
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের দুই বছর শেষ হতে চলল। ২৪ ফেব্রুয়ারি এলেই দুই বছর হয়ে যাবে। ইউক্রেনে রুশ হামলার পরপরই পশ্চিমা বিশ্ব মস্কোর তেল রপ্তানির ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু রাশিয়া সেই নিষেধাজ্ঞা বাইপাস করে ঠিকই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জ্বালানি তেল বিক্রি করেই যাচ্ছে এবং এ কাজে রাশিয়াকে নির্ভরতা দিচ্ছে ‘ভৌতিক নৌবহর’।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনেক আগে থেকেই এ ধরনের ভৌতিক নৌবহরের অস্তিত্ব ছিল। রাশিয়া মূলত অস্বচ্ছ মালিকানা ও পর্যাপ্ত বিমা ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে এর মাধ্যমে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, রাশিয়া নিজেরই একটি ঘোস্ট ফ্লিট বা ভৌতিক নৌবহর গড়ে তুলেছে। যাতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বিশ্ববাজারে তেল রপ্তানি বজায় রাখতে পারে।
ভৌতিক নৌবহর আসলে কী
কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকস ভৌতিক নৌবহরকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে বলেছে, এমন সব নৌযান যেগুলো জি-৭ ভুক্ত দেশ বা তাদের মিত্র কোনো দেশ কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশের মালিকানাভুক্ত নয়। এসব নৌযানের সুরক্ষা ও দায়মুক্তি বিমাও নেই।
এ বিষয়ে কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ এলিনা রোবাকোভা বলেন, ‘এই বিষয়টি (ভৌতিক নৌবহর) একেবারেই নতুন কোনো বিষয় নয়। এমনকি যুদ্ধ (রাশিয়া-ইউক্রেন) শুরুর আগেও এই ধারণা বজায় ছিল আমাদের বিশ্বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনে ছায়া নৌবহর সাধারণ প্রচলিত ব্যবসায় মডেলকে এড়িয়ে চলে। যাতে বিমার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে না হয়।’
থিংক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের গবেষক এলিজাবেথ ব্রাউ বলেছেন, এ ধরনে নৌবহরকে ‘অন্ধকার বহরও’ বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ইরান ও ভেনিজুয়েলা এ ধরনের নৌবহর ব্যবহার করে তাদের তেল-বাণিজ্য চালাতে। উত্তর কোরিয়াও এ ধরনের নৌবহর ব্যবহার করে।
ব্যবসায় গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান লয়েডস লিস্ট ইন্টেলিজেন্সের পরিসংখ্যান অনুসারে, এই ধরনের জাহাজের সংখ্যা গত বছর, অর্থাৎ ২০২৩ দ্বিগুণ হয়েছে ও আন্তর্জাতিকভাবে তেলবাহী ট্যাংকারের প্রায় ১০ শতাংশই ভৌতিক বহর। আটলান্টিক কাউন্সিল গত জানুয়ারিতেই জানিয়েছে, বর্তমান বিশ্বে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জাহাজ আছে, যেগুলোর মালিকানা স্পষ্ট নয়, অর্থাৎ এগুলো ভৌতিক নৌবহরের অংশ।
রাশিয়া কেন ভৌতিক নৌবহর ব্যবহার করছে
ইউক্রেনে আক্রমণের অভিযোগে রাশিয়ার ওপর তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ও তেলের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব। এমনকি যেসব জাহাজ কোম্পানি রাশিয়ার তেল পরিবহন করত, সেগুলোরও ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল তারা।
মূলত পশ্চিমা বিশ্বের জাহাজের ওপর নির্ভরতা কমাতেই রাশিয়া নিজে ট্যাংকার কিনে সেগুলোকে নিজে নিজেই বিমা করিয়ে সাগরে নামিয়েছে। এ বিষয়ে রোবাকোভা বলেন, রাশিয়ার মোট তেল রপ্তানির ৭০ শতাংশেরও বেশি হয় ভৌতিক নৌবহর ব্যবহার করে। কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকসের অনুমান, রাশিয়ার বিভিন্ন বন্দরে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ১৭৯টি ‘ভৌতিক নৌবহরের’ জাহাজ ভিড়েছে।
কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকস গত অক্টোবরে এক প্রতিবেদনে বলেছে, রাশিয়ার ভৌতিক নৌবহর রাশিয়ার দৈনিক উৎপাদিত এক কোটি ব্যারেল তেলের মধ্যে ২৩ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত এবং আট লাখ ব্যারেল অন্য পেট্রোলিয়াম পণ্য রপ্তানি করেছিল।
ভৌতিক নৌবহরের ঝুঁকি কোথায়
লয়েড লিস্ট ইন্টেলিজেন্স গত ডিসেম্বরে এক প্রতিবেদনে বলেছিল, ‘এই ভৌতিক বহরে থাকা বেশির ভাগ নৌযানই সম্প্রতি কোনো ধরনের ইন্সপেকশন করা হয়নি। নিম্নমানের রক্ষণাবেক্ষণ, অস্পষ্ট মালিকানা, কোনো বিমা না থাকার পরও নিষেধাজ্ঞা ও উচ্চ বিমা খরচ এড়াতে এগুলো পরিচালিত হয়েই যাচ্ছে।
কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকস জানিয়েছে, আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে যাওয়া বা প্রায় শেষ হয়ে গেছে—এমন অনেক ট্যাংকারই ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই জাহাজগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো জন্য বিশাল পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি করেছে। কারণ, এই ট্যাংকারগুলোর বড় একটি অংশই ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছ ঘেঁষেই চলাচল করে।
আটলান্টিক কাউন্সিলের তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ বছর বা তারও বেশি সময় আগে নির্মিত ট্যাংকারগুলো বিশ্বের মোট ট্যাংকারের সংখ্যার ১১ শতাংশ হয়ে যাবে। অথচ, ইউক্রেনে যুদ্ধের আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ শতাংশ।
রাশিয়ার ভৌতিক নৌবহরের কোনো জাহাজেরই পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও দায়মুক্তি বিমা নেই। ফলে কোনো কারণে—যেমন যুদ্ধ, সংঘর্ষ বা দুর্ঘটনায় যদি এসব ভৌতিক নৌবহরের কোনো জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সে কারণে সমুদ্রে তেল ছড়িয়ে পড়ে, তবে তা থেকে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত ব্যাপক ঝুঁকি তৈরি করেছে।
এএফপি থেকে অনূদিত

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের দুই বছর শেষ হতে চলল। ২৪ ফেব্রুয়ারি এলেই দুই বছর হয়ে যাবে। ইউক্রেনে রুশ হামলার পরপরই পশ্চিমা বিশ্ব মস্কোর তেল রপ্তানির ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু রাশিয়া সেই নিষেধাজ্ঞা বাইপাস করে ঠিকই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জ্বালানি তেল বিক্রি করেই যাচ্ছে এবং এ কাজে রাশিয়াকে নির্ভরতা দিচ্ছে ‘ভৌতিক নৌবহর’।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনেক আগে থেকেই এ ধরনের ভৌতিক নৌবহরের অস্তিত্ব ছিল। রাশিয়া মূলত অস্বচ্ছ মালিকানা ও পর্যাপ্ত বিমা ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে এর মাধ্যমে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, রাশিয়া নিজেরই একটি ঘোস্ট ফ্লিট বা ভৌতিক নৌবহর গড়ে তুলেছে। যাতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বিশ্ববাজারে তেল রপ্তানি বজায় রাখতে পারে।
ভৌতিক নৌবহর আসলে কী
কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকস ভৌতিক নৌবহরকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে বলেছে, এমন সব নৌযান যেগুলো জি-৭ ভুক্ত দেশ বা তাদের মিত্র কোনো দেশ কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশের মালিকানাভুক্ত নয়। এসব নৌযানের সুরক্ষা ও দায়মুক্তি বিমাও নেই।
এ বিষয়ে কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ এলিনা রোবাকোভা বলেন, ‘এই বিষয়টি (ভৌতিক নৌবহর) একেবারেই নতুন কোনো বিষয় নয়। এমনকি যুদ্ধ (রাশিয়া-ইউক্রেন) শুরুর আগেও এই ধারণা বজায় ছিল আমাদের বিশ্বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনে ছায়া নৌবহর সাধারণ প্রচলিত ব্যবসায় মডেলকে এড়িয়ে চলে। যাতে বিমার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে না হয়।’
থিংক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের গবেষক এলিজাবেথ ব্রাউ বলেছেন, এ ধরনে নৌবহরকে ‘অন্ধকার বহরও’ বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ইরান ও ভেনিজুয়েলা এ ধরনের নৌবহর ব্যবহার করে তাদের তেল-বাণিজ্য চালাতে। উত্তর কোরিয়াও এ ধরনের নৌবহর ব্যবহার করে।
ব্যবসায় গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান লয়েডস লিস্ট ইন্টেলিজেন্সের পরিসংখ্যান অনুসারে, এই ধরনের জাহাজের সংখ্যা গত বছর, অর্থাৎ ২০২৩ দ্বিগুণ হয়েছে ও আন্তর্জাতিকভাবে তেলবাহী ট্যাংকারের প্রায় ১০ শতাংশই ভৌতিক বহর। আটলান্টিক কাউন্সিল গত জানুয়ারিতেই জানিয়েছে, বর্তমান বিশ্বে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জাহাজ আছে, যেগুলোর মালিকানা স্পষ্ট নয়, অর্থাৎ এগুলো ভৌতিক নৌবহরের অংশ।
রাশিয়া কেন ভৌতিক নৌবহর ব্যবহার করছে
ইউক্রেনে আক্রমণের অভিযোগে রাশিয়ার ওপর তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ও তেলের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব। এমনকি যেসব জাহাজ কোম্পানি রাশিয়ার তেল পরিবহন করত, সেগুলোরও ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল তারা।
মূলত পশ্চিমা বিশ্বের জাহাজের ওপর নির্ভরতা কমাতেই রাশিয়া নিজে ট্যাংকার কিনে সেগুলোকে নিজে নিজেই বিমা করিয়ে সাগরে নামিয়েছে। এ বিষয়ে রোবাকোভা বলেন, রাশিয়ার মোট তেল রপ্তানির ৭০ শতাংশেরও বেশি হয় ভৌতিক নৌবহর ব্যবহার করে। কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকসের অনুমান, রাশিয়ার বিভিন্ন বন্দরে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ১৭৯টি ‘ভৌতিক নৌবহরের’ জাহাজ ভিড়েছে।
কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকস গত অক্টোবরে এক প্রতিবেদনে বলেছে, রাশিয়ার ভৌতিক নৌবহর রাশিয়ার দৈনিক উৎপাদিত এক কোটি ব্যারেল তেলের মধ্যে ২৩ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত এবং আট লাখ ব্যারেল অন্য পেট্রোলিয়াম পণ্য রপ্তানি করেছিল।
ভৌতিক নৌবহরের ঝুঁকি কোথায়
লয়েড লিস্ট ইন্টেলিজেন্স গত ডিসেম্বরে এক প্রতিবেদনে বলেছিল, ‘এই ভৌতিক বহরে থাকা বেশির ভাগ নৌযানই সম্প্রতি কোনো ধরনের ইন্সপেকশন করা হয়নি। নিম্নমানের রক্ষণাবেক্ষণ, অস্পষ্ট মালিকানা, কোনো বিমা না থাকার পরও নিষেধাজ্ঞা ও উচ্চ বিমা খরচ এড়াতে এগুলো পরিচালিত হয়েই যাচ্ছে।
কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকস জানিয়েছে, আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে যাওয়া বা প্রায় শেষ হয়ে গেছে—এমন অনেক ট্যাংকারই ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই জাহাজগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো জন্য বিশাল পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি করেছে। কারণ, এই ট্যাংকারগুলোর বড় একটি অংশই ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছ ঘেঁষেই চলাচল করে।
আটলান্টিক কাউন্সিলের তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ বছর বা তারও বেশি সময় আগে নির্মিত ট্যাংকারগুলো বিশ্বের মোট ট্যাংকারের সংখ্যার ১১ শতাংশ হয়ে যাবে। অথচ, ইউক্রেনে যুদ্ধের আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ শতাংশ।
রাশিয়ার ভৌতিক নৌবহরের কোনো জাহাজেরই পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও দায়মুক্তি বিমা নেই। ফলে কোনো কারণে—যেমন যুদ্ধ, সংঘর্ষ বা দুর্ঘটনায় যদি এসব ভৌতিক নৌবহরের কোনো জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সে কারণে সমুদ্রে তেল ছড়িয়ে পড়ে, তবে তা থেকে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত ব্যাপক ঝুঁকি তৈরি করেছে।
এএফপি থেকে অনূদিত

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনেক আগে থেকেই এ ধরনের ভৌতিক নৌবহরের অস্তিত্ব ছিল। রাশিয়া মূলত অস্বচ্ছ মালিকানা ও পর্যাপ্ত বিমা ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে এর মাধ্যমে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, রাশিয়া নিজেরই একটি ঘোস্ট ফ্লিট বা ভৌতিক নৌবহর গড়ে তুলেছে। যাতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বিশ্ববাজারে ত
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনেক আগে থেকেই এ ধরনের ভৌতিক নৌবহরের অস্তিত্ব ছিল। রাশিয়া মূলত অস্বচ্ছ মালিকানা ও পর্যাপ্ত বিমা ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে এর মাধ্যমে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, রাশিয়া নিজেরই একটি ঘোস্ট ফ্লিট বা ভৌতিক নৌবহর গড়ে তুলেছে। যাতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বিশ্ববাজারে ত
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনেক আগে থেকেই এ ধরনের ভৌতিক নৌবহরের অস্তিত্ব ছিল। রাশিয়া মূলত অস্বচ্ছ মালিকানা ও পর্যাপ্ত বিমা ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে এর মাধ্যমে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, রাশিয়া নিজেরই একটি ঘোস্ট ফ্লিট বা ভৌতিক নৌবহর গড়ে তুলেছে। যাতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বিশ্ববাজারে ত
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনেক আগে থেকেই এ ধরনের ভৌতিক নৌবহরের অস্তিত্ব ছিল। রাশিয়া মূলত অস্বচ্ছ মালিকানা ও পর্যাপ্ত বিমা ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে এর মাধ্যমে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, রাশিয়া নিজেরই একটি ঘোস্ট ফ্লিট বা ভৌতিক নৌবহর গড়ে তুলেছে। যাতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বিশ্ববাজারে ত
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে