Ajker Patrika

এবছর অভিবাসন বাড়লেও কমেছে রেমিট্যান্স: রামরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ২১: ১৯
এবছর অভিবাসন বাড়লেও কমেছে রেমিট্যান্স: রামরু

করোনা মহামারীর শুরুতে বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন বড় ধাক্কা খেলেও আবার চাঙা হয়ে উঠতে শুরু করেছে। চলতি বছর বাংলাদেশি শ্রমিক অভিবাসীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে অতীতের সকল রেকর্ড। শ্রম অভিবাসন বাড়লেও সেই তুলনায় প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স তো বাড়েইনি, উল্টো কমেছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে রিফিউজি এন্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসনের গতি-প্রকৃতি, সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তাসনিম সিদ্দিকী। তিনি জানান, বিএমইটি তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে মোট ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন কাজের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১০ লাখ ২৯ হাজার ৫৪ জন বাংলাদেশি অভিবাসন করেন। ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছরে অভিবাসন প্রবাহ ৮১.৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, ‘২০২২ সালে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক অভিবাসী গেছেন সৌদি আরবে। নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০৭ জন কাজে যোগদান করেন, যা মোট অভিবাসনের ৫৬ শতাংশ। সৌদি আরবে যাওয়া অভিবাসীদের মধ্যে ৬৬ হাজার ৩৩ জন নারী রয়েছেন, যা মোট নারী অভিবাসনের ৬৬ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অভিবাসন ঘটেছে ওমানে।’

তাসনিম সিদ্দিকী জানান, আন্তর্জাতিক অভিবাসনের উল্লেখযোগ্য উৎস এলাকাগুলোর মধ্যে—কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, চাঁদপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, ঢাকা ও নরসিংদী রয়েছে। চলতি বছর সর্বাধিক সংখ্যক আন্তর্জাতিক অভিবাসন কুমিল্লা থেকে ঘটেছে।

তবে এসব কর্মীর বেশির ভাগই অদক্ষ কর্মী জানিয়ে তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, ‘এ বছরও অদক্ষ কর্মীর পরিমাণ বেড়েছে। চলতি বছরের ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অদক্ষ কর্মীর অভিবাসনের হার ৭৮.৬৪ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৭৫.২৪ শতাংশ।’

অভিবাসন বাড়লেও সে হারে রেমিট্যান্স বাড়ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১০ লাখ ২৯ হাজার ৫৪ জন কর্মী আন্তর্জাতিক অভিবাসন করেন। অথচ এই বছর রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১৯.৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ধারা অব্যাহত থাকলে, গত বছরের তুলনায় রেমিট্যান্স কমবে ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ।’

রেমিট্যান্স কমার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসনের প্রথম বছরেই অভিবাসন কর্মী রেমিট্যান্স প্রেরণ করতে পারে না। অন্যদিকে বহুসংখ্যক কর্মী অভিবাসন করলেও কাজ করতে না পেরে বা বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। এর পরিমাণ প্রায় ৩১ শতাংশ। এছাড়া এ বছর অভিবাসীদের ব্যাংকের ওপর আস্থা কমে গেছে, যা বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহকে প্রভাবিত করেছে।’

এই সংকট মোকাবিলায় ছয়টি সুপারিশ জানিয়েছে সংগঠনটি। এগুলো হলো—অভিবাসীদের ব্যাংকের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর (টিটিসি) পরিচালনায় সরকার-এনজিওদের একযোগে কাজ করা, নিরাপদ অভিবাসন সুনিশ্চিত করতে অভিবাসন সম্পর্কিত মোবাইল অ্যাপগুলোর প্রয়োগে তরুণ শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করা, অভিবাসীদের সন্দেহজনক অস্বাভাবিক মৃত্যুর কিছু কিছু কেস পুনরায় ময়নাতদন্তের পদক্ষেপ গ্রহণ করা, বায়রাতে যে অভিযোগ সেল গঠন করা হয়েছে তা অতি দ্রুত সক্রিয় করে অভিবাসীদের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা এবং মানবপাচার সংক্রান্ত মামলাগুলো প্রসিকিউশনের হার বৃদ্ধি করা।

অভিবাসীরা বিভিন্ন দেশে গিয়ে বেশির ভাগ সময় চরমভাবে নিগৃহীত হচ্ছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য অধিকার পাচ্ছে না। এটা দুর্ভাগ্যজনক এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এ বছর ৮১ শতাংশ অভিবাসন বেড়েছে গত বছরের তুলনায়। সেই তুলনায় কি উনারা রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন? অভিবাসন বৃদ্ধির হারের সঙ্গে রেমিট্যান্সের হার তুলনামূলক যথার্থ? আমার মনে হয় তা নয়। তাহলে এখানে সমস্যাটা কোথায়? এখানে নিশ্চয়ই আমাদের নেগোসিয়েশনের একটা সমস্যা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভিবাসী শ্রমিক খাতটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম একটি বড় খাত। তাঁদের অনেক বেশি পরিচর্যা করতে হবে, সুযোগ দিতে হবে, তাঁদের সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। সিন্ডিকেশনকে কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করতে হবে। এমনিতেই অভিবাসী শ্রমিকেরা অনেক সমস্যায় আছে। এর মধ্যে ডলার এবং টাকার মূল্যমানের একটা বিশাল পার্থক্য নিয়ে যদি তাঁকেই সমাধান দিতে হয় তাহলে কীভাবে হবে? তাঁদের প্রতি প্রণোদনা বাড়াতে হবে। আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম বড় এই খাতটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারি না। এইটা একটা খাত যেখানে আমাদের অনেক কিছু পাওয়ার আছে। তাঁদের সুবিধা বৃদ্ধি করলেই একমাত্র হুন্ডিসহ অন্যান্য অবৈধ পথে অর্থ আসা বন্ধ হতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জেবিএস হোল্ডিংসের ফ্ল্যাট কিনলে বিশেষ ছাড় পাবেন প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রাইম ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
প্রাইম ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

সম্প্রতি জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই অংশীদারত্বের আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা পাবেন, যা তাঁদের দেশের প্রিমিয়াম রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ আরও সহজলভ্য করবে।

চুক্তিতে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন মামুর আহমেদ এবং জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের পক্ষে ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুল হক।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেটস জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল এবং জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) মো. বেলায়েত হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের লাইফস্টাইলভিত্তিক মানসম্পন্ন সেবা ও আর্থিক সমাধান প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, যা গ্রাহকদের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুনরায় বিটিএমএর প্রেসিডেন্ট শওকত আজিজ রাসেল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আবারও বিটিএমএর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। ছবি: সংগৃহীত
আবারও বিটিএমএর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।

গত ২৫ নভেম্বর বিটিএমএর গুলশান কার্যালয়ে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিটিএমএ।

এতে বলা হয়, বিটিএমএর তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্টও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. শামীম ইসলাম, ফ্যাব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. আবুল কালাম ও টেক্সটাইল প্রোডাক্ট প্রসেসের ক্যাটাগরি থেকে শফিকুল ইসলাম সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়ে ১২৬ টাকা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বছরের শেষ দিকে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাপের কারণে আজ শনিবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত।

অথচ গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ দর ছিল ১২৪ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ, মাত্র একদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কমপক্ষে ১ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ, ব্যাংকের নির্ধারিত দরের (১২২ টাকা ৩০ পয়সা) তুলনায় খোলাবাজারে ডলারের দাম এখন ৩ টাকা ৭০ পয়সা বেশি।

সরেজমিনে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও ফকিরাপুল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, খোলাবাজারে নগদ ডলারের সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও মূলত চাহিদার চাপে দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে মানি চেঞ্জারগুলো প্রতি ডলার কিনেছিল ১২৩ টাকা ৮০ পয়সায়, বিক্রি করেছে ১২৪ টাকা ৮০ পয়সায়। কিন্তু গতকাল খোলাবাজারে ঘোষিত দর হিসাবে ক্রয়মূল্য ছিল ১২৪ টাকা ২০ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ছিল ১২৫ টাকা ২০ পয়সা। শনিবার ছুটির দিন থাকায় নতুন দর আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত বছর শেষে মানুষ ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য অপেক্ষাকৃত বেশি বিদেশে যায়। ফলে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। এবার ভারত, ভুটান ও মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশ ভিসায় কড়াকড়ি করছে। এতে করে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু এসব দেশের বাইরে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরসহ ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে যাচ্ছেন অনেকে। এই দেশগুলোতে ভারতের তুলনায় বেশি ডলার খরচ হয়। অনেকে ব্যাংক থেকে ডলার না পেয়ে খোলাবাজার থেকে কিনছেন। পাশাপাশি একটা গোষ্ঠী নগদ ডলার কিনে হাতে রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে খোলাবাজারে বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। মূলত এর ফলে দাম বেড়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ টাকা থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ২৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গৌতম দে বলেন, ‘ভারতসহ কয়েকটি দেশ ভিসায় কড়াকড়ি করছে। অনেকে বিকল্প হিসেবে অন্য দেশে যাওয়ার কথা ভাবছেন। এতে খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকবাবে ১২৫ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত ডলার বিক্রি করছি। এর বেশি কেউ নিচ্ছে বলে জানা নেই। আর নতুন ঘোষিত দর রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে অবহিত করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

র‌্যাংগস ইলেকট্রনিকস ও র‍্যাডিসন ব্লুর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ১১
র‌্যাংগস ইলেকট্রনিকস ও রেডিসন ব্লুর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
র‌্যাংগস ইলেকট্রনিকস ও রেডিসন ব্লুর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

র‌্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এবং র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে র‌্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের পক্ষে সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার জানে আলম এবং র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের পক্ষে ক্লাস্টার জেনারেল ম্যানেজার ডুকো এভারেন ডি ভ্রিস নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ এন এম মনজুরুল হক মজুমদার, র‌্যাংগস গ্রুপ অব কোম্পানিজের অ্যাডভাইজর মেজর (অব.) মোহাম্মদ সোলায়মান তালুকদার এবং র‌্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের হেড অব পিআর অ্যান্ড এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স রাহেল রাব্বি।

এ ছাড়া র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের ডিরেক্টর অব ফিন্যান্স শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মনফুজা মাসুদ চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অব সেলস শামীম আল মামুনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় র‌্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের গ্রাহক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের সেবাগ্রহীতারা বিশেষ সুবিধা ও প্রণোদনা উপভোগ করবেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে বিভিন্ন করপোরেট ও সামাজিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করবে।

সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন, এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি, কার্যকর ও ফলপ্রসূ অংশীদারত্ব গড়ে উঠবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত