Ajker Patrika

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে চীনকে ছাড়িয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র, উদ্বেগে বেইজিং

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে চীনকে ছাড়িয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র, উদ্বেগে বেইজিং

ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্রুত ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য নিয়ে চীনের উদ্বেগ বাড়ছে। যেখানে বাইডেন প্রশাসন বিশ্বের দুই নম্বর অর্থনীতিকে চাপে ফেলতে তাঁর নবগঠিত ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য মরিয়া হয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। 

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের নতুন তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে চীন দীর্ঘদিনের অবস্থান হারিয়েছে। 

গত মার্চে সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে বিশ্বের দুটি সর্বাধিক জনবহুল দেশের মধ্যে পণ্যদ্রব্য বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১১৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় বাণিজ্য বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৬ শতাংশ। 

কিন্তু একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ১১৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। 

চীন থেকে ভারত আমদানি করে মূলত মেশিনারিজ এবং ইলেকট্রনিক্স। এসব পণ্য আমদানি ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু চীনে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে মাত্র দশমিক ৩ শতাংশ। গত বছর চীনে ভারত এই দুই ধরনের পণ্য রপ্তানি করেছে ২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের। 

বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের এই রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় এক লাফে ৪৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৬ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যেখানে ভারতের আমদানি ৫০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। 

স্পষ্টত চীনের সঙ্গে ৭২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতির তুলনায় ভারত গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৩২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য উদ্বৃত্তের রেকর্ড করেছে। 

এই দুই দেশ ছাড়া ভারতের শীর্ষ ১০টি ব্যবসায়িক অংশীদার হলো—সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইরাক, সিঙ্গাপুর, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া। 

ভারতের সঙ্গে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের এই বাণিজ্য সম্পর্কের বাঁক বদল নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে চীনা গণমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। 

যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে চীনা কনস্যুলেট জেনারেলের সাবেক বাণিজ্যিক পরামর্শদাতা হি ওয়েইওয়েন পত্রিকাটিকে বলেছেন, ‘ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য মূলত পরিপূরক, যেমনটি সিলিকন ভ্যালির আউটসোর্স আইটি পরিষেবা খাতে দেখা যায়। তাদের বাণিজ্য মূল্য চীন-ভারত বাণিজ্যকে ছাড়িয়ে যাবে, এমন প্রবণতাই দেখা যাচ্ছে। তবে এটি চীন-মার্কিন বাণিজ্যের তুলনায় অনেক কম।’ 

বেইজিং-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর চায়না অ্যান্ড গ্লোবালাইজেশনের সিনিয়র ফেলো হি ওয়েইওয়েন বলেন, ‘চীনের উচিত দেশীয় দুর্বল যোগাযোগগুলো ঠিকঠাক করার দিকে মনোনিবেশ করা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোটের (আসিয়ান) সঙ্গে সম্পর্ক চাঙা করা। এখানেই তার সর্বাধিক বাণিজ্য আছে। এই অংশীদারদের সঙ্গে তার সম্পূর্ণ সরবরাহ চেইন আছে।’ 

চীনের উচিত বিদেশী অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সাম্প্রতিক মহামারির নেতিবাচক প্রভাবের প্রতিকারে দৃষ্টি দেওয়া। ভারত এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত থাকাটা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ তাদের আকার খুব ছোট। নিজেদের বিষয়ে আগে কাজের কাজ করা উচিত। যোগ করেন সাবেক কূটনীতি হি। 

 ২০১৩-১৮ সাল পর্যন্ত ভারতের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার ছিল চীন। যুক্তরাষ্ট্রের এই স্থানটি দখলের আগে অর্থাৎ ২০২০-২১ সালে ফের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছিল চীন। 

চাইনিজ একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের মার্কিন ইস্যু বিষয়ক গবেষক লু জিয়াং মনে করছেন, ভারতে চীনের রপ্তানি নয়াদিল্লির বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বিধিনিষেধ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্প্রতি উত্তেজনা বৃদ্ধির একটি স্পষ্ট নিদর্শন এটি। তবে এই দুটি বাজারের প্রকৃতি ভিন্ন। ভারতের জন্য মার্কিন বাজার কখনোই চীনকে পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারবে না। এমনটাই বক্তব্য লু জিয়াংয়ের। 

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠতা চীনের সামনে বেশ কয়েকটি ঝুঁকির ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইউক্রেনে আক্রমণের পরে পশ্চিমা শক্তিগুলো রাশিয়ার সঙ্গে ক্রমেই বাণিজ্য সঙ্কোচন করছে। যেখানে বেইজিংয়ের শূন্য-কোভিড নীতি অর্থনীতিকে ধীরগতি করে ফেলছে। এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা ব্যবসায় বৈচিত্র্য বিবেচনায় বাধ্য হচ্ছেন। 

পিংগান সিকিউরিটিজের প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝং ঝেংশেং মনে করছেন, ওয়াশিংটনের ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক মোকাবিলায় চীনের এখন উচিত আসিয়ানের সঙ্গে আরও গভীরভাবে যুক্ত হওয়া। ফ্রেমওয়ার্কটি মূলত ট্রান্স-প্যাসিফিক অংশীদারিত্বের স্থলে একটি বিস্তৃত এবং প্রাগ্রসর চুক্তির প্রতিস্থাপন। কারণ বাইডেন প্রশাসন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। সেই লক্ষ্যে আঞ্চলিক ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব (আরসিইপি) জোটের সদস্যদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে। আজ সোমবার এরকমই একটি নোট লিখেছেন ঝং। 

ভারত কিন্তু চীনের নেতৃত্বাধীন আরসিইপি জোটের সদস্য নয়। যদিও গত সপ্তাহে জো বাইডেনের এশিয়া সফরের সময় তাঁর প্রতিষ্ঠিত ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়েছে ভারত। মার্কিন বলয়ে এভাবে নয়াদিল্লির পদক্ষেপ চীনের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

ফলের দোকানদার ও বেকার ছেলে: অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে হামলাকারী সম্পর্কে যা জানা গেল

হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোনার দাম ভরিতে ১৪৭০ টাকা বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।

এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

বিষয়:

দামসোনা
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

ফলের দোকানদার ও বেকার ছেলে: অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে হামলাকারী সম্পর্কে যা জানা গেল

হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শেভরনের সহায়তায় সিলেটে ৬০ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনে ফেরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
শেভরন-এসএমআইএল প্রকল্পে ৬০ প্রতিবন্ধীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
শেভরন-এসএমআইএল প্রকল্পে ৬০ প্রতিবন্ধীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’

শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’

সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’

করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।

গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

ফলের দোকানদার ও বেকার ছেলে: অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে হামলাকারী সম্পর্কে যা জানা গেল

হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আরও ১৪ কোটি ১৫ লাখ ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

ফলের দোকানদার ও বেকার ছেলে: অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে হামলাকারী সম্পর্কে যা জানা গেল

হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দিনে ১৭২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিল সরকার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।

আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’

দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

ফলের দোকানদার ও বেকার ছেলে: অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে হামলাকারী সম্পর্কে যা জানা গেল

হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত