Ajker Patrika

বিদেশে বিনিয়োগের নামে ৬০ শতাংশ অর্থই কর স্বর্গে পাঠাচ্ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় কোম্পানিগুলো বিশ্বের যেসব দেশে কম কর দিতে হয়ে সেগুলোর দিকে নজর দিচ্ছে। এই সুবিধার আওতায় কোম্পানিগুলো স্বল্প কর দিতে হয় এমন দেশগুলোর সুবিধা নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ বের করে নিয়ে যাচ্ছেন দেশ থেকে বিনিয়োগ করার নামে। সরকারি তথ্য, কর ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা এই কথা জানিয়েছেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার নথির ভিত্তিতে বিষয়টি বিশ্লেষণ করে বের করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত ভারতীয় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগের তথ্য ট্র্যাক করে। বিশ্লেষণ থেকে দেখা গেছে, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ভারত থেকে বিদেশে সরাসরি বিনিয়োগের (এফডিআই) নামে যত অর্থ বেরিয়ে গেছে, তার ৫৬ শতাংশই গেছে স্বল্প কর সুবিধার দেশে, যেগুলো বহুলভাবে ‘ট্যাক্স হ্যাভেন বা কর স্বর্গ’ নামে পরিচিত।

এসব দেশের তালিকায় আছে—সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের মতো দেশ। সোজা কথায়, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে বিদেশে এফডিআই—এর নামে বেরিয়ে যাওয়া ৩ হাজার ৪৮৮ দশমিক ৫ কোটি রুপির মধ্যে ১ হাজার ৯৪৬ কোটি রুপি গেছে ট্যাক্স হ্যাভেন।

এমনকি, এর মধ্যে আবার ৪০ শতাংশের বেশি গেছে—সিঙ্গাপুর (২২ দশমিক ৬ শতাংশ), মরিশাস (১০ দশমিক ৯ শতাংশ) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে (৯ দশমিক ১ শতাংশ)। চলতি অর্থবছরে এই প্রবণতা আরও তীব্র হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। প্রথম প্রান্তিকে ভারতের মোট সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের ৬৩ শতাংশই গেছে এসব স্বল্প কর সুবিধার দেশগুলোতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন—শুধু কর বাঁচানোর জন্য নয়, কৌশলগত কারণে ভারতীয় কোম্পানিগুলো এসব কম করের দেশ বেছে নিচ্ছে। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান গ্রান্ট থর্নটন ভারতের পার্টনার রিয়াজ থিংনা বলেন, ‘যদি ভারতীয় কোম্পানিগুলো বিদেশে বিনিয়োগ করে, তাহলে এসব দেশে কোম্পানি গড়ে নেওয়া অনেক ক্ষেত্রেই যৌক্তিক।’

তিনি বলেন, কোনো ভারতীয় কোম্পানি যদি ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোথাও কোনো সহযোগী প্রতিষ্ঠান গড়তে চায়, তাহলে সিঙ্গাপুর বা একই ধরনের দেশে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যমূলক প্রতিষ্ঠান (এসপিভি) গড়ে তা করা সহজ হয়। এতে কৌশলগত বিনিয়োগকারী পাওয়া যায়, আবার শেয়ার কমানোর সময় কর–সংক্রান্ত সুবিধাও পাওয়া যায়।

থিংনার মতে, এসব দেশে নিয়মিত তহবিল ও বিনিয়োগ স্থানান্তরও অনেক বেশি সহজ। ফলে এগুলো কেবল কর ফাঁকি বা কর এড়ানোর জন্যই ব্যবহৃত হয় না। অনেক সময় এসব দেশকে তৃতীয় কোনো দেশে বিনিয়োগের প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

ইওয়াই ইন্ডিয়ার ট্যাক্স পার্টনার বৈভব লুথরা বলেন, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার তথ্য চূড়ান্ত বিনিয়োগ গন্তব্য দেখায় না, কেবল প্রথম স্তরের বিনিয়োগ দেখায়। লুথরার মতে, এসব স্বল্প করের দেশগুলো শুধু কর–সুবিধা নয়, করের স্থিতিশীলতাও দেয়। এর বাইরে বিদেশে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক ভারতীয় কোম্পানিগুলোর জন্য এগুলো আরও নানা সুবিধা নিয়ে আসে।

তিনি বলেন, ‘প্রায়ই তহবিল সংগ্রহ বা কোনো বিনিয়োগকারী যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা এ ধরনের মধ্যবর্তী দেশে আসতে বেশি আগ্রহী হন। পাশাপাশি, মাঝখানে একটি সংস্থা থাকলে ভারতীয় মূল কোম্পানিটিও সুরক্ষিত থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি কোম্পানিগুলো ভারত নয়, বরং এসব স্বল্প করের দেশে যৌথ উদ্যোগ গড়তে বেশি আগ্রহী।’

থিংনা ব্যাখ্যা করেন, ‘যদি কোনো ভারতীয় কোম্পানি কৌশলগত অংশীদার খোঁজে, তবে বিদেশি অংশীদাররা ভারতের কঠিন এফডিআই নীতি, করনীতি এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে সরাসরি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানে নয়, বরং সিঙ্গাপুর বা অনুরূপ দেশে বিনিয়োগ করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।’

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যও এই প্রবণতা দেখাচ্ছে। সর্বশেষ, জুলাই ২০২৫–এর তথ্য অনুযায়ী, এসব স্বল্প করের দেশে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর মোট বিনিয়োগের প্রায় ৬০ শতাংশই যৌথ উদ্যোগে গেছে। থিংনা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের আমদানি পণ্যে যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে, তা অব্যাহত থাকলে ভারতীয় কোম্পানিগুলো বিদেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘অনেক কোম্পানি ভারত ছাড়া অন্য কোথাও সহযোগী প্রতিষ্ঠান গড়ে সেখানে মূল্য সংযোজন করতে পারে। এতে ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর শুল্ক আরোপ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এখনো তা ঘটেনি, কারণ শুল্ক সম্প্রতি আরোপ করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এটা ঘটতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাকরির ১০ মাস বাকি থাকতেই পদত্যাগ করলেন ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মইনুল খান। ছবি: সংগৃহীত
মইনুল খান। ছবি: সংগৃহীত

চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ মাস আগেই স্বেচ্ছা অবসরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) চেয়ারম্যান মইনুল খান। এ জন্য তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান।

বাণিজ্যসচিব বলেন, মইনুল খান আগেই অনানুষ্ঠানিকভাবে অবসরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া তাঁর পদত্যাগপত্রে আবেদনের তারিখ উল্লেখ আছে ৩০ অক্টোবর। এর অনুলিপি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েও সংরক্ষিত রয়েছে।

বর্তমানে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন মইনুল খান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২০ অক্টোবরের সরকারি আদেশ (জিও) অনুযায়ী, তিনি ২৬ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২০ দিনের ছুটিতে রয়েছেন।

বিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অফিসের সহকর্মীদের কাছে দোয়া চেয়ে মইনুল খান স্বেচ্ছা অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। সেখানে তিনি তিন দশকের বেশি সময় সরকারের বিভিন্ন পদে থেকে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২০২৭ পর্যন্ত আইওএসএ সনদ পেল এয়ার এ্যাস্ট্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের সর্বকনিষ্ঠ এয়ারলাইন হিসেবে ২০২৪ সালে আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সনদ পায় বেসরকারি এয়ারলাইন এয়ার এ্যাস্ট্রা। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) প্রণোদিত আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) একটি বিশ্বমানের মানদণ্ড নিরূপণী অডিট যা এয়ারলাইনসের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত করে।

এক বছর পর ২০২৫ সালের জুন মাসে এয়ারলাইনটি পুনরায় আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সম্পন্ন করে ২০২৭ সালের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত আইওএসএ রেজিস্টার্ড এয়ারলাইন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

এয়ার এ্যাস্ট্রার সিইও ইমরান আসিফ এ বিষয়ে বলেন, ‘এয়ার এ্যাস্ট্রার ফ্লাইট অপারেশন শুরু হওয়ার আগে থেকেই আমরা যাত্রীদের একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত ফ্লাইট অভিজ্ঞতা উপহার দেওয়ার লক্ষে আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ)-এর পরিকল্পনা শুরু করি। যার অংশ হিসেবে ২০২৪ সালে আইওএসস সনদ প্রাপ্তি এবং তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর আমরা পুনরায় এই অডিটটি সম্পন্ন করি। এয়ার এ্যাস্ট্রা যাত্রীদের নিরাপদ এবং নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করার জন্য সব সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)-এর কঠোর মানদণ্ড অনুযায়ী তাঁদের নিরীক্ষকের মাধ্যমে চলতি বছরের জুন মাসে এয়ার এ্যাস্ট্রার অডিট সম্পন্ন হয়। গত এক দশকে, আইওএসএ (আইওএসএ) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এয়ারলাইনসের অপারেশনাল ম্যানেজমেন্ট এবং কন্ট্রোল সিস্টেমের মূল্যায়ন করার জন্য সবচেয়ে স্বীকৃত সিস্টেমে পরিণত হয়েছে।

এয়ার এ্যাস্ট্রা বর্তমানে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা এবং ঢাকা-সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে প্রতিদিন ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এয়ার এ্যাস্ট্রার বহরে বর্তমানে চারটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নিরাপদ টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঋণের টাকায় বিদেশে পড়াশোনা: রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ গজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ নিষেধাজ্ঞা জারির এই আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের অন্য যেসব সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তাঁরা হলে—ওবায়েদ উল্লাহর স্ত্রী মর্জিনা বেগম ওরফে মুনমুন মাসুদ, ছেলে জুনায়েদ জুলকার নায়েন ভিয়ান ও জুলুন সাফওয়ান এবং মেয়ে তাসমিয়া তারাল্গুন নাওমী।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে ঋণের অর্থ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, বিশেষ করে ছেলের বিদেশে শিক্ষার খরচে ব্যবহার করেছেন। ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোতে তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে নগদ অর্থ জমা, ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অজানা উৎস থেকে অর্থ গ্রহণ এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমহীন প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করেন, যা অর্থপাচার ও মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেহেতু তাঁর দুই সন্তান দেশত্যাগ করেছেন, তাই তিনিসহ তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত কাজী হাসানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। তিনি যে কোনো সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন বলে অনুসন্ধানকালে জানা গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁর বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিলামে বিক্রি হয়নি, সাবেক এমপিদের ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি পাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য নির্দেশনা দিয়ে আজ বুধবার একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কিছু সদস্যের বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না জানতে চেয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস নির্দেশনা চায়। এর জবাবে গাড়িগুলো খালাসের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং আমদানিকারকেরা স্বাভাবিক হারে শুল্ক-কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো খালাস করতে পারবেন বলে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে নির্দেশনা প্রদান করে এনবিআর।

শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ওই ৩১টি গাড়ির মোট প্রদেয় শুল্ক-করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। উচ্চ মূল্যের এ সকল গাড়ির একক প্রতি প্রদেয় শুল্ক-করের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং একক প্রতি প্রদেয় সর্বনিম্ন শুল্ক-করের পরিমাণ ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে সব শুল্ক-কর পরিশোধ করে ওই ৩১টি গাড়ি আমদানিকারকেরা খালাস করেননি। বিধায় কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। ওই নিলামে কোনো নিলামকারী গাড়িগুলোর যৌক্তিক মূল্য বিড না করায় গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়নি। পরবর্তীতে জনস্বার্থে যথাযথ ব্যবহারের বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অতি মূল্যবান গাড়িগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের জন্য এই বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট গাড়ির আমদানিকারক ভবিষ্যতে প্রযোজ্য সমুদয় শুল্ক ও কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো আইনানুগ পদ্ধতিতে খালাস করতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ এবং শুল্কায়ন সংক্রান্ত আইন, বিধি ও আদেশ যথাযথভাবে পরিপালন করে তা আমদানিকারকের অনুকূলে খালাস করতে পারবে।

প্রযোজ্য শুল্ক-কর আদায়পূর্বক গাড়িগুলো ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস আমদানিকারকের অনুকূলে খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ওই গাড়িগুলো সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট ফেরত প্রদান করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত