মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
বিগত সরকারের নেওয়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) পরিকল্পনা ছিল কেবল কাগুজে স্বপ্ন—মাঠের বাস্তবতা যার ধারেকাছে পৌঁছায়নি। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মূল লক্ষ্যমাত্রা শুরু থেকেই ছিল বাস্তবতাবিবর্জিত; নতুন দায়িত্ব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। সেটি ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হলেও এখন সেই সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নও যেন রীতিমতো আকাশছোঁয়া কল্পনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ১০ মাসের খতিয়ান বলছে, অর্থবছরের মেয়াদ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি পেরিয়ে গেলেও উন্নয়ন ব্যয়ের বাস্তবায়ন মাত্র ৪১ দশমিক ৩১ শতাংশে থেমে রয়েছে। অর্থাৎ বাকি দুই লক্ষ্য ছুঁতে হলে সরকারকে তড়িঘড়ি খরচ করতে হবে আরও ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা।
দেশীয় বাস্তবতায় যা কার্যত অসম্ভবই বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাঁরা বলছেন, এত বড় অঙ্কের অর্থ খরচের সক্ষমতা যেমন নেই, তেমনি নেই কাঠামোগত প্রস্তুতিও। বিদ্যমান বাস্তবতায় এখন এই সংশোধিত ব্যয় লক্ষ্যমাত্রাকেও তাঁরা বলছেন ‘অবাস্তব’। শুধু চলতি বছরই নয়, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সরকার স্বায়ত্তশাসিতসহ ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার যে এডিপিতে বরাদ্দ প্রস্তাব করেছে, তারও বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সরাসরি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বুঝতে পারছি, আসলে উন্নয়ন নয়, আমাদের কাজ এখন প্রকল্পের জঞ্জাল পরিষ্কার করা।’ তাঁর মতে, আগের সরকারের রেখে যাওয়া অব্যবস্থাপনা ও অকার্যকর প্রকল্পের ভার এখনো দেশ টেনে বেড়াচ্ছে।’
সরকার বলছে, অভ্যুত্থানের পর মাঠপর্যায়ের অনেক কার্যক্রম থমকে গেছে। ঠিকাদার পালিয়ে গেছেন, প্রকল্পগুলোতে কার্যক্রম থেমে রয়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, ঠিকাদার পালিয়েছেন, নাকি কাঠামোগত অদক্ষতা ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার ভেতর দিয়েই প্রকল্প বাস্তবায়ন সব সময়ই দুর্বল ছিল?
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাবেক সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সরকার অনেক প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোয় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’ তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, রাজনৈতিক শৃঙ্খলা ফিরলে বাস্তবায়ন গতি বাড়তে পারে।
কিন্তু তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ করা অর্থের ২৫ দশমিক ৩৯ শতাংশই খরচ হয়নি। গত বছর এ সময়ে খরচ হয়েছিল ২৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ বরাদ্দ বাড়লেও, বাস্তবায়ন ক্ষমতা কমছে। অন্যদিকে প্রশাসনিক বা পরিচালন ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ শতাংশে, যেখানে গত অর্থবছরে ছিল ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এ ব্যবধানই অর্থনীতিবিদদের ভাষায় ‘উন্নয়ন নয়, খরচই প্রধান’ বাস্তবতা প্রতিষ্ঠা করছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলতি বাজেটে সার্বিক ব্যয় বরাদ্দ ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। তবে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার তা সংশোধন করে ৭ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনে। যেখানে প্রথম ৯ মাসে সরকারের মোট ব্যয় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা, যার বড় অংশই প্রশাসনিক।
এ ঘাটতির বাস্তব প্রভাব পড়ছে অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি উন্নয়নে। একাধিক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রকল্পে অর্থছাড় প্রায় অর্ধেক কমে গেছে, কৃষি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে করে শুধু বাজেট নয়, স্থবির হয়ে পড়ছে গ্রামীণ কর্মসংস্থান ও ক্ষুদ্র অর্থনীতির চক্র।
বিগত সরকারের নেওয়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) পরিকল্পনা ছিল কেবল কাগুজে স্বপ্ন—মাঠের বাস্তবতা যার ধারেকাছে পৌঁছায়নি। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মূল লক্ষ্যমাত্রা শুরু থেকেই ছিল বাস্তবতাবিবর্জিত; নতুন দায়িত্ব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। সেটি ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হলেও এখন সেই সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নও যেন রীতিমতো আকাশছোঁয়া কল্পনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ১০ মাসের খতিয়ান বলছে, অর্থবছরের মেয়াদ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি পেরিয়ে গেলেও উন্নয়ন ব্যয়ের বাস্তবায়ন মাত্র ৪১ দশমিক ৩১ শতাংশে থেমে রয়েছে। অর্থাৎ বাকি দুই লক্ষ্য ছুঁতে হলে সরকারকে তড়িঘড়ি খরচ করতে হবে আরও ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা।
দেশীয় বাস্তবতায় যা কার্যত অসম্ভবই বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাঁরা বলছেন, এত বড় অঙ্কের অর্থ খরচের সক্ষমতা যেমন নেই, তেমনি নেই কাঠামোগত প্রস্তুতিও। বিদ্যমান বাস্তবতায় এখন এই সংশোধিত ব্যয় লক্ষ্যমাত্রাকেও তাঁরা বলছেন ‘অবাস্তব’। শুধু চলতি বছরই নয়, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সরকার স্বায়ত্তশাসিতসহ ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার যে এডিপিতে বরাদ্দ প্রস্তাব করেছে, তারও বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সরাসরি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বুঝতে পারছি, আসলে উন্নয়ন নয়, আমাদের কাজ এখন প্রকল্পের জঞ্জাল পরিষ্কার করা।’ তাঁর মতে, আগের সরকারের রেখে যাওয়া অব্যবস্থাপনা ও অকার্যকর প্রকল্পের ভার এখনো দেশ টেনে বেড়াচ্ছে।’
সরকার বলছে, অভ্যুত্থানের পর মাঠপর্যায়ের অনেক কার্যক্রম থমকে গেছে। ঠিকাদার পালিয়ে গেছেন, প্রকল্পগুলোতে কার্যক্রম থেমে রয়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, ঠিকাদার পালিয়েছেন, নাকি কাঠামোগত অদক্ষতা ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার ভেতর দিয়েই প্রকল্প বাস্তবায়ন সব সময়ই দুর্বল ছিল?
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাবেক সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সরকার অনেক প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোয় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’ তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, রাজনৈতিক শৃঙ্খলা ফিরলে বাস্তবায়ন গতি বাড়তে পারে।
কিন্তু তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ করা অর্থের ২৫ দশমিক ৩৯ শতাংশই খরচ হয়নি। গত বছর এ সময়ে খরচ হয়েছিল ২৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ বরাদ্দ বাড়লেও, বাস্তবায়ন ক্ষমতা কমছে। অন্যদিকে প্রশাসনিক বা পরিচালন ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ শতাংশে, যেখানে গত অর্থবছরে ছিল ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এ ব্যবধানই অর্থনীতিবিদদের ভাষায় ‘উন্নয়ন নয়, খরচই প্রধান’ বাস্তবতা প্রতিষ্ঠা করছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলতি বাজেটে সার্বিক ব্যয় বরাদ্দ ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। তবে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার তা সংশোধন করে ৭ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনে। যেখানে প্রথম ৯ মাসে সরকারের মোট ব্যয় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা, যার বড় অংশই প্রশাসনিক।
এ ঘাটতির বাস্তব প্রভাব পড়ছে অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি উন্নয়নে। একাধিক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রকল্পে অর্থছাড় প্রায় অর্ধেক কমে গেছে, কৃষি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে করে শুধু বাজেট নয়, স্থবির হয়ে পড়ছে গ্রামীণ কর্মসংস্থান ও ক্ষুদ্র অর্থনীতির চক্র।
ডলারের দরে ভিন্নমাত্রার ওঠানামা এখন স্পষ্ট। দেশে ডলারের চাহিদা কমতে থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক নিচ্ছে উল্টো কৌশল, নিয়মিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বড় অঙ্কের ডলার কিনছে। সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে কিনেছে ৪৮৪ মিলিয়ন বা ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। গত রোববার ১৭১ মিলিয়ন, আর আজ মঙ্গলবার এক দিনেই ৩১৩ মিলিয়ন
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জাতীয় মান প্রণয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সঙ্গে রাশিয়ার মান সংস্থা—ফেডারেল এজেন্সি অন টেকনিক্যাল রেগুলেটিং অ্যান্ড মেট্রোলজির (জিওএসটিআর) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবছরের অন্যতম সাসটেইনেবল ব্র্যান্ড হিসেবে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড পেল দেশের ১ নম্বর পেইন্ট ব্র্যান্ড বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। ১২ জুলাই রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে আয়োজিত ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ অনুষ্ঠানে ‘ইন্ডাস্ট্রি, ইনোভেশন ও ইনফ্রাস্
৩ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে হওয়া চুক্তিতে অসংলগ্নতা থাকায় সেগুলো পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগে