রোকন উদ্দীন, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আরোপিত উচ্চ হারের পাল্টা শুল্কের কারণে মার্কিন ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ হারাচ্ছে চীন ও ভারত। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু গ্যাস-সংকট, ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহারসহ নানা কারণে এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। পর্যাপ্ত গ্যাসের চাপ না পাওয়ায় অনেক কারখানা তাদের পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না। তার ওপর ব্যাংকঋণের সুদহার সহনীয় মাত্রার অনেক ওপরে উঠে গেছে। ব্যাংকগুলোর তারল্যসংকটও দূর হয়নি। এসব সমস্যা উৎপাদন ও রপ্তানিকে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।
তৈরি পোশাক খাতে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে গ্রীষ্ম মৌসুমের ক্রয়াদেশ আসতে শুরু করবে। তখন কারখানাগুলোয় চাপ আরও বাড়বে। এই বাড়তি ক্রয়াদেশ দেশের রপ্তানিকারকেরা নিতে পারবে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবকাঠামোর উন্নয়ন না হলে বাড়তি অর্ডার নিয়ে পণ্য সাপ্লাই কীভাবে সম্ভব বলেন? এখনকার যে অর্ডার তার সাপ্লাই দিতেই হিমশিম খাচ্ছি আমরা। কারণ, নানা সমস্যায় এখনো ৩০ শতাংশ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ এবং পর্যাপ্ত চাপ না পাওয়ার কারণে অনেক কারখানা তাদের পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না।’
বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘যদি বাড়তি অর্ডার ধরতে হয়, তবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান তো করতেই হবে। এ ছাড়া বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যাংকঋণের সুদহার কমানো, ব্যাংকগুলোর তারল্যসংকট দূর করতে হবে। দর-কষাকষির সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। এসব সমস্যার সমাধান হলে খুব দ্রুতই রপ্তানি বাড়বে।’
গত ৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানির ওপর সংশোধিত পাল্টা শুল্কহার ঘোষণা করে। ৭ আগস্ট থেকে নতুন শুল্কহার কার্যকর হয়েছে। সংশোধিত হার অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পণ্যে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক দিতে হচ্ছে। আর চীনের ওপর পাল্টা শুল্ক ৩০ শতাংশ রয়েছে। ভারতের ওপর পাল্টা শুল্ক প্রথমে ২৫ শতাংশ থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়, যা ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা বলেছেন, পাল্টা শুল্কের প্রভাবে চীনের হারানো ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে আসছে। ভারতের হারানো রপ্তানি আদেশও আসতে পারে। ৬-৮ মাস ধরে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। সামনের মৌসুমের জন্য ক্রয়াদেশ দিতে অনেক ক্রেতা ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান চীন ও ভারতে আগের দেওয়া ক্রয়াদেশগুলোর মেয়াদ শেষে হলে নতুন ক্রয়াদেশগুলো বাংলাদেশে দিতে চাইছে। কারণ, প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ।
রপ্তানির তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, গত বছরের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রপ্তানি ১১১ কোটি ডলার কমেছে।
তবে চীনের এই হারানো অর্ডারগুলোর সব ধরতে পারেনি বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা। বেশির ভাগই গেছে ভিয়েতনামে। তথ্য বলছে, এ সময় ভিয়েতনামের রপ্তানি বেড়েছে ১১৯ কোটি ডলার। আর বাংলাদেশের বেড়েছে ৮৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৩৮ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।
ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের মতে, ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কের কারণে শুধু সেপ্টেম্বরেই যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। প্রাথমিক হিসাবে দেশটির বার্ষিক রপ্তানি কমতে পারে ৪ হাজার কোটি ডলার; যার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীন।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘প্রতিটি কারখানারই বাড়তি অর্ডার ধরার ক্যাপাসিটি রয়েছে। কিন্তু গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নানা সংকটে সেই ক্যাপাসিটি পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছে না। এই অবস্থায় চীন ও ভারতের হারানো অর্ডারগুলো এলেও ঠিকমতো সাপ্লাই দিতে পারব না আমরা। কারণ, বর্তমান অর্ডারের বিপরীতেই সাপ্লাই দিতে কষ্ট হচ্ছে। তাই আমরা বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটসহ সমস্যাগুলো দূর করার কথা বলছি, যাতে বাড়তি অর্ডারগুলো ধরতে পারি এবং বাড়তি রপ্তানি আয় করতে পারি।’
বাড়তি রপ্তানি আয় হলে এই অর্থ দিয়ে বাড়তি এলএনজি আমদানি ছাড়াও অন্যান্য সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে জানিয়েছে অনেক রপ্তানিকারক। সেই সঙ্গে গ্যাসের সমস্যা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে বলেও জানায় তারা। এতে তারা আশার আলোও দেখতে পাচ্ছে। উৎপাদক ও রপ্তানিকারকেরা বলছে, বর্তমানে গ্যাস ও বিদ্যুৎ অভাবে ৩০ শতাংশ উৎপাদন কম হচ্ছে। দুই থেকে তিন মাস আগে এই সমস্যা আরও বেশি ছিল। তখন সক্ষমতার ৪০ শতাংশের বেশি উৎপাদন কম হতো।
ব্যাংকঋণের সুদহার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগে যেখানে এক কোটি টাকায় ব্যাংকের সুদ দিতে হতো ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা; এখন সেখানে দিতে হয় ১৪-১৫ লাখ টাকা। ব্যাংকঋণের এই বাড়তি সুদের চাপ অনেক কারখানাই সামাল দিতে পারছে না, বিশেষ করে ছোট কারখানাগুলো। এ ছাড়া কিছু ব্যাংক রয়েছে সংকটাপন্ন। রপ্তানিকারকদের রপ্তানি মূল্য সময়মতো পরিশোধ করছে না তারা। এমনকি ব্যাংকগুলো নতুন এলসি খুলতেও ব্যর্থ হচ্ছে। বন্দরে প্রায়ই পণ্যের জট লেগে যায়, সময়মতো পণ্য ডেলিভারি দেওয়া যায় না। রয়েছে কাস্টমস কর্মকর্তাদের অসহযোগিতাও।
এ অবস্থায় নতুন বায়ারদের দেশে ভেড়াতে হলে নেগোশিয়েশন সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। এই দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়টি সরকার ও উদ্যোক্তা দুই ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘পাল্টা শুল্কের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আদেশ হারাবে ভারত। এ ছাড়া চীন থেকেও কিছু কিছু বিনিয়োগকারী আসছে। সব মিলিয়ে আগামী চার-পাঁচ মাসে দেশে চীন ও ভারত যে ক্রয়াদেশ হারাবে, তার কারণে ৫-১০ শতাংশ অর্ডার বাড়বে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে চীন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে। আমাদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সুযোগ আরও বাড়ছে। এই বাড়তি সুযোগ কাজে লাগাতে বন্দর, জ্বালানি, অবকাঠামো, লজিস্টিক, কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস, ব্যাংকঋণের সুদহারসহ বড় সমস্যাগুলোর সমাধান করতেই হবে।’ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য তা নয়, দেশের সার্বিক রপ্তানির ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এগুলো বড় সমস্যা বলে মনে করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আরোপিত উচ্চ হারের পাল্টা শুল্কের কারণে মার্কিন ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ হারাচ্ছে চীন ও ভারত। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু গ্যাস-সংকট, ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহারসহ নানা কারণে এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। পর্যাপ্ত গ্যাসের চাপ না পাওয়ায় অনেক কারখানা তাদের পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না। তার ওপর ব্যাংকঋণের সুদহার সহনীয় মাত্রার অনেক ওপরে উঠে গেছে। ব্যাংকগুলোর তারল্যসংকটও দূর হয়নি। এসব সমস্যা উৎপাদন ও রপ্তানিকে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।
তৈরি পোশাক খাতে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে গ্রীষ্ম মৌসুমের ক্রয়াদেশ আসতে শুরু করবে। তখন কারখানাগুলোয় চাপ আরও বাড়বে। এই বাড়তি ক্রয়াদেশ দেশের রপ্তানিকারকেরা নিতে পারবে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবকাঠামোর উন্নয়ন না হলে বাড়তি অর্ডার নিয়ে পণ্য সাপ্লাই কীভাবে সম্ভব বলেন? এখনকার যে অর্ডার তার সাপ্লাই দিতেই হিমশিম খাচ্ছি আমরা। কারণ, নানা সমস্যায় এখনো ৩০ শতাংশ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ এবং পর্যাপ্ত চাপ না পাওয়ার কারণে অনেক কারখানা তাদের পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না।’
বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘যদি বাড়তি অর্ডার ধরতে হয়, তবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান তো করতেই হবে। এ ছাড়া বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যাংকঋণের সুদহার কমানো, ব্যাংকগুলোর তারল্যসংকট দূর করতে হবে। দর-কষাকষির সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। এসব সমস্যার সমাধান হলে খুব দ্রুতই রপ্তানি বাড়বে।’
গত ৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানির ওপর সংশোধিত পাল্টা শুল্কহার ঘোষণা করে। ৭ আগস্ট থেকে নতুন শুল্কহার কার্যকর হয়েছে। সংশোধিত হার অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পণ্যে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক দিতে হচ্ছে। আর চীনের ওপর পাল্টা শুল্ক ৩০ শতাংশ রয়েছে। ভারতের ওপর পাল্টা শুল্ক প্রথমে ২৫ শতাংশ থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়, যা ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা বলেছেন, পাল্টা শুল্কের প্রভাবে চীনের হারানো ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে আসছে। ভারতের হারানো রপ্তানি আদেশও আসতে পারে। ৬-৮ মাস ধরে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। সামনের মৌসুমের জন্য ক্রয়াদেশ দিতে অনেক ক্রেতা ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান চীন ও ভারতে আগের দেওয়া ক্রয়াদেশগুলোর মেয়াদ শেষে হলে নতুন ক্রয়াদেশগুলো বাংলাদেশে দিতে চাইছে। কারণ, প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ।
রপ্তানির তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, গত বছরের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রপ্তানি ১১১ কোটি ডলার কমেছে।
তবে চীনের এই হারানো অর্ডারগুলোর সব ধরতে পারেনি বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা। বেশির ভাগই গেছে ভিয়েতনামে। তথ্য বলছে, এ সময় ভিয়েতনামের রপ্তানি বেড়েছে ১১৯ কোটি ডলার। আর বাংলাদেশের বেড়েছে ৮৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৩৮ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।
ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের মতে, ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কের কারণে শুধু সেপ্টেম্বরেই যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। প্রাথমিক হিসাবে দেশটির বার্ষিক রপ্তানি কমতে পারে ৪ হাজার কোটি ডলার; যার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীন।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘প্রতিটি কারখানারই বাড়তি অর্ডার ধরার ক্যাপাসিটি রয়েছে। কিন্তু গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নানা সংকটে সেই ক্যাপাসিটি পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছে না। এই অবস্থায় চীন ও ভারতের হারানো অর্ডারগুলো এলেও ঠিকমতো সাপ্লাই দিতে পারব না আমরা। কারণ, বর্তমান অর্ডারের বিপরীতেই সাপ্লাই দিতে কষ্ট হচ্ছে। তাই আমরা বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটসহ সমস্যাগুলো দূর করার কথা বলছি, যাতে বাড়তি অর্ডারগুলো ধরতে পারি এবং বাড়তি রপ্তানি আয় করতে পারি।’
বাড়তি রপ্তানি আয় হলে এই অর্থ দিয়ে বাড়তি এলএনজি আমদানি ছাড়াও অন্যান্য সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে জানিয়েছে অনেক রপ্তানিকারক। সেই সঙ্গে গ্যাসের সমস্যা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে বলেও জানায় তারা। এতে তারা আশার আলোও দেখতে পাচ্ছে। উৎপাদক ও রপ্তানিকারকেরা বলছে, বর্তমানে গ্যাস ও বিদ্যুৎ অভাবে ৩০ শতাংশ উৎপাদন কম হচ্ছে। দুই থেকে তিন মাস আগে এই সমস্যা আরও বেশি ছিল। তখন সক্ষমতার ৪০ শতাংশের বেশি উৎপাদন কম হতো।
ব্যাংকঋণের সুদহার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগে যেখানে এক কোটি টাকায় ব্যাংকের সুদ দিতে হতো ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা; এখন সেখানে দিতে হয় ১৪-১৫ লাখ টাকা। ব্যাংকঋণের এই বাড়তি সুদের চাপ অনেক কারখানাই সামাল দিতে পারছে না, বিশেষ করে ছোট কারখানাগুলো। এ ছাড়া কিছু ব্যাংক রয়েছে সংকটাপন্ন। রপ্তানিকারকদের রপ্তানি মূল্য সময়মতো পরিশোধ করছে না তারা। এমনকি ব্যাংকগুলো নতুন এলসি খুলতেও ব্যর্থ হচ্ছে। বন্দরে প্রায়ই পণ্যের জট লেগে যায়, সময়মতো পণ্য ডেলিভারি দেওয়া যায় না। রয়েছে কাস্টমস কর্মকর্তাদের অসহযোগিতাও।
এ অবস্থায় নতুন বায়ারদের দেশে ভেড়াতে হলে নেগোশিয়েশন সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। এই দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়টি সরকার ও উদ্যোক্তা দুই ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘পাল্টা শুল্কের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আদেশ হারাবে ভারত। এ ছাড়া চীন থেকেও কিছু কিছু বিনিয়োগকারী আসছে। সব মিলিয়ে আগামী চার-পাঁচ মাসে দেশে চীন ও ভারত যে ক্রয়াদেশ হারাবে, তার কারণে ৫-১০ শতাংশ অর্ডার বাড়বে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে চীন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে। আমাদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সুযোগ আরও বাড়ছে। এই বাড়তি সুযোগ কাজে লাগাতে বন্দর, জ্বালানি, অবকাঠামো, লজিস্টিক, কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস, ব্যাংকঋণের সুদহারসহ বড় সমস্যাগুলোর সমাধান করতেই হবে।’ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য তা নয়, দেশের সার্বিক রপ্তানির ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এগুলো বড় সমস্যা বলে মনে করেন তিনি।
রোকন উদ্দীন, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আরোপিত উচ্চ হারের পাল্টা শুল্কের কারণে মার্কিন ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ হারাচ্ছে চীন ও ভারত। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু গ্যাস-সংকট, ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহারসহ নানা কারণে এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। পর্যাপ্ত গ্যাসের চাপ না পাওয়ায় অনেক কারখানা তাদের পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না। তার ওপর ব্যাংকঋণের সুদহার সহনীয় মাত্রার অনেক ওপরে উঠে গেছে। ব্যাংকগুলোর তারল্যসংকটও দূর হয়নি। এসব সমস্যা উৎপাদন ও রপ্তানিকে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।
তৈরি পোশাক খাতে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে গ্রীষ্ম মৌসুমের ক্রয়াদেশ আসতে শুরু করবে। তখন কারখানাগুলোয় চাপ আরও বাড়বে। এই বাড়তি ক্রয়াদেশ দেশের রপ্তানিকারকেরা নিতে পারবে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবকাঠামোর উন্নয়ন না হলে বাড়তি অর্ডার নিয়ে পণ্য সাপ্লাই কীভাবে সম্ভব বলেন? এখনকার যে অর্ডার তার সাপ্লাই দিতেই হিমশিম খাচ্ছি আমরা। কারণ, নানা সমস্যায় এখনো ৩০ শতাংশ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ এবং পর্যাপ্ত চাপ না পাওয়ার কারণে অনেক কারখানা তাদের পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না।’
বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘যদি বাড়তি অর্ডার ধরতে হয়, তবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান তো করতেই হবে। এ ছাড়া বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যাংকঋণের সুদহার কমানো, ব্যাংকগুলোর তারল্যসংকট দূর করতে হবে। দর-কষাকষির সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। এসব সমস্যার সমাধান হলে খুব দ্রুতই রপ্তানি বাড়বে।’
গত ৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানির ওপর সংশোধিত পাল্টা শুল্কহার ঘোষণা করে। ৭ আগস্ট থেকে নতুন শুল্কহার কার্যকর হয়েছে। সংশোধিত হার অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পণ্যে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক দিতে হচ্ছে। আর চীনের ওপর পাল্টা শুল্ক ৩০ শতাংশ রয়েছে। ভারতের ওপর পাল্টা শুল্ক প্রথমে ২৫ শতাংশ থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়, যা ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা বলেছেন, পাল্টা শুল্কের প্রভাবে চীনের হারানো ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে আসছে। ভারতের হারানো রপ্তানি আদেশও আসতে পারে। ৬-৮ মাস ধরে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। সামনের মৌসুমের জন্য ক্রয়াদেশ দিতে অনেক ক্রেতা ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান চীন ও ভারতে আগের দেওয়া ক্রয়াদেশগুলোর মেয়াদ শেষে হলে নতুন ক্রয়াদেশগুলো বাংলাদেশে দিতে চাইছে। কারণ, প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ।
রপ্তানির তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, গত বছরের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রপ্তানি ১১১ কোটি ডলার কমেছে।
তবে চীনের এই হারানো অর্ডারগুলোর সব ধরতে পারেনি বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা। বেশির ভাগই গেছে ভিয়েতনামে। তথ্য বলছে, এ সময় ভিয়েতনামের রপ্তানি বেড়েছে ১১৯ কোটি ডলার। আর বাংলাদেশের বেড়েছে ৮৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৩৮ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।
ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের মতে, ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কের কারণে শুধু সেপ্টেম্বরেই যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। প্রাথমিক হিসাবে দেশটির বার্ষিক রপ্তানি কমতে পারে ৪ হাজার কোটি ডলার; যার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীন।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘প্রতিটি কারখানারই বাড়তি অর্ডার ধরার ক্যাপাসিটি রয়েছে। কিন্তু গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নানা সংকটে সেই ক্যাপাসিটি পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছে না। এই অবস্থায় চীন ও ভারতের হারানো অর্ডারগুলো এলেও ঠিকমতো সাপ্লাই দিতে পারব না আমরা। কারণ, বর্তমান অর্ডারের বিপরীতেই সাপ্লাই দিতে কষ্ট হচ্ছে। তাই আমরা বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটসহ সমস্যাগুলো দূর করার কথা বলছি, যাতে বাড়তি অর্ডারগুলো ধরতে পারি এবং বাড়তি রপ্তানি আয় করতে পারি।’
বাড়তি রপ্তানি আয় হলে এই অর্থ দিয়ে বাড়তি এলএনজি আমদানি ছাড়াও অন্যান্য সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে জানিয়েছে অনেক রপ্তানিকারক। সেই সঙ্গে গ্যাসের সমস্যা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে বলেও জানায় তারা। এতে তারা আশার আলোও দেখতে পাচ্ছে। উৎপাদক ও রপ্তানিকারকেরা বলছে, বর্তমানে গ্যাস ও বিদ্যুৎ অভাবে ৩০ শতাংশ উৎপাদন কম হচ্ছে। দুই থেকে তিন মাস আগে এই সমস্যা আরও বেশি ছিল। তখন সক্ষমতার ৪০ শতাংশের বেশি উৎপাদন কম হতো।
ব্যাংকঋণের সুদহার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগে যেখানে এক কোটি টাকায় ব্যাংকের সুদ দিতে হতো ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা; এখন সেখানে দিতে হয় ১৪-১৫ লাখ টাকা। ব্যাংকঋণের এই বাড়তি সুদের চাপ অনেক কারখানাই সামাল দিতে পারছে না, বিশেষ করে ছোট কারখানাগুলো। এ ছাড়া কিছু ব্যাংক রয়েছে সংকটাপন্ন। রপ্তানিকারকদের রপ্তানি মূল্য সময়মতো পরিশোধ করছে না তারা। এমনকি ব্যাংকগুলো নতুন এলসি খুলতেও ব্যর্থ হচ্ছে। বন্দরে প্রায়ই পণ্যের জট লেগে যায়, সময়মতো পণ্য ডেলিভারি দেওয়া যায় না। রয়েছে কাস্টমস কর্মকর্তাদের অসহযোগিতাও।
এ অবস্থায় নতুন বায়ারদের দেশে ভেড়াতে হলে নেগোশিয়েশন সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। এই দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়টি সরকার ও উদ্যোক্তা দুই ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘পাল্টা শুল্কের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আদেশ হারাবে ভারত। এ ছাড়া চীন থেকেও কিছু কিছু বিনিয়োগকারী আসছে। সব মিলিয়ে আগামী চার-পাঁচ মাসে দেশে চীন ও ভারত যে ক্রয়াদেশ হারাবে, তার কারণে ৫-১০ শতাংশ অর্ডার বাড়বে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে চীন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে। আমাদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সুযোগ আরও বাড়ছে। এই বাড়তি সুযোগ কাজে লাগাতে বন্দর, জ্বালানি, অবকাঠামো, লজিস্টিক, কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস, ব্যাংকঋণের সুদহারসহ বড় সমস্যাগুলোর সমাধান করতেই হবে।’ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য তা নয়, দেশের সার্বিক রপ্তানির ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এগুলো বড় সমস্যা বলে মনে করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আরোপিত উচ্চ হারের পাল্টা শুল্কের কারণে মার্কিন ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ হারাচ্ছে চীন ও ভারত। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু গ্যাস-সংকট, ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহারসহ নানা কারণে এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। পর্যাপ্ত গ্যাসের চাপ না পাওয়ায় অনেক কারখানা তাদের পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না। তার ওপর ব্যাংকঋণের সুদহার সহনীয় মাত্রার অনেক ওপরে উঠে গেছে। ব্যাংকগুলোর তারল্যসংকটও দূর হয়নি। এসব সমস্যা উৎপাদন ও রপ্তানিকে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।
তৈরি পোশাক খাতে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে গ্রীষ্ম মৌসুমের ক্রয়াদেশ আসতে শুরু করবে। তখন কারখানাগুলোয় চাপ আরও বাড়বে। এই বাড়তি ক্রয়াদেশ দেশের রপ্তানিকারকেরা নিতে পারবে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবকাঠামোর উন্নয়ন না হলে বাড়তি অর্ডার নিয়ে পণ্য সাপ্লাই কীভাবে সম্ভব বলেন? এখনকার যে অর্ডার তার সাপ্লাই দিতেই হিমশিম খাচ্ছি আমরা। কারণ, নানা সমস্যায় এখনো ৩০ শতাংশ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ এবং পর্যাপ্ত চাপ না পাওয়ার কারণে অনেক কারখানা তাদের পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না।’
বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘যদি বাড়তি অর্ডার ধরতে হয়, তবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান তো করতেই হবে। এ ছাড়া বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যাংকঋণের সুদহার কমানো, ব্যাংকগুলোর তারল্যসংকট দূর করতে হবে। দর-কষাকষির সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। এসব সমস্যার সমাধান হলে খুব দ্রুতই রপ্তানি বাড়বে।’
গত ৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানির ওপর সংশোধিত পাল্টা শুল্কহার ঘোষণা করে। ৭ আগস্ট থেকে নতুন শুল্কহার কার্যকর হয়েছে। সংশোধিত হার অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পণ্যে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক দিতে হচ্ছে। আর চীনের ওপর পাল্টা শুল্ক ৩০ শতাংশ রয়েছে। ভারতের ওপর পাল্টা শুল্ক প্রথমে ২৫ শতাংশ থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়, যা ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা বলেছেন, পাল্টা শুল্কের প্রভাবে চীনের হারানো ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে আসছে। ভারতের হারানো রপ্তানি আদেশও আসতে পারে। ৬-৮ মাস ধরে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। সামনের মৌসুমের জন্য ক্রয়াদেশ দিতে অনেক ক্রেতা ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান চীন ও ভারতে আগের দেওয়া ক্রয়াদেশগুলোর মেয়াদ শেষে হলে নতুন ক্রয়াদেশগুলো বাংলাদেশে দিতে চাইছে। কারণ, প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ।
রপ্তানির তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, গত বছরের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রপ্তানি ১১১ কোটি ডলার কমেছে।
তবে চীনের এই হারানো অর্ডারগুলোর সব ধরতে পারেনি বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা। বেশির ভাগই গেছে ভিয়েতনামে। তথ্য বলছে, এ সময় ভিয়েতনামের রপ্তানি বেড়েছে ১১৯ কোটি ডলার। আর বাংলাদেশের বেড়েছে ৮৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৩৮ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।
ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের মতে, ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কের কারণে শুধু সেপ্টেম্বরেই যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। প্রাথমিক হিসাবে দেশটির বার্ষিক রপ্তানি কমতে পারে ৪ হাজার কোটি ডলার; যার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীন।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘প্রতিটি কারখানারই বাড়তি অর্ডার ধরার ক্যাপাসিটি রয়েছে। কিন্তু গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নানা সংকটে সেই ক্যাপাসিটি পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছে না। এই অবস্থায় চীন ও ভারতের হারানো অর্ডারগুলো এলেও ঠিকমতো সাপ্লাই দিতে পারব না আমরা। কারণ, বর্তমান অর্ডারের বিপরীতেই সাপ্লাই দিতে কষ্ট হচ্ছে। তাই আমরা বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটসহ সমস্যাগুলো দূর করার কথা বলছি, যাতে বাড়তি অর্ডারগুলো ধরতে পারি এবং বাড়তি রপ্তানি আয় করতে পারি।’
বাড়তি রপ্তানি আয় হলে এই অর্থ দিয়ে বাড়তি এলএনজি আমদানি ছাড়াও অন্যান্য সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে জানিয়েছে অনেক রপ্তানিকারক। সেই সঙ্গে গ্যাসের সমস্যা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে বলেও জানায় তারা। এতে তারা আশার আলোও দেখতে পাচ্ছে। উৎপাদক ও রপ্তানিকারকেরা বলছে, বর্তমানে গ্যাস ও বিদ্যুৎ অভাবে ৩০ শতাংশ উৎপাদন কম হচ্ছে। দুই থেকে তিন মাস আগে এই সমস্যা আরও বেশি ছিল। তখন সক্ষমতার ৪০ শতাংশের বেশি উৎপাদন কম হতো।
ব্যাংকঋণের সুদহার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগে যেখানে এক কোটি টাকায় ব্যাংকের সুদ দিতে হতো ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা; এখন সেখানে দিতে হয় ১৪-১৫ লাখ টাকা। ব্যাংকঋণের এই বাড়তি সুদের চাপ অনেক কারখানাই সামাল দিতে পারছে না, বিশেষ করে ছোট কারখানাগুলো। এ ছাড়া কিছু ব্যাংক রয়েছে সংকটাপন্ন। রপ্তানিকারকদের রপ্তানি মূল্য সময়মতো পরিশোধ করছে না তারা। এমনকি ব্যাংকগুলো নতুন এলসি খুলতেও ব্যর্থ হচ্ছে। বন্দরে প্রায়ই পণ্যের জট লেগে যায়, সময়মতো পণ্য ডেলিভারি দেওয়া যায় না। রয়েছে কাস্টমস কর্মকর্তাদের অসহযোগিতাও।
এ অবস্থায় নতুন বায়ারদের দেশে ভেড়াতে হলে নেগোশিয়েশন সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। এই দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়টি সরকার ও উদ্যোক্তা দুই ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘পাল্টা শুল্কের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আদেশ হারাবে ভারত। এ ছাড়া চীন থেকেও কিছু কিছু বিনিয়োগকারী আসছে। সব মিলিয়ে আগামী চার-পাঁচ মাসে দেশে চীন ও ভারত যে ক্রয়াদেশ হারাবে, তার কারণে ৫-১০ শতাংশ অর্ডার বাড়বে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে চীন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে। আমাদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সুযোগ আরও বাড়ছে। এই বাড়তি সুযোগ কাজে লাগাতে বন্দর, জ্বালানি, অবকাঠামো, লজিস্টিক, কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস, ব্যাংকঋণের সুদহারসহ বড় সমস্যাগুলোর সমাধান করতেই হবে।’ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য তা নয়, দেশের সার্বিক রপ্তানির ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এগুলো বড় সমস্যা বলে মনে করেন তিনি।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৬ মিনিট আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৭ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আরোপিত উচ্চ হারের পাল্টা শুল্কের কারণে মার্কিন ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ হারাচ্ছে চীন ও ভারত। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু গ্যাস-সংকট, ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহারসহ নানা কারণে এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ।
২৯ আগস্ট ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৭ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আরোপিত উচ্চ হারের পাল্টা শুল্কের কারণে মার্কিন ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ হারাচ্ছে চীন ও ভারত। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু গ্যাস-সংকট, ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহারসহ নানা কারণে এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ।
২৯ আগস্ট ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৬ মিনিট আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আরোপিত উচ্চ হারের পাল্টা শুল্কের কারণে মার্কিন ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ হারাচ্ছে চীন ও ভারত। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু গ্যাস-সংকট, ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহারসহ নানা কারণে এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ।
২৯ আগস্ট ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৬ মিনিট আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আরোপিত উচ্চ হারের পাল্টা শুল্কের কারণে মার্কিন ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ হারাচ্ছে চীন ও ভারত। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু গ্যাস-সংকট, ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহারসহ নানা কারণে এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ।
২৯ আগস্ট ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৬ মিনিট আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৭ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৭ ঘণ্টা আগে