Ajker Patrika

সিলেট সীমান্তে ভারতীয়দের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৫, ২২: ৩০
শাহেদ আহমদ । ছবি: সংগৃহীত
শাহেদ আহমদ । ছবি: সংগৃহীত

সিলেট সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে শাহেদ আহমদ (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। নিহত শাহেদ কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী মঙ্গলপুর আলুবাড়ি গ্রামের মশাহিদ আলীর ছেলে। ভারতের সীমান্তরক্ষী-বিএসএফের সহায়তায় মেঘালয় রাজ্য পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে তিনি বাড়িতে ফিরে না এলে শুক্রবার সকাল থেকে শাহেদ আহমদের পরিবারের লোকজন ও স্বজনেরা তাঁকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা জানতে পারেন শাহেদের গুলিবিদ্ধ লাশ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের লাইজুরী বাঁশকোনা এলাকার ১৩১৯ নম্বর পিলারের অভ্যন্তরে পড়ে রয়েছে। এটি বিজিবির ১৯ ব্যাটালিয়নের আওতাভুক্ত এলাকা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পরিবার সূত্রের বরাত দিয়ে বিজিবির ১৯ ব্যাটালিয়ন জানায়, শাহেদ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ভারতে প্রবেশ করে এবং একপর্যায়ে ভারতীয় (খাসিয়া) চোরাকারবারিদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায়। তখন তাদের হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

বিষয়টি বিজিবি বিএসএফকে অবগত করলে বিএসএফ একজন মৃত ব্যক্তির স্থিরচিত্র প্রেরণ করে এবং স্থিরচিত্রটি শাহেদ মিয়ার বলে তাঁর পরিবার নিশ্চিত করে। মৃতদেহ আনয়নে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিএসএফ সংশ্লিষ্ট ভারতীয় খাসিয়া নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ১৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ এমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা বিএসএফকে অবগত করি। তারা সময় নিয়ে দুপুরে আমাদের ছবি পাঠায়। মরদেহটি ওখানকার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ফেরত পাঠানো হবে। এটা এখন দুই দেশের পুলিশের কাজ। বিজিবি-বিএসএফ শুধু উপস্থিত থাকবে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জিডিও করা হয়েছে।’

নিহত শাহেদের বড় ভাই আশিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে শাহেদ যেতে চায়নি। জাকারিয়া নামের একজন বাড়িতে গিয়ে তাকে নিয়ে যায়।’ আশিক আরও জানান, তাঁর মামা গিয়ে শাহেদের মরদেহ দেখেছেন। বুকে গুলি, কানের পাশে গুলির মতো চিহ্ন রয়েছে।

কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘ভারতের অভ্যন্তরে শাহেদ আহমদের লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিজিবিকে বলেছি। তারা কাজ করছে।’

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ময়নাতদন্ত শেষে তারা লাশ হস্তান্তর করবে। আজকে আর সম্ভব হবে না। আমাদের টিম বিজিবির সহযোগিতায় কাজ করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত