Ajker Patrika

ওজন কমানোর ওষুধের আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের হিস্যা বাড়ছে

সারা বিশ্বেই স্থূলতা ক্রমেই অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠছে। ছবি: পিক্সাবে
সারা বিশ্বেই স্থূলতা ক্রমেই অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠছে। ছবি: পিক্সাবে

সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।

তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পেটেন্ট সুবিধা এবং সস্তায় উৎপাদন সক্ষমতার কারণে এই সুবিধা নিচ্ছে বাংলাদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সামান্য পরিমাণে এসব ওষুধ প্রস্তুত ও রপ্তানি করে থাকে।

এসব ওষুধের অন্যতম প্রধান উপাদান ‘সেমাগ্লুটাইড’। এই সেমাগ্লুটাইড মূলত রক্তে শর্করার পরিমাণ ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া এটি নভো নরডিস্কের বিখ্যাত ওষুধ ‘উইগভি’ ও ‘ওজেমপিকের’ মূল উপাদান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনসেপ্টার যেসব ওষুধ রপ্তানি করে সেগুলো মূলত এশিয়াভিত্তিক একটি সরবরাহ শৃঙ্খলের অংশ। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে ‘ওজেমপিকের’ সুলভ ‘কপি’ উৎপাদন ও রপ্তানি করছে। কারণ বিশ্বব্যাপী এই ওষুধের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ওজেমপিক টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এর সক্রিয় উপাদান সেমাগ্লুটাইড ওজন কমানোর জন্যও কার্যকর। নভো নরডিস্ক এ কারণে স্থূলতার চিকিৎসা হিসেবে ‘উইগভি’ নিয়ে কাজ করছে।

রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুসারে, ইনসেপ্টার তৈরি করা অন্তত ১ লাখ ৬ হাজার প্যাক সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ বিশ্বের ১২টি দেশে রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশও আছে। এসব দেশে ‘ওজেমপিক’–এর পেটেন্ট সুরক্ষিত থাকলেও এসব দেশে ইনসেপ্টার ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইনসেপ্টার স্থূলতা কমানোর ওষুধ বাংলাদেশে বিক্রির জন্য অনুমোদিত। বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ইনসেপ্টাকে ফিটারো বা ওরসেমা রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। তবে, এটি কেবল তখনই তারা করতে পারবে যখন আমদানিকারক দেশগুলোর পক্ষ থেকে অনুমোদন পাওয়া যাবে।

অনুমোদনের জটিলতা থাকার কারণে এ ধরনের ওষুধ অবৈধভাবেও বিভিন্ন দেশে যায়। ব্যক্তিগত ব্যবহারের নাম করে এসব ওষুধ নেওয়া হয়।

রয়টার্সের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে তৈরি সেমাগ্লুটাইড ওষুধ ভারতভিত্তিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইন্ডিয়া মার্টে বিক্রি হচ্ছে। সর্বশেষ অনুসন্ধান থেকে দেখা গেছে যে, নভো নরডিস্কের বাইরেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি ‘সেমাগ্লুটাইড’ ওষুধ বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে।

রয়টার্স অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, কেনিয়া, উজবেকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাস্টমস বিভাগ এবং ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে জব্দ করা ওষুধের সরকারি রেকর্ডের ভিত্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।

এদিকে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, এশিয়াভিত্তিক চারটিসহ মোট ৬টি কম পরিচিত কোম্পানি সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করে।

এর মধ্যে অন্তত তিনটি কোম্পানি ওষুধ তৈরির মূল উপাদান চীন থেকে আমদানি করেছে। এ ছাড়া, এসব কোম্পানি উৎপাদক দেশের বাইরে অন্য দেশে এসব ওষুধের বিজ্ঞাপন অন্তত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ব্যক্তিগতভাবে প্রচার করেছে। রয়টার্স বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখেছে, এই কোম্পানিগুলো স্বল্প উন্নত দেশগুলোর জন্য অনুমোদিত বৈশ্বিক পেটেন্ট সুবিধার ছাড় এবং চীনসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পেটেন্ট প্রয়োগের শিথিল নীতিমালার সুযোগ নেয়।

নভো নরডিস্ক রয়টার্সকে জানিয়েছে, তাদের তৈরি সেমাগ্লুটাইড উৎপাদনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক লাইসেন্সের মাধ্যমে সুরক্ষিত হলেও বাংলাদেশ–লাওসের মতো দেশগুলো জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশে তালিকায় থাকার কারণে এর থেকে অব্যাহতির সুযোগ ভোগ করে।

নভো নরডিস্কের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তারা কম উন্নত দেশগুলোতে পেটেন্ট লাইসেন্সের প্রয়োগ করে না। ওজেমপিকের ব্যাপক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নভো নরডিস্কের সম্ভাব্য পেটেন্ট লঙ্ঘনের আর্থিক প্রভাব বর্তমানে খুব বেশি নয়।

তবে পেটেন্ট ছাড়াই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধের কপি বা ‘অনুলিপি’ স্বাস্থ্যসেবায় উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। এ কারণে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডসহ ছয়টি দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রকেরা ব্যক্তিগত ব্যবহারের নামে আনা সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক কিছু ওষুধ জব্দ, ধ্বংস বা বাজেয়াপ্ত করেছে।

তবে রয়টার্স এমন কোনো প্রমাণ পায়নি যে, এই ওষুধগুলো রোগীদের কোনো ক্ষতি করেছে। তবে ব্যাপক আকারে এসব ওষুধের ছড়িয়ে পড়া বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে।

সমান্তরাল সরবরাহ শৃঙ্খল

বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইনসেপ্টার ওরসেমা বাংলাদেশে অনুমোদিত এবং নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়েছে। তাদের ফিটারোও বিক্রির জন্য অনুমোদিত। ঢাকার একটি ক্লিনিকে ইনসেপ্টার তৈরি ফিটারো ইনজেক্টর পেন ২০ জন রোগীকে প্রেসক্রাইব করা হয়েছে। যাদের প্রেসক্রাইব করা হয়েছে, তাঁরা সবাই বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক।

ক্লিনিকটির এক ব্যবস্থাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে রোগীরা এই চিকিৎসার বিষয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় ক্লিনিকটির নাম উল্লেখ করতে চাননি তিনি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যখন রোগীরা জানতে পারেন যে, বাংলাদেশে ফিটারো গ্রহণের মাসিক খরচ প্রায় মাত্র ৬০ ডলার (যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে উইগভির জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হয় সাড়ে ৬০০ ডলার), তখন তাঁরা ওষুধ প্রস্তুতকারকের নাম-পরিচয় নিয়ে খুব একটি উদ্বিগ্ন ছিলেন না।’

কেবল বাংলাদেশেই নয়, লাওসেও এই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুত হচ্ছে। এই বিষয়ে লাওসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ড্রাগ ও মেডিকেল ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক দাভোনে দুয়াংদানি রয়টার্সকে জানান, লাওসে সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধগুলো কেবল দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহারের জন্য বৈধভাবে উৎপাদন ও বিতরণ করা যেতে পারে।

তবে কিছু চীনা কোম্পানি লাওসে উৎপাদিত সেমাগ্লুটাইড ট্যাবলেটের পক্ষে চীনে প্রচারণা চালাচ্ছে। চীনে নভো নরডিস্কের পেটেন্টের মেয়াদ ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হবে। চলতি বছরের জুনে সাংহাইতে অনুষ্ঠিত একটি প্রদর্শনীতে সেমাগ্লুটাইড প্রস্তুতকারী নানজিং হানজিন ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি লাওসের বোটেন এলিমেন্টো ফার্মার প্রস্তুত করা ‘সেমাগকেয়ার’ ট্যাবলেট প্রদর্শন করে।

নানজিং হানজিনের পরিচালক অ্যাবদু জোগবি রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁর কোম্পানি লাওসের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না (সেমাগকেয়ার কোন দেশগুলোতে বিক্রি হয়), তবে আমরা এর প্রচারণা চালাচ্ছি। কারণ, তারা যত বেশি বিক্রি করবে, আমরা তাদের কাছে তত বেশি অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান (এপিআই) সরবরাহ করতে পারব।

ইনসেপ্টাকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহকারীর তালিকায় রয়েছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক। বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী এই প্রতিষ্ঠান ২০২০–২৪ সালের মধ্যে চীন ও হংকং থেকে অন্তত ৮৯২ গ্রাম সেমাগ্লুটাইড আমদানি করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ ৫ হাজার ডলার। ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক ২০২৩–২৪ সালে রাশিয়ার ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেরোফার্মকে অন্তত ২৫ দশমিক ৬ কেজি সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৮ লাখ ডলার।

চীনা কাস্টমসের তথ্য বলছে, ইনসেপ্টা কেবল চীন থেকে নয় সুইজারল্যান্ডের জেনেরিক ড্রাগ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্যাচেমের কাছ থেকেও উপাদানটি আমদানি করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যশোরের খেজুর রস: লক্ষ্য ১২০ কোটি টাকার গুড় উৎপাদন

জাহিদ হাসান, যশোর
রসের জন্য খেজুরগাছ কেটে প্রস্তুত করছেন গাছি। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রসের জন্য খেজুরগাছ কেটে প্রস্তুত করছেন গাছি। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।

শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।

উৎপাদন ও বাজারের চিত্র

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।

গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ

যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

গাছ থেকে নামিয়ে আনা খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করছেন এক নারী। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাছ থেকে নামিয়ে আনা খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করছেন এক নারী। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।

ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।

উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।

কৃষি বিভাগের উদ্যোগ

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামি ১০ ও সরকারি ৬ ব্যাংক: ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ২৭
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।

সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।

ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।

সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছয় মাসে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’

সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত