আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো। কীভাবে এত সীমিত সম্পদের মধ্যেও এই দেশগুলো থেকে উঠে এসেছে এত উদ্ভাবনী ও টেকসই করপোরেট প্রতিষ্ঠান? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই উঠে এসেছে একাধিক ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান; যা শুধু নর্ডিক অঞ্চলের নয়, বরং যেকোনো দেশের জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে।
এ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনের শুরুতেই ডেনমার্কের কার্লসবার্গ কোম্পানির সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোপেনহেগেনের ‘কার্লস ভিলা’ আজও এক অক্ষত ধ্রুপদি ভাস্কর্য। ১৮৯২ সালে আর্ট নুভো ধাঁচে তৈরি বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন কার্লসবার্গ প্রতিষ্ঠাতার ছেলে কার্ল জ্যাকবসেন। এখন এটি বৈঠক কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয় কার্লসবার্গ কোম্পানির, যা আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিয়ার প্রস্তুতকারক।
বর্তমানে কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি স্বীকার করেছেন, কোম্পানির এই সাফল্য ডেনিশ কোম্পানিগুলোর একটি বৃহৎ ধাঁধার অংশ। তিনি বলেন, কেউ একজন তাঁকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলেন—এত ছোট একটি দেশ কীভাবে এত বড় বড় কোম্পানি তৈরি করেছে? তিনিও ব্যাপারটি নিয়ে পরে বেশ ভেবেছেন।
ডেনমার্কের ক্ষেত্রে যা সত্য, সেটি ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনের ক্ষেত্রেও। চারটি বড় নর্ডিক দেশ বিশ্ব অর্থনীতির মাত্র ১ শতাংশ এবং জনসংখ্যার মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ হলেও তারা তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত করপোরেট জায়ান্টদের এক বিস্ময়কর তালিকা। লেগো এখন রাজস্বের ভিত্তিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেলনা কোম্পানি। আইকিয়া বিশ্বের বৃহত্তম আসবাব প্রস্তুতকারী এবং সুইডিশ মিটবল বিক্রির সুবাদে এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম রেস্তোরাঁ।
এই অঞ্চলেই তৈরি হয় মেশিনারি (অ্যাটলাস কপকো), টেলিকম যন্ত্রপাতি (নোকিয়া ও এরিকসন), সিটবেল্ট (অটোলিভ) এবং এলিভেটর (কোনে)। এখান থেকেই এসেছে বিশ্বসেরা মিউজিক স্ট্রিমিং কোম্পানি স্পটিফাই এবং সবচেয়ে বড় ‘বাই-নাউ-পে-লেটার’ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ক্লারনা। ওজন কমানোর ওষুধ তৈরিতে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান নোভো নর্ডিস্ক। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির একটি নতুন ওষুধের ট্রায়াল ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় শেয়ারের দর কমে যায়। এরপরও ইউরোপের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি নোভো নর্ডিস্ক।
গত এক দশকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় নর্ডিক কোম্পানিগুলো বেশি লাভ করেছে। এই চারটি দেশে তালিকাভুক্ত অ-আর্থিক কোম্পানিগুলো গত ১০ বছরে ইউরোপীয় গড়ের চেয়ে বেশি শেয়ারহোল্ডার রিটার্ন দিয়েছে। বর্তমানে এমএসসিআই ইউরোপ সূচকে নর্ডিক কোম্পানির অংশ ১৩ শতাংশ, যা পাঁচ বছর আগেও ছিল ১০ শতাংশ। এটি এখন জার্মান কোম্পানিগুলোর অংশের সমান।
এই অঞ্চলের শীর্ষ ২০টি কোম্পানিকে তাদের বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, তারা গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ২০২৩ সালে ৭ শতাংশ বেশি অপারেটিং মার্জিন এবং ৫ শতাংশ বেশি রিটার্ন অন ইনভেস্টেড ক্যাপিটাল পেয়েছে। ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির ঋণের পরিমাণ ছিল তুলনামূলক কম। বার্ষিক বিক্রি বৃদ্ধিও ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীদের সমান।
অবশ্য সব নর্ডিক কোম্পানি সফল হয়নি। ব্যাটারি প্রস্তুতকারী নর্থভোল্ট সম্প্রতি দেউলিয়া হয়ে গেছে। নোকিয়ার হ্যান্ডসেট ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে আইফোনের কারণে। নর্ডিক দেশগুলোর এই সাফল্যে ভাগ্যেরও একটা ভূমিকা আছে। এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। কাঠ, লোহা (বিশেষ করে নরওয়েতে) তেল ও গ্যাস। তবে তা সত্ত্বেও তাদের সফলতা নজরকাড়া।
এই সাফল্যের পেছনের প্রথম কারণ নর্ডিক ব্যবসায়ীরা পূর্বসূরি ভাইকিংদের মতোই বিদেশমুখী বলে মনে করেন কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ক্ষুদ্র আয়তন আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমুখী করতে বাধ্য করেছে।’ এই অঞ্চলের শীর্ষ ১০টি কোম্পানির গড় রাজস্বের মাত্র ২ শতাংশ আসে নিজ দেশ থেকে, বাকিটা বহির্বিশ্ব থেকে; যেখানে ইউরোপীয় কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি ১২ শতাংশ আর আমেরিকায় ৪৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় কারণ, দ্রুত প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে নেওয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই লেগোর প্রতিষ্ঠাতা কাঠের বদলে প্লাস্টিক ব্যবহার শুরু করেন। আজও সেই উদ্ভাবনী চেতনা আছে। ইউরো স্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ জনের বেশি কর্মীসংবলিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে গড়ে ৪৫ শতাংশ ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা নেয়, অথচ নর্ডিক দেশগুলোয় এই হার ৭৩ শতাংশ।
এই প্রযুক্তিভিত্তিক মানসিকতার প্রভাব স্টার্টআপ সংস্কৃতিতেও রয়েছে। লন্ডন, প্যারিস ও বার্লিন ছাড়া ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আসে স্টকহোমে, যদিও এর জনসংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। হেলসিংকিও গেম ডেভেলপারদের কেন্দ্র—রোভিও (অ্যাংরি বার্ডস) ও সুপারসেলের (ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস) জন্মভূমি। উদ্ভাবনে ব্যর্থ হলেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সুরক্ষার কারণে ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেন তাঁরা।
তৃতীয় কারণ, সরকারি নীতিমালা। ব্যক্তিগত করের হার বেশি হলেও কোম্পানি করের হার যুক্তরাষ্ট্রের সমান। মার্কিন থিংকট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন—সব দেশই শীর্ষ দশে। ডেনমার্কে নিয়োগ ও ছাঁটাই সহজ; ভ্যাট নম্বরও পাওয়া যায় এক দিনে—যেখানে ফ্রান্সে এতে মাস লেগে যায়।
চতুর্থ কারণ, ধৈর্যশীল শেয়ারহোল্ডার। ম্যাকিন্সির মতে, ইউরোপে ৬০ শতাংশ এবং আমেরিকায় মাত্র ২০ শতাংশ কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি মালিকানার বিপরীতে নর্ডিক অঞ্চলে এটি ৮০ শতাংশ। এখানকার অনেক কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করে পরিবার বা ফাউন্ডেশন। উদাহরণস্বরূপ মায়ার্স্ক, লেগো, অ্যাটলাস কপকো ও এরিকসন।
এই ধৈর্যই কোম্পানিগুলোকে সময় দেয় ধীরে ধীরে বড় হওয়ার এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করার। ম্যাকিন্সির মতে, তালিকাভুক্ত নর্ডিক কোম্পানিগুলোর ৮০ শতাংশই গবেষণা ও উন্নয়নে প্রতিযোগীদের তুলনায় বেশি ব্যয় করে। নোভো নর্ডিস্কের প্রধান নির্বাহী লারস ফ্রুয়েরগার্ড জর্জেনসেন বলেন, তাঁর মূল ফোকাস হলো আগামী ১০-২০ বছরে কোম্পানির চেহারা কেমন হবে, তা নিয়ে কাজ করা।
তবে ভবিষ্যতে এই মডেল চাপের মুখে পড়তে পারে। বৈশ্বিক জিওপলিটিক অস্থিরতায় এই কোম্পানিগুলো বেশি ঝুঁকিতে। যেমন ২০২৩ সালে রাশিয়ায় কার্লসবার্গের ব্যবসা জব্দ করে ‘অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায়’ নেওয়া হয়। ডিসেম্বর মাসে কোম্পানিটি তাদের রুশ ব্যবসা বিশাল ছাড়ে স্থানীয় দুই কর্মীর কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
মায়ার্স্কের জাহাজ ও কনটেইনার টার্মিনাল হুথি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে জন্য তারা সুয়েজ খাল এড়িয়ে চলছে, যা সময় ও ব্যয়ের চাপ বাড়াচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ায় বৈদেশিক বাণিজ্য আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি সব আমদানির ওপর চড়া ট্যারিফ বসিয়েছেন। যদিও তিনি মূলত মেক্সিকো, কানাডা ও চীনকে লক্ষ্যবস্তু করছেন, তবুও তাঁর এই শুল্কনীতির প্রভাব পড়ছে সমগ্র বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর। শীর্ষ ১০টি নর্ডিক কোম্পানির এক-তৃতীয়াংশ বিক্রিই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই অবস্থায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে নর্ডিক জায়ান্টরা।
এসব মোকাবিলায় নর্ডিক কোম্পানিগুলোর দরকার হবে আরও বেশি অভিযোজন ক্ষমতা। লেগোর সিইও নিলস ক্রিশ্চিয়ানসেন ডারউইনের একটি উক্তি তুলে ধরে বলেছেন, ‘সবচেয়ে শক্তিশালী নয়, বরং যে পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, সেই টিকে থাকে।’ বিশ্বজুড়ে যখন কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, তখন এই কথা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো। কীভাবে এত সীমিত সম্পদের মধ্যেও এই দেশগুলো থেকে উঠে এসেছে এত উদ্ভাবনী ও টেকসই করপোরেট প্রতিষ্ঠান? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই উঠে এসেছে একাধিক ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান; যা শুধু নর্ডিক অঞ্চলের নয়, বরং যেকোনো দেশের জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে।
এ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনের শুরুতেই ডেনমার্কের কার্লসবার্গ কোম্পানির সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোপেনহেগেনের ‘কার্লস ভিলা’ আজও এক অক্ষত ধ্রুপদি ভাস্কর্য। ১৮৯২ সালে আর্ট নুভো ধাঁচে তৈরি বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন কার্লসবার্গ প্রতিষ্ঠাতার ছেলে কার্ল জ্যাকবসেন। এখন এটি বৈঠক কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয় কার্লসবার্গ কোম্পানির, যা আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিয়ার প্রস্তুতকারক।
বর্তমানে কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি স্বীকার করেছেন, কোম্পানির এই সাফল্য ডেনিশ কোম্পানিগুলোর একটি বৃহৎ ধাঁধার অংশ। তিনি বলেন, কেউ একজন তাঁকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলেন—এত ছোট একটি দেশ কীভাবে এত বড় বড় কোম্পানি তৈরি করেছে? তিনিও ব্যাপারটি নিয়ে পরে বেশ ভেবেছেন।
ডেনমার্কের ক্ষেত্রে যা সত্য, সেটি ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনের ক্ষেত্রেও। চারটি বড় নর্ডিক দেশ বিশ্ব অর্থনীতির মাত্র ১ শতাংশ এবং জনসংখ্যার মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ হলেও তারা তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত করপোরেট জায়ান্টদের এক বিস্ময়কর তালিকা। লেগো এখন রাজস্বের ভিত্তিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেলনা কোম্পানি। আইকিয়া বিশ্বের বৃহত্তম আসবাব প্রস্তুতকারী এবং সুইডিশ মিটবল বিক্রির সুবাদে এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম রেস্তোরাঁ।
এই অঞ্চলেই তৈরি হয় মেশিনারি (অ্যাটলাস কপকো), টেলিকম যন্ত্রপাতি (নোকিয়া ও এরিকসন), সিটবেল্ট (অটোলিভ) এবং এলিভেটর (কোনে)। এখান থেকেই এসেছে বিশ্বসেরা মিউজিক স্ট্রিমিং কোম্পানি স্পটিফাই এবং সবচেয়ে বড় ‘বাই-নাউ-পে-লেটার’ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ক্লারনা। ওজন কমানোর ওষুধ তৈরিতে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান নোভো নর্ডিস্ক। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির একটি নতুন ওষুধের ট্রায়াল ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় শেয়ারের দর কমে যায়। এরপরও ইউরোপের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি নোভো নর্ডিস্ক।
গত এক দশকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় নর্ডিক কোম্পানিগুলো বেশি লাভ করেছে। এই চারটি দেশে তালিকাভুক্ত অ-আর্থিক কোম্পানিগুলো গত ১০ বছরে ইউরোপীয় গড়ের চেয়ে বেশি শেয়ারহোল্ডার রিটার্ন দিয়েছে। বর্তমানে এমএসসিআই ইউরোপ সূচকে নর্ডিক কোম্পানির অংশ ১৩ শতাংশ, যা পাঁচ বছর আগেও ছিল ১০ শতাংশ। এটি এখন জার্মান কোম্পানিগুলোর অংশের সমান।
এই অঞ্চলের শীর্ষ ২০টি কোম্পানিকে তাদের বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, তারা গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ২০২৩ সালে ৭ শতাংশ বেশি অপারেটিং মার্জিন এবং ৫ শতাংশ বেশি রিটার্ন অন ইনভেস্টেড ক্যাপিটাল পেয়েছে। ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির ঋণের পরিমাণ ছিল তুলনামূলক কম। বার্ষিক বিক্রি বৃদ্ধিও ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীদের সমান।
অবশ্য সব নর্ডিক কোম্পানি সফল হয়নি। ব্যাটারি প্রস্তুতকারী নর্থভোল্ট সম্প্রতি দেউলিয়া হয়ে গেছে। নোকিয়ার হ্যান্ডসেট ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে আইফোনের কারণে। নর্ডিক দেশগুলোর এই সাফল্যে ভাগ্যেরও একটা ভূমিকা আছে। এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। কাঠ, লোহা (বিশেষ করে নরওয়েতে) তেল ও গ্যাস। তবে তা সত্ত্বেও তাদের সফলতা নজরকাড়া।
এই সাফল্যের পেছনের প্রথম কারণ নর্ডিক ব্যবসায়ীরা পূর্বসূরি ভাইকিংদের মতোই বিদেশমুখী বলে মনে করেন কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ক্ষুদ্র আয়তন আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমুখী করতে বাধ্য করেছে।’ এই অঞ্চলের শীর্ষ ১০টি কোম্পানির গড় রাজস্বের মাত্র ২ শতাংশ আসে নিজ দেশ থেকে, বাকিটা বহির্বিশ্ব থেকে; যেখানে ইউরোপীয় কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি ১২ শতাংশ আর আমেরিকায় ৪৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় কারণ, দ্রুত প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে নেওয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই লেগোর প্রতিষ্ঠাতা কাঠের বদলে প্লাস্টিক ব্যবহার শুরু করেন। আজও সেই উদ্ভাবনী চেতনা আছে। ইউরো স্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ জনের বেশি কর্মীসংবলিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে গড়ে ৪৫ শতাংশ ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা নেয়, অথচ নর্ডিক দেশগুলোয় এই হার ৭৩ শতাংশ।
এই প্রযুক্তিভিত্তিক মানসিকতার প্রভাব স্টার্টআপ সংস্কৃতিতেও রয়েছে। লন্ডন, প্যারিস ও বার্লিন ছাড়া ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আসে স্টকহোমে, যদিও এর জনসংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। হেলসিংকিও গেম ডেভেলপারদের কেন্দ্র—রোভিও (অ্যাংরি বার্ডস) ও সুপারসেলের (ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস) জন্মভূমি। উদ্ভাবনে ব্যর্থ হলেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সুরক্ষার কারণে ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেন তাঁরা।
তৃতীয় কারণ, সরকারি নীতিমালা। ব্যক্তিগত করের হার বেশি হলেও কোম্পানি করের হার যুক্তরাষ্ট্রের সমান। মার্কিন থিংকট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন—সব দেশই শীর্ষ দশে। ডেনমার্কে নিয়োগ ও ছাঁটাই সহজ; ভ্যাট নম্বরও পাওয়া যায় এক দিনে—যেখানে ফ্রান্সে এতে মাস লেগে যায়।
চতুর্থ কারণ, ধৈর্যশীল শেয়ারহোল্ডার। ম্যাকিন্সির মতে, ইউরোপে ৬০ শতাংশ এবং আমেরিকায় মাত্র ২০ শতাংশ কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি মালিকানার বিপরীতে নর্ডিক অঞ্চলে এটি ৮০ শতাংশ। এখানকার অনেক কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করে পরিবার বা ফাউন্ডেশন। উদাহরণস্বরূপ মায়ার্স্ক, লেগো, অ্যাটলাস কপকো ও এরিকসন।
এই ধৈর্যই কোম্পানিগুলোকে সময় দেয় ধীরে ধীরে বড় হওয়ার এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করার। ম্যাকিন্সির মতে, তালিকাভুক্ত নর্ডিক কোম্পানিগুলোর ৮০ শতাংশই গবেষণা ও উন্নয়নে প্রতিযোগীদের তুলনায় বেশি ব্যয় করে। নোভো নর্ডিস্কের প্রধান নির্বাহী লারস ফ্রুয়েরগার্ড জর্জেনসেন বলেন, তাঁর মূল ফোকাস হলো আগামী ১০-২০ বছরে কোম্পানির চেহারা কেমন হবে, তা নিয়ে কাজ করা।
তবে ভবিষ্যতে এই মডেল চাপের মুখে পড়তে পারে। বৈশ্বিক জিওপলিটিক অস্থিরতায় এই কোম্পানিগুলো বেশি ঝুঁকিতে। যেমন ২০২৩ সালে রাশিয়ায় কার্লসবার্গের ব্যবসা জব্দ করে ‘অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায়’ নেওয়া হয়। ডিসেম্বর মাসে কোম্পানিটি তাদের রুশ ব্যবসা বিশাল ছাড়ে স্থানীয় দুই কর্মীর কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
মায়ার্স্কের জাহাজ ও কনটেইনার টার্মিনাল হুথি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে জন্য তারা সুয়েজ খাল এড়িয়ে চলছে, যা সময় ও ব্যয়ের চাপ বাড়াচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ায় বৈদেশিক বাণিজ্য আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি সব আমদানির ওপর চড়া ট্যারিফ বসিয়েছেন। যদিও তিনি মূলত মেক্সিকো, কানাডা ও চীনকে লক্ষ্যবস্তু করছেন, তবুও তাঁর এই শুল্কনীতির প্রভাব পড়ছে সমগ্র বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর। শীর্ষ ১০টি নর্ডিক কোম্পানির এক-তৃতীয়াংশ বিক্রিই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই অবস্থায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে নর্ডিক জায়ান্টরা।
এসব মোকাবিলায় নর্ডিক কোম্পানিগুলোর দরকার হবে আরও বেশি অভিযোজন ক্ষমতা। লেগোর সিইও নিলস ক্রিশ্চিয়ানসেন ডারউইনের একটি উক্তি তুলে ধরে বলেছেন, ‘সবচেয়ে শক্তিশালী নয়, বরং যে পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, সেই টিকে থাকে।’ বিশ্বজুড়ে যখন কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, তখন এই কথা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো। কীভাবে এত সীমিত সম্পদের মধ্যেও এই দেশগুলো থেকে উঠে এসেছে এত উদ্ভাবনী ও টেকসই করপোরেট প্রতিষ্ঠান? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই উঠে এসেছে একাধিক ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান; যা শুধু নর্ডিক অঞ্চলের নয়, বরং যেকোনো দেশের জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে।
এ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনের শুরুতেই ডেনমার্কের কার্লসবার্গ কোম্পানির সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোপেনহেগেনের ‘কার্লস ভিলা’ আজও এক অক্ষত ধ্রুপদি ভাস্কর্য। ১৮৯২ সালে আর্ট নুভো ধাঁচে তৈরি বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন কার্লসবার্গ প্রতিষ্ঠাতার ছেলে কার্ল জ্যাকবসেন। এখন এটি বৈঠক কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয় কার্লসবার্গ কোম্পানির, যা আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিয়ার প্রস্তুতকারক।
বর্তমানে কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি স্বীকার করেছেন, কোম্পানির এই সাফল্য ডেনিশ কোম্পানিগুলোর একটি বৃহৎ ধাঁধার অংশ। তিনি বলেন, কেউ একজন তাঁকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলেন—এত ছোট একটি দেশ কীভাবে এত বড় বড় কোম্পানি তৈরি করেছে? তিনিও ব্যাপারটি নিয়ে পরে বেশ ভেবেছেন।
ডেনমার্কের ক্ষেত্রে যা সত্য, সেটি ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনের ক্ষেত্রেও। চারটি বড় নর্ডিক দেশ বিশ্ব অর্থনীতির মাত্র ১ শতাংশ এবং জনসংখ্যার মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ হলেও তারা তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত করপোরেট জায়ান্টদের এক বিস্ময়কর তালিকা। লেগো এখন রাজস্বের ভিত্তিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেলনা কোম্পানি। আইকিয়া বিশ্বের বৃহত্তম আসবাব প্রস্তুতকারী এবং সুইডিশ মিটবল বিক্রির সুবাদে এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম রেস্তোরাঁ।
এই অঞ্চলেই তৈরি হয় মেশিনারি (অ্যাটলাস কপকো), টেলিকম যন্ত্রপাতি (নোকিয়া ও এরিকসন), সিটবেল্ট (অটোলিভ) এবং এলিভেটর (কোনে)। এখান থেকেই এসেছে বিশ্বসেরা মিউজিক স্ট্রিমিং কোম্পানি স্পটিফাই এবং সবচেয়ে বড় ‘বাই-নাউ-পে-লেটার’ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ক্লারনা। ওজন কমানোর ওষুধ তৈরিতে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান নোভো নর্ডিস্ক। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির একটি নতুন ওষুধের ট্রায়াল ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় শেয়ারের দর কমে যায়। এরপরও ইউরোপের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি নোভো নর্ডিস্ক।
গত এক দশকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় নর্ডিক কোম্পানিগুলো বেশি লাভ করেছে। এই চারটি দেশে তালিকাভুক্ত অ-আর্থিক কোম্পানিগুলো গত ১০ বছরে ইউরোপীয় গড়ের চেয়ে বেশি শেয়ারহোল্ডার রিটার্ন দিয়েছে। বর্তমানে এমএসসিআই ইউরোপ সূচকে নর্ডিক কোম্পানির অংশ ১৩ শতাংশ, যা পাঁচ বছর আগেও ছিল ১০ শতাংশ। এটি এখন জার্মান কোম্পানিগুলোর অংশের সমান।
এই অঞ্চলের শীর্ষ ২০টি কোম্পানিকে তাদের বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, তারা গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ২০২৩ সালে ৭ শতাংশ বেশি অপারেটিং মার্জিন এবং ৫ শতাংশ বেশি রিটার্ন অন ইনভেস্টেড ক্যাপিটাল পেয়েছে। ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির ঋণের পরিমাণ ছিল তুলনামূলক কম। বার্ষিক বিক্রি বৃদ্ধিও ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীদের সমান।
অবশ্য সব নর্ডিক কোম্পানি সফল হয়নি। ব্যাটারি প্রস্তুতকারী নর্থভোল্ট সম্প্রতি দেউলিয়া হয়ে গেছে। নোকিয়ার হ্যান্ডসেট ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে আইফোনের কারণে। নর্ডিক দেশগুলোর এই সাফল্যে ভাগ্যেরও একটা ভূমিকা আছে। এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। কাঠ, লোহা (বিশেষ করে নরওয়েতে) তেল ও গ্যাস। তবে তা সত্ত্বেও তাদের সফলতা নজরকাড়া।
এই সাফল্যের পেছনের প্রথম কারণ নর্ডিক ব্যবসায়ীরা পূর্বসূরি ভাইকিংদের মতোই বিদেশমুখী বলে মনে করেন কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ক্ষুদ্র আয়তন আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমুখী করতে বাধ্য করেছে।’ এই অঞ্চলের শীর্ষ ১০টি কোম্পানির গড় রাজস্বের মাত্র ২ শতাংশ আসে নিজ দেশ থেকে, বাকিটা বহির্বিশ্ব থেকে; যেখানে ইউরোপীয় কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি ১২ শতাংশ আর আমেরিকায় ৪৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় কারণ, দ্রুত প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে নেওয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই লেগোর প্রতিষ্ঠাতা কাঠের বদলে প্লাস্টিক ব্যবহার শুরু করেন। আজও সেই উদ্ভাবনী চেতনা আছে। ইউরো স্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ জনের বেশি কর্মীসংবলিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে গড়ে ৪৫ শতাংশ ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা নেয়, অথচ নর্ডিক দেশগুলোয় এই হার ৭৩ শতাংশ।
এই প্রযুক্তিভিত্তিক মানসিকতার প্রভাব স্টার্টআপ সংস্কৃতিতেও রয়েছে। লন্ডন, প্যারিস ও বার্লিন ছাড়া ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আসে স্টকহোমে, যদিও এর জনসংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। হেলসিংকিও গেম ডেভেলপারদের কেন্দ্র—রোভিও (অ্যাংরি বার্ডস) ও সুপারসেলের (ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস) জন্মভূমি। উদ্ভাবনে ব্যর্থ হলেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সুরক্ষার কারণে ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেন তাঁরা।
তৃতীয় কারণ, সরকারি নীতিমালা। ব্যক্তিগত করের হার বেশি হলেও কোম্পানি করের হার যুক্তরাষ্ট্রের সমান। মার্কিন থিংকট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন—সব দেশই শীর্ষ দশে। ডেনমার্কে নিয়োগ ও ছাঁটাই সহজ; ভ্যাট নম্বরও পাওয়া যায় এক দিনে—যেখানে ফ্রান্সে এতে মাস লেগে যায়।
চতুর্থ কারণ, ধৈর্যশীল শেয়ারহোল্ডার। ম্যাকিন্সির মতে, ইউরোপে ৬০ শতাংশ এবং আমেরিকায় মাত্র ২০ শতাংশ কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি মালিকানার বিপরীতে নর্ডিক অঞ্চলে এটি ৮০ শতাংশ। এখানকার অনেক কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করে পরিবার বা ফাউন্ডেশন। উদাহরণস্বরূপ মায়ার্স্ক, লেগো, অ্যাটলাস কপকো ও এরিকসন।
এই ধৈর্যই কোম্পানিগুলোকে সময় দেয় ধীরে ধীরে বড় হওয়ার এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করার। ম্যাকিন্সির মতে, তালিকাভুক্ত নর্ডিক কোম্পানিগুলোর ৮০ শতাংশই গবেষণা ও উন্নয়নে প্রতিযোগীদের তুলনায় বেশি ব্যয় করে। নোভো নর্ডিস্কের প্রধান নির্বাহী লারস ফ্রুয়েরগার্ড জর্জেনসেন বলেন, তাঁর মূল ফোকাস হলো আগামী ১০-২০ বছরে কোম্পানির চেহারা কেমন হবে, তা নিয়ে কাজ করা।
তবে ভবিষ্যতে এই মডেল চাপের মুখে পড়তে পারে। বৈশ্বিক জিওপলিটিক অস্থিরতায় এই কোম্পানিগুলো বেশি ঝুঁকিতে। যেমন ২০২৩ সালে রাশিয়ায় কার্লসবার্গের ব্যবসা জব্দ করে ‘অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায়’ নেওয়া হয়। ডিসেম্বর মাসে কোম্পানিটি তাদের রুশ ব্যবসা বিশাল ছাড়ে স্থানীয় দুই কর্মীর কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
মায়ার্স্কের জাহাজ ও কনটেইনার টার্মিনাল হুথি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে জন্য তারা সুয়েজ খাল এড়িয়ে চলছে, যা সময় ও ব্যয়ের চাপ বাড়াচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ায় বৈদেশিক বাণিজ্য আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি সব আমদানির ওপর চড়া ট্যারিফ বসিয়েছেন। যদিও তিনি মূলত মেক্সিকো, কানাডা ও চীনকে লক্ষ্যবস্তু করছেন, তবুও তাঁর এই শুল্কনীতির প্রভাব পড়ছে সমগ্র বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর। শীর্ষ ১০টি নর্ডিক কোম্পানির এক-তৃতীয়াংশ বিক্রিই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই অবস্থায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে নর্ডিক জায়ান্টরা।
এসব মোকাবিলায় নর্ডিক কোম্পানিগুলোর দরকার হবে আরও বেশি অভিযোজন ক্ষমতা। লেগোর সিইও নিলস ক্রিশ্চিয়ানসেন ডারউইনের একটি উক্তি তুলে ধরে বলেছেন, ‘সবচেয়ে শক্তিশালী নয়, বরং যে পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, সেই টিকে থাকে।’ বিশ্বজুড়ে যখন কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, তখন এই কথা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো। কীভাবে এত সীমিত সম্পদের মধ্যেও এই দেশগুলো থেকে উঠে এসেছে এত উদ্ভাবনী ও টেকসই করপোরেট প্রতিষ্ঠান? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই উঠে এসেছে একাধিক ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান; যা শুধু নর্ডিক অঞ্চলের নয়, বরং যেকোনো দেশের জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে।
এ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনের শুরুতেই ডেনমার্কের কার্লসবার্গ কোম্পানির সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোপেনহেগেনের ‘কার্লস ভিলা’ আজও এক অক্ষত ধ্রুপদি ভাস্কর্য। ১৮৯২ সালে আর্ট নুভো ধাঁচে তৈরি বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন কার্লসবার্গ প্রতিষ্ঠাতার ছেলে কার্ল জ্যাকবসেন। এখন এটি বৈঠক কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয় কার্লসবার্গ কোম্পানির, যা আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিয়ার প্রস্তুতকারক।
বর্তমানে কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি স্বীকার করেছেন, কোম্পানির এই সাফল্য ডেনিশ কোম্পানিগুলোর একটি বৃহৎ ধাঁধার অংশ। তিনি বলেন, কেউ একজন তাঁকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলেন—এত ছোট একটি দেশ কীভাবে এত বড় বড় কোম্পানি তৈরি করেছে? তিনিও ব্যাপারটি নিয়ে পরে বেশ ভেবেছেন।
ডেনমার্কের ক্ষেত্রে যা সত্য, সেটি ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনের ক্ষেত্রেও। চারটি বড় নর্ডিক দেশ বিশ্ব অর্থনীতির মাত্র ১ শতাংশ এবং জনসংখ্যার মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ হলেও তারা তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত করপোরেট জায়ান্টদের এক বিস্ময়কর তালিকা। লেগো এখন রাজস্বের ভিত্তিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেলনা কোম্পানি। আইকিয়া বিশ্বের বৃহত্তম আসবাব প্রস্তুতকারী এবং সুইডিশ মিটবল বিক্রির সুবাদে এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম রেস্তোরাঁ।
এই অঞ্চলেই তৈরি হয় মেশিনারি (অ্যাটলাস কপকো), টেলিকম যন্ত্রপাতি (নোকিয়া ও এরিকসন), সিটবেল্ট (অটোলিভ) এবং এলিভেটর (কোনে)। এখান থেকেই এসেছে বিশ্বসেরা মিউজিক স্ট্রিমিং কোম্পানি স্পটিফাই এবং সবচেয়ে বড় ‘বাই-নাউ-পে-লেটার’ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ক্লারনা। ওজন কমানোর ওষুধ তৈরিতে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান নোভো নর্ডিস্ক। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির একটি নতুন ওষুধের ট্রায়াল ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় শেয়ারের দর কমে যায়। এরপরও ইউরোপের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি নোভো নর্ডিস্ক।
গত এক দশকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় নর্ডিক কোম্পানিগুলো বেশি লাভ করেছে। এই চারটি দেশে তালিকাভুক্ত অ-আর্থিক কোম্পানিগুলো গত ১০ বছরে ইউরোপীয় গড়ের চেয়ে বেশি শেয়ারহোল্ডার রিটার্ন দিয়েছে। বর্তমানে এমএসসিআই ইউরোপ সূচকে নর্ডিক কোম্পানির অংশ ১৩ শতাংশ, যা পাঁচ বছর আগেও ছিল ১০ শতাংশ। এটি এখন জার্মান কোম্পানিগুলোর অংশের সমান।
এই অঞ্চলের শীর্ষ ২০টি কোম্পানিকে তাদের বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, তারা গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ২০২৩ সালে ৭ শতাংশ বেশি অপারেটিং মার্জিন এবং ৫ শতাংশ বেশি রিটার্ন অন ইনভেস্টেড ক্যাপিটাল পেয়েছে। ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির ঋণের পরিমাণ ছিল তুলনামূলক কম। বার্ষিক বিক্রি বৃদ্ধিও ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীদের সমান।
অবশ্য সব নর্ডিক কোম্পানি সফল হয়নি। ব্যাটারি প্রস্তুতকারী নর্থভোল্ট সম্প্রতি দেউলিয়া হয়ে গেছে। নোকিয়ার হ্যান্ডসেট ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে আইফোনের কারণে। নর্ডিক দেশগুলোর এই সাফল্যে ভাগ্যেরও একটা ভূমিকা আছে। এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। কাঠ, লোহা (বিশেষ করে নরওয়েতে) তেল ও গ্যাস। তবে তা সত্ত্বেও তাদের সফলতা নজরকাড়া।
এই সাফল্যের পেছনের প্রথম কারণ নর্ডিক ব্যবসায়ীরা পূর্বসূরি ভাইকিংদের মতোই বিদেশমুখী বলে মনে করেন কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ক্ষুদ্র আয়তন আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমুখী করতে বাধ্য করেছে।’ এই অঞ্চলের শীর্ষ ১০টি কোম্পানির গড় রাজস্বের মাত্র ২ শতাংশ আসে নিজ দেশ থেকে, বাকিটা বহির্বিশ্ব থেকে; যেখানে ইউরোপীয় কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি ১২ শতাংশ আর আমেরিকায় ৪৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় কারণ, দ্রুত প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে নেওয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই লেগোর প্রতিষ্ঠাতা কাঠের বদলে প্লাস্টিক ব্যবহার শুরু করেন। আজও সেই উদ্ভাবনী চেতনা আছে। ইউরো স্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ জনের বেশি কর্মীসংবলিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে গড়ে ৪৫ শতাংশ ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা নেয়, অথচ নর্ডিক দেশগুলোয় এই হার ৭৩ শতাংশ।
এই প্রযুক্তিভিত্তিক মানসিকতার প্রভাব স্টার্টআপ সংস্কৃতিতেও রয়েছে। লন্ডন, প্যারিস ও বার্লিন ছাড়া ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আসে স্টকহোমে, যদিও এর জনসংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। হেলসিংকিও গেম ডেভেলপারদের কেন্দ্র—রোভিও (অ্যাংরি বার্ডস) ও সুপারসেলের (ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস) জন্মভূমি। উদ্ভাবনে ব্যর্থ হলেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সুরক্ষার কারণে ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেন তাঁরা।
তৃতীয় কারণ, সরকারি নীতিমালা। ব্যক্তিগত করের হার বেশি হলেও কোম্পানি করের হার যুক্তরাষ্ট্রের সমান। মার্কিন থিংকট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন—সব দেশই শীর্ষ দশে। ডেনমার্কে নিয়োগ ও ছাঁটাই সহজ; ভ্যাট নম্বরও পাওয়া যায় এক দিনে—যেখানে ফ্রান্সে এতে মাস লেগে যায়।
চতুর্থ কারণ, ধৈর্যশীল শেয়ারহোল্ডার। ম্যাকিন্সির মতে, ইউরোপে ৬০ শতাংশ এবং আমেরিকায় মাত্র ২০ শতাংশ কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি মালিকানার বিপরীতে নর্ডিক অঞ্চলে এটি ৮০ শতাংশ। এখানকার অনেক কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করে পরিবার বা ফাউন্ডেশন। উদাহরণস্বরূপ মায়ার্স্ক, লেগো, অ্যাটলাস কপকো ও এরিকসন।
এই ধৈর্যই কোম্পানিগুলোকে সময় দেয় ধীরে ধীরে বড় হওয়ার এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করার। ম্যাকিন্সির মতে, তালিকাভুক্ত নর্ডিক কোম্পানিগুলোর ৮০ শতাংশই গবেষণা ও উন্নয়নে প্রতিযোগীদের তুলনায় বেশি ব্যয় করে। নোভো নর্ডিস্কের প্রধান নির্বাহী লারস ফ্রুয়েরগার্ড জর্জেনসেন বলেন, তাঁর মূল ফোকাস হলো আগামী ১০-২০ বছরে কোম্পানির চেহারা কেমন হবে, তা নিয়ে কাজ করা।
তবে ভবিষ্যতে এই মডেল চাপের মুখে পড়তে পারে। বৈশ্বিক জিওপলিটিক অস্থিরতায় এই কোম্পানিগুলো বেশি ঝুঁকিতে। যেমন ২০২৩ সালে রাশিয়ায় কার্লসবার্গের ব্যবসা জব্দ করে ‘অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায়’ নেওয়া হয়। ডিসেম্বর মাসে কোম্পানিটি তাদের রুশ ব্যবসা বিশাল ছাড়ে স্থানীয় দুই কর্মীর কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
মায়ার্স্কের জাহাজ ও কনটেইনার টার্মিনাল হুথি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে জন্য তারা সুয়েজ খাল এড়িয়ে চলছে, যা সময় ও ব্যয়ের চাপ বাড়াচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ায় বৈদেশিক বাণিজ্য আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি সব আমদানির ওপর চড়া ট্যারিফ বসিয়েছেন। যদিও তিনি মূলত মেক্সিকো, কানাডা ও চীনকে লক্ষ্যবস্তু করছেন, তবুও তাঁর এই শুল্কনীতির প্রভাব পড়ছে সমগ্র বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর। শীর্ষ ১০টি নর্ডিক কোম্পানির এক-তৃতীয়াংশ বিক্রিই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই অবস্থায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে নর্ডিক জায়ান্টরা।
এসব মোকাবিলায় নর্ডিক কোম্পানিগুলোর দরকার হবে আরও বেশি অভিযোজন ক্ষমতা। লেগোর সিইও নিলস ক্রিশ্চিয়ানসেন ডারউইনের একটি উক্তি তুলে ধরে বলেছেন, ‘সবচেয়ে শক্তিশালী নয়, বরং যে পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, সেই টিকে থাকে।’ বিশ্বজুড়ে যখন কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, তখন এই কথা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৪ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
৩০ এপ্রিল ২০২৫
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৪ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
৩০ এপ্রিল ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৪ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
৩০ এপ্রিল ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
৩০ এপ্রিল ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৪ ঘণ্টা আগে