নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

‘এক দল খেয়ে গিয়েছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে’—এই বক্তব্য নিজেদের গায়ে মেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই অনভিপ্রেত হয়েছে। কোনো দলকে টার্গেট করে বা কোনো দলের পক্ষে আমরা কখনো কথা বলি না। আমরা কোরআনের পক্ষে কথা বলি, ইসলামের পক্ষে কথা বলি।’
গতকাল শনিবার রাতে সিলেটের এমসি কলেজ মাঠে তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের সমাপনী দিনে আলোচনায় নিজেকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে মিজানুর রহমান আজহারী এসব কথা বলেন। আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেটের উদ্যোগে এই মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মাহফিলে সব দল-মতের লোকজনকে স্বাগত জানিয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘যারা আমাদের বিরোধিতা করে, ঘৃণা ছড়ায়; তাদের জন্যও আমাদের বুকভরা ভালোবাসা রয়েছে। কারণ, ভালোবাসা দিয়ে যা জয় করা যায়, কঠোরতা দিয়ে তা পারা যায় না। তো যারা বিরোধিতার জন্য আমাদের আলোচনা শোনেন, তাঁদেরও স্বাগত। যারা আমাদের আলোচনা আউট অব কনটেক্সটে নিয়ে এক জায়গার মাথায় আরেক জায়গার লেজ জুড়ে দেন, তাঁদেরও স্বাগত।’
আজহারী বলেন, ‘গত সপ্তাহে খুলনা বিভাগের প্রোগ্রাম ছিল যশোরের আদ্বদীন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে। তো যশোরের প্রোগ্রামের এক ভিডিওর পেছনে আমাদের কিছু দ্বীনি ভাই ছয় বছর আগের এক অডিও ব্যাকগ্রাউন্ডে জুড়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের প্রতিও আমাদের কোনো রাগ নেই, ক্ষোভ নেই। তাঁরা হয়তো দ্বীনি তাগাদা থেকেই এটা করেছেন। কিন্তু তাঁরা হয়তো বুঝতে পারেননি যে রিসেন্ট আলোচনার ভিডিওর পেছনে ছয় বছর আগের অডিও জুড়ে দেওয়া, এটাকে বাংলায় বলে প্রতারণা, ধোঁকাবাজি। বিশ্বনবী (স.) বলেছেন, “যে আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।” তো বিশ্বনবীর এই হাদিস তাঁরা মনে রাখেন না। এ জন্য বিশ্বনবীর প্রতি শুধু ভালোবাসা আপনাকে বাঁচাতে পারবে না, যদি আপনি বিশ্বনবীর আদর্শ গ্রহণ না করেন।’
বিএনপি নেতাদের ইঙ্গিত করে মাওলানা আজহারী বলেন, ‘আমার গত সপ্তাহের যশোরের আলোচনার একটা লাইনকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক রাজনীতিবিদ বন্ধু অনেক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। ওই কথাকে নিজেদের গায়ে টেনে, নিজেদের গায়ে মেখে তাঁরা ক্ষুব্ধও হয়েছেন। প্রিয় ভাইয়েরা, আমি বলেছিলাম, “এক দল খেয়ে গিয়েছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে।” এখানে কি আমি কোনো দলের নাম বলেছি? বাংলাদেশে ৪৮টা প্রায় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। কোনো দলের নাম আমি বলিনি। কথাটাকে আমি জেনারেল রেখেছি। দায়ীদের বৈশিষ্ট্যই এটা। দায়ীরা জেনারেল কথাই বলে, যার যে মেসেজ নেওয়ার, তারা সেখান থেকে নিয়ে নেয়। তো কোনো দল এটা নিয়ে কোনো কথা বলল না। আপনারা এটাকে নিজেদের গায়ে যে মাখালেন, এটা ঠিক হয়নি। এটা খুবই অনভিপ্রেত হয়েছে। কোনো দলকে টার্গেট করে বা কোনো দলের পক্ষে আমরা কখনো কথা বলি না। আমরা কোরআনের পক্ষে কথা বলি, ইসলামের পক্ষে কথা বলি।’

কয়েক লাখ জনতার উপস্থিতিতে সিলেট এমসি কলেজ মাঠে শেষ হয়েছে আঞ্জুমানের তিন দিনব্যাপী ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিল। শনিবার শেষ দিনে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসির শুনতে দুপুর থেকে এমসি মাঠমুখী শুরু হয় জনস্রোত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উপস্থিতি। বিকেলের আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় এমসি কলেজ মাঠ। সন্ধ্যার পরপর জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরে আশপাশের এলাকায়। এই মাঠে মাহফিলে এত লোক আগে দেখেনি কেউ। মাঠ ও মাঠের বাইরে আটটি প্রজেক্টর স্থাপন করা হয়।
মাহফিলের শেষ দিনের পৃথক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেটের সভাপতি প্রফেসর মাওলানা সৈয়দ একরামুল হক ও আল্লামা ইসহাক আল মাদানী।
ড. মিজানুর রহমান আজহারী ছাড়াও শেষ দিনে তাফসির পেশ করেন আল্লামা ইসহাক আল মাদানী, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, মুফতি আমীর হামজা, শায়খ হাফিজ মাওলানা আবু সাঈদ, অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী, মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, শায়েখ আজমল মসরুর, মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার, মাওলানা মাহবুবুর রহমান জালালাবাদী ও মাওলানা হাসানুল বান্না বিন শরিফ আব্দুল কাদির।
ড. আজহারী আরও বলেন, ‘চব্বিশের রক্তাক্ত আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে আমাদের তরুণ ছাত্র ও যুব সমাজ। এই তরুণদের হাতেই নিরাপদ আমাদের বাংলাদেশ, নিরাপদ লাল-সবুজের পতাকা। তরুণ প্রজন্মকে কোরআন-হাদিসের আলোয় আলোকিত করতে হবে। তাহলে দেশ-জাতি সমাজ উপকৃত হবে। আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেট অঞ্চলের জন্য একটি নেয়ামত। এই সংগঠনটির সঙ্গে শহীদ আল্লামা সাঈদী (র.)-এর স্মৃতি জড়িত রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ৩৫ বছর ধরে তিনি এখানে তাফসির করেছেন। সংগঠনটি শুধু দ্বীনের দাওয়াতের কাজ করে না, সামাজিক অঙ্গনে বিশাল ভূমিকা রেখে আসছে। মাহফিলে তিনি আল্লামা ফুলতলী (র.), আল্লামা গহরপুরী (র.), শায়খে কৌড়িয়া (র.)-সহ সিলেটের প্রবীণ আলেমদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মুসলিম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন ইউকে অ্যান্ড ইউরোপের সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল মতিন চৌধুরী, লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকার ব্যারিস্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ ও টিভি আলোচক ড. ফয়জুল হক।
সকালে মহিলা মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা হাবিবুর রহমান ও হাফেজ আনওয়ার হোসাইন খান। আলোচনা শেষে নারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শায়েখ শাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ। সঞ্চালনা করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
মাহফিলের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার আলোচনা করেন শায়েখ শাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ, মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী, আল্লামা সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী, শায়েখ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান আল মাদানী, হাফিজ মিফতাহুদ্দীন, কারি মাওলানা মতিউর রহমান ও মাওলানা সাদিক সিকান্দর।
প্রথম দিন বৃহস্পতিবার তাফসির পেশ করেন মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমীন, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা কমর উদ্দিন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা আব্দুল হাই জিহাদী, শায়েখ আব্দুল হক, ড. মাওলানা এ এইচ এম সোলাইমান ও মাওলানা মাশুক আহমদ।

‘এক দল খেয়ে গিয়েছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে’—এই বক্তব্য নিজেদের গায়ে মেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই অনভিপ্রেত হয়েছে। কোনো দলকে টার্গেট করে বা কোনো দলের পক্ষে আমরা কখনো কথা বলি না। আমরা কোরআনের পক্ষে কথা বলি, ইসলামের পক্ষে কথা বলি।’
গতকাল শনিবার রাতে সিলেটের এমসি কলেজ মাঠে তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের সমাপনী দিনে আলোচনায় নিজেকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে মিজানুর রহমান আজহারী এসব কথা বলেন। আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেটের উদ্যোগে এই মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মাহফিলে সব দল-মতের লোকজনকে স্বাগত জানিয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘যারা আমাদের বিরোধিতা করে, ঘৃণা ছড়ায়; তাদের জন্যও আমাদের বুকভরা ভালোবাসা রয়েছে। কারণ, ভালোবাসা দিয়ে যা জয় করা যায়, কঠোরতা দিয়ে তা পারা যায় না। তো যারা বিরোধিতার জন্য আমাদের আলোচনা শোনেন, তাঁদেরও স্বাগত। যারা আমাদের আলোচনা আউট অব কনটেক্সটে নিয়ে এক জায়গার মাথায় আরেক জায়গার লেজ জুড়ে দেন, তাঁদেরও স্বাগত।’
আজহারী বলেন, ‘গত সপ্তাহে খুলনা বিভাগের প্রোগ্রাম ছিল যশোরের আদ্বদীন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে। তো যশোরের প্রোগ্রামের এক ভিডিওর পেছনে আমাদের কিছু দ্বীনি ভাই ছয় বছর আগের এক অডিও ব্যাকগ্রাউন্ডে জুড়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের প্রতিও আমাদের কোনো রাগ নেই, ক্ষোভ নেই। তাঁরা হয়তো দ্বীনি তাগাদা থেকেই এটা করেছেন। কিন্তু তাঁরা হয়তো বুঝতে পারেননি যে রিসেন্ট আলোচনার ভিডিওর পেছনে ছয় বছর আগের অডিও জুড়ে দেওয়া, এটাকে বাংলায় বলে প্রতারণা, ধোঁকাবাজি। বিশ্বনবী (স.) বলেছেন, “যে আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।” তো বিশ্বনবীর এই হাদিস তাঁরা মনে রাখেন না। এ জন্য বিশ্বনবীর প্রতি শুধু ভালোবাসা আপনাকে বাঁচাতে পারবে না, যদি আপনি বিশ্বনবীর আদর্শ গ্রহণ না করেন।’
বিএনপি নেতাদের ইঙ্গিত করে মাওলানা আজহারী বলেন, ‘আমার গত সপ্তাহের যশোরের আলোচনার একটা লাইনকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক রাজনীতিবিদ বন্ধু অনেক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। ওই কথাকে নিজেদের গায়ে টেনে, নিজেদের গায়ে মেখে তাঁরা ক্ষুব্ধও হয়েছেন। প্রিয় ভাইয়েরা, আমি বলেছিলাম, “এক দল খেয়ে গিয়েছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে।” এখানে কি আমি কোনো দলের নাম বলেছি? বাংলাদেশে ৪৮টা প্রায় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। কোনো দলের নাম আমি বলিনি। কথাটাকে আমি জেনারেল রেখেছি। দায়ীদের বৈশিষ্ট্যই এটা। দায়ীরা জেনারেল কথাই বলে, যার যে মেসেজ নেওয়ার, তারা সেখান থেকে নিয়ে নেয়। তো কোনো দল এটা নিয়ে কোনো কথা বলল না। আপনারা এটাকে নিজেদের গায়ে যে মাখালেন, এটা ঠিক হয়নি। এটা খুবই অনভিপ্রেত হয়েছে। কোনো দলকে টার্গেট করে বা কোনো দলের পক্ষে আমরা কখনো কথা বলি না। আমরা কোরআনের পক্ষে কথা বলি, ইসলামের পক্ষে কথা বলি।’

কয়েক লাখ জনতার উপস্থিতিতে সিলেট এমসি কলেজ মাঠে শেষ হয়েছে আঞ্জুমানের তিন দিনব্যাপী ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিল। শনিবার শেষ দিনে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসির শুনতে দুপুর থেকে এমসি মাঠমুখী শুরু হয় জনস্রোত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উপস্থিতি। বিকেলের আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় এমসি কলেজ মাঠ। সন্ধ্যার পরপর জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরে আশপাশের এলাকায়। এই মাঠে মাহফিলে এত লোক আগে দেখেনি কেউ। মাঠ ও মাঠের বাইরে আটটি প্রজেক্টর স্থাপন করা হয়।
মাহফিলের শেষ দিনের পৃথক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেটের সভাপতি প্রফেসর মাওলানা সৈয়দ একরামুল হক ও আল্লামা ইসহাক আল মাদানী।
ড. মিজানুর রহমান আজহারী ছাড়াও শেষ দিনে তাফসির পেশ করেন আল্লামা ইসহাক আল মাদানী, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, মুফতি আমীর হামজা, শায়খ হাফিজ মাওলানা আবু সাঈদ, অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী, মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, শায়েখ আজমল মসরুর, মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার, মাওলানা মাহবুবুর রহমান জালালাবাদী ও মাওলানা হাসানুল বান্না বিন শরিফ আব্দুল কাদির।
ড. আজহারী আরও বলেন, ‘চব্বিশের রক্তাক্ত আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে আমাদের তরুণ ছাত্র ও যুব সমাজ। এই তরুণদের হাতেই নিরাপদ আমাদের বাংলাদেশ, নিরাপদ লাল-সবুজের পতাকা। তরুণ প্রজন্মকে কোরআন-হাদিসের আলোয় আলোকিত করতে হবে। তাহলে দেশ-জাতি সমাজ উপকৃত হবে। আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেট অঞ্চলের জন্য একটি নেয়ামত। এই সংগঠনটির সঙ্গে শহীদ আল্লামা সাঈদী (র.)-এর স্মৃতি জড়িত রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ৩৫ বছর ধরে তিনি এখানে তাফসির করেছেন। সংগঠনটি শুধু দ্বীনের দাওয়াতের কাজ করে না, সামাজিক অঙ্গনে বিশাল ভূমিকা রেখে আসছে। মাহফিলে তিনি আল্লামা ফুলতলী (র.), আল্লামা গহরপুরী (র.), শায়খে কৌড়িয়া (র.)-সহ সিলেটের প্রবীণ আলেমদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মুসলিম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন ইউকে অ্যান্ড ইউরোপের সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল মতিন চৌধুরী, লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকার ব্যারিস্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ ও টিভি আলোচক ড. ফয়জুল হক।
সকালে মহিলা মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা হাবিবুর রহমান ও হাফেজ আনওয়ার হোসাইন খান। আলোচনা শেষে নারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শায়েখ শাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ। সঞ্চালনা করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
মাহফিলের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার আলোচনা করেন শায়েখ শাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ, মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী, আল্লামা সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী, শায়েখ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান আল মাদানী, হাফিজ মিফতাহুদ্দীন, কারি মাওলানা মতিউর রহমান ও মাওলানা সাদিক সিকান্দর।
প্রথম দিন বৃহস্পতিবার তাফসির পেশ করেন মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমীন, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা কমর উদ্দিন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা আব্দুল হাই জিহাদী, শায়েখ আব্দুল হক, ড. মাওলানা এ এইচ এম সোলাইমান ও মাওলানা মাশুক আহমদ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

‘এক দল খেয়ে গিয়েছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে’—এই বক্তব্য নিজেদের গায়ে মেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই অনভিপ্রেত হয়েছে। কোনো দলকে টার্গেট করে বা কোনো দলের পক্ষে আমরা কখনো কথা বলি না। আমরা কোরআনের পক্ষে কথা বলি, ইসলামের পক্ষে কথা বলি।’
গতকাল শনিবার রাতে সিলেটের এমসি কলেজ মাঠে তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের সমাপনী দিনে আলোচনায় নিজেকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে মিজানুর রহমান আজহারী এসব কথা বলেন। আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেটের উদ্যোগে এই মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মাহফিলে সব দল-মতের লোকজনকে স্বাগত জানিয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘যারা আমাদের বিরোধিতা করে, ঘৃণা ছড়ায়; তাদের জন্যও আমাদের বুকভরা ভালোবাসা রয়েছে। কারণ, ভালোবাসা দিয়ে যা জয় করা যায়, কঠোরতা দিয়ে তা পারা যায় না। তো যারা বিরোধিতার জন্য আমাদের আলোচনা শোনেন, তাঁদেরও স্বাগত। যারা আমাদের আলোচনা আউট অব কনটেক্সটে নিয়ে এক জায়গার মাথায় আরেক জায়গার লেজ জুড়ে দেন, তাঁদেরও স্বাগত।’
আজহারী বলেন, ‘গত সপ্তাহে খুলনা বিভাগের প্রোগ্রাম ছিল যশোরের আদ্বদীন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে। তো যশোরের প্রোগ্রামের এক ভিডিওর পেছনে আমাদের কিছু দ্বীনি ভাই ছয় বছর আগের এক অডিও ব্যাকগ্রাউন্ডে জুড়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের প্রতিও আমাদের কোনো রাগ নেই, ক্ষোভ নেই। তাঁরা হয়তো দ্বীনি তাগাদা থেকেই এটা করেছেন। কিন্তু তাঁরা হয়তো বুঝতে পারেননি যে রিসেন্ট আলোচনার ভিডিওর পেছনে ছয় বছর আগের অডিও জুড়ে দেওয়া, এটাকে বাংলায় বলে প্রতারণা, ধোঁকাবাজি। বিশ্বনবী (স.) বলেছেন, “যে আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।” তো বিশ্বনবীর এই হাদিস তাঁরা মনে রাখেন না। এ জন্য বিশ্বনবীর প্রতি শুধু ভালোবাসা আপনাকে বাঁচাতে পারবে না, যদি আপনি বিশ্বনবীর আদর্শ গ্রহণ না করেন।’
বিএনপি নেতাদের ইঙ্গিত করে মাওলানা আজহারী বলেন, ‘আমার গত সপ্তাহের যশোরের আলোচনার একটা লাইনকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক রাজনীতিবিদ বন্ধু অনেক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। ওই কথাকে নিজেদের গায়ে টেনে, নিজেদের গায়ে মেখে তাঁরা ক্ষুব্ধও হয়েছেন। প্রিয় ভাইয়েরা, আমি বলেছিলাম, “এক দল খেয়ে গিয়েছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে।” এখানে কি আমি কোনো দলের নাম বলেছি? বাংলাদেশে ৪৮টা প্রায় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। কোনো দলের নাম আমি বলিনি। কথাটাকে আমি জেনারেল রেখেছি। দায়ীদের বৈশিষ্ট্যই এটা। দায়ীরা জেনারেল কথাই বলে, যার যে মেসেজ নেওয়ার, তারা সেখান থেকে নিয়ে নেয়। তো কোনো দল এটা নিয়ে কোনো কথা বলল না। আপনারা এটাকে নিজেদের গায়ে যে মাখালেন, এটা ঠিক হয়নি। এটা খুবই অনভিপ্রেত হয়েছে। কোনো দলকে টার্গেট করে বা কোনো দলের পক্ষে আমরা কখনো কথা বলি না। আমরা কোরআনের পক্ষে কথা বলি, ইসলামের পক্ষে কথা বলি।’

কয়েক লাখ জনতার উপস্থিতিতে সিলেট এমসি কলেজ মাঠে শেষ হয়েছে আঞ্জুমানের তিন দিনব্যাপী ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিল। শনিবার শেষ দিনে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসির শুনতে দুপুর থেকে এমসি মাঠমুখী শুরু হয় জনস্রোত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উপস্থিতি। বিকেলের আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় এমসি কলেজ মাঠ। সন্ধ্যার পরপর জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরে আশপাশের এলাকায়। এই মাঠে মাহফিলে এত লোক আগে দেখেনি কেউ। মাঠ ও মাঠের বাইরে আটটি প্রজেক্টর স্থাপন করা হয়।
মাহফিলের শেষ দিনের পৃথক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেটের সভাপতি প্রফেসর মাওলানা সৈয়দ একরামুল হক ও আল্লামা ইসহাক আল মাদানী।
ড. মিজানুর রহমান আজহারী ছাড়াও শেষ দিনে তাফসির পেশ করেন আল্লামা ইসহাক আল মাদানী, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, মুফতি আমীর হামজা, শায়খ হাফিজ মাওলানা আবু সাঈদ, অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী, মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, শায়েখ আজমল মসরুর, মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার, মাওলানা মাহবুবুর রহমান জালালাবাদী ও মাওলানা হাসানুল বান্না বিন শরিফ আব্দুল কাদির।
ড. আজহারী আরও বলেন, ‘চব্বিশের রক্তাক্ত আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে আমাদের তরুণ ছাত্র ও যুব সমাজ। এই তরুণদের হাতেই নিরাপদ আমাদের বাংলাদেশ, নিরাপদ লাল-সবুজের পতাকা। তরুণ প্রজন্মকে কোরআন-হাদিসের আলোয় আলোকিত করতে হবে। তাহলে দেশ-জাতি সমাজ উপকৃত হবে। আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেট অঞ্চলের জন্য একটি নেয়ামত। এই সংগঠনটির সঙ্গে শহীদ আল্লামা সাঈদী (র.)-এর স্মৃতি জড়িত রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ৩৫ বছর ধরে তিনি এখানে তাফসির করেছেন। সংগঠনটি শুধু দ্বীনের দাওয়াতের কাজ করে না, সামাজিক অঙ্গনে বিশাল ভূমিকা রেখে আসছে। মাহফিলে তিনি আল্লামা ফুলতলী (র.), আল্লামা গহরপুরী (র.), শায়খে কৌড়িয়া (র.)-সহ সিলেটের প্রবীণ আলেমদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মুসলিম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন ইউকে অ্যান্ড ইউরোপের সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল মতিন চৌধুরী, লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকার ব্যারিস্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ ও টিভি আলোচক ড. ফয়জুল হক।
সকালে মহিলা মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা হাবিবুর রহমান ও হাফেজ আনওয়ার হোসাইন খান। আলোচনা শেষে নারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শায়েখ শাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ। সঞ্চালনা করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
মাহফিলের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার আলোচনা করেন শায়েখ শাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ, মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী, আল্লামা সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী, শায়েখ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান আল মাদানী, হাফিজ মিফতাহুদ্দীন, কারি মাওলানা মতিউর রহমান ও মাওলানা সাদিক সিকান্দর।
প্রথম দিন বৃহস্পতিবার তাফসির পেশ করেন মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমীন, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা কমর উদ্দিন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা আব্দুল হাই জিহাদী, শায়েখ আব্দুল হক, ড. মাওলানা এ এইচ এম সোলাইমান ও মাওলানা মাশুক আহমদ।

‘এক দল খেয়ে গিয়েছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে’—এই বক্তব্য নিজেদের গায়ে মেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই অনভিপ্রেত হয়েছে। কোনো দলকে টার্গেট করে বা কোনো দলের পক্ষে আমরা কখনো কথা বলি না। আমরা কোরআনের পক্ষে কথা বলি, ইসলামের পক্ষে কথা বলি।’
গতকাল শনিবার রাতে সিলেটের এমসি কলেজ মাঠে তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের সমাপনী দিনে আলোচনায় নিজেকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে মিজানুর রহমান আজহারী এসব কথা বলেন। আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেটের উদ্যোগে এই মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মাহফিলে সব দল-মতের লোকজনকে স্বাগত জানিয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘যারা আমাদের বিরোধিতা করে, ঘৃণা ছড়ায়; তাদের জন্যও আমাদের বুকভরা ভালোবাসা রয়েছে। কারণ, ভালোবাসা দিয়ে যা জয় করা যায়, কঠোরতা দিয়ে তা পারা যায় না। তো যারা বিরোধিতার জন্য আমাদের আলোচনা শোনেন, তাঁদেরও স্বাগত। যারা আমাদের আলোচনা আউট অব কনটেক্সটে নিয়ে এক জায়গার মাথায় আরেক জায়গার লেজ জুড়ে দেন, তাঁদেরও স্বাগত।’
আজহারী বলেন, ‘গত সপ্তাহে খুলনা বিভাগের প্রোগ্রাম ছিল যশোরের আদ্বদীন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে। তো যশোরের প্রোগ্রামের এক ভিডিওর পেছনে আমাদের কিছু দ্বীনি ভাই ছয় বছর আগের এক অডিও ব্যাকগ্রাউন্ডে জুড়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের প্রতিও আমাদের কোনো রাগ নেই, ক্ষোভ নেই। তাঁরা হয়তো দ্বীনি তাগাদা থেকেই এটা করেছেন। কিন্তু তাঁরা হয়তো বুঝতে পারেননি যে রিসেন্ট আলোচনার ভিডিওর পেছনে ছয় বছর আগের অডিও জুড়ে দেওয়া, এটাকে বাংলায় বলে প্রতারণা, ধোঁকাবাজি। বিশ্বনবী (স.) বলেছেন, “যে আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।” তো বিশ্বনবীর এই হাদিস তাঁরা মনে রাখেন না। এ জন্য বিশ্বনবীর প্রতি শুধু ভালোবাসা আপনাকে বাঁচাতে পারবে না, যদি আপনি বিশ্বনবীর আদর্শ গ্রহণ না করেন।’
বিএনপি নেতাদের ইঙ্গিত করে মাওলানা আজহারী বলেন, ‘আমার গত সপ্তাহের যশোরের আলোচনার একটা লাইনকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক রাজনীতিবিদ বন্ধু অনেক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। ওই কথাকে নিজেদের গায়ে টেনে, নিজেদের গায়ে মেখে তাঁরা ক্ষুব্ধও হয়েছেন। প্রিয় ভাইয়েরা, আমি বলেছিলাম, “এক দল খেয়ে গিয়েছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে।” এখানে কি আমি কোনো দলের নাম বলেছি? বাংলাদেশে ৪৮টা প্রায় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। কোনো দলের নাম আমি বলিনি। কথাটাকে আমি জেনারেল রেখেছি। দায়ীদের বৈশিষ্ট্যই এটা। দায়ীরা জেনারেল কথাই বলে, যার যে মেসেজ নেওয়ার, তারা সেখান থেকে নিয়ে নেয়। তো কোনো দল এটা নিয়ে কোনো কথা বলল না। আপনারা এটাকে নিজেদের গায়ে যে মাখালেন, এটা ঠিক হয়নি। এটা খুবই অনভিপ্রেত হয়েছে। কোনো দলকে টার্গেট করে বা কোনো দলের পক্ষে আমরা কখনো কথা বলি না। আমরা কোরআনের পক্ষে কথা বলি, ইসলামের পক্ষে কথা বলি।’

কয়েক লাখ জনতার উপস্থিতিতে সিলেট এমসি কলেজ মাঠে শেষ হয়েছে আঞ্জুমানের তিন দিনব্যাপী ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিল। শনিবার শেষ দিনে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসির শুনতে দুপুর থেকে এমসি মাঠমুখী শুরু হয় জনস্রোত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উপস্থিতি। বিকেলের আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় এমসি কলেজ মাঠ। সন্ধ্যার পরপর জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরে আশপাশের এলাকায়। এই মাঠে মাহফিলে এত লোক আগে দেখেনি কেউ। মাঠ ও মাঠের বাইরে আটটি প্রজেক্টর স্থাপন করা হয়।
মাহফিলের শেষ দিনের পৃথক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেটের সভাপতি প্রফেসর মাওলানা সৈয়দ একরামুল হক ও আল্লামা ইসহাক আল মাদানী।
ড. মিজানুর রহমান আজহারী ছাড়াও শেষ দিনে তাফসির পেশ করেন আল্লামা ইসহাক আল মাদানী, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, মুফতি আমীর হামজা, শায়খ হাফিজ মাওলানা আবু সাঈদ, অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী, মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, শায়েখ আজমল মসরুর, মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার, মাওলানা মাহবুবুর রহমান জালালাবাদী ও মাওলানা হাসানুল বান্না বিন শরিফ আব্দুল কাদির।
ড. আজহারী আরও বলেন, ‘চব্বিশের রক্তাক্ত আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে আমাদের তরুণ ছাত্র ও যুব সমাজ। এই তরুণদের হাতেই নিরাপদ আমাদের বাংলাদেশ, নিরাপদ লাল-সবুজের পতাকা। তরুণ প্রজন্মকে কোরআন-হাদিসের আলোয় আলোকিত করতে হবে। তাহলে দেশ-জাতি সমাজ উপকৃত হবে। আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেট অঞ্চলের জন্য একটি নেয়ামত। এই সংগঠনটির সঙ্গে শহীদ আল্লামা সাঈদী (র.)-এর স্মৃতি জড়িত রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ৩৫ বছর ধরে তিনি এখানে তাফসির করেছেন। সংগঠনটি শুধু দ্বীনের দাওয়াতের কাজ করে না, সামাজিক অঙ্গনে বিশাল ভূমিকা রেখে আসছে। মাহফিলে তিনি আল্লামা ফুলতলী (র.), আল্লামা গহরপুরী (র.), শায়খে কৌড়িয়া (র.)-সহ সিলেটের প্রবীণ আলেমদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মুসলিম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন ইউকে অ্যান্ড ইউরোপের সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল মতিন চৌধুরী, লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকার ব্যারিস্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ ও টিভি আলোচক ড. ফয়জুল হক।
সকালে মহিলা মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা হাবিবুর রহমান ও হাফেজ আনওয়ার হোসাইন খান। আলোচনা শেষে নারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শায়েখ শাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ। সঞ্চালনা করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
মাহফিলের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার আলোচনা করেন শায়েখ শাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ, মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী, আল্লামা সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী, শায়েখ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান আল মাদানী, হাফিজ মিফতাহুদ্দীন, কারি মাওলানা মতিউর রহমান ও মাওলানা সাদিক সিকান্দর।
প্রথম দিন বৃহস্পতিবার তাফসির পেশ করেন মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমীন, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা কমর উদ্দিন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা আব্দুল হাই জিহাদী, শায়েখ আব্দুল হক, ড. মাওলানা এ এইচ এম সোলাইমান ও মাওলানা মাশুক আহমদ।

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আগুনে আয়েশা বেগম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই শিশুসন্তান।
বেলাল হোসেন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ দুই শিশু বীথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বেলাল হোসেন। গভীর রাতে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দৃর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘুমন্ত শিশু আয়েশা দগ্ধ হয়ে মারা যায়। দগ্ধ হন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই মেয়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার দাস বলেন, এক শিশুকে মৃত এবং অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা অরূপ পাল বলেন, বেলাল হোসেনের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুই শিশুর শরীর ৭০ থেকে ৮০ শাতংশ পুড়ে গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা গেছে। আরও তিনজন অগ্নিদগ্ধ। তবে আগুনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি পরিকল্পিতভাবে নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আগুনে আয়েশা বেগম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই শিশুসন্তান।
বেলাল হোসেন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ দুই শিশু বীথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বেলাল হোসেন। গভীর রাতে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দৃর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘুমন্ত শিশু আয়েশা দগ্ধ হয়ে মারা যায়। দগ্ধ হন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই মেয়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার দাস বলেন, এক শিশুকে মৃত এবং অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা অরূপ পাল বলেন, বেলাল হোসেনের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুই শিশুর শরীর ৭০ থেকে ৮০ শাতংশ পুড়ে গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা গেছে। আরও তিনজন অগ্নিদগ্ধ। তবে আগুনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি পরিকল্পিতভাবে নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মাহফিলে সব দল-মতের লোকজনকে স্বাগত জানিয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘যারা আমাদের বিরোধিতা করে, ঘৃণা ছড়ায়; তাদের জন্যও আমাদের বুকভরা ভালোবাসা রয়েছে। কারণ, ভালোবাসা দিয়ে যা জয় করা যায়, কঠোরতা দিয়ে তা পারা যায় না। তো যারা বিরোধিতার জন্য আমাদের আলোচনা শোনেন, তাঁদেরও স্বাগত। যারা আমাদের আলোচনা আউট অব
১২ জানুয়ারি ২০২৫
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিব হোসেন (২২) এবং শহরের পিয়ারাখালী এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা বেগম (৪৫)। নিহত ব্যক্তিরা সম্পর্কে খালা ও ভাগনে ছিলেন। তাঁরা দুজনই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল বিকেলে লালপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা ঈশ্বরদী শহরে আসছিল। অটোরিকশাটি শহরের স্কুলপাড়ার মহাসড়কে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশার দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে অটোরিকশার চালক পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিব হোসেন (২২) এবং শহরের পিয়ারাখালী এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা বেগম (৪৫)। নিহত ব্যক্তিরা সম্পর্কে খালা ও ভাগনে ছিলেন। তাঁরা দুজনই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল বিকেলে লালপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা ঈশ্বরদী শহরে আসছিল। অটোরিকশাটি শহরের স্কুলপাড়ার মহাসড়কে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশার দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে অটোরিকশার চালক পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মাহফিলে সব দল-মতের লোকজনকে স্বাগত জানিয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘যারা আমাদের বিরোধিতা করে, ঘৃণা ছড়ায়; তাদের জন্যও আমাদের বুকভরা ভালোবাসা রয়েছে। কারণ, ভালোবাসা দিয়ে যা জয় করা যায়, কঠোরতা দিয়ে তা পারা যায় না। তো যারা বিরোধিতার জন্য আমাদের আলোচনা শোনেন, তাঁদেরও স্বাগত। যারা আমাদের আলোচনা আউট অব
১২ জানুয়ারি ২০২৫
লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মাহফিলে সব দল-মতের লোকজনকে স্বাগত জানিয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘যারা আমাদের বিরোধিতা করে, ঘৃণা ছড়ায়; তাদের জন্যও আমাদের বুকভরা ভালোবাসা রয়েছে। কারণ, ভালোবাসা দিয়ে যা জয় করা যায়, কঠোরতা দিয়ে তা পারা যায় না। তো যারা বিরোধিতার জন্য আমাদের আলোচনা শোনেন, তাঁদেরও স্বাগত। যারা আমাদের আলোচনা আউট অব
১২ জানুয়ারি ২০২৫
লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেআবুল কাসেম, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

মাহফিলে সব দল-মতের লোকজনকে স্বাগত জানিয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘যারা আমাদের বিরোধিতা করে, ঘৃণা ছড়ায়; তাদের জন্যও আমাদের বুকভরা ভালোবাসা রয়েছে। কারণ, ভালোবাসা দিয়ে যা জয় করা যায়, কঠোরতা দিয়ে তা পারা যায় না। তো যারা বিরোধিতার জন্য আমাদের আলোচনা শোনেন, তাঁদেরও স্বাগত। যারা আমাদের আলোচনা আউট অব
১২ জানুয়ারি ২০২৫
লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে