নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, জ্বালাও–পোড়াও আর হরতাল–অবরোধের যুগে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ফিরিয়ে আনার কারণ নেই। রপ্তানি, রেমিট্যান্স, মাথাপিছু আয়সহ সার্বিক উন্নয়নে গত ১৪ বছর ছিল বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ। সামনেও এ ধারা বজায় রাখতে হবে।
আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র–বিআইসিসিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে স্মার্ট বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে এসব কথা বলেন দেশের বিভিন্ন খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ–বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন ও সেবা খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতারা নিজ নিজ খাতের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। তাঁরা গত ১৪ বছরে ব্যবসা–বাণিজ্য চালিয়ে যেতে সরকারের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। যেকোনো মূল্যে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর নেতৃত্বের সরকারকে সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
সূচনা বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সব ব্যবসায়ী ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা সবাই আগামীতে আপনার নেতৃত্বে বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে চাই।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘সুতরাং আমরা মনে করি আপনাকে আমাদের প্রয়োজন। আপনাকে আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে। আমাদের জন্য, ব্যবসায়ীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহ–সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘দেশীয় শিল্পের বিকাশ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান করব আরও উন্নত হবে। সে জন্য শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার।’
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স–আইসিসির সভাপতি ও বয়োজেষ্ঠ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছেন। কিন্তু জ্বালানির অভাবে এখন উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বিদ্যুতের দিকটা অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘সবাই বলে শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার। কিন্তু আমি বলব, বঙ্গবন্ধুর সময় তাঁর বিকল্প ছিল না, শেখ হাসিনারও কোনো বিকল্প নেই। সারা বিশ্ব বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে, কী এমন জাদুর কাঠি আছে যা দিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) বিশ্বকে আকর্ষণ করেন। সারা বিশ্বের মানুষের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানে যদি কেউ আবার এক-এগারোর সরকার হয়, তাহলে তা প্রতিহত করতে এই ব্যবসায়ীরাই যথেষ্ট। সুন্দর নির্বাচন হোক এটা সবাই চায়, প্রধানমন্ত্রীও চান। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’
ব্যাংক মালিকদের সংগঠন–বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘সব সময় বলি শেখ হাসিনা সরকার, আজীবন দরকার। আজ বলব, জয় শেখ হাসিনা, জয় শেখ হাসিনা। আমরা যখন যা চেয়েছি তিনি কখনো মা, কখনো বোন হিসেবে তা দিয়েছেন। গত ৫০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, তা গত ১৪ বছরে হয়েছে। আগামী ৫ বছরে তা দ্বিগুণ হবে।’ তিন মাস পরে আবার এমন একটা আয়োজন হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের কৃতিত্ব সম্পূর্ণ শেখ হাসিনার। ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করতে পারছে আপনার জন্য। তাই শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।’
এফবিসিসিআইয়ের আরেক সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিনি গত ১৫ বছর ধরে ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক করেছেন। আমরা যদি আগামী দিনে সমর্থন করি তাহলেই স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।’
ডিসিসিআই সভাপতি সামির সাত্তার বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন শীল দেশ হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন তার অবর্তমানে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করি আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে পারব।’
বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি বলেন, ‘আপনি যত দিন বেঁচে থাকবেন আপনার বাবার দেওয়া দেশকে সেবা দেন। আমরা তিন থেকে চার কোটি ব্যবসায়ী আপনার সঙ্গে থাকব।’
বিকেএমইএয়ের সভাপতি সেলিম ওসমান বলেন, ‘আপনি আমাদের মনোবল। গ্যাসের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি, বিদ্যুতের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি। কারণ আমরা জানি আপনি আমাদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন, আগামীতে আমরা আবার জেগে উঠব। অসমাপ্ত কাজ করার জন্য আপাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পেতে চাই।’
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বিজিএমইএর সভাপতি হিসেবে আশ্বস্ত করছি, আপনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পোশাক শিল্প অর্থনৈতিক সেনা হিসেবে আপনার পাশে থাকবে।’
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ‘গত ১৪ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার পাশাপাশি স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ সব খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এটা এ দেশের স্বর্ণযুগ। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় সামনের পথটুকু পাড়ি দিতে চাই।’
বিটিএমএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘করোনা মহামারিতে পৃথিবীর অনেক দেশ ঝরে গেছে, কিন্তু টিকে গেছে বাংলাদেশ। এটাই দেশি-বিদেশি শত্রুদের বড় গাত্রদাহ। আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই।’
এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৫৮ বছর ধরে পিপল অ্যাকশন পার্টি সিঙ্গাপুর পরিচালন করে আসছে। আজ সিঙ্গাপুর বিশ্বের উন্নত দেশ। সেখানে বিরোধী দল মাত্র ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। পাকিস্তানের লোক এখন বলছে, আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। আমরা আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে রয়েছি।’
ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘আগে বিদেশি কোম্পানিতে হাতে গোনা কয়েকজন দেশি কর্মকর্তা ছিলেন। এখন হাতেগোনা কয়েকজন বিদেশি কর্মকর্তা আছেন। কারণ গত ১৫ বছরে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, এ জন্য বিদেশির এ দেশিদের ওপর আস্থা তৈরি হয়েছে। দেশের যে সক্ষমতা এসেছে তা আপনার নেতৃত্বে হয়েছে।’
এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৬ তম ইকোনমি এবং ৯ম বৃহৎ ভোক্তা বাজার হবে। এ দুটিকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা দরকার।’
ওমেন চেম্বারের সভাপতি সেলিমা আহমাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন স্মার্ট বাংলাদেশের। তাই শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার।’
প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন দেশের প্রতিটি জায়গায়, প্রতিটি ইঞ্চি কৃষির আওতায় আসবে, তা দেশকে বহুদূর এগিয়ে দেবে। ব্যবসায়ীরা আপনার সৈনিক, ভীষণ ভাবে দেশকে ভালোবাসি, আপনার কাতারে যোগ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।’
প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী ওই সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ইউনিটেক্স বাংলাদেশের সিইও জাবিয়ার কার্লোস, জাপান বাংলাদেশ চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাইয়ং হো লি প্রমুখ।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, জ্বালাও–পোড়াও আর হরতাল–অবরোধের যুগে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ফিরিয়ে আনার কারণ নেই। রপ্তানি, রেমিট্যান্স, মাথাপিছু আয়সহ সার্বিক উন্নয়নে গত ১৪ বছর ছিল বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ। সামনেও এ ধারা বজায় রাখতে হবে।
আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র–বিআইসিসিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে স্মার্ট বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে এসব কথা বলেন দেশের বিভিন্ন খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ–বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন ও সেবা খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতারা নিজ নিজ খাতের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। তাঁরা গত ১৪ বছরে ব্যবসা–বাণিজ্য চালিয়ে যেতে সরকারের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। যেকোনো মূল্যে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর নেতৃত্বের সরকারকে সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
সূচনা বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সব ব্যবসায়ী ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা সবাই আগামীতে আপনার নেতৃত্বে বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে চাই।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘সুতরাং আমরা মনে করি আপনাকে আমাদের প্রয়োজন। আপনাকে আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে। আমাদের জন্য, ব্যবসায়ীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহ–সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘দেশীয় শিল্পের বিকাশ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান করব আরও উন্নত হবে। সে জন্য শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার।’
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স–আইসিসির সভাপতি ও বয়োজেষ্ঠ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছেন। কিন্তু জ্বালানির অভাবে এখন উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বিদ্যুতের দিকটা অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘সবাই বলে শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার। কিন্তু আমি বলব, বঙ্গবন্ধুর সময় তাঁর বিকল্প ছিল না, শেখ হাসিনারও কোনো বিকল্প নেই। সারা বিশ্ব বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে, কী এমন জাদুর কাঠি আছে যা দিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) বিশ্বকে আকর্ষণ করেন। সারা বিশ্বের মানুষের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানে যদি কেউ আবার এক-এগারোর সরকার হয়, তাহলে তা প্রতিহত করতে এই ব্যবসায়ীরাই যথেষ্ট। সুন্দর নির্বাচন হোক এটা সবাই চায়, প্রধানমন্ত্রীও চান। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’
ব্যাংক মালিকদের সংগঠন–বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘সব সময় বলি শেখ হাসিনা সরকার, আজীবন দরকার। আজ বলব, জয় শেখ হাসিনা, জয় শেখ হাসিনা। আমরা যখন যা চেয়েছি তিনি কখনো মা, কখনো বোন হিসেবে তা দিয়েছেন। গত ৫০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, তা গত ১৪ বছরে হয়েছে। আগামী ৫ বছরে তা দ্বিগুণ হবে।’ তিন মাস পরে আবার এমন একটা আয়োজন হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের কৃতিত্ব সম্পূর্ণ শেখ হাসিনার। ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করতে পারছে আপনার জন্য। তাই শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।’
এফবিসিসিআইয়ের আরেক সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিনি গত ১৫ বছর ধরে ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক করেছেন। আমরা যদি আগামী দিনে সমর্থন করি তাহলেই স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।’
ডিসিসিআই সভাপতি সামির সাত্তার বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন শীল দেশ হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন তার অবর্তমানে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করি আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে পারব।’
বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি বলেন, ‘আপনি যত দিন বেঁচে থাকবেন আপনার বাবার দেওয়া দেশকে সেবা দেন। আমরা তিন থেকে চার কোটি ব্যবসায়ী আপনার সঙ্গে থাকব।’
বিকেএমইএয়ের সভাপতি সেলিম ওসমান বলেন, ‘আপনি আমাদের মনোবল। গ্যাসের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি, বিদ্যুতের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি। কারণ আমরা জানি আপনি আমাদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন, আগামীতে আমরা আবার জেগে উঠব। অসমাপ্ত কাজ করার জন্য আপাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পেতে চাই।’
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বিজিএমইএর সভাপতি হিসেবে আশ্বস্ত করছি, আপনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পোশাক শিল্প অর্থনৈতিক সেনা হিসেবে আপনার পাশে থাকবে।’
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ‘গত ১৪ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার পাশাপাশি স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ সব খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এটা এ দেশের স্বর্ণযুগ। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় সামনের পথটুকু পাড়ি দিতে চাই।’
বিটিএমএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘করোনা মহামারিতে পৃথিবীর অনেক দেশ ঝরে গেছে, কিন্তু টিকে গেছে বাংলাদেশ। এটাই দেশি-বিদেশি শত্রুদের বড় গাত্রদাহ। আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই।’
এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৫৮ বছর ধরে পিপল অ্যাকশন পার্টি সিঙ্গাপুর পরিচালন করে আসছে। আজ সিঙ্গাপুর বিশ্বের উন্নত দেশ। সেখানে বিরোধী দল মাত্র ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। পাকিস্তানের লোক এখন বলছে, আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। আমরা আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে রয়েছি।’
ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘আগে বিদেশি কোম্পানিতে হাতে গোনা কয়েকজন দেশি কর্মকর্তা ছিলেন। এখন হাতেগোনা কয়েকজন বিদেশি কর্মকর্তা আছেন। কারণ গত ১৫ বছরে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, এ জন্য বিদেশির এ দেশিদের ওপর আস্থা তৈরি হয়েছে। দেশের যে সক্ষমতা এসেছে তা আপনার নেতৃত্বে হয়েছে।’
এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৬ তম ইকোনমি এবং ৯ম বৃহৎ ভোক্তা বাজার হবে। এ দুটিকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা দরকার।’
ওমেন চেম্বারের সভাপতি সেলিমা আহমাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন স্মার্ট বাংলাদেশের। তাই শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার।’
প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন দেশের প্রতিটি জায়গায়, প্রতিটি ইঞ্চি কৃষির আওতায় আসবে, তা দেশকে বহুদূর এগিয়ে দেবে। ব্যবসায়ীরা আপনার সৈনিক, ভীষণ ভাবে দেশকে ভালোবাসি, আপনার কাতারে যোগ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।’
প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী ওই সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ইউনিটেক্স বাংলাদেশের সিইও জাবিয়ার কার্লোস, জাপান বাংলাদেশ চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাইয়ং হো লি প্রমুখ।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২১ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
১৫ জুলাই ২০২৩
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২১ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
১৫ জুলাই ২০২৩
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
১৫ জুলাই ২০২৩
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
১৫ জুলাই ২০২৩
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২১ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে