
ডলার সংকটে পড়ে বিকল্প মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানির উদ্যোগ নিচ্ছে বলিভিয়া। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা করছে লাতিন আমেরিকার এই দেশ।
এক্ষেত্রে সান্তা ক্রুজ প্রদেশের উদ্যোক্তারা চীনা ব্যাংক খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে মস্কোর সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিক জানিয়েছে। এর আগে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মতো দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ একই কাজ করেছে।
প্রতিবেদনে স্পুৎনিক বলেছে, চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়ে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারই একমাত্র সমাধান বলে মনে করছে ডলার সংকটে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশগুলো।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ান চালু করতে সান্তা ক্রুজের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলিভিয়ায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত হুয়াং ইয়াঝং। আলোচনার এজেন্ডার মধ্যে দেশটিতে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও রয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চীন, রাশিয়া ও ভারতের নেতৃত্বাধীন ব্লকের সঙ্গে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ব্লকের যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে, তার কারণেই বলিভিয়ায় ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট আর্সে মনে করছেন।
গত ১১ মে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউয়ানকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রবণতা আছে এ অঞ্চলে। এর মধ্যে এ অঞ্চলের দুটি বড় অর্থনীতি চীনের সঙ্গে ইউয়ানে লেনদেন করছে। এই উপায়ে বলিভিয়ার অর্থনীতি কিছু স্বস্তি পেতে পারে।’
ইউয়ানে বাণিজ্যে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে তার সঠিক মূল্যায়নের জন্য আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের অর্থনৈতিক নীতি বিশ্লেষণে প্রেসিডেন্ট আর্সে সেন্ট্রাল ব্যাংক অব বলিভিয়াকে (বিসিবি) নির্দেশনাও দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট আর্সেকে উদ্ধৃত করে স্পুৎনিক বলেছে, ‘লাতিন আমেরিকায় সবসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রভাব থাকে। কিন্তু এখন অনেক দেশই যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীনের সঙ্গে বেশি বৈদেশিক বাণিজ্য করছে; মানে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে।’
ইউয়ানে বাণিজ্যের বিষয়ে আর্সে সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশটির প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস। স্থানীয় বেতার ‘রেডিও কাউসাচুন কোকা’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যদি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চালু হয় আমাদের আর ডলারের প্রয়োজন হবে না। এখানে চীনা ব্যাংক চালু হলে আমি প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলব। এভাবে একটু একটু করে ডলার হারিয়ে যাবে।’
সান্তা ক্রুজ ভিত্তিক বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কনফেডারেশনের সভাপতি অস্কার মারিও জাস্টিনিয়ানো স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বলিভিয়ায় চীনা ব্যাংক তৈরি হলে ইউয়ানে লেনদেন করা সম্ভব হবে। অবশ্যই ব্যাংকটি বলিভিয়ান পেসোতে লেনদেন করবে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনেক বাধার মুখে পড়ছে মার্কিন ডলার এবং প্রতিদিন তা বাড়ছে। অর্থাৎ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান বিরোধ বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থার উপর একটি অস্থিতিশীল প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে প্রভাবশালী বাণিজ্য মুদ্রা হিসাবে মার্কিন ডলারের উপর চাপ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। উল্টোদিকে বাণিজ্য মুদ্রা হিসাবে উত্থান ঘটেছে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের। বাণিজ্য মুদ্রা হিসেবে ইউয়ানের উত্থান দৃঢ় হয়েছে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোতে। এবার লাতিন আমেরিকার পালা। এই অঞ্চলের কয়েকটি দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার চীন।
ব্লুমবার্গের তথ্য বলছে, ২০১০ সাল পর্যন্ত চীন ১ শতাংশেরও কম পণ্য ইউয়ানে লেনদেন করত আর ডলারে লেনদেন হতো ৮৩ শতাংশ পণ্য। কিন্তু গত মার্চে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ানের ব্যবহার (৪৮ শতাংশ) ডলারকে (৪৭ শতাংশ) ছাড়িয়ে যায়।
সান্তা ক্রুজ বহু নৃগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত দেশ বলিভিয়ার জন্য অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১২ সালে সান্তা ক্রুজের উৎপাদন ছিল জাতীয় রপ্তানির ২৭ শতাংশ। ২০২০ সালে যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশে। তাই সাবেক প্রেসিডেন্ট মোরালেসকে সান্তা ক্রুজের অর্থনৈতিক ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল। বর্তমান প্রেসিডেন্ট আর্সেকেও সেই লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ সান্তা ক্রুজের উদ্যোক্তাদেরও শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে। কিন্তু মতাদর্শগত বিভেদকে পাশে রেখে, এখন সান্তা ক্রুজের উদ্যোক্তারা বলিভিয়ায় চীনের একটি ব্যাংক খোলার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বলিভিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফরেন ট্রেড (আইবিসিই) চীনে সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য ভারসাম্যের অবস্থা তুলে ধরেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে চীন থেকে আমদানি হয়েছে আড়াই শ কোটি বেশি ডলারের পণ্য এবং রপ্তানি হয়েছে ৮০ কোটি ডলারের পণ্য। বলিভিয়া চীন থেকে অটো যন্ত্রাংশ, টায়ার, মোটরসাইকেল, কৃষি উপকরণ, ভারী যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতির মতো পণ্য আমদানি করে থাকে। অন্যদিকে, বলিভিয়া রূপা জিংক ও গরুর মাংস রপ্তানি করে চীনে ।
আইবিসিইর প্রেসিডেন্ট অ্যালান ক্যামি রোজেনম্যান স্থানীয় মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে বিষয়টি দেখছি। আর্জেন্টিনার মতো প্রতিবেশী দেশেও এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক ব্রাজিলেও রয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে, চীন আজ বিশ্ব উন্নয়নের প্রধান অংশীদার হয়ে উঠছে। তাই এখানে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়াও ব্যতিক্রম নয়।’
এসব বিষয় যাচাই করতে আইবিসিইর সঙ্গে স্পুৎনিক যোগাযোগ করেলও কোনো সাড়া মেলেনি। বলিভিয়ান মুদ্রা পেসো ও ইউয়ানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অর্থনীতিবিদ মাইক জেমিওর সঙ্গে কথা বলেছে স্পুৎনিক।
চীনা ব্যাংক খোলার সম্ভাবনা নিয়ে জেমিও বলেন, ‘এটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। কারণ এর মানে হলো- এখন আমাদের দেশীয় অর্থনীতিতে বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে। ডলারের লাগাতার হোঁচট খাওয়া থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিগুলো আন্তর্জাতিক রিজার্ভের জন্য স্থানীয় মুদ্রা বা অন্য মুদ্রার দিকে ঝুঁকছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বলিভিয়া সরকারকে আরও সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে। কোন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করছে এবং মুদ্রার পরিবর্তন করবে কি না তা ঠিক করতে বলিভিয়াকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মূল্যায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আফ্রিকা ও এশিয়ার অর্থনীতির সঙ্গে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত জোটগুলোর কথাও বিবেচনা করতে।’
রিজার্ভ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ডলার সংকটে পড়ে বিকল্প মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানির উদ্যোগ নিচ্ছে বলিভিয়া। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা করছে লাতিন আমেরিকার এই দেশ।
এক্ষেত্রে সান্তা ক্রুজ প্রদেশের উদ্যোক্তারা চীনা ব্যাংক খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে মস্কোর সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিক জানিয়েছে। এর আগে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মতো দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ একই কাজ করেছে।
প্রতিবেদনে স্পুৎনিক বলেছে, চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়ে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারই একমাত্র সমাধান বলে মনে করছে ডলার সংকটে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশগুলো।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ান চালু করতে সান্তা ক্রুজের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলিভিয়ায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত হুয়াং ইয়াঝং। আলোচনার এজেন্ডার মধ্যে দেশটিতে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও রয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চীন, রাশিয়া ও ভারতের নেতৃত্বাধীন ব্লকের সঙ্গে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ব্লকের যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে, তার কারণেই বলিভিয়ায় ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট আর্সে মনে করছেন।
গত ১১ মে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউয়ানকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রবণতা আছে এ অঞ্চলে। এর মধ্যে এ অঞ্চলের দুটি বড় অর্থনীতি চীনের সঙ্গে ইউয়ানে লেনদেন করছে। এই উপায়ে বলিভিয়ার অর্থনীতি কিছু স্বস্তি পেতে পারে।’
ইউয়ানে বাণিজ্যে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে তার সঠিক মূল্যায়নের জন্য আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের অর্থনৈতিক নীতি বিশ্লেষণে প্রেসিডেন্ট আর্সে সেন্ট্রাল ব্যাংক অব বলিভিয়াকে (বিসিবি) নির্দেশনাও দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট আর্সেকে উদ্ধৃত করে স্পুৎনিক বলেছে, ‘লাতিন আমেরিকায় সবসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রভাব থাকে। কিন্তু এখন অনেক দেশই যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীনের সঙ্গে বেশি বৈদেশিক বাণিজ্য করছে; মানে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে।’
ইউয়ানে বাণিজ্যের বিষয়ে আর্সে সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশটির প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস। স্থানীয় বেতার ‘রেডিও কাউসাচুন কোকা’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যদি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চালু হয় আমাদের আর ডলারের প্রয়োজন হবে না। এখানে চীনা ব্যাংক চালু হলে আমি প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলব। এভাবে একটু একটু করে ডলার হারিয়ে যাবে।’
সান্তা ক্রুজ ভিত্তিক বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কনফেডারেশনের সভাপতি অস্কার মারিও জাস্টিনিয়ানো স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বলিভিয়ায় চীনা ব্যাংক তৈরি হলে ইউয়ানে লেনদেন করা সম্ভব হবে। অবশ্যই ব্যাংকটি বলিভিয়ান পেসোতে লেনদেন করবে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনেক বাধার মুখে পড়ছে মার্কিন ডলার এবং প্রতিদিন তা বাড়ছে। অর্থাৎ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান বিরোধ বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থার উপর একটি অস্থিতিশীল প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে প্রভাবশালী বাণিজ্য মুদ্রা হিসাবে মার্কিন ডলারের উপর চাপ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। উল্টোদিকে বাণিজ্য মুদ্রা হিসাবে উত্থান ঘটেছে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের। বাণিজ্য মুদ্রা হিসেবে ইউয়ানের উত্থান দৃঢ় হয়েছে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোতে। এবার লাতিন আমেরিকার পালা। এই অঞ্চলের কয়েকটি দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার চীন।
ব্লুমবার্গের তথ্য বলছে, ২০১০ সাল পর্যন্ত চীন ১ শতাংশেরও কম পণ্য ইউয়ানে লেনদেন করত আর ডলারে লেনদেন হতো ৮৩ শতাংশ পণ্য। কিন্তু গত মার্চে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ানের ব্যবহার (৪৮ শতাংশ) ডলারকে (৪৭ শতাংশ) ছাড়িয়ে যায়।
সান্তা ক্রুজ বহু নৃগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত দেশ বলিভিয়ার জন্য অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১২ সালে সান্তা ক্রুজের উৎপাদন ছিল জাতীয় রপ্তানির ২৭ শতাংশ। ২০২০ সালে যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশে। তাই সাবেক প্রেসিডেন্ট মোরালেসকে সান্তা ক্রুজের অর্থনৈতিক ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল। বর্তমান প্রেসিডেন্ট আর্সেকেও সেই লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ সান্তা ক্রুজের উদ্যোক্তাদেরও শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে। কিন্তু মতাদর্শগত বিভেদকে পাশে রেখে, এখন সান্তা ক্রুজের উদ্যোক্তারা বলিভিয়ায় চীনের একটি ব্যাংক খোলার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বলিভিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফরেন ট্রেড (আইবিসিই) চীনে সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য ভারসাম্যের অবস্থা তুলে ধরেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে চীন থেকে আমদানি হয়েছে আড়াই শ কোটি বেশি ডলারের পণ্য এবং রপ্তানি হয়েছে ৮০ কোটি ডলারের পণ্য। বলিভিয়া চীন থেকে অটো যন্ত্রাংশ, টায়ার, মোটরসাইকেল, কৃষি উপকরণ, ভারী যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতির মতো পণ্য আমদানি করে থাকে। অন্যদিকে, বলিভিয়া রূপা জিংক ও গরুর মাংস রপ্তানি করে চীনে ।
আইবিসিইর প্রেসিডেন্ট অ্যালান ক্যামি রোজেনম্যান স্থানীয় মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে বিষয়টি দেখছি। আর্জেন্টিনার মতো প্রতিবেশী দেশেও এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক ব্রাজিলেও রয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে, চীন আজ বিশ্ব উন্নয়নের প্রধান অংশীদার হয়ে উঠছে। তাই এখানে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়াও ব্যতিক্রম নয়।’
এসব বিষয় যাচাই করতে আইবিসিইর সঙ্গে স্পুৎনিক যোগাযোগ করেলও কোনো সাড়া মেলেনি। বলিভিয়ান মুদ্রা পেসো ও ইউয়ানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অর্থনীতিবিদ মাইক জেমিওর সঙ্গে কথা বলেছে স্পুৎনিক।
চীনা ব্যাংক খোলার সম্ভাবনা নিয়ে জেমিও বলেন, ‘এটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। কারণ এর মানে হলো- এখন আমাদের দেশীয় অর্থনীতিতে বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে। ডলারের লাগাতার হোঁচট খাওয়া থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিগুলো আন্তর্জাতিক রিজার্ভের জন্য স্থানীয় মুদ্রা বা অন্য মুদ্রার দিকে ঝুঁকছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বলিভিয়া সরকারকে আরও সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে। কোন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করছে এবং মুদ্রার পরিবর্তন করবে কি না তা ঠিক করতে বলিভিয়াকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মূল্যায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আফ্রিকা ও এশিয়ার অর্থনীতির সঙ্গে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত জোটগুলোর কথাও বিবেচনা করতে।’
রিজার্ভ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ডলার সংকটে পড়ে বিকল্প মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানির উদ্যোগ নিচ্ছে বলিভিয়া। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা করছে লাতিন আমেরিকার এই দেশ।
এক্ষেত্রে সান্তা ক্রুজ প্রদেশের উদ্যোক্তারা চীনা ব্যাংক খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে মস্কোর সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিক জানিয়েছে। এর আগে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মতো দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ একই কাজ করেছে।
প্রতিবেদনে স্পুৎনিক বলেছে, চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়ে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারই একমাত্র সমাধান বলে মনে করছে ডলার সংকটে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশগুলো।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ান চালু করতে সান্তা ক্রুজের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলিভিয়ায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত হুয়াং ইয়াঝং। আলোচনার এজেন্ডার মধ্যে দেশটিতে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও রয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চীন, রাশিয়া ও ভারতের নেতৃত্বাধীন ব্লকের সঙ্গে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ব্লকের যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে, তার কারণেই বলিভিয়ায় ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট আর্সে মনে করছেন।
গত ১১ মে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউয়ানকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রবণতা আছে এ অঞ্চলে। এর মধ্যে এ অঞ্চলের দুটি বড় অর্থনীতি চীনের সঙ্গে ইউয়ানে লেনদেন করছে। এই উপায়ে বলিভিয়ার অর্থনীতি কিছু স্বস্তি পেতে পারে।’
ইউয়ানে বাণিজ্যে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে তার সঠিক মূল্যায়নের জন্য আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের অর্থনৈতিক নীতি বিশ্লেষণে প্রেসিডেন্ট আর্সে সেন্ট্রাল ব্যাংক অব বলিভিয়াকে (বিসিবি) নির্দেশনাও দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট আর্সেকে উদ্ধৃত করে স্পুৎনিক বলেছে, ‘লাতিন আমেরিকায় সবসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রভাব থাকে। কিন্তু এখন অনেক দেশই যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীনের সঙ্গে বেশি বৈদেশিক বাণিজ্য করছে; মানে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে।’
ইউয়ানে বাণিজ্যের বিষয়ে আর্সে সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশটির প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস। স্থানীয় বেতার ‘রেডিও কাউসাচুন কোকা’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যদি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চালু হয় আমাদের আর ডলারের প্রয়োজন হবে না। এখানে চীনা ব্যাংক চালু হলে আমি প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলব। এভাবে একটু একটু করে ডলার হারিয়ে যাবে।’
সান্তা ক্রুজ ভিত্তিক বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কনফেডারেশনের সভাপতি অস্কার মারিও জাস্টিনিয়ানো স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বলিভিয়ায় চীনা ব্যাংক তৈরি হলে ইউয়ানে লেনদেন করা সম্ভব হবে। অবশ্যই ব্যাংকটি বলিভিয়ান পেসোতে লেনদেন করবে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনেক বাধার মুখে পড়ছে মার্কিন ডলার এবং প্রতিদিন তা বাড়ছে। অর্থাৎ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান বিরোধ বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থার উপর একটি অস্থিতিশীল প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে প্রভাবশালী বাণিজ্য মুদ্রা হিসাবে মার্কিন ডলারের উপর চাপ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। উল্টোদিকে বাণিজ্য মুদ্রা হিসাবে উত্থান ঘটেছে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের। বাণিজ্য মুদ্রা হিসেবে ইউয়ানের উত্থান দৃঢ় হয়েছে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোতে। এবার লাতিন আমেরিকার পালা। এই অঞ্চলের কয়েকটি দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার চীন।
ব্লুমবার্গের তথ্য বলছে, ২০১০ সাল পর্যন্ত চীন ১ শতাংশেরও কম পণ্য ইউয়ানে লেনদেন করত আর ডলারে লেনদেন হতো ৮৩ শতাংশ পণ্য। কিন্তু গত মার্চে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ানের ব্যবহার (৪৮ শতাংশ) ডলারকে (৪৭ শতাংশ) ছাড়িয়ে যায়।
সান্তা ক্রুজ বহু নৃগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত দেশ বলিভিয়ার জন্য অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১২ সালে সান্তা ক্রুজের উৎপাদন ছিল জাতীয় রপ্তানির ২৭ শতাংশ। ২০২০ সালে যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশে। তাই সাবেক প্রেসিডেন্ট মোরালেসকে সান্তা ক্রুজের অর্থনৈতিক ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল। বর্তমান প্রেসিডেন্ট আর্সেকেও সেই লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ সান্তা ক্রুজের উদ্যোক্তাদেরও শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে। কিন্তু মতাদর্শগত বিভেদকে পাশে রেখে, এখন সান্তা ক্রুজের উদ্যোক্তারা বলিভিয়ায় চীনের একটি ব্যাংক খোলার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বলিভিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফরেন ট্রেড (আইবিসিই) চীনে সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য ভারসাম্যের অবস্থা তুলে ধরেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে চীন থেকে আমদানি হয়েছে আড়াই শ কোটি বেশি ডলারের পণ্য এবং রপ্তানি হয়েছে ৮০ কোটি ডলারের পণ্য। বলিভিয়া চীন থেকে অটো যন্ত্রাংশ, টায়ার, মোটরসাইকেল, কৃষি উপকরণ, ভারী যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতির মতো পণ্য আমদানি করে থাকে। অন্যদিকে, বলিভিয়া রূপা জিংক ও গরুর মাংস রপ্তানি করে চীনে ।
আইবিসিইর প্রেসিডেন্ট অ্যালান ক্যামি রোজেনম্যান স্থানীয় মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে বিষয়টি দেখছি। আর্জেন্টিনার মতো প্রতিবেশী দেশেও এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক ব্রাজিলেও রয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে, চীন আজ বিশ্ব উন্নয়নের প্রধান অংশীদার হয়ে উঠছে। তাই এখানে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়াও ব্যতিক্রম নয়।’
এসব বিষয় যাচাই করতে আইবিসিইর সঙ্গে স্পুৎনিক যোগাযোগ করেলও কোনো সাড়া মেলেনি। বলিভিয়ান মুদ্রা পেসো ও ইউয়ানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অর্থনীতিবিদ মাইক জেমিওর সঙ্গে কথা বলেছে স্পুৎনিক।
চীনা ব্যাংক খোলার সম্ভাবনা নিয়ে জেমিও বলেন, ‘এটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। কারণ এর মানে হলো- এখন আমাদের দেশীয় অর্থনীতিতে বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে। ডলারের লাগাতার হোঁচট খাওয়া থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিগুলো আন্তর্জাতিক রিজার্ভের জন্য স্থানীয় মুদ্রা বা অন্য মুদ্রার দিকে ঝুঁকছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বলিভিয়া সরকারকে আরও সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে। কোন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করছে এবং মুদ্রার পরিবর্তন করবে কি না তা ঠিক করতে বলিভিয়াকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মূল্যায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আফ্রিকা ও এশিয়ার অর্থনীতির সঙ্গে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত জোটগুলোর কথাও বিবেচনা করতে।’
রিজার্ভ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ডলার সংকটে পড়ে বিকল্প মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানির উদ্যোগ নিচ্ছে বলিভিয়া। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা করছে লাতিন আমেরিকার এই দেশ।
এক্ষেত্রে সান্তা ক্রুজ প্রদেশের উদ্যোক্তারা চীনা ব্যাংক খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে মস্কোর সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিক জানিয়েছে। এর আগে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মতো দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ একই কাজ করেছে।
প্রতিবেদনে স্পুৎনিক বলেছে, চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়ে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারই একমাত্র সমাধান বলে মনে করছে ডলার সংকটে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশগুলো।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ান চালু করতে সান্তা ক্রুজের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলিভিয়ায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত হুয়াং ইয়াঝং। আলোচনার এজেন্ডার মধ্যে দেশটিতে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও রয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চীন, রাশিয়া ও ভারতের নেতৃত্বাধীন ব্লকের সঙ্গে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ব্লকের যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে, তার কারণেই বলিভিয়ায় ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট আর্সে মনে করছেন।
গত ১১ মে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউয়ানকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রবণতা আছে এ অঞ্চলে। এর মধ্যে এ অঞ্চলের দুটি বড় অর্থনীতি চীনের সঙ্গে ইউয়ানে লেনদেন করছে। এই উপায়ে বলিভিয়ার অর্থনীতি কিছু স্বস্তি পেতে পারে।’
ইউয়ানে বাণিজ্যে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে তার সঠিক মূল্যায়নের জন্য আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের অর্থনৈতিক নীতি বিশ্লেষণে প্রেসিডেন্ট আর্সে সেন্ট্রাল ব্যাংক অব বলিভিয়াকে (বিসিবি) নির্দেশনাও দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট আর্সেকে উদ্ধৃত করে স্পুৎনিক বলেছে, ‘লাতিন আমেরিকায় সবসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রভাব থাকে। কিন্তু এখন অনেক দেশই যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীনের সঙ্গে বেশি বৈদেশিক বাণিজ্য করছে; মানে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে।’
ইউয়ানে বাণিজ্যের বিষয়ে আর্সে সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশটির প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস। স্থানীয় বেতার ‘রেডিও কাউসাচুন কোকা’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যদি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চালু হয় আমাদের আর ডলারের প্রয়োজন হবে না। এখানে চীনা ব্যাংক চালু হলে আমি প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলব। এভাবে একটু একটু করে ডলার হারিয়ে যাবে।’
সান্তা ক্রুজ ভিত্তিক বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কনফেডারেশনের সভাপতি অস্কার মারিও জাস্টিনিয়ানো স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বলিভিয়ায় চীনা ব্যাংক তৈরি হলে ইউয়ানে লেনদেন করা সম্ভব হবে। অবশ্যই ব্যাংকটি বলিভিয়ান পেসোতে লেনদেন করবে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনেক বাধার মুখে পড়ছে মার্কিন ডলার এবং প্রতিদিন তা বাড়ছে। অর্থাৎ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান বিরোধ বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থার উপর একটি অস্থিতিশীল প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে প্রভাবশালী বাণিজ্য মুদ্রা হিসাবে মার্কিন ডলারের উপর চাপ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। উল্টোদিকে বাণিজ্য মুদ্রা হিসাবে উত্থান ঘটেছে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের। বাণিজ্য মুদ্রা হিসেবে ইউয়ানের উত্থান দৃঢ় হয়েছে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোতে। এবার লাতিন আমেরিকার পালা। এই অঞ্চলের কয়েকটি দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার চীন।
ব্লুমবার্গের তথ্য বলছে, ২০১০ সাল পর্যন্ত চীন ১ শতাংশেরও কম পণ্য ইউয়ানে লেনদেন করত আর ডলারে লেনদেন হতো ৮৩ শতাংশ পণ্য। কিন্তু গত মার্চে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ানের ব্যবহার (৪৮ শতাংশ) ডলারকে (৪৭ শতাংশ) ছাড়িয়ে যায়।
সান্তা ক্রুজ বহু নৃগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত দেশ বলিভিয়ার জন্য অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১২ সালে সান্তা ক্রুজের উৎপাদন ছিল জাতীয় রপ্তানির ২৭ শতাংশ। ২০২০ সালে যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশে। তাই সাবেক প্রেসিডেন্ট মোরালেসকে সান্তা ক্রুজের অর্থনৈতিক ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল। বর্তমান প্রেসিডেন্ট আর্সেকেও সেই লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ সান্তা ক্রুজের উদ্যোক্তাদেরও শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে। কিন্তু মতাদর্শগত বিভেদকে পাশে রেখে, এখন সান্তা ক্রুজের উদ্যোক্তারা বলিভিয়ায় চীনের একটি ব্যাংক খোলার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বলিভিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফরেন ট্রেড (আইবিসিই) চীনে সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য ভারসাম্যের অবস্থা তুলে ধরেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে চীন থেকে আমদানি হয়েছে আড়াই শ কোটি বেশি ডলারের পণ্য এবং রপ্তানি হয়েছে ৮০ কোটি ডলারের পণ্য। বলিভিয়া চীন থেকে অটো যন্ত্রাংশ, টায়ার, মোটরসাইকেল, কৃষি উপকরণ, ভারী যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতির মতো পণ্য আমদানি করে থাকে। অন্যদিকে, বলিভিয়া রূপা জিংক ও গরুর মাংস রপ্তানি করে চীনে ।
আইবিসিইর প্রেসিডেন্ট অ্যালান ক্যামি রোজেনম্যান স্থানীয় মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে বিষয়টি দেখছি। আর্জেন্টিনার মতো প্রতিবেশী দেশেও এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক ব্রাজিলেও রয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে, চীন আজ বিশ্ব উন্নয়নের প্রধান অংশীদার হয়ে উঠছে। তাই এখানে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়াও ব্যতিক্রম নয়।’
এসব বিষয় যাচাই করতে আইবিসিইর সঙ্গে স্পুৎনিক যোগাযোগ করেলও কোনো সাড়া মেলেনি। বলিভিয়ান মুদ্রা পেসো ও ইউয়ানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অর্থনীতিবিদ মাইক জেমিওর সঙ্গে কথা বলেছে স্পুৎনিক।
চীনা ব্যাংক খোলার সম্ভাবনা নিয়ে জেমিও বলেন, ‘এটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। কারণ এর মানে হলো- এখন আমাদের দেশীয় অর্থনীতিতে বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে। ডলারের লাগাতার হোঁচট খাওয়া থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিগুলো আন্তর্জাতিক রিজার্ভের জন্য স্থানীয় মুদ্রা বা অন্য মুদ্রার দিকে ঝুঁকছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বলিভিয়া সরকারকে আরও সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে। কোন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করছে এবং মুদ্রার পরিবর্তন করবে কি না তা ঠিক করতে বলিভিয়াকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মূল্যায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আফ্রিকা ও এশিয়ার অর্থনীতির সঙ্গে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত জোটগুলোর কথাও বিবেচনা করতে।’
রিজার্ভ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৬ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৭ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

ডলার সংকটে পড়ে বিকল্প মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানির উদ্যোগ নিচ্ছে বলিভিয়া। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা করছে লাতিন আমেরিকার এই দেশ। এক্ষেত্রে সান্তা ক্রুজ প্রদেশের উদ্যোক্তারা চীনা ব্যাংক খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে মস্কোর সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিক জানিয়েছে। এর আগে ব্
২৪ মে ২০২৩
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৬ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৭ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ডলার সংকটে পড়ে বিকল্প মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানির উদ্যোগ নিচ্ছে বলিভিয়া। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা করছে লাতিন আমেরিকার এই দেশ। এক্ষেত্রে সান্তা ক্রুজ প্রদেশের উদ্যোক্তারা চীনা ব্যাংক খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে মস্কোর সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিক জানিয়েছে। এর আগে ব্
২৪ মে ২০২৩
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৭ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

ডলার সংকটে পড়ে বিকল্প মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানির উদ্যোগ নিচ্ছে বলিভিয়া। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা করছে লাতিন আমেরিকার এই দেশ। এক্ষেত্রে সান্তা ক্রুজ প্রদেশের উদ্যোক্তারা চীনা ব্যাংক খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে মস্কোর সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিক জানিয়েছে। এর আগে ব্
২৪ মে ২০২৩
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৬ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

ডলার সংকটে পড়ে বিকল্প মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানির উদ্যোগ নিচ্ছে বলিভিয়া। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা করছে লাতিন আমেরিকার এই দেশ। এক্ষেত্রে সান্তা ক্রুজ প্রদেশের উদ্যোক্তারা চীনা ব্যাংক খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে মস্কোর সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিক জানিয়েছে। এর আগে ব্
২৪ মে ২০২৩
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৬ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৭ ঘণ্টা আগে