
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা করছেন। এরই মধ্যে কয়েক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন। বৈদেশিক সহায়তার বন্ধেরও ঘোষণা দিয়েছেন। বৈদেশিক সহায়তা উন্নয়ন, বৈশ্বিক বৈষম্য, নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং চীনের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ ইত্যাদি বিষয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে এখন ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ।
এতদিন এসব উন্নয়ন সহায়তা সুবিধাভোগী দেশগুলোর কতটা উপকারে এসেছে, বিশেষত দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর উন্নয়নে এই সহায়তার অবদান কেমন, তা খতিয়ে দেখেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির মতে, উন্নয়নের উৎস অনেক। সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) এতে একটি ভূমিকা রাখলেও কার্যকর শাসনব্যবস্থা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) অবশ্যই অপরিহার্য, তবে বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো অর্থের (রেমিট্যান্স) পরিমাণ এখন ওডিএ ও এফডিএ—এর সম্মিলিত পরিমাণের চেয়েও বেশি!
রেমিট্যান্স প্রবাহের ক্ষেত্রে ভারত শীর্ষে। ২০২৪ সালে দেশটি ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। যেখানে পাকিস্তান ৩৬ বিলিয়ন ডলার ও বাংলাদেশ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে যথাক্রমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। তবে জিডিপির অনুপাতে হিসাব করলে, রেমিট্যান্স প্রবাহে নেপাল বিশ্বে ষষ্ঠ। কারণ, দেশটির রেমিট্যান্সের পরিমাণ মোট জিডিপির ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো রেমিট্যান্স থেকে যে বিপুল অর্থ পায়, তা তাদের বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনে এবং দাতাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রভাব থেকে কিছুটা সুরক্ষা দেয়। আসলে অর্থনীতিবিদেরা সম্প্রতি দীর্ঘমেয়াদি এক উল্টো সম্পর্ক চিহ্নিত করেছেন, তাঁরা দেখেছেন, বিদেশি সাহায্য ও রেমিট্যান্স একে অপরের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, একটির প্রবৃদ্ধি আরেকটির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেয়।
তবে রেমিট্যান্স সব সমস্যার সমাধান নয়। নেপালের তথ্য–উপাত্ত দেখায়, রেমিট্যান্সের অর্থ সামঞ্জস্যহীনভাবে ছেলেদের শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হয়, মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং লিঙ্গবৈষম্যের ধারা আরও দৃঢ় করে। প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর ব্যয় নিয়েও সমালোচনা আছে। বিশ্বব্যাংক ও অভিবাসী অধিকার সংরক্ষণকারী সংগঠনগুলো এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২০২৪ সালে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও মানিগ্রামের মতো বৈশ্বিক অর্থ স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে রেমিট্যান্সের মোট অর্থের ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ কেটে নিয়েছে।
এ পর্যন্ত অর্থনীতিবিদেরা মূলত স্থূল অর্থনৈতিক সূচকের ওপর গুরুত্ব দিলেও, এসব সূচক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় মানব অভিজ্ঞতার পূর্ণাঙ্গ পরিধি তুলে ধরা সম্ভব নয়। ১৯৯০ সাল থেকে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রতি বছর ‘মানব উন্নয়ন’ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। এই প্রতিবেদন তাদের নির্ধারিত ‘মানব উন্নয়ন সূচক’ (এইচডিআই) অনুযায়ী পরিমাপ করা হয়।
নিচের গ্রাফটিতে ১৯৯০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পাঁচটি প্রধান দক্ষিণ এশীয় দেশের মানব উন্নয়নের প্রবণতা অস্ট্রেলিয়া এবং বৈশ্বিক গড়ের সঙ্গে তুলনা করে দেখানো হয়েছে:

এই গ্রাফ থেকে স্পষ্ট যে, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মানব উন্নয়নের স্তর একরকম নয়। এ ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বর্তমানে দেশটি ১৯২টি দেশের মধ্যে ৭৮ তম অবস্থানে আছে। যেখানে দেশটির এইচডিআই স্কোর শূন্য দশমিক ৭৮, যা বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি এবং জাতিসংঘের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী এটি ‘উচ্চ মানব উন্নয়ন’ স্তরে পড়ে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হলেও বাংলাদেশ এই সূচকে ভারতের চেয়ে বেশ এগিয়ে। বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল—এই তিনটি দেশ জাতিসংঘের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ‘মাঝারি মানব উন্নয়ন’ স্তরে। এ অঞ্চলে পাকিস্তান সবচেয়ে পিছিয়ে। দেশটি বর্তমানে বিশ্বে ১৬৪ তম অবস্থানে রয়েছে এবং জাতিসংঘের মতে, ‘নিম্ন মানব উন্নয়ন’ স্তরে পড়েছে। পাকিস্তানের এ দুর্বল অবস্থান আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে যখন দেখা যায়, গত বিশ বছরে দেশটি মার্কিন সরকারের কাছ থেকে সরাসরি ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা পেয়েছে। এটি আরও নিশ্চিত করে যে, বৈদেশিক সহায়তা ও উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত জটিল।
বিদেশি সাহায্য ও উন্নয়নের বহুমুখী সম্পর্ককে তুলে ধরার জন্য নিচের গ্রাফটিতে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি প্রধান দেশের প্রধান সূচকগুলো তুলে ধরা হয়েছে:

জিডিপির শতাংশ হিসেবে সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) এবং মাথাপিছু সরকারি উন্নয়ন সহায়তা উভয়ই ‘সহায়তা নির্ভরতা’ পরিমাপের সূচক। এই নির্ভরতা সুশাসনকে দুর্বল করতে পারে এবং উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
এই ছকের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ ও নেপাল সহায়তা নির্ভরতার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তবে সহায়তা নির্ভরতাই একমাত্র বিবেচ্য বিষয় নয়—দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্নীতির পরও উভয় দেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।
এ ছাড়া, ছকটি দেখায় যে—ভারত খুবই সামান্য সরকারি উন্নয়ন সহায়তা গ্রহণ করে, যা দেশটির শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থানের প্রতিফলন। বাস্তবিক অর্থে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত নিজেই সরকারি উন্নয়ন সহায়তার দাতা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায়। ২০০০ সাল থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং নেপালে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা পাঠিয়েছে।
ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বড় হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের অনুমান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৭ সালে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে এবং জাপান ও জার্মানিকে ছাড়িয়ে যাবে। তবে এই সমৃদ্ধি সাধারণ মানুষের মধ্যে সমানভাবে বণ্টিত হচ্ছে না।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ার গিনি সহগ (শূন্য দশমিক ৩৪৩) ভারতের চেয়ে বেশি (শূন্য দশমিক ৩২৮)। গিনি সহগ হলো অসমতার একটি পরিমাপক, যা ০ থেকে ১—এর মধ্যে পরিমাপ করা হয়। এখানে ০ সম্পূর্ণ সমতা নির্দেশ করে, আর ১ চরম বৈষম্য বোঝায়। তবে এই সূচক বাস্তব অবস্থার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরে না।
ইউরোপীয় গবেষণা কাউন্সিল, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও দাতব্য সংস্থাগুলোর অর্থায়নে পরিচালিত ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ল্যাব তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে আরও সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেছে। নিচের সারণিতে ১৯৫০ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মোট আয়ের মধ্যে শীর্ষ ১০ শতাংশ এবং নিম্ন ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর অংশীদারত্বের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে:

ভারতে শীর্ষ আয়ের ১০ শতাংশ মানুষ (সবুজ রেখায় চিত্রিত) ১৯৯১ সালের অর্থনৈতিক উদারীকরণের পর থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছে। আয়ের এই কেন্দ্রীভবন অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় বেশ স্পষ্ট। ২০২১ সালে, অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ১০ শতাংশ আয়কারীরা মোট আয়ের ৩৩ দশমিক ৬ শতাংশ অর্জন করেছে, যেখানে ভারতে এই হার ছিল ৫৭ দশমিক ১ শতাংশ।
লিঙ্গবৈষম্যের ক্ষেত্রে, ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্টে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ব গড়ের ওপরে অবস্থান করছে এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক গড়ের সমান। এরপর নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের অবস্থান। এসব দেশ স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক গড়ের সমান পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তবে রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বৈশ্বিক গড়ের নিচে এসব দেশ। আঞ্চলিকভাবে ভারত পঞ্চম স্থানে এবং বৈশ্বিকভাবে ১৪২টি দেশের মধ্যে ১২৯তম স্থানে।
এই ধরনের সূচক সামগ্রিক চিত্র বোঝার জন্য সহায়ক হলেও বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা যথাযথভাবে তুলে ধরতে ব্যর্থ। স্বাতি নারায়ণের বই ‘আন–ইকুয়াল’–এ উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের দরিদ্রতম রাজ্য বিহারের নারীরা প্রতি বেলার খাবারের সময় সবার শেষে খেতে বসেন এবং সাধারণত সবচেয়ে কম পরিমাণে খাবার গ্রহণ করেন। এর ফলে বিহারের ৪০ শতাংশ নারী অপুষ্টিতে ভুগছেন এবং ৬০ শতাংশ রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত। ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলের ৪০ শতাংশ বাড়িতে শৌচাগার নেই, ফলে খোলা স্থানে মলত্যাগ সাধারণ ঘটনা, যা নারীদের জন্য বিশেষভাবে সমস্যাজনক। অথচ বাংলাদেশে, এমনকি সবচেয়ে প্রত্যন্ত এলাকাতেও, এমন অমর্যাদাকর টয়লেট ব্যবস্থার কোনো অস্তিত্ব নেই।
দক্ষিণ এশিয়ার এই বৈচিত্র্যপূর্ণ উন্নয়নধারার ব্যাখ্যা কী? স্বাতি নারায়ণের মতে, উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে এমন ‘অসমতার ফাঁদ’ তৈরি হয়েছে। জাত, ধর্ম ও লিঙ্গবৈষম্য এই ফাঁদকে শক্তিশালী করেছে। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালা ও তামিলনাড়ুতে ব্যাপক ভূমি সংস্কার, সমন্বিত সামাজিক কল্যাণ কর্মসূচি, নারীবাদী সংগঠন এবং প্রগতিশীল সামাজিক আন্দোলন সামাজিক বৈষম্য হ্রাসে সহায়ক হয়েছে।
বাংলাদেশ ও নেপালের ক্ষেত্রে, আশ্চর্যজনকভাবে, গৃহযুদ্ধ ও মানুষের বাস্তুচ্যুতি শ্রেণিভিত্তিক বাধাগুলো ভেঙে দিয়েছে, যার ফলে সামাজিক গতিশীলতা বেড়েছে এবং তুলনামূলকভাবে সাম্যভিত্তিক সমাজ গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে নারীদের উন্নতির প্রধান কারণ হলো ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ এবং তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মসংস্থান।
ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, কেবল দক্ষিণের রাজ্যগুলো ব্যতিক্রম। স্বাতি নারায়ণের মতে, এর জন্য দায়ী হলো ‘রাষ্ট্র ধারণার অনুপস্থিতি’, জনসেবার প্রতি অবহেলা, অপর্যাপ্ত ভূমি সংস্কার এবং ব্যাপক জাতিভিত্তিক ও ধর্মীয় বৈষম্য। ২০২৩ সালে নরেন্দ্র মোদি ‘বিকশিত ভারত–২০৪৭’ পরিকল্পনার ঘোষণা দেন। যার লক্ষ্য হলো ভারতের স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির সময় দেশটিকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি, সুশাসন ও স্থায়িত্বশীলতার ক্ষেত্রে ‘বহুগুণ অগ্রগতি’ প্রয়োজন বলে মোদি স্বীকার করেছেন। তবে এই পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় অনুপস্থিত—ভারতে বিদ্যমান বিশাল সামাজিক বৈষম্যের স্বীকৃতি এবং তা দূর করার প্রতিশ্রুতি।
দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নের অনেক সফল উদাহরণ রয়েছে। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভারতের কেরালায় উন্নয়নের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অথচ ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল বিপুল হারে জিডিপি বৃদ্ধির পরও পিছিয়ে আছে। অপরদিকে, পাকিস্তানের উন্নয়ন এখনো স্থবির।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য ম্যান্ডারিন থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা করছেন। এরই মধ্যে কয়েক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন। বৈদেশিক সহায়তার বন্ধেরও ঘোষণা দিয়েছেন। বৈদেশিক সহায়তা উন্নয়ন, বৈশ্বিক বৈষম্য, নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং চীনের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ ইত্যাদি বিষয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে এখন ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ।
এতদিন এসব উন্নয়ন সহায়তা সুবিধাভোগী দেশগুলোর কতটা উপকারে এসেছে, বিশেষত দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর উন্নয়নে এই সহায়তার অবদান কেমন, তা খতিয়ে দেখেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির মতে, উন্নয়নের উৎস অনেক। সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) এতে একটি ভূমিকা রাখলেও কার্যকর শাসনব্যবস্থা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) অবশ্যই অপরিহার্য, তবে বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো অর্থের (রেমিট্যান্স) পরিমাণ এখন ওডিএ ও এফডিএ—এর সম্মিলিত পরিমাণের চেয়েও বেশি!
রেমিট্যান্স প্রবাহের ক্ষেত্রে ভারত শীর্ষে। ২০২৪ সালে দেশটি ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। যেখানে পাকিস্তান ৩৬ বিলিয়ন ডলার ও বাংলাদেশ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে যথাক্রমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। তবে জিডিপির অনুপাতে হিসাব করলে, রেমিট্যান্স প্রবাহে নেপাল বিশ্বে ষষ্ঠ। কারণ, দেশটির রেমিট্যান্সের পরিমাণ মোট জিডিপির ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো রেমিট্যান্স থেকে যে বিপুল অর্থ পায়, তা তাদের বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনে এবং দাতাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রভাব থেকে কিছুটা সুরক্ষা দেয়। আসলে অর্থনীতিবিদেরা সম্প্রতি দীর্ঘমেয়াদি এক উল্টো সম্পর্ক চিহ্নিত করেছেন, তাঁরা দেখেছেন, বিদেশি সাহায্য ও রেমিট্যান্স একে অপরের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, একটির প্রবৃদ্ধি আরেকটির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেয়।
তবে রেমিট্যান্স সব সমস্যার সমাধান নয়। নেপালের তথ্য–উপাত্ত দেখায়, রেমিট্যান্সের অর্থ সামঞ্জস্যহীনভাবে ছেলেদের শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হয়, মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং লিঙ্গবৈষম্যের ধারা আরও দৃঢ় করে। প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর ব্যয় নিয়েও সমালোচনা আছে। বিশ্বব্যাংক ও অভিবাসী অধিকার সংরক্ষণকারী সংগঠনগুলো এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২০২৪ সালে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও মানিগ্রামের মতো বৈশ্বিক অর্থ স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে রেমিট্যান্সের মোট অর্থের ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ কেটে নিয়েছে।
এ পর্যন্ত অর্থনীতিবিদেরা মূলত স্থূল অর্থনৈতিক সূচকের ওপর গুরুত্ব দিলেও, এসব সূচক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় মানব অভিজ্ঞতার পূর্ণাঙ্গ পরিধি তুলে ধরা সম্ভব নয়। ১৯৯০ সাল থেকে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রতি বছর ‘মানব উন্নয়ন’ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। এই প্রতিবেদন তাদের নির্ধারিত ‘মানব উন্নয়ন সূচক’ (এইচডিআই) অনুযায়ী পরিমাপ করা হয়।
নিচের গ্রাফটিতে ১৯৯০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পাঁচটি প্রধান দক্ষিণ এশীয় দেশের মানব উন্নয়নের প্রবণতা অস্ট্রেলিয়া এবং বৈশ্বিক গড়ের সঙ্গে তুলনা করে দেখানো হয়েছে:

এই গ্রাফ থেকে স্পষ্ট যে, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মানব উন্নয়নের স্তর একরকম নয়। এ ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বর্তমানে দেশটি ১৯২টি দেশের মধ্যে ৭৮ তম অবস্থানে আছে। যেখানে দেশটির এইচডিআই স্কোর শূন্য দশমিক ৭৮, যা বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি এবং জাতিসংঘের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী এটি ‘উচ্চ মানব উন্নয়ন’ স্তরে পড়ে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হলেও বাংলাদেশ এই সূচকে ভারতের চেয়ে বেশ এগিয়ে। বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল—এই তিনটি দেশ জাতিসংঘের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ‘মাঝারি মানব উন্নয়ন’ স্তরে। এ অঞ্চলে পাকিস্তান সবচেয়ে পিছিয়ে। দেশটি বর্তমানে বিশ্বে ১৬৪ তম অবস্থানে রয়েছে এবং জাতিসংঘের মতে, ‘নিম্ন মানব উন্নয়ন’ স্তরে পড়েছে। পাকিস্তানের এ দুর্বল অবস্থান আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে যখন দেখা যায়, গত বিশ বছরে দেশটি মার্কিন সরকারের কাছ থেকে সরাসরি ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা পেয়েছে। এটি আরও নিশ্চিত করে যে, বৈদেশিক সহায়তা ও উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত জটিল।
বিদেশি সাহায্য ও উন্নয়নের বহুমুখী সম্পর্ককে তুলে ধরার জন্য নিচের গ্রাফটিতে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি প্রধান দেশের প্রধান সূচকগুলো তুলে ধরা হয়েছে:

জিডিপির শতাংশ হিসেবে সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) এবং মাথাপিছু সরকারি উন্নয়ন সহায়তা উভয়ই ‘সহায়তা নির্ভরতা’ পরিমাপের সূচক। এই নির্ভরতা সুশাসনকে দুর্বল করতে পারে এবং উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
এই ছকের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ ও নেপাল সহায়তা নির্ভরতার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তবে সহায়তা নির্ভরতাই একমাত্র বিবেচ্য বিষয় নয়—দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্নীতির পরও উভয় দেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।
এ ছাড়া, ছকটি দেখায় যে—ভারত খুবই সামান্য সরকারি উন্নয়ন সহায়তা গ্রহণ করে, যা দেশটির শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থানের প্রতিফলন। বাস্তবিক অর্থে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত নিজেই সরকারি উন্নয়ন সহায়তার দাতা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায়। ২০০০ সাল থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং নেপালে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা পাঠিয়েছে।
ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বড় হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের অনুমান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৭ সালে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে এবং জাপান ও জার্মানিকে ছাড়িয়ে যাবে। তবে এই সমৃদ্ধি সাধারণ মানুষের মধ্যে সমানভাবে বণ্টিত হচ্ছে না।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ার গিনি সহগ (শূন্য দশমিক ৩৪৩) ভারতের চেয়ে বেশি (শূন্য দশমিক ৩২৮)। গিনি সহগ হলো অসমতার একটি পরিমাপক, যা ০ থেকে ১—এর মধ্যে পরিমাপ করা হয়। এখানে ০ সম্পূর্ণ সমতা নির্দেশ করে, আর ১ চরম বৈষম্য বোঝায়। তবে এই সূচক বাস্তব অবস্থার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরে না।
ইউরোপীয় গবেষণা কাউন্সিল, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও দাতব্য সংস্থাগুলোর অর্থায়নে পরিচালিত ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ল্যাব তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে আরও সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেছে। নিচের সারণিতে ১৯৫০ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মোট আয়ের মধ্যে শীর্ষ ১০ শতাংশ এবং নিম্ন ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর অংশীদারত্বের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে:

ভারতে শীর্ষ আয়ের ১০ শতাংশ মানুষ (সবুজ রেখায় চিত্রিত) ১৯৯১ সালের অর্থনৈতিক উদারীকরণের পর থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছে। আয়ের এই কেন্দ্রীভবন অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় বেশ স্পষ্ট। ২০২১ সালে, অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ১০ শতাংশ আয়কারীরা মোট আয়ের ৩৩ দশমিক ৬ শতাংশ অর্জন করেছে, যেখানে ভারতে এই হার ছিল ৫৭ দশমিক ১ শতাংশ।
লিঙ্গবৈষম্যের ক্ষেত্রে, ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্টে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ব গড়ের ওপরে অবস্থান করছে এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক গড়ের সমান। এরপর নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের অবস্থান। এসব দেশ স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক গড়ের সমান পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তবে রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বৈশ্বিক গড়ের নিচে এসব দেশ। আঞ্চলিকভাবে ভারত পঞ্চম স্থানে এবং বৈশ্বিকভাবে ১৪২টি দেশের মধ্যে ১২৯তম স্থানে।
এই ধরনের সূচক সামগ্রিক চিত্র বোঝার জন্য সহায়ক হলেও বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা যথাযথভাবে তুলে ধরতে ব্যর্থ। স্বাতি নারায়ণের বই ‘আন–ইকুয়াল’–এ উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের দরিদ্রতম রাজ্য বিহারের নারীরা প্রতি বেলার খাবারের সময় সবার শেষে খেতে বসেন এবং সাধারণত সবচেয়ে কম পরিমাণে খাবার গ্রহণ করেন। এর ফলে বিহারের ৪০ শতাংশ নারী অপুষ্টিতে ভুগছেন এবং ৬০ শতাংশ রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত। ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলের ৪০ শতাংশ বাড়িতে শৌচাগার নেই, ফলে খোলা স্থানে মলত্যাগ সাধারণ ঘটনা, যা নারীদের জন্য বিশেষভাবে সমস্যাজনক। অথচ বাংলাদেশে, এমনকি সবচেয়ে প্রত্যন্ত এলাকাতেও, এমন অমর্যাদাকর টয়লেট ব্যবস্থার কোনো অস্তিত্ব নেই।
দক্ষিণ এশিয়ার এই বৈচিত্র্যপূর্ণ উন্নয়নধারার ব্যাখ্যা কী? স্বাতি নারায়ণের মতে, উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে এমন ‘অসমতার ফাঁদ’ তৈরি হয়েছে। জাত, ধর্ম ও লিঙ্গবৈষম্য এই ফাঁদকে শক্তিশালী করেছে। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালা ও তামিলনাড়ুতে ব্যাপক ভূমি সংস্কার, সমন্বিত সামাজিক কল্যাণ কর্মসূচি, নারীবাদী সংগঠন এবং প্রগতিশীল সামাজিক আন্দোলন সামাজিক বৈষম্য হ্রাসে সহায়ক হয়েছে।
বাংলাদেশ ও নেপালের ক্ষেত্রে, আশ্চর্যজনকভাবে, গৃহযুদ্ধ ও মানুষের বাস্তুচ্যুতি শ্রেণিভিত্তিক বাধাগুলো ভেঙে দিয়েছে, যার ফলে সামাজিক গতিশীলতা বেড়েছে এবং তুলনামূলকভাবে সাম্যভিত্তিক সমাজ গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে নারীদের উন্নতির প্রধান কারণ হলো ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ এবং তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মসংস্থান।
ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, কেবল দক্ষিণের রাজ্যগুলো ব্যতিক্রম। স্বাতি নারায়ণের মতে, এর জন্য দায়ী হলো ‘রাষ্ট্র ধারণার অনুপস্থিতি’, জনসেবার প্রতি অবহেলা, অপর্যাপ্ত ভূমি সংস্কার এবং ব্যাপক জাতিভিত্তিক ও ধর্মীয় বৈষম্য। ২০২৩ সালে নরেন্দ্র মোদি ‘বিকশিত ভারত–২০৪৭’ পরিকল্পনার ঘোষণা দেন। যার লক্ষ্য হলো ভারতের স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির সময় দেশটিকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি, সুশাসন ও স্থায়িত্বশীলতার ক্ষেত্রে ‘বহুগুণ অগ্রগতি’ প্রয়োজন বলে মোদি স্বীকার করেছেন। তবে এই পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় অনুপস্থিত—ভারতে বিদ্যমান বিশাল সামাজিক বৈষম্যের স্বীকৃতি এবং তা দূর করার প্রতিশ্রুতি।
দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নের অনেক সফল উদাহরণ রয়েছে। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভারতের কেরালায় উন্নয়নের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অথচ ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল বিপুল হারে জিডিপি বৃদ্ধির পরও পিছিয়ে আছে। অপরদিকে, পাকিস্তানের উন্নয়ন এখনো স্থবির।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য ম্যান্ডারিন থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
৯ মিনিট আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

রেমিট্যান্স সব সমস্যার সমাধান নয়। নেপালের তথ্য–উপাত্ত দেখায়, রেমিট্যান্সের অর্থ সামঞ্জস্যহীনভাবে ছেলেদের শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হয়, মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং লিঙ্গবৈষম্যের ধারা আরও দৃঢ় করে। প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর ব্যয় নিয়েও সমালোচনা আছে...
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

রেমিট্যান্স সব সমস্যার সমাধান নয়। নেপালের তথ্য–উপাত্ত দেখায়, রেমিট্যান্সের অর্থ সামঞ্জস্যহীনভাবে ছেলেদের শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হয়, মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং লিঙ্গবৈষম্যের ধারা আরও দৃঢ় করে। প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর ব্যয় নিয়েও সমালোচনা আছে...
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
৯ মিনিট আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’
জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’
জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

রেমিট্যান্স সব সমস্যার সমাধান নয়। নেপালের তথ্য–উপাত্ত দেখায়, রেমিট্যান্সের অর্থ সামঞ্জস্যহীনভাবে ছেলেদের শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হয়, মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং লিঙ্গবৈষম্যের ধারা আরও দৃঢ় করে। প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর ব্যয় নিয়েও সমালোচনা আছে...
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
৯ মিনিট আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় নগদ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই গম আমদানি করা হয়েছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম চালানে ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম দেশে এসেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৩৪ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৫৬ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে আরেক চুক্তিতে (জি-টু-জি) এরই মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় নগদ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই গম আমদানি করা হয়েছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম চালানে ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম দেশে এসেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৩৪ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৫৬ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে আরেক চুক্তিতে (জি-টু-জি) এরই মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।

রেমিট্যান্স সব সমস্যার সমাধান নয়। নেপালের তথ্য–উপাত্ত দেখায়, রেমিট্যান্সের অর্থ সামঞ্জস্যহীনভাবে ছেলেদের শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হয়, মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং লিঙ্গবৈষম্যের ধারা আরও দৃঢ় করে। প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর ব্যয় নিয়েও সমালোচনা আছে...
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
৯ মিনিট আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগে