রোকন উদ্দীন, ঢাকা
কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ফেলে রাখা কিংবা গর্তে পুঁতে ফেলার মতো ঘটনা এবার কম হলেও কাঁচা চামড়ার ন্যায্য দাম না পাওয়ার অভিযোগ ঠিকই ছিল। ছোট মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ফড়িয়াদের কাছে জিম্মি হয়ে কম দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে আড়তদারেরা বলেছেন, লবণ মাখানো ছাড়া কাঁচা চামড়ার নির্ধারিত কোনো দাম নেই। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী না জেনে মানহীন চামড়া কিনেছেন বলে তা কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করতে পারেননি। আড়তের মালিকদের দাবি, এটাও খুব কম ক্ষেত্রে হয়েছে।
ঢাকায় এবার প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০-৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫-৬০ টাকা। ঢাকার বাইরের প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৫৫-৬০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫০-৫৫ টাকা। খাসির লবণযুক্ত চামড়া প্রতি বর্গফুট ২২-২৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ২০-২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এ ছাড়া ঢাকায় কাঁচা চামড়ার সর্বনিম্ন দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন ১ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, ঢাকায় মাঝারি আকারের গরুর ২৫ বর্গফুটের একটি লবণযুক্ত চামড়ার দাম হওয়ার কথা ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬২৫ টাকা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, পুরান ঢাকার পোস্তাসহ বিভিন্ন এলাকার তথ্য অনুসারে, ঈদের দিন লবণ ছাড়া বড় ও মাঝারি গরুর কাঁচা চামড়া বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায়। তুলনামূলক ছোট ও কিছুটা খারাপ মানের চামড়ার দাম ছিল মাত্র ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তবে ঢাকার বাইরে দাম ছিল আরও কম।
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা হতাশ
সরকার নির্ধারণ করে দিলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। ঝিনাইদহের মৌসুমি কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী ফিজার মোল্লা বলেন, ‘আড়তদারেরা মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় চামড়া কিনছেন। নির্দিষ্ট কিছু ব্যবসায়ীর হাতে চামড়ার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ থাকায় আমরা সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়েছি।’
ফেনীর পরশুরামে কোরবানির গরুর চামড়া নদীতে ফেলার অভিযোগে রোববার রাতে শুক্কুর আলী (৪৩) নামে এক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। শুক্কুর আলী বলেছেন, ৬০০ টাকা দিয়ে চামড়া কিনে বিক্রি করতে না পারায় নদীতে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়। ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ১০ টাকায়। অনেকে ছাগলের চামড়ার দাম না পেয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আড়তদার ও সরকারের কথা
ঢাকার পোস্তা এলাকায় কাঁচা চামড়ার আড়তদারদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি মঞ্জুরুল হাসান বলেন, ‘চামড়ার দাম না পাওয়ার মূল কারণ সময়মতো লবণ দিয়ে সংরক্ষণ না করা। এতে অনেক চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট চামড়ার জন্য আড়তদারেরা ভালো চামড়ার দাম দেবেন কীভাবে?’
ঢাকার আড়তদারদের দাবি, লবণ ছাড়া ভালো মানের এক পিস চামড়া ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় কেনেন তাঁরা। লবণযুক্ত হলে কিনবেন ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়।
মৌসুমি ব্যবসায়ীদের চামড়ার দাম না পাওয়ার বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমরা যে দাম নির্ধারণ করেছিলাম, তা লবণসহ চামড়ার দাম। অভিজ্ঞতাহীন কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া নিয়ে আধা পচা করে ফেলছে। আধা পচা চামড়া ৭০০-৮০০ টাকা বিক্রি হলেও তো অনেক বেশি।’
কেনাবেচা শুরু ১৭ তারিখ থেকে সারা দেশ থেকে ঢাকায় কাঁচা চামড়া পরিবহনে ১০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা মেনে গতকাল পর্যন্ত ঢাকার বাইরে পোস্তার আড়ত কিংবা সাভারের ট্যানারিগুলোতে চামড়া আসেনি। বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত চার দিনে ঢাকার পোস্তায় মাত্র ৮০ হাজার পিস চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। আড়তদারেরা রাজধানীর ভেতর থেকে কাঁচা চামড়া কিনে নিজেরা লবণ দিয়ে এগুলো সংরক্ষণ করেছেন। সরকার-নির্ধারিত সময় শেষে ১৭ তারিখ থেকে লবণযুক্ত চামড়া কেনা শুরু করা হবে।
সরকার-নির্ধারিত সময় শেষে আড়তদারদের পাশাপাশি ট্যানারিগুলো নিজেরাও চামড়া কিনবে।
২৫ লাখের বেশি চামড়া সংরক্ষণ গত বছর দেশে মোট ১ কোটি ৪ লাখ গরু, ছাগল ও মহিষ কোরবানি হয়েছিল। এ বছর তা কিছুটা কমতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার কোরবানির তথ্য সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। এবার দুই সিটিতে মাত্র ৬ লাখ ৩২ হাজার ৮৩৪টি কোরবানি হয়েছে, যা গত বছরের অর্ধেক।
তবে কোরবানির সংখ্যা যা-ই হোক, এবার ট্যানারির মালিকদের ৮০-৯০ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে বলে জানা গেছে। এর বিপরীতে সরকারের দেওয়া লবণ দিয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২৫ লাখের বেশি চামড়া সংরক্ষণের হিসাব পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুসারে, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং কোরবানির ৭ লাখ ৭৪ হাজার গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করেছে।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৪ পিস গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বরিশাল বিভাগে ১ লাখ ৬৭ হাজার, রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৮১ হাজার, রাজশাহী বিভাগে ২ লাখ ৮৭ হাজার এবং সিলেট বিভাগে ২ লাখ ৯ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। সাভারের ট্যানারিপল্লিতে ৩ লাখ ৮৬ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।
দাম নির্ধারণ ফুটে বিক্রি পিসে
চামড়ার দাম বর্গফুটে নির্ধারণ হলেও বিক্রি হয় সাধারণত পিস হিসাবে। মৌসুমি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে আড়তদার ও ট্যানারির মালিক সবাই পিস হিসাবেই চামড়া কেনেন। এ ক্ষেত্রে ছোট বড় চামড়ার দামে কিছুটা পার্থক্য হয়।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পোস্তার একজন আড়তের মালিক বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করছি। চামড়া দেখলে অনুমান করতে পারি কত ফুট হবে। সে অনুসারেই দামদর করে চামড়া কিনে থাকি। সাধারণত ২ লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া ২৭ থেকে ২৮ বর্গফুট হয়। লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হলে তার দাম আসে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা।’
কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ফেলে রাখা কিংবা গর্তে পুঁতে ফেলার মতো ঘটনা এবার কম হলেও কাঁচা চামড়ার ন্যায্য দাম না পাওয়ার অভিযোগ ঠিকই ছিল। ছোট মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ফড়িয়াদের কাছে জিম্মি হয়ে কম দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে আড়তদারেরা বলেছেন, লবণ মাখানো ছাড়া কাঁচা চামড়ার নির্ধারিত কোনো দাম নেই। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী না জেনে মানহীন চামড়া কিনেছেন বলে তা কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করতে পারেননি। আড়তের মালিকদের দাবি, এটাও খুব কম ক্ষেত্রে হয়েছে।
ঢাকায় এবার প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০-৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫-৬০ টাকা। ঢাকার বাইরের প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৫৫-৬০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫০-৫৫ টাকা। খাসির লবণযুক্ত চামড়া প্রতি বর্গফুট ২২-২৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ২০-২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এ ছাড়া ঢাকায় কাঁচা চামড়ার সর্বনিম্ন দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন ১ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, ঢাকায় মাঝারি আকারের গরুর ২৫ বর্গফুটের একটি লবণযুক্ত চামড়ার দাম হওয়ার কথা ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬২৫ টাকা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, পুরান ঢাকার পোস্তাসহ বিভিন্ন এলাকার তথ্য অনুসারে, ঈদের দিন লবণ ছাড়া বড় ও মাঝারি গরুর কাঁচা চামড়া বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায়। তুলনামূলক ছোট ও কিছুটা খারাপ মানের চামড়ার দাম ছিল মাত্র ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তবে ঢাকার বাইরে দাম ছিল আরও কম।
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা হতাশ
সরকার নির্ধারণ করে দিলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। ঝিনাইদহের মৌসুমি কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী ফিজার মোল্লা বলেন, ‘আড়তদারেরা মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় চামড়া কিনছেন। নির্দিষ্ট কিছু ব্যবসায়ীর হাতে চামড়ার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ থাকায় আমরা সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়েছি।’
ফেনীর পরশুরামে কোরবানির গরুর চামড়া নদীতে ফেলার অভিযোগে রোববার রাতে শুক্কুর আলী (৪৩) নামে এক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। শুক্কুর আলী বলেছেন, ৬০০ টাকা দিয়ে চামড়া কিনে বিক্রি করতে না পারায় নদীতে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়। ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ১০ টাকায়। অনেকে ছাগলের চামড়ার দাম না পেয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আড়তদার ও সরকারের কথা
ঢাকার পোস্তা এলাকায় কাঁচা চামড়ার আড়তদারদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি মঞ্জুরুল হাসান বলেন, ‘চামড়ার দাম না পাওয়ার মূল কারণ সময়মতো লবণ দিয়ে সংরক্ষণ না করা। এতে অনেক চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট চামড়ার জন্য আড়তদারেরা ভালো চামড়ার দাম দেবেন কীভাবে?’
ঢাকার আড়তদারদের দাবি, লবণ ছাড়া ভালো মানের এক পিস চামড়া ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় কেনেন তাঁরা। লবণযুক্ত হলে কিনবেন ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়।
মৌসুমি ব্যবসায়ীদের চামড়ার দাম না পাওয়ার বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমরা যে দাম নির্ধারণ করেছিলাম, তা লবণসহ চামড়ার দাম। অভিজ্ঞতাহীন কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া নিয়ে আধা পচা করে ফেলছে। আধা পচা চামড়া ৭০০-৮০০ টাকা বিক্রি হলেও তো অনেক বেশি।’
কেনাবেচা শুরু ১৭ তারিখ থেকে সারা দেশ থেকে ঢাকায় কাঁচা চামড়া পরিবহনে ১০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা মেনে গতকাল পর্যন্ত ঢাকার বাইরে পোস্তার আড়ত কিংবা সাভারের ট্যানারিগুলোতে চামড়া আসেনি। বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত চার দিনে ঢাকার পোস্তায় মাত্র ৮০ হাজার পিস চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। আড়তদারেরা রাজধানীর ভেতর থেকে কাঁচা চামড়া কিনে নিজেরা লবণ দিয়ে এগুলো সংরক্ষণ করেছেন। সরকার-নির্ধারিত সময় শেষে ১৭ তারিখ থেকে লবণযুক্ত চামড়া কেনা শুরু করা হবে।
সরকার-নির্ধারিত সময় শেষে আড়তদারদের পাশাপাশি ট্যানারিগুলো নিজেরাও চামড়া কিনবে।
২৫ লাখের বেশি চামড়া সংরক্ষণ গত বছর দেশে মোট ১ কোটি ৪ লাখ গরু, ছাগল ও মহিষ কোরবানি হয়েছিল। এ বছর তা কিছুটা কমতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার কোরবানির তথ্য সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। এবার দুই সিটিতে মাত্র ৬ লাখ ৩২ হাজার ৮৩৪টি কোরবানি হয়েছে, যা গত বছরের অর্ধেক।
তবে কোরবানির সংখ্যা যা-ই হোক, এবার ট্যানারির মালিকদের ৮০-৯০ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে বলে জানা গেছে। এর বিপরীতে সরকারের দেওয়া লবণ দিয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২৫ লাখের বেশি চামড়া সংরক্ষণের হিসাব পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুসারে, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং কোরবানির ৭ লাখ ৭৪ হাজার গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করেছে।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৪ পিস গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বরিশাল বিভাগে ১ লাখ ৬৭ হাজার, রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৮১ হাজার, রাজশাহী বিভাগে ২ লাখ ৮৭ হাজার এবং সিলেট বিভাগে ২ লাখ ৯ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। সাভারের ট্যানারিপল্লিতে ৩ লাখ ৮৬ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।
দাম নির্ধারণ ফুটে বিক্রি পিসে
চামড়ার দাম বর্গফুটে নির্ধারণ হলেও বিক্রি হয় সাধারণত পিস হিসাবে। মৌসুমি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে আড়তদার ও ট্যানারির মালিক সবাই পিস হিসাবেই চামড়া কেনেন। এ ক্ষেত্রে ছোট বড় চামড়ার দামে কিছুটা পার্থক্য হয়।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পোস্তার একজন আড়তের মালিক বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করছি। চামড়া দেখলে অনুমান করতে পারি কত ফুট হবে। সে অনুসারেই দামদর করে চামড়া কিনে থাকি। সাধারণত ২ লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া ২৭ থেকে ২৮ বর্গফুট হয়। লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হলে তার দাম আসে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা।’
ঈদের কারণে মুরগি, ডিম, সবজিসহ কাঁচাবাজারের বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহকারীদের অনেকেই দীর্ঘ ছুটিতে। ক্রেতাদেরও বড় অংশ এখনো গ্রামের বাড়ি। বহু মানুষ ঢাকায় ফেরার পথে। তাই পাইকারি ও খুচরা বাজারের অনেক দোকান না খোলায় পণ্যের সরবরাহ কিছুটা কম। এ কারণে কিছু পণ্যের দামও বেড়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে বাজারে সরবরাহ এবং
৭ ঘণ্টা আগেরাজস্ব ঘাটতির চাপ, বিদেশি ঋণদাতাদের শর্ত আর কর ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যেই বড় পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে একসঙ্গে বাতিল করা হয়েছে করছাড়-সংক্রান্ত ১২টি সরকারি আদেশ (এসআরও), যেগুলো গত ১৬ বছরে বিভিন্ন সময় জারি করা হয়েছিল। কৃষি, খামার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জনহিতকর খাতে দেওয়া এসব
৭ ঘণ্টা আগেদায় মূল্যায়ন প্রতিবেদন বা ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট জমা না দিয়েই ৬ বছর ধরে গোপনে ব্যবসা করেছে প্রোটেকটিভ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। নিয়মিত বার্ষিক প্রতিবেদন ও দায় মূল্যায়ন না থাকায় গ্রাহক ও শেয়ারহোল্ডারদের প্রাপ্য বোনাস, লভ্যাংশ, কমিশন কিংবা খরচ—কোনোটিরই হদিস ছিল না আইডিআরএর কাছে। ফলে কোম্পানিটির বির
৮ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহার ছুটিতে নগদ টাকার সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকেরা। ব্যাংকিং লেনদেন বন্ধ থাকায় এটিএম বুথ, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে মানুষ। কিন্তু অধিকাংশ এটিএম বুথ ছিল টাকাশূন্য, বন্ধ কিংবা সীমিত লেনদেন সক্ষমতায় চলমান। ফলে ঈদের সময়
৮ ঘণ্টা আগে