রোকন উদ্দীন, ঢাকা
রোজা শুরু হওয়ার দুই দিন আগে থেকে রাজধানীসহ সারা দেশের বাজারগুলোতে গরুর মাংসের দাম চড়তে শুরু করেছে। তবে দামের এই অস্বস্তি সত্ত্বেও রোজায় মাংস কেনার প্রতি ক্রেতা-ভোক্তার ঝোঁক আগের তুলনায় বেড়েছে। ফলে দোকানগুলোতে গরুর মাংসের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। মুগদাপাড়া, কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি মাংসের দোকানে ভিড়। গত শুক্রবার ও গতকাল বাজারগুলোতে এই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
মুগদাপাড়া বাজারের সালাম এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে জানান, রোজার আগে প্রতিদিন একটি গরু জবাই করে বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হতো, আর এখন দুটো গরুর মাংস বিক্রি করেও চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে, সপ্তাহের শেষ ও শুরুর দিনগুলোতে, শুক্র ও শনিবার, দুপুরের আগেই দোকানের সব মাংস বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
শুধু মুগদাপাড়া নয়, রাজধানীর অন্যান্য বাজারেও গরুর মাংসের চাহিদা অনেক বেড়েছে। যাত্রাবাড়ী বাজারের বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, রোজার শুরুতে মাংসের বিক্রি সাধারণত বেড়ে যায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে দামের কারণে অনেক ক্রেতা আগের মতো সহজে কিনতে পারছেন না। অনেকে কিনতে এলেও নিচ্ছেন পরিমাণে কম।
একই ধরনের কথা জানান খিলগাঁওয়ের আরেক ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, আগে যাঁরা তিন কেজি মাংস কিনতেন, তাঁরা এখন এক বা দেড় কেজির বেশি নিতে পারছেন না। এতে নিম্নমধ্যবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে।
বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি কিছুটা কম হলেও রোজার আগের তুলনায় বেশ ভালো চলছে। তবে ক্রেতাদের তৃপ্তির জায়গাটি এখনও অপূর্ণ রয়ে গেছে, কারণ, মাংসের দাম বাড়তি থাকায় অনেকেই অসন্তুষ্ট।
বর্তমানে রাজধানীর অধিকাংশ বাজারে গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা কেজি, যা রোজার আগে ছিল ৭৫০ টাকা। কিছু বাজারে ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যেখানে রোজার আগে ছিল ৭০০ টাকা। আবার একই বাজারে বিভিন্ন দোকানে দামে তারতম্য দেখা যাচ্ছে। মানিকনগর বাজারের পুকুরপাড় মোড়ে গরুর মাংস ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু একই বাজারের আরেকটি দোকানে ৭৫০ টাকায় মিলছে।
গতকাল শনিবার সেগুনবাগিচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দোকানগুলোর সামনে ভিড় লেগে আছে। চারটি দোকানের মধ্যে একটির মালিক মো. খোকন জানান, রোজার আগের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে। তবে দাম বেশি হওয়ায় তিনি গরুর বাড়তি মূল্যের কথা উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, ভালো মানের গরু কেনার জন্য কিছুটা বেশি খরচ করতে হচ্ছে।
খোকন বলেন, ‘প্রতিটি গরুর জন্য আমাদের ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। কারণ, রোজায় সবাই একটু ভালো খেতে চায়, তাই আমরাও ভালো মানের গরু কিনছি। বিশেষ করে, তাজা ষাঁড়ের মাংস, যা গাভির তুলনায় দাম বেশি। এতে আমাদের খরচ বাড়ছে, তাই দাম বেশি রাখতে হচ্ছে।’
তবে সরকারি পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গত বছর ফেব্রুয়ারিতে হিসাব করেছিল, প্রতি কেজি গরুর মাংসের উৎপাদন খরচ গড়ে ৫৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। তখন ১৭ শতাংশ মুনাফা ধরে যৌক্তিক মূল্য ধরা হয়েছিল ৬৫৬ টাকা। কিন্তু বাস্তবে বাজারে এই দামে মাংস বিক্রি হয়নি।
করোনার আগে, প্রতি রোজার আগে সিটি করপোরেশন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে মাংসের দাম নির্ধারণ করত। কিন্তু মহামারির পর নানা জটিলতায় সেই নিয়ম আর কার্যকর হয়নি। ফলে বাজারে দামের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, যা ক্রেতাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভুক্তভোগী ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকারের ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রির উদ্যোগ কার্যকর নয়। ক্রেতারা জানেন না কোথায় কখন বিক্রি হয় এবং স্টক শেষ হওয়ার আগে তাঁরা পৌঁছাতে পারছেন না। এ পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত অনেক ক্রেতা মাংসের বিকল্প হিসেবে ব্রয়লার মুরগি কিনছেন। এক ক্রেতা জানান, ‘আগে প্রতি শুক্রবার গরুর মাংস খেতাম, এখন ব্রয়লার কিনতে হচ্ছে।’ ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, সরবরাহ ঠিক থাকলে রোজার মাঝামাঝি চাহিদা কমে গেলে দাম কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে।
রোজা শুরু হওয়ার দুই দিন আগে থেকে রাজধানীসহ সারা দেশের বাজারগুলোতে গরুর মাংসের দাম চড়তে শুরু করেছে। তবে দামের এই অস্বস্তি সত্ত্বেও রোজায় মাংস কেনার প্রতি ক্রেতা-ভোক্তার ঝোঁক আগের তুলনায় বেড়েছে। ফলে দোকানগুলোতে গরুর মাংসের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। মুগদাপাড়া, কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি মাংসের দোকানে ভিড়। গত শুক্রবার ও গতকাল বাজারগুলোতে এই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
মুগদাপাড়া বাজারের সালাম এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে জানান, রোজার আগে প্রতিদিন একটি গরু জবাই করে বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হতো, আর এখন দুটো গরুর মাংস বিক্রি করেও চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে, সপ্তাহের শেষ ও শুরুর দিনগুলোতে, শুক্র ও শনিবার, দুপুরের আগেই দোকানের সব মাংস বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
শুধু মুগদাপাড়া নয়, রাজধানীর অন্যান্য বাজারেও গরুর মাংসের চাহিদা অনেক বেড়েছে। যাত্রাবাড়ী বাজারের বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, রোজার শুরুতে মাংসের বিক্রি সাধারণত বেড়ে যায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে দামের কারণে অনেক ক্রেতা আগের মতো সহজে কিনতে পারছেন না। অনেকে কিনতে এলেও নিচ্ছেন পরিমাণে কম।
একই ধরনের কথা জানান খিলগাঁওয়ের আরেক ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, আগে যাঁরা তিন কেজি মাংস কিনতেন, তাঁরা এখন এক বা দেড় কেজির বেশি নিতে পারছেন না। এতে নিম্নমধ্যবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে।
বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি কিছুটা কম হলেও রোজার আগের তুলনায় বেশ ভালো চলছে। তবে ক্রেতাদের তৃপ্তির জায়গাটি এখনও অপূর্ণ রয়ে গেছে, কারণ, মাংসের দাম বাড়তি থাকায় অনেকেই অসন্তুষ্ট।
বর্তমানে রাজধানীর অধিকাংশ বাজারে গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা কেজি, যা রোজার আগে ছিল ৭৫০ টাকা। কিছু বাজারে ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যেখানে রোজার আগে ছিল ৭০০ টাকা। আবার একই বাজারে বিভিন্ন দোকানে দামে তারতম্য দেখা যাচ্ছে। মানিকনগর বাজারের পুকুরপাড় মোড়ে গরুর মাংস ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু একই বাজারের আরেকটি দোকানে ৭৫০ টাকায় মিলছে।
গতকাল শনিবার সেগুনবাগিচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দোকানগুলোর সামনে ভিড় লেগে আছে। চারটি দোকানের মধ্যে একটির মালিক মো. খোকন জানান, রোজার আগের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে। তবে দাম বেশি হওয়ায় তিনি গরুর বাড়তি মূল্যের কথা উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, ভালো মানের গরু কেনার জন্য কিছুটা বেশি খরচ করতে হচ্ছে।
খোকন বলেন, ‘প্রতিটি গরুর জন্য আমাদের ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। কারণ, রোজায় সবাই একটু ভালো খেতে চায়, তাই আমরাও ভালো মানের গরু কিনছি। বিশেষ করে, তাজা ষাঁড়ের মাংস, যা গাভির তুলনায় দাম বেশি। এতে আমাদের খরচ বাড়ছে, তাই দাম বেশি রাখতে হচ্ছে।’
তবে সরকারি পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গত বছর ফেব্রুয়ারিতে হিসাব করেছিল, প্রতি কেজি গরুর মাংসের উৎপাদন খরচ গড়ে ৫৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। তখন ১৭ শতাংশ মুনাফা ধরে যৌক্তিক মূল্য ধরা হয়েছিল ৬৫৬ টাকা। কিন্তু বাস্তবে বাজারে এই দামে মাংস বিক্রি হয়নি।
করোনার আগে, প্রতি রোজার আগে সিটি করপোরেশন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে মাংসের দাম নির্ধারণ করত। কিন্তু মহামারির পর নানা জটিলতায় সেই নিয়ম আর কার্যকর হয়নি। ফলে বাজারে দামের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, যা ক্রেতাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভুক্তভোগী ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকারের ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রির উদ্যোগ কার্যকর নয়। ক্রেতারা জানেন না কোথায় কখন বিক্রি হয় এবং স্টক শেষ হওয়ার আগে তাঁরা পৌঁছাতে পারছেন না। এ পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত অনেক ক্রেতা মাংসের বিকল্প হিসেবে ব্রয়লার মুরগি কিনছেন। এক ক্রেতা জানান, ‘আগে প্রতি শুক্রবার গরুর মাংস খেতাম, এখন ব্রয়লার কিনতে হচ্ছে।’ ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, সরবরাহ ঠিক থাকলে রোজার মাঝামাঝি চাহিদা কমে গেলে দাম কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে।
দেশের অর্থনীতির বুক চিরে বইছে দ্বৈত স্রোত—একদিকে রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ড, রপ্তানির শক্তিশালী অবস্থান ও বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ; অন্যদিকে আমদানি ব্যয়ের চাপ ও বৈদেশিক দেনার ভারে রিজার্ভের স্থবিরতা। স্বস্তির হাওয়া লেগেও যেন চলার গতি নেই, প্রবাহ থাকলেও প্রবৃদ্ধির দেখা মেলে না। দীর্ঘমেয়াদি সংকটের বৃত্তে রি
২ ঘণ্টা আগেঈদ মানে আনন্দ। আর সেই আনন্দের বড় একটা অংশজুড়ে থাকে সেমাই। তাই ঈদ ঘনিয়ে আসায় রাজবাড়ীর সেমাই কারখানাগুলোয় লেগেছে ব্যস্ততার ছোঁয়া। ভোরের আলো ফোটার আগে কারিগরদের হাত চলে সেমাই তৈরির কাজে, যা গোধূলির রংমাখা সন্ধ্যা পেরিয়ে গভীর রাতেও থামে না। রাজবাড়ীর চাহিদা মিটিয়ে কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ
৬ ঘণ্টা আগেবেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে ৪১ একর জমিতে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের বাধায় বন্ধ থাকা ১৬ একরের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর এখন বন্দরটি পূর্ণ সক্ষমতায় পরিচালিত হচ্ছে। এর আগে ২৫ একর জায়গায় কাজ সম্পন্ন হলেও বাকি অংশ চালু কর
৬ ঘণ্টা আগেঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ২০২৪ সালে ডেফারেল (বিলম্ব পরিশোধ) সুবিধা গ্রহণকারী ব্যাংকগুলোর জন্য ডিভিডেন্ড বিতরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা শিথিলের দাবি তুলেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি)। তারা মনে করছে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই শর্ত শ
৭ ঘণ্টা আগে