নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যস্ত কর্মঘণ্টা, শহুরে যানজট আর ঘরে ফেরার পর রাজ্যের ক্লান্তির মাঝেও মানুষ চায় পছন্দের খাবারটা সময়মতো হাতের কাছে পেতে। এই চাওয়াকে পূরণ করছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ‘ফুডি’। যা এক বছরের কম সময়ের মধ্যে কর্মব্যস্ত শহুরে বাসিন্দাদের কাছে নির্ভরতার আরেক নাম হয়ে উঠেছে।
‘ফুডি’র যাত্রা শুরু হয় ২০২৪ সালের জুনে। এর উদ্যোক্তারা লক্ষ করেন, বাংলাদেশে বড় শহরগুলোতে দ্রুত, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী খাবার পৌঁছে দেওয়ার নির্ভরযোগ্য মাধ্যমের স্বল্পতা রয়েছে। এই খাতে হাতে গোনা দু-একটি প্রতিষ্ঠান থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। খাবার অর্ডার করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় গ্রাহকদের। খাবারের মান ও মূল্য নিয়েও থাকে নানা অভিযোগ। গ্রাহকদের দৈনন্দিন এই তিক্ত অভিজ্ঞতাকে সহজতর করার ভাবনা থেকে ফুডির যাত্রা শুরু। এক বছর না পেরোতেই তারা দেশের ১৯টি শহরের মানুষকে প্রতিদিন খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। এই অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস শহুরে বাসিন্দাদের দিচ্ছে নতুন অভিজ্ঞতা; বিশেষ করে তরুণ পেশাজীবী, শিক্ষার্থী ও ব্যাচেলরদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে ফুডি। দিনে দিনে তারা আবিষ্কার করছে, খাবার মানে শুধু ক্ষুধা মেটানো নয়, এটা কর্মব্যস্ত দিনে একটুখানি স্বস্তিও বটে।
ফুডির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অ্যাপভিত্তিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা। ব্যবহারকারী অ্যাপে প্রবেশ করেই আশপাশের রেস্টুরেন্টগুলোর মেনু, মূল্য এবং ডেলিভারি সময় দেখে অর্ডার দিতে পারেন। আর মাত্র ৩০-৪৫ মিনিটের মধ্যে খাবার চলে আসে তাঁর দোরগোড়ায়। নিরাপত্তা এবং খাবারের মান ও স্বাদ বজায় রাখার ক্ষেত্রে ফুডি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহনেওয়াজ মান্নান। প্রতিটি খাবার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আগে করা হয় ডাবল চেকিং এবং গ্রাহকদের মতামতের ভিত্তিতে চালানো হয় নিয়মিত রেস্টুরেন্ট রিভিউ। তাঁদের ‘রিয়েল টাইম ট্র্যাকিং’ ফিচার অনেক গ্রাহকের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। কারণ, এতে দেখা যায়, খাবার এখন ঠিক কোথায় আছে এবং কত মিনিটে পৌঁছাবে।
ফুডি অ্যাপে ঢুকলেই চোখে পড়ে অসংখ্য রেস্টুরেন্টের তালিকা—পাঁচতারা হোটেল থেকে শুরু করে পাড়ার সেই পুরোনো বিরিয়ানির দোকান। ব্যবহারকারীরা খুব সহজে দেখতে পারেন কী খাচ্ছেন অন্যরা, কোন রেস্টুরেন্টে রেটিং কেমন আর ডেলিভারি চার্জ কত। খাবারের ছবিগুলোও যেন জিবে জল আনে।
রাজধানীর বনানী এলাকার আইটি প্রফেশনাল সাকিব আহমেদ বলেন, ‘প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে রান্না করা সম্ভব হয় না। আগে হয়তো মেসের খাবার খেয়ে নিতে হতো। এখন ফুডিতে ঢুকেই দেখি, আশপাশে কী কী অপশন আছে।’
ফুডির সিইওর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁরা দিনে গড়ে ১৫ হাজার অর্ডার ডেলিভারি করছেন।
ফুডি শুধু গ্রাহকদের নয়, রেস্টুরেন্ট মালিকদের জীবনেও এনেছে বড় পরিবর্তন। তাঁরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় গড়া ছোট রেস্তোরাঁগুলোকেও সামনে নিয়ে এসেছে। বর্তমানে ফুডিতে যুক্ত রয়েছে সাত হাজারের বেশি রেস্টুরেন্ট। প্রতি সপ্তাহে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম, যারা চায় তাদের খাবার শহরের আরও মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। তবে রেস্টুরেন্ট যুক্ত করার আগে তাদের মান নিশ্চিত করার চেষ্টা করে ফুডি টিম। এ জন্য সাধারণত রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন এবং খাবারের মান যাচাইয়ের পর তালিকায় যুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশে ডেলিভারি সার্ভিসে মূলত পুরুষ কর্মীদেরই দেখা যায়। তবে ফুডি সেখানে কিছুটা ব্যতিক্রম। প্রতিষ্ঠানটি পুরুষদের পাশাপাশি নারী কর্মীও নিয়োগ দিচ্ছে। বর্তমানে শতাধিক নারী কর্মী ফুডির সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছেন। তাঁরা শুধু খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন না, বরং ভাঙছেন প্রতিবন্ধকতার দেয়াল।
ফুডি এখন শুধু খাবার নয়, পৌঁছে দিচ্ছে ফুলও। জন্মদিন, অ্যানিভার্সারি কিংবা হঠাৎ ‘ভালোবাসি’ বলা মুহূর্তগুলোতে প্রিয়জনের দরজায় পৌঁছে যাচ্ছে গোলাপ, বেলিসহ পছন্দের সব ফুল। ফুডির সিইও বললেন, ফুলের তোড়া, মালাসহ বিশেষ দিবসে থিম ফ্লাওয়ার প্যাকেজও ডেলিভারি দিচ্ছে ফুডি।
খাবারের পাশাপাশি দোরগোড়ায় প্রয়োজনীয় সবকিছু পৌঁছে দিতে ফুডি নিয়ে আসছে ফুডি মার্ট। চলতি বছর এই সেবা চালু হবে বলে জানান শাহনেওয়াজ মান্নান। নিত্যপ্রয়োজনীয় গ্রোসারি পণ্য, ওষুধ, পানীয় এমনকি গিফট আইটেমও এখানে অর্ডার করা যাবে। এ ছাড়া আসছে নতুন সব ফিচার।
শহুরে যানজট, হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া খাবার, কিংবা ডেলিভারি কর্মীদের নিরাপত্তা—সবকিছুই ভাবায় ফুডি টিমকে। আর তাই ডেলিভারি কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফুডি নিয়েছে বেশ কিছু উদ্যোগ। কর্মীদের দেওয়া হয় নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ এবং ফ্রি সেফটি কিডস। আর খাবার নিরাপদ রাখতে বিশেষ ব্যাগ তো রয়েছেই।
ফুডি এখন শুধু খাবার পৌঁছে দেওয়া নয়, বরং একটি দ্রুতগতির শহুরে জীবনের অংশ হয়ে উঠছে। এটি শুধু একটি অ্যাপ নয়, বরং সময় বাঁচানোর চাবিকাঠি। একাকিত্বে একটু আনন্দ, কিংবা পরিবারের সঙ্গে হঠাৎ একসঙ্গে বসে খাওয়ার সুযোগ, কখনো গেম খেলার মাঝখানে, কখনো ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দুপুরবেলায়, ক্লিক করে খাবার অর্ডার দেওয়াটাই যেন একটা স্বস্তির অন্য নাম। ক্লিকের এই যাত্রায় ফুডি শহরের খাবার-সংস্কৃতিকে যেমন বদলে দিচ্ছে, তেমনি বদলে দিচ্ছে আমাদের খাওয়ার অভ্যাস, সময় ব্যবস্থাপনা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগের ধরনকেও।

ব্যস্ত কর্মঘণ্টা, শহুরে যানজট আর ঘরে ফেরার পর রাজ্যের ক্লান্তির মাঝেও মানুষ চায় পছন্দের খাবারটা সময়মতো হাতের কাছে পেতে। এই চাওয়াকে পূরণ করছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ‘ফুডি’। যা এক বছরের কম সময়ের মধ্যে কর্মব্যস্ত শহুরে বাসিন্দাদের কাছে নির্ভরতার আরেক নাম হয়ে উঠেছে।
‘ফুডি’র যাত্রা শুরু হয় ২০২৪ সালের জুনে। এর উদ্যোক্তারা লক্ষ করেন, বাংলাদেশে বড় শহরগুলোতে দ্রুত, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী খাবার পৌঁছে দেওয়ার নির্ভরযোগ্য মাধ্যমের স্বল্পতা রয়েছে। এই খাতে হাতে গোনা দু-একটি প্রতিষ্ঠান থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। খাবার অর্ডার করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় গ্রাহকদের। খাবারের মান ও মূল্য নিয়েও থাকে নানা অভিযোগ। গ্রাহকদের দৈনন্দিন এই তিক্ত অভিজ্ঞতাকে সহজতর করার ভাবনা থেকে ফুডির যাত্রা শুরু। এক বছর না পেরোতেই তারা দেশের ১৯টি শহরের মানুষকে প্রতিদিন খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। এই অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস শহুরে বাসিন্দাদের দিচ্ছে নতুন অভিজ্ঞতা; বিশেষ করে তরুণ পেশাজীবী, শিক্ষার্থী ও ব্যাচেলরদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে ফুডি। দিনে দিনে তারা আবিষ্কার করছে, খাবার মানে শুধু ক্ষুধা মেটানো নয়, এটা কর্মব্যস্ত দিনে একটুখানি স্বস্তিও বটে।
ফুডির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অ্যাপভিত্তিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা। ব্যবহারকারী অ্যাপে প্রবেশ করেই আশপাশের রেস্টুরেন্টগুলোর মেনু, মূল্য এবং ডেলিভারি সময় দেখে অর্ডার দিতে পারেন। আর মাত্র ৩০-৪৫ মিনিটের মধ্যে খাবার চলে আসে তাঁর দোরগোড়ায়। নিরাপত্তা এবং খাবারের মান ও স্বাদ বজায় রাখার ক্ষেত্রে ফুডি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহনেওয়াজ মান্নান। প্রতিটি খাবার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আগে করা হয় ডাবল চেকিং এবং গ্রাহকদের মতামতের ভিত্তিতে চালানো হয় নিয়মিত রেস্টুরেন্ট রিভিউ। তাঁদের ‘রিয়েল টাইম ট্র্যাকিং’ ফিচার অনেক গ্রাহকের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। কারণ, এতে দেখা যায়, খাবার এখন ঠিক কোথায় আছে এবং কত মিনিটে পৌঁছাবে।
ফুডি অ্যাপে ঢুকলেই চোখে পড়ে অসংখ্য রেস্টুরেন্টের তালিকা—পাঁচতারা হোটেল থেকে শুরু করে পাড়ার সেই পুরোনো বিরিয়ানির দোকান। ব্যবহারকারীরা খুব সহজে দেখতে পারেন কী খাচ্ছেন অন্যরা, কোন রেস্টুরেন্টে রেটিং কেমন আর ডেলিভারি চার্জ কত। খাবারের ছবিগুলোও যেন জিবে জল আনে।
রাজধানীর বনানী এলাকার আইটি প্রফেশনাল সাকিব আহমেদ বলেন, ‘প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে রান্না করা সম্ভব হয় না। আগে হয়তো মেসের খাবার খেয়ে নিতে হতো। এখন ফুডিতে ঢুকেই দেখি, আশপাশে কী কী অপশন আছে।’
ফুডির সিইওর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁরা দিনে গড়ে ১৫ হাজার অর্ডার ডেলিভারি করছেন।
ফুডি শুধু গ্রাহকদের নয়, রেস্টুরেন্ট মালিকদের জীবনেও এনেছে বড় পরিবর্তন। তাঁরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় গড়া ছোট রেস্তোরাঁগুলোকেও সামনে নিয়ে এসেছে। বর্তমানে ফুডিতে যুক্ত রয়েছে সাত হাজারের বেশি রেস্টুরেন্ট। প্রতি সপ্তাহে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম, যারা চায় তাদের খাবার শহরের আরও মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। তবে রেস্টুরেন্ট যুক্ত করার আগে তাদের মান নিশ্চিত করার চেষ্টা করে ফুডি টিম। এ জন্য সাধারণত রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন এবং খাবারের মান যাচাইয়ের পর তালিকায় যুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশে ডেলিভারি সার্ভিসে মূলত পুরুষ কর্মীদেরই দেখা যায়। তবে ফুডি সেখানে কিছুটা ব্যতিক্রম। প্রতিষ্ঠানটি পুরুষদের পাশাপাশি নারী কর্মীও নিয়োগ দিচ্ছে। বর্তমানে শতাধিক নারী কর্মী ফুডির সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছেন। তাঁরা শুধু খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন না, বরং ভাঙছেন প্রতিবন্ধকতার দেয়াল।
ফুডি এখন শুধু খাবার নয়, পৌঁছে দিচ্ছে ফুলও। জন্মদিন, অ্যানিভার্সারি কিংবা হঠাৎ ‘ভালোবাসি’ বলা মুহূর্তগুলোতে প্রিয়জনের দরজায় পৌঁছে যাচ্ছে গোলাপ, বেলিসহ পছন্দের সব ফুল। ফুডির সিইও বললেন, ফুলের তোড়া, মালাসহ বিশেষ দিবসে থিম ফ্লাওয়ার প্যাকেজও ডেলিভারি দিচ্ছে ফুডি।
খাবারের পাশাপাশি দোরগোড়ায় প্রয়োজনীয় সবকিছু পৌঁছে দিতে ফুডি নিয়ে আসছে ফুডি মার্ট। চলতি বছর এই সেবা চালু হবে বলে জানান শাহনেওয়াজ মান্নান। নিত্যপ্রয়োজনীয় গ্রোসারি পণ্য, ওষুধ, পানীয় এমনকি গিফট আইটেমও এখানে অর্ডার করা যাবে। এ ছাড়া আসছে নতুন সব ফিচার।
শহুরে যানজট, হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া খাবার, কিংবা ডেলিভারি কর্মীদের নিরাপত্তা—সবকিছুই ভাবায় ফুডি টিমকে। আর তাই ডেলিভারি কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফুডি নিয়েছে বেশ কিছু উদ্যোগ। কর্মীদের দেওয়া হয় নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ এবং ফ্রি সেফটি কিডস। আর খাবার নিরাপদ রাখতে বিশেষ ব্যাগ তো রয়েছেই।
ফুডি এখন শুধু খাবার পৌঁছে দেওয়া নয়, বরং একটি দ্রুতগতির শহুরে জীবনের অংশ হয়ে উঠছে। এটি শুধু একটি অ্যাপ নয়, বরং সময় বাঁচানোর চাবিকাঠি। একাকিত্বে একটু আনন্দ, কিংবা পরিবারের সঙ্গে হঠাৎ একসঙ্গে বসে খাওয়ার সুযোগ, কখনো গেম খেলার মাঝখানে, কখনো ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দুপুরবেলায়, ক্লিক করে খাবার অর্ডার দেওয়াটাই যেন একটা স্বস্তির অন্য নাম। ক্লিকের এই যাত্রায় ফুডি শহরের খাবার-সংস্কৃতিকে যেমন বদলে দিচ্ছে, তেমনি বদলে দিচ্ছে আমাদের খাওয়ার অভ্যাস, সময় ব্যবস্থাপনা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগের ধরনকেও।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যস্ত কর্মঘণ্টা, শহুরে যানজট আর ঘরে ফেরার পর রাজ্যের ক্লান্তির মাঝেও মানুষ চায় পছন্দের খাবারটা সময়মতো হাতের কাছে পেতে। এই চাওয়াকে পূরণ করছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ‘ফুডি’। যা এক বছরের কম সময়ের মধ্যে কর্মব্যস্ত শহুরে বাসিন্দাদের কাছে নির্ভরতার আরেক নাম হয়ে উঠেছে।
‘ফুডি’র যাত্রা শুরু হয় ২০২৪ সালের জুনে। এর উদ্যোক্তারা লক্ষ করেন, বাংলাদেশে বড় শহরগুলোতে দ্রুত, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী খাবার পৌঁছে দেওয়ার নির্ভরযোগ্য মাধ্যমের স্বল্পতা রয়েছে। এই খাতে হাতে গোনা দু-একটি প্রতিষ্ঠান থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। খাবার অর্ডার করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় গ্রাহকদের। খাবারের মান ও মূল্য নিয়েও থাকে নানা অভিযোগ। গ্রাহকদের দৈনন্দিন এই তিক্ত অভিজ্ঞতাকে সহজতর করার ভাবনা থেকে ফুডির যাত্রা শুরু। এক বছর না পেরোতেই তারা দেশের ১৯টি শহরের মানুষকে প্রতিদিন খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। এই অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস শহুরে বাসিন্দাদের দিচ্ছে নতুন অভিজ্ঞতা; বিশেষ করে তরুণ পেশাজীবী, শিক্ষার্থী ও ব্যাচেলরদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে ফুডি। দিনে দিনে তারা আবিষ্কার করছে, খাবার মানে শুধু ক্ষুধা মেটানো নয়, এটা কর্মব্যস্ত দিনে একটুখানি স্বস্তিও বটে।
ফুডির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অ্যাপভিত্তিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা। ব্যবহারকারী অ্যাপে প্রবেশ করেই আশপাশের রেস্টুরেন্টগুলোর মেনু, মূল্য এবং ডেলিভারি সময় দেখে অর্ডার দিতে পারেন। আর মাত্র ৩০-৪৫ মিনিটের মধ্যে খাবার চলে আসে তাঁর দোরগোড়ায়। নিরাপত্তা এবং খাবারের মান ও স্বাদ বজায় রাখার ক্ষেত্রে ফুডি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহনেওয়াজ মান্নান। প্রতিটি খাবার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আগে করা হয় ডাবল চেকিং এবং গ্রাহকদের মতামতের ভিত্তিতে চালানো হয় নিয়মিত রেস্টুরেন্ট রিভিউ। তাঁদের ‘রিয়েল টাইম ট্র্যাকিং’ ফিচার অনেক গ্রাহকের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। কারণ, এতে দেখা যায়, খাবার এখন ঠিক কোথায় আছে এবং কত মিনিটে পৌঁছাবে।
ফুডি অ্যাপে ঢুকলেই চোখে পড়ে অসংখ্য রেস্টুরেন্টের তালিকা—পাঁচতারা হোটেল থেকে শুরু করে পাড়ার সেই পুরোনো বিরিয়ানির দোকান। ব্যবহারকারীরা খুব সহজে দেখতে পারেন কী খাচ্ছেন অন্যরা, কোন রেস্টুরেন্টে রেটিং কেমন আর ডেলিভারি চার্জ কত। খাবারের ছবিগুলোও যেন জিবে জল আনে।
রাজধানীর বনানী এলাকার আইটি প্রফেশনাল সাকিব আহমেদ বলেন, ‘প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে রান্না করা সম্ভব হয় না। আগে হয়তো মেসের খাবার খেয়ে নিতে হতো। এখন ফুডিতে ঢুকেই দেখি, আশপাশে কী কী অপশন আছে।’
ফুডির সিইওর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁরা দিনে গড়ে ১৫ হাজার অর্ডার ডেলিভারি করছেন।
ফুডি শুধু গ্রাহকদের নয়, রেস্টুরেন্ট মালিকদের জীবনেও এনেছে বড় পরিবর্তন। তাঁরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় গড়া ছোট রেস্তোরাঁগুলোকেও সামনে নিয়ে এসেছে। বর্তমানে ফুডিতে যুক্ত রয়েছে সাত হাজারের বেশি রেস্টুরেন্ট। প্রতি সপ্তাহে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম, যারা চায় তাদের খাবার শহরের আরও মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। তবে রেস্টুরেন্ট যুক্ত করার আগে তাদের মান নিশ্চিত করার চেষ্টা করে ফুডি টিম। এ জন্য সাধারণত রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন এবং খাবারের মান যাচাইয়ের পর তালিকায় যুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশে ডেলিভারি সার্ভিসে মূলত পুরুষ কর্মীদেরই দেখা যায়। তবে ফুডি সেখানে কিছুটা ব্যতিক্রম। প্রতিষ্ঠানটি পুরুষদের পাশাপাশি নারী কর্মীও নিয়োগ দিচ্ছে। বর্তমানে শতাধিক নারী কর্মী ফুডির সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছেন। তাঁরা শুধু খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন না, বরং ভাঙছেন প্রতিবন্ধকতার দেয়াল।
ফুডি এখন শুধু খাবার নয়, পৌঁছে দিচ্ছে ফুলও। জন্মদিন, অ্যানিভার্সারি কিংবা হঠাৎ ‘ভালোবাসি’ বলা মুহূর্তগুলোতে প্রিয়জনের দরজায় পৌঁছে যাচ্ছে গোলাপ, বেলিসহ পছন্দের সব ফুল। ফুডির সিইও বললেন, ফুলের তোড়া, মালাসহ বিশেষ দিবসে থিম ফ্লাওয়ার প্যাকেজও ডেলিভারি দিচ্ছে ফুডি।
খাবারের পাশাপাশি দোরগোড়ায় প্রয়োজনীয় সবকিছু পৌঁছে দিতে ফুডি নিয়ে আসছে ফুডি মার্ট। চলতি বছর এই সেবা চালু হবে বলে জানান শাহনেওয়াজ মান্নান। নিত্যপ্রয়োজনীয় গ্রোসারি পণ্য, ওষুধ, পানীয় এমনকি গিফট আইটেমও এখানে অর্ডার করা যাবে। এ ছাড়া আসছে নতুন সব ফিচার।
শহুরে যানজট, হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া খাবার, কিংবা ডেলিভারি কর্মীদের নিরাপত্তা—সবকিছুই ভাবায় ফুডি টিমকে। আর তাই ডেলিভারি কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফুডি নিয়েছে বেশ কিছু উদ্যোগ। কর্মীদের দেওয়া হয় নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ এবং ফ্রি সেফটি কিডস। আর খাবার নিরাপদ রাখতে বিশেষ ব্যাগ তো রয়েছেই।
ফুডি এখন শুধু খাবার পৌঁছে দেওয়া নয়, বরং একটি দ্রুতগতির শহুরে জীবনের অংশ হয়ে উঠছে। এটি শুধু একটি অ্যাপ নয়, বরং সময় বাঁচানোর চাবিকাঠি। একাকিত্বে একটু আনন্দ, কিংবা পরিবারের সঙ্গে হঠাৎ একসঙ্গে বসে খাওয়ার সুযোগ, কখনো গেম খেলার মাঝখানে, কখনো ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দুপুরবেলায়, ক্লিক করে খাবার অর্ডার দেওয়াটাই যেন একটা স্বস্তির অন্য নাম। ক্লিকের এই যাত্রায় ফুডি শহরের খাবার-সংস্কৃতিকে যেমন বদলে দিচ্ছে, তেমনি বদলে দিচ্ছে আমাদের খাওয়ার অভ্যাস, সময় ব্যবস্থাপনা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগের ধরনকেও।

ব্যস্ত কর্মঘণ্টা, শহুরে যানজট আর ঘরে ফেরার পর রাজ্যের ক্লান্তির মাঝেও মানুষ চায় পছন্দের খাবারটা সময়মতো হাতের কাছে পেতে। এই চাওয়াকে পূরণ করছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ‘ফুডি’। যা এক বছরের কম সময়ের মধ্যে কর্মব্যস্ত শহুরে বাসিন্দাদের কাছে নির্ভরতার আরেক নাম হয়ে উঠেছে।
‘ফুডি’র যাত্রা শুরু হয় ২০২৪ সালের জুনে। এর উদ্যোক্তারা লক্ষ করেন, বাংলাদেশে বড় শহরগুলোতে দ্রুত, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী খাবার পৌঁছে দেওয়ার নির্ভরযোগ্য মাধ্যমের স্বল্পতা রয়েছে। এই খাতে হাতে গোনা দু-একটি প্রতিষ্ঠান থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। খাবার অর্ডার করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় গ্রাহকদের। খাবারের মান ও মূল্য নিয়েও থাকে নানা অভিযোগ। গ্রাহকদের দৈনন্দিন এই তিক্ত অভিজ্ঞতাকে সহজতর করার ভাবনা থেকে ফুডির যাত্রা শুরু। এক বছর না পেরোতেই তারা দেশের ১৯টি শহরের মানুষকে প্রতিদিন খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। এই অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস শহুরে বাসিন্দাদের দিচ্ছে নতুন অভিজ্ঞতা; বিশেষ করে তরুণ পেশাজীবী, শিক্ষার্থী ও ব্যাচেলরদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে ফুডি। দিনে দিনে তারা আবিষ্কার করছে, খাবার মানে শুধু ক্ষুধা মেটানো নয়, এটা কর্মব্যস্ত দিনে একটুখানি স্বস্তিও বটে।
ফুডির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অ্যাপভিত্তিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা। ব্যবহারকারী অ্যাপে প্রবেশ করেই আশপাশের রেস্টুরেন্টগুলোর মেনু, মূল্য এবং ডেলিভারি সময় দেখে অর্ডার দিতে পারেন। আর মাত্র ৩০-৪৫ মিনিটের মধ্যে খাবার চলে আসে তাঁর দোরগোড়ায়। নিরাপত্তা এবং খাবারের মান ও স্বাদ বজায় রাখার ক্ষেত্রে ফুডি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহনেওয়াজ মান্নান। প্রতিটি খাবার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আগে করা হয় ডাবল চেকিং এবং গ্রাহকদের মতামতের ভিত্তিতে চালানো হয় নিয়মিত রেস্টুরেন্ট রিভিউ। তাঁদের ‘রিয়েল টাইম ট্র্যাকিং’ ফিচার অনেক গ্রাহকের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। কারণ, এতে দেখা যায়, খাবার এখন ঠিক কোথায় আছে এবং কত মিনিটে পৌঁছাবে।
ফুডি অ্যাপে ঢুকলেই চোখে পড়ে অসংখ্য রেস্টুরেন্টের তালিকা—পাঁচতারা হোটেল থেকে শুরু করে পাড়ার সেই পুরোনো বিরিয়ানির দোকান। ব্যবহারকারীরা খুব সহজে দেখতে পারেন কী খাচ্ছেন অন্যরা, কোন রেস্টুরেন্টে রেটিং কেমন আর ডেলিভারি চার্জ কত। খাবারের ছবিগুলোও যেন জিবে জল আনে।
রাজধানীর বনানী এলাকার আইটি প্রফেশনাল সাকিব আহমেদ বলেন, ‘প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে রান্না করা সম্ভব হয় না। আগে হয়তো মেসের খাবার খেয়ে নিতে হতো। এখন ফুডিতে ঢুকেই দেখি, আশপাশে কী কী অপশন আছে।’
ফুডির সিইওর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁরা দিনে গড়ে ১৫ হাজার অর্ডার ডেলিভারি করছেন।
ফুডি শুধু গ্রাহকদের নয়, রেস্টুরেন্ট মালিকদের জীবনেও এনেছে বড় পরিবর্তন। তাঁরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় গড়া ছোট রেস্তোরাঁগুলোকেও সামনে নিয়ে এসেছে। বর্তমানে ফুডিতে যুক্ত রয়েছে সাত হাজারের বেশি রেস্টুরেন্ট। প্রতি সপ্তাহে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম, যারা চায় তাদের খাবার শহরের আরও মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। তবে রেস্টুরেন্ট যুক্ত করার আগে তাদের মান নিশ্চিত করার চেষ্টা করে ফুডি টিম। এ জন্য সাধারণত রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন এবং খাবারের মান যাচাইয়ের পর তালিকায় যুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশে ডেলিভারি সার্ভিসে মূলত পুরুষ কর্মীদেরই দেখা যায়। তবে ফুডি সেখানে কিছুটা ব্যতিক্রম। প্রতিষ্ঠানটি পুরুষদের পাশাপাশি নারী কর্মীও নিয়োগ দিচ্ছে। বর্তমানে শতাধিক নারী কর্মী ফুডির সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছেন। তাঁরা শুধু খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন না, বরং ভাঙছেন প্রতিবন্ধকতার দেয়াল।
ফুডি এখন শুধু খাবার নয়, পৌঁছে দিচ্ছে ফুলও। জন্মদিন, অ্যানিভার্সারি কিংবা হঠাৎ ‘ভালোবাসি’ বলা মুহূর্তগুলোতে প্রিয়জনের দরজায় পৌঁছে যাচ্ছে গোলাপ, বেলিসহ পছন্দের সব ফুল। ফুডির সিইও বললেন, ফুলের তোড়া, মালাসহ বিশেষ দিবসে থিম ফ্লাওয়ার প্যাকেজও ডেলিভারি দিচ্ছে ফুডি।
খাবারের পাশাপাশি দোরগোড়ায় প্রয়োজনীয় সবকিছু পৌঁছে দিতে ফুডি নিয়ে আসছে ফুডি মার্ট। চলতি বছর এই সেবা চালু হবে বলে জানান শাহনেওয়াজ মান্নান। নিত্যপ্রয়োজনীয় গ্রোসারি পণ্য, ওষুধ, পানীয় এমনকি গিফট আইটেমও এখানে অর্ডার করা যাবে। এ ছাড়া আসছে নতুন সব ফিচার।
শহুরে যানজট, হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া খাবার, কিংবা ডেলিভারি কর্মীদের নিরাপত্তা—সবকিছুই ভাবায় ফুডি টিমকে। আর তাই ডেলিভারি কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফুডি নিয়েছে বেশ কিছু উদ্যোগ। কর্মীদের দেওয়া হয় নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ এবং ফ্রি সেফটি কিডস। আর খাবার নিরাপদ রাখতে বিশেষ ব্যাগ তো রয়েছেই।
ফুডি এখন শুধু খাবার পৌঁছে দেওয়া নয়, বরং একটি দ্রুতগতির শহুরে জীবনের অংশ হয়ে উঠছে। এটি শুধু একটি অ্যাপ নয়, বরং সময় বাঁচানোর চাবিকাঠি। একাকিত্বে একটু আনন্দ, কিংবা পরিবারের সঙ্গে হঠাৎ একসঙ্গে বসে খাওয়ার সুযোগ, কখনো গেম খেলার মাঝখানে, কখনো ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দুপুরবেলায়, ক্লিক করে খাবার অর্ডার দেওয়াটাই যেন একটা স্বস্তির অন্য নাম। ক্লিকের এই যাত্রায় ফুডি শহরের খাবার-সংস্কৃতিকে যেমন বদলে দিচ্ছে, তেমনি বদলে দিচ্ছে আমাদের খাওয়ার অভ্যাস, সময় ব্যবস্থাপনা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগের ধরনকেও।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৫ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৬ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

ব্যস্ত কর্মঘণ্টা, শহুরে যানজট আর ঘরে ফেরার পর রাজ্যের ক্লান্তির মাঝেও মানুষ চায় পছন্দের খাবারটা সময়মতো হাতের কাছে পেতে। এই চাওয়াকে পূরণ করছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ‘ফুডি’। যা এক বছরের কম সময়ের মধ্যে কর্মব্যস্ত শহুরে বাসিন্দাদের কাছে নির্ভরতার আরেক নাম হয়ে উঠেছে।
০৬ মে ২০২৫
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৫ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৬ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ব্যস্ত কর্মঘণ্টা, শহুরে যানজট আর ঘরে ফেরার পর রাজ্যের ক্লান্তির মাঝেও মানুষ চায় পছন্দের খাবারটা সময়মতো হাতের কাছে পেতে। এই চাওয়াকে পূরণ করছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ‘ফুডি’। যা এক বছরের কম সময়ের মধ্যে কর্মব্যস্ত শহুরে বাসিন্দাদের কাছে নির্ভরতার আরেক নাম হয়ে উঠেছে।
০৬ মে ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৬ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

ব্যস্ত কর্মঘণ্টা, শহুরে যানজট আর ঘরে ফেরার পর রাজ্যের ক্লান্তির মাঝেও মানুষ চায় পছন্দের খাবারটা সময়মতো হাতের কাছে পেতে। এই চাওয়াকে পূরণ করছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ‘ফুডি’। যা এক বছরের কম সময়ের মধ্যে কর্মব্যস্ত শহুরে বাসিন্দাদের কাছে নির্ভরতার আরেক নাম হয়ে উঠেছে।
০৬ মে ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৫ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

ব্যস্ত কর্মঘণ্টা, শহুরে যানজট আর ঘরে ফেরার পর রাজ্যের ক্লান্তির মাঝেও মানুষ চায় পছন্দের খাবারটা সময়মতো হাতের কাছে পেতে। এই চাওয়াকে পূরণ করছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ‘ফুডি’। যা এক বছরের কম সময়ের মধ্যে কর্মব্যস্ত শহুরে বাসিন্দাদের কাছে নির্ভরতার আরেক নাম হয়ে উঠেছে।
০৬ মে ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৫ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৬ ঘণ্টা আগে