রপ্তানির নতুন দিগন্ত
এস. এস শোহান, বাগেরহাট

একসময় কাঠের কারুকাজ শুধু আসবাব বা গৃহসজ্জায় সীমাবদ্ধ ছিল। সময় বদলেছে। এখন কারুকার্যখচিত কাঠ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পুরো বাড়ি। শুধু শহরে নয়, গ্রামেও। বাগেরহাট সদর উপজেলার করোরি এমনই এক গ্রাম। সেখানকার দক্ষ কারিগরেরা গড়ে চলেছেন একের পর এক দৃষ্টিনন্দন কাঠের বাড়ি। নাম ‘বোড টিইনি হাউস’। এটি শুধু একটি বাড়ি নয়; বরং সৃজনশীলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। পুরো কাঠের কারুকার্যে তৈরি পরিবেশবান্ধব এ বাড়ি বাংলাদেশের দক্ষতা আর শিল্পনৈপুণ্যের বার্তা দিচ্ছে বিশ্ববাজারে। আর বিস্ময়ের বিষয় হচ্ছে, এটি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন পৌঁছে যাচ্ছে বিদেশেও।
ইতিমধ্যে ইউরোপের দেশ বেলজিয়াম দেখিয়েছে কেনার আগ্রহ। শিগগির বাংলাদেশের এই শতাধিক কাঠের বাড়ি স্থান পেতে যাচ্ছে দেশটির বিখ্যাত চিড়িয়াখানা ‘পাইরি ডাইজার’-এ। অর্থাৎ এটি শুধু একটি ব্যবসা নয়; বরং বাংলাদেশের রপ্তানি-বাণিজ্যে এক নতুন দিগন্তের সূচনা।
গ্রামেই কারখানা, কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত শতাধিক শ্রমিক
বাগেরহাট সদর উপজেলার করোরি গ্রামে গড়ে উঠেছে ন্যাচারাল ফাইবারের কারখানা। কাঠের বাড়ি তৈরির এ কর্মযজ্ঞ দেখতে এলেই বোঝা যায়—এটি শুধু ব্যবসাই নয়; বরং এক নতুন সম্ভাবনার জগৎ। কেউ কাঠ কাটছেন, কেউ দরজা-জানালা বানাচ্ছেন, কেউ আবার নিখুঁত হাতে কাঠ পলিশ করছেন। একেকটি কাঠের ঘর তৈরি হতে সময় লাগছে মাত্র ১৫ দিন। প্রতিটি ঘরেই থাকছে শোয়ার ঘর, খাবার ঘর, রান্নাঘর, বাথরুম, বেলকনি, এমনকি এসির ব্যবস্থাও। ইউরোপীয় ধাঁচে বানানো এ ঘরগুলো সম্পূর্ণ কাঠের।
শ্রমিকদের চোখে স্বপ্ন
এ প্রকল্পে কাজ করছেন শতাধিক শ্রমিক। তাঁরা যারপরনাই উচ্ছ্বসিত। শ্রমিকদেরই একজন শহিদুল ইসলাম বললেন, ‘আমাদের তৈরি ঘর বিদেশে যাবে, এটি ভাবতেই ভালো লাগে। আরও ভালো লাগছে, আমাদের কয়েকজনকে ঘর সংযোজনের জন্য ইউরোপে পাঠানো হতে পারে। এটি আমাদের জীবনের বড় সুযোগ।’
আরেক কাঠমিস্ত্রি মোজাহিদ বললেন, ‘আমি অনেক ঘর বানিয়েছি। কিন্তু কাঠের চাল বা ছাদওয়ালা এমন নিখুঁত ডিজাইনের ঘর আগে কখনো বানাইনি। এখানে সামান্য ভুলেরও জায়গা নেই। সবকিছু মেপে, বুঝে করতে হয়।’
কারখানার নারী শ্রমিক পূজার কণ্ঠেও উচ্ছ্বাস, ‘আমরা সবাই মিলে কাজ করি, খুব ভালো লাগে। শুনেছি, এ ঘর বসানোর জন্য কয়েকজনকে ইউরোপে নিয়ে যাওয়া হবে। এ রকম কাজ আরও থাকলে আমাদের জীবন অনেক উন্নত হতো।’
স্থানীয় কাঠ, আন্তর্জাতিক মান
এই কাঠের ঘর তৈরিতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মেহগনি কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ঘরের ছাদ যাতে টেকসই হয়, সে জন্য বিশেষভাবে আমদানি করা আইপিই কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে থাকবে পানিপ্রতিরোধী প্রলেপ। কোনো রং করা হবে না, সম্পূর্ণ কাঠের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বজায় থাকবে। প্রতিটি কাঠামো আলাদা অংশে ভাগ করে পাঠানো হবে বেলজিয়ামে, যেখানে তা সংযোজন করা হবে।
পুরোনো অভিজ্ঞতা, নতুন উদ্যোগ
ন্যাচারাল ফাইবার দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশবান্ধব পণ্য রপ্তানি করছে। তাদের তৈরি কাঠের সাইকেল, সানবেড, হোটেলবেড, কুকুর-বিড়ালের খেলনা, কোকো ম্যাট, ডিসপোজেবল স্লিপারসহ নানা পণ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি ১২০টি বোড টিইনি হাউস তৈরির অর্ডার পায়। এরপরই শুরু হয় কাঠের বাড়ি বানানোর এ যাত্রা।
ইউরোপিয়ান পার্টনারদের আস্থা
বেলজিয়ামের ‘নোই বিল্ডার্স’ এবং গ্রিসের ‘কোকো ম্যাট’ এই প্রকল্পে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। সরেজমিনে ঘর তৈরির কারখানায় দেখা হয় কোকো ম্যাটের সহপ্রতিষ্ঠাতা পল এফমরফিডিসের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আমরা চাই বিশ্বকে দেখাতে, পরিবেশবান্ধব উপায়েও কাঠের বাড়ি তৈরি করা সম্ভব। বাংলাদেশের মেহগনি কাঠ এ প্রকল্পের জন্য পারফেক্ট। এই উদ্যোগ আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করবে।’
মোংলা বন্দর ব্যবহারের দাবি
ন্যাচারাল ফাইবারের কনসালট্যান্ট মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা শাহিন জানালেন, ‘আমরা সাধারণত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য পাঠাই। কিন্তু এ ঘরগুলো যদি মোংলা বন্দর দিয়ে পাঠাতে পারতাম, তাহলে সময় ও খরচ অনেক কমে আসত।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ন্যাচারাল ফাইবারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজ আহমেদ বললেন, ‘আমরা এর আগে ব্রিটেন, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দরপত্রে অংশ নিয়ে কাজ পেয়েছি। এর অংশ হিসেবে প্রথম নমুনা ঘর বানাতে হয়েছে। এর আগে বেলজিয়ামের সেই পার্কে হাতি চলাচলের করিডর বানানোর কাজও আমরা করেছি। সেই কাজ ভালো হওয়ায় এবার তারা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে।’
মোস্তাফিজ আহমেদ আরও যোগ করলেন, ‘আমাদের এই কাঠের বাড়ি বিশ্ববাজারে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। সরকার যদি সহায়তা দেয়, তাহলে আরও বড় পরিসরে কাজ করা সম্ভব হবে। এটি শুধু আমাদের জন্য নয়, দেশের জন্যও বড় অর্জন হবে।’
বিসিকের প্রতিক্রিয়া
বাগেরহাট বিসিকের কর্মকর্তা ইউনুস আর রাফি বললেন, ‘ন্যাচারাল ফাইবার দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশবান্ধব পণ্য রপ্তানি করছে। এবার কাঠের বাড়ি পাঠানোর মাধ্যমে দেশের সুনাম আরও বাড়বে। এ ধরনের উদ্যোগ যদি বাড়ে, তাহলে আমরা আরও সহযোগিতা করব।’
সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত
এই কাঠের বাড়ির রপ্তানি শুধু একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগই নয়, বরং বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। একদিকে স্থানীয় শ্রমিকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হচ্ছে। কাঠের বাড়ির বাজার যদি সম্প্রসারিত হয়, তাহলে বাংলাদেশ আরও বড় সুযোগের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাবে।

একসময় কাঠের কারুকাজ শুধু আসবাব বা গৃহসজ্জায় সীমাবদ্ধ ছিল। সময় বদলেছে। এখন কারুকার্যখচিত কাঠ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পুরো বাড়ি। শুধু শহরে নয়, গ্রামেও। বাগেরহাট সদর উপজেলার করোরি এমনই এক গ্রাম। সেখানকার দক্ষ কারিগরেরা গড়ে চলেছেন একের পর এক দৃষ্টিনন্দন কাঠের বাড়ি। নাম ‘বোড টিইনি হাউস’। এটি শুধু একটি বাড়ি নয়; বরং সৃজনশীলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। পুরো কাঠের কারুকার্যে তৈরি পরিবেশবান্ধব এ বাড়ি বাংলাদেশের দক্ষতা আর শিল্পনৈপুণ্যের বার্তা দিচ্ছে বিশ্ববাজারে। আর বিস্ময়ের বিষয় হচ্ছে, এটি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন পৌঁছে যাচ্ছে বিদেশেও।
ইতিমধ্যে ইউরোপের দেশ বেলজিয়াম দেখিয়েছে কেনার আগ্রহ। শিগগির বাংলাদেশের এই শতাধিক কাঠের বাড়ি স্থান পেতে যাচ্ছে দেশটির বিখ্যাত চিড়িয়াখানা ‘পাইরি ডাইজার’-এ। অর্থাৎ এটি শুধু একটি ব্যবসা নয়; বরং বাংলাদেশের রপ্তানি-বাণিজ্যে এক নতুন দিগন্তের সূচনা।
গ্রামেই কারখানা, কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত শতাধিক শ্রমিক
বাগেরহাট সদর উপজেলার করোরি গ্রামে গড়ে উঠেছে ন্যাচারাল ফাইবারের কারখানা। কাঠের বাড়ি তৈরির এ কর্মযজ্ঞ দেখতে এলেই বোঝা যায়—এটি শুধু ব্যবসাই নয়; বরং এক নতুন সম্ভাবনার জগৎ। কেউ কাঠ কাটছেন, কেউ দরজা-জানালা বানাচ্ছেন, কেউ আবার নিখুঁত হাতে কাঠ পলিশ করছেন। একেকটি কাঠের ঘর তৈরি হতে সময় লাগছে মাত্র ১৫ দিন। প্রতিটি ঘরেই থাকছে শোয়ার ঘর, খাবার ঘর, রান্নাঘর, বাথরুম, বেলকনি, এমনকি এসির ব্যবস্থাও। ইউরোপীয় ধাঁচে বানানো এ ঘরগুলো সম্পূর্ণ কাঠের।
শ্রমিকদের চোখে স্বপ্ন
এ প্রকল্পে কাজ করছেন শতাধিক শ্রমিক। তাঁরা যারপরনাই উচ্ছ্বসিত। শ্রমিকদেরই একজন শহিদুল ইসলাম বললেন, ‘আমাদের তৈরি ঘর বিদেশে যাবে, এটি ভাবতেই ভালো লাগে। আরও ভালো লাগছে, আমাদের কয়েকজনকে ঘর সংযোজনের জন্য ইউরোপে পাঠানো হতে পারে। এটি আমাদের জীবনের বড় সুযোগ।’
আরেক কাঠমিস্ত্রি মোজাহিদ বললেন, ‘আমি অনেক ঘর বানিয়েছি। কিন্তু কাঠের চাল বা ছাদওয়ালা এমন নিখুঁত ডিজাইনের ঘর আগে কখনো বানাইনি। এখানে সামান্য ভুলেরও জায়গা নেই। সবকিছু মেপে, বুঝে করতে হয়।’
কারখানার নারী শ্রমিক পূজার কণ্ঠেও উচ্ছ্বাস, ‘আমরা সবাই মিলে কাজ করি, খুব ভালো লাগে। শুনেছি, এ ঘর বসানোর জন্য কয়েকজনকে ইউরোপে নিয়ে যাওয়া হবে। এ রকম কাজ আরও থাকলে আমাদের জীবন অনেক উন্নত হতো।’
স্থানীয় কাঠ, আন্তর্জাতিক মান
এই কাঠের ঘর তৈরিতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মেহগনি কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ঘরের ছাদ যাতে টেকসই হয়, সে জন্য বিশেষভাবে আমদানি করা আইপিই কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে থাকবে পানিপ্রতিরোধী প্রলেপ। কোনো রং করা হবে না, সম্পূর্ণ কাঠের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বজায় থাকবে। প্রতিটি কাঠামো আলাদা অংশে ভাগ করে পাঠানো হবে বেলজিয়ামে, যেখানে তা সংযোজন করা হবে।
পুরোনো অভিজ্ঞতা, নতুন উদ্যোগ
ন্যাচারাল ফাইবার দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশবান্ধব পণ্য রপ্তানি করছে। তাদের তৈরি কাঠের সাইকেল, সানবেড, হোটেলবেড, কুকুর-বিড়ালের খেলনা, কোকো ম্যাট, ডিসপোজেবল স্লিপারসহ নানা পণ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি ১২০টি বোড টিইনি হাউস তৈরির অর্ডার পায়। এরপরই শুরু হয় কাঠের বাড়ি বানানোর এ যাত্রা।
ইউরোপিয়ান পার্টনারদের আস্থা
বেলজিয়ামের ‘নোই বিল্ডার্স’ এবং গ্রিসের ‘কোকো ম্যাট’ এই প্রকল্পে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। সরেজমিনে ঘর তৈরির কারখানায় দেখা হয় কোকো ম্যাটের সহপ্রতিষ্ঠাতা পল এফমরফিডিসের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আমরা চাই বিশ্বকে দেখাতে, পরিবেশবান্ধব উপায়েও কাঠের বাড়ি তৈরি করা সম্ভব। বাংলাদেশের মেহগনি কাঠ এ প্রকল্পের জন্য পারফেক্ট। এই উদ্যোগ আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করবে।’
মোংলা বন্দর ব্যবহারের দাবি
ন্যাচারাল ফাইবারের কনসালট্যান্ট মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা শাহিন জানালেন, ‘আমরা সাধারণত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য পাঠাই। কিন্তু এ ঘরগুলো যদি মোংলা বন্দর দিয়ে পাঠাতে পারতাম, তাহলে সময় ও খরচ অনেক কমে আসত।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ন্যাচারাল ফাইবারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজ আহমেদ বললেন, ‘আমরা এর আগে ব্রিটেন, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দরপত্রে অংশ নিয়ে কাজ পেয়েছি। এর অংশ হিসেবে প্রথম নমুনা ঘর বানাতে হয়েছে। এর আগে বেলজিয়ামের সেই পার্কে হাতি চলাচলের করিডর বানানোর কাজও আমরা করেছি। সেই কাজ ভালো হওয়ায় এবার তারা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে।’
মোস্তাফিজ আহমেদ আরও যোগ করলেন, ‘আমাদের এই কাঠের বাড়ি বিশ্ববাজারে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। সরকার যদি সহায়তা দেয়, তাহলে আরও বড় পরিসরে কাজ করা সম্ভব হবে। এটি শুধু আমাদের জন্য নয়, দেশের জন্যও বড় অর্জন হবে।’
বিসিকের প্রতিক্রিয়া
বাগেরহাট বিসিকের কর্মকর্তা ইউনুস আর রাফি বললেন, ‘ন্যাচারাল ফাইবার দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশবান্ধব পণ্য রপ্তানি করছে। এবার কাঠের বাড়ি পাঠানোর মাধ্যমে দেশের সুনাম আরও বাড়বে। এ ধরনের উদ্যোগ যদি বাড়ে, তাহলে আমরা আরও সহযোগিতা করব।’
সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত
এই কাঠের বাড়ির রপ্তানি শুধু একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগই নয়, বরং বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। একদিকে স্থানীয় শ্রমিকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হচ্ছে। কাঠের বাড়ির বাজার যদি সম্প্রসারিত হয়, তাহলে বাংলাদেশ আরও বড় সুযোগের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাবে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৪ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

একসময় কাঠের কারুকাজ শুধু আসবাব বা গৃহসজ্জায় সীমাবদ্ধ ছিল। সময় বদলেছে। এখন কারুকার্যখচিত কাঠ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পুরো বাড়ি। শুধু শহরে নয়, গ্রামেও। বাগেরহাট সদর উপজেলার করোরি এমনই এক গ্রাম। সেখানকার দক্ষ কারিগরেরা গড়ে চলেছেন একের পর এক দৃষ্টিনন্দন কাঠের বাড়ি। নাম ‘বোড টিইনি হাউস’।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৪ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

একসময় কাঠের কারুকাজ শুধু আসবাব বা গৃহসজ্জায় সীমাবদ্ধ ছিল। সময় বদলেছে। এখন কারুকার্যখচিত কাঠ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পুরো বাড়ি। শুধু শহরে নয়, গ্রামেও। বাগেরহাট সদর উপজেলার করোরি এমনই এক গ্রাম। সেখানকার দক্ষ কারিগরেরা গড়ে চলেছেন একের পর এক দৃষ্টিনন্দন কাঠের বাড়ি। নাম ‘বোড টিইনি হাউস’।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

একসময় কাঠের কারুকাজ শুধু আসবাব বা গৃহসজ্জায় সীমাবদ্ধ ছিল। সময় বদলেছে। এখন কারুকার্যখচিত কাঠ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পুরো বাড়ি। শুধু শহরে নয়, গ্রামেও। বাগেরহাট সদর উপজেলার করোরি এমনই এক গ্রাম। সেখানকার দক্ষ কারিগরেরা গড়ে চলেছেন একের পর এক দৃষ্টিনন্দন কাঠের বাড়ি। নাম ‘বোড টিইনি হাউস’।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৪ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

একসময় কাঠের কারুকাজ শুধু আসবাব বা গৃহসজ্জায় সীমাবদ্ধ ছিল। সময় বদলেছে। এখন কারুকার্যখচিত কাঠ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পুরো বাড়ি। শুধু শহরে নয়, গ্রামেও। বাগেরহাট সদর উপজেলার করোরি এমনই এক গ্রাম। সেখানকার দক্ষ কারিগরেরা গড়ে চলেছেন একের পর এক দৃষ্টিনন্দন কাঠের বাড়ি। নাম ‘বোড টিইনি হাউস’।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৪ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগে