মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

বছরের পর বছর বিমা কোম্পানির দরজায় ঘুরেও টাকার দেখা পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। একসময় ভবিষ্যতের ভরসা ছিল এই খাত, এখন সেটিই পরিণত হয়েছে আস্থাহীনতার প্রতীকে। দেশের বিমা কোম্পানিগুলোর কাছে গ্রাহকদের আটকে আছে ৭ হাজার কোটি টাকা, অথচ বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পরিশোধ করছে না।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) তথ্যমতে, ৭৫টি জীবন ও সাধারণ বিমা কোম্পানির মধ্যে অনেকে বছরের পর বছর গ্রাহকের দাবি ঝুলিয়ে রেখেছে। বিমা আইন অনুযায়ী মেয়াদপূর্তির ৯০ দিনের মধ্যে দাবি পরিশোধ বাধ্যতামূলক, কিন্তু বাস্তবে সেই নিয়ম কাগজেই সীমাবদ্ধ।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের গ্রাহক নোয়াখালীর গৃহিণী সানজিদা আক্তার তারই এক উদাহরণ। ৩৩ হাজার টাকার দাবির জন্য গত সাত বছরে ১১ বার ঢাকায় এসেছেন তিনি। অফিসে অফিসে ঘুরেও টাকা পাননি, বরং যাতায়াতেই তাঁর খরচ হয়েছে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা। এভাবে সানজিদার মতো আরও লাখো গ্রাহক বছরের পর বছর বিমা কোম্পানিগুলোর কাছে আটকে থাকা টাকার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন।
অর্থ লোপাট, অদক্ষ ফান্ড ম্যানেজমেন্ট ও অপরিপক্ব বিনিয়োগে জর্জরিত বিমা খাত এখন গভীর আর্থিক সংকটে। গ্রাহক দাবি পরিশোধ না করতে পারায় ব্যবসায়িক আস্থা কমছে, নতুন গ্রাহকও বিমুখ হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ স্বীকার করেছেন, ‘লাইফ ও নন-লাইফের বেশ কিছু কোম্পানিতে অর্থ লোপাট হয়েছে। এই কারণে এখন কোম্পানিগুলো অর্থসংকটে ভুগছে এবং গ্রাহকের দাবি মেটাতে পারছে না।’ তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েকটি কোম্পানির জন্য সবাই বিমা খাতকে ঘৃণা করছে। বিমার নাম শুনলেই মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি পাল্টানোর চেষ্টা করছি। যাঁরা টাকা নিয়ে পালিয়েছেন, তাঁদের আইনের আওতায় এনে অর্থ উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
বিশ্লেষকদের মতে, বিমা খাতের দুরবস্থার পেছনে রয়েছে চারটি মূল কারণ—অর্থ লোপাট, ব্যর্থ বিনিয়োগ, নীতিগত অবহেলা ও ইচ্ছাকৃত অর্থ আটকে রাখা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক মাইন উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ব্যাংক খাতের মতোই বিমা খাতে আর্থিক লোপাটের বড় জায়গা তৈরি হয়েছে। অদক্ষ বিনিয়োগ ও মেরে খাওয়ার প্রবণতা এ খাতকে ধ্বংস করছে।’
আইডিআরএর তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে ৮২টি বিমা কোম্পানি রয়েছে; যার ৩৬টি জীবন বিমা ও ৪৬টি সাধারণ বিমা। এর মধ্যে জীবন বিমা কোম্পানিগুলো ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে দাবি পরিশোধ করেছে মাত্র ৩৫ শতাংশ, আর সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে এই হার ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ, প্রায় ৯২ শতাংশ দাবি এখনো ঝুলে আছে।
সবচেয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে সরকারি সাধারণ বীমা করপোরেশন (এসবিসি), গ্রাহক পাওনা ২ হাজার ৭৬ কোটি টাকা। এরপর গ্রীন ডেল্টার ২৭০ কোটি, প্রগতির ১৬৪ কোটি, রিলায়েয়েন্সের ১০১ কোটি ও পিপলস ইনস্যুরেন্সের ৮১ কোটি। এভাবে মোট ৪৬টি নন-লাইফ কোম্পানির কাছে পাওনা ৩ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার মধ্যে পরিশোধ হয়েছে মাত্র ৩০০ কোটি, অর্থাৎ এখনো ৯২ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন।
নন-লাইফ বিমার এই অবস্থার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালিকদের অর্থ আটকে রাখার মানসিকতা, গ্রাহকের অসম্পূর্ণ কাগজপত্র, সার্ভে রিপোর্টে বিলম্ব, এসবিসি থেকে পুনর্বিমার অর্থ ফেরত না পাওয়া এবং বিনিয়োগের ভুল সিদ্ধান্ত—সবকিছু মিলিয়ে এই সংকট তৈরি হয়েছে।
এক বিমা কোম্পানির সিইও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নন লাইফ বিমায় বছরের শেষে হিসাব বন্ধ হয়ে যায়, মুনাফা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বণ্টন করা হয়। এরপর বড় কোনো দাবি এলে সেটি পরিশোধের অর্থ থাকে না।’
অন্যদিকে, দেশের ৩৬টি জীবন বিমা কোম্পানির কাছে গ্রাহকের দাবি উঠেছে ৫ হাজার ৫৭৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যার মধ্যে পরিশোধ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৯৪৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ফলে বকেয়া রয়ে গেছে ৩ হাজার ৬২৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা, যার পুরোটাই ২৯ বিমা কোম্পানির।
গ্রাহকদের টাকা না দেওয়ার শীর্ষে রয়েছে ফারইস্ট লাইফ ইনস্যুরেন্স, যার কাছে পাওনা ২ হাজার ৭৪২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স, ২৪৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এরপর রয়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফের ১৫৫ কোটি, মেটলাইফ বাংলাদেশের ৮৪ কোটি ও বায়রা লাইফের ৭৯ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) জয়েন্ট সেক্রেটারি এস এম নূরুজ্জামান বলেন, ‘খারাপ বিনিয়োগ ও মালিকদের দুর্নীতির কারণে গ্রাহকদের দাবি সময়মতো পরিশোধ করা যাচ্ছে না। অনেক কোম্পানি দুর্বল ব্যাংক ও লিজিং প্রতিষ্ঠানে অর্থ ঢেলেছে, এখন তা উদ্ধার সম্ভব নয়। আবাসন খাতেও বিনিয়োগ করা হয়েছিল, কিন্তু জমি বিক্রি করেও সমপরিমাণ অর্থ মিলছে না।’
বিমা বিশ্লেষক এস এম জিয়াউল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে হলেও বিমা দাবি দ্রুত পরিশোধ করা দরকার। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা এবং সদিচ্ছার অভাবে কোম্পানিগুলো দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। আইডিআরএ কঠোর হলে কেউ দাবি পরিশোধ না করে পারত না।’
এ অবস্থায় আইডিআরএ বলছে, তারা খাতের অস্থিরতা দূর করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫টি বিমা কোম্পানির বিশেষ অডিট শুরু হয়েছে। অডিটে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে—কেন তারা সময়মতো দাবি মেটাতে পারছে না এবং কীভাবে বকেয়া পরিশোধ করা যায়।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে আইডিআরএর চেয়ারম্যান আসলাম আলম বলেন, ‘বেশ কিছু কোম্পানি নিয়ম মানছে না, দাবি সময়মতো দিচ্ছে না। এতে খাতে ভয়াবহ আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, সেগুলো বাস্তবায়িত হলে বিমা খাতে স্বস্তি ফিরবে।’
আরও খবর পড়ুন:

বছরের পর বছর বিমা কোম্পানির দরজায় ঘুরেও টাকার দেখা পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। একসময় ভবিষ্যতের ভরসা ছিল এই খাত, এখন সেটিই পরিণত হয়েছে আস্থাহীনতার প্রতীকে। দেশের বিমা কোম্পানিগুলোর কাছে গ্রাহকদের আটকে আছে ৭ হাজার কোটি টাকা, অথচ বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পরিশোধ করছে না।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) তথ্যমতে, ৭৫টি জীবন ও সাধারণ বিমা কোম্পানির মধ্যে অনেকে বছরের পর বছর গ্রাহকের দাবি ঝুলিয়ে রেখেছে। বিমা আইন অনুযায়ী মেয়াদপূর্তির ৯০ দিনের মধ্যে দাবি পরিশোধ বাধ্যতামূলক, কিন্তু বাস্তবে সেই নিয়ম কাগজেই সীমাবদ্ধ।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের গ্রাহক নোয়াখালীর গৃহিণী সানজিদা আক্তার তারই এক উদাহরণ। ৩৩ হাজার টাকার দাবির জন্য গত সাত বছরে ১১ বার ঢাকায় এসেছেন তিনি। অফিসে অফিসে ঘুরেও টাকা পাননি, বরং যাতায়াতেই তাঁর খরচ হয়েছে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা। এভাবে সানজিদার মতো আরও লাখো গ্রাহক বছরের পর বছর বিমা কোম্পানিগুলোর কাছে আটকে থাকা টাকার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন।
অর্থ লোপাট, অদক্ষ ফান্ড ম্যানেজমেন্ট ও অপরিপক্ব বিনিয়োগে জর্জরিত বিমা খাত এখন গভীর আর্থিক সংকটে। গ্রাহক দাবি পরিশোধ না করতে পারায় ব্যবসায়িক আস্থা কমছে, নতুন গ্রাহকও বিমুখ হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ স্বীকার করেছেন, ‘লাইফ ও নন-লাইফের বেশ কিছু কোম্পানিতে অর্থ লোপাট হয়েছে। এই কারণে এখন কোম্পানিগুলো অর্থসংকটে ভুগছে এবং গ্রাহকের দাবি মেটাতে পারছে না।’ তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েকটি কোম্পানির জন্য সবাই বিমা খাতকে ঘৃণা করছে। বিমার নাম শুনলেই মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি পাল্টানোর চেষ্টা করছি। যাঁরা টাকা নিয়ে পালিয়েছেন, তাঁদের আইনের আওতায় এনে অর্থ উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
বিশ্লেষকদের মতে, বিমা খাতের দুরবস্থার পেছনে রয়েছে চারটি মূল কারণ—অর্থ লোপাট, ব্যর্থ বিনিয়োগ, নীতিগত অবহেলা ও ইচ্ছাকৃত অর্থ আটকে রাখা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক মাইন উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ব্যাংক খাতের মতোই বিমা খাতে আর্থিক লোপাটের বড় জায়গা তৈরি হয়েছে। অদক্ষ বিনিয়োগ ও মেরে খাওয়ার প্রবণতা এ খাতকে ধ্বংস করছে।’
আইডিআরএর তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে ৮২টি বিমা কোম্পানি রয়েছে; যার ৩৬টি জীবন বিমা ও ৪৬টি সাধারণ বিমা। এর মধ্যে জীবন বিমা কোম্পানিগুলো ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে দাবি পরিশোধ করেছে মাত্র ৩৫ শতাংশ, আর সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে এই হার ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ, প্রায় ৯২ শতাংশ দাবি এখনো ঝুলে আছে।
সবচেয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে সরকারি সাধারণ বীমা করপোরেশন (এসবিসি), গ্রাহক পাওনা ২ হাজার ৭৬ কোটি টাকা। এরপর গ্রীন ডেল্টার ২৭০ কোটি, প্রগতির ১৬৪ কোটি, রিলায়েয়েন্সের ১০১ কোটি ও পিপলস ইনস্যুরেন্সের ৮১ কোটি। এভাবে মোট ৪৬টি নন-লাইফ কোম্পানির কাছে পাওনা ৩ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার মধ্যে পরিশোধ হয়েছে মাত্র ৩০০ কোটি, অর্থাৎ এখনো ৯২ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন।
নন-লাইফ বিমার এই অবস্থার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালিকদের অর্থ আটকে রাখার মানসিকতা, গ্রাহকের অসম্পূর্ণ কাগজপত্র, সার্ভে রিপোর্টে বিলম্ব, এসবিসি থেকে পুনর্বিমার অর্থ ফেরত না পাওয়া এবং বিনিয়োগের ভুল সিদ্ধান্ত—সবকিছু মিলিয়ে এই সংকট তৈরি হয়েছে।
এক বিমা কোম্পানির সিইও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নন লাইফ বিমায় বছরের শেষে হিসাব বন্ধ হয়ে যায়, মুনাফা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বণ্টন করা হয়। এরপর বড় কোনো দাবি এলে সেটি পরিশোধের অর্থ থাকে না।’
অন্যদিকে, দেশের ৩৬টি জীবন বিমা কোম্পানির কাছে গ্রাহকের দাবি উঠেছে ৫ হাজার ৫৭৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যার মধ্যে পরিশোধ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৯৪৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ফলে বকেয়া রয়ে গেছে ৩ হাজার ৬২৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা, যার পুরোটাই ২৯ বিমা কোম্পানির।
গ্রাহকদের টাকা না দেওয়ার শীর্ষে রয়েছে ফারইস্ট লাইফ ইনস্যুরেন্স, যার কাছে পাওনা ২ হাজার ৭৪২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স, ২৪৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এরপর রয়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফের ১৫৫ কোটি, মেটলাইফ বাংলাদেশের ৮৪ কোটি ও বায়রা লাইফের ৭৯ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) জয়েন্ট সেক্রেটারি এস এম নূরুজ্জামান বলেন, ‘খারাপ বিনিয়োগ ও মালিকদের দুর্নীতির কারণে গ্রাহকদের দাবি সময়মতো পরিশোধ করা যাচ্ছে না। অনেক কোম্পানি দুর্বল ব্যাংক ও লিজিং প্রতিষ্ঠানে অর্থ ঢেলেছে, এখন তা উদ্ধার সম্ভব নয়। আবাসন খাতেও বিনিয়োগ করা হয়েছিল, কিন্তু জমি বিক্রি করেও সমপরিমাণ অর্থ মিলছে না।’
বিমা বিশ্লেষক এস এম জিয়াউল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে হলেও বিমা দাবি দ্রুত পরিশোধ করা দরকার। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা এবং সদিচ্ছার অভাবে কোম্পানিগুলো দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। আইডিআরএ কঠোর হলে কেউ দাবি পরিশোধ না করে পারত না।’
এ অবস্থায় আইডিআরএ বলছে, তারা খাতের অস্থিরতা দূর করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫টি বিমা কোম্পানির বিশেষ অডিট শুরু হয়েছে। অডিটে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে—কেন তারা সময়মতো দাবি মেটাতে পারছে না এবং কীভাবে বকেয়া পরিশোধ করা যায়।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে আইডিআরএর চেয়ারম্যান আসলাম আলম বলেন, ‘বেশ কিছু কোম্পানি নিয়ম মানছে না, দাবি সময়মতো দিচ্ছে না। এতে খাতে ভয়াবহ আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, সেগুলো বাস্তবায়িত হলে বিমা খাতে স্বস্তি ফিরবে।’
আরও খবর পড়ুন:

একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে...
৩৯ মিনিট আগে
খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া।
৫ ঘণ্টা আগে
দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকগুলোর নগদ প্রবাহ সচল রাখা ও একীভূতকরণ প্রক্রিয়াকে নির্বিঘ্ন করা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রিফাইন্যান্স, প্রি-ফাইন্যান্স ও বিশেষ আবর্তিত ফান্ডের আওতায় প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করেছিল পাঁচ ব্যাংক, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকেই নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ছিল বিশেষ অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায়। বর্তমানে এসব ঋণের অর্থ আদায় শুরু হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী এই আদায়ের অংশ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে। তবে ব্যাংকগুলোর নগদ ঘাটতি ও চলতি হিসাবের চাপ বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক এই কর্তনপ্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমানে একীভূত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। একীভূত করার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগ দেয় এবং ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ নামে একটি নতুন ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, এই ব্যাংকগুলোর অবস্থা এতটাই নাজুক যে এখন রিফাইন্যান্স বা প্রি-ফাইন্যান্সের টাকা কেটে রাখলে তারা দৈনন্দিন লেনদেনও পরিচালনা করতে পারবে না। তাই প্রশাসকদের সুপারিশে গভর্নর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তহবিল কর্তন আপাতত বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এসব ব্যাংকের সম্মিলিত ঋণ পোর্টফোলিও প্রায় ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা, যার বিপরীতে আমানত রয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা বা ৭৬ শতাংশই খেলাপি ঋণ। ইউনিয়ন ব্যাংকে খেলাপির হার ৯৮ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটিতে ৯৭ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামীতে ৯৫ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামীতে ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং এক্সিম ব্যাংকে ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকগুলোর তারল্য ঘাটতি সাময়িকভাবে কিছুটা প্রশমিত হবে। তবে প্রশাসকদের ওপর এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব একীভূত ব্যাংকের আর্থিক কাঠামোকে টেকসই করার জন্য সম্পদ ও দায়ের সঠিক হিসাব প্রস্তুত করা।
সরকার ইতিমধ্যে নতুন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকার প্রাথমিক মূলধন কাঠামো অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা সরাসরি সরকারি অর্থায়নে এবং বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ শেয়ার দেওয়া হবে আমানতকারীদের। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ব্যাংক চালু হলে এটি দেশের বৃহত্তম ইসলামী ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। সেই লক্ষ্যে গভর্নর সরাসরি একীভূতকরণের সব ধাপ নজরদারি করছেন।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক সংস্কার কমিটির সদস্য ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এ পাঁচ ব্যাংকের অনেক আমানতকারী এখনো জমা অর্থ তুলতে পারছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্ভবত মনে করছে, প্রি-ফাইন্যান্স ও রিফাইন্যান্স তহবিলের আদায়কৃত টাকা কর্তন বন্ধ করলে ব্যাংকগুলোর হাতে নগদ প্রবাহ বাড়বে। এতে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া সহজ হবে এবং ধীরে ধীরে আস্থাও ফিরবে। একই সঙ্গে প্রশাসকদের একীভূতকরণ-সংক্রান্ত আর্থিক বিশ্লেষণ ও পুনর্গঠন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার সুযোগও তৈরি হবে।

একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকগুলোর নগদ প্রবাহ সচল রাখা ও একীভূতকরণ প্রক্রিয়াকে নির্বিঘ্ন করা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রিফাইন্যান্স, প্রি-ফাইন্যান্স ও বিশেষ আবর্তিত ফান্ডের আওতায় প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করেছিল পাঁচ ব্যাংক, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকেই নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ছিল বিশেষ অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায়। বর্তমানে এসব ঋণের অর্থ আদায় শুরু হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী এই আদায়ের অংশ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে। তবে ব্যাংকগুলোর নগদ ঘাটতি ও চলতি হিসাবের চাপ বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক এই কর্তনপ্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমানে একীভূত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। একীভূত করার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগ দেয় এবং ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ নামে একটি নতুন ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, এই ব্যাংকগুলোর অবস্থা এতটাই নাজুক যে এখন রিফাইন্যান্স বা প্রি-ফাইন্যান্সের টাকা কেটে রাখলে তারা দৈনন্দিন লেনদেনও পরিচালনা করতে পারবে না। তাই প্রশাসকদের সুপারিশে গভর্নর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তহবিল কর্তন আপাতত বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এসব ব্যাংকের সম্মিলিত ঋণ পোর্টফোলিও প্রায় ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা, যার বিপরীতে আমানত রয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা বা ৭৬ শতাংশই খেলাপি ঋণ। ইউনিয়ন ব্যাংকে খেলাপির হার ৯৮ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটিতে ৯৭ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামীতে ৯৫ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামীতে ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং এক্সিম ব্যাংকে ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকগুলোর তারল্য ঘাটতি সাময়িকভাবে কিছুটা প্রশমিত হবে। তবে প্রশাসকদের ওপর এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব একীভূত ব্যাংকের আর্থিক কাঠামোকে টেকসই করার জন্য সম্পদ ও দায়ের সঠিক হিসাব প্রস্তুত করা।
সরকার ইতিমধ্যে নতুন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকার প্রাথমিক মূলধন কাঠামো অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা সরাসরি সরকারি অর্থায়নে এবং বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ শেয়ার দেওয়া হবে আমানতকারীদের। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ব্যাংক চালু হলে এটি দেশের বৃহত্তম ইসলামী ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। সেই লক্ষ্যে গভর্নর সরাসরি একীভূতকরণের সব ধাপ নজরদারি করছেন।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক সংস্কার কমিটির সদস্য ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এ পাঁচ ব্যাংকের অনেক আমানতকারী এখনো জমা অর্থ তুলতে পারছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্ভবত মনে করছে, প্রি-ফাইন্যান্স ও রিফাইন্যান্স তহবিলের আদায়কৃত টাকা কর্তন বন্ধ করলে ব্যাংকগুলোর হাতে নগদ প্রবাহ বাড়বে। এতে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া সহজ হবে এবং ধীরে ধীরে আস্থাও ফিরবে। একই সঙ্গে প্রশাসকদের একীভূতকরণ-সংক্রান্ত আর্থিক বিশ্লেষণ ও পুনর্গঠন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার সুযোগও তৈরি হবে।

বছরের পর বছর বিমা কোম্পানির দরজায় ঘুরেও টাকার দেখা পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। একসময় ভবিষ্যতের ভরসা ছিল এই খাত, এখন সেটিই পরিণত হয়েছে আস্থাহীনতার প্রতীকে। দেশের বিমা কোম্পানিগুলোর কাছে গ্রাহকদের আটকে আছে ৭ হাজার কোটি টাকা, অথচ বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পরিশোধ করছে না।
১২ অক্টোবর ২০২৫
খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া।
৫ ঘণ্টা আগে
দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কানাডার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী মানিন্দর সিধু।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সিধু বলেছেন, ‘ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা যৌথভাবে কাজের সুযোগগুলো নিয়ে কথা বলেছি—বিমান ও মহাকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), জ্বালানি, কৃষি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজসহ বিভিন্ন খাতে আরও কীভাবে সহযোগিতা বাড়ানো যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
তিন দিনের সফরে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন সিধু। তাঁর এই সফরকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২৩ সালের জুনে ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে নিহত হন খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার। কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন, নরেন্দ্র মোদির সরকার ওই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। তবে ভারত ট্রুডোর অভিযোগ অস্বীকার করে।
কিন্তু ট্রুডোর মন্তব্যের জেরে ভারত-কানাডা উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। দুই দেশ একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে এবং ভারত কানাডায় ভিসা পরিষেবাও স্থগিত করে দেয়।
তবে এ বছরের শুরুতে ক্ষমতায় আসার পর কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন। জুনে আলবার্টা প্রদেশে জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে কার্নি ও মোদির মধ্যে বৈঠক হয়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ওই বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আইনের শাসন এবং সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা নীতির ওপর ভিত্তি করে কানাডা-ভারত সম্পর্কের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই নেতা নতুন হাইকমিশনার নিয়োগে সম্মত হয়েছেন, যাতে নাগরিক ও ব্যবসা উভয় ক্ষেত্রেই নিয়মিত সেবা পুনরায় চালু করা যায়।
এদিকে, দিল্লিতে আজকের বৈঠকটি এমন এক সময়ে হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কনীতির কারণে ভারত ও কানাডা উভয় দেশই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি।

খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কানাডার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী মানিন্দর সিধু।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সিধু বলেছেন, ‘ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা যৌথভাবে কাজের সুযোগগুলো নিয়ে কথা বলেছি—বিমান ও মহাকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), জ্বালানি, কৃষি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজসহ বিভিন্ন খাতে আরও কীভাবে সহযোগিতা বাড়ানো যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
তিন দিনের সফরে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন সিধু। তাঁর এই সফরকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২৩ সালের জুনে ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে নিহত হন খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার। কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন, নরেন্দ্র মোদির সরকার ওই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। তবে ভারত ট্রুডোর অভিযোগ অস্বীকার করে।
কিন্তু ট্রুডোর মন্তব্যের জেরে ভারত-কানাডা উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। দুই দেশ একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে এবং ভারত কানাডায় ভিসা পরিষেবাও স্থগিত করে দেয়।
তবে এ বছরের শুরুতে ক্ষমতায় আসার পর কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন। জুনে আলবার্টা প্রদেশে জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে কার্নি ও মোদির মধ্যে বৈঠক হয়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ওই বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আইনের শাসন এবং সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা নীতির ওপর ভিত্তি করে কানাডা-ভারত সম্পর্কের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই নেতা নতুন হাইকমিশনার নিয়োগে সম্মত হয়েছেন, যাতে নাগরিক ও ব্যবসা উভয় ক্ষেত্রেই নিয়মিত সেবা পুনরায় চালু করা যায়।
এদিকে, দিল্লিতে আজকের বৈঠকটি এমন এক সময়ে হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কনীতির কারণে ভারত ও কানাডা উভয় দেশই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি।

বছরের পর বছর বিমা কোম্পানির দরজায় ঘুরেও টাকার দেখা পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। একসময় ভবিষ্যতের ভরসা ছিল এই খাত, এখন সেটিই পরিণত হয়েছে আস্থাহীনতার প্রতীকে। দেশের বিমা কোম্পানিগুলোর কাছে গ্রাহকদের আটকে আছে ৭ হাজার কোটি টাকা, অথচ বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পরিশোধ করছে না।
১২ অক্টোবর ২০২৫
একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে...
৩৯ মিনিট আগে
দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন এ দাম আগামীকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ায় সোনার মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। তবে মূল কারণ হচ্ছে, বৈশ্বিক বাজারে সোনার দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ২০০ ডলারে উঠেছে।
নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা।
সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ২৪৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা।

দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন এ দাম আগামীকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ায় সোনার মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। তবে মূল কারণ হচ্ছে, বৈশ্বিক বাজারে সোনার দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ২০০ ডলারে উঠেছে।
নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা।
সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ২৪৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা।

বছরের পর বছর বিমা কোম্পানির দরজায় ঘুরেও টাকার দেখা পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। একসময় ভবিষ্যতের ভরসা ছিল এই খাত, এখন সেটিই পরিণত হয়েছে আস্থাহীনতার প্রতীকে। দেশের বিমা কোম্পানিগুলোর কাছে গ্রাহকদের আটকে আছে ৭ হাজার কোটি টাকা, অথচ বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পরিশোধ করছে না।
১২ অক্টোবর ২০২৫
একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে...
৩৯ মিনিট আগে
খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া।
৫ ঘণ্টা আগে
পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা না নিলে রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই সতর্কবার্তা আসে। সংগঠনের নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি ও বাণিজ্য সংগঠনের ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।
এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, দেশে চাঁদাবাজির প্রলয় শুরু হয়েছে। ট্রাক থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকেও চাঁদা দিতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় চাঁদাবাজি এখন সংগঠিত রূপ নিয়েছে। শ্যামবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন বলেন, চাঁদাবাজি এখন সর্বনাশের স্তরে নেমেছে। একদিকে ট্রাকে পণ্য ভরতে চাঁদা, অন্যদিকে পণ্য নামাতেও চাঁদা। প্রশাসন জানে, কিন্তু চুপ।
আরও বড় উদ্বেগ এসেছে করপোরেট আগ্রাসন নিয়ে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোড়কজাত পণ্যের অজুহাতে করপোরেট কোম্পানিগুলো বাজার দখল করছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে পণ্য পেলেও করপোরেট ব্র্যান্ডিংয়ের চাপে খুচরা বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। ফরিদ উদ্দিনের ভাষায়, ৩ টাকার মোড়ক লাগিয়ে ৪০ টাকা দাম বাড়ায়, এটাই আজকের বাস্তবতা। অথচ এসব কিছুর দায় ভোক্তার ওপরই পড়ছে।
চিনি ও তেল ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম এখন তুলনামূলক স্থিতিশীল। কিন্তু স্থানীয় উৎপাদনে গ্যাস-সংকট ও লজিস্টিক জটিলতা না মিটলে রমজানের আগে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাঁদের আশঙ্কা, চিনি ও তেল মিলের উৎপাদন স্থবির হলে বাজারে নতুন চাপ তৈরি হবে।
এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খান সভায় বলেন, সরকারের লক্ষ্য বাজারে ভারসাম্য রাখা, ব্যবসায়ীকে হয়রানি নয়। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও দৃঢ় হতে হবে, আর ব্যবসায়ীদেরও আইন মেনে চলতে হবে।
ব্যবসায়ী নেতারা মনে করছেন, বড় করপোরেটদের নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি থামাতে না পারলে শুধু রমজান নয়, সামগ্রিক অর্থনীতিতেই ভোক্তামুখী পণ্যমূল্যের চাপ দীর্ঘায়িত হবে। কারণ, নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারই দেশের খাদ্য সরবরাহব্যবস্থার মেরুদণ্ড; এখানে অস্থিরতা মানেই বাজেটের বাইরে নতুন মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি।

পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা না নিলে রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই সতর্কবার্তা আসে। সংগঠনের নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি ও বাণিজ্য সংগঠনের ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।
এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, দেশে চাঁদাবাজির প্রলয় শুরু হয়েছে। ট্রাক থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকেও চাঁদা দিতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় চাঁদাবাজি এখন সংগঠিত রূপ নিয়েছে। শ্যামবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন বলেন, চাঁদাবাজি এখন সর্বনাশের স্তরে নেমেছে। একদিকে ট্রাকে পণ্য ভরতে চাঁদা, অন্যদিকে পণ্য নামাতেও চাঁদা। প্রশাসন জানে, কিন্তু চুপ।
আরও বড় উদ্বেগ এসেছে করপোরেট আগ্রাসন নিয়ে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোড়কজাত পণ্যের অজুহাতে করপোরেট কোম্পানিগুলো বাজার দখল করছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে পণ্য পেলেও করপোরেট ব্র্যান্ডিংয়ের চাপে খুচরা বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। ফরিদ উদ্দিনের ভাষায়, ৩ টাকার মোড়ক লাগিয়ে ৪০ টাকা দাম বাড়ায়, এটাই আজকের বাস্তবতা। অথচ এসব কিছুর দায় ভোক্তার ওপরই পড়ছে।
চিনি ও তেল ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম এখন তুলনামূলক স্থিতিশীল। কিন্তু স্থানীয় উৎপাদনে গ্যাস-সংকট ও লজিস্টিক জটিলতা না মিটলে রমজানের আগে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাঁদের আশঙ্কা, চিনি ও তেল মিলের উৎপাদন স্থবির হলে বাজারে নতুন চাপ তৈরি হবে।
এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খান সভায় বলেন, সরকারের লক্ষ্য বাজারে ভারসাম্য রাখা, ব্যবসায়ীকে হয়রানি নয়। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও দৃঢ় হতে হবে, আর ব্যবসায়ীদেরও আইন মেনে চলতে হবে।
ব্যবসায়ী নেতারা মনে করছেন, বড় করপোরেটদের নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি থামাতে না পারলে শুধু রমজান নয়, সামগ্রিক অর্থনীতিতেই ভোক্তামুখী পণ্যমূল্যের চাপ দীর্ঘায়িত হবে। কারণ, নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারই দেশের খাদ্য সরবরাহব্যবস্থার মেরুদণ্ড; এখানে অস্থিরতা মানেই বাজেটের বাইরে নতুন মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি।

বছরের পর বছর বিমা কোম্পানির দরজায় ঘুরেও টাকার দেখা পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। একসময় ভবিষ্যতের ভরসা ছিল এই খাত, এখন সেটিই পরিণত হয়েছে আস্থাহীনতার প্রতীকে। দেশের বিমা কোম্পানিগুলোর কাছে গ্রাহকদের আটকে আছে ৭ হাজার কোটি টাকা, অথচ বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পরিশোধ করছে না।
১২ অক্টোবর ২০২৫
একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে...
৩৯ মিনিট আগে
খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া।
৫ ঘণ্টা আগে
দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে