আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। সম্প্রতি বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিডিপি) ধারাবাহিকভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর কারণ, দেশের বিপুল তরুণ জনসংখ্যা, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং দ্রুত নগরায়ণ।
অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত বিখ্যাত পরামর্শক ও শিক্ষাবিদ পিটার ড্রকার বলেছিলেন, ‘জনমিতিই নিয়তি নির্ধারণ করে।’ বাংলাদেশে বর্তমান সময়ের বিনিয়োগকারীরা এরই মধ্যে উন্মোচিত জনমিতিক প্রবণতাকে পুঁজি করার এক অনন্য সুযোগ পাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৭ শতাংশের বেশি বাড়বে।
১৯৫৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হামিদুর রহমান সিনহা একটি ওষুধ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একমি ল্যাবরেটরিজ নামে। এটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো ও অন্যতম সফল কোম্পানি।
১৯৫০-এর দশকে আঞ্চলিক বাজারের ৮০ শতাংশ ওষুধই ছিল নকল (ফর্মুলা কপি করে বানানো) এবং বেশির ভাগই ছিল আমদানি করা ব্যয়বহুল ওষুধ।
তবে আজ ওষুধশিল্প বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল একটি খাত এবং এই অঞ্চলের সবচেয়ে গতিশীল খাতগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী ওষুধ উৎপাদনে ৬ষ্ঠ বৃহত্তম দেশ। এটি স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে। বিষয়টি বাংলাদেশকে কয়েকটি উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে একটিতে পরিণত করেছে, যারা ওষুধ উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৫০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে।
দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি পরিবার মধ্যবিত্ত ও বিত্তবান শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বাড়ছে। ২০১০ সাল থেকে স্বাস্থ্য খাত ১০ শতাংশের বেশি সিএজিআর বা চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হারে বাড়ছে, যা দেশের মোট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি। সামাজিক উন্নয়নের সূচকগুলোতে বাংলাদেশ এই অঞ্চলের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভালো করছে, যা সরকারি ব্যবস্থার কার্যকারিতা প্রতিফলিত করে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, দেশের স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৭৫ শতাংশের বেশি আসে বেসরকারি খাত থেকে, যা ভোক্তার আচরণে পরিবর্তন এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য সুযোগের বিশালতাকে তুলে ধরে। এমনকি ৩৭ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের প্রথম পর্যায়ে বেসরকারি ব্যবস্থাকে বেছে নিচ্ছে।
তবে, বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো প্রতি হাজার মানুষের জন্য মাত্র একটি শয্যা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশের চেয়ে কমসংখ্যক দক্ষ স্বাস্থ্যসেবা, পেশাদার ক্রমবর্ধমান চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ অবস্থায় যাঁরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করতে চান, তাঁরা একেবারে প্রথম থেকেই শুরু করতে পারেন।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগের এখন উপযুক্ত সময়। মানসম্পন্ন সেবার একটি সুস্পষ্ট চাহিদা পূরণে বিনিয়োগকারীরা এখনো একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। সরকার বিদেশিদের কাছে এখানে বিনিয়োগ আকর্ষণীয় করে তুলছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম এবং ২০৪০ সালের মধ্যে এটি দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
গত দুই দশকে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ছয় গুণ বেড়েছে এবং আরও সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে যাঁরা মানকে প্রাধান্য দেন তাঁদের জন্য। রোগীরা ক্রমশ মানকে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং সচেতন হচ্ছে। বাংলাদেশে এবং অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে মানুষের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ শুধু দারিদ্র্য নয়, স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মানেরও অভাব। এসব দেশে আরও মৌলিক মানের অবকাঠামোতে বিনিয়োগের প্রয়োজন; যেমন ক্লিনিক, ল্যাব, হাসপাতাল, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং অনেক কিছু।
স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোতে বিনিয়োগ কেবল জরুরি প্রয়োজনই সমাধান করে না, বরং উল্লেখযোগ্য আর্থিক মুনাফারও প্রতিশ্রুতি দেয়। এশিয়াজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিলিয়নিয়ারের উত্থান থেকে এটি প্রমাণিত। একটি ভালো স্বাস্থ্যব্যবস্থা তৈরি করা শুধু জনস্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, এটি একটি স্মার্ট আর্থিক বিনিয়োগও।
অবকাঠামো ছাড়াও, বিনিয়োগকারীদের উচিত ওষুধ, ওষুধ তৈরি, এপিআই (কাঁচামাল) উৎপাদন এবং বায়োটেকের (জৈবপ্রযুক্তি) দিকে নজর দেওয়া। বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের জন্য শতভাগ বিদেশি মালিকানা এবং করছাড়ের মতো প্রণোদনা দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশের স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে। এই পরিসংখ্যান স্বাস্থ্যবিমা খাতে এক বিশাল, অব্যবহৃত বাজারের নির্দেশক। ব্যাপক স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প তৈরি করা চিকিৎসা ব্যয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত আর্থিক ঝুঁকি কমাতে এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়াতে পারে।
বিনিয়োগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা।
বাংলাদেশের ডিজিটাল স্বাস্থ্য বাজার এরই মধ্যেই ১০ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি হচ্ছে এবং আগামী বছরগুলোতে এই বাজার প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি শুধু স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান। এটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালকে ত্বরান্বিত করছে, ওষুধ কোম্পানি ও সরবরাহকারীদের পথ সুগম করছে, দূরবর্তী পর্যবেক্ষণের (টেলিমেডিসিন ইত্যাদি) মাধ্যমে চিকিৎসাপ্রাপ্তি সহজ করছে এবং দেশজুড়ে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ সম্প্রসারণ করছে।
ডিজিটাল অ্যাকসেস সমান্তরালভাবে বাড়ছে। ২০২২ সালে যেখানে বাংলাদেশি পরিবারগুলোর ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ৩৮ শতাংশ ছিল, ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৫০ শতাংশ হয়েছে। একই সময় ব্যক্তিগত ব্যবহার ৩৭ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত আজ এশিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি। উন্নত সেবা পেতে আগ্রহী জনসংখ্যা, বেসরকারি অংশগ্রহণকে উৎসাহদানকারী সরকার এবং চাহিদা ধারাবাহিকভাবে সরবরাহের চেয়ে বেশি হওয়ায়, এটি এক বিশাল সুযোগের মুহূর্ত। বিনিয়োগকারীদের এই বাজারে আগেভাগে প্রবেশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের ভবিষ্যৎ গঠন এবং যুগান্তকারী ব্যবসা গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

দক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। সম্প্রতি বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিডিপি) ধারাবাহিকভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর কারণ, দেশের বিপুল তরুণ জনসংখ্যা, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং দ্রুত নগরায়ণ।
অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত বিখ্যাত পরামর্শক ও শিক্ষাবিদ পিটার ড্রকার বলেছিলেন, ‘জনমিতিই নিয়তি নির্ধারণ করে।’ বাংলাদেশে বর্তমান সময়ের বিনিয়োগকারীরা এরই মধ্যে উন্মোচিত জনমিতিক প্রবণতাকে পুঁজি করার এক অনন্য সুযোগ পাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৭ শতাংশের বেশি বাড়বে।
১৯৫৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হামিদুর রহমান সিনহা একটি ওষুধ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একমি ল্যাবরেটরিজ নামে। এটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো ও অন্যতম সফল কোম্পানি।
১৯৫০-এর দশকে আঞ্চলিক বাজারের ৮০ শতাংশ ওষুধই ছিল নকল (ফর্মুলা কপি করে বানানো) এবং বেশির ভাগই ছিল আমদানি করা ব্যয়বহুল ওষুধ।
তবে আজ ওষুধশিল্প বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল একটি খাত এবং এই অঞ্চলের সবচেয়ে গতিশীল খাতগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী ওষুধ উৎপাদনে ৬ষ্ঠ বৃহত্তম দেশ। এটি স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে। বিষয়টি বাংলাদেশকে কয়েকটি উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে একটিতে পরিণত করেছে, যারা ওষুধ উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৫০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে।
দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি পরিবার মধ্যবিত্ত ও বিত্তবান শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বাড়ছে। ২০১০ সাল থেকে স্বাস্থ্য খাত ১০ শতাংশের বেশি সিএজিআর বা চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হারে বাড়ছে, যা দেশের মোট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি। সামাজিক উন্নয়নের সূচকগুলোতে বাংলাদেশ এই অঞ্চলের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভালো করছে, যা সরকারি ব্যবস্থার কার্যকারিতা প্রতিফলিত করে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, দেশের স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৭৫ শতাংশের বেশি আসে বেসরকারি খাত থেকে, যা ভোক্তার আচরণে পরিবর্তন এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য সুযোগের বিশালতাকে তুলে ধরে। এমনকি ৩৭ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের প্রথম পর্যায়ে বেসরকারি ব্যবস্থাকে বেছে নিচ্ছে।
তবে, বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো প্রতি হাজার মানুষের জন্য মাত্র একটি শয্যা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশের চেয়ে কমসংখ্যক দক্ষ স্বাস্থ্যসেবা, পেশাদার ক্রমবর্ধমান চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ অবস্থায় যাঁরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করতে চান, তাঁরা একেবারে প্রথম থেকেই শুরু করতে পারেন।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগের এখন উপযুক্ত সময়। মানসম্পন্ন সেবার একটি সুস্পষ্ট চাহিদা পূরণে বিনিয়োগকারীরা এখনো একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। সরকার বিদেশিদের কাছে এখানে বিনিয়োগ আকর্ষণীয় করে তুলছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম এবং ২০৪০ সালের মধ্যে এটি দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
গত দুই দশকে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ছয় গুণ বেড়েছে এবং আরও সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে যাঁরা মানকে প্রাধান্য দেন তাঁদের জন্য। রোগীরা ক্রমশ মানকে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং সচেতন হচ্ছে। বাংলাদেশে এবং অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে মানুষের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ শুধু দারিদ্র্য নয়, স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মানেরও অভাব। এসব দেশে আরও মৌলিক মানের অবকাঠামোতে বিনিয়োগের প্রয়োজন; যেমন ক্লিনিক, ল্যাব, হাসপাতাল, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং অনেক কিছু।
স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোতে বিনিয়োগ কেবল জরুরি প্রয়োজনই সমাধান করে না, বরং উল্লেখযোগ্য আর্থিক মুনাফারও প্রতিশ্রুতি দেয়। এশিয়াজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিলিয়নিয়ারের উত্থান থেকে এটি প্রমাণিত। একটি ভালো স্বাস্থ্যব্যবস্থা তৈরি করা শুধু জনস্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, এটি একটি স্মার্ট আর্থিক বিনিয়োগও।
অবকাঠামো ছাড়াও, বিনিয়োগকারীদের উচিত ওষুধ, ওষুধ তৈরি, এপিআই (কাঁচামাল) উৎপাদন এবং বায়োটেকের (জৈবপ্রযুক্তি) দিকে নজর দেওয়া। বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের জন্য শতভাগ বিদেশি মালিকানা এবং করছাড়ের মতো প্রণোদনা দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশের স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে। এই পরিসংখ্যান স্বাস্থ্যবিমা খাতে এক বিশাল, অব্যবহৃত বাজারের নির্দেশক। ব্যাপক স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প তৈরি করা চিকিৎসা ব্যয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত আর্থিক ঝুঁকি কমাতে এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়াতে পারে।
বিনিয়োগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা।
বাংলাদেশের ডিজিটাল স্বাস্থ্য বাজার এরই মধ্যেই ১০ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি হচ্ছে এবং আগামী বছরগুলোতে এই বাজার প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি শুধু স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান। এটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালকে ত্বরান্বিত করছে, ওষুধ কোম্পানি ও সরবরাহকারীদের পথ সুগম করছে, দূরবর্তী পর্যবেক্ষণের (টেলিমেডিসিন ইত্যাদি) মাধ্যমে চিকিৎসাপ্রাপ্তি সহজ করছে এবং দেশজুড়ে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ সম্প্রসারণ করছে।
ডিজিটাল অ্যাকসেস সমান্তরালভাবে বাড়ছে। ২০২২ সালে যেখানে বাংলাদেশি পরিবারগুলোর ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ৩৮ শতাংশ ছিল, ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৫০ শতাংশ হয়েছে। একই সময় ব্যক্তিগত ব্যবহার ৩৭ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত আজ এশিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি। উন্নত সেবা পেতে আগ্রহী জনসংখ্যা, বেসরকারি অংশগ্রহণকে উৎসাহদানকারী সরকার এবং চাহিদা ধারাবাহিকভাবে সরবরাহের চেয়ে বেশি হওয়ায়, এটি এক বিশাল সুযোগের মুহূর্ত। বিনিয়োগকারীদের এই বাজারে আগেভাগে প্রবেশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের ভবিষ্যৎ গঠন এবং যুগান্তকারী ব্যবসা গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। সম্প্রতি বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিডিপি) ধারাবাহিকভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর কারণ, দেশের বিপুল তরুণ জনসংখ্যা, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং দ্রুত নগরায়ণ।
অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত বিখ্যাত পরামর্শক ও শিক্ষাবিদ পিটার ড্রকার বলেছিলেন, ‘জনমিতিই নিয়তি নির্ধারণ করে।’ বাংলাদেশে বর্তমান সময়ের বিনিয়োগকারীরা এরই মধ্যে উন্মোচিত জনমিতিক প্রবণতাকে পুঁজি করার এক অনন্য সুযোগ পাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৭ শতাংশের বেশি বাড়বে।
১৯৫৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হামিদুর রহমান সিনহা একটি ওষুধ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একমি ল্যাবরেটরিজ নামে। এটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো ও অন্যতম সফল কোম্পানি।
১৯৫০-এর দশকে আঞ্চলিক বাজারের ৮০ শতাংশ ওষুধই ছিল নকল (ফর্মুলা কপি করে বানানো) এবং বেশির ভাগই ছিল আমদানি করা ব্যয়বহুল ওষুধ।
তবে আজ ওষুধশিল্প বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল একটি খাত এবং এই অঞ্চলের সবচেয়ে গতিশীল খাতগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী ওষুধ উৎপাদনে ৬ষ্ঠ বৃহত্তম দেশ। এটি স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে। বিষয়টি বাংলাদেশকে কয়েকটি উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে একটিতে পরিণত করেছে, যারা ওষুধ উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৫০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে।
দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি পরিবার মধ্যবিত্ত ও বিত্তবান শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বাড়ছে। ২০১০ সাল থেকে স্বাস্থ্য খাত ১০ শতাংশের বেশি সিএজিআর বা চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হারে বাড়ছে, যা দেশের মোট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি। সামাজিক উন্নয়নের সূচকগুলোতে বাংলাদেশ এই অঞ্চলের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভালো করছে, যা সরকারি ব্যবস্থার কার্যকারিতা প্রতিফলিত করে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, দেশের স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৭৫ শতাংশের বেশি আসে বেসরকারি খাত থেকে, যা ভোক্তার আচরণে পরিবর্তন এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য সুযোগের বিশালতাকে তুলে ধরে। এমনকি ৩৭ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের প্রথম পর্যায়ে বেসরকারি ব্যবস্থাকে বেছে নিচ্ছে।
তবে, বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো প্রতি হাজার মানুষের জন্য মাত্র একটি শয্যা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশের চেয়ে কমসংখ্যক দক্ষ স্বাস্থ্যসেবা, পেশাদার ক্রমবর্ধমান চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ অবস্থায় যাঁরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করতে চান, তাঁরা একেবারে প্রথম থেকেই শুরু করতে পারেন।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগের এখন উপযুক্ত সময়। মানসম্পন্ন সেবার একটি সুস্পষ্ট চাহিদা পূরণে বিনিয়োগকারীরা এখনো একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। সরকার বিদেশিদের কাছে এখানে বিনিয়োগ আকর্ষণীয় করে তুলছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম এবং ২০৪০ সালের মধ্যে এটি দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
গত দুই দশকে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ছয় গুণ বেড়েছে এবং আরও সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে যাঁরা মানকে প্রাধান্য দেন তাঁদের জন্য। রোগীরা ক্রমশ মানকে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং সচেতন হচ্ছে। বাংলাদেশে এবং অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে মানুষের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ শুধু দারিদ্র্য নয়, স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মানেরও অভাব। এসব দেশে আরও মৌলিক মানের অবকাঠামোতে বিনিয়োগের প্রয়োজন; যেমন ক্লিনিক, ল্যাব, হাসপাতাল, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং অনেক কিছু।
স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোতে বিনিয়োগ কেবল জরুরি প্রয়োজনই সমাধান করে না, বরং উল্লেখযোগ্য আর্থিক মুনাফারও প্রতিশ্রুতি দেয়। এশিয়াজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিলিয়নিয়ারের উত্থান থেকে এটি প্রমাণিত। একটি ভালো স্বাস্থ্যব্যবস্থা তৈরি করা শুধু জনস্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, এটি একটি স্মার্ট আর্থিক বিনিয়োগও।
অবকাঠামো ছাড়াও, বিনিয়োগকারীদের উচিত ওষুধ, ওষুধ তৈরি, এপিআই (কাঁচামাল) উৎপাদন এবং বায়োটেকের (জৈবপ্রযুক্তি) দিকে নজর দেওয়া। বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের জন্য শতভাগ বিদেশি মালিকানা এবং করছাড়ের মতো প্রণোদনা দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশের স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে। এই পরিসংখ্যান স্বাস্থ্যবিমা খাতে এক বিশাল, অব্যবহৃত বাজারের নির্দেশক। ব্যাপক স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প তৈরি করা চিকিৎসা ব্যয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত আর্থিক ঝুঁকি কমাতে এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়াতে পারে।
বিনিয়োগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা।
বাংলাদেশের ডিজিটাল স্বাস্থ্য বাজার এরই মধ্যেই ১০ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি হচ্ছে এবং আগামী বছরগুলোতে এই বাজার প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি শুধু স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান। এটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালকে ত্বরান্বিত করছে, ওষুধ কোম্পানি ও সরবরাহকারীদের পথ সুগম করছে, দূরবর্তী পর্যবেক্ষণের (টেলিমেডিসিন ইত্যাদি) মাধ্যমে চিকিৎসাপ্রাপ্তি সহজ করছে এবং দেশজুড়ে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ সম্প্রসারণ করছে।
ডিজিটাল অ্যাকসেস সমান্তরালভাবে বাড়ছে। ২০২২ সালে যেখানে বাংলাদেশি পরিবারগুলোর ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ৩৮ শতাংশ ছিল, ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৫০ শতাংশ হয়েছে। একই সময় ব্যক্তিগত ব্যবহার ৩৭ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত আজ এশিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি। উন্নত সেবা পেতে আগ্রহী জনসংখ্যা, বেসরকারি অংশগ্রহণকে উৎসাহদানকারী সরকার এবং চাহিদা ধারাবাহিকভাবে সরবরাহের চেয়ে বেশি হওয়ায়, এটি এক বিশাল সুযোগের মুহূর্ত। বিনিয়োগকারীদের এই বাজারে আগেভাগে প্রবেশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের ভবিষ্যৎ গঠন এবং যুগান্তকারী ব্যবসা গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

দক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। সম্প্রতি বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিডিপি) ধারাবাহিকভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর কারণ, দেশের বিপুল তরুণ জনসংখ্যা, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং দ্রুত নগরায়ণ।
অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত বিখ্যাত পরামর্শক ও শিক্ষাবিদ পিটার ড্রকার বলেছিলেন, ‘জনমিতিই নিয়তি নির্ধারণ করে।’ বাংলাদেশে বর্তমান সময়ের বিনিয়োগকারীরা এরই মধ্যে উন্মোচিত জনমিতিক প্রবণতাকে পুঁজি করার এক অনন্য সুযোগ পাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৭ শতাংশের বেশি বাড়বে।
১৯৫৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হামিদুর রহমান সিনহা একটি ওষুধ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একমি ল্যাবরেটরিজ নামে। এটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো ও অন্যতম সফল কোম্পানি।
১৯৫০-এর দশকে আঞ্চলিক বাজারের ৮০ শতাংশ ওষুধই ছিল নকল (ফর্মুলা কপি করে বানানো) এবং বেশির ভাগই ছিল আমদানি করা ব্যয়বহুল ওষুধ।
তবে আজ ওষুধশিল্প বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল একটি খাত এবং এই অঞ্চলের সবচেয়ে গতিশীল খাতগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী ওষুধ উৎপাদনে ৬ষ্ঠ বৃহত্তম দেশ। এটি স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে। বিষয়টি বাংলাদেশকে কয়েকটি উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে একটিতে পরিণত করেছে, যারা ওষুধ উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৫০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে।
দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি পরিবার মধ্যবিত্ত ও বিত্তবান শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বাড়ছে। ২০১০ সাল থেকে স্বাস্থ্য খাত ১০ শতাংশের বেশি সিএজিআর বা চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হারে বাড়ছে, যা দেশের মোট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি। সামাজিক উন্নয়নের সূচকগুলোতে বাংলাদেশ এই অঞ্চলের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভালো করছে, যা সরকারি ব্যবস্থার কার্যকারিতা প্রতিফলিত করে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, দেশের স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৭৫ শতাংশের বেশি আসে বেসরকারি খাত থেকে, যা ভোক্তার আচরণে পরিবর্তন এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য সুযোগের বিশালতাকে তুলে ধরে। এমনকি ৩৭ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের প্রথম পর্যায়ে বেসরকারি ব্যবস্থাকে বেছে নিচ্ছে।
তবে, বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো প্রতি হাজার মানুষের জন্য মাত্র একটি শয্যা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশের চেয়ে কমসংখ্যক দক্ষ স্বাস্থ্যসেবা, পেশাদার ক্রমবর্ধমান চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ অবস্থায় যাঁরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করতে চান, তাঁরা একেবারে প্রথম থেকেই শুরু করতে পারেন।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগের এখন উপযুক্ত সময়। মানসম্পন্ন সেবার একটি সুস্পষ্ট চাহিদা পূরণে বিনিয়োগকারীরা এখনো একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। সরকার বিদেশিদের কাছে এখানে বিনিয়োগ আকর্ষণীয় করে তুলছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম এবং ২০৪০ সালের মধ্যে এটি দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
গত দুই দশকে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ছয় গুণ বেড়েছে এবং আরও সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে যাঁরা মানকে প্রাধান্য দেন তাঁদের জন্য। রোগীরা ক্রমশ মানকে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং সচেতন হচ্ছে। বাংলাদেশে এবং অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে মানুষের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ শুধু দারিদ্র্য নয়, স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মানেরও অভাব। এসব দেশে আরও মৌলিক মানের অবকাঠামোতে বিনিয়োগের প্রয়োজন; যেমন ক্লিনিক, ল্যাব, হাসপাতাল, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং অনেক কিছু।
স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোতে বিনিয়োগ কেবল জরুরি প্রয়োজনই সমাধান করে না, বরং উল্লেখযোগ্য আর্থিক মুনাফারও প্রতিশ্রুতি দেয়। এশিয়াজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিলিয়নিয়ারের উত্থান থেকে এটি প্রমাণিত। একটি ভালো স্বাস্থ্যব্যবস্থা তৈরি করা শুধু জনস্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, এটি একটি স্মার্ট আর্থিক বিনিয়োগও।
অবকাঠামো ছাড়াও, বিনিয়োগকারীদের উচিত ওষুধ, ওষুধ তৈরি, এপিআই (কাঁচামাল) উৎপাদন এবং বায়োটেকের (জৈবপ্রযুক্তি) দিকে নজর দেওয়া। বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের জন্য শতভাগ বিদেশি মালিকানা এবং করছাড়ের মতো প্রণোদনা দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশের স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে। এই পরিসংখ্যান স্বাস্থ্যবিমা খাতে এক বিশাল, অব্যবহৃত বাজারের নির্দেশক। ব্যাপক স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প তৈরি করা চিকিৎসা ব্যয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত আর্থিক ঝুঁকি কমাতে এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়াতে পারে।
বিনিয়োগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা।
বাংলাদেশের ডিজিটাল স্বাস্থ্য বাজার এরই মধ্যেই ১০ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি হচ্ছে এবং আগামী বছরগুলোতে এই বাজার প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি শুধু স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান। এটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালকে ত্বরান্বিত করছে, ওষুধ কোম্পানি ও সরবরাহকারীদের পথ সুগম করছে, দূরবর্তী পর্যবেক্ষণের (টেলিমেডিসিন ইত্যাদি) মাধ্যমে চিকিৎসাপ্রাপ্তি সহজ করছে এবং দেশজুড়ে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ সম্প্রসারণ করছে।
ডিজিটাল অ্যাকসেস সমান্তরালভাবে বাড়ছে। ২০২২ সালে যেখানে বাংলাদেশি পরিবারগুলোর ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ৩৮ শতাংশ ছিল, ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৫০ শতাংশ হয়েছে। একই সময় ব্যক্তিগত ব্যবহার ৩৭ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত আজ এশিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি। উন্নত সেবা পেতে আগ্রহী জনসংখ্যা, বেসরকারি অংশগ্রহণকে উৎসাহদানকারী সরকার এবং চাহিদা ধারাবাহিকভাবে সরবরাহের চেয়ে বেশি হওয়ায়, এটি এক বিশাল সুযোগের মুহূর্ত। বিনিয়োগকারীদের এই বাজারে আগেভাগে প্রবেশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের ভবিষ্যৎ গঠন এবং যুগান্তকারী ব্যবসা গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৭ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

দক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। সম্প্রতি বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু জিডিপিতে ধারাবাহিকভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা
১৫ এপ্রিল ২০২৫
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৭ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২১ ঘণ্টা আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। সম্প্রতি বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু জিডিপিতে ধারাবাহিকভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা
১৫ এপ্রিল ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৭ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২১ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। সম্প্রতি বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু জিডিপিতে ধারাবাহিকভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা
১৫ এপ্রিল ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৯ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। সম্প্রতি বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু জিডিপিতে ধারাবাহিকভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা
১৫ এপ্রিল ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৭ ঘণ্টা আগে