Ajker Patrika

মধুপুর শালবন: কৌশলে গজারিগাছ হত্যা

  • বনভূমির মধ্যে প্রাকৃতিক বন ৬ হাজার ৭৫৬ একর।
  • হত্যার কৌশল বনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানলেও রহস্যজনক কারণে নীরব।
  • অসাধু কর্মকর্তারা বনের জায়গা ফাঁকা করে বিঘাপ্রতি ভাড়া দেন।
  • জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: রেঞ্জ কর্মকর্তা
আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল 
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ১৭
গাছের গোড়ার ছাল তুলে মাটিচাপা দিয়ে অংশটি ঢেকে রাখে দুর্বৃত্তরা। এতে দ্রুত গাছ মরে যায়। সম্প্রতি মধুপুর বনের আমলীতলা থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাছের গোড়ার ছাল তুলে মাটিচাপা দিয়ে অংশটি ঢেকে রাখে দুর্বৃত্তরা। এতে দ্রুত গাছ মরে যায়। সম্প্রতি মধুপুর বনের আমলীতলা থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

৪৫ হাজার ৫৬৫ একর আয়তনের টাঙ্গাইলের মধুপুর শালবনে একসময় শাল-গজারিসহ ৬৩ প্রজাতির গাছের পাশাপাশি ভেষজ গুল্ম-লতায় ভরা ছিল। বিচরণ ছিল চিতাবাঘ, হরিণ, বানর, হনুমানসহ অন্তত ২০ প্রকার প্রাণী ও বিষধর সাপের। তবে সেসব আজ অতীত। অভিনব কায়দায় হত্যা করা হচ্ছে এই বনের গজারিগাছ। দিন দিন কমছে বনের আয়তনও। বন বিভাগের হিসাব অনুসারে, ২৬ হাজার ৯৩৫ একর জমি বেহাত।

স্থানীয়দের দাবি, বন ধ্বংসের অভিনব এই কৌশল মধুপুর বনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবগত থাকলেও রহস্যজনক কারণে তাঁরা নীরব থাকেন। এই অপকর্মে সহযোগিতা করেন অসাধু কিছু বন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিএমসি সদস্যরা।

গজারিগাছ ধ্বংসের পুরো চিত্র ফুটে উঠেছে বন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বন বিভাগের অনুমোদিত সংগঠন কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটির (সিএমসি) দোখলা অঞ্চলের সভাপতি মো. মোতালেব হোসেনের বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘পরথমে গাছের গোড়া পরিষ্কার করে। তারপর গজারিগাছের ছাল এক দেড় ফুট তুইলা ফালায়। এরপর মাটি চাপা দিয়া গাছের গোড়া ঢাইকা দেয়। এক দেড় মাসের মধ্যে ওই গাছ মইরা যায়। এইডা হইল গজারিগাছ মাইরা ফালানোর প্রসেস। যারাই আনারস ও কলাবাগান করে, তারাই এই প্রসেসে বাগানের আগাছা পরিষ্কারের সাথে সাথে গজারিরগাছ পরিষ্কার করে।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, একসময়ের ঘন বন আজ বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দখলবাজি, তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় প্রশাসন ও বনদস্যুদের সম্মিলিত বৃক্ষ পাচার আর অপরিণামদর্শী সরকারি প্রকল্পের কারণে। সামাজিক ও অংশীদারত্বের বনায়নের নামে বন খেকোদের বৈধতা দেওয়ায় মধুপুর বন ধ্বংস ত্বরান্বিত হয়েছে।

বন বিভাগ বলছে, ৪৫ হাজার ৫৬৫ একর বনভূমির মধ্যে প্রাকৃতিক বন ৬ হাজার ৭৫৬ একর। সামাজিক বন ৬ হাজার ১৭৯ একর। আর ৮ হাজার ৩৩২ জনের দখলে ১৯ হাজার ১৩৫ একর বনভূমি। ৭ হাজার ৮০০ একরজুড়ে রয়েছে রাবার বাগান। এই হিসাব অনুসারে ২৬ হাজার ৯৩৫ একর বনের জমি বেহাত রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, একসময়ের ঘন আরণ্যক অঞ্চল আমলীতলা কলা আর আনারস বাগানে পরিণত হয়েছে। দোখলা যাওয়ার পথে ওই গ্রামের বাইদের উজানে ডান পাশে সিনা টান করে দাঁড়িয়ে আছে গজারিগাছ। প্রতিটি গাছের গোড়া মাটি চাপা দেওয়া। কিছু অংশে ঠিকাদারেরা পাথর ও পিচের ড্রাম রেখে দিয়েছে। মাস দেড়েক আগেও এই জায়গায় শাল-গজারিগাছের নিচে ছিল আনারসবাগান। আশপাশেও পাতাঝরা এই বনের পাতা মাটিতে পড়ে না। পড়ে আনারসগাছের ওপর। বন বিভাগের সহযোগিতায় সবই দখলদারদের হেফাজতে। দখলদারেরা গজারি বনের ভেতরে ফাঁকা জায়গাগুলোতে আনারস আবাদ করেছেন। ওই বাগান পরিষ্কারের সময় কৌশলে বড় বড় গাছও পরিষ্কার করেন তাঁরা। ঠিকাদারের ভাড়া নেওয়া জায়গার গজারিগাছগুলোর গোড়া মাটির ঢিবি দিয়ে ঢাকা। ওই ঢিবির মাটি সরানোর পর বেরিয়ে আসে গজারিগাছ হত্যার রহস্য। প্রতিটি গজারিগাছের গোড়া এক-দেড় ফুট ছাল তুলে ফেলা হয়েছে। যাতে করে দ্রুত গাছগুলো মরে যায়।

এভাবেই গাছের গোড়ার ছাল তুলে ফেলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ বিষয়ে বনকর্মীরা অবগত থাকলেও রহস্যজনক কারণে তাঁরা নীরব থাকেন। বরং কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী এতে সহযোগিতা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভাবেই গাছের গোড়ার ছাল তুলে ফেলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ বিষয়ে বনকর্মীরা অবগত থাকলেও রহস্যজনক কারণে তাঁরা নীরব থাকেন। বরং কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী এতে সহযোগিতা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঠিকাদারের প্রতিনিধি মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমি ও মনির হোসেন দুজনে মিলে মধুপুর দোখলা সড়ক উন্নয়নের কাজটি সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়েছি। নির্মাণকাজের উপকরণ রাখার জায়গা না থাকায় আমলীতলায় মরে যাওয়া আনারসের বাগান ভাড়া নিয়েছি। ওই জমির আনারসচাষি শাহাজাহানকে গাছ পরিষ্কার করার জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। তারা গাছ পরিষ্কার করে দিয়েছে। আমরা বন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে নির্মাণের সময়ের জন্য জায়গাটুকু ব্যবহার করছি।’

স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গজারিগাছ নিধনে নতুন কৌশল নিয়েছে বন কর্মচারী, সিএমসি সদস্য ও দখলদারেরা। অসাধু এই ব্যক্তিরা বনের জায়গা ফাঁকা করে বিঘাপ্রতি ভাড়া দেন। তারা প্রতি বিঘা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। এ জন্য তারা প্রথমে গজারিগাছের ছাল (চামড়া) গোড়া থেকে এক-দেড় ফুট পর্যন্ত চারদিকে তুলে ফেলে। তারপর গাছের কাণ্ডে হাতুড়ি বা কুঠার দিয়ে আঘাত করে থেঁতলে অ্যাসিড দিয়ে দেয়। পরে গাছের গোড়ায় মাটি ও আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দেয়। যাতে করে গ্যাস সৃষ্টি হয়ে দ্রুত গাছ মরে যায়। আর এই পদ্ধতিতে একটি গাছ দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে মরে যায়।

মধুপুর বনাঞ্চলের জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে দখলদারেরা গাছের চামড়া ছিলে গজারিগাছ মেরে ফেলছে। আনারস-কলাচাষি, বনের অসাধু কর্মচারী ও দখলদার এবং সামাজিক বনায়নের প্লটধারীরা এভাবে বনের গজারিগাছ ধ্বংস করে থাকেন।’

এ ব্যাপারে দোখলা রেঞ্জের কর্মকর্তা সাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল দেখে এসেছি। জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি স্থানীয়দের হামলার ভয়ে। আমরা বন বিভাগের কয়েক কর্মচারী অসহায়। কিছু বললেই স্থানীয়দের হামলার ভয় থাকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।

গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’

একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’

স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’

জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গলায় রশি পেঁচানো নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।

বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাহাড়ে ভুট্টা চাষে ভালো ফলন পেলেন কৃষক জয়নাল

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।

উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

জামালপুর প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত