Ajker Patrika

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩ শতাধিক কর্মকর্তার লকার খোলার অনুমতি মিলেছে, শিগগিরই দুদকের অভিযান

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮: ৩৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক তিন শতাধিক কর্মকর্তার লকার খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ অনুমতি দেন।

দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আজ বুধবার জানান, দুদকের পরিচালক কাজী সাইমুজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ অনুমতি দিয়েছেন।

পিপি আরও জানান, এসব লকারে সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ থাকতে পারে বলে দুদকের সন্দেহ। এ কারণে লকার খোলার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

পিপি জানান, আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছেন যে, দুদক লকারগুলো খোলার আগে সেখান থেকে কোনো অর্থ বা সম্পদ যাতে কেউ স্থানান্তর করতে না পারে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।

এরই মধ্যে সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর লকার খুলে প্রায় ৫ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। ওই অভিযানকালে দুদকের চোখে তিন শতাধিক ব্যাংক কর্মকর্তার নামে লকারের তথ্য মিলেছে। যার মধ্যে রিজার্ভ চুরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত ব্যক্তির নাম মিলেছে। এ কারণেই দুদক তল্লাশি অভিযান চালানোর প্রয়োজন মনে করছে।

আবেদনপত্রে দুদক কর্মকর্তা বলেন, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে গত ২৬ জানুয়ারি তাঁরা সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি লকার খুলেছিলেন। ওই সময়ে দুদক দেখতে পায় সেখানে ওই ব্যাংকের আরও অনেক কর্মকর্তার লকার রয়েছে। বারবার নোটিশ দিয়েও এস কে সুর সম্পদের বিবরণ না দেওয়ায় আদালতের নির্দেশে দুদক এই অভিযান চালায়।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্যক্তিগত লকার রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেহেতু ওই সব লকারে অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, সে কারণে লকারগুলো খোলার আদেশ প্রয়োজন।’

পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন শতাধিক সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার লকার খুলে সেখানে অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেলে আইনগত পদক্ষেপ নেবে দুদক।

এর আগে গতকাল সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিকিউরিটি ভোল্টে সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের লকারগুলো সাময়িকভাবে অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দেয় দুদক। এরপর প্রায় সন্ধ্যার দিকে আদালতে লকার খোলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত