রাসেল মাহমুদ, ঢাকা

রাজধানীর একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গত বছর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তাঁর নাম-ছবিসহ ভুয়া অ্যাকাউন্ট দেখতে পান। এরপর নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে সবাইকে রিপোর্ট করতে অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে আর কিছু তিনি জানেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্রী বলেন, ‘নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে সবাইকে রিপোর্ট করতে বলেছি। পদক্ষেপ বলতে এটুকুই। জানি না, ফেক আইডিগুলো থেকে কাকে কাকে কী মেসেজ দিয়েছে।’
সাইবারজগতে এভাবে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসমূলক অপরাধের শিকার সবচেয়ে বেশি হচ্ছেন নারীরা। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা বেশি হয়। ফলে সবচেয়ে বেশি মামলাও হয় এসব প্রতারণার। পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাইবার প্রতারণায় যারাই জড়িত, তাদের ধরা হচ্ছে। আমাদের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বেশ তৎপর। এই প্রতারণাগুলো সারা বিশ্বেই দেখা যায়। তবে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমাদের ব্যবস্থা রয়েছে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি (আড়িপাতা) শাখার পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন (পিসিএসডব্লিউ) ইউনিট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের শিকার হওয়ার অভিযোগ যাঁরা করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ নারী। তাঁদের মধ্যে ২২ শতাংশ নারী পদক্ষেপ নিলেও ৭৮ শতাংশই কোনো আইনি পদক্ষেপ নেননি। বরং তাঁরা নিজেদের আইডি বন্ধ বা কনটেন্ট (বিষয়বস্তু) মুছে ফেলতেই বেশি আগ্রহী।
ডিএমপির তথ্যমতে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সাইবার অপরাধে যেসব মামলা হয়েছে, তার ৩৯ দশমিক ৮১ শতাংশই মোবাইল ব্যাংকিং ও অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণার।
পিসিএসডব্লিউর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সেবাপ্রত্যাশীদের মধ্যে ৩৫ হাজার ৫২৫ জন নারী সাইবার স্পেসে হয়রানির শিকার হয়ে সহায়তা নিয়েছেন। ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ হাজার ৩০৪টি অভিযোগের মধ্যে ভুয়া আইডির মাধ্যমে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ পড়ে ৯ হাজার ৭১৪টি। এর পর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৩১২টি অভিযোগ পাওয়া যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ব্যক্তিগত ছবি, মোবাইল ফোন নম্বর, বাসার ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা কোনো পরিচিতিমূলক তথ্য অর্থাৎ ডক্সিংয়ের মাধ্যমে তথ্য ফাঁস করার। এ ধরনের ৫ হাজার ২৪১টি অভিযোগ জমা পড়ে, যা মোট অভিযোগের ৩৯ শতাংশ। এ ছাড়া ২ হাজার ৫২০ জন আইডি হ্যাকড হওয়ার শিকার, যা মোট অভিযোগের ১৯ শতাংশ।
পিসিএসডব্লিউর তথ্যমতে, গত এক বছরে যত অভিযোগ পড়েছে, তাতে ভুক্তভোগীর ১৪ শতাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক। প্রতি মাসে যত অভিযোগ আসে, তার ২২ শতাংশের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বাকি ৭৮ শতাংশ ভুক্তভোগীই কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেন না বা নিতে চান না। ৩৩ শতাংশ ভুক্তভোগীর অবস্থান ঢাকা বিভাগে। ১৫ শতাংশ ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম বিভাগের।
পুলিশ সদর দপ্তরের আড়িপাতা (এলআইসি) শাখার পুলিশ সুপার খালেদা বেগম বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি ফাঁস হলেও ফেসবুক পেজ, হটলাইন নম্বর ও ই-মেইলে অভিযোগকারী নারীরা ভয়ে ও সামাজিক মর্যাদাহানির আশঙ্কায় ঘটনা গোপন রাখতে চান। আবার হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কায়ও অনেকে কিছু জানাতে চান না।
ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের তথ্যমতে, সাইবার অপরাধে ২০২০ সালের জুলাই থেকে ৪২টি, ২০২১ সালে ২০৬টি, ২০২২ সালে ১৭৮টি, ২০২৩ সালে ১৭০টি, ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ৩১টি মামলা হয়েছে। মোট ৬২৮টি মামলার মধ্যে ২৫০টি মামলা হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা ও অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণার। এটি মোট মামলার ৩৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ ছাড়া পর্নোগ্রাফি ধারণ ও অনলাইন হ্যারেসমেন্টে ১২৩টি, মানহানিকর বক্তব্য প্রচার বা মিথ্যা তথ্য প্রচারে ১১২টি, ফেসবুক হ্যাকিং বা অন্যান্য হ্যাকিংয়ের ৪০টি মামলা হয়েছে। অন্যান্য কারণে মামলা ১০৩টি।
বিকাশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ডেমরা এলাকার বিকাশ এজেন্ট আব্দুল মমিনকে ফোন করে বলেন, বেশি কমিশন পেতে হলে কিছু তথ্য নবায়ন করতে হবে। এভাবে মমিনের কাছ থেকে তাঁর বিকাশ এজেন্ট ও অ্যাকাউন্টের পিনকোড এবং ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) নেওয়া হয়। পরে তাঁর বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ৪২ হাজার ৭৭৭ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক।
আব্দুল মমিন বলেন, ‘বিকাশের এজেন্ট হওয়ার পরদিনই বিকাশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে একজন ফোন দেন। তথ্য নবায়নের কথা বলে পিনকোড ও ওটিপি নিয়ে ৪২ হাজার ৭৭৭ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর থানায় মামলা করি।’
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের (উত্তর বিভাগ) অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. ফজলুর রহমান বলেন, ডিজিটাল প্রতারণার এসব মাধ্যম ব্যক্তিগত হওয়ায় নজরদারির সুযোগ কম। ফলে এই মাধ্যমগুলোতে আর্থিক প্রতারণার ঘটনা ঘটছে।
ডিএমপির কয়েকটি থানায় কথা বলে জানা গেছে, সাইবার অপরাধে মামলার সংখ্যা খুবই কম। যেসব মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়, তার বেশির ভাগই আর্থিক ও অনলাইনে প্রতারণার। চলতি বছরের তিন মাসে তেজগাঁও ও শাহবাগ থানায় ৩টি করে, ডেমরা থানায় ২টি মামলা হয়েছে, যার সবই আর্থিক প্রতারণার। তবে বংশাল ও নিউমার্কেট থানায় কোনো মামলা বা জিডি হয়নি।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলেন, সাইবারজগতে আর্থিক প্রতারণার মূল কারণ ভুয়া এনআইডি দিয়ে বিকাশ, নগদ ও রকেট অ্যাকাউন্ট খোলা। ফলে তাকে নির্ণয় করা কঠিন হয়ে যায়। তাই অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক হতে হবে কেউ যেন ভুয়া এনআইডি দিয়ে তা খুলতে না পারে। মানুষকে সতর্ক হতে হবে, যেন ওটিপি কোথাও শেয়ার না করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল হক বলেন, মোবাইল ও অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে অনেকেই নানাভাবে প্রতারণা করছে। এসব প্রতারণা নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও কৌশল বাড়ানো প্রয়োজন। সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে সতর্ক না হলে এ ধরনের প্রতারণা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।

রাজধানীর একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গত বছর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তাঁর নাম-ছবিসহ ভুয়া অ্যাকাউন্ট দেখতে পান। এরপর নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে সবাইকে রিপোর্ট করতে অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে আর কিছু তিনি জানেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্রী বলেন, ‘নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে সবাইকে রিপোর্ট করতে বলেছি। পদক্ষেপ বলতে এটুকুই। জানি না, ফেক আইডিগুলো থেকে কাকে কাকে কী মেসেজ দিয়েছে।’
সাইবারজগতে এভাবে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসমূলক অপরাধের শিকার সবচেয়ে বেশি হচ্ছেন নারীরা। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা বেশি হয়। ফলে সবচেয়ে বেশি মামলাও হয় এসব প্রতারণার। পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাইবার প্রতারণায় যারাই জড়িত, তাদের ধরা হচ্ছে। আমাদের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বেশ তৎপর। এই প্রতারণাগুলো সারা বিশ্বেই দেখা যায়। তবে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমাদের ব্যবস্থা রয়েছে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি (আড়িপাতা) শাখার পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন (পিসিএসডব্লিউ) ইউনিট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের শিকার হওয়ার অভিযোগ যাঁরা করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ নারী। তাঁদের মধ্যে ২২ শতাংশ নারী পদক্ষেপ নিলেও ৭৮ শতাংশই কোনো আইনি পদক্ষেপ নেননি। বরং তাঁরা নিজেদের আইডি বন্ধ বা কনটেন্ট (বিষয়বস্তু) মুছে ফেলতেই বেশি আগ্রহী।
ডিএমপির তথ্যমতে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সাইবার অপরাধে যেসব মামলা হয়েছে, তার ৩৯ দশমিক ৮১ শতাংশই মোবাইল ব্যাংকিং ও অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণার।
পিসিএসডব্লিউর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সেবাপ্রত্যাশীদের মধ্যে ৩৫ হাজার ৫২৫ জন নারী সাইবার স্পেসে হয়রানির শিকার হয়ে সহায়তা নিয়েছেন। ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ হাজার ৩০৪টি অভিযোগের মধ্যে ভুয়া আইডির মাধ্যমে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ পড়ে ৯ হাজার ৭১৪টি। এর পর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৩১২টি অভিযোগ পাওয়া যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ব্যক্তিগত ছবি, মোবাইল ফোন নম্বর, বাসার ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা কোনো পরিচিতিমূলক তথ্য অর্থাৎ ডক্সিংয়ের মাধ্যমে তথ্য ফাঁস করার। এ ধরনের ৫ হাজার ২৪১টি অভিযোগ জমা পড়ে, যা মোট অভিযোগের ৩৯ শতাংশ। এ ছাড়া ২ হাজার ৫২০ জন আইডি হ্যাকড হওয়ার শিকার, যা মোট অভিযোগের ১৯ শতাংশ।
পিসিএসডব্লিউর তথ্যমতে, গত এক বছরে যত অভিযোগ পড়েছে, তাতে ভুক্তভোগীর ১৪ শতাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক। প্রতি মাসে যত অভিযোগ আসে, তার ২২ শতাংশের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বাকি ৭৮ শতাংশ ভুক্তভোগীই কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেন না বা নিতে চান না। ৩৩ শতাংশ ভুক্তভোগীর অবস্থান ঢাকা বিভাগে। ১৫ শতাংশ ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম বিভাগের।
পুলিশ সদর দপ্তরের আড়িপাতা (এলআইসি) শাখার পুলিশ সুপার খালেদা বেগম বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি ফাঁস হলেও ফেসবুক পেজ, হটলাইন নম্বর ও ই-মেইলে অভিযোগকারী নারীরা ভয়ে ও সামাজিক মর্যাদাহানির আশঙ্কায় ঘটনা গোপন রাখতে চান। আবার হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কায়ও অনেকে কিছু জানাতে চান না।
ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের তথ্যমতে, সাইবার অপরাধে ২০২০ সালের জুলাই থেকে ৪২টি, ২০২১ সালে ২০৬টি, ২০২২ সালে ১৭৮টি, ২০২৩ সালে ১৭০টি, ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ৩১টি মামলা হয়েছে। মোট ৬২৮টি মামলার মধ্যে ২৫০টি মামলা হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা ও অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণার। এটি মোট মামলার ৩৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ ছাড়া পর্নোগ্রাফি ধারণ ও অনলাইন হ্যারেসমেন্টে ১২৩টি, মানহানিকর বক্তব্য প্রচার বা মিথ্যা তথ্য প্রচারে ১১২টি, ফেসবুক হ্যাকিং বা অন্যান্য হ্যাকিংয়ের ৪০টি মামলা হয়েছে। অন্যান্য কারণে মামলা ১০৩টি।
বিকাশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ডেমরা এলাকার বিকাশ এজেন্ট আব্দুল মমিনকে ফোন করে বলেন, বেশি কমিশন পেতে হলে কিছু তথ্য নবায়ন করতে হবে। এভাবে মমিনের কাছ থেকে তাঁর বিকাশ এজেন্ট ও অ্যাকাউন্টের পিনকোড এবং ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) নেওয়া হয়। পরে তাঁর বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ৪২ হাজার ৭৭৭ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক।
আব্দুল মমিন বলেন, ‘বিকাশের এজেন্ট হওয়ার পরদিনই বিকাশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে একজন ফোন দেন। তথ্য নবায়নের কথা বলে পিনকোড ও ওটিপি নিয়ে ৪২ হাজার ৭৭৭ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর থানায় মামলা করি।’
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের (উত্তর বিভাগ) অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. ফজলুর রহমান বলেন, ডিজিটাল প্রতারণার এসব মাধ্যম ব্যক্তিগত হওয়ায় নজরদারির সুযোগ কম। ফলে এই মাধ্যমগুলোতে আর্থিক প্রতারণার ঘটনা ঘটছে।
ডিএমপির কয়েকটি থানায় কথা বলে জানা গেছে, সাইবার অপরাধে মামলার সংখ্যা খুবই কম। যেসব মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়, তার বেশির ভাগই আর্থিক ও অনলাইনে প্রতারণার। চলতি বছরের তিন মাসে তেজগাঁও ও শাহবাগ থানায় ৩টি করে, ডেমরা থানায় ২টি মামলা হয়েছে, যার সবই আর্থিক প্রতারণার। তবে বংশাল ও নিউমার্কেট থানায় কোনো মামলা বা জিডি হয়নি।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলেন, সাইবারজগতে আর্থিক প্রতারণার মূল কারণ ভুয়া এনআইডি দিয়ে বিকাশ, নগদ ও রকেট অ্যাকাউন্ট খোলা। ফলে তাকে নির্ণয় করা কঠিন হয়ে যায়। তাই অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক হতে হবে কেউ যেন ভুয়া এনআইডি দিয়ে তা খুলতে না পারে। মানুষকে সতর্ক হতে হবে, যেন ওটিপি কোথাও শেয়ার না করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল হক বলেন, মোবাইল ও অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে অনেকেই নানাভাবে প্রতারণা করছে। এসব প্রতারণা নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও কৌশল বাড়ানো প্রয়োজন। সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে সতর্ক না হলে এ ধরনের প্রতারণা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
২ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৩ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এ সারা দেশে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ১৬৮টি মোটরসাইকেল ও ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪১১টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ৩ হাজার ৩৯৪টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এ সারা দেশে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ১৬৮টি মোটরসাইকেল ও ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪১১টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ৩ হাজার ৩৯৪টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

রাজধানীর একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গত বছর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তাঁর নাম-ছবিসহ ভুয়া অ্যাকাউন্ট দেখতে পান। এরপর নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে সবাইকে রিপোর্ট করতে অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে আর কিছু তিনি জানেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্রী বলেন, ‘নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে সব
০৩ মে ২০২৪
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৩ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

রাজধানীর একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গত বছর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তাঁর নাম-ছবিসহ ভুয়া অ্যাকাউন্ট দেখতে পান। এরপর নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে সবাইকে রিপোর্ট করতে অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে আর কিছু তিনি জানেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্রী বলেন, ‘নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে সব
০৩ মে ২০২৪
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৩ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

রাজধানীর একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গত বছর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তাঁর নাম-ছবিসহ ভুয়া অ্যাকাউন্ট দেখতে পান। এরপর নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে সবাইকে রিপোর্ট করতে অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে আর কিছু তিনি জানেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্রী বলেন, ‘নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে সব
০৩ মে ২০২৪
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
২ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গত বছর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তাঁর নাম-ছবিসহ ভুয়া অ্যাকাউন্ট দেখতে পান। এরপর নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে সবাইকে রিপোর্ট করতে অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে আর কিছু তিনি জানেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্রী বলেন, ‘নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে সব
০৩ মে ২০২৪
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
২ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৩ দিন আগে