Ajker Patrika

নর্ডিক কোম্পানিগুলোর সফলতার রহস্য কী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো। কীভাবে এত সীমিত সম্পদের মধ্যেও এই দেশগুলো থেকে উঠে এসেছে এত উদ্ভাবনী ও টেকসই করপোরেট প্রতিষ্ঠান? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই উঠে এসেছে একাধিক ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান; যা শুধু নর্ডিক অঞ্চলের নয়, বরং যেকোনো দেশের জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে।

এ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনের শুরুতেই ডেনমার্কের কার্লসবার্গ কোম্পানির সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোপেনহেগেনের ‘কার্লস ভিলা’ আজও এক অক্ষত ধ্রুপদি ভাস্কর্য। ১৮৯২ সালে আর্ট নুভো ধাঁচে তৈরি বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন কার্লসবার্গ প্রতিষ্ঠাতার ছেলে কার্ল জ্যাকবসেন। এখন এটি বৈঠক কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয় কার্লসবার্গ কোম্পানির, যা আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিয়ার প্রস্তুতকারক।

বর্তমানে কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি স্বীকার করেছেন, কোম্পানির এই সাফল্য ডেনিশ কোম্পানিগুলোর একটি বৃহৎ ধাঁধার অংশ। তিনি বলেন, কেউ একজন তাঁকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলেন—এত ছোট একটি দেশ কীভাবে এত বড় বড় কোম্পানি তৈরি করেছে? তিনিও ব্যাপারটি নিয়ে পরে বেশ ভেবেছেন।

ডেনমার্কের ক্ষেত্রে যা সত্য, সেটি ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনের ক্ষেত্রেও। চারটি বড় নর্ডিক দেশ বিশ্ব অর্থনীতির মাত্র ১ শতাংশ এবং জনসংখ্যার মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ হলেও তারা তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত করপোরেট জায়ান্টদের এক বিস্ময়কর তালিকা। লেগো এখন রাজস্বের ভিত্তিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেলনা কোম্পানি। আইকিয়া বিশ্বের বৃহত্তম আসবাব প্রস্তুতকারী এবং সুইডিশ মিটবল বিক্রির সুবাদে এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম রেস্তোরাঁ।

এই অঞ্চলেই তৈরি হয় মেশিনারি (অ্যাটলাস কপকো), টেলিকম যন্ত্রপাতি (নোকিয়া ও এরিকসন), সিটবেল্ট (অটোলিভ) এবং এলিভেটর (কোনে)। এখান থেকেই এসেছে বিশ্বসেরা মিউজিক স্ট্রিমিং কোম্পানি স্পটিফাই এবং সবচেয়ে বড় ‘বাই-নাউ-পে-লেটার’ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ক্লারনা। ওজন কমানোর ওষুধ তৈরিতে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান নোভো নর্ডিস্ক। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির একটি নতুন ওষুধের ট্রায়াল ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় শেয়ারের দর কমে যায়। এরপরও ইউরোপের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি নোভো নর্ডিস্ক।

গত এক দশকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় নর্ডিক কোম্পানিগুলো বেশি লাভ করেছে। এই চারটি দেশে তালিকাভুক্ত অ-আর্থিক কোম্পানিগুলো গত ১০ বছরে ইউরোপীয় গড়ের চেয়ে বেশি শেয়ারহোল্ডার রিটার্ন দিয়েছে। বর্তমানে এমএসসিআই ইউরোপ সূচকে নর্ডিক কোম্পানির অংশ ১৩ শতাংশ, যা পাঁচ বছর আগেও ছিল ১০ শতাংশ। এটি এখন জার্মান কোম্পানিগুলোর অংশের সমান।

এই অঞ্চলের শীর্ষ ২০টি কোম্পানিকে তাদের বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, তারা গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ২০২৩ সালে ৭ শতাংশ বেশি অপারেটিং মার্জিন এবং ৫ শতাংশ বেশি রিটার্ন অন ইনভেস্টেড ক্যাপিটাল পেয়েছে। ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির ঋণের পরিমাণ ছিল তুলনামূলক কম। বার্ষিক বিক্রি বৃদ্ধিও ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীদের সমান।

অবশ্য সব নর্ডিক কোম্পানি সফল হয়নি। ব্যাটারি প্রস্তুতকারী নর্থভোল্ট সম্প্রতি দেউলিয়া হয়ে গেছে। নোকিয়ার হ্যান্ডসেট ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে আইফোনের কারণে। নর্ডিক দেশগুলোর এই সাফল্যে ভাগ্যেরও একটা ভূমিকা আছে। এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। কাঠ, লোহা (বিশেষ করে নরওয়েতে) তেল ও গ্যাস। তবে তা সত্ত্বেও তাদের সফলতা নজরকাড়া।

এই সাফল্যের পেছনের প্রথম কারণ নর্ডিক ব্যবসায়ীরা পূর্বসূরি ভাইকিংদের মতোই বিদেশমুখী বলে মনে করেন কার্লসবার্গের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব আরুপ-আন্ডারসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ক্ষুদ্র আয়তন আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমুখী করতে বাধ্য করেছে।’ এই অঞ্চলের শীর্ষ ১০টি কোম্পানির গড় রাজস্বের মাত্র ২ শতাংশ আসে নিজ দেশ থেকে, বাকিটা বহির্বিশ্ব থেকে; যেখানে ইউরোপীয় কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি ১২ শতাংশ আর আমেরিকায় ৪৬ শতাংশ।

দ্বিতীয় কারণ, দ্রুত প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে নেওয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই লেগোর প্রতিষ্ঠাতা কাঠের বদলে প্লাস্টিক ব্যবহার শুরু করেন। আজও সেই উদ্ভাবনী চেতনা আছে। ইউরো স্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ জনের বেশি কর্মীসংবলিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে গড়ে ৪৫ শতাংশ ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা নেয়, অথচ নর্ডিক দেশগুলোয় এই হার ৭৩ শতাংশ।

এই প্রযুক্তিভিত্তিক মানসিকতার প্রভাব স্টার্টআপ সংস্কৃতিতেও রয়েছে। লন্ডন, প্যারিস ও বার্লিন ছাড়া ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আসে স্টকহোমে, যদিও এর জনসংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। হেলসিংকিও গেম ডেভেলপারদের কেন্দ্র—রোভিও (অ্যাংরি বার্ডস) ও সুপারসেলের (ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস) জন্মভূমি। উদ্ভাবনে ব্যর্থ হলেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সুরক্ষার কারণে ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেন তাঁরা।

তৃতীয় কারণ, সরকারি নীতিমালা। ব্যক্তিগত করের হার বেশি হলেও কোম্পানি করের হার যুক্তরাষ্ট্রের সমান। মার্কিন থিংকট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন—সব দেশই শীর্ষ দশে। ডেনমার্কে নিয়োগ ও ছাঁটাই সহজ; ভ্যাট নম্বরও পাওয়া যায় এক দিনে—যেখানে ফ্রান্সে এতে মাস লেগে যায়।

চতুর্থ কারণ, ধৈর্যশীল শেয়ারহোল্ডার। ম্যাকিন্সির মতে, ইউরোপে ৬০ শতাংশ এবং আমেরিকায় মাত্র ২০ শতাংশ কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি মালিকানার বিপরীতে নর্ডিক অঞ্চলে এটি ৮০ শতাংশ। এখানকার অনেক কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করে পরিবার বা ফাউন্ডেশন। উদাহরণস্বরূপ মায়ার্স্ক, লেগো, অ্যাটলাস কপকো ও এরিকসন।

এই ধৈর্যই কোম্পানিগুলোকে সময় দেয় ধীরে ধীরে বড় হওয়ার এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করার। ম্যাকিন্সির মতে, তালিকাভুক্ত নর্ডিক কোম্পানিগুলোর ৮০ শতাংশই গবেষণা ও উন্নয়নে প্রতিযোগীদের তুলনায় বেশি ব্যয় করে। নোভো নর্ডিস্কের প্রধান নির্বাহী লারস ফ্রুয়েরগার্ড জর্জেনসেন বলেন, তাঁর মূল ফোকাস হলো আগামী ১০-২০ বছরে কোম্পানির চেহারা কেমন হবে, তা নিয়ে কাজ করা।

তবে ভবিষ্যতে এই মডেল চাপের মুখে পড়তে পারে। বৈশ্বিক জিওপলিটিক অস্থিরতায় এই কোম্পানিগুলো বেশি ঝুঁকিতে। যেমন ২০২৩ সালে রাশিয়ায় কার্লসবার্গের ব্যবসা জব্দ করে ‘অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায়’ নেওয়া হয়। ডিসেম্বর মাসে কোম্পানিটি তাদের রুশ ব্যবসা বিশাল ছাড়ে স্থানীয় দুই কর্মীর কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়।

মায়ার্স্কের জাহাজ ও কনটেইনার টার্মিনাল হুথি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে জন্য তারা সুয়েজ খাল এড়িয়ে চলছে, যা সময় ও ব্যয়ের চাপ বাড়াচ্ছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ায় বৈদেশিক বাণিজ্য আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি সব আমদানির ওপর চড়া ট্যারিফ বসিয়েছেন। যদিও তিনি মূলত মেক্সিকো, কানাডা ও চীনকে লক্ষ্যবস্তু করছেন, তবুও তাঁর এই শুল্কনীতির প্রভাব পড়ছে সমগ্র বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর। শীর্ষ ১০টি নর্ডিক কোম্পানির এক-তৃতীয়াংশ বিক্রিই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই অবস্থায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে নর্ডিক জায়ান্টরা।

এসব মোকাবিলায় নর্ডিক কোম্পানিগুলোর দরকার হবে আরও বেশি অভিযোজন ক্ষমতা। লেগোর সিইও নিলস ক্রিশ্চিয়ানসেন ডারউইনের একটি উক্তি তুলে ধরে বলেছেন, ‘সবচেয়ে শক্তিশালী নয়, বরং যে পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, সেই টিকে থাকে।’ বিশ্বজুড়ে যখন কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, তখন এই কথা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যশোরের খেজুর রস: লক্ষ্য ১২০ কোটি টাকার গুড় উৎপাদন

জাহিদ হাসান, যশোর
রসের জন্য খেজুরগাছ কেটে প্রস্তুত করছেন গাছি। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রসের জন্য খেজুরগাছ কেটে প্রস্তুত করছেন গাছি। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।

শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।

উৎপাদন ও বাজারের চিত্র

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।

গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ

যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

গাছ থেকে নামিয়ে আনা খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করছেন এক নারী। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাছ থেকে নামিয়ে আনা খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করছেন এক নারী। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।

ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।

উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।

কৃষি বিভাগের উদ্যোগ

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামি ১০ ও সরকারি ৬ ব্যাংক: ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ২৭
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।

সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।

ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।

সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছয় মাসে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’

সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত