জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশেষ গোষ্ঠীকে ঋণ বিতরণে বেশ উদারতা দেখিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। একক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণের সীমা ভেঙে আগ্রাসী অর্থায়ন করেছে ব্যাংকটি। বেক্সিমকো, এস আলম, এননটেক্সসহ ২৩টি গ্রুপ ও প্রতিষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের দেওয়া ঋণ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যাংকটির মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ৭৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণ ছিল ৯১ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা। এই সময়ে বহুল আলোচিত বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ২০ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
বেক্সিমকোর পরেই জনতা ব্যাংকের ঋণের একক বড় গ্রাহক চট্টগ্রামভিত্তিক আলোচিত ব্যবসায়িক গ্রুপ এস আলম। গ্রুপটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে জনতা ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ৭ হাজার ৮৩২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপির পরিমাণ ১ হাজার ২১৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
ব্যাংক খাতের ঋণ কেলেঙ্কারির আরেক আলোচিত নাম এননটেক্স। এই গ্রুপও জনতা ব্যাংক থেকে ৭ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এই ঋণের প্রায় শতভাগই খেলাপির খাতায় চলে গেছে। এননটেক্সে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭ হাজার ৭০৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গত জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদে জানান, দেশে শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। শীর্ষ খেলাপির এই তালিকায় ছিল এননটেক্স গ্রুপ, ক্রিসেন্ট গ্রুপ, রতনপুর গ্রুপ, রিম্যাক্স ফুটওয়্যার, লেক্সকো লিমিটেড ও বিআর স্পিনিংয়ের নাম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জনতা ব্যাংক থেকে রিম্যাক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের নেওয়া ১ হাজার ৭৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা ফান্ডেড ঋণের পুরোটাই খেলাপি হয়ে পড়েছে। আর ক্রিসেন্ট গ্রুপের ঋণ ২ হাজার ৮৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ঋণের মধ্যে ১ হাজার ৮০৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকাই খেলাপি। রতনপুর গ্রুপে জনতার ঋণ ১ হাজার ২২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, যার পুরোটাই খেলাপি হয়ে পড়েছে।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাঙ্কা গ্রুপে ১ হাজার ৭১৯ কোটি ৯ লাখ টাকা, ওরিয়ন গ্রুপে ২ হাজার ৮৫৪ কোটি ৪২ লাখ, থার্মেক্স গ্রুপে ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ৭৭ লাখ, সিকদার গ্রুপে ৮২৯ কোটি, জনকণ্ঠ গ্রুপে ৭৮৭ কোটি ৪৮ লাখ, মেঘনা সিমেন্টে ৬৭৪ কোটি ৭২ লাখ, লেক্সো লিমিটেডে ৬৫৫ কোটি ৪৭ লাখ, হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডে ৬৩৫ কোটি ৪৫ লাখ, আনন্দ শিপইয়ার্ডে ৬১৪ কোটি ৫৪ লাখ এবং বিআর স্পিনিং লিমিটেডে ৫৭৪ কোটি ২২ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে জনতা ব্যাংক। এ ছাড়া চৌধুরী গ্রুপকে ব্যাংকটির দেওয়া ৬৫৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকার ঋণের মধ্যে ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকাই খেলাপি হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ঋণ বিতরণের ঐশ্বরিক হাত রয়েছে। মূলত রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি এবং অনিয়মের কারণে নোংরাভাবে ঋণ ছাড় করা হয়। এসব চোখের সামনে ঘটে। যারা অবৈধ সুবিধায় জড়িত, তাদের বিচার করা দরকার। ব্যাংক খাত ঢেলে সাজালে দুর্নীতিমুক্ত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনতা ব্যাংকের কাছে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্টের (বিএডিসি) ঋণ ৪ হাজার ৩৭৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ঋণ ৩ হাজার ৬২৩ কোটি ৭৫৭ লাখ টাকা। পাশাপাশি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ঋণ ২ হাজার ৯২১ কোটি ৩ লাখ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সুগার অ্যান্ড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের ঋণ ১ হাজার ৬৯১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার বলেন, ‘ব্যাংকটির কিছু পুরোনো ঋণ রয়েছে। সেই ঋণের বোঝা টানতে হচ্ছে। তখন যাঁরা ঋণ দিয়েছেন, সেটা তাঁদের দায়। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকটির বড় ঋণ আদায় অব্যাহত রয়েছে। সামনে একটা অগ্রগতি দেখা যাবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ঋণের তো সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবু কিছু ব্যাংক আগ্রাসী ঋণ দেয়। এটা রীতিমতো আইনের লঙ্ঘন। বাংলাদেশ ব্যাংক অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাস করে। কোনো অপরাধী পার পাবে না। আইনের আওতায় এনে ব্যাংক লুটেরাদের বিচার করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশেষ গোষ্ঠীকে ঋণ বিতরণে বেশ উদারতা দেখিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। একক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণের সীমা ভেঙে আগ্রাসী অর্থায়ন করেছে ব্যাংকটি। বেক্সিমকো, এস আলম, এননটেক্সসহ ২৩টি গ্রুপ ও প্রতিষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের দেওয়া ঋণ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যাংকটির মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ৭৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণ ছিল ৯১ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা। এই সময়ে বহুল আলোচিত বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ২০ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
বেক্সিমকোর পরেই জনতা ব্যাংকের ঋণের একক বড় গ্রাহক চট্টগ্রামভিত্তিক আলোচিত ব্যবসায়িক গ্রুপ এস আলম। গ্রুপটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে জনতা ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ৭ হাজার ৮৩২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপির পরিমাণ ১ হাজার ২১৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
ব্যাংক খাতের ঋণ কেলেঙ্কারির আরেক আলোচিত নাম এননটেক্স। এই গ্রুপও জনতা ব্যাংক থেকে ৭ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এই ঋণের প্রায় শতভাগই খেলাপির খাতায় চলে গেছে। এননটেক্সে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭ হাজার ৭০৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গত জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদে জানান, দেশে শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। শীর্ষ খেলাপির এই তালিকায় ছিল এননটেক্স গ্রুপ, ক্রিসেন্ট গ্রুপ, রতনপুর গ্রুপ, রিম্যাক্স ফুটওয়্যার, লেক্সকো লিমিটেড ও বিআর স্পিনিংয়ের নাম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জনতা ব্যাংক থেকে রিম্যাক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের নেওয়া ১ হাজার ৭৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা ফান্ডেড ঋণের পুরোটাই খেলাপি হয়ে পড়েছে। আর ক্রিসেন্ট গ্রুপের ঋণ ২ হাজার ৮৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ঋণের মধ্যে ১ হাজার ৮০৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকাই খেলাপি। রতনপুর গ্রুপে জনতার ঋণ ১ হাজার ২২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, যার পুরোটাই খেলাপি হয়ে পড়েছে।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাঙ্কা গ্রুপে ১ হাজার ৭১৯ কোটি ৯ লাখ টাকা, ওরিয়ন গ্রুপে ২ হাজার ৮৫৪ কোটি ৪২ লাখ, থার্মেক্স গ্রুপে ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ৭৭ লাখ, সিকদার গ্রুপে ৮২৯ কোটি, জনকণ্ঠ গ্রুপে ৭৮৭ কোটি ৪৮ লাখ, মেঘনা সিমেন্টে ৬৭৪ কোটি ৭২ লাখ, লেক্সো লিমিটেডে ৬৫৫ কোটি ৪৭ লাখ, হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডে ৬৩৫ কোটি ৪৫ লাখ, আনন্দ শিপইয়ার্ডে ৬১৪ কোটি ৫৪ লাখ এবং বিআর স্পিনিং লিমিটেডে ৫৭৪ কোটি ২২ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে জনতা ব্যাংক। এ ছাড়া চৌধুরী গ্রুপকে ব্যাংকটির দেওয়া ৬৫৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকার ঋণের মধ্যে ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকাই খেলাপি হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ঋণ বিতরণের ঐশ্বরিক হাত রয়েছে। মূলত রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি এবং অনিয়মের কারণে নোংরাভাবে ঋণ ছাড় করা হয়। এসব চোখের সামনে ঘটে। যারা অবৈধ সুবিধায় জড়িত, তাদের বিচার করা দরকার। ব্যাংক খাত ঢেলে সাজালে দুর্নীতিমুক্ত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনতা ব্যাংকের কাছে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্টের (বিএডিসি) ঋণ ৪ হাজার ৩৭৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ঋণ ৩ হাজার ৬২৩ কোটি ৭৫৭ লাখ টাকা। পাশাপাশি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ঋণ ২ হাজার ৯২১ কোটি ৩ লাখ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সুগার অ্যান্ড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের ঋণ ১ হাজার ৬৯১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার বলেন, ‘ব্যাংকটির কিছু পুরোনো ঋণ রয়েছে। সেই ঋণের বোঝা টানতে হচ্ছে। তখন যাঁরা ঋণ দিয়েছেন, সেটা তাঁদের দায়। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকটির বড় ঋণ আদায় অব্যাহত রয়েছে। সামনে একটা অগ্রগতি দেখা যাবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ঋণের তো সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবু কিছু ব্যাংক আগ্রাসী ঋণ দেয়। এটা রীতিমতো আইনের লঙ্ঘন। বাংলাদেশ ব্যাংক অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাস করে। কোনো অপরাধী পার পাবে না। আইনের আওতায় এনে ব্যাংক লুটেরাদের বিচার করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশেষ গোষ্ঠীকে ঋণ বিতরণে বেশ উদারতা দেখিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। একক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণের সীমা ভেঙে আগ্রাসী অর্থায়ন করেছে ব্যাংকটি। বেক্সিমকো, এস আলম, এননটেক্সসহ ২৩টি গ্রুপ ও প্রতিষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের দেওয়া ঋণ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যাংকটির মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ৭৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণ ছিল ৯১ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা। এই সময়ে বহুল আলোচিত বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ২০ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
বেক্সিমকোর পরেই জনতা ব্যাংকের ঋণের একক বড় গ্রাহক চট্টগ্রামভিত্তিক আলোচিত ব্যবসায়িক গ্রুপ এস আলম। গ্রুপটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে জনতা ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ৭ হাজার ৮৩২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপির পরিমাণ ১ হাজার ২১৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
ব্যাংক খাতের ঋণ কেলেঙ্কারির আরেক আলোচিত নাম এননটেক্স। এই গ্রুপও জনতা ব্যাংক থেকে ৭ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এই ঋণের প্রায় শতভাগই খেলাপির খাতায় চলে গেছে। এননটেক্সে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭ হাজার ৭০৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গত জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদে জানান, দেশে শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। শীর্ষ খেলাপির এই তালিকায় ছিল এননটেক্স গ্রুপ, ক্রিসেন্ট গ্রুপ, রতনপুর গ্রুপ, রিম্যাক্স ফুটওয়্যার, লেক্সকো লিমিটেড ও বিআর স্পিনিংয়ের নাম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জনতা ব্যাংক থেকে রিম্যাক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের নেওয়া ১ হাজার ৭৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা ফান্ডেড ঋণের পুরোটাই খেলাপি হয়ে পড়েছে। আর ক্রিসেন্ট গ্রুপের ঋণ ২ হাজার ৮৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ঋণের মধ্যে ১ হাজার ৮০৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকাই খেলাপি। রতনপুর গ্রুপে জনতার ঋণ ১ হাজার ২২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, যার পুরোটাই খেলাপি হয়ে পড়েছে।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাঙ্কা গ্রুপে ১ হাজার ৭১৯ কোটি ৯ লাখ টাকা, ওরিয়ন গ্রুপে ২ হাজার ৮৫৪ কোটি ৪২ লাখ, থার্মেক্স গ্রুপে ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ৭৭ লাখ, সিকদার গ্রুপে ৮২৯ কোটি, জনকণ্ঠ গ্রুপে ৭৮৭ কোটি ৪৮ লাখ, মেঘনা সিমেন্টে ৬৭৪ কোটি ৭২ লাখ, লেক্সো লিমিটেডে ৬৫৫ কোটি ৪৭ লাখ, হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডে ৬৩৫ কোটি ৪৫ লাখ, আনন্দ শিপইয়ার্ডে ৬১৪ কোটি ৫৪ লাখ এবং বিআর স্পিনিং লিমিটেডে ৫৭৪ কোটি ২২ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে জনতা ব্যাংক। এ ছাড়া চৌধুরী গ্রুপকে ব্যাংকটির দেওয়া ৬৫৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকার ঋণের মধ্যে ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকাই খেলাপি হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ঋণ বিতরণের ঐশ্বরিক হাত রয়েছে। মূলত রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি এবং অনিয়মের কারণে নোংরাভাবে ঋণ ছাড় করা হয়। এসব চোখের সামনে ঘটে। যারা অবৈধ সুবিধায় জড়িত, তাদের বিচার করা দরকার। ব্যাংক খাত ঢেলে সাজালে দুর্নীতিমুক্ত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনতা ব্যাংকের কাছে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্টের (বিএডিসি) ঋণ ৪ হাজার ৩৭৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ঋণ ৩ হাজার ৬২৩ কোটি ৭৫৭ লাখ টাকা। পাশাপাশি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ঋণ ২ হাজার ৯২১ কোটি ৩ লাখ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সুগার অ্যান্ড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের ঋণ ১ হাজার ৬৯১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার বলেন, ‘ব্যাংকটির কিছু পুরোনো ঋণ রয়েছে। সেই ঋণের বোঝা টানতে হচ্ছে। তখন যাঁরা ঋণ দিয়েছেন, সেটা তাঁদের দায়। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকটির বড় ঋণ আদায় অব্যাহত রয়েছে। সামনে একটা অগ্রগতি দেখা যাবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ঋণের তো সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবু কিছু ব্যাংক আগ্রাসী ঋণ দেয়। এটা রীতিমতো আইনের লঙ্ঘন। বাংলাদেশ ব্যাংক অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাস করে। কোনো অপরাধী পার পাবে না। আইনের আওতায় এনে ব্যাংক লুটেরাদের বিচার করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশেষ গোষ্ঠীকে ঋণ বিতরণে বেশ উদারতা দেখিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। একক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণের সীমা ভেঙে আগ্রাসী অর্থায়ন করেছে ব্যাংকটি। বেক্সিমকো, এস আলম, এননটেক্সসহ ২৩টি গ্রুপ ও প্রতিষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের দেওয়া ঋণ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যাংকটির মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ৭৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণ ছিল ৯১ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা। এই সময়ে বহুল আলোচিত বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ২০ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
বেক্সিমকোর পরেই জনতা ব্যাংকের ঋণের একক বড় গ্রাহক চট্টগ্রামভিত্তিক আলোচিত ব্যবসায়িক গ্রুপ এস আলম। গ্রুপটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে জনতা ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ৭ হাজার ৮৩২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপির পরিমাণ ১ হাজার ২১৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
ব্যাংক খাতের ঋণ কেলেঙ্কারির আরেক আলোচিত নাম এননটেক্স। এই গ্রুপও জনতা ব্যাংক থেকে ৭ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এই ঋণের প্রায় শতভাগই খেলাপির খাতায় চলে গেছে। এননটেক্সে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭ হাজার ৭০৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গত জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদে জানান, দেশে শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। শীর্ষ খেলাপির এই তালিকায় ছিল এননটেক্স গ্রুপ, ক্রিসেন্ট গ্রুপ, রতনপুর গ্রুপ, রিম্যাক্স ফুটওয়্যার, লেক্সকো লিমিটেড ও বিআর স্পিনিংয়ের নাম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জনতা ব্যাংক থেকে রিম্যাক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের নেওয়া ১ হাজার ৭৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা ফান্ডেড ঋণের পুরোটাই খেলাপি হয়ে পড়েছে। আর ক্রিসেন্ট গ্রুপের ঋণ ২ হাজার ৮৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ঋণের মধ্যে ১ হাজার ৮০৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকাই খেলাপি। রতনপুর গ্রুপে জনতার ঋণ ১ হাজার ২২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, যার পুরোটাই খেলাপি হয়ে পড়েছে।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাঙ্কা গ্রুপে ১ হাজার ৭১৯ কোটি ৯ লাখ টাকা, ওরিয়ন গ্রুপে ২ হাজার ৮৫৪ কোটি ৪২ লাখ, থার্মেক্স গ্রুপে ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ৭৭ লাখ, সিকদার গ্রুপে ৮২৯ কোটি, জনকণ্ঠ গ্রুপে ৭৮৭ কোটি ৪৮ লাখ, মেঘনা সিমেন্টে ৬৭৪ কোটি ৭২ লাখ, লেক্সো লিমিটেডে ৬৫৫ কোটি ৪৭ লাখ, হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডে ৬৩৫ কোটি ৪৫ লাখ, আনন্দ শিপইয়ার্ডে ৬১৪ কোটি ৫৪ লাখ এবং বিআর স্পিনিং লিমিটেডে ৫৭৪ কোটি ২২ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে জনতা ব্যাংক। এ ছাড়া চৌধুরী গ্রুপকে ব্যাংকটির দেওয়া ৬৫৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকার ঋণের মধ্যে ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকাই খেলাপি হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ঋণ বিতরণের ঐশ্বরিক হাত রয়েছে। মূলত রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি এবং অনিয়মের কারণে নোংরাভাবে ঋণ ছাড় করা হয়। এসব চোখের সামনে ঘটে। যারা অবৈধ সুবিধায় জড়িত, তাদের বিচার করা দরকার। ব্যাংক খাত ঢেলে সাজালে দুর্নীতিমুক্ত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনতা ব্যাংকের কাছে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্টের (বিএডিসি) ঋণ ৪ হাজার ৩৭৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ঋণ ৩ হাজার ৬২৩ কোটি ৭৫৭ লাখ টাকা। পাশাপাশি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ঋণ ২ হাজার ৯২১ কোটি ৩ লাখ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সুগার অ্যান্ড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের ঋণ ১ হাজার ৬৯১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার বলেন, ‘ব্যাংকটির কিছু পুরোনো ঋণ রয়েছে। সেই ঋণের বোঝা টানতে হচ্ছে। তখন যাঁরা ঋণ দিয়েছেন, সেটা তাঁদের দায়। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকটির বড় ঋণ আদায় অব্যাহত রয়েছে। সামনে একটা অগ্রগতি দেখা যাবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ঋণের তো সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবু কিছু ব্যাংক আগ্রাসী ঋণ দেয়। এটা রীতিমতো আইনের লঙ্ঘন। বাংলাদেশ ব্যাংক অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাস করে। কোনো অপরাধী পার পাবে না। আইনের আওতায় এনে ব্যাংক লুটেরাদের বিচার করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৬ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশেষ গোষ্ঠীকে ঋণ বিতরণে বেশ উদারতা দেখিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। একক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণের সীমা ভেঙে আগ্রাসী অর্থায়ন করেছে ব্যাংকটি। বেক্সিমকো, এস আলম, এননটেক্সসহ ২৩টি গ্রুপ ও প্রতিষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের দেওয়া ঋণ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যা
২৭ আগস্ট ২০২৪
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৬ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২০ ঘণ্টা আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশেষ গোষ্ঠীকে ঋণ বিতরণে বেশ উদারতা দেখিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। একক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণের সীমা ভেঙে আগ্রাসী অর্থায়ন করেছে ব্যাংকটি। বেক্সিমকো, এস আলম, এননটেক্সসহ ২৩টি গ্রুপ ও প্রতিষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের দেওয়া ঋণ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যা
২৭ আগস্ট ২০২৪
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৬ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২০ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশেষ গোষ্ঠীকে ঋণ বিতরণে বেশ উদারতা দেখিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। একক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণের সীমা ভেঙে আগ্রাসী অর্থায়ন করেছে ব্যাংকটি। বেক্সিমকো, এস আলম, এননটেক্সসহ ২৩টি গ্রুপ ও প্রতিষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের দেওয়া ঋণ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যা
২৭ আগস্ট ২০২৪
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৯ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশেষ গোষ্ঠীকে ঋণ বিতরণে বেশ উদারতা দেখিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। একক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণের সীমা ভেঙে আগ্রাসী অর্থায়ন করেছে ব্যাংকটি। বেক্সিমকো, এস আলম, এননটেক্সসহ ২৩টি গ্রুপ ও প্রতিষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের দেওয়া ঋণ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যা
২৭ আগস্ট ২০২৪
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৬ ঘণ্টা আগে