আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপর। এক সময় যে ডলারকে ‘নিরাপদ মুদ্রা’ বলে মনে করা হতো, এখন সেটিই বিনিয়োগকারীদের আস্থার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের আতঙ্ক ও ডলারের দাম পড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ছুটছেন। এর ফলে সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায় ছুঁয়েছে, যা বিশ্ববাজারে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মার্কিন ডলার বিনিয়োগকারীদের কাছে হতাশার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বন্ধু-শত্রু নির্বিশেষে একের পর এক সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন, তাতে বিশ্বজুড়ে মার্কিন মুদ্রার ওপর দীর্ঘদিনের আস্থায় চিড় ধরেছে।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে মার্কিন ট্রেজারি বাজারে। ১৯৮২ সালের পর প্রথমবারের মতো মাত্র এক সপ্তাহেই ঋণগ্রহণের খরচ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, কারণ বিদেশি ফান্ডগুলো আমেরিকান বন্ড ছেড়ে দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সোনার দাম ৩ হাজার ২০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার তীব্রতর বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ডলারের দুর্বলতার কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকছেন।
এই দিনে প্রতি আউন্স স্পট গোল্ডের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৩৫ দশমিক ৮৯ ডলারে। একইদিন স্পট গোল্ডের দাম সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২৪৫ দশমিক ২৮ ডলারে উঠেছিল। পুরো সপ্তাহে সোনার দাম বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা কৌশল প্রধান রে অ্যাট্রিল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রায় এক রাতেই তার ‘নিরাপদ স্বর্গের’ ভাবমূর্তি হারিয়ে ফেলেছে। একদিকে আস্থার ঘাটতি, অন্যদিকে ‘অসাধারণত্ব’ হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দুটি মিলিয়ে স্বল্পমেয়াদে এটি আমেরিকান অর্থনীতির জন্য বড় ক্ষতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এরই মধ্যে ডলার ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে খারাপ বছরের পথে রয়েছে। শুক্রবার সুইস ফ্রাঙ্কের বিপরীতে ডলার এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমে এসেছে, আর ইউরোর বিপরীতে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে।
রে অ্যাট্রিল বলেন, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার পর থেকে ডলারকে ‘রিজার্ভ কারেন্সি’ হিসেবে বিবেচনার ভিত্তিটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযোজক মূল্যসূচক আশ্চর্যজনকভাবে ০ দশমিক ৪ শতাংশ কমে যায়। যদিও আমদানির ওপর নতুন শুল্কের কারণে আগামীতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ফেডারেল রিজার্ভ জুনে সুদের হার কমানো শুরু করবে এবং ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ প্রায় ০ দশমিক ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে।
১৯৪৪ সালে ব্রেটন উডস ব্যবস্থার মাধ্যমে ডলারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয়। যদিও সত্তরের দশকে সেই ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তবুও ডলারের প্রভাব অটুট ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য ও মুদ্রাবাজারে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
ট্রাম্প একদিকে শুল্ক আরোপ করছেন, আবার সেগুলো বাতিল করছেন। ফলে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ওপর আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
বিশ্বের পুঁজিবাজার থেকে ইতোমধ্যেই ট্রিলিয়ন ডলার হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে, আর বাজারে নেমেছে ভয়াবহ ধস।
স্বর্ণের বাজার বিশ্লেষক তাই ওয়াং বলেন, সোনার দামে ছোটখাটো সংশোধন আসতে পারে, কিন্তু সামনের পথটা মূলত ঊর্ধ্বমুখী। কারণ মূল্যস্ফীতি ও উৎপাদন ব্যয় কমার ফলে ফেড সুদের হার কমাতে পারবে, যা ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
সুদ না পাওয়া সোনা সাধারণত বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা ও মূল্যস্ফীতির সময়ে ভালো ফল দেয়। আবার সুদের হার কম থাকলে সোনার দাম বাড়ার সম্ভাবনা আরও বেশি।
এএনজেড গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ রিচার্ড ইয়েটসেঙ্গা জানিয়েছেন, পরবর্তী ৯০ দিনে কী হয় তা যাই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক মহলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়েস্টপ্যাক ব্যাংকের আর্থিক কৌশল প্রধান মার্টিন হোয়েটন বলেন, এই সপ্তাহে ডলারের বড় ধরনের পতন, মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড বেড়ে যাওয়া ও সিকিউরিটি স্প্রেডের অস্বাভাবিক আচরণ—সব মিলিয়ে বোঝা যায় ডলার এখন আর আগের মতো নিরাপদ নয়।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বে আর নিরাপদ অর্থনৈতিক ঠিকানা না থাকে, তাহলে বিশ্বের অন্য দেশগুলোও তাদের অর্থ সেখানে রাখতে আগ্রহ হারাবে। এমনকি এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ঋণ নেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের যা দিতে হচ্ছে, সেটা ইতালি, স্পেন বা গ্রিসের চেয়েও বেশি।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন, এই পরিস্থিতি সাময়িক। ইন্দোসুইজ ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের এশিয়া প্রধান কৌশলবিদ ফ্রান্সিস ট্যান বলছেন, যখন সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে, শুল্ক হার নির্ধারিত হবে এবং আর কোনো পিছুটান থাকবে না, তখন ডলার আবারও শক্তিশালী হবে।
তবুও, ডলারের নিরাপত্তা হারানো মানে বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের জন্য খারাপ খবর। কারণ, এতে সুদের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়, যা বন্ড ও শেয়ারবাজার উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বিদেশিরা মার্কিন শেয়ার ও বন্ডে মোট ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন।
জেফারিস ব্যাংকের গ্লোবাল ইকুইটি কৌশল প্রধান ক্রিস উড বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের যে বড় ধরনের সংস্কার পরিকল্পনা, তা যেন বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিদেশি মূলধনের ওপর চরমভাবে নির্ভরশীল।
তবে সোনার দামে ঊর্ধ্বগতির একটি সীমা রয়েছে বলে মনে করছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংকিং কোম্পানি ইউবিএস। তাদের মতে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস, বাণিজ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি অথবা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হলে সোনার দামের গতি থমকে যেতে পারে।
এদিকে স্পট সিলভারের (রূপা) দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্স ৩২ দশমিক ১৮ ডলারে। প্লাটিনামের দাম ০ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৯৩৬ দশমিক ৩৬ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৯১৪ দশমিক ৮৭ ডলার হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপর। এক সময় যে ডলারকে ‘নিরাপদ মুদ্রা’ বলে মনে করা হতো, এখন সেটিই বিনিয়োগকারীদের আস্থার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের আতঙ্ক ও ডলারের দাম পড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ছুটছেন। এর ফলে সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায় ছুঁয়েছে, যা বিশ্ববাজারে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মার্কিন ডলার বিনিয়োগকারীদের কাছে হতাশার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বন্ধু-শত্রু নির্বিশেষে একের পর এক সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন, তাতে বিশ্বজুড়ে মার্কিন মুদ্রার ওপর দীর্ঘদিনের আস্থায় চিড় ধরেছে।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে মার্কিন ট্রেজারি বাজারে। ১৯৮২ সালের পর প্রথমবারের মতো মাত্র এক সপ্তাহেই ঋণগ্রহণের খরচ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, কারণ বিদেশি ফান্ডগুলো আমেরিকান বন্ড ছেড়ে দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সোনার দাম ৩ হাজার ২০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার তীব্রতর বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ডলারের দুর্বলতার কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকছেন।
এই দিনে প্রতি আউন্স স্পট গোল্ডের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৩৫ দশমিক ৮৯ ডলারে। একইদিন স্পট গোল্ডের দাম সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২৪৫ দশমিক ২৮ ডলারে উঠেছিল। পুরো সপ্তাহে সোনার দাম বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা কৌশল প্রধান রে অ্যাট্রিল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রায় এক রাতেই তার ‘নিরাপদ স্বর্গের’ ভাবমূর্তি হারিয়ে ফেলেছে। একদিকে আস্থার ঘাটতি, অন্যদিকে ‘অসাধারণত্ব’ হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দুটি মিলিয়ে স্বল্পমেয়াদে এটি আমেরিকান অর্থনীতির জন্য বড় ক্ষতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এরই মধ্যে ডলার ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে খারাপ বছরের পথে রয়েছে। শুক্রবার সুইস ফ্রাঙ্কের বিপরীতে ডলার এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমে এসেছে, আর ইউরোর বিপরীতে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে।
রে অ্যাট্রিল বলেন, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার পর থেকে ডলারকে ‘রিজার্ভ কারেন্সি’ হিসেবে বিবেচনার ভিত্তিটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযোজক মূল্যসূচক আশ্চর্যজনকভাবে ০ দশমিক ৪ শতাংশ কমে যায়। যদিও আমদানির ওপর নতুন শুল্কের কারণে আগামীতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ফেডারেল রিজার্ভ জুনে সুদের হার কমানো শুরু করবে এবং ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ প্রায় ০ দশমিক ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে।
১৯৪৪ সালে ব্রেটন উডস ব্যবস্থার মাধ্যমে ডলারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয়। যদিও সত্তরের দশকে সেই ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তবুও ডলারের প্রভাব অটুট ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য ও মুদ্রাবাজারে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
ট্রাম্প একদিকে শুল্ক আরোপ করছেন, আবার সেগুলো বাতিল করছেন। ফলে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ওপর আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
বিশ্বের পুঁজিবাজার থেকে ইতোমধ্যেই ট্রিলিয়ন ডলার হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে, আর বাজারে নেমেছে ভয়াবহ ধস।
স্বর্ণের বাজার বিশ্লেষক তাই ওয়াং বলেন, সোনার দামে ছোটখাটো সংশোধন আসতে পারে, কিন্তু সামনের পথটা মূলত ঊর্ধ্বমুখী। কারণ মূল্যস্ফীতি ও উৎপাদন ব্যয় কমার ফলে ফেড সুদের হার কমাতে পারবে, যা ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
সুদ না পাওয়া সোনা সাধারণত বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা ও মূল্যস্ফীতির সময়ে ভালো ফল দেয়। আবার সুদের হার কম থাকলে সোনার দাম বাড়ার সম্ভাবনা আরও বেশি।
এএনজেড গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ রিচার্ড ইয়েটসেঙ্গা জানিয়েছেন, পরবর্তী ৯০ দিনে কী হয় তা যাই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক মহলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়েস্টপ্যাক ব্যাংকের আর্থিক কৌশল প্রধান মার্টিন হোয়েটন বলেন, এই সপ্তাহে ডলারের বড় ধরনের পতন, মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড বেড়ে যাওয়া ও সিকিউরিটি স্প্রেডের অস্বাভাবিক আচরণ—সব মিলিয়ে বোঝা যায় ডলার এখন আর আগের মতো নিরাপদ নয়।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বে আর নিরাপদ অর্থনৈতিক ঠিকানা না থাকে, তাহলে বিশ্বের অন্য দেশগুলোও তাদের অর্থ সেখানে রাখতে আগ্রহ হারাবে। এমনকি এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ঋণ নেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের যা দিতে হচ্ছে, সেটা ইতালি, স্পেন বা গ্রিসের চেয়েও বেশি।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন, এই পরিস্থিতি সাময়িক। ইন্দোসুইজ ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের এশিয়া প্রধান কৌশলবিদ ফ্রান্সিস ট্যান বলছেন, যখন সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে, শুল্ক হার নির্ধারিত হবে এবং আর কোনো পিছুটান থাকবে না, তখন ডলার আবারও শক্তিশালী হবে।
তবুও, ডলারের নিরাপত্তা হারানো মানে বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের জন্য খারাপ খবর। কারণ, এতে সুদের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়, যা বন্ড ও শেয়ারবাজার উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বিদেশিরা মার্কিন শেয়ার ও বন্ডে মোট ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন।
জেফারিস ব্যাংকের গ্লোবাল ইকুইটি কৌশল প্রধান ক্রিস উড বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের যে বড় ধরনের সংস্কার পরিকল্পনা, তা যেন বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিদেশি মূলধনের ওপর চরমভাবে নির্ভরশীল।
তবে সোনার দামে ঊর্ধ্বগতির একটি সীমা রয়েছে বলে মনে করছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংকিং কোম্পানি ইউবিএস। তাদের মতে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস, বাণিজ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি অথবা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হলে সোনার দামের গতি থমকে যেতে পারে।
এদিকে স্পট সিলভারের (রূপা) দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্স ৩২ দশমিক ১৮ ডলারে। প্লাটিনামের দাম ০ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৯৩৬ দশমিক ৩৬ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৯১৪ দশমিক ৮৭ ডলার হয়েছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপর। এক সময় যে ডলারকে ‘নিরাপদ মুদ্রা’ বলে মনে করা হতো, এখন সেটিই বিনিয়োগকারীদের আস্থার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের আতঙ্ক ও ডলারের দাম পড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ছুটছেন। এর ফলে সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায় ছুঁয়েছে, যা বিশ্ববাজারে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মার্কিন ডলার বিনিয়োগকারীদের কাছে হতাশার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বন্ধু-শত্রু নির্বিশেষে একের পর এক সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন, তাতে বিশ্বজুড়ে মার্কিন মুদ্রার ওপর দীর্ঘদিনের আস্থায় চিড় ধরেছে।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে মার্কিন ট্রেজারি বাজারে। ১৯৮২ সালের পর প্রথমবারের মতো মাত্র এক সপ্তাহেই ঋণগ্রহণের খরচ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, কারণ বিদেশি ফান্ডগুলো আমেরিকান বন্ড ছেড়ে দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সোনার দাম ৩ হাজার ২০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার তীব্রতর বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ডলারের দুর্বলতার কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকছেন।
এই দিনে প্রতি আউন্স স্পট গোল্ডের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৩৫ দশমিক ৮৯ ডলারে। একইদিন স্পট গোল্ডের দাম সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২৪৫ দশমিক ২৮ ডলারে উঠেছিল। পুরো সপ্তাহে সোনার দাম বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা কৌশল প্রধান রে অ্যাট্রিল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রায় এক রাতেই তার ‘নিরাপদ স্বর্গের’ ভাবমূর্তি হারিয়ে ফেলেছে। একদিকে আস্থার ঘাটতি, অন্যদিকে ‘অসাধারণত্ব’ হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দুটি মিলিয়ে স্বল্পমেয়াদে এটি আমেরিকান অর্থনীতির জন্য বড় ক্ষতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এরই মধ্যে ডলার ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে খারাপ বছরের পথে রয়েছে। শুক্রবার সুইস ফ্রাঙ্কের বিপরীতে ডলার এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমে এসেছে, আর ইউরোর বিপরীতে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে।
রে অ্যাট্রিল বলেন, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার পর থেকে ডলারকে ‘রিজার্ভ কারেন্সি’ হিসেবে বিবেচনার ভিত্তিটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযোজক মূল্যসূচক আশ্চর্যজনকভাবে ০ দশমিক ৪ শতাংশ কমে যায়। যদিও আমদানির ওপর নতুন শুল্কের কারণে আগামীতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ফেডারেল রিজার্ভ জুনে সুদের হার কমানো শুরু করবে এবং ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ প্রায় ০ দশমিক ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে।
১৯৪৪ সালে ব্রেটন উডস ব্যবস্থার মাধ্যমে ডলারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয়। যদিও সত্তরের দশকে সেই ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তবুও ডলারের প্রভাব অটুট ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য ও মুদ্রাবাজারে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
ট্রাম্প একদিকে শুল্ক আরোপ করছেন, আবার সেগুলো বাতিল করছেন। ফলে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ওপর আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
বিশ্বের পুঁজিবাজার থেকে ইতোমধ্যেই ট্রিলিয়ন ডলার হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে, আর বাজারে নেমেছে ভয়াবহ ধস।
স্বর্ণের বাজার বিশ্লেষক তাই ওয়াং বলেন, সোনার দামে ছোটখাটো সংশোধন আসতে পারে, কিন্তু সামনের পথটা মূলত ঊর্ধ্বমুখী। কারণ মূল্যস্ফীতি ও উৎপাদন ব্যয় কমার ফলে ফেড সুদের হার কমাতে পারবে, যা ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
সুদ না পাওয়া সোনা সাধারণত বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা ও মূল্যস্ফীতির সময়ে ভালো ফল দেয়। আবার সুদের হার কম থাকলে সোনার দাম বাড়ার সম্ভাবনা আরও বেশি।
এএনজেড গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ রিচার্ড ইয়েটসেঙ্গা জানিয়েছেন, পরবর্তী ৯০ দিনে কী হয় তা যাই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক মহলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়েস্টপ্যাক ব্যাংকের আর্থিক কৌশল প্রধান মার্টিন হোয়েটন বলেন, এই সপ্তাহে ডলারের বড় ধরনের পতন, মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড বেড়ে যাওয়া ও সিকিউরিটি স্প্রেডের অস্বাভাবিক আচরণ—সব মিলিয়ে বোঝা যায় ডলার এখন আর আগের মতো নিরাপদ নয়।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বে আর নিরাপদ অর্থনৈতিক ঠিকানা না থাকে, তাহলে বিশ্বের অন্য দেশগুলোও তাদের অর্থ সেখানে রাখতে আগ্রহ হারাবে। এমনকি এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ঋণ নেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের যা দিতে হচ্ছে, সেটা ইতালি, স্পেন বা গ্রিসের চেয়েও বেশি।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন, এই পরিস্থিতি সাময়িক। ইন্দোসুইজ ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের এশিয়া প্রধান কৌশলবিদ ফ্রান্সিস ট্যান বলছেন, যখন সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে, শুল্ক হার নির্ধারিত হবে এবং আর কোনো পিছুটান থাকবে না, তখন ডলার আবারও শক্তিশালী হবে।
তবুও, ডলারের নিরাপত্তা হারানো মানে বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের জন্য খারাপ খবর। কারণ, এতে সুদের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়, যা বন্ড ও শেয়ারবাজার উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বিদেশিরা মার্কিন শেয়ার ও বন্ডে মোট ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন।
জেফারিস ব্যাংকের গ্লোবাল ইকুইটি কৌশল প্রধান ক্রিস উড বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের যে বড় ধরনের সংস্কার পরিকল্পনা, তা যেন বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিদেশি মূলধনের ওপর চরমভাবে নির্ভরশীল।
তবে সোনার দামে ঊর্ধ্বগতির একটি সীমা রয়েছে বলে মনে করছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংকিং কোম্পানি ইউবিএস। তাদের মতে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস, বাণিজ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি অথবা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হলে সোনার দামের গতি থমকে যেতে পারে।
এদিকে স্পট সিলভারের (রূপা) দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্স ৩২ দশমিক ১৮ ডলারে। প্লাটিনামের দাম ০ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৯৩৬ দশমিক ৩৬ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৯১৪ দশমিক ৮৭ ডলার হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপর। এক সময় যে ডলারকে ‘নিরাপদ মুদ্রা’ বলে মনে করা হতো, এখন সেটিই বিনিয়োগকারীদের আস্থার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের আতঙ্ক ও ডলারের দাম পড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ছুটছেন। এর ফলে সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায় ছুঁয়েছে, যা বিশ্ববাজারে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মার্কিন ডলার বিনিয়োগকারীদের কাছে হতাশার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বন্ধু-শত্রু নির্বিশেষে একের পর এক সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন, তাতে বিশ্বজুড়ে মার্কিন মুদ্রার ওপর দীর্ঘদিনের আস্থায় চিড় ধরেছে।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে মার্কিন ট্রেজারি বাজারে। ১৯৮২ সালের পর প্রথমবারের মতো মাত্র এক সপ্তাহেই ঋণগ্রহণের খরচ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, কারণ বিদেশি ফান্ডগুলো আমেরিকান বন্ড ছেড়ে দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সোনার দাম ৩ হাজার ২০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার তীব্রতর বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ডলারের দুর্বলতার কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকছেন।
এই দিনে প্রতি আউন্স স্পট গোল্ডের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৩৫ দশমিক ৮৯ ডলারে। একইদিন স্পট গোল্ডের দাম সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২৪৫ দশমিক ২৮ ডলারে উঠেছিল। পুরো সপ্তাহে সোনার দাম বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা কৌশল প্রধান রে অ্যাট্রিল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রায় এক রাতেই তার ‘নিরাপদ স্বর্গের’ ভাবমূর্তি হারিয়ে ফেলেছে। একদিকে আস্থার ঘাটতি, অন্যদিকে ‘অসাধারণত্ব’ হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দুটি মিলিয়ে স্বল্পমেয়াদে এটি আমেরিকান অর্থনীতির জন্য বড় ক্ষতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এরই মধ্যে ডলার ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে খারাপ বছরের পথে রয়েছে। শুক্রবার সুইস ফ্রাঙ্কের বিপরীতে ডলার এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমে এসেছে, আর ইউরোর বিপরীতে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে।
রে অ্যাট্রিল বলেন, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার পর থেকে ডলারকে ‘রিজার্ভ কারেন্সি’ হিসেবে বিবেচনার ভিত্তিটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযোজক মূল্যসূচক আশ্চর্যজনকভাবে ০ দশমিক ৪ শতাংশ কমে যায়। যদিও আমদানির ওপর নতুন শুল্কের কারণে আগামীতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ফেডারেল রিজার্ভ জুনে সুদের হার কমানো শুরু করবে এবং ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ প্রায় ০ দশমিক ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে।
১৯৪৪ সালে ব্রেটন উডস ব্যবস্থার মাধ্যমে ডলারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয়। যদিও সত্তরের দশকে সেই ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তবুও ডলারের প্রভাব অটুট ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য ও মুদ্রাবাজারে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
ট্রাম্প একদিকে শুল্ক আরোপ করছেন, আবার সেগুলো বাতিল করছেন। ফলে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ওপর আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
বিশ্বের পুঁজিবাজার থেকে ইতোমধ্যেই ট্রিলিয়ন ডলার হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে, আর বাজারে নেমেছে ভয়াবহ ধস।
স্বর্ণের বাজার বিশ্লেষক তাই ওয়াং বলেন, সোনার দামে ছোটখাটো সংশোধন আসতে পারে, কিন্তু সামনের পথটা মূলত ঊর্ধ্বমুখী। কারণ মূল্যস্ফীতি ও উৎপাদন ব্যয় কমার ফলে ফেড সুদের হার কমাতে পারবে, যা ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
সুদ না পাওয়া সোনা সাধারণত বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা ও মূল্যস্ফীতির সময়ে ভালো ফল দেয়। আবার সুদের হার কম থাকলে সোনার দাম বাড়ার সম্ভাবনা আরও বেশি।
এএনজেড গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ রিচার্ড ইয়েটসেঙ্গা জানিয়েছেন, পরবর্তী ৯০ দিনে কী হয় তা যাই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক মহলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়েস্টপ্যাক ব্যাংকের আর্থিক কৌশল প্রধান মার্টিন হোয়েটন বলেন, এই সপ্তাহে ডলারের বড় ধরনের পতন, মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড বেড়ে যাওয়া ও সিকিউরিটি স্প্রেডের অস্বাভাবিক আচরণ—সব মিলিয়ে বোঝা যায় ডলার এখন আর আগের মতো নিরাপদ নয়।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বে আর নিরাপদ অর্থনৈতিক ঠিকানা না থাকে, তাহলে বিশ্বের অন্য দেশগুলোও তাদের অর্থ সেখানে রাখতে আগ্রহ হারাবে। এমনকি এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ঋণ নেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের যা দিতে হচ্ছে, সেটা ইতালি, স্পেন বা গ্রিসের চেয়েও বেশি।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন, এই পরিস্থিতি সাময়িক। ইন্দোসুইজ ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের এশিয়া প্রধান কৌশলবিদ ফ্রান্সিস ট্যান বলছেন, যখন সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে, শুল্ক হার নির্ধারিত হবে এবং আর কোনো পিছুটান থাকবে না, তখন ডলার আবারও শক্তিশালী হবে।
তবুও, ডলারের নিরাপত্তা হারানো মানে বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের জন্য খারাপ খবর। কারণ, এতে সুদের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়, যা বন্ড ও শেয়ারবাজার উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বিদেশিরা মার্কিন শেয়ার ও বন্ডে মোট ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন।
জেফারিস ব্যাংকের গ্লোবাল ইকুইটি কৌশল প্রধান ক্রিস উড বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের যে বড় ধরনের সংস্কার পরিকল্পনা, তা যেন বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিদেশি মূলধনের ওপর চরমভাবে নির্ভরশীল।
তবে সোনার দামে ঊর্ধ্বগতির একটি সীমা রয়েছে বলে মনে করছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংকিং কোম্পানি ইউবিএস। তাদের মতে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস, বাণিজ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি অথবা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হলে সোনার দামের গতি থমকে যেতে পারে।
এদিকে স্পট সিলভারের (রূপা) দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্স ৩২ দশমিক ১৮ ডলারে। প্লাটিনামের দাম ০ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৯৩৬ দশমিক ৩৬ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৯১৪ দশমিক ৮৭ ডলার হয়েছে।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপরও।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপরও।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপরও।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপরও।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে