
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে সিরিয়াল জটিলতা, আধিপত্য বিস্তার ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রুটের ভানুগাছ সিএনজি সমিতি ও মোহজিরাবাদ সমিতি ১১ দিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রেখেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, পর্যটক ও সাধারণ যাত্রীরা। এ বিষয়ে দুই উপজেলার সিএনজি সমিতির সভাপতি বাদী হয়ে আদালতের মাধ্যমে পাল্টাপাল্টি মামলা করছেন।
জানা যায়, গত ১৬ নভেম্বর সিরিয়াল জটিলতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভানুগাছ-শ্রীমঙ্গল রুটের কমলগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী চা-বাগান এলাকায় ভানুগাছ বাজার চৌমুহনী সিএনজি গ্রুপ শ্রমিকদের সঙ্গে শ্রীমঙ্গল সিএনজি শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হন। ঘটনার পর থেকে ওই রোডে সিরিয়ালের সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় উভয় সমিতি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
ওই রোড দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শ সিএনজি ও দুই-তিন হাজার যাত্রী স্ট্যান্ডের সিএনজির মাধ্যমে আসা-যাওয়া করেন। ১১ দিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে অনেকে বাস, মাইক্রোবাস, টমটম ও অটোরিকশাযোগে চলাচল করছেন। এতে তাঁদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অন্যদিকে যাত্রীদের জায়গা দিতে বাস পরিবহনগুলোর হিমশিম খেতে হচ্ছে। কয়েক দফা বৈঠক করার পরও কোনো পক্ষ আপস না মেনে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে।
ভানুগাছ শ্রীমঙ্গল স্ট্যান্ডের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান বলেন, 'দুই উপজেলায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। আমাদের স্ট্যান্ডের চালকেরা পরিবার নিয়ে কষ্টে আছেন। আগে আমরা প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা রুজি করতাম। কিন্তু এখন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা রোজগার করা অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমার চাই উভয় সমিতি বিষয়টি দ্রুত সমাধান করুক।'
ঢাকা থেকে কমলগঞ্জে ঘুরতে আশা পর্যটক রিয়াদ আহমদ বলেন, ইচ্ছা ছিল শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ ঘুরে দেখব। কিন্তু সিএনজি অটোরিকশা চলাচল না করার কারণে অন্য এলাকার সিএনজি নিয়ে ৫০ টাকার জায়গায় ৪০০ টাকা ভাড়া দিয়ে শ্রীমঙ্গল থেকে কমলগঞ্জ আসলাম।
ভানুগাছ বাজার চৌমুহনী সিএনজির গ্রুপ কমিটির সভাপতি বেলাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, 'শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রোড মোহজিরাবাদ স্ট্যান্ডের কিছু সিএনজি অটোরিকশাচালক প্রায় সময় ভানুগাছের যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাঁরা ইচ্ছামতো যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করেন। মাঝে মাঝে ৩০ টাকার জায়গায় জোর করে ৫০ টাকা ভাড়া নন। এসব বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত মানেননি। উল্টোদিকে গত ১৬ নভেম্বর থেকে সিএনজি শ্রমিক নিয়ে আমাদের মেরে আহত করেছেন।'
শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রোড সিএনজি পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সুলতান আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, কমলগঞ্জ থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশাগুলো আমাদের স্ট্যান্ডের কোনো নিয়মকানুন মানে না। আমাদের মাঝে সিরিয়াল নিয়ে অনেক দিন ধরে জটিলতা চলছে। এসব বিষয় কমলগঞ্জের সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়। তাঁদের সঙ্গে জেলা শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। উল্টো তাঁরা একদল শ্রমিক নিয়ে আমাদের গাড়ি আটকে চালককে মারপিট করে আহত করেছেন। বিষয়টি সমাধান করার জন্য দুই উপজেলা সিএনজি সমিতি ও জেলা সিএনজি সমিতি আপস করার চেষ্টা করছে।'
মৌলভীবাজার জেলা সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ বলেন, আমরা জেলা সিএনজি চালক সমিতি ও দুই উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মিলে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য চেষ্টা করছি।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, 'শুনেছি দুই উপজেলার সিএনজি অটোরিকশাচালকদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যা চলছে। তাঁরা যদি আমাদের কাছে আসেন, তাহলে বিষয়টি আপস করে দেব। গত ১৬ নভেম্বরের ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করছে পিবিআই।'

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে সিরিয়াল জটিলতা, আধিপত্য বিস্তার ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রুটের ভানুগাছ সিএনজি সমিতি ও মোহজিরাবাদ সমিতি ১১ দিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রেখেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, পর্যটক ও সাধারণ যাত্রীরা। এ বিষয়ে দুই উপজেলার সিএনজি সমিতির সভাপতি বাদী হয়ে আদালতের মাধ্যমে পাল্টাপাল্টি মামলা করছেন।
জানা যায়, গত ১৬ নভেম্বর সিরিয়াল জটিলতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভানুগাছ-শ্রীমঙ্গল রুটের কমলগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী চা-বাগান এলাকায় ভানুগাছ বাজার চৌমুহনী সিএনজি গ্রুপ শ্রমিকদের সঙ্গে শ্রীমঙ্গল সিএনজি শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হন। ঘটনার পর থেকে ওই রোডে সিরিয়ালের সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় উভয় সমিতি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
ওই রোড দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শ সিএনজি ও দুই-তিন হাজার যাত্রী স্ট্যান্ডের সিএনজির মাধ্যমে আসা-যাওয়া করেন। ১১ দিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে অনেকে বাস, মাইক্রোবাস, টমটম ও অটোরিকশাযোগে চলাচল করছেন। এতে তাঁদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অন্যদিকে যাত্রীদের জায়গা দিতে বাস পরিবহনগুলোর হিমশিম খেতে হচ্ছে। কয়েক দফা বৈঠক করার পরও কোনো পক্ষ আপস না মেনে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে।
ভানুগাছ শ্রীমঙ্গল স্ট্যান্ডের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান বলেন, 'দুই উপজেলায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। আমাদের স্ট্যান্ডের চালকেরা পরিবার নিয়ে কষ্টে আছেন। আগে আমরা প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা রুজি করতাম। কিন্তু এখন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা রোজগার করা অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমার চাই উভয় সমিতি বিষয়টি দ্রুত সমাধান করুক।'
ঢাকা থেকে কমলগঞ্জে ঘুরতে আশা পর্যটক রিয়াদ আহমদ বলেন, ইচ্ছা ছিল শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ ঘুরে দেখব। কিন্তু সিএনজি অটোরিকশা চলাচল না করার কারণে অন্য এলাকার সিএনজি নিয়ে ৫০ টাকার জায়গায় ৪০০ টাকা ভাড়া দিয়ে শ্রীমঙ্গল থেকে কমলগঞ্জ আসলাম।
ভানুগাছ বাজার চৌমুহনী সিএনজির গ্রুপ কমিটির সভাপতি বেলাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, 'শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রোড মোহজিরাবাদ স্ট্যান্ডের কিছু সিএনজি অটোরিকশাচালক প্রায় সময় ভানুগাছের যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাঁরা ইচ্ছামতো যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করেন। মাঝে মাঝে ৩০ টাকার জায়গায় জোর করে ৫০ টাকা ভাড়া নন। এসব বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত মানেননি। উল্টোদিকে গত ১৬ নভেম্বর থেকে সিএনজি শ্রমিক নিয়ে আমাদের মেরে আহত করেছেন।'
শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রোড সিএনজি পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সুলতান আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, কমলগঞ্জ থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশাগুলো আমাদের স্ট্যান্ডের কোনো নিয়মকানুন মানে না। আমাদের মাঝে সিরিয়াল নিয়ে অনেক দিন ধরে জটিলতা চলছে। এসব বিষয় কমলগঞ্জের সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়। তাঁদের সঙ্গে জেলা শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। উল্টো তাঁরা একদল শ্রমিক নিয়ে আমাদের গাড়ি আটকে চালককে মারপিট করে আহত করেছেন। বিষয়টি সমাধান করার জন্য দুই উপজেলা সিএনজি সমিতি ও জেলা সিএনজি সমিতি আপস করার চেষ্টা করছে।'
মৌলভীবাজার জেলা সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ বলেন, আমরা জেলা সিএনজি চালক সমিতি ও দুই উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মিলে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য চেষ্টা করছি।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, 'শুনেছি দুই উপজেলার সিএনজি অটোরিকশাচালকদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যা চলছে। তাঁরা যদি আমাদের কাছে আসেন, তাহলে বিষয়টি আপস করে দেব। গত ১৬ নভেম্বরের ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করছে পিবিআই।'

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে সিরিয়াল জটিলতা, আধিপত্য বিস্তার ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রুটের ভানুগাছ সিএনজি সমিতি ও মোহজিরাবাদ সমিতি ১১ দিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রেখেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, পর্যটক ও সাধারণ যাত্রীরা। এ বিষয়ে দুই উপজেলার সিএনজি সমিতির সভাপতি বাদী হয়ে আদালতের মাধ্যমে পাল্টাপাল্টি মামলা করছেন।
জানা যায়, গত ১৬ নভেম্বর সিরিয়াল জটিলতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভানুগাছ-শ্রীমঙ্গল রুটের কমলগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী চা-বাগান এলাকায় ভানুগাছ বাজার চৌমুহনী সিএনজি গ্রুপ শ্রমিকদের সঙ্গে শ্রীমঙ্গল সিএনজি শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হন। ঘটনার পর থেকে ওই রোডে সিরিয়ালের সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় উভয় সমিতি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
ওই রোড দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শ সিএনজি ও দুই-তিন হাজার যাত্রী স্ট্যান্ডের সিএনজির মাধ্যমে আসা-যাওয়া করেন। ১১ দিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে অনেকে বাস, মাইক্রোবাস, টমটম ও অটোরিকশাযোগে চলাচল করছেন। এতে তাঁদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অন্যদিকে যাত্রীদের জায়গা দিতে বাস পরিবহনগুলোর হিমশিম খেতে হচ্ছে। কয়েক দফা বৈঠক করার পরও কোনো পক্ষ আপস না মেনে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে।
ভানুগাছ শ্রীমঙ্গল স্ট্যান্ডের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান বলেন, 'দুই উপজেলায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। আমাদের স্ট্যান্ডের চালকেরা পরিবার নিয়ে কষ্টে আছেন। আগে আমরা প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা রুজি করতাম। কিন্তু এখন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা রোজগার করা অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমার চাই উভয় সমিতি বিষয়টি দ্রুত সমাধান করুক।'
ঢাকা থেকে কমলগঞ্জে ঘুরতে আশা পর্যটক রিয়াদ আহমদ বলেন, ইচ্ছা ছিল শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ ঘুরে দেখব। কিন্তু সিএনজি অটোরিকশা চলাচল না করার কারণে অন্য এলাকার সিএনজি নিয়ে ৫০ টাকার জায়গায় ৪০০ টাকা ভাড়া দিয়ে শ্রীমঙ্গল থেকে কমলগঞ্জ আসলাম।
ভানুগাছ বাজার চৌমুহনী সিএনজির গ্রুপ কমিটির সভাপতি বেলাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, 'শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রোড মোহজিরাবাদ স্ট্যান্ডের কিছু সিএনজি অটোরিকশাচালক প্রায় সময় ভানুগাছের যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাঁরা ইচ্ছামতো যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করেন। মাঝে মাঝে ৩০ টাকার জায়গায় জোর করে ৫০ টাকা ভাড়া নন। এসব বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত মানেননি। উল্টোদিকে গত ১৬ নভেম্বর থেকে সিএনজি শ্রমিক নিয়ে আমাদের মেরে আহত করেছেন।'
শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রোড সিএনজি পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সুলতান আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, কমলগঞ্জ থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশাগুলো আমাদের স্ট্যান্ডের কোনো নিয়মকানুন মানে না। আমাদের মাঝে সিরিয়াল নিয়ে অনেক দিন ধরে জটিলতা চলছে। এসব বিষয় কমলগঞ্জের সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়। তাঁদের সঙ্গে জেলা শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। উল্টো তাঁরা একদল শ্রমিক নিয়ে আমাদের গাড়ি আটকে চালককে মারপিট করে আহত করেছেন। বিষয়টি সমাধান করার জন্য দুই উপজেলা সিএনজি সমিতি ও জেলা সিএনজি সমিতি আপস করার চেষ্টা করছে।'
মৌলভীবাজার জেলা সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ বলেন, আমরা জেলা সিএনজি চালক সমিতি ও দুই উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মিলে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য চেষ্টা করছি।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, 'শুনেছি দুই উপজেলার সিএনজি অটোরিকশাচালকদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যা চলছে। তাঁরা যদি আমাদের কাছে আসেন, তাহলে বিষয়টি আপস করে দেব। গত ১৬ নভেম্বরের ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করছে পিবিআই।'

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে সিরিয়াল জটিলতা, আধিপত্য বিস্তার ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রুটের ভানুগাছ সিএনজি সমিতি ও মোহজিরাবাদ সমিতি ১১ দিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রেখেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, পর্যটক ও সাধারণ যাত্রীরা। এ বিষয়ে দুই উপজেলার সিএনজি সমিতির সভাপতি বাদী হয়ে আদালতের মাধ্যমে পাল্টাপাল্টি মামলা করছেন।
জানা যায়, গত ১৬ নভেম্বর সিরিয়াল জটিলতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভানুগাছ-শ্রীমঙ্গল রুটের কমলগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী চা-বাগান এলাকায় ভানুগাছ বাজার চৌমুহনী সিএনজি গ্রুপ শ্রমিকদের সঙ্গে শ্রীমঙ্গল সিএনজি শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হন। ঘটনার পর থেকে ওই রোডে সিরিয়ালের সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় উভয় সমিতি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
ওই রোড দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শ সিএনজি ও দুই-তিন হাজার যাত্রী স্ট্যান্ডের সিএনজির মাধ্যমে আসা-যাওয়া করেন। ১১ দিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে অনেকে বাস, মাইক্রোবাস, টমটম ও অটোরিকশাযোগে চলাচল করছেন। এতে তাঁদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অন্যদিকে যাত্রীদের জায়গা দিতে বাস পরিবহনগুলোর হিমশিম খেতে হচ্ছে। কয়েক দফা বৈঠক করার পরও কোনো পক্ষ আপস না মেনে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে।
ভানুগাছ শ্রীমঙ্গল স্ট্যান্ডের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান বলেন, 'দুই উপজেলায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। আমাদের স্ট্যান্ডের চালকেরা পরিবার নিয়ে কষ্টে আছেন। আগে আমরা প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা রুজি করতাম। কিন্তু এখন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা রোজগার করা অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমার চাই উভয় সমিতি বিষয়টি দ্রুত সমাধান করুক।'
ঢাকা থেকে কমলগঞ্জে ঘুরতে আশা পর্যটক রিয়াদ আহমদ বলেন, ইচ্ছা ছিল শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ ঘুরে দেখব। কিন্তু সিএনজি অটোরিকশা চলাচল না করার কারণে অন্য এলাকার সিএনজি নিয়ে ৫০ টাকার জায়গায় ৪০০ টাকা ভাড়া দিয়ে শ্রীমঙ্গল থেকে কমলগঞ্জ আসলাম।
ভানুগাছ বাজার চৌমুহনী সিএনজির গ্রুপ কমিটির সভাপতি বেলাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, 'শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রোড মোহজিরাবাদ স্ট্যান্ডের কিছু সিএনজি অটোরিকশাচালক প্রায় সময় ভানুগাছের যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাঁরা ইচ্ছামতো যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করেন। মাঝে মাঝে ৩০ টাকার জায়গায় জোর করে ৫০ টাকা ভাড়া নন। এসব বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত মানেননি। উল্টোদিকে গত ১৬ নভেম্বর থেকে সিএনজি শ্রমিক নিয়ে আমাদের মেরে আহত করেছেন।'
শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রোড সিএনজি পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সুলতান আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, কমলগঞ্জ থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশাগুলো আমাদের স্ট্যান্ডের কোনো নিয়মকানুন মানে না। আমাদের মাঝে সিরিয়াল নিয়ে অনেক দিন ধরে জটিলতা চলছে। এসব বিষয় কমলগঞ্জের সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়। তাঁদের সঙ্গে জেলা শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। উল্টো তাঁরা একদল শ্রমিক নিয়ে আমাদের গাড়ি আটকে চালককে মারপিট করে আহত করেছেন। বিষয়টি সমাধান করার জন্য দুই উপজেলা সিএনজি সমিতি ও জেলা সিএনজি সমিতি আপস করার চেষ্টা করছে।'
মৌলভীবাজার জেলা সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ বলেন, আমরা জেলা সিএনজি চালক সমিতি ও দুই উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মিলে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য চেষ্টা করছি।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, 'শুনেছি দুই উপজেলার সিএনজি অটোরিকশাচালকদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যা চলছে। তাঁরা যদি আমাদের কাছে আসেন, তাহলে বিষয়টি আপস করে দেব। গত ১৬ নভেম্বরের ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করছে পিবিআই।'

দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন, মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে তৃণমূলের মজলুম নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত—সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। একই সঙ্গে অতীতের একটি বহিষ্কার ও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহারের উদাহরণ তুলে ধরেন।
৩ মিনিট আগে
বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগে
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
৮ ঘণ্টা আগেদশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা–গলাচিপা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে নেতাকর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বিএনপির সমঝোতার অংশ হিসেবে ওই আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। এ ঘোষণার পর দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন হাসান মামুন। তিনি নুরুল হক নুরের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেন। এর আগেই গত ২৮ ডিসেম্বর তিনি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এদিকে গতকাল বুধবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে হাসান মামুনকে নির্বাহী কমিটির সদস্য পদসহ প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কারের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পর হাসান মামুন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একাধিক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি নেতাকর্মী ও ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বুধবার রাত ৮টার দিকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত ছিল এবং তিনি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। একই পোস্টে নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে আরেক পোস্টে তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন, মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে তৃণমূলের মজলুম নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত—সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। একই সঙ্গে অতীতের একটি বহিষ্কার ও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহারের উদাহরণ তুলে ধরেন।
রাত ১১টার দিকে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ৩৭ বছরের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত কর্মীদের চেয়ে দুই দিনের অবিশ্বস্ত ও ফ্রন্ট মিত্রদের সঙ্গে চলা বিষধর সাপের সঙ্গে বসবাসের চেয়েও ঝুঁকিপূর্ণ।
সবশেষ পোস্টে তিনি লেখেন, সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। সাংগঠনিক কমিটি ভেঙে দেওয়া হলে সেই কমিটির নেতৃত্বেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করার আহ্বান জানান তিনি। তার ভাষায়, নেতাকর্মী ও ভোটাররাই তাদের মূল শক্তি।

পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা–গলাচিপা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে নেতাকর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বিএনপির সমঝোতার অংশ হিসেবে ওই আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। এ ঘোষণার পর দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন হাসান মামুন। তিনি নুরুল হক নুরের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেন। এর আগেই গত ২৮ ডিসেম্বর তিনি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এদিকে গতকাল বুধবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে হাসান মামুনকে নির্বাহী কমিটির সদস্য পদসহ প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কারের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পর হাসান মামুন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একাধিক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি নেতাকর্মী ও ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বুধবার রাত ৮টার দিকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত ছিল এবং তিনি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। একই পোস্টে নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে আরেক পোস্টে তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন, মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে তৃণমূলের মজলুম নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত—সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। একই সঙ্গে অতীতের একটি বহিষ্কার ও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহারের উদাহরণ তুলে ধরেন।
রাত ১১টার দিকে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ৩৭ বছরের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত কর্মীদের চেয়ে দুই দিনের অবিশ্বস্ত ও ফ্রন্ট মিত্রদের সঙ্গে চলা বিষধর সাপের সঙ্গে বসবাসের চেয়েও ঝুঁকিপূর্ণ।
সবশেষ পোস্টে তিনি লেখেন, সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। সাংগঠনিক কমিটি ভেঙে দেওয়া হলে সেই কমিটির নেতৃত্বেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করার আহ্বান জানান তিনি। তার ভাষায়, নেতাকর্মী ও ভোটাররাই তাদের মূল শক্তি।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে সিরিয়াল জটিলতা, আধিপত্য বিস্তার ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রুটের ভানুগাছ সিএনজি সমিতি ও মোহজিরাবাদ সমিতি ১১ দিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রেখেছে।
২৬ নভেম্বর ২০২১
বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগে
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
৮ ঘণ্টা আগেজিল্লুর রহমান, মান্দা (নওগাঁ)

বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা। শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা ও অসুস্থতায় ভুগেও ক্লাসে বসতে হচ্ছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে। নিরাপদ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের বদলে কালো ধোঁয়ার নিচে বড় হচ্ছে তাদের শৈশব—যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য এক গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে উপজেলার সাবাইহাট এলাকার ঝাঁঝরের মোড়ে ‘যমুনা ব্রিকস’ নামে ইটভাটাটি স্থাপন করা হয়েছে। ভাটার মাত্র ২৫০ মিটার দূরে রয়েছে একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একরুখী উচ্চবিদ্যালয়। আশপাশে রয়েছে আবাসিক এলাকা ও দুটি আমবাগান। গোসাইপুর গ্রামের কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি ভাটাটি পরিচালনা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ফিক্সড চিমনির মাধ্যমে ইট পোড়ানো হচ্ছে। কয়লার পাশাপাশি কাঠের খড়ি ব্যবহার করায় ধোঁয়ার মাত্রা আরও বেড়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে বসে পড়াশোনা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১৩ সালের সংশোধনী) অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা ও বাগানের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা নিষিদ্ধ। তবে এই আইন অমান্য করেই প্রায় ২০ বছর ভাটাটি পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, গত বছর ভাটা চালু হওয়ার পর তার এক সহপাঠী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং চিকিৎসা নিতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী শ্বাসকষ্টে ভোগে বলেও জানায় সে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুল বলেন, ইটভাটাটি নিয়ে তেমন কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কিছুদিন আগে ভাটামালিক ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন।
জানতে চাইলে ভাটামালিক কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়েই ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আগামী বছর থেকে আর ব্যবসা করব না।’
এ বিষয়ে ইউএনও আখতার জাহান সাথী বলেন, যমুনা ব্রিকসের পরিবেশ ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে লাইসেন্সবিহীন সব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা। শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা ও অসুস্থতায় ভুগেও ক্লাসে বসতে হচ্ছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে। নিরাপদ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের বদলে কালো ধোঁয়ার নিচে বড় হচ্ছে তাদের শৈশব—যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য এক গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে উপজেলার সাবাইহাট এলাকার ঝাঁঝরের মোড়ে ‘যমুনা ব্রিকস’ নামে ইটভাটাটি স্থাপন করা হয়েছে। ভাটার মাত্র ২৫০ মিটার দূরে রয়েছে একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একরুখী উচ্চবিদ্যালয়। আশপাশে রয়েছে আবাসিক এলাকা ও দুটি আমবাগান। গোসাইপুর গ্রামের কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি ভাটাটি পরিচালনা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ফিক্সড চিমনির মাধ্যমে ইট পোড়ানো হচ্ছে। কয়লার পাশাপাশি কাঠের খড়ি ব্যবহার করায় ধোঁয়ার মাত্রা আরও বেড়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে বসে পড়াশোনা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১৩ সালের সংশোধনী) অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা ও বাগানের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা নিষিদ্ধ। তবে এই আইন অমান্য করেই প্রায় ২০ বছর ভাটাটি পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, গত বছর ভাটা চালু হওয়ার পর তার এক সহপাঠী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং চিকিৎসা নিতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী শ্বাসকষ্টে ভোগে বলেও জানায় সে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুল বলেন, ইটভাটাটি নিয়ে তেমন কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কিছুদিন আগে ভাটামালিক ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন।
জানতে চাইলে ভাটামালিক কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়েই ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আগামী বছর থেকে আর ব্যবসা করব না।’
এ বিষয়ে ইউএনও আখতার জাহান সাথী বলেন, যমুনা ব্রিকসের পরিবেশ ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে লাইসেন্সবিহীন সব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে সিরিয়াল জটিলতা, আধিপত্য বিস্তার ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রুটের ভানুগাছ সিএনজি সমিতি ও মোহজিরাবাদ সমিতি ১১ দিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রেখেছে।
২৬ নভেম্বর ২০২১
দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন, মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে তৃণমূলের মজলুম নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত—সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। একই সঙ্গে অতীতের একটি বহিষ্কার ও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহারের উদাহরণ তুলে ধরেন।
৩ মিনিট আগে
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
৮ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির ১ আসন
নীরব চৌধুরী বিটন, খাগড়াছড়ি

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সবুজ পাহাড়ের রাজনীতির হিসাবনিকাশ বুঝতে মূল রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলোর ভোটের অঙ্ক কষতে হয় বিশ্লেষকদের। ভোটের সময় সেই অঙ্কে যুক্ত হয় পাহাড়ি-বাঙালি সমীকরণ। এবার জয়ের সমীকরণ পাল্টে দিতে পারে পাহাড়ি ভোটাররা।
২৯৮ নম্বর খাগড়াছড়ি আসনে বিএনপি, জামায়াত, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৬ জন। তাঁরা হলেন বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, জামায়াতের এয়াকুব আলী, ইসলামী আন্দোলনের মো. কাউসার, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের নুর ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সমীরণ দেওয়ান, সন্তোষিত চাকমা, লাব্রিচাই মারমা, ধর্ম জ্যোতি চাকমা, সোনা রতন চাকমা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিরুনা ত্রিপুরা, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা, খেলাফতে মজলিস মনোনীত আনোয়ার হোসাইন মিয়াজী, গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত দীনময় রোয়াজা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মনোনীত মো. মোস্তাফা, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি মনোনীত উশোপ্রু মারমা। এদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনজিলা সুলতানা ঝুমা।
জানা গেছে, বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি দল প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বেশ কৌশলী এবং শক্তিশালী। কারণ পাহাড়ি ভোটার। স্থানীয় আঞ্চলিক দল ও আঞ্চলিকতার প্রশ্নে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটের বাক্সে বেশ এককাট্টা স্থানীয় ভোটাররা।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নির্বাচনের ব্যাপারে আগে নীরব থাকলেও এখন তারা অনেকটা সরব। পাহাড়ের আরেক শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি জেএসএস (এমএন লারমা) সরাসরি ভোটে না এলেও পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়ার কথা বলছে। ফলে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য জয়ে আশার বাতিঘরে কিছুটা হতাশাও বেশ প্রকাশ্যে। এ ছাড়া প্রার্থীর যোগ্যতা, ভোটারদের বিগত দিনের বিশ্লেষণ এবং হিসাবনিকাশে জয়ে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে পারে আশাবাদী দলগুলো।
আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার আগপর্যন্ত পাহাড়ের ভোটের যে সমীকরণ ছিল; এখন সেটা পাল্টে গেছে। কারণ আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনে না এলে ভোটের মাঠ অনেকটা বিএনপি ও জামায়াতের দখলেই থাকত। কিন্তু ইউপিডিএফ ও জেএসএসের নির্বাচনে থাকার ঘোষণা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন মাত্রা দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী নির্বাচন সরল-দ্বিমুখী লড়াইয়ের বদলে কোথাও কোথাও কঠিন-ত্রিমুখী লড়াইয়ে পরিণত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বিএনপি। যদিও আওয়ামী লীগহীন এই নির্বাচনে বিএনপি সারা দেশেই বড় জয়ের আশা করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ভোট কোন বাক্সে পড়বে, সেটিও দেখার পালা এবার।
পাল্টে যাওয়া সমীকরণ
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য খাগড়াছড়িতে জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া প্রার্থী ঘোষণার আগ থেকেই গণসংযোগে রয়েছেন। প্রার্থিতা ও তফসিল ঘোষণার পর প্রচারে আরও সরব হয়ে উঠেছেন তিনি। ইউপিডিএফ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার আগপর্যন্ত এখানে ওয়াদুদ ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এয়াকুব আলীকে ধরা হলেও এখন সমীকরণ পাল্টে গেছে।
বিএনপির প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি আগেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণ আমাকে চিনে। জেলার বেশির ভাগ সড়ক, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বিহার আমার সময়ে নির্মিত হয়েছে। পাহাড়ি-বাঙালি উভয় জনগোষ্ঠীর মানুষ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। এরই মধ্যে চাকমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ স্বতন্ত্রভাবে আমার সমর্থনে সমাবেশও করেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এয়াকুব আলী বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ তৈরি করব, যেখানে নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে, নিরাপত্তা নিয়ে ভয়হীন দেশে ইনসাফের সঙ্গে বসবাস করবে। পাহাড়ি-বাঙালি মিলেমিশে তৈরি হবে এক সম্প্রীতির বাংলাদেশ।’
জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনমুখী দল। তবে এই নির্বাচনে আমরা সরাসরি কোনো প্রার্থী না দিলেও কোনো না কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেব। তবে কোনো দলকে নয়। খাগড়াছড়ির এবার পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন।’
পাহাড়িদের দীর্ঘদিনের ভূমি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অধিকারসংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে জাতীয় দলগুলোর আন্তরিকতা নিয়ে অভিযোগও বেশ পুরোনো। এই প্রেক্ষাপটে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী থেকে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়টিকে বেশ গুরুত্বসহকারে দেখছেন স্থানীয় পাহাড়ি ভোটাররা। এখানেই তাঁরা এককাট্টা।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সবুজ পাহাড়ের রাজনীতির হিসাবনিকাশ বুঝতে মূল রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলোর ভোটের অঙ্ক কষতে হয় বিশ্লেষকদের। ভোটের সময় সেই অঙ্কে যুক্ত হয় পাহাড়ি-বাঙালি সমীকরণ। এবার জয়ের সমীকরণ পাল্টে দিতে পারে পাহাড়ি ভোটাররা।
২৯৮ নম্বর খাগড়াছড়ি আসনে বিএনপি, জামায়াত, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৬ জন। তাঁরা হলেন বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, জামায়াতের এয়াকুব আলী, ইসলামী আন্দোলনের মো. কাউসার, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের নুর ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সমীরণ দেওয়ান, সন্তোষিত চাকমা, লাব্রিচাই মারমা, ধর্ম জ্যোতি চাকমা, সোনা রতন চাকমা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিরুনা ত্রিপুরা, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা, খেলাফতে মজলিস মনোনীত আনোয়ার হোসাইন মিয়াজী, গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত দীনময় রোয়াজা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মনোনীত মো. মোস্তাফা, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি মনোনীত উশোপ্রু মারমা। এদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনজিলা সুলতানা ঝুমা।
জানা গেছে, বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি দল প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বেশ কৌশলী এবং শক্তিশালী। কারণ পাহাড়ি ভোটার। স্থানীয় আঞ্চলিক দল ও আঞ্চলিকতার প্রশ্নে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটের বাক্সে বেশ এককাট্টা স্থানীয় ভোটাররা।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নির্বাচনের ব্যাপারে আগে নীরব থাকলেও এখন তারা অনেকটা সরব। পাহাড়ের আরেক শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি জেএসএস (এমএন লারমা) সরাসরি ভোটে না এলেও পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়ার কথা বলছে। ফলে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য জয়ে আশার বাতিঘরে কিছুটা হতাশাও বেশ প্রকাশ্যে। এ ছাড়া প্রার্থীর যোগ্যতা, ভোটারদের বিগত দিনের বিশ্লেষণ এবং হিসাবনিকাশে জয়ে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে পারে আশাবাদী দলগুলো।
আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার আগপর্যন্ত পাহাড়ের ভোটের যে সমীকরণ ছিল; এখন সেটা পাল্টে গেছে। কারণ আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনে না এলে ভোটের মাঠ অনেকটা বিএনপি ও জামায়াতের দখলেই থাকত। কিন্তু ইউপিডিএফ ও জেএসএসের নির্বাচনে থাকার ঘোষণা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন মাত্রা দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী নির্বাচন সরল-দ্বিমুখী লড়াইয়ের বদলে কোথাও কোথাও কঠিন-ত্রিমুখী লড়াইয়ে পরিণত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বিএনপি। যদিও আওয়ামী লীগহীন এই নির্বাচনে বিএনপি সারা দেশেই বড় জয়ের আশা করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ভোট কোন বাক্সে পড়বে, সেটিও দেখার পালা এবার।
পাল্টে যাওয়া সমীকরণ
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য খাগড়াছড়িতে জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া প্রার্থী ঘোষণার আগ থেকেই গণসংযোগে রয়েছেন। প্রার্থিতা ও তফসিল ঘোষণার পর প্রচারে আরও সরব হয়ে উঠেছেন তিনি। ইউপিডিএফ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার আগপর্যন্ত এখানে ওয়াদুদ ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এয়াকুব আলীকে ধরা হলেও এখন সমীকরণ পাল্টে গেছে।
বিএনপির প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি আগেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণ আমাকে চিনে। জেলার বেশির ভাগ সড়ক, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বিহার আমার সময়ে নির্মিত হয়েছে। পাহাড়ি-বাঙালি উভয় জনগোষ্ঠীর মানুষ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। এরই মধ্যে চাকমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ স্বতন্ত্রভাবে আমার সমর্থনে সমাবেশও করেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এয়াকুব আলী বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ তৈরি করব, যেখানে নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে, নিরাপত্তা নিয়ে ভয়হীন দেশে ইনসাফের সঙ্গে বসবাস করবে। পাহাড়ি-বাঙালি মিলেমিশে তৈরি হবে এক সম্প্রীতির বাংলাদেশ।’
জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনমুখী দল। তবে এই নির্বাচনে আমরা সরাসরি কোনো প্রার্থী না দিলেও কোনো না কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেব। তবে কোনো দলকে নয়। খাগড়াছড়ির এবার পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন।’
পাহাড়িদের দীর্ঘদিনের ভূমি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অধিকারসংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে জাতীয় দলগুলোর আন্তরিকতা নিয়ে অভিযোগও বেশ পুরোনো। এই প্রেক্ষাপটে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী থেকে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়টিকে বেশ গুরুত্বসহকারে দেখছেন স্থানীয় পাহাড়ি ভোটাররা। এখানেই তাঁরা এককাট্টা।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে সিরিয়াল জটিলতা, আধিপত্য বিস্তার ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রুটের ভানুগাছ সিএনজি সমিতি ও মোহজিরাবাদ সমিতি ১১ দিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রেখেছে।
২৬ নভেম্বর ২০২১
দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন, মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে তৃণমূলের মজলুম নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত—সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। একই সঙ্গে অতীতের একটি বহিষ্কার ও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহারের উদাহরণ তুলে ধরেন।
৩ মিনিট আগে
বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগে
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
৮ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের আগেই তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ-সংক্রান্ত দুটি ছবি তিনি পোস্ট করেন, যেখানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সংযুক্ত ছিল। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ২৮ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পরে সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত। আমি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে দেওয়া পৃথক এক পোস্টে হাসান মামুন প্রশ্ন তোলেন, ‘ময়মনসিংহের ফখরুদ্দিন বাচ্চুকে বহিষ্কার, তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে মামলা করার কত দিন পরে ডেকে এনে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও সঙ্গে মনোনয়ন দেওয়া হলো?’
এরপর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সকল সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন হাসান মামুন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসনটি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। এরপরও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই সঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব কর্মকাণ্ড বিএনপির গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে হাসান মামুনকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের আগেই তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ-সংক্রান্ত দুটি ছবি তিনি পোস্ট করেন, যেখানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সংযুক্ত ছিল। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ২৮ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পরে সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত। আমি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে দেওয়া পৃথক এক পোস্টে হাসান মামুন প্রশ্ন তোলেন, ‘ময়মনসিংহের ফখরুদ্দিন বাচ্চুকে বহিষ্কার, তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে মামলা করার কত দিন পরে ডেকে এনে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও সঙ্গে মনোনয়ন দেওয়া হলো?’
এরপর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সকল সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন হাসান মামুন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসনটি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। এরপরও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই সঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব কর্মকাণ্ড বিএনপির গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে হাসান মামুনকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে সিরিয়াল জটিলতা, আধিপত্য বিস্তার ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রুটের ভানুগাছ সিএনজি সমিতি ও মোহজিরাবাদ সমিতি ১১ দিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রেখেছে।
২৬ নভেম্বর ২০২১
দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন, মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে তৃণমূলের মজলুম নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত—সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। একই সঙ্গে অতীতের একটি বহিষ্কার ও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহারের উদাহরণ তুলে ধরেন।
৩ মিনিট আগে
বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগে
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে