আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত-যুক্তরাজ্যের মধ্যে গত মাসে স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, ভারতের বৃহৎ সরকারি ক্রয় বাজার যুক্তরাজ্যের সরবরাহকারীদের জন্য খুলে দিতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত। পণ্য ও সেবা থেকে শুরু করে সড়ক নির্মাণের মতো জন সম্পর্কিত কাজের চুক্তি তাদের এর আওতাভুক্ত।
চুক্তি অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের ৩৮ বিলিয়ন ডলারের প্রায় ৪০ হাজার উচ্চমূল্যের টেন্ডার যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এই টেন্ডারগুলো মূলত পরিবহন, গ্রিন এনার্জি এবং অবকাঠামো মতো কৌশলগত ক্ষেত্রের। এসব ক্ষেত্রে এ পর্যন্ত বিদেশি প্রতিযোগিতা প্রায় নিষিদ্ধ ছিল।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রবেশাধিকার অতুলনীয়। দিল্লিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, এটি ‘ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পূর্বের চুক্তির তুলনায় অনেক বেশি আকর্ষণীয়’ এবং ‘নতুন মানদণ্ড স্থাপন করছে।’
চুক্তি অনুযায়ী, নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ভারতীয় সরকারি চুক্তির জন্য বিড করতে যাওয়া যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ভারতীয় সরবরাহকারীদের সমপর্যায়ের বলে বিবেচনা করা হবে। এ ছাড়া, ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো আসন্ন সরকারি টেন্ডার এবং ক্রয় সংক্রান্ত সুযোগের তথ্যও রিয়েল-টাইমে পাবেন।
চুক্তি অনুযায়ী, ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে মাত্র ২০ শতাংশ কাঁচামাল নিয়ে তৈরি পণ্যকে ‘ভারতীয়’ পণ্য হিসেবে ভারত সরকারের কাছে সরবরাহ করতে পারবে। এর ফলে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলি তাদের প্রায় ৮০ শতাংশ কাঁচামাল নিজ বা অন্য দেশ থেকে এনে এখন ভারতীয় ক্রয়ের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে।
সরকারি প্রকল্পে বিড করার জন্য ন্যূনতম চুক্তির মূল্যও উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে। এর ফলে, যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো এখন ‘গ্রামীণ সড়ক, স্কুলের জন্য সৌর যন্ত্রপাতি বা সরকারি দপ্তরের জন্য আইটি সিস্টেম’ মতো ছোট ছোট প্রকল্পেও বিড করতে পারবে, যা আগে সম্ভব ছিল না।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর জন্য এই সুযোগ বাস্তবে কাজে লাগানো সহজ হবে না। ভারতীয় থিংক ট্যাংক কাউনসিল ফর রিসার্চ অন ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক রিলেশনসের বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ ড. অর্পিতা মুখার্জি বলেন, যুক্তরাজ্যের সরবরাহকারীরা ক্লাস-২ স্থানীয় সরবরাহকারী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন, কিন্তু ভারতীয় কোম্পানিগুলি ক্লাস-১ সরবরাহকারীর মতো প্রাধান্য পেতে থাকবে। এ ছাড়া, প্রকল্পের ঠিকাদারি জেতার ক্ষেত্রে মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে এবং ‘যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো তুলনামূলক উচ্চ মূল্যের।’ এই বিষয়টি ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হলো, বিলম্বিত পেমেন্ট এবং চুক্তি কার্যকর করার অসুবিধা। অভিজ্ঞরা বলেন, এটি ‘ভারতের সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা।’ ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজের ক্রয় সংক্রান্ত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সরকারের তরফ থেকে সরবরাহকারীদের বকেয়া পরিশোধ প্রায়ই বছরের মোট ক্রয় খরচের সমান বা তার বেশি।
এই বিষয়ে ভারতীয় থিংক ট্যাংক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সৃজন শুক্লা বলেন, ‘এটি যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর জন্য সমস্যা তৈরি করবে, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি এবং নিয়ন্ত্রক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকা সরকারি চুক্তিগুলোতে।’ তাঁর মতে, ছোট ভারতীয় ব্যবসার জন্যও বকেয়া টাকা একটি বড় সমস্যা। অনেক সময় তারা স্বল্পমেয়াদি তারল্য সমস্যার কারণে ক্রয় বাজার থেকে বের হয়ে বড় কোম্পানির কাছে ব্যবসা স্থানান্তর করতে বাধ্য হয়।
এ ক্ষেত্রে ভারতের বিশ্ব ব্যাংকের ডুয়িং বিজনেস রিপোর্টে চুক্তি কার্যকর করার সূচকে দেশের অবস্থান ১৯০ টির মধ্যে ১৬৩, যা দেশটির নেতিবাচক পরিস্থিতির প্রতিফলন। যদিও পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হয়েছে Government e-Marketplace, Central Public Procurement Portal এবং সম্প্রতি চালু হওয়ায়। এসব ছাড়াও অনলাইন বিরোধ নিষ্পত্তি পোর্টাল টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনছে—তবু সরকারি সংস্থার পেমেন্ট শৃঙ্খলা এখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।
অর্পিতা মুখার্জি বলেন, ভারত-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য চুক্তি স্বচ্ছতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে, কিন্তু বকেয়া টাকা, চুক্তি কার্যকরকরণ ও জরিমানা সংক্রান্ত বিষয়গুলো বাদ দিয়েছে। এ ছাড়া, চুক্তিটি কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট—সিইটিএ বিরোধ নিষ্পত্তি বিধি চুক্তি কার্যকর হওয়ার চার বছর পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করে না।
সৃজন শুক্লা বলেন, ‘ভারতে ব্যবসা করা দক্ষতার বিষয়, এটি সময়ের সঙ্গে অর্জন করতে হয়। যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোকে ধীরে ধীরে পাবলিক টেন্ডার জেতার কৌশল এবং জটিল নিয়মাবলি মোকাবিলা করতে শিখতে হবে।’
আরও কিছু ছোটখাটো সমস্যা আছে। তবুও বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য ভারতের সরকারি ক্রয় বাজার উন্মুক্ত করা বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তনের নির্দেশক। এটি দেখায় যে, ভারত সরকার দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য সংরক্ষিত স্থান বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য খুলতে চাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো অন্যান্য বাণিজ্য চুক্তিতেও ভারতের ছাড়ের ইঙ্গিত হতে পারে।
সৃজন শুক্লা বলেন, এই বিষয়টি বিশাল সরকারি ক্রয় চুক্তিতে ‘ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বমানের কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে’—ভারত সরকারের এমন আত্মবিশ্বাসেরও ইঙ্গিত। আশা করা হচ্ছে, আরও বিদেশি কোম্পানির প্রবেশ ভারতের সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় আরও জবাবদিহি আনবে এবং ‘পেমেন্ট বিলম্ব ও চুক্তি কার্যকরকরণের অসুবিধা’ কমিয়ে তা আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ভারত-যুক্তরাজ্যের মধ্যে গত মাসে স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, ভারতের বৃহৎ সরকারি ক্রয় বাজার যুক্তরাজ্যের সরবরাহকারীদের জন্য খুলে দিতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত। পণ্য ও সেবা থেকে শুরু করে সড়ক নির্মাণের মতো জন সম্পর্কিত কাজের চুক্তি তাদের এর আওতাভুক্ত।
চুক্তি অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের ৩৮ বিলিয়ন ডলারের প্রায় ৪০ হাজার উচ্চমূল্যের টেন্ডার যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এই টেন্ডারগুলো মূলত পরিবহন, গ্রিন এনার্জি এবং অবকাঠামো মতো কৌশলগত ক্ষেত্রের। এসব ক্ষেত্রে এ পর্যন্ত বিদেশি প্রতিযোগিতা প্রায় নিষিদ্ধ ছিল।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রবেশাধিকার অতুলনীয়। দিল্লিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, এটি ‘ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পূর্বের চুক্তির তুলনায় অনেক বেশি আকর্ষণীয়’ এবং ‘নতুন মানদণ্ড স্থাপন করছে।’
চুক্তি অনুযায়ী, নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ভারতীয় সরকারি চুক্তির জন্য বিড করতে যাওয়া যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ভারতীয় সরবরাহকারীদের সমপর্যায়ের বলে বিবেচনা করা হবে। এ ছাড়া, ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো আসন্ন সরকারি টেন্ডার এবং ক্রয় সংক্রান্ত সুযোগের তথ্যও রিয়েল-টাইমে পাবেন।
চুক্তি অনুযায়ী, ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে মাত্র ২০ শতাংশ কাঁচামাল নিয়ে তৈরি পণ্যকে ‘ভারতীয়’ পণ্য হিসেবে ভারত সরকারের কাছে সরবরাহ করতে পারবে। এর ফলে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলি তাদের প্রায় ৮০ শতাংশ কাঁচামাল নিজ বা অন্য দেশ থেকে এনে এখন ভারতীয় ক্রয়ের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে।
সরকারি প্রকল্পে বিড করার জন্য ন্যূনতম চুক্তির মূল্যও উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে। এর ফলে, যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো এখন ‘গ্রামীণ সড়ক, স্কুলের জন্য সৌর যন্ত্রপাতি বা সরকারি দপ্তরের জন্য আইটি সিস্টেম’ মতো ছোট ছোট প্রকল্পেও বিড করতে পারবে, যা আগে সম্ভব ছিল না।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর জন্য এই সুযোগ বাস্তবে কাজে লাগানো সহজ হবে না। ভারতীয় থিংক ট্যাংক কাউনসিল ফর রিসার্চ অন ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক রিলেশনসের বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ ড. অর্পিতা মুখার্জি বলেন, যুক্তরাজ্যের সরবরাহকারীরা ক্লাস-২ স্থানীয় সরবরাহকারী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন, কিন্তু ভারতীয় কোম্পানিগুলি ক্লাস-১ সরবরাহকারীর মতো প্রাধান্য পেতে থাকবে। এ ছাড়া, প্রকল্পের ঠিকাদারি জেতার ক্ষেত্রে মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে এবং ‘যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো তুলনামূলক উচ্চ মূল্যের।’ এই বিষয়টি ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হলো, বিলম্বিত পেমেন্ট এবং চুক্তি কার্যকর করার অসুবিধা। অভিজ্ঞরা বলেন, এটি ‘ভারতের সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা।’ ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজের ক্রয় সংক্রান্ত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সরকারের তরফ থেকে সরবরাহকারীদের বকেয়া পরিশোধ প্রায়ই বছরের মোট ক্রয় খরচের সমান বা তার বেশি।
এই বিষয়ে ভারতীয় থিংক ট্যাংক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সৃজন শুক্লা বলেন, ‘এটি যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর জন্য সমস্যা তৈরি করবে, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি এবং নিয়ন্ত্রক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকা সরকারি চুক্তিগুলোতে।’ তাঁর মতে, ছোট ভারতীয় ব্যবসার জন্যও বকেয়া টাকা একটি বড় সমস্যা। অনেক সময় তারা স্বল্পমেয়াদি তারল্য সমস্যার কারণে ক্রয় বাজার থেকে বের হয়ে বড় কোম্পানির কাছে ব্যবসা স্থানান্তর করতে বাধ্য হয়।
এ ক্ষেত্রে ভারতের বিশ্ব ব্যাংকের ডুয়িং বিজনেস রিপোর্টে চুক্তি কার্যকর করার সূচকে দেশের অবস্থান ১৯০ টির মধ্যে ১৬৩, যা দেশটির নেতিবাচক পরিস্থিতির প্রতিফলন। যদিও পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হয়েছে Government e-Marketplace, Central Public Procurement Portal এবং সম্প্রতি চালু হওয়ায়। এসব ছাড়াও অনলাইন বিরোধ নিষ্পত্তি পোর্টাল টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনছে—তবু সরকারি সংস্থার পেমেন্ট শৃঙ্খলা এখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।
অর্পিতা মুখার্জি বলেন, ভারত-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য চুক্তি স্বচ্ছতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে, কিন্তু বকেয়া টাকা, চুক্তি কার্যকরকরণ ও জরিমানা সংক্রান্ত বিষয়গুলো বাদ দিয়েছে। এ ছাড়া, চুক্তিটি কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট—সিইটিএ বিরোধ নিষ্পত্তি বিধি চুক্তি কার্যকর হওয়ার চার বছর পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করে না।
সৃজন শুক্লা বলেন, ‘ভারতে ব্যবসা করা দক্ষতার বিষয়, এটি সময়ের সঙ্গে অর্জন করতে হয়। যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোকে ধীরে ধীরে পাবলিক টেন্ডার জেতার কৌশল এবং জটিল নিয়মাবলি মোকাবিলা করতে শিখতে হবে।’
আরও কিছু ছোটখাটো সমস্যা আছে। তবুও বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য ভারতের সরকারি ক্রয় বাজার উন্মুক্ত করা বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তনের নির্দেশক। এটি দেখায় যে, ভারত সরকার দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য সংরক্ষিত স্থান বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য খুলতে চাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো অন্যান্য বাণিজ্য চুক্তিতেও ভারতের ছাড়ের ইঙ্গিত হতে পারে।
সৃজন শুক্লা বলেন, এই বিষয়টি বিশাল সরকারি ক্রয় চুক্তিতে ‘ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বমানের কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে’—ভারত সরকারের এমন আত্মবিশ্বাসেরও ইঙ্গিত। আশা করা হচ্ছে, আরও বিদেশি কোম্পানির প্রবেশ ভারতের সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় আরও জবাবদিহি আনবে এবং ‘পেমেন্ট বিলম্ব ও চুক্তি কার্যকরকরণের অসুবিধা’ কমিয়ে তা আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

দেশের আর্থিক খাত চাপের মধ্যে থাকলেও ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি গ্রাহকের হিসাব সংখ্যা বাড়ছেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, এক প্রান্তিক থেকে আরেক প্রান্তিকে এই গ্রাহকের হিসাব ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ-জুনে কোটিপতি গ্রাহক বেড়েছিল ৫ হাজার ৯৭৪টি।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।
৭ ঘণ্টা আগে
বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের মূলধন ফেরত দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই ২০২৬ সালে পরিশোধযোগ্য এই সুকুকের মেয়াদ আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিদেশি ঋণের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপ। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের কিস্তি আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের আর্থিক খাত চাপের মধ্যে থাকলেও ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি গ্রাহকের হিসাব সংখ্যা বাড়ছেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, এক প্রান্তিক থেকে আরেক প্রান্তিকে এই গ্রাহকের হিসাব ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ-জুনে কোটিপতি গ্রাহক বেড়েছিল ৫ হাজার ৯৭৪টি। এরপর ইসলামি ধারার পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হওয়া, আমানত তোলার হিড়িক এবং আস্থার ঘাটতির পরিবেশ তৈরি হলেও এই বৃদ্ধির ধারা থেমে যায়নি। গতি কিছুটা কমলেও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জুন-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকেও ব্যাংক খাতে কোটিপতি গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে আরও ৭৩৪টি।
তথ্যমতে, চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে মোট কোটি টাকার বেশি আমানত থাকা হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টি, যা সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭০টি। এর আগে চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে কোটি টাকার বেশি আমানত থাকা হিসাবধারী ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬২টি, যা জুন প্রান্তিকে দাঁড়ায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টি।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক খাতের এ হিসাবই বলে দিচ্ছে, দেশে বড় রকমের আয় বৈষম্য তৈরি হচ্ছে; যা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। বৈষম্য না কমলে অর্থনীতির গতি বাধাগ্রস্ত হবে।
এদিকে কোটিপতি গ্রাহকের সংখ্যা বাড়লেও আগের তুলনায় কমেছে ওই সব হিসাবে জমা টাকার পরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের জুন শেষে কোটি টাকার হিসাবে জমা টাকার পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৮০ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২১ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে এসব হিসাবে জমা কমেছে ৫৯ হাজার ২০৯ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। কারণ, ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক অ্যাকাউন্টও রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে মোট হিসাব সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৬৭১টি। সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭০০টি। অর্থাৎ
তিন মাসে ব্যাংক খাতের মোট হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৯টি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের আয় বাড়ছে। ব্যাংকের সংখ্যা বেড়েছে। এসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তো কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। সামনে আরও বাড়তে পারে। এমন প্রবণতা অর্থনীতির জন্য ভালো।

দেশের আর্থিক খাত চাপের মধ্যে থাকলেও ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি গ্রাহকের হিসাব সংখ্যা বাড়ছেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, এক প্রান্তিক থেকে আরেক প্রান্তিকে এই গ্রাহকের হিসাব ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ-জুনে কোটিপতি গ্রাহক বেড়েছিল ৫ হাজার ৯৭৪টি। এরপর ইসলামি ধারার পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হওয়া, আমানত তোলার হিড়িক এবং আস্থার ঘাটতির পরিবেশ তৈরি হলেও এই বৃদ্ধির ধারা থেমে যায়নি। গতি কিছুটা কমলেও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জুন-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকেও ব্যাংক খাতে কোটিপতি গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে আরও ৭৩৪টি।
তথ্যমতে, চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে মোট কোটি টাকার বেশি আমানত থাকা হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টি, যা সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭০টি। এর আগে চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে কোটি টাকার বেশি আমানত থাকা হিসাবধারী ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬২টি, যা জুন প্রান্তিকে দাঁড়ায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টি।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক খাতের এ হিসাবই বলে দিচ্ছে, দেশে বড় রকমের আয় বৈষম্য তৈরি হচ্ছে; যা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। বৈষম্য না কমলে অর্থনীতির গতি বাধাগ্রস্ত হবে।
এদিকে কোটিপতি গ্রাহকের সংখ্যা বাড়লেও আগের তুলনায় কমেছে ওই সব হিসাবে জমা টাকার পরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের জুন শেষে কোটি টাকার হিসাবে জমা টাকার পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৮০ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২১ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে এসব হিসাবে জমা কমেছে ৫৯ হাজার ২০৯ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। কারণ, ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক অ্যাকাউন্টও রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে মোট হিসাব সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৬৭১টি। সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭০০টি। অর্থাৎ
তিন মাসে ব্যাংক খাতের মোট হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৯টি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের আয় বাড়ছে। ব্যাংকের সংখ্যা বেড়েছে। এসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তো কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। সামনে আরও বাড়তে পারে। এমন প্রবণতা অর্থনীতির জন্য ভালো।

ভারত-যুক্তরাজ্যের মধ্যে গত মাসে স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, ভারতের বৃহৎ সরকারি ক্রয় বাজার যুক্তরাজ্যের সরবরাহকারীদের জন্য খুলে দিতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত। পণ্য ও সেবা থেকে শুরু করে সড়ক নির্মাণের মতো জন সম্পর্কিত কাজের চুক্তি তাদের এর আওতাভুক্ত।
১৩ আগস্ট ২০২৫
দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।
৭ ঘণ্টা আগে
বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের মূলধন ফেরত দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই ২০২৬ সালে পরিশোধযোগ্য এই সুকুকের মেয়াদ আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিদেশি ঋণের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপ। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের কিস্তি আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।
গতকাল রোববার সকাল থেকে রাজধানীর শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা কেজি দরে, যা গত শনিবার বিকেলেও ছিল ১৩০ টাকা। ছোট আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়, যেখানে আগের দিন ছিল ১১৫-১২০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে দাম সামান্য কমেছে। গতকাল বিভিন্ন খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকায়, যেখানে শনিবার ছিল ১৪০-১৫০ টাকা।
বিক্রেতারা অবশ্য বলছেন, আমদানির সঙ্গে সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও বাজারে আসছে। এতে দাম দ্রুতই কমে যাবে। গতকাল দিনভর শ্যামবাজারে পাইকারিতে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি দরে। এর মধ্যে সকালে ৯০ টাকা বিক্রি হলেও বিকেলে কমে ৬৫ টাকা কেজিতে নেমে আসে, যা শনিবার ৭৫-৯০ টাকা ছিল।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, পেঁয়াজের বাজার এখন অনেকটাই হুজুগনির্ভর। এলসির পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি, হয়তো রাতে আসবে। তবে আমদানির খবর পেয়েই পাইকাররা দাম কমিয়ে দিয়েছেন। নতুন পেঁয়াজ আসাও দাম কমার বড় কারণ।
এদিকে দীর্ঘ তিন মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে গতকাল। বিকেল ৪টায় দিনাজপুরের হিলি দিয়ে প্রথম চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে ৩০ টন পেঁয়াজ এসেছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই হিলির কাঁচাবাজারেও দাম কমেছে। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১০০, আর শুকনো মানের দেশি পেঁয়াজ কমেছে ২০ টাকা। বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়, যেখানে আগের দিন দাম ছিল ১৩০ টাকা।

দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।
গতকাল রোববার সকাল থেকে রাজধানীর শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা কেজি দরে, যা গত শনিবার বিকেলেও ছিল ১৩০ টাকা। ছোট আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়, যেখানে আগের দিন ছিল ১১৫-১২০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে দাম সামান্য কমেছে। গতকাল বিভিন্ন খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকায়, যেখানে শনিবার ছিল ১৪০-১৫০ টাকা।
বিক্রেতারা অবশ্য বলছেন, আমদানির সঙ্গে সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও বাজারে আসছে। এতে দাম দ্রুতই কমে যাবে। গতকাল দিনভর শ্যামবাজারে পাইকারিতে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি দরে। এর মধ্যে সকালে ৯০ টাকা বিক্রি হলেও বিকেলে কমে ৬৫ টাকা কেজিতে নেমে আসে, যা শনিবার ৭৫-৯০ টাকা ছিল।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, পেঁয়াজের বাজার এখন অনেকটাই হুজুগনির্ভর। এলসির পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি, হয়তো রাতে আসবে। তবে আমদানির খবর পেয়েই পাইকাররা দাম কমিয়ে দিয়েছেন। নতুন পেঁয়াজ আসাও দাম কমার বড় কারণ।
এদিকে দীর্ঘ তিন মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে গতকাল। বিকেল ৪টায় দিনাজপুরের হিলি দিয়ে প্রথম চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে ৩০ টন পেঁয়াজ এসেছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই হিলির কাঁচাবাজারেও দাম কমেছে। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১০০, আর শুকনো মানের দেশি পেঁয়াজ কমেছে ২০ টাকা। বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়, যেখানে আগের দিন দাম ছিল ১৩০ টাকা।

ভারত-যুক্তরাজ্যের মধ্যে গত মাসে স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, ভারতের বৃহৎ সরকারি ক্রয় বাজার যুক্তরাজ্যের সরবরাহকারীদের জন্য খুলে দিতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত। পণ্য ও সেবা থেকে শুরু করে সড়ক নির্মাণের মতো জন সম্পর্কিত কাজের চুক্তি তাদের এর আওতাভুক্ত।
১৩ আগস্ট ২০২৫
দেশের আর্থিক খাত চাপের মধ্যে থাকলেও ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি গ্রাহকের হিসাব সংখ্যা বাড়ছেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, এক প্রান্তিক থেকে আরেক প্রান্তিকে এই গ্রাহকের হিসাব ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ-জুনে কোটিপতি গ্রাহক বেড়েছিল ৫ হাজার ৯৭৪টি।
৭ ঘণ্টা আগে
বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের মূলধন ফেরত দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই ২০২৬ সালে পরিশোধযোগ্য এই সুকুকের মেয়াদ আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিদেশি ঋণের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপ। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের কিস্তি আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের মূলধন ফেরত দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই ২০২৬ সালে পরিশোধযোগ্য এই সুকুকের মেয়াদ আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২০২১ সালে শরিয়াহভিত্তিক এই সুকুকের মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল বেক্সিমকো। অর্থায়নের লক্ষ্য ছিল তিস্তা (২০০ মেগাওয়াট) ও করতোয়া (৩০ মেগাওয়াট) সোলার প্ল্যান্ট নির্মাণ এবং টেক্সটাইল ইউনিট সম্প্রসারণ। কিন্তু একাধিক বাধায় প্রকল্প বাস্তবায়ন পিছিয়ে যায়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা দুর্বল হয়, করতোয়া প্ল্যান্ট এখনো চালু হয়নি, আর ব্যয় বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে; ফলে নির্ধারিত সময়ে সুকুকের দায় শোধ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আইসিবি জানিয়েছে, ২০১৯ সালে ডলারের রেট ছিল ৮৬ টাকা; পরে ডলারের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ে এবং তহবিল ঘাটতি তৈরি হয়। এর ফলে কাজ পিছিয়েছে। এখন নতুন বিনিয়োগকারী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে সুকুকধারীদের প্রতি ছয় মাসে ১২৬ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয় বেক্সিমকোর। আয় হচ্ছে মূলত তিস্তা সোলার প্ল্যান্ট থেকে, যেখানে বিপিডিবি মাসে প্রায় ৫০ কোটি টাকা দেয়। করতোয়া প্ল্যান্ট বন্ধ থাকায় প্রত্যাশিত আয় পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুলাইয়ে আইসিবির কাছে সংশোধিত নিষ্পত্তি পরিকল্পনা চায়। সমস্যা সমাধানের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে ২০৩১ সাল বা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে তা ২০৩২ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে আইসিবির গঠিত ২১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি। গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপারিশে দুটি সময়সীমার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বলা হয়, করতোয়া প্ল্যান্ট দ্রুত চালু হলে সুকুকের মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে ২০৩১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর যদি প্রকল্পে আরও দেরি হয়, তাহলে মেয়াদ নিতে হবে ২০৩২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এ বিষয়ে আইসিবির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কমিটির প্রধান মো. নুরুল হুদা বলেন, ‘বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক নেবে।’

বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের মূলধন ফেরত দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই ২০২৬ সালে পরিশোধযোগ্য এই সুকুকের মেয়াদ আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২০২১ সালে শরিয়াহভিত্তিক এই সুকুকের মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল বেক্সিমকো। অর্থায়নের লক্ষ্য ছিল তিস্তা (২০০ মেগাওয়াট) ও করতোয়া (৩০ মেগাওয়াট) সোলার প্ল্যান্ট নির্মাণ এবং টেক্সটাইল ইউনিট সম্প্রসারণ। কিন্তু একাধিক বাধায় প্রকল্প বাস্তবায়ন পিছিয়ে যায়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা দুর্বল হয়, করতোয়া প্ল্যান্ট এখনো চালু হয়নি, আর ব্যয় বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে; ফলে নির্ধারিত সময়ে সুকুকের দায় শোধ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আইসিবি জানিয়েছে, ২০১৯ সালে ডলারের রেট ছিল ৮৬ টাকা; পরে ডলারের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ে এবং তহবিল ঘাটতি তৈরি হয়। এর ফলে কাজ পিছিয়েছে। এখন নতুন বিনিয়োগকারী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে সুকুকধারীদের প্রতি ছয় মাসে ১২৬ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয় বেক্সিমকোর। আয় হচ্ছে মূলত তিস্তা সোলার প্ল্যান্ট থেকে, যেখানে বিপিডিবি মাসে প্রায় ৫০ কোটি টাকা দেয়। করতোয়া প্ল্যান্ট বন্ধ থাকায় প্রত্যাশিত আয় পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুলাইয়ে আইসিবির কাছে সংশোধিত নিষ্পত্তি পরিকল্পনা চায়। সমস্যা সমাধানের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে ২০৩১ সাল বা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে তা ২০৩২ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে আইসিবির গঠিত ২১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি। গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপারিশে দুটি সময়সীমার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বলা হয়, করতোয়া প্ল্যান্ট দ্রুত চালু হলে সুকুকের মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে ২০৩১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর যদি প্রকল্পে আরও দেরি হয়, তাহলে মেয়াদ নিতে হবে ২০৩২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এ বিষয়ে আইসিবির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কমিটির প্রধান মো. নুরুল হুদা বলেন, ‘বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক নেবে।’

ভারত-যুক্তরাজ্যের মধ্যে গত মাসে স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, ভারতের বৃহৎ সরকারি ক্রয় বাজার যুক্তরাজ্যের সরবরাহকারীদের জন্য খুলে দিতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত। পণ্য ও সেবা থেকে শুরু করে সড়ক নির্মাণের মতো জন সম্পর্কিত কাজের চুক্তি তাদের এর আওতাভুক্ত।
১৩ আগস্ট ২০২৫
দেশের আর্থিক খাত চাপের মধ্যে থাকলেও ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি গ্রাহকের হিসাব সংখ্যা বাড়ছেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, এক প্রান্তিক থেকে আরেক প্রান্তিকে এই গ্রাহকের হিসাব ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ-জুনে কোটিপতি গ্রাহক বেড়েছিল ৫ হাজার ৯৭৪টি।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।
৭ ঘণ্টা আগে
বিদেশি ঋণের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপ। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের কিস্তি আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশি ঋণের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপ। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের কিস্তি আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এ পরিস্থিতি বাংলাদেশকে ঋণ ব্যবস্থাপনায় চাপ বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় ঠেলে দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেট রিপোর্ট ২০২৫’-এ বাংলাদেশ সম্পর্কে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪ সালের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ দাঁড়ায় ১০ হাজার ৪৪৮ কোটি ডলারে। পাঁচ বছর আগে এটি ছিল ৭ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলার। বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প—পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, বিমানবন্দরের টার্মিনালসহ বিভিন্ন বড় প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ শুরু হওয়ায় ক্রমেই চাপ বাড়ছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশকে ২০২০ সালে বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করতে হয়েছিল ৩৭৩ কোটি ডলার। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৩৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ পাঁচ বছরেই অঙ্কটি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
তবে বিদেশি ঋণছাড়ের অঙ্ক তেমন বাড়েনি। ২০২৪ সালে ঋণছাড় হয়েছে ১ হাজার ১১০ কোটি ডলার, যা ২০২০ সালের ১ হাজার ২২ কোটি ডলার থেকে সামান্য বেশি।
অর্থনীতিবিদেরা বলেন, করোনার পর থেকে বিদেশি ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ও ঋণ পরিশোধের চাপ—দুটোই বাড়ছে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, উন্নয়ন-সহযোগীদের দেওয়া নতুন ঋণে আগের তুলনায় গ্রেস পিরিয়ড কমছে, সুদের হার বাড়ছে আর অন্যান্য শর্তও কঠিন হচ্ছে। ফলে ঋণের দায় অর্থনীতিতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। চাপ কমাতে রপ্তানি আয় বাড়ানো এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে সহায়তা করবে—বিদেশি ঋণের অর্থ এমন প্রকল্পে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে রপ্তানির তুলনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯২ শতাংশ। একই বছরে মোট ঋণ পরিষেবার পরিমাণ রপ্তানির ১৬ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ওপর ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের আইডিএ থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঋণ পায়। আইডিএর মোট ঋণের প্রায় ৩০ শতাংশ যায় বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানে।
বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের ২৬ শতাংশই এসেছে বিশ্বব্যাংক থেকে। বড় ঋণদাতা হিসেবে এরপর রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান।

বিদেশি ঋণের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপ। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের কিস্তি আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এ পরিস্থিতি বাংলাদেশকে ঋণ ব্যবস্থাপনায় চাপ বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় ঠেলে দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেট রিপোর্ট ২০২৫’-এ বাংলাদেশ সম্পর্কে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪ সালের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ দাঁড়ায় ১০ হাজার ৪৪৮ কোটি ডলারে। পাঁচ বছর আগে এটি ছিল ৭ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলার। বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প—পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, বিমানবন্দরের টার্মিনালসহ বিভিন্ন বড় প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ শুরু হওয়ায় ক্রমেই চাপ বাড়ছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশকে ২০২০ সালে বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করতে হয়েছিল ৩৭৩ কোটি ডলার। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৩৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ পাঁচ বছরেই অঙ্কটি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
তবে বিদেশি ঋণছাড়ের অঙ্ক তেমন বাড়েনি। ২০২৪ সালে ঋণছাড় হয়েছে ১ হাজার ১১০ কোটি ডলার, যা ২০২০ সালের ১ হাজার ২২ কোটি ডলার থেকে সামান্য বেশি।
অর্থনীতিবিদেরা বলেন, করোনার পর থেকে বিদেশি ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ও ঋণ পরিশোধের চাপ—দুটোই বাড়ছে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, উন্নয়ন-সহযোগীদের দেওয়া নতুন ঋণে আগের তুলনায় গ্রেস পিরিয়ড কমছে, সুদের হার বাড়ছে আর অন্যান্য শর্তও কঠিন হচ্ছে। ফলে ঋণের দায় অর্থনীতিতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। চাপ কমাতে রপ্তানি আয় বাড়ানো এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে সহায়তা করবে—বিদেশি ঋণের অর্থ এমন প্রকল্পে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে রপ্তানির তুলনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯২ শতাংশ। একই বছরে মোট ঋণ পরিষেবার পরিমাণ রপ্তানির ১৬ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ওপর ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের আইডিএ থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঋণ পায়। আইডিএর মোট ঋণের প্রায় ৩০ শতাংশ যায় বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানে।
বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের ২৬ শতাংশই এসেছে বিশ্বব্যাংক থেকে। বড় ঋণদাতা হিসেবে এরপর রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান।

ভারত-যুক্তরাজ্যের মধ্যে গত মাসে স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, ভারতের বৃহৎ সরকারি ক্রয় বাজার যুক্তরাজ্যের সরবরাহকারীদের জন্য খুলে দিতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত। পণ্য ও সেবা থেকে শুরু করে সড়ক নির্মাণের মতো জন সম্পর্কিত কাজের চুক্তি তাদের এর আওতাভুক্ত।
১৩ আগস্ট ২০২৫
দেশের আর্থিক খাত চাপের মধ্যে থাকলেও ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি গ্রাহকের হিসাব সংখ্যা বাড়ছেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, এক প্রান্তিক থেকে আরেক প্রান্তিকে এই গ্রাহকের হিসাব ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ-জুনে কোটিপতি গ্রাহক বেড়েছিল ৫ হাজার ৯৭৪টি।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।
৭ ঘণ্টা আগে
বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের মূলধন ফেরত দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই ২০২৬ সালে পরিশোধযোগ্য এই সুকুকের মেয়াদ আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৭ ঘণ্টা আগে