Ajker Patrika

ট্রাম্পের শুল্কে পোশাক খাতে শঙ্কা

  • এত দিন বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক ছিল ১৫.৫ শতাংশ।
  • এবার বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ।
  • বাণিজ্য ঘাটতির ভিত্তিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের।
  • আলোচনা করে সমাধানের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার।
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার এক ঘোষণায় বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর উচ্চ হারে নতুন শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের এ তালিকায় বাদ পড়েনি বাংলাদেশের নামও। ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্ক যুক্ত হয়েছে। এত দিন দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। এখন তা বেড়ে ৫২ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে।

বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক বসানোর এ পদক্ষেপকে ট্রাম্প প্রশাসনের একটি ‘সর্বজনীন শুল্কনীতি’ বলা হলেও এ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের মধ্যে।

বাণিজ্য ও অর্থনীতি বিশ্লেষকেরা পর্যালোচনা করে দেখেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত পোশাকশিল্পের ওপর সরাসরি বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটি পুনর্বিবেচনা না হওয়া পর্যন্ত তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষতি সামগ্রিক অর্থনীতিকেই বয়ে বেড়াতে হবে। এতে ছেদ ঘটতে পারে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিশীলতায়।

তবে শুল্ক বিষয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে যৌথ আলোচনারও সুযোগ রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক শুল্ক কমিয়ে আনা সম্ভব হলে তার সুবিধা বাংলাদেশও যে পাবে, তার কিঞ্চিৎ ইঙ্গিত ট্রাম্পের ঘোষণাতেই আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপ ঘোষণার পরপরই করণীয় ঠিক করতে আমরা কাজ শুরু করেছি। বলার সময় এলেই জানতে পারবেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে ঘাটতির পরিমাণ বেশি হওয়ায় শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৮৩৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করলেও আমদানি করেছে মাত্র ২২১ কোটি ডলারের পণ্য। সে হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬১৫ কোটি ডলার।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রশাসন বাণিজ্য ঘাটতির ভিত্তিতে শুল্কহার নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশে মার্কিন পণ্যের ওপর বিদ্যমান গড় শুল্কহার ৭৪ শতাংশ। এর পাল্টা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তার অর্ধেক অর্থাৎ ৩৭ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপ করেছে। তবে বাংলাদেশ যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ায় বা শুল্ক কমায়, তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ শুল্ক কমানো হতে পারে।

এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ শুল্কহার পুনর্মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে। এনবিআর এখন এ নিয়ে কাজ করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘সবার আগে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। সেখানে রাজস্ব আদায়ে সামান্য ক্ষতি খুবই তুচ্ছ। আমরা কাজ শুরু করেছি। দেখছি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোন কোন পণ্য আমদানি হচ্ছে, সেখানে কোন স্তরে শুল্কহার ধার্য রয়েছে। এ বিষয়ে আগামী রোববার কর্মদিবসে বিস্তারিত পর্যালোচনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

বিশ্বব্যাপী শুল্ক প্রতিযোগিতা ও বাংলাদেশের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে যেসব দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর অতীতে বেশি শুল্ক আরোপ করেছে, তাদের ক্ষেত্রে এ হার আরও বেশি। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নতুন শুল্কহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ, ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ ও পাকিস্তানের ওপর ২৯ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া চীনের ওপর ৩৪ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপর ৪৪ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ওপর ৩৬ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ওপর ৪৯ শতাংশ এবং মিয়ানমারের ওপর ৪৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, এই শুল্কনীতির ফলে বেশ কিছু দেশ বিপাকে পড়লেও ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোর শুল্কহার তুলনামূলক বেশি হওয়ায় বাংলাদেশের কিছুটা প্রতিযোগিতার সুবিধা থাকতে পারে। তবে তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের জন্য শুল্কহার অপেক্ষাকৃত কম থাকায় তাদের বাজার প্রতিযোগিতা বাড়বে।

বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর সম্ভাব্য প্রভাব

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে উচ্চ শুল্কের ফলে ক্রেতারা কম শুল্কযুক্ত দেশগুলোর পণ্য কেনার দিকে ঝুঁকতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্প মূলত কম উৎপাদন খরচ এবং শুল্ক সুবিধার ওপর নির্ভরশীল। শুল্ক বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমে যেতে পারে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে যদি মার্কিন ক্রেতারা বিকল্প বাজারে চলে যান, তবে অর্ডার হ্রাসের কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে এবং লাভ কমে আসবে।

এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ৯৪ শতাংশ ভোক্তা যুক্তরাষ্ট্রের। তারা তখন চাহিদা কমিয়ে দেবে। ১০ ডলারের একটি টি-শার্ট আগে ১৫ শতাংশ শুল্ক যোগ করে দাম হতো সাড়ে ১১ ডলার, এখন আরও ৩৭ শতাংশ শুল্ক বসালে ওই টি-শার্টের মূল্য পড়বে ১৫ ডলার। তখন চাহিদার দিক থেকে সংকোচন হবে। বাংলাদেশের রপ্তানিতেও একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস রপ্তানির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। এমন পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বড় ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে, গার্মেন্টস রপ্তানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা যেতেই পারে। গার্মেন্টসের বাইরে, কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ লেদার গুডস, ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য পণ্যের রপ্তানিও বৃদ্ধি করেছে, এখন সেখানেও বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।

উৎপাদন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব

বর্ধিত শুল্কের কারণে রপ্তানিকারকদের উৎপাদন ব্যয় মেটানো কঠিন হয়ে যাবে। অনেক কারখানা লোকসানের মুখে পড়তে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরুৎসাহজনক হতে পারে। ফলে নতুন বিনিয়োগ কমে যাবে এবং অনেক প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কমাতে বাধ্য হতে পারে। পাশাপাশি শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঝুঁকিও বেড়ে যাবে। পোশাকশিল্প বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমঘন খাতগুলোর একটি, যেখানে ৪ মিলিয়ন শ্রমিক নিয়োজিত। রপ্তানি সংকুচিত হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাবে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ করে যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল, এটা আমাদের কাছে অনেকটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো এসেছে। এতে পোশাকশিল্প রপ্তানির পরিমাণ কমে যাবে। আর রপ্তানি কমে গেলে তার প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের ওপর। দ্রুত এ পরিস্থিতির সুরাহা না হলে অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এতে কাজ হারাতে পারেন বিপুলসংখ্যক শ্রমিক।

এলডিসি উত্তরণের প্রক্রিয়া কঠিন হবে

বিজিএমইএর বর্তমান পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শাশা গার্মেন্টসের এমডি শামস মাহমুদ বলেন, রপ্তানির খাতের ওপর অর্থনীতি অনেকটা নির্ভরশীল। যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও সামষ্টিক স্থিতিশীলতা চাপের মুখে পড়বে। সবচেয়ে বড় কথা, এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়া সহজ হবে না, যা উত্তরণের পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজনীয় করে তুলবে।

বাংলাদেশের করণীয় ও কৌশলগত পদক্ষেপ

বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত ও কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলেন, প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে আলোচনা চালিয়ে বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে শুল্ক হ্রাসের চেষ্টা করা দরকার। বাংলাদেশকে বিশেষ ট্রেড সুবিধার জন্য আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন বাজার খোঁজার চেষ্টা বাড়াতে হবে। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের কৌশল নেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা আরও ভালোভাবে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে। তৃতীয়ত, রপ্তানি খাতকে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারকে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে। এর মধ্যে কম সুদে ঋণসুবিধা, কর অবকাশ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও লজিস্টিক সুবিধার প্রসার অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। চতুর্থত, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের আমদানি বাড়ানোর সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা করা দরকার।

সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমেরিকা কাঁচামাল ব্যবহার করে তৈরি পণ্য রপ্তানি করলে তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার নীতি রয়েছে। বাংলাদেশ আমেরিকার তুলা ব্যবহার করে পোশাক বানিয়ে রপ্তানি করে। ফলে এ বিষয়টি টিকফার আলোচনায় তোলা যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তেল-পেঁয়াজে দাম বাড়তি, সবজিতে ফিরছে স্বস্তি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪০
টাটকা সবজি কিনছেন একজন। গতকাল রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারে।
টাটকা সবজি কিনছেন একজন। গতকাল রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারে।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।

ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।

জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’

বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।

বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।

গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।

সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।

দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।

দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।

আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।

ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।

সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’

ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।

মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উত্তরা ব্যাংকের ২৫০তম শাখার উদ্বোধন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টানা চার মাস কমল রপ্তানি আয়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।

এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।

জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।

নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।

পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।

তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।

সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?

বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিল সিগারেট কোম্পানি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪৮
৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিল  সিগারেট কোম্পানি

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।

এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।

এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত