আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেড ইন আমেরিকা’ উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পোশাক খুচরা বিক্রেতাকে টি-শার্ট থেকে শুরু করে কোট-স্যুট পর্যন্ত দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করছে। মার্কিন প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে সীমিত উৎপাদন সক্ষমতা, শ্রম ও উপকরণের ওপর শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বড় পরিসরে উৎপাদন স্থানান্তর করা কঠিন হবে, ফলে আমেরিকায় তৈরি পোশাকের দাম বেড়ে যাবে। আর এ কারণেই খুব শিগগির বাংলাদেশসহ বিশ্ববাজার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক কেনার বিষয়টি সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই।
বৈশ্বিক চেইনশপ ওয়ালমার্টের প্রধান নির্বাহীর উপস্থিতিতে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রিটেইল শপের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর জন্য করপোরেট কর হার ২১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৈঠকে তিনি আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের পক্ষেও সাফাই গেয়েছেন এবং বলেছেন, এই শুল্ক আরও বাড়ানো হতে পারে।
নিউজার্সির নিউওয়ার্কভিত্তিক পুরুষদের শার্ট প্রস্তুতকারী কোম্পানি গামবার্ট শার্টমেকার্সের মালিক ও প্রধান নির্বাহী মিক গামবার্ট বলেন, ‘আমরা (যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা) ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে প্রচুর (উৎপাদনের) অনুরোধ পাচ্ছি।’ গামবার্টের প্রতিষ্ঠান খুচরা বিক্রেতা চেইনশপ নর্ডস্ট্রমের তিনটি শোরুমে বোতামযুক্ত সুতি শার্ট সরবরাহ করে। গামবার্ট জানান, নর্ডস্ট্রম আগামী জুনের শেষের মধ্যে সরবরাহ বাড়িয়ে ৫০টি স্টোরে পণ্য পৌঁছানোর অনুরোধ করেছে।
ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বেসরকারি খুচরা বিক্রেতা রিফরমেশনের পরিচালনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাথলিন ট্যালবট বলেন, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের সরবরাহকারীদের আরও বেশি অর্ডার দিচ্ছেন এবং নিউইয়র্ক ও নেভাডার মতো অঙ্গরাজ্যের কথাও বিবেচনা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি দেশীয় উৎপাদনে পুনর্জাগরণ বা বিনিয়োগের চেষ্টার চেতনাকে সমর্থন করি, তবে এটি সময়সাপেক্ষ।’
ট্যালবট বলেন, ‘এপ্রিল মাসে কার্যকর হতে যাওয়া মেক্সিকোর আমদানির ওপর ট্রাম্পের পরিকল্পিত শুল্ক তাদের সরবরাহ শৃঙ্খল পুনর্বিন্যাসে বাধ্য করেছে।’ ট্যালবটের প্রতিষ্ঠান রিফরমেশন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় ৫০টিরও বেশি আউটলেটে এবং অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে। এই প্রতিষ্ঠান মেক্সিকোর ছয়টি কারখানা থেকে পোশাক সংগ্রহ করে থাকে।
নিউইয়র্কভিত্তিক ফেরারা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের প্রধান নির্বাহী জো ফেরারা বলেন, আগের তুলনায় আরও বেশি খুচরা বিক্রেতা উল কোট ও ব্লেজারের মতো পণ্যগুলোর দ্রুত উৎপাদনের জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ফেরারা ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাশন ব্র্যান্ড রাল্ফ লরেন ও মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য পোশাক তৈরি করে।
আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্টিভ লামার বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনে সামান্য বৃদ্ধি দেখতে পাব বলে আশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত শ্রমশক্তি, দক্ষতা, উপকরণ ও অবকাঠামো নেই, যা বড় পরিসরে পোশাক ও জুতা উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন।’
আমেরিকানরা সাধারণত চীন ও এশিয়ায় তৈরি সস্তা পোশাক কিনতে অভ্যস্ত। লামারের সংগঠনের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া পোশাক ও জুতার ৯৭ শতাংশই আমদানি করা হয়। চীন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারী, যদিও গত ১৫ বছরে ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশে উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে চীনের অংশীদারত্ব কিছুটা কমেছে।
মিয়ামি ইউনিভার্সিটি অব ওহাইওর সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইয়াও জিন বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক উৎপাদন খাত সংকুচিত হয়েছে। কারণ ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতারা চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য স্বল্প মজুরির দেশে উৎপাদন স্থানান্তর করেছে, যা তাদের খরচ ও দাম কমিয়ে রাখতে সহায়তা করেছে।
ইয়াও জিন বলেন, ‘পোশাকশিল্পের ক্ষেত্রে খুব সামান্য কর্মসংস্থানই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসবে। কারণ, আমাদের শ্রমবাজার প্রতিযোগিতামূলক নয়।’
গামবার্টের কাছে ৩০০ থেকে ৫০০ ডলার মূল্যের শার্টের অতিরিক্ত অর্ডার আসছে, যা প্রতিষ্ঠানটির ১০০ জন কর্মীর কারখানার জন্য বড় প্রবৃদ্ধি। তিনি বলেন, ‘এটি আমার ব্যবসার জন্য নিঃসন্দেহে ইতিবাচক একটি দিক হবে।’ তাঁর কারখানার প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী প্রতি ঘণ্টায় নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের বেঁধে দেওয়া ন্যূনতম আয় ১৫ দশমিক ৪৯ ডলারের চেয়ে বেশি আয় করেন।
তবে গামবার্ট শার্টমেকার্সের সীমিত উৎপাদন সক্ষমতার কারণে তিনি নতুন খুচরা গ্রাহকদের বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই অতিরিক্ত চাপ নিতে চাই না এবং বিদ্যমান গ্রাহকদের হারাতে চাই না।’ তিনি জানান, তাঁর প্রধান প্রতিযোগী দেশগুলো হলো—চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও ভারতের শার্ট কারখানা।
আরেকটি সমস্যা হলো বোতাম, কাপড় ও জিপারের মতো উপকরণ আমদানি করতে হয় এবং এগুলো ট্রাম্পের শুল্কের আওতায় পড়ে। চীন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় ফ্যাব্রিক সরবরাহকারী। গামবার্ট জানান, চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের কারণে তাঁর বোতামের খরচ ১৮ শতাংশ বেড়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক ফুটওয়্যার ও লেদার গুডস প্রস্তুতকারী লা লা ল্যান্ড প্রোডাকশন অ্যান্ড ডিজাইনের প্রধান নির্বাহী আলেকজান্ডার জার বলেন, ক্রীড়া পোশাক ব্র্যান্ডগুলো তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে স্নিকার ও রানিং শু তৈরি করার জন্য।
তিনি তাঁর ৬০ হাজার বর্গফুটের কারখানায় নতুন যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছেন। বিনিয়োগকারীদের কাছে উত্থাপিত এক প্রতিবেদনে লা লা ল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনের এমন এক উপায় উপস্থাপন করেছে, যাতে ব্র্যান্ডগুলো ‘অনিশ্চিত শুল্ক ও আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবজনিত সরবরাহ শৃঙ্খল বিপর্যয় এড়াতে পারবে।’
জার বলেন, ‘যদিও যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত জুতা উৎপাদন বৈশ্বিক দামের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না, তবে সঠিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশীয় উৎপাদন উল্লেখযোগ্য সুবিধা দিতে পারে।’ তবে তিনি জানান, তাঁর কারখানার বেশির ভাগ জুতা উচ্চমূল্যের বা সীমিত সংস্করণের হবে।
ক্রীড়া পোশাক ব্র্যান্ড অ্যাডিডাস বলেছে, তারা তাদের সরবরাহ শৃঙ্খলে কোনো পরিবর্তন আনতে চায় না। ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টেক্সটাইল অর্গানাইজেশনের সভাপতি কিম গ্লাস চীন থেকে আমদানি করা পোশাকের ওপর ট্রাম্পের শুল্কের পক্ষে মত দেন। তবে তিনি বলেন, মেক্সিকো ও কানাডার ওপর শুল্ক আরোপ শিল্পের জন্য ক্ষতিকর, যা বিভিন্ন উৎপাদন পর্যায়ে মার্কিন সুতি ও উলের কাপড় রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল।
কিম গ্লাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতকারকদের বিকাশ ও বিনিয়োগের জন্য দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।’
আরও খবর পড়ুন:

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেড ইন আমেরিকা’ উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পোশাক খুচরা বিক্রেতাকে টি-শার্ট থেকে শুরু করে কোট-স্যুট পর্যন্ত দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করছে। মার্কিন প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে সীমিত উৎপাদন সক্ষমতা, শ্রম ও উপকরণের ওপর শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বড় পরিসরে উৎপাদন স্থানান্তর করা কঠিন হবে, ফলে আমেরিকায় তৈরি পোশাকের দাম বেড়ে যাবে। আর এ কারণেই খুব শিগগির বাংলাদেশসহ বিশ্ববাজার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক কেনার বিষয়টি সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই।
বৈশ্বিক চেইনশপ ওয়ালমার্টের প্রধান নির্বাহীর উপস্থিতিতে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রিটেইল শপের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর জন্য করপোরেট কর হার ২১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৈঠকে তিনি আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের পক্ষেও সাফাই গেয়েছেন এবং বলেছেন, এই শুল্ক আরও বাড়ানো হতে পারে।
নিউজার্সির নিউওয়ার্কভিত্তিক পুরুষদের শার্ট প্রস্তুতকারী কোম্পানি গামবার্ট শার্টমেকার্সের মালিক ও প্রধান নির্বাহী মিক গামবার্ট বলেন, ‘আমরা (যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা) ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে প্রচুর (উৎপাদনের) অনুরোধ পাচ্ছি।’ গামবার্টের প্রতিষ্ঠান খুচরা বিক্রেতা চেইনশপ নর্ডস্ট্রমের তিনটি শোরুমে বোতামযুক্ত সুতি শার্ট সরবরাহ করে। গামবার্ট জানান, নর্ডস্ট্রম আগামী জুনের শেষের মধ্যে সরবরাহ বাড়িয়ে ৫০টি স্টোরে পণ্য পৌঁছানোর অনুরোধ করেছে।
ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বেসরকারি খুচরা বিক্রেতা রিফরমেশনের পরিচালনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাথলিন ট্যালবট বলেন, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের সরবরাহকারীদের আরও বেশি অর্ডার দিচ্ছেন এবং নিউইয়র্ক ও নেভাডার মতো অঙ্গরাজ্যের কথাও বিবেচনা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি দেশীয় উৎপাদনে পুনর্জাগরণ বা বিনিয়োগের চেষ্টার চেতনাকে সমর্থন করি, তবে এটি সময়সাপেক্ষ।’
ট্যালবট বলেন, ‘এপ্রিল মাসে কার্যকর হতে যাওয়া মেক্সিকোর আমদানির ওপর ট্রাম্পের পরিকল্পিত শুল্ক তাদের সরবরাহ শৃঙ্খল পুনর্বিন্যাসে বাধ্য করেছে।’ ট্যালবটের প্রতিষ্ঠান রিফরমেশন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় ৫০টিরও বেশি আউটলেটে এবং অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে। এই প্রতিষ্ঠান মেক্সিকোর ছয়টি কারখানা থেকে পোশাক সংগ্রহ করে থাকে।
নিউইয়র্কভিত্তিক ফেরারা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের প্রধান নির্বাহী জো ফেরারা বলেন, আগের তুলনায় আরও বেশি খুচরা বিক্রেতা উল কোট ও ব্লেজারের মতো পণ্যগুলোর দ্রুত উৎপাদনের জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ফেরারা ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাশন ব্র্যান্ড রাল্ফ লরেন ও মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য পোশাক তৈরি করে।
আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্টিভ লামার বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনে সামান্য বৃদ্ধি দেখতে পাব বলে আশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত শ্রমশক্তি, দক্ষতা, উপকরণ ও অবকাঠামো নেই, যা বড় পরিসরে পোশাক ও জুতা উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন।’
আমেরিকানরা সাধারণত চীন ও এশিয়ায় তৈরি সস্তা পোশাক কিনতে অভ্যস্ত। লামারের সংগঠনের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া পোশাক ও জুতার ৯৭ শতাংশই আমদানি করা হয়। চীন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারী, যদিও গত ১৫ বছরে ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশে উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে চীনের অংশীদারত্ব কিছুটা কমেছে।
মিয়ামি ইউনিভার্সিটি অব ওহাইওর সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইয়াও জিন বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক উৎপাদন খাত সংকুচিত হয়েছে। কারণ ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতারা চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য স্বল্প মজুরির দেশে উৎপাদন স্থানান্তর করেছে, যা তাদের খরচ ও দাম কমিয়ে রাখতে সহায়তা করেছে।
ইয়াও জিন বলেন, ‘পোশাকশিল্পের ক্ষেত্রে খুব সামান্য কর্মসংস্থানই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসবে। কারণ, আমাদের শ্রমবাজার প্রতিযোগিতামূলক নয়।’
গামবার্টের কাছে ৩০০ থেকে ৫০০ ডলার মূল্যের শার্টের অতিরিক্ত অর্ডার আসছে, যা প্রতিষ্ঠানটির ১০০ জন কর্মীর কারখানার জন্য বড় প্রবৃদ্ধি। তিনি বলেন, ‘এটি আমার ব্যবসার জন্য নিঃসন্দেহে ইতিবাচক একটি দিক হবে।’ তাঁর কারখানার প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী প্রতি ঘণ্টায় নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের বেঁধে দেওয়া ন্যূনতম আয় ১৫ দশমিক ৪৯ ডলারের চেয়ে বেশি আয় করেন।
তবে গামবার্ট শার্টমেকার্সের সীমিত উৎপাদন সক্ষমতার কারণে তিনি নতুন খুচরা গ্রাহকদের বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই অতিরিক্ত চাপ নিতে চাই না এবং বিদ্যমান গ্রাহকদের হারাতে চাই না।’ তিনি জানান, তাঁর প্রধান প্রতিযোগী দেশগুলো হলো—চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও ভারতের শার্ট কারখানা।
আরেকটি সমস্যা হলো বোতাম, কাপড় ও জিপারের মতো উপকরণ আমদানি করতে হয় এবং এগুলো ট্রাম্পের শুল্কের আওতায় পড়ে। চীন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় ফ্যাব্রিক সরবরাহকারী। গামবার্ট জানান, চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের কারণে তাঁর বোতামের খরচ ১৮ শতাংশ বেড়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক ফুটওয়্যার ও লেদার গুডস প্রস্তুতকারী লা লা ল্যান্ড প্রোডাকশন অ্যান্ড ডিজাইনের প্রধান নির্বাহী আলেকজান্ডার জার বলেন, ক্রীড়া পোশাক ব্র্যান্ডগুলো তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে স্নিকার ও রানিং শু তৈরি করার জন্য।
তিনি তাঁর ৬০ হাজার বর্গফুটের কারখানায় নতুন যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছেন। বিনিয়োগকারীদের কাছে উত্থাপিত এক প্রতিবেদনে লা লা ল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনের এমন এক উপায় উপস্থাপন করেছে, যাতে ব্র্যান্ডগুলো ‘অনিশ্চিত শুল্ক ও আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবজনিত সরবরাহ শৃঙ্খল বিপর্যয় এড়াতে পারবে।’
জার বলেন, ‘যদিও যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত জুতা উৎপাদন বৈশ্বিক দামের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না, তবে সঠিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশীয় উৎপাদন উল্লেখযোগ্য সুবিধা দিতে পারে।’ তবে তিনি জানান, তাঁর কারখানার বেশির ভাগ জুতা উচ্চমূল্যের বা সীমিত সংস্করণের হবে।
ক্রীড়া পোশাক ব্র্যান্ড অ্যাডিডাস বলেছে, তারা তাদের সরবরাহ শৃঙ্খলে কোনো পরিবর্তন আনতে চায় না। ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টেক্সটাইল অর্গানাইজেশনের সভাপতি কিম গ্লাস চীন থেকে আমদানি করা পোশাকের ওপর ট্রাম্পের শুল্কের পক্ষে মত দেন। তবে তিনি বলেন, মেক্সিকো ও কানাডার ওপর শুল্ক আরোপ শিল্পের জন্য ক্ষতিকর, যা বিভিন্ন উৎপাদন পর্যায়ে মার্কিন সুতি ও উলের কাপড় রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল।
কিম গ্লাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতকারকদের বিকাশ ও বিনিয়োগের জন্য দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।’
আরও খবর পড়ুন:

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৩ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেড ইন আমেরিকা’ উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পোশাক খুচরা বিক্রেতাকে টি-শার্ট থেকে শুরু করে কোট-স্যুট পর্যন্ত দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করছে। মার্কিন প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৪ মার্চ ২০২৫
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেড ইন আমেরিকা’ উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পোশাক খুচরা বিক্রেতাকে টি-শার্ট থেকে শুরু করে কোট-স্যুট পর্যন্ত দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করছে। মার্কিন প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৪ মার্চ ২০২৫
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেড ইন আমেরিকা’ উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পোশাক খুচরা বিক্রেতাকে টি-শার্ট থেকে শুরু করে কোট-স্যুট পর্যন্ত দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করছে। মার্কিন প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৪ মার্চ ২০২৫
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৩ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে এনবিআর। এই শুল্ক অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর ফলে খেজুরের আমদানি বাড়বে এবং দামও কমবে বলে আশা করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
গত বছরও রোজার আগে নভেম্বর মাসে আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিল।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে সব মিলিয়ে ৫৭ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক-কর ছিল। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক (সিডি) ২৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ।
এখন ১০ শতাংশ কমানোর ফলে মোট শুল্ক-কর ৪৭ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়াল। তবে এই সার্কুলার এখনো এনবিআরের সার্ভারে যুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা। তিন দিন ছুটি থাকায় আগামী রোববারে নতুন সার্কুলারে পণ্য শুল্কায়ন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া এই শুল্ক কামানোর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের দাম কত কমতে পারে, এ বিষয়ে এখনই কোনো ধারণা দিতে পারেননি আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, ১০ শতাংশ শুল্ক কমার ফলে দাম কিছুটা কমবে। তবে কতটুকু কমবে, তা শুল্কায়ন শুরু হলে বোঝা যাবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গে অগ্রিম কর ও রেগুলেটরি ডিউটি কমানোর দাবিও ছিল আমাদের। কিন্তু সরকার তা মানেনি। আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর ফলে খেজুরের দাম সামান্য কমতে পারে। তবে এটি বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের খেজুর আমদানিতে মূল সমস্যা হলো ট্যারিফ হার বা শুল্কায়ন মূল্য। আমরা যে দামে আমদানি করি, শুল্ক ধরা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি দামের ওপর। এতেই ট্যাক্সের হার বেড়ে যায়।’

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে এনবিআর। এই শুল্ক অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর ফলে খেজুরের আমদানি বাড়বে এবং দামও কমবে বলে আশা করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
গত বছরও রোজার আগে নভেম্বর মাসে আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিল।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে সব মিলিয়ে ৫৭ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক-কর ছিল। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক (সিডি) ২৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ।
এখন ১০ শতাংশ কমানোর ফলে মোট শুল্ক-কর ৪৭ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়াল। তবে এই সার্কুলার এখনো এনবিআরের সার্ভারে যুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা। তিন দিন ছুটি থাকায় আগামী রোববারে নতুন সার্কুলারে পণ্য শুল্কায়ন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া এই শুল্ক কামানোর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের দাম কত কমতে পারে, এ বিষয়ে এখনই কোনো ধারণা দিতে পারেননি আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, ১০ শতাংশ শুল্ক কমার ফলে দাম কিছুটা কমবে। তবে কতটুকু কমবে, তা শুল্কায়ন শুরু হলে বোঝা যাবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গে অগ্রিম কর ও রেগুলেটরি ডিউটি কমানোর দাবিও ছিল আমাদের। কিন্তু সরকার তা মানেনি। আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর ফলে খেজুরের দাম সামান্য কমতে পারে। তবে এটি বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের খেজুর আমদানিতে মূল সমস্যা হলো ট্যারিফ হার বা শুল্কায়ন মূল্য। আমরা যে দামে আমদানি করি, শুল্ক ধরা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি দামের ওপর। এতেই ট্যাক্সের হার বেড়ে যায়।’

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেড ইন আমেরিকা’ উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পোশাক খুচরা বিক্রেতাকে টি-শার্ট থেকে শুরু করে কোট-স্যুট পর্যন্ত দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করছে। মার্কিন প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৪ মার্চ ২০২৫
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৩ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে