেননা, লোর মা ২০১৫ সালে কোম্পানিটি কিনেছিলেন।
তবে লোর বাবা ফ্রান্সিস লো এবং মা রেজিনা লির দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে হংকংয়ের অভিজাত এলাকায়। এ ছাড়া হংকংয়ের বাণিজ্যিক এলাকায় ও ভ্যানকুভারে আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনালের মোট ৪ হাজার ৪৫ বর্গফুটের অফিস রয়েছে।
লোর পরিবার ধনিক শ্রেণির—এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, তবে বিলিয়নিয়ার নয়। ফোর্বসের ধারণা, লো ও তাঁর বাবা-মায়ের মোট সম্পদ ২০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
ফোর্বস লো এবং তাঁর মায়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে একটি দীর্ঘ প্রশ্নের তালিকা পাঠিয়েছিল। জবাবে একটি আইনি সংস্থা চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছিল, তাঁদের মক্কেল ‘অসৎ, অসত্য বা অনৈতিক’ বলে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা সত্য নয়।
লোর কথিত ব্যক্তিগত বিনিয়োগ সংস্থা আর. ই. লি. অক্টাগনের অস্তিত্ব নেই। ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ, হংকং বা সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত এমন কোনো সংস্থা নেই। জুলাই মাসের শেষ দিকে সংস্থাটির একটি একক ই-মেইল ঠিকানাসহ এক পৃষ্ঠার ওয়েবসাইট ছিল। কিন্তু সাইটটি এখন আর নেই।
গভীর জলের মাছ লোর একজন প্রতিনিধি দাবি করেছিলেন, তাঁর প্রায় ২৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি শ্যাম্পেন সংগ্রহশালা রয়েছে। এ বিষয়ে লন্ডনের ক্রিস্টির ওয়াইন অ্যান্ড স্পিরিটসের আন্তর্জাতিক পরিচালক টিম ট্রিপট্রি বলেন, ‘আমি মনে করি না এটি ১০০ মিলিয়নের বেশি। এটি অসম্ভব বলে মনে করি। কারণ ১৮ বছরে এত মূল্যবান ওয়াইনের কোনো সংগ্রহ খুঁজে পাইনি।’
লো একটি পাগানি হুয়ারা বিসিসহ অন্যান্য বিরল সুপার কারের মালিক বলেও গর্ব করে বলেছিলেন। ফোর্বস তাঁর একটি পাগানি হুয়ারা টেম্পেস্টার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছবি খুঁজে পেয়েছে। হংকং-ভিত্তিক মিং পাও সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের কেউ একজন ছবিটি তুলেছিলেন। পত্রিকায় সেটি ছাপাও হয়েছিল।
কিন্তু ফোর্বস ঠিক একই ছবি খুঁজে পেয়েছে যেখানে লো নেই। ২০১৭ সালে সোথবির নিলামের জন্য ফটোগ্রাফার রবিন অ্যাডামস ছবিটি তুলেছিলেন। তিনি ফোর্বসকে বলেন, তাঁর সেই ছবিই এডিট করে লোর ছবি বসানো হয়েছে। তাঁর কোনো অনুমতি ছাড়াই ছবিটি তারা ব্যবহার করেছে। আর সেই গাড়িটি আসলে কোনো এক ব্যক্তি ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারে কিনেছেন।
পরে ফোর্বস চাপ দিলে পৃথিবীর ছয় শহরে (হংকং, সিঙ্গাপুর, টোকিও, লন্ডন, ভ্যাঙ্কুভার এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে) বাড়ি আছে—এমন দাবি থেকে সরে আসেন লো। এরপর প্রথমে পাঁচটি ও শেষ পর্যন্ত হংকংয়ে চারটি এবং সিঙ্গাপুরে একটি সম্পত্তির তথ্য দেন। কিন্তু রিয়েল এস্টেট রেকর্ড থেকে জানা যায়, এসব বাড়ির মধ্যে দুটি তাঁর বাবা–মার এবং বাকিগুলো অন্যদের।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফোর্বসের সঙ্গে একটি বৈঠকে লো বলেছিলেন, তিনি বোস্টনের সান লাইফ ফাইন্যান্সিয়াল এবং নিউইয়র্কের জেপি মরগানে কাজ করেছেন। তবে জেপি মরগান জানিয়েছে, তিনি ২০০১-২০০২ সালে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগ ও ব্যাংকিং বিভাগে খুবই স্বল্প সময়ের জন্য কাজ করেছিলেন। কিন্তু লোর ফার্মের মাধ্যমে বিমা পলিসি বিক্রি করার কথা বলা হলেও সান লাইফ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটিতে লোর কাজ করার কোনো রেকর্ড নেই।
ফোর্বস সব তদন্ত শেষে লোকে সেসব নথি পাঠিয়েছিল। তখন লো প্রতিনিধির মাধ্যমে জানান, এ নিয়ে তাঁর আর কোনো আগ্রহ নেই। ফোর্বসে প্রকাশিত বিলিয়নিয়ার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেন। পাশাপাশি এ নিয়ে ফোর্বসে আর কোনো লেখা প্রকাশ হোক সেটিও চান না বলে উল্লেখ করেন।

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

ক্যালভিন লো মূলত ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্পাদককে ডেকেছিলেন। প্রথমে এশিয়ার অন্য বিলিয়নিয়ারদের র্যাঙ্কিং কীভাবে করা হয় তা জানতে ‘কৌতূহলী’ বলে জানান। ফোর্বসকে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবেন কি না তা নিয়ে ‘দ্বিধায়’ আছেন—এমন ভান করেন।
০৮ আগস্ট ২০২৩
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

ক্যালভিন লো মূলত ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্পাদককে ডেকেছিলেন। প্রথমে এশিয়ার অন্য বিলিয়নিয়ারদের র্যাঙ্কিং কীভাবে করা হয় তা জানতে ‘কৌতূহলী’ বলে জানান। ফোর্বসকে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবেন কি না তা নিয়ে ‘দ্বিধায়’ আছেন—এমন ভান করেন।
০৮ আগস্ট ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ক্যালভিন লো মূলত ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্পাদককে ডেকেছিলেন। প্রথমে এশিয়ার অন্য বিলিয়নিয়ারদের র্যাঙ্কিং কীভাবে করা হয় তা জানতে ‘কৌতূহলী’ বলে জানান। ফোর্বসকে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবেন কি না তা নিয়ে ‘দ্বিধায়’ আছেন—এমন ভান করেন।
০৮ আগস্ট ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ক্যালভিন লো মূলত ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্পাদককে ডেকেছিলেন। প্রথমে এশিয়ার অন্য বিলিয়নিয়ারদের র্যাঙ্কিং কীভাবে করা হয় তা জানতে ‘কৌতূহলী’ বলে জানান। ফোর্বসকে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবেন কি না তা নিয়ে ‘দ্বিধায়’ আছেন—এমন ভান করেন।
০৮ আগস্ট ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে