
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের বাজারে ইভি ইন্ডাস্ট্রি বিকাশের সুযোগ কীভাবে গ্রহণ করা যায়?
আমিদ সাকিফ খান: বাংলাদেশের বাজারে ইভি ইন্ডাস্ট্রি বিকাশের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এর জন্য সরকারের নীতিনির্ধারকদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং সেখানে বেসরকারি খাতের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন হবে। বিশেষ করে আমরা যদি ফুল কমার্শিয়াল ফ্লিট, যেমন বাস-ট্রাক—এগুলো ধীরে ধীরে ইভিতে পরিবর্তন করতে পারি, অথবা প্লাগ-ইন হাইব্রিড বা পিএইচইভি করতে পারি, তা হলেও দেশে অনেক বড় একটি ইভির বাজার সৃষ্টি হবে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, তখন জ্বালানি খরচ অনেক কমে আসবে। বর্তমানে বিপুল পরিমাণে ডিজেল বা ক্রুড অয়েল আমদানি করতে হয়, যার পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। তাই ইভির বাজার দেশে যত বড় হবে, জ্বালানির খরচে তত বড় প্রভাব দেখা যাবে। তখন এত জ্বালানি আমাদের আমদানি করতে হবে না। এর সুফল যেমন আমরা পরিবেশ সংরক্ষণে দেখতে পাব, তেমনি আমাদের অর্থনীতিতেও দেখতে পাব। তখন জ্বালানি আমদানির যে পরিমাণ অর্থ কম খরচ হবে, তা আমরা অন্যান্য খাতে ব্যয় করতে পারব।
আজকের পত্রিকা: ইভি কীভাবে জলবায়ু অবনতি ঠেকাতে কাজ করে, একটু ব্যাখ্যা করে বলবেন কি?
আমিদ সাকিফ খান: অবশ্যই। ধরুন, একটি সাধারণ গাড়ি যখন চলে, তখন কার্বন নির্গমন হয়, যা পরিবেশ নষ্ট করে। এখন খুব সহজেই বায়ুর গুণগতমান পরিমাপ করা যায় ও জানা যায় বায়ুদূষণ কোন পর্যায়ে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব হওয়ায় ইভি চলার সময় কোনো ধরনের কার্বনই নির্গমন করে না, তাই ইভিকে বলা হয় জিরো অ্যামিশন ভেহিকল। তা ছাড়া ইভির ব্যাটারিও এখন বেশ উন্নত মানের। সাধারণত, অনবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর গাড়িতে যে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়, তা লেড এসিড ব্যাটারি। সেখানে বৈদ্যুতিক গাড়িতে ব্যবহৃত হয় লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি, যার উৎপাদন থেকে শুরু করে নিষ্পত্তি করা পর্যন্ত গোটা জীবনচক্র লেড এসিড ব্যাটারি থেকে অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। তাই, একটি গাড়ির সম্পূর্ণ জীবনচক্র বিবেচনা করলে দেখা যায়, দেশে জলবায়ু বিপর্যয় ঠেকাতে ইভির ব্যবহার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
আজকের পত্রিকা: দেশের বাজারে ইভি সরবরাহ করছে বিওয়াইডি। যার স্থানীয় পরিবেশক হিসেবে রয়েছে রানার গ্রুপ। বিওয়াইডির ইভিতে কী ধরনের সুবিধা রয়েছে গ্রাহকদের জন্য?
আমিদ সাকিফ খান: আমরা আমাদের গাড়িতে দিচ্ছি ৮ বছরের ওয়ারেন্টি। ফলে ৮ বছরের জন্য গাড়ির ব্যাটারি নিয়ে ইভি ব্যবহারকারীকে কোনো দুশ্চিন্তাই করতে হবে না। তার চেয়ে বড় বিষয় হলো, আমরা বাংলাদেশের গ্রাহকের সক্ষমতাও বিবেচনায় রাখছি। তাই প্রায় কোটি টাকার গাড়ির পাশাপাশি মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ৫৫ লাখ টাকার মধ্যেও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন লেটেস্ট মডেলের ইভি রয়েছে বিওয়াইডির শোরুমে।
আজকের পত্রিকা: বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় নিউ এনার্জি ভেহিকল (এনইভি) প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ নিয়ে বিওয়াইডির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আমিদ সাকিফ খান: বিওয়াইডি বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় নিউ এনার্জি ভেহিকল প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে বিওয়াইডি কাজ করে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রায় অনেক পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশকে নিয়ে। বিশেষ করে ঢাকার বায়ুর গুণগতমান খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। দিন দিন এ দূষণের তীব্রতা বাড়ছে। এ বায়ুদূষণের তীব্রতা কমাতে আমরা বিশেষ অবদান রাখতে চাই। তাই আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, আরও অনেক ইভি নিয়ে আসার, ইভিশিল্পকে উন্নত করার এবং সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে একত্রে কাজ করার।
আজকের পত্রিকা: দেশে ইভির ব্যবহার বাড়াতে বাধাগুলো কোথায়?
আমিদ সাকিফ খান: বাধা আসলে খুব বেশি কিছু নেই, যা আছে প্রক্রিয়াগত। যেহেতু ইভি বাংলাদেশে এখনো নতুন। এ কারণে পর্যাপ্ত ইভি চার্জিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার এখনো সম্পূর্ণরূপে গড়ে ওঠেনি। অন্যদিকে প্রচার-প্রচারণার অভাব ও জানার সীমাবদ্ধতাও কিছুটা আছে। এ কারণে সবার মধ্যে এখনো ‘চার্জিং অ্যাংজাইটি’ বা চার্জিং নিয়ে ভয় কাজ করছে। আমি বিশ্বাস করি, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে যখন দেশে এ নিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু হবে, তখন এ ভয় কেটে যাবে। আশার খবর হচ্ছে, দেশে ইতিমধ্যে বেশ কিছু চার্জিং স্টেশন স্থাপনের কাজ হচ্ছে, ইতিমধ্যে কয়েকটির কাজ শেষ হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বাসায় বসেও ইভিতে চার্জ দেওয়ার সুবিধা রয়েছে; তাই চার্জিং নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
আজকের পত্রিকা: ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে দেশে ইভির বিকাশে উৎপাদক এবং গ্রাহকদের জন্য প্রয়োজনীয় নীতি কতটা সহায়ক?
আমিদ সাকিফ খান: নীতি-সহায়তার ইস্যুটি বিচেনায় নিলে বলব, বাংলাদেশ এখনো বেশ পিছিয়ে। কারণ, দেশে ইভি এবং প্লাগ-ইন হাইব্রিড বা পিএইচইভির ওপর ৮৯ শতাংশ করভার রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় সেই করভার মাত্র ১০-২০ শতাংশের মধ্যে। নরওয়ে এবং কিছু উন্নত দেশে তো ইভির ওপর কোনো করভারই নেই। বিভিন্ন দেশে সরকার জনগণকে ইভি ব্যাবহারে উদ্বুদ্ধ করতে নানা সুবিধা দিচ্ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে, ইভি পরিবেশবান্ধব ও অনেক কম এনার্জি খরচেই চলে। আমরা বলছি না ইভির করভার সম্পূর্ণ তুলে দেওয়া হোক, কিন্তু আমরা বিদ্যমান করহার অবশ্যই কমানোর আশা করছি। এ ছাড়া সম্প্রতি এনবিআর একাধিক গাড়ির মালিকদের জন্য পরিবেশগত সারচার্জ বা কার্বন ট্যাক্স চালু করেছে, যা তেলচালিত গাড়ি ও ইভি উভয়ের জন্য বাধ্যতামূলক করেছে। আমি মনে করি, ইভির ক্ষেত্রে এ ট্যাক্স রাখা উচিত নয়। কেননা, ইভি কার্বন নির্গমন করে না। উল্টো পরিবেশের সুরক্ষা দেয়।
তাই গ্রাহকপর্যায়ে যদি ইভি ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে দেশে ইভিশিল্প অনেক অগ্রসর হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, দেশে এ মুহূর্তে ইভি উৎপাদনের কোনো নীতিমালা নেই। এ ক্ষেত্রে আমরা সরকার ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করি।

আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের বাজারে ইভি ইন্ডাস্ট্রি বিকাশের সুযোগ কীভাবে গ্রহণ করা যায়?
আমিদ সাকিফ খান: বাংলাদেশের বাজারে ইভি ইন্ডাস্ট্রি বিকাশের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এর জন্য সরকারের নীতিনির্ধারকদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং সেখানে বেসরকারি খাতের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন হবে। বিশেষ করে আমরা যদি ফুল কমার্শিয়াল ফ্লিট, যেমন বাস-ট্রাক—এগুলো ধীরে ধীরে ইভিতে পরিবর্তন করতে পারি, অথবা প্লাগ-ইন হাইব্রিড বা পিএইচইভি করতে পারি, তা হলেও দেশে অনেক বড় একটি ইভির বাজার সৃষ্টি হবে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, তখন জ্বালানি খরচ অনেক কমে আসবে। বর্তমানে বিপুল পরিমাণে ডিজেল বা ক্রুড অয়েল আমদানি করতে হয়, যার পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। তাই ইভির বাজার দেশে যত বড় হবে, জ্বালানির খরচে তত বড় প্রভাব দেখা যাবে। তখন এত জ্বালানি আমাদের আমদানি করতে হবে না। এর সুফল যেমন আমরা পরিবেশ সংরক্ষণে দেখতে পাব, তেমনি আমাদের অর্থনীতিতেও দেখতে পাব। তখন জ্বালানি আমদানির যে পরিমাণ অর্থ কম খরচ হবে, তা আমরা অন্যান্য খাতে ব্যয় করতে পারব।
আজকের পত্রিকা: ইভি কীভাবে জলবায়ু অবনতি ঠেকাতে কাজ করে, একটু ব্যাখ্যা করে বলবেন কি?
আমিদ সাকিফ খান: অবশ্যই। ধরুন, একটি সাধারণ গাড়ি যখন চলে, তখন কার্বন নির্গমন হয়, যা পরিবেশ নষ্ট করে। এখন খুব সহজেই বায়ুর গুণগতমান পরিমাপ করা যায় ও জানা যায় বায়ুদূষণ কোন পর্যায়ে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব হওয়ায় ইভি চলার সময় কোনো ধরনের কার্বনই নির্গমন করে না, তাই ইভিকে বলা হয় জিরো অ্যামিশন ভেহিকল। তা ছাড়া ইভির ব্যাটারিও এখন বেশ উন্নত মানের। সাধারণত, অনবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর গাড়িতে যে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়, তা লেড এসিড ব্যাটারি। সেখানে বৈদ্যুতিক গাড়িতে ব্যবহৃত হয় লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি, যার উৎপাদন থেকে শুরু করে নিষ্পত্তি করা পর্যন্ত গোটা জীবনচক্র লেড এসিড ব্যাটারি থেকে অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। তাই, একটি গাড়ির সম্পূর্ণ জীবনচক্র বিবেচনা করলে দেখা যায়, দেশে জলবায়ু বিপর্যয় ঠেকাতে ইভির ব্যবহার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
আজকের পত্রিকা: দেশের বাজারে ইভি সরবরাহ করছে বিওয়াইডি। যার স্থানীয় পরিবেশক হিসেবে রয়েছে রানার গ্রুপ। বিওয়াইডির ইভিতে কী ধরনের সুবিধা রয়েছে গ্রাহকদের জন্য?
আমিদ সাকিফ খান: আমরা আমাদের গাড়িতে দিচ্ছি ৮ বছরের ওয়ারেন্টি। ফলে ৮ বছরের জন্য গাড়ির ব্যাটারি নিয়ে ইভি ব্যবহারকারীকে কোনো দুশ্চিন্তাই করতে হবে না। তার চেয়ে বড় বিষয় হলো, আমরা বাংলাদেশের গ্রাহকের সক্ষমতাও বিবেচনায় রাখছি। তাই প্রায় কোটি টাকার গাড়ির পাশাপাশি মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ৫৫ লাখ টাকার মধ্যেও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন লেটেস্ট মডেলের ইভি রয়েছে বিওয়াইডির শোরুমে।
আজকের পত্রিকা: বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় নিউ এনার্জি ভেহিকল (এনইভি) প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ নিয়ে বিওয়াইডির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আমিদ সাকিফ খান: বিওয়াইডি বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় নিউ এনার্জি ভেহিকল প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে বিওয়াইডি কাজ করে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রায় অনেক পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশকে নিয়ে। বিশেষ করে ঢাকার বায়ুর গুণগতমান খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। দিন দিন এ দূষণের তীব্রতা বাড়ছে। এ বায়ুদূষণের তীব্রতা কমাতে আমরা বিশেষ অবদান রাখতে চাই। তাই আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, আরও অনেক ইভি নিয়ে আসার, ইভিশিল্পকে উন্নত করার এবং সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে একত্রে কাজ করার।
আজকের পত্রিকা: দেশে ইভির ব্যবহার বাড়াতে বাধাগুলো কোথায়?
আমিদ সাকিফ খান: বাধা আসলে খুব বেশি কিছু নেই, যা আছে প্রক্রিয়াগত। যেহেতু ইভি বাংলাদেশে এখনো নতুন। এ কারণে পর্যাপ্ত ইভি চার্জিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার এখনো সম্পূর্ণরূপে গড়ে ওঠেনি। অন্যদিকে প্রচার-প্রচারণার অভাব ও জানার সীমাবদ্ধতাও কিছুটা আছে। এ কারণে সবার মধ্যে এখনো ‘চার্জিং অ্যাংজাইটি’ বা চার্জিং নিয়ে ভয় কাজ করছে। আমি বিশ্বাস করি, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে যখন দেশে এ নিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু হবে, তখন এ ভয় কেটে যাবে। আশার খবর হচ্ছে, দেশে ইতিমধ্যে বেশ কিছু চার্জিং স্টেশন স্থাপনের কাজ হচ্ছে, ইতিমধ্যে কয়েকটির কাজ শেষ হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বাসায় বসেও ইভিতে চার্জ দেওয়ার সুবিধা রয়েছে; তাই চার্জিং নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
আজকের পত্রিকা: ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে দেশে ইভির বিকাশে উৎপাদক এবং গ্রাহকদের জন্য প্রয়োজনীয় নীতি কতটা সহায়ক?
আমিদ সাকিফ খান: নীতি-সহায়তার ইস্যুটি বিচেনায় নিলে বলব, বাংলাদেশ এখনো বেশ পিছিয়ে। কারণ, দেশে ইভি এবং প্লাগ-ইন হাইব্রিড বা পিএইচইভির ওপর ৮৯ শতাংশ করভার রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় সেই করভার মাত্র ১০-২০ শতাংশের মধ্যে। নরওয়ে এবং কিছু উন্নত দেশে তো ইভির ওপর কোনো করভারই নেই। বিভিন্ন দেশে সরকার জনগণকে ইভি ব্যাবহারে উদ্বুদ্ধ করতে নানা সুবিধা দিচ্ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে, ইভি পরিবেশবান্ধব ও অনেক কম এনার্জি খরচেই চলে। আমরা বলছি না ইভির করভার সম্পূর্ণ তুলে দেওয়া হোক, কিন্তু আমরা বিদ্যমান করহার অবশ্যই কমানোর আশা করছি। এ ছাড়া সম্প্রতি এনবিআর একাধিক গাড়ির মালিকদের জন্য পরিবেশগত সারচার্জ বা কার্বন ট্যাক্স চালু করেছে, যা তেলচালিত গাড়ি ও ইভি উভয়ের জন্য বাধ্যতামূলক করেছে। আমি মনে করি, ইভির ক্ষেত্রে এ ট্যাক্স রাখা উচিত নয়। কেননা, ইভি কার্বন নির্গমন করে না। উল্টো পরিবেশের সুরক্ষা দেয়।
তাই গ্রাহকপর্যায়ে যদি ইভি ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে দেশে ইভিশিল্প অনেক অগ্রসর হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, দেশে এ মুহূর্তে ইভি উৎপাদনের কোনো নীতিমালা নেই। এ ক্ষেত্রে আমরা সরকার ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করি।

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১৫ মিনিট আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১৭ মিনিট আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
১৯ মিনিট আগে
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৬ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

ইঞ্জিন ও তেলচালিত গাড়ির পরিবর্তে বিশ্বখ্যাত চীনের বিওয়াইডির বৈদ্যুতিক যন্ত্রের গাড়ি বা ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি) দেশে এনেছে অটোমোবাইল খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান রানার। পেয়েছে জনপ্রিয়তাও। এখন ইভির বাজার সম্প্রসারণ ও ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে খাতটি কীভাবে দাঁড় করানো সম্ভব
১৩ অক্টোবর ২০২৪
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১৭ মিনিট আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
১৯ মিনিট আগে
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

ইঞ্জিন ও তেলচালিত গাড়ির পরিবর্তে বিশ্বখ্যাত চীনের বিওয়াইডির বৈদ্যুতিক যন্ত্রের গাড়ি বা ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি) দেশে এনেছে অটোমোবাইল খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান রানার। পেয়েছে জনপ্রিয়তাও। এখন ইভির বাজার সম্প্রসারণ ও ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে খাতটি কীভাবে দাঁড় করানো সম্ভব
১৩ অক্টোবর ২০২৪
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১৫ মিনিট আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
১৯ মিনিট আগে
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৬ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

ইঞ্জিন ও তেলচালিত গাড়ির পরিবর্তে বিশ্বখ্যাত চীনের বিওয়াইডির বৈদ্যুতিক যন্ত্রের গাড়ি বা ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি) দেশে এনেছে অটোমোবাইল খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান রানার। পেয়েছে জনপ্রিয়তাও। এখন ইভির বাজার সম্প্রসারণ ও ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে খাতটি কীভাবে দাঁড় করানো সম্ভব
১৩ অক্টোবর ২০২৪
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১৫ মিনিট আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১৭ মিনিট আগে
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৬ ঘণ্টা আগেআসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের বাজারধস-সংক্রান্ত ২৭টি পুরোনো মামলাই কেবল এই আদালতের অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করছে। বাস্তবে রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ট্রাইব্যুনাল ভবনটি এখন আর বিচারকক্ষ নয়; বরং অব্যবহৃত আসবাবের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে।
মূলত জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেই এগোচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে এই কাঠামোয় প্রকৃত শাস্তি আর দায় নির্ধারণের কার্যকর পথ প্রায় বন্ধই রয়ে গেছে। তদন্তে অপরাধ শনাক্ত হলেও মামলা করা হয় না, আর যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলোর বড় অংশ বছরের পর বছর উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে। এর ফল দাঁড়িয়েছে স্পষ্ট—ট্রাইব্যুনাল থাকলেও বিচার কার্যত অনুপস্থিত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন, আদালত ও কাঠামো থাকা সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে বিচারিকপ্রক্রিয়া অব্যাহত না থাকলে, দায়বদ্ধতা চিহ্নিত না হলে এবং শাস্তি না হলে বাজারে দায়হীনতা ও শাস্তিহীনতার সংস্কৃতি আরও উদ্বেগজনকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
পুঁজিবাজারে বড় কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারকের নেতৃত্বে বিএসইসির এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, বাজারে শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা; কিন্তু বাস্তবে সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি নিষ্পত্তি হয়েছে। ১৪টি মামলা উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে, ৩টি স্থগিত। এ ছাড়া ২০১৫ সালের পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা চারটি মামলাও আজ পর্যন্ত স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে পারেনি বিএসইসি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএসসির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল একজন জেলা ও দায়রা জজসহ ছয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়ে চললেও বাস্তবে ট্রাইব্যুনালের এজলাসে কোনো বিচারিক কার্যক্রম নেই। আসামিদের জন্য নির্ধারিত কক্ষসহ পুরো বিচারিক আদালত এখন ভাঙাচোরা চেয়ার-টেবিলের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে, ধুলাবালু ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে। আবার বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই জানেন না এমন একটি ট্রাইব্যুনাল আদৌ আছে। বাজারসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের মধ্যেও এর কার্যক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই।
এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএসইসির যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আছে, সেটাই তো জানি না। এটা কী কাজ করে, সেটাও আমার জানা নেই।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘এটার সর্বশেষ অবস্থা কী, সেটাই আমরা জানি না। এখনো কার্যক্রম আছে কি না, সেটাও অনিশ্চিত।’
এদিকে বিএসইসি জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অনিয়ম দমন করছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, চলতি বছরেই সাড়ে তিন শর বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেড় বছরে জরিমানার পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। কিছু মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে। তবে এসব জরিমানার বড় অংশ আদায় হচ্ছে না। আবার জরিমানা আরোপের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগও থাকছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘মামলা ট্রান্সফার করে আনলেও সেগুলো আবার উচ্চ আদালতে চলে যাচ্ছে। দৃশ্যমান আর্থিক ক্ষতি চিহ্নিত করে জরিমানা করাই কি যথেষ্ট নয়?’
তবে বিশ্লেষকদের মতে, শুধু জরিমানা দিয়ে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়। বরং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় থাকলে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পেত এবং অন্যরা অপরাধে নিরুৎসাহিত হতো।’
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা জরিমানা করে লাভ নেই। জরিমানা আদায়ই হচ্ছে না; বরং বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে।’

দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের বাজারধস-সংক্রান্ত ২৭টি পুরোনো মামলাই কেবল এই আদালতের অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করছে। বাস্তবে রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ট্রাইব্যুনাল ভবনটি এখন আর বিচারকক্ষ নয়; বরং অব্যবহৃত আসবাবের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে।
মূলত জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেই এগোচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে এই কাঠামোয় প্রকৃত শাস্তি আর দায় নির্ধারণের কার্যকর পথ প্রায় বন্ধই রয়ে গেছে। তদন্তে অপরাধ শনাক্ত হলেও মামলা করা হয় না, আর যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলোর বড় অংশ বছরের পর বছর উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে। এর ফল দাঁড়িয়েছে স্পষ্ট—ট্রাইব্যুনাল থাকলেও বিচার কার্যত অনুপস্থিত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন, আদালত ও কাঠামো থাকা সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে বিচারিকপ্রক্রিয়া অব্যাহত না থাকলে, দায়বদ্ধতা চিহ্নিত না হলে এবং শাস্তি না হলে বাজারে দায়হীনতা ও শাস্তিহীনতার সংস্কৃতি আরও উদ্বেগজনকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
পুঁজিবাজারে বড় কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারকের নেতৃত্বে বিএসইসির এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, বাজারে শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা; কিন্তু বাস্তবে সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি নিষ্পত্তি হয়েছে। ১৪টি মামলা উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে, ৩টি স্থগিত। এ ছাড়া ২০১৫ সালের পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা চারটি মামলাও আজ পর্যন্ত স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে পারেনি বিএসইসি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএসসির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল একজন জেলা ও দায়রা জজসহ ছয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়ে চললেও বাস্তবে ট্রাইব্যুনালের এজলাসে কোনো বিচারিক কার্যক্রম নেই। আসামিদের জন্য নির্ধারিত কক্ষসহ পুরো বিচারিক আদালত এখন ভাঙাচোরা চেয়ার-টেবিলের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে, ধুলাবালু ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে। আবার বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই জানেন না এমন একটি ট্রাইব্যুনাল আদৌ আছে। বাজারসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের মধ্যেও এর কার্যক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই।
এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএসইসির যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আছে, সেটাই তো জানি না। এটা কী কাজ করে, সেটাও আমার জানা নেই।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘এটার সর্বশেষ অবস্থা কী, সেটাই আমরা জানি না। এখনো কার্যক্রম আছে কি না, সেটাও অনিশ্চিত।’
এদিকে বিএসইসি জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অনিয়ম দমন করছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, চলতি বছরেই সাড়ে তিন শর বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেড় বছরে জরিমানার পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। কিছু মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে। তবে এসব জরিমানার বড় অংশ আদায় হচ্ছে না। আবার জরিমানা আরোপের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগও থাকছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘মামলা ট্রান্সফার করে আনলেও সেগুলো আবার উচ্চ আদালতে চলে যাচ্ছে। দৃশ্যমান আর্থিক ক্ষতি চিহ্নিত করে জরিমানা করাই কি যথেষ্ট নয়?’
তবে বিশ্লেষকদের মতে, শুধু জরিমানা দিয়ে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়। বরং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় থাকলে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পেত এবং অন্যরা অপরাধে নিরুৎসাহিত হতো।’
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা জরিমানা করে লাভ নেই। জরিমানা আদায়ই হচ্ছে না; বরং বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে।’

ইঞ্জিন ও তেলচালিত গাড়ির পরিবর্তে বিশ্বখ্যাত চীনের বিওয়াইডির বৈদ্যুতিক যন্ত্রের গাড়ি বা ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি) দেশে এনেছে অটোমোবাইল খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান রানার। পেয়েছে জনপ্রিয়তাও। এখন ইভির বাজার সম্প্রসারণ ও ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে খাতটি কীভাবে দাঁড় করানো সম্ভব
১৩ অক্টোবর ২০২৪
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১৫ মিনিট আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১৭ মিনিট আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
১৯ মিনিট আগে