কামরুল হাসান

কুমিল্লা শহরতলির নেউরা গ্রামের লোকজন খবরটি শুনে খুবই হতবাক হয়েছিলেন। তাঁরা কস্মিনকালেও জানতে পারেননি, তাঁদের গ্রামের ভালো মানুষটি ‘সাধু বেশে পাকা চোর অতিশয়’। তা-ও যেনতেন নয়, রীতিমতো ‘পুলিশের তালিকাভুক্ত’ তকমা আঁটা সন্ত্রাসী। এত দিন যে লোকটি দুহাতে দান-খয়রাত করেছেন, মসজিদ-এতিমখানা বানিয়েছেন, বিপদগ্রস্ত মানুষের কান্ডারি হয়ে দাঁড়িয়েছেন, সেই লোক কী করে সন্ত্রাসী হতে পারেন, তার হিসাব মেলাতে পারছিলেন না গ্রামবাসী।
সেদিন নেউরা গ্রামের মানুষের মতো আমরাও ধন্দে পড়েছিলাম। এমন একজন সন্ত্রাসী কী করে সরকারের অনুমোদিত সাংস্কৃতিক দলের সদস্য হয়ে বিদেশে যাচ্ছিলেন, সেই প্রশ্ন বড় হয়ে উঠেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি মকসুদে পৌঁছাতে পারেননি।
২০০২ সালের নভেম্বর মাস। সেনাবাহিনীর অপারেশন ক্লিন হার্ট সবে তিন সপ্তাহ পেরিয়েছে। অভিযানের ভয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীরা ডেরা ছেড়ে যে যেদিকে পারছিল পালাচ্ছিল। সে সময় বেশির ভাগ সন্ত্রাসীর গন্তব্য ছিল ভারতের কলকাতা। কয়েকজন ব্যাংকক, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরেও পাড়ি জমান। তবে ইউরোপ-আমেরিকায় কেউ যেতে পারেন, তা তখন পর্যন্ত শুনিনি। হঠাৎ সেই খবর এল বিমানবন্দর থেকে।
২০০২ সালের ৪ নভেম্বর ছিল সোমবার। সকালের দিকে এক পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ফোন করে বললেন, বিদেশে পালানোর সময় এক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী বিমানবন্দরে ধরা পড়েছেন। লন্ডনগামী উড়োজাহাজ থেকে তাঁকে নামিয়ে আনা হয়েছে। আর একটু হলেই উড়াল দিত উড়োজাহাজটি। তিনি সেই সন্ত্রাসীর নাম জানেন না, অথবা বলতে চাইলেন না।
বিমানবন্দরের রাস্তা সেদিন ফাঁকাই ছিল। বন্দরে পৌঁছাতে খুব বেশি সময়ও লাগল না। ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা জানালেন, উড়োজাহাজ থেকে যাঁকে নামিয়ে আনা হয়েছে, তিনি এখন আর বিমানবন্দরের ভেতরে নেই। সেনা সদস্যরা তাঁকে নিয়ে গেছেন। কোথায় নিয়ে গেছেন, তা তাঁরা জানেন না।
বিমানবন্দর নামে তখনো কোনো থানা হয়নি। উত্তরা থানা এসব দেখভাল করত। মনে হলো, উত্তরা থানায় গেলে সন্ত্রাসীর হদিস পাওয়া যাবে। সেখানে গিয়ে দেখি এলাহি কাণ্ড! থানার সামনের রাস্তা সেনাবাহিনী আর পুলিশের গাড়িতে ঠাসা। ভেতরে বড় কর্মকর্তারা সেই ব্যক্তিকে জেরা করছেন। আমরা বেশ কয়েকজন সাংবাদিক থানার ভেতরে ঢুকে দেখি, ওসির চেয়ারে পুলিশের এক কর্মকর্তা বসা; তাঁর সামনে গোয়েন্দা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকর্তা। তাঁরা খুব ছোট করে একটি ব্রিফ দিলেন।
এক কর্মকর্তা বললেন, যে লোকটি পালিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁর নাম আবদুর রশিদ, পিতার নাম তাজুল ইসলাম, মায়ের নাম রোজিয়া বেগম, বাড়ি কুমিল্লা শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে, নেউরা গ্রামে। তিনি নোট দেখে দেখে বললেন, এই লোকটি সকালে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে লন্ডন হয়ে ইউরোপ যাচ্ছিলেন।ফ্লাইটটির সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। বিমানবন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তিনি উড়োজাহাজে উঠে বসেছিলেন।
উড়োজাহাজটি ছেড়ে যাওয়ার মুহূর্তে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন খবর পেয়ে তাঁকে নামিয়ে আনেন। আমাদের কেউ একজন জানতে চাইলেন, কীভাবে খবর পেলেন? ওই কর্মকর্তা বললেন, সেই সন্ত্রাসী এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিছুদিন আগে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছিলেন। উড়োজাহাজে সেই ব্যবসায়ীও ছিলেন। তিনি তাঁকে চিনতে পেরে পুলিশকে ফোন করে জানান। আমরা জানতে চাইলাম, তাঁর সঙ্গে আর কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন? এবার কর্মকর্তা একটু ভেবে বললেন, হ্যাঁ, আরও একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁর নাম নজরুল কোরেশি। তিনি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রোডাকশন ডিরেক্টর।
এতটুকু শুনে আমরা কিছুতেই ধরতে পারছিলাম না, আবদুর রশিদের সঙ্গে চ্যানেলের কর্মকর্তারই-বা কী সম্পর্ক। এর মধ্যে আমাদের এক সাংবাদিক বলে ওঠেন, তিনি কি সন্ত্রাসী কালা ফারুক? এবার সেই কর্মকর্তা মুখে কিছু না বলে মাথা নেড়ে হ্যাঁসূচক জবাব দিয়ে বলেন, ‘এবার আপনারা আসতে পারেন।’
কালা ফারুকের নাম শুনেই সাংবাদিকদের কেউ কেউ তাঁর ফিরিস্তি বলা শুরু করলেন। একজন বললেন, তিনি তো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভিপি রিয়াদ খুনের আসামি। আরেকজন বললেন, কিছুদিন আগে হা-মীম গ্রুপের যে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই হলো, সেই মামলায় কালা ফারুকের নাম ছিল। থানার ভেতরে তখনো জেরা চলছে। আমরা থানা থেকে বেরিয়ে এলাম।
বেশির ভাগ খবরের শুরুতে কোনো কিছু জানা না গেলেও একটা পর্যায়ে গিয়ে ডালপালা ছড়াতে থাকে, কালা ফারুকের ঘটনাও সেভাবে মোটাতাজা হতে শুরু করল। বিকেলের আগেই অনেক কিছু প্রকাশ হয়ে গেল। আমরা জানতে পারলাম, কালা ফারুক আসলে সুইডেনে যাচ্ছিলেন একটি সাংস্কৃতিক দলের সদস্য হয়ে।
তাঁকে টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সুইডেনের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের আমন্ত্রণে ১০ জন সাংস্কৃতিক কর্মীর একটি দলকে সেখানে পাঠানোর জন্য নির্ধারণ করেছিল শিল্পকলা একাডেমি। সেই দলের প্রধান ছিলেন গায়ক শুভ্র দেব। ওই দলে গায়িকা শাকিলা জাফর ও অভিনেত্রী আরিফা জামান মৌসুমীর যাওয়ার কথা ছিল। শিল্পকলা একাডেমির তালিকা অনুযায়ী সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁদের বিদেশে যাওয়ার ব্যাপার অনাপত্তি দেয়।
এরপরই তাঁরা ভিসা নেন। তবে সেদিন প্রথম দফায় যাচ্ছিলেন দলের মাত্র দুজন সদস্য। তাঁদের একজন কালা ফারুক, অন্যজন হলেন নজরুল কোরেশি। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, কালা ফারুকের জন্য যাবতীয় কাগজপত্র জোগাড়ের কাজ করে দিয়েছিলেন নজরুল কোরেশি। অবশ্য ধরা পড়ার দিন রাতে চ্যানেলটি থেকে বলা হয়েছিল, এটা নজরুল কোরেশির ব্যক্তিগত সফর। এর সঙ্গে চ্যানেলের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
সে সময় সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সেলিমা রহমান। একদিন ফলোআপের সময় তিনি আমাকে বলেছিলেন, একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কালা ফারুকের জন্য তদবির করেছিলেন। সেদিন তিনি আমাকে সেই ব্যবসায়ীর নামও বলেছিলেন ‘অব দ্য রেকর্ড’। আমি সেই নাম আর লিখতে পারিনি।
পরদিন সকালে চমকে ওঠার মতো খবর পেলাম। কালা ফারুক নিহত হয়েছেন রাতে। তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে। কী হয়েছিল রাতে? উত্তরা থানার এক কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, কালা ফারুক ছিলেন কাফরুল থানার একটি অস্ত্র মামলার আসামি। তাঁকে নিয়ে অভিযানে বেরিয়েছিল পুলিশ। তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ি এলাকায় অভিযানের সময় তাঁকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এতে পুলিশও গুলি চালায়।
সে সময় কালা ফারুক পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ গুলি করে। সেই গুলিতে ফারুক নিহত হন। কাফরুল থানার সেকেন্ড অফিসার মোস্তাছিন আহমেদ আমাকে বলেছিলেন, দারোগা হানিফ মাহমুদ বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা করেছেন। দুপুরের দিকে মর্গে গিয়ে পেলাম ফরেনসিকের প্রভাষক নুর হোসেনকে। ময়নাতদন্ত শেষে তিনি বললেন, গায়ে শটগানের অসংখ্য গুলি আছে। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে এটা বলতে আর কিছুই লাগবে না যে এটা ছিল ‘ক্রসফায়ার’ বা বন্দুকযুদ্ধের আদি সংস্করণ।
কালা ফারুকের লাশ দুই দিন মর্গে পড়ে ছিল। কেউ নিতে আসেনি। পরে তাঁর লাশ পাঠানো হয় গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়। গতকাল কথা হলো কুমিল্লার সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয়ের সঙ্গে। তিনি বললেন, কুমিল্লা বিমানবন্দরের রাস্তায় যেতে কালা ফারুকের কবর দেখা যায়।
কালা ফারুক নিহত হওয়ার ১০-১২ দিন পর লালমাটিয়া থেকে আমার অফিসে এলেন কালা ফারুকের দ্বিতীয় স্ত্রী শুক্লা। তিনি ছিলেন কালা ফারুকের ব্যবসায়িক পার্টনারের স্ত্রী। পরে তাঁকে বিয়ে করেন ফারুক। কুমিল্লায় স্বপ্না নামে তাঁর প্রথম স্ত্রী থাকেন। সেই ঘরে দুটি সন্তান ছিল। শুক্লা আমাকে একটু আড়ালে নিয়ে বললেন, এক ব্যবসায়ী পুলিশকে টাকা দিয়ে তাঁর স্বামীকে খুন করিয়েছেন।
শুক্লার কথা শুনে আমার মনে পড়ে গেল প্রতিমন্ত্রী সেলিমা রহমানের কথা। তিনিও একই ব্যক্তির নাম বলেছিলেন। আমি জানি না, তাঁর সঙ্গে কালা ফারুকের কিসের বিরোধ ছিল। তবে এটুকু বুঝি, এসব প্রভাবশালী নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করেন, এরপর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে ছুড়ে ফেলেন। কালা ফারুকের ভাগ্যে হয়তো সেটাই জুটেছিল।
তবে প্রিয় পাঠক, এত দিন পরেও সেই প্রভাবশালীর নাম বলতে না পারার ব্যর্থতাকে নিশ্চয় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কারণ, নামটি যে অব দ্য রেকর্ড।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

কুমিল্লা শহরতলির নেউরা গ্রামের লোকজন খবরটি শুনে খুবই হতবাক হয়েছিলেন। তাঁরা কস্মিনকালেও জানতে পারেননি, তাঁদের গ্রামের ভালো মানুষটি ‘সাধু বেশে পাকা চোর অতিশয়’। তা-ও যেনতেন নয়, রীতিমতো ‘পুলিশের তালিকাভুক্ত’ তকমা আঁটা সন্ত্রাসী। এত দিন যে লোকটি দুহাতে দান-খয়রাত করেছেন, মসজিদ-এতিমখানা বানিয়েছেন, বিপদগ্রস্ত মানুষের কান্ডারি হয়ে দাঁড়িয়েছেন, সেই লোক কী করে সন্ত্রাসী হতে পারেন, তার হিসাব মেলাতে পারছিলেন না গ্রামবাসী।
সেদিন নেউরা গ্রামের মানুষের মতো আমরাও ধন্দে পড়েছিলাম। এমন একজন সন্ত্রাসী কী করে সরকারের অনুমোদিত সাংস্কৃতিক দলের সদস্য হয়ে বিদেশে যাচ্ছিলেন, সেই প্রশ্ন বড় হয়ে উঠেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি মকসুদে পৌঁছাতে পারেননি।
২০০২ সালের নভেম্বর মাস। সেনাবাহিনীর অপারেশন ক্লিন হার্ট সবে তিন সপ্তাহ পেরিয়েছে। অভিযানের ভয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীরা ডেরা ছেড়ে যে যেদিকে পারছিল পালাচ্ছিল। সে সময় বেশির ভাগ সন্ত্রাসীর গন্তব্য ছিল ভারতের কলকাতা। কয়েকজন ব্যাংকক, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরেও পাড়ি জমান। তবে ইউরোপ-আমেরিকায় কেউ যেতে পারেন, তা তখন পর্যন্ত শুনিনি। হঠাৎ সেই খবর এল বিমানবন্দর থেকে।
২০০২ সালের ৪ নভেম্বর ছিল সোমবার। সকালের দিকে এক পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ফোন করে বললেন, বিদেশে পালানোর সময় এক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী বিমানবন্দরে ধরা পড়েছেন। লন্ডনগামী উড়োজাহাজ থেকে তাঁকে নামিয়ে আনা হয়েছে। আর একটু হলেই উড়াল দিত উড়োজাহাজটি। তিনি সেই সন্ত্রাসীর নাম জানেন না, অথবা বলতে চাইলেন না।
বিমানবন্দরের রাস্তা সেদিন ফাঁকাই ছিল। বন্দরে পৌঁছাতে খুব বেশি সময়ও লাগল না। ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা জানালেন, উড়োজাহাজ থেকে যাঁকে নামিয়ে আনা হয়েছে, তিনি এখন আর বিমানবন্দরের ভেতরে নেই। সেনা সদস্যরা তাঁকে নিয়ে গেছেন। কোথায় নিয়ে গেছেন, তা তাঁরা জানেন না।
বিমানবন্দর নামে তখনো কোনো থানা হয়নি। উত্তরা থানা এসব দেখভাল করত। মনে হলো, উত্তরা থানায় গেলে সন্ত্রাসীর হদিস পাওয়া যাবে। সেখানে গিয়ে দেখি এলাহি কাণ্ড! থানার সামনের রাস্তা সেনাবাহিনী আর পুলিশের গাড়িতে ঠাসা। ভেতরে বড় কর্মকর্তারা সেই ব্যক্তিকে জেরা করছেন। আমরা বেশ কয়েকজন সাংবাদিক থানার ভেতরে ঢুকে দেখি, ওসির চেয়ারে পুলিশের এক কর্মকর্তা বসা; তাঁর সামনে গোয়েন্দা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকর্তা। তাঁরা খুব ছোট করে একটি ব্রিফ দিলেন।
এক কর্মকর্তা বললেন, যে লোকটি পালিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁর নাম আবদুর রশিদ, পিতার নাম তাজুল ইসলাম, মায়ের নাম রোজিয়া বেগম, বাড়ি কুমিল্লা শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে, নেউরা গ্রামে। তিনি নোট দেখে দেখে বললেন, এই লোকটি সকালে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে লন্ডন হয়ে ইউরোপ যাচ্ছিলেন।ফ্লাইটটির সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। বিমানবন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তিনি উড়োজাহাজে উঠে বসেছিলেন।
উড়োজাহাজটি ছেড়ে যাওয়ার মুহূর্তে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন খবর পেয়ে তাঁকে নামিয়ে আনেন। আমাদের কেউ একজন জানতে চাইলেন, কীভাবে খবর পেলেন? ওই কর্মকর্তা বললেন, সেই সন্ত্রাসী এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিছুদিন আগে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছিলেন। উড়োজাহাজে সেই ব্যবসায়ীও ছিলেন। তিনি তাঁকে চিনতে পেরে পুলিশকে ফোন করে জানান। আমরা জানতে চাইলাম, তাঁর সঙ্গে আর কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন? এবার কর্মকর্তা একটু ভেবে বললেন, হ্যাঁ, আরও একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁর নাম নজরুল কোরেশি। তিনি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রোডাকশন ডিরেক্টর।
এতটুকু শুনে আমরা কিছুতেই ধরতে পারছিলাম না, আবদুর রশিদের সঙ্গে চ্যানেলের কর্মকর্তারই-বা কী সম্পর্ক। এর মধ্যে আমাদের এক সাংবাদিক বলে ওঠেন, তিনি কি সন্ত্রাসী কালা ফারুক? এবার সেই কর্মকর্তা মুখে কিছু না বলে মাথা নেড়ে হ্যাঁসূচক জবাব দিয়ে বলেন, ‘এবার আপনারা আসতে পারেন।’
কালা ফারুকের নাম শুনেই সাংবাদিকদের কেউ কেউ তাঁর ফিরিস্তি বলা শুরু করলেন। একজন বললেন, তিনি তো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভিপি রিয়াদ খুনের আসামি। আরেকজন বললেন, কিছুদিন আগে হা-মীম গ্রুপের যে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই হলো, সেই মামলায় কালা ফারুকের নাম ছিল। থানার ভেতরে তখনো জেরা চলছে। আমরা থানা থেকে বেরিয়ে এলাম।
বেশির ভাগ খবরের শুরুতে কোনো কিছু জানা না গেলেও একটা পর্যায়ে গিয়ে ডালপালা ছড়াতে থাকে, কালা ফারুকের ঘটনাও সেভাবে মোটাতাজা হতে শুরু করল। বিকেলের আগেই অনেক কিছু প্রকাশ হয়ে গেল। আমরা জানতে পারলাম, কালা ফারুক আসলে সুইডেনে যাচ্ছিলেন একটি সাংস্কৃতিক দলের সদস্য হয়ে।
তাঁকে টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সুইডেনের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের আমন্ত্রণে ১০ জন সাংস্কৃতিক কর্মীর একটি দলকে সেখানে পাঠানোর জন্য নির্ধারণ করেছিল শিল্পকলা একাডেমি। সেই দলের প্রধান ছিলেন গায়ক শুভ্র দেব। ওই দলে গায়িকা শাকিলা জাফর ও অভিনেত্রী আরিফা জামান মৌসুমীর যাওয়ার কথা ছিল। শিল্পকলা একাডেমির তালিকা অনুযায়ী সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁদের বিদেশে যাওয়ার ব্যাপার অনাপত্তি দেয়।
এরপরই তাঁরা ভিসা নেন। তবে সেদিন প্রথম দফায় যাচ্ছিলেন দলের মাত্র দুজন সদস্য। তাঁদের একজন কালা ফারুক, অন্যজন হলেন নজরুল কোরেশি। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, কালা ফারুকের জন্য যাবতীয় কাগজপত্র জোগাড়ের কাজ করে দিয়েছিলেন নজরুল কোরেশি। অবশ্য ধরা পড়ার দিন রাতে চ্যানেলটি থেকে বলা হয়েছিল, এটা নজরুল কোরেশির ব্যক্তিগত সফর। এর সঙ্গে চ্যানেলের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
সে সময় সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সেলিমা রহমান। একদিন ফলোআপের সময় তিনি আমাকে বলেছিলেন, একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কালা ফারুকের জন্য তদবির করেছিলেন। সেদিন তিনি আমাকে সেই ব্যবসায়ীর নামও বলেছিলেন ‘অব দ্য রেকর্ড’। আমি সেই নাম আর লিখতে পারিনি।
পরদিন সকালে চমকে ওঠার মতো খবর পেলাম। কালা ফারুক নিহত হয়েছেন রাতে। তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে। কী হয়েছিল রাতে? উত্তরা থানার এক কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, কালা ফারুক ছিলেন কাফরুল থানার একটি অস্ত্র মামলার আসামি। তাঁকে নিয়ে অভিযানে বেরিয়েছিল পুলিশ। তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ি এলাকায় অভিযানের সময় তাঁকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এতে পুলিশও গুলি চালায়।
সে সময় কালা ফারুক পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ গুলি করে। সেই গুলিতে ফারুক নিহত হন। কাফরুল থানার সেকেন্ড অফিসার মোস্তাছিন আহমেদ আমাকে বলেছিলেন, দারোগা হানিফ মাহমুদ বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা করেছেন। দুপুরের দিকে মর্গে গিয়ে পেলাম ফরেনসিকের প্রভাষক নুর হোসেনকে। ময়নাতদন্ত শেষে তিনি বললেন, গায়ে শটগানের অসংখ্য গুলি আছে। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে এটা বলতে আর কিছুই লাগবে না যে এটা ছিল ‘ক্রসফায়ার’ বা বন্দুকযুদ্ধের আদি সংস্করণ।
কালা ফারুকের লাশ দুই দিন মর্গে পড়ে ছিল। কেউ নিতে আসেনি। পরে তাঁর লাশ পাঠানো হয় গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়। গতকাল কথা হলো কুমিল্লার সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয়ের সঙ্গে। তিনি বললেন, কুমিল্লা বিমানবন্দরের রাস্তায় যেতে কালা ফারুকের কবর দেখা যায়।
কালা ফারুক নিহত হওয়ার ১০-১২ দিন পর লালমাটিয়া থেকে আমার অফিসে এলেন কালা ফারুকের দ্বিতীয় স্ত্রী শুক্লা। তিনি ছিলেন কালা ফারুকের ব্যবসায়িক পার্টনারের স্ত্রী। পরে তাঁকে বিয়ে করেন ফারুক। কুমিল্লায় স্বপ্না নামে তাঁর প্রথম স্ত্রী থাকেন। সেই ঘরে দুটি সন্তান ছিল। শুক্লা আমাকে একটু আড়ালে নিয়ে বললেন, এক ব্যবসায়ী পুলিশকে টাকা দিয়ে তাঁর স্বামীকে খুন করিয়েছেন।
শুক্লার কথা শুনে আমার মনে পড়ে গেল প্রতিমন্ত্রী সেলিমা রহমানের কথা। তিনিও একই ব্যক্তির নাম বলেছিলেন। আমি জানি না, তাঁর সঙ্গে কালা ফারুকের কিসের বিরোধ ছিল। তবে এটুকু বুঝি, এসব প্রভাবশালী নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করেন, এরপর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে ছুড়ে ফেলেন। কালা ফারুকের ভাগ্যে হয়তো সেটাই জুটেছিল।
তবে প্রিয় পাঠক, এত দিন পরেও সেই প্রভাবশালীর নাম বলতে না পারার ব্যর্থতাকে নিশ্চয় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কারণ, নামটি যে অব দ্য রেকর্ড।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

কুমিল্লা শহরতলির নেউরা গ্রামের লোকজন খবরটি শুনে খুবই হতবাক হয়েছিলেন। তাঁরা কস্মিনকালেও জানতে পারেননি, তাঁদের গ্রামের ভালো মানুষটি ‘সাধু বেশে পাকা চোর অতিশয়’। তা-ও যেনতেন নয়, রীতিমতো ‘পুলিশের তালিকাভুক্ত’ তকমা আঁটা সন্ত্রাসী। এত দিন যে লোকটি দুহাতে দান-খয়রাত করেছেন, মসজিদ-এতিমখানা বানিয়েছেন, বিপদগ্রস
২০ মে ২০২৩
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

কুমিল্লা শহরতলির নেউরা গ্রামের লোকজন খবরটি শুনে খুবই হতবাক হয়েছিলেন। তাঁরা কস্মিনকালেও জানতে পারেননি, তাঁদের গ্রামের ভালো মানুষটি ‘সাধু বেশে পাকা চোর অতিশয়’। তা-ও যেনতেন নয়, রীতিমতো ‘পুলিশের তালিকাভুক্ত’ তকমা আঁটা সন্ত্রাসী। এত দিন যে লোকটি দুহাতে দান-খয়রাত করেছেন, মসজিদ-এতিমখানা বানিয়েছেন, বিপদগ্রস
২০ মে ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কুমিল্লা শহরতলির নেউরা গ্রামের লোকজন খবরটি শুনে খুবই হতবাক হয়েছিলেন। তাঁরা কস্মিনকালেও জানতে পারেননি, তাঁদের গ্রামের ভালো মানুষটি ‘সাধু বেশে পাকা চোর অতিশয়’। তা-ও যেনতেন নয়, রীতিমতো ‘পুলিশের তালিকাভুক্ত’ তকমা আঁটা সন্ত্রাসী। এত দিন যে লোকটি দুহাতে দান-খয়রাত করেছেন, মসজিদ-এতিমখানা বানিয়েছেন, বিপদগ্রস
২০ মে ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কুমিল্লা শহরতলির নেউরা গ্রামের লোকজন খবরটি শুনে খুবই হতবাক হয়েছিলেন। তাঁরা কস্মিনকালেও জানতে পারেননি, তাঁদের গ্রামের ভালো মানুষটি ‘সাধু বেশে পাকা চোর অতিশয়’। তা-ও যেনতেন নয়, রীতিমতো ‘পুলিশের তালিকাভুক্ত’ তকমা আঁটা সন্ত্রাসী। এত দিন যে লোকটি দুহাতে দান-খয়রাত করেছেন, মসজিদ-এতিমখানা বানিয়েছেন, বিপদগ্রস
২০ মে ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে