Ajker Patrika

জিপি গ্রাহকদের জন্য ঢাকা ব্যাংক ও মাস্টারকার্ডের নতুন ক্রেডিট কার্ড

আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ১১: ০৬
জিপি গ্রাহকদের জন্য ঢাকা ব্যাংক ও মাস্টারকার্ডের নতুন ক্রেডিট কার্ড

গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য দুটি কো-ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড উন্মোচনে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিএল) ও মাস্টারকার্ডের সঙ্গে পার্টনারশিপ করেছে। ওয়ার্ল্ড কার্ড ও তাইয়্যেবা টাইটেনিয়াম কার্ডের উদ্ভাবনী ফিচারসমূহ গ্রামীণফোন গ্রাহকদের ভ্রমণ ও লাইফস্টাইলকে করবে আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক। নতুন কার্ড উন্মোচনের মাধ্যমে দেশের প্রথম কোনো টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য মাস্টারকার্ডের সঙ্গে কো-ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড নিয়ে এল। 

এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বার্তা প্রদান করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোন থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, সিএমও সাজ্জাদ হাসিব, সিবিও ড. আসিফ নাইমুর রশিদ। মাস্টারকার্ড থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এবং ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী এমরানুল হক। এ সময় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। 

কানেকটিভিটির শক্তি ও চলমান ডিজিটালাইজেশনের সঙ্গে কো-ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ডের উন্মোচন গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে আসবে, যা আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে। ওয়ার্ল্ড কার্ডের মাধ্যমে ভারত, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্যান্য দেশ ভ্রমণে আকর্ষণীয় অফারের ফলে কার্ড ব্যবহারকারীরা সত্যিকার অর্থেই বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা উপভোগ করবেন। এই কার্ড ডিবিএল ও মাস্টারকার্ডের টপ-টায়ার কার্ড, যা কার্ড ব্যবহারকারীদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এ ক্ষেত্রে কার্ড গ্রাহকেরা বিশ্বের ১৩ শতাধিক লাউঞ্জ কমপ্লিমেন্টারি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া তাঁরা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনলিমিটেড অ্যাকসেস পাবেন। পাশাপাশি গ্রাহকেরা গ্রামীণফোনের প্রি-অ্যাকটিভেটেড রোমিং সুবিধা উপভোগ করবেন এবং ঢাকা ব্যাংক এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে প্রায়োরিটি সেবা পাবেন। গ্রামীণফোনের গ্রাহক যাঁরা ওয়ার্ল্ড কার্ড নেবেন, তাঁরা জিপি স্টার লয়্যালটি প্রোগ্রামে প্ল্যাটিনাম স্টার স্ট্যাটাস পাবেন। অন্যদিকে, তাইয়্যেবা হচ্ছে প্রথম শরিয়াভিত্তিক ইসলামি কো-ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড, যা উজরাহভিত্তিক শরিয়া নিশ্চিত করবে। তাইয়্যেবা টাইটেনিয়াম কার্ড গ্রাহকেরা হজ ও ওমরাহের সময় গ্রামীণফোনের প্রি-অ্যাক্টিভেটেড রোমিং সুবিধার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন কানেকটিভিটি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন; পাশাপাশি, ওমরাহ প্যাকেজে পাবেন বিশেষ ডিসকাউন্ট। যাঁরা তাইয়্যেবা টাইটেনিয়াম কার্ড নেবেন, তাঁদের প্রথম তিনি বছর বার্ষিক ফি প্রদান করতে হবে না। গ্রামীণফোনের যেসব গ্রাহক তাইয়্যেবা টাইটেনিয়াম কার্ড ব্যবহার করবেন, তাঁরা বিভিন্ন ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডে আকর্ষণীয় সব সুবিধা পাবেন এবং জিপি স্টার লয়্যালটি প্রোগ্রামে গোল্ড স্টার স্ট্যাটাস লাভ করবেন। 

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘মানুষের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা এবং তাদের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে কানেক্ট করাই গ্রামীণফোনের প্রধান উদ্দেশ্য। আর তাই গ্রাহকদের ডিজিটাল লাইফস্টাইল নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাঁদের জীবন আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করে তুলতে প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি আমরা।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল এই যুগে, অন্যান্য খাতের পার্টনারদের সহযোগিতায় নিত্যনতুন উদ্ভাবনী সেবা নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে অশেষ সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। গ্রামীণফোন ও ঢাকা ব্যাংকের মধ্যে এই পার্টনারশিপ প্রথমবারের মতো টেলকো-টেক ইন্ডাস্ট্রিতে বৈশ্বিক লাইফস্টাইল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশে যেভাবে আমরা ১ নম্বর নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেছি, ঠিক সেভাবেই দেশের বাইরেও আমরা ইন্টারন্যাশনাল রোমিংয়ের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন কানেকটিভিটি নিশ্চিত করতে চাই। পর্যটক ও ভ্রমণকারীরা এখন এই কার্ডের প্রি-অ্যাক্টিভেটেড রোমিংয়ের মাধ্যমে অনন্য অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন। এই অংশীদারত্ব নিয়ে আমরা আনন্দিত; সামনে ঈদ ও হজের মৌসুম আসছে। এ সময় হজযাত্রীদের ভ্রমণ আরও সহজ করে তুলবে আমাদের এই কার্ড।’ 

বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, ‘গ্রামীণফোন ও ঢাকা ব্যাংকের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে নতুন এই ক্রেডিট কার্ড নিয়ে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত। নতুন এই কার্ডে নিরবচ্ছিন্ন কানেকটিভিটি, প্রায়োরিটি সেবা, লাউঞ্জের সুবিধা ও জিপি স্টার লয়্যালটি প্রোগ্রামের অধীনে প্লাটিনাম স্টার স্ট্যাটাস ছাড়াও রমজান মাস চলাকালে হজ-ওমরাহ প্যাকেজে বিশেষ ছাড়ের মতো আরও অনেক সুবিধা থাকবে। মাস্টারকার্ড সব সময়ই দ্রুত, নিরাপদ ও বিশ্বস্ত বৈশ্বিক পেমেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এর কার্ডহোল্ডারদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে চায়।’ 

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালপক ও প্রধান নির্বাহী এমরানুল হক বলেন, ‘ঢাকা ব্যাংক সব সময়ই গ্রাহকের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর সেবা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। আর এ কারণেই আমরা দুর্দান্ত সব ফিচারসহ গ্রামীণফোন ও মাস্টারকার্ডের সঙ্গে যৌথভাবে ক্রেডিট কার্ড উন্মোচন করেছি। আমরাও ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ হিসেবে ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্মের আওতায় আরও বেশি মানুষকে যুক্ত করতে চাই। আমরা দেশের মানুষ ও সমাজের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আধুনিক ব্যাংকিং সেবা নিয়ে আসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ 

কার্ড নিতে আগ্রহীদের ‘ডিবিএল’ টাইপ করে ২৯০০০ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজ হিসেবে গ্রাহকেরা ডিবিএল ওয়েবসাইটের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্মে প্রবেশের একটি লিংক পাবেন। ডিবিএল থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। গ্রামীণফোনের সব গ্রাহক এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

ভারতীয়দের ওয়ার্ক পারমিট বাতিলসহ ৪ দফা দাবি ঘোষণা করল ইনকিলাব মঞ্চ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইসলামি ১০ ও সহকারি ৬ ব্যাংক: ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৬
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।

সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।

ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।

সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

ভারতীয়দের ওয়ার্ক পারমিট বাতিলসহ ৪ দফা দাবি ঘোষণা করল ইনকিলাব মঞ্চ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ছয় মাসে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’

সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

ভারতীয়দের ওয়ার্ক পারমিট বাতিলসহ ৪ দফা দাবি ঘোষণা করল ইনকিলাব মঞ্চ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনবিআর কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে টাকা দাবি, সতর্কবার্তা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।

এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’

জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

ভারতীয়দের ওয়ার্ক পারমিট বাতিলসহ ৪ দফা দাবি ঘোষণা করল ইনকিলাব মঞ্চ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল আরও ৫৭ হাজার টন গম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় নগদ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই গম আমদানি করা হয়েছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম চালানে ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম দেশে এসেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৩৪ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৫৬ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে আরেক চুক্তিতে (জি-টু-জি) এরই মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

ভারতীয়দের ওয়ার্ক পারমিট বাতিলসহ ৪ দফা দাবি ঘোষণা করল ইনকিলাব মঞ্চ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত